চেতনা প্রকাশন - Chetona Prokashon

চেতনা প্রকাশন - Chetona Prokashon Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from চেতনা প্রকাশন - Chetona Prokashon, Publisher, # 20, 1st floor. Islami Tower, Banglabazar, Dhaka.
(17)

চেতনা প্রকাশন।

বিশুদ্ধ দীনি-মেজাজ ও উম্মাহর আত্মমর্যাদা-বোধসম্পন্ন মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার লক্ষে নিরলস স্থির গন্তব্যে ছুটে চলার এক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নাম।

ইসলামের মিষ্ট-স্বচ্ছ উৎসমূল থেকে এ অঞ্চলের পাঠক-সমীপে প্রয়োজনীয় ও প্রজোয্য, ইলম-মারিফাত পরিবেশনার অনন্য উচ্চারণ।

আশা এই, খালাফের কাতারে থেকে সালাফের পথধরে চলা নন্দিত ও গর্বিত পাঠক জানুক, পড়ুক ও জীবন-জগত আলোকিত করুক, আমাদের গৌরবময় ও নান্দনিক ইলমি তুরাস

ও ফাহমুস সালাফের দিগন্ত-প্রসারী রঙে।

এ লক্ষ্যেই আমাদের কাজ হলো, একেবারে আদিকা, তাফসির, হাদিস, ফিকহ, উসুল, তিব, হিকমাহ, তারিখ, তারাজিম, মাওয়ায়েজ, ইতিবার থেকে নিয়ে, জগতের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখা-প্রশাখায় লিখিত, রচিত, অনূদিত ও সম্পাদিত জ্ঞান-ভান্ডার, কুসুমিত সাহিত্যের কিমিয়াগির ভাষায়, আধুনিক মান ও মর্যাদা, রুচি ও স্বাতন্ত্র্যতা যথাসাধ্য বজায় রেখে, হাজার বছরের অমূল্য সম্পদ পাঠক-সমীপে উপস্থাপন করা।

প্রিয় পাঠক, আপনি কী আমাদের পথচলার গর্বিত সহযাত্রী হবেন?

আমাদের মনের খুব সাধারণ একটি প্রশ্ন, আমরা কেন মুসলমান? এতকিছুর ভিড়ে ইসলামের জন্যই কেন আমাদের প্রাণ উজাড়? বস্তুত দুটি প্রশ...
23/11/2023

আমাদের মনের খুব সাধারণ একটি প্রশ্ন, আমরা কেন মুসলমান? এতকিছুর ভিড়ে ইসলামের জন্যই কেন আমাদের প্রাণ উজাড়? বস্তুত দুটি প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট না থাকলে কোনো কাজই শেকড়পুষ্ট হয় না—কেন ও কীভাবে। কীভাবে মুসলমান, তার উত্তর একাডেমিক; যেমন, আকিদা, ফিকহ ও প্রায়োগিক অন্যান্য বিষয় জানাবোঝার মাধ্যমে তার উত্তর মিলবে। আর কেন মুসলমান, তার উত্তর একাডেমিকভাবে বোঝার পাশাপাশি মনের মণিকোঠা উন্মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। আর এ কাজটি হয় আবেগ তৈরির মাধ্যমে, উপদেশের মাধ্যমে, পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে।

এ জন্যই আল্লাহ কুরআনকে সহজ করেছেন, যেন কুরআনের গবেষণাধর্মী অলৌকিকত্ব সকলে বুঝুক আর না বুঝুক, কিন্তু পড়লে, শুনলে সকলের মনই কেঁদে উঠে ঐশী মায়ায়, যেন মনে হয় এর পেছনে তো আমার প্রতিপালকের নাটাইয়ের সুতো বাঁধা! তদ্রূপ নবুয়তের আগেপরে নবিজীবনকেও রূপ দেওয়া হয়েছে বিশ্বাসের, দয়ামায়ার, পবিত্রতার ও ভালোবাসার করে, যেন মুহাম্মাদের নামেই তার কথার প্রতি বিশ্বাসের মন তৈরি হয়ে যায়। ইসলাম ধর্মটিকেও তার কেয়ামতব্যাপী সূক্ষ্ম-জটিল নীতিনির্ধারণীর আগে তার যৌক্তিকতা, মায়া-মহব্বত ও ইনসাফময় চিত্রের প্রদর্শনীতে জ্ঞানী-অজ্ঞানী সকলের কাছে মহীয়ান করা হয়েছে।

আমরা কেন মুসলমান বইটিতেও লেখক সেই সরল মনের প্রশ্নোত্তরগুলোকে গল্পের ভঙ্গিতে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। যুক্তি ও প্রমাণের আলোকে তুলে ধরেছেন সকলকিছু, তবে সাধারণ বৈঠকের শিশুমনের চিন্তার উপযোগী করে।

আমরা কেন মুসলমান
ড. খালেদ সালিম আবদুল ফাত্তাহ
অনুবাদ- সদরুল আমীন সাকিব

দ্বীনে ফেরার পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দ্বীনের ওপর অটল থাকা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মেহেরবানি করে আমাকে দ্বীন...
19/11/2023

দ্বীনে ফেরার পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দ্বীনের ওপর অটল থাকা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মেহেরবানি করে আমাকে দ্বীনের যে রাজপথে উঠিয়েছেন সেখান থেকে যেন আমি হারিয়ে না যাই, সেই পথেই যেন চলতে থাকি। ভিন্ন কোনো পথে, ভ্রান্ত কোনো মতে বা সেই রাজপথ ছেড়ে কোনো অলিগলিতে যেন আমি হারিয়ে না যাই। এটা অনেক বেশি জরুরি।

বই: দ্বীনে ফেরার পর হারিয়ে যেয়ো না // ১৭

রুকইয়াহ শব্দটি মূলত আরবি, যার শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ হচ্ছে 'রুকইয়াহ' অথবা 'রুকইয়া'। শাব্দিক অর্থে রুকইয়াহ মানে ঝাঁড়ফুক, মন্...
18/11/2023

রুকইয়াহ শব্দটি মূলত আরবি, যার শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ হচ্ছে 'রুকইয়াহ' অথবা 'রুকইয়া'। শাব্দিক অর্থে রুকইয়াহ মানে ঝাঁড়ফুক, মন্ত্র পাঠ। আর রুকইয়াহ শারইয়্যাহ মানে শরিয়তসম্মত রুকইয়াহ। তথা কুরআনের আয়াত, হাদিসে বর্ণিত দুআ অথবা আসমাউল হুসনা পাঠ করে আল্লাহর কাছে সমস্যা থেকে মুক্তি চাওয়া।

বই: রুকইয়ার আয়াত ও দুআ
আব্দুল্লাহ আল মামুন

18/11/2023

আমরা কেন মুসলমান?

17/11/2023

দ্বীনে ফেরার পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দ্বীনের ওপর অটল থাকা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা মেহেরবানি করে আমাকে দ্বীনের যে রাজপথে উঠিয়েছেন সেখান থেকে আমি যেন হারিয়ে না যাই, সেই পথেই যেন চলতে থাকি।

বই : দ্বীনে ফেরার পর হারিয়ে যেয়ো না

ইতিহাস মানুষের বিবেকবুদ্ধিকে জাগ্রত করে। ইতিহাসের থেকেই মানুষ জানতে পারে অতীত রাজনীতি, দর্শন, প্রাচ্যবাদ, সমাজতত্ত্ব, ধর...
16/11/2023

ইতিহাস মানুষের বিবেকবুদ্ধিকে জাগ্রত করে। ইতিহাসের থেকেই মানুষ জানতে পারে অতীত রাজনীতি, দর্শন, প্রাচ্যবাদ, সমাজতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব ও সাহিত্যের আলোচনা। যা সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করে৷ ইতিহাস নিয়ে তথ্যবহুল ও নির্ভরযোগ্য বই খুব কম আছে।

মনযূর আহমেদ "সিন্দু থেকে বঙ্গ" বইটিতে লেখক মুসলিম জাতির হাজার বছরের ইতিহাসকে তুলে ধরান আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। লেখক তার বইটি উৎসর্গ করেন
একজন সৎ, ন্যায়পরায়ণ, কর্মঠ ও দূরদর্শী নেতা ইমাদউদ্দিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল সাকাফিকে যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্দু বিজয় করেন এবং দক্ষ সেনানায়ক
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বখতিয়ার খলজিকে যিনি মাত্র ১৭ জন সঙ্গী নিয়ে বঙ্গ জয় করে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

২ খন্ডের বইটির নামই বইয়ের সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

লেখক 'কৈফিয়ত ও আশাবাদ' নামক অনুচ্ছেদে লিখেছেন,

❝জাতি বিচারে বাঙালি বর্তমান আরবের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী। বিশাল ভূ-ভারতের অন্য কোনো অঞ্চলেও মুসলিমদের সংখ্যা এতটা নয়। এর পাশাপাশি বাংলার পশ্চিমাংশের তুলনায় পূর্বাংশে মুসলিম জনসংখ্যার বিরাট ব্যবধানও একটি প্রণিধানযোগ্য বিষয়। অথচ এটি ইসলামের উৎসভূমি হেজাজ থেকে বহু বহু দূরে এবং এখানে দলে দলে সাহাবি এসে ইসলাম প্রচার করেছে ইতিহাস এমন কোনো তথ্য পরিবেশন করে না। এরই প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণে ভারতবর্ষের এক হাজার বছরের ইতিহাস তুলে ধরার এই চেষ্টা ❞

উপরিউক্ত কথায় লেখকের উদ্দেশ্যর একটা স্বচ্ছ ধারণা আমাদের সামনে ফুটে উঠেছে। লেখক তার বইটিতে মুসলিম জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের কথা বলতে চাচ্ছেন। যাতে রয়েছে হাজারও বীরত্বের ইতিহাস । যেটা বিজয়গাঁথা পাটাতন। যেটা স্বতন্ত্র তবে আলোচনাহীন। আর সময়ের পরিক্রমায় আজ সেই মুসলিমরাই জানেন না তাদের বিজয়গাঁথা সব ইতিহাস! তাই তো মনযূর আহমেদ ইতিহাস নিয়ে লিখেছেন সত্য উপস্থাপনা করতে, জানাতে আমাদের বিজয়গাঁথা সেই স্বর্ণালী দিনের ইতিহাস।

২ খন্ডে সাজিয়ে তুলেছেন সিন্দু থেকে বঙ্গ সব বীরত্বপূর্ণ ও বিজয়গাঁথা ইতিহাস গুলো।

প্রথম খন্ডের অধ্যায় সমূহের নাম দেখে আসা যাক-
প্রথম অধ্যায়ঃ শিকড়ের ইতিহাস
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ধর্মগ্রন্থ মহাভারত ও ভারতের গোড়ার কথা
তৃতীয় অধ্যায়ঃ প্রাচীনকালে ভারতীয় উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার পরিচয়
চতুর্থ অধ্যায়ঃ ইসলাম প্রচারে ওলী-আওলিয়াদের অবদান
পঞ্চম অধ্যায়ঃ বঙ্গে ইসলাম প্রচার
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ বাংলায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ
সপ্তম অধ্যায়ঃ ভারতে মুসলমানদের ঐতিহাসিক অবদান
অষ্টম অধ্যায়ঃ ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের সূচনা
নবম অধ্যায়ঃ মুসলিমদের বিজয় প্রাক্কালে ভারতের সমাজ ও পরিবেশ
দশম অধ্যায়ঃ মুসলিমদের সিন্দু বিজয়
একাদশ অধ্যায়ঃ খজনী বংশ
দ্বাদশ অধ্যায়ঃ ঘুর বংশ
ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ দিল্লীর তুর্কী সাম্রাজ্য
চতুর্দশ অধ্যায়ঃ খিলজী বংশ
পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ তুঘলক বংশ
ষোড়শ অধ্যায়ঃ তৈমুরের ভারত আক্রমণ ও তুঘলক বংশের পতনের নৈপথ্য কারণ
সপ্তদশ অধ্যায়ঃ দিল্লীকেন্দ্রিক সুলতানী শাসনের পতনযুগ
অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ লোদি বংশ
ঊনবিশ অধ্যায়ঃ দিল্লীর সুলতানি শাসনের পতনের নেপথ্য কারণ
বিংশ অধ্যায়ঃ আঞ্চলিক স্বাধীন রাজ্যসমূহের উত্থান
একবিংশ অধ্যায়ঃ দিল্লীর সুলতানদের শাসন, সমাজ ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা

এবার আসি ২য় খন্ডের অধ্যায় সমূহের নামে-

প্রথম অধ্যায়ঃ মূঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ হুমায়ুন ও শের শাহ
তৃতীয় অধ্যায়ঃ সম্রাট আকবর
চতুর্থ অধ্যায়ঃ দ্বীনে ইলাহী
পঞ্চম অধ্যায়ঃ জাহাঙ্গীর
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ অন্য এক জাহাঙ্গীর
সপ্তম অধ্যায়ঃ সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীর এবং মুজাদ্দিদে আলফে সানী
অষ্টম অধ্যায়ঃ মুজাদ্দিদে আলফে সানী
নবম অধ্যায়ঃ শাহজাহান
দশম অধ্যায়ঃ শাহজাহানের শাসনব্যবস্থা
একাদশ অধ্যায়ঃ আওরঙ্গজেব আলমগীর
দ্বাদশ অধ্যায়ঃ মসনদ সম্পর্কীয় বিরোধের কারণ ও তার দালিলিক বিবরণ
ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ অস্তচলে মূঘল সাম্রাজ্য
চতুর্দশ অধ্যায়ঃ এই সময়ের মহান নকিব শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবি
পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ
ষোড়শ অধ্যায়ঃ মুঘল শাসনব্যবস্থায় সমাজ ও সংস্কৃতি
সপ্তদশ অধ্যায়ঃ হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক
অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ মুঘল আমলের শিল্প
ঊনবিশ অধ্যায়ঃ শিক্ষা ও সাহিত্য
বিংশ অধ্যায়ঃ ভারত সভ্যতা নির্মাণে ইসলামের ঐতিহাসিক অবদান

মানবজাতি কিন্তু নিজের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে জানার প্রতি খুব না আগ্রহী নয়। অতীতে মুসলিমদের বীরত্বের ইতিহাসেই যেখানে জন্ম একটি সভ্য ভারতবর্ষের। কিন্তু সেই অতীতের ইতিহাসের পাতায় আমাদের বীরত্বের কোনো নামনিশানা ও নেই।

আমাদের জানা নেই, ইসলামের মূল ইতিহাস। আমাদের জানা নেই উত্তরসূরীদের বিজয়গাঁথা সেই বীরত্বের ইতিহাস।

আমাদের সেই গৌরবময় ইতিহাস জানতেই অবশ্যই দরকার তথ্যনির্ভর ও বিশুদ্ধ ইতিহাস সংবলিত বই। সেই দিক দিয়ে বইটি খুবই উপযোগী হবে বলে আশা করি।

বইয়ের নামঃ সিন্ধু থেকে বঙ্গ (দুই খণ্ড)
লেখকঃ মনযূর আহমাদ
প্রকাশনায়ঃ চেতনা প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্যঃ ১২০০ টাকা

© লিখেছেন: মোহাম্মদ ফিরোজ আল উনাইদ

নিশ্চয়ই শিফা আছে কুরআনের মধ্যে!কুরআনে মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন, কুরআনের মধ্যেই আছে মুমিনদের জন্য শিফা। তাই কুরআন...
16/11/2023

নিশ্চয়ই শিফা আছে কুরআনের মধ্যে!
কুরআনে মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন, কুরআনের মধ্যেই আছে মুমিনদের জন্য শিফা। তাই কুরআনের আয়াত ও হাদীসে বর্ণিত দুআর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুস্থতার অন্বেষণ অসাধারণ একটি বিষয়। এটাই হচ্ছে রুকইয়াহ শারইয়্যাহ। আর এই সম্পর্কে বিশুদ্ধ বর্ণনা ও রুকইয়ার সহীহ নিয়মকানুন জানার জন্য আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন “রুকইয়ার আয়াত ও দুআ” বইটি।
বইটিতে রুকইয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আয়াত ও দুআর একটি চমৎকার সংগ্রহ তুলে ধরা হয়েছে। দশটির বেশি ক্যাটাগরিতে উপস্থাপন করা হয়েছে অনেকগুলো আয়াত। আরো কয়েকটি ক্যাটাগরিতে উল্লেখ করা হয়েছে বেশ কিছু দুআ। প্রতিটি আয়াত বা দুআ উল্লেখের আগে অল্প কথায় এ ব্যাপারে ধারণা, প্রয়োগ, উপকারিতা বা সতর্কতার বিষয়গুলো উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। পাঠকের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে বইটিতে সংক্ষেপে রুকইয়ার প্রাথমিক পরিচয়ও তুলে ধরা হয়েছে, যেন যারা জানেন না তারাও যেন বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রুকইয়াহ করতে পারেন।
যারা রুকইয়াহ নিয়মিত করছেন কিংবা কোনো ফোন ব্যবহার না করে রুকইয়ার প্রয়োজনীয় আয়াত ও দুআ নিয়ে কাজ করতে চান, তাদের জন্য বইটি বেশ উপকারি হবে ইনশাআল্লাহ।

আসবে সুফফাহ কি কোনো বিশেষ পরিচিতি? স্বতন্ত্র মর্যাদার প্রতীক? অন্যন্য ফজিলত ও গৌরবের ধারক ও বাহক? যদি তাই হয়, তবে কেন খ...
15/11/2023

আসবে সুফফাহ কি কোনো বিশেষ পরিচিতি? স্বতন্ত্র মর্যাদার প্রতীক? অন্যন্য ফজিলত ও গৌরবের ধারক ও বাহক? যদি তাই হয়, তবে কেন খোলাফায়ে রাশেদিন, আশারায়ে মুবাশশারা এমনকি আনসার সাহাবিদের মধ্য থেকে একজনও এই ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারলেন না? তা ছাড়া জীবনের শেষ পর্যন্ত কোনো সাহাবি আসহাবে সুফফাহ পরিচিতি বহন করেছিলেন কি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে পারলেই আসহাবে সুফফাহ-কেন্দ্রিক আমাদের ভুল চিন্তাগুলো থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। আরবের প্রখ্যাত গবেষক আলেম এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেছেন কোরআন-হাদিস-সহ ইসলামের সমস্ত নির্ভরযোগ্য ভাষ্যের আলোকে। তিনি আসহাবে সুফফাহর সূচনা ও প্রেক্ষাপট থেকে এর সমাপ্তি পর্যন্ত পুরো চিত্রটা এমন মুন্সিয়ানার সাথে অঙ্কন করেছেন, পড়তে পড়তে কখন যে ঘটনার ভেতর হারিয়ে যাবেন, টেরই পাবেন না।

আসহাবে সুফফাহ
মূল: সালেহ আহমাদ শামি
অনুবাদ ও সম্পাদনা: আব্দুর রহমান আদ-দাখিল
পৃষ্ঠা : ১০৫

ইসলামই কেন আমাদের জীবনবিধানআমরা যারা এদেশে থাকি, তাদের বেশিরভাগই জন্মসূত্রে মুসলমান। কিন্তু কেন আমরা মুসলমান? কেন ইসলামই...
15/11/2023

ইসলামই কেন আমাদের জীবনবিধান
আমরা যারা এদেশে থাকি, তাদের বেশিরভাগই জন্মসূত্রে মুসলমান। কিন্তু কেন আমরা মুসলমান? কেন ইসলামই আমাদের জীবনবিধান? ইসলামকেই কেন আমরা দ্বীন হিসেবে নেবো? কুরআন ও হাদীস বা নবীজীবনের মধ্যে এমন কী লুকিয়ে আছে, যার কারণে এই দ্বীন এতো বেশি আবেদনময়, এতো বেশি বিশ্বাসযোগ্য?
প্রাঞ্জল আলাপে এই প্রশ্নগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে “আমরা কেন মুসলমান” বইটিতে। যুক্তি ও প্রমাণের আলোকে এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের প্রামাণিকতা স্পষ্ট করা হয়েছে। দেখানো হয়েছে কুরআনের অলৌকিকতা। উজ্জ্বল সব বৈশিষ্ট্যে ফুটে উঠেছে সত্য দ্বীন হিসেবে ইসলামের সত্যতা। ইসলামের আবির্ভাবকালীন ঘটনাবলি ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সাবলীল বর্ণনায় বইয়ের তিনটি তিনটি অধ্যায়ের একাধিক পরিচ্ছেদের মধ্যে একেবারে জ্বলজ্বলে হয়ে উঠেছে আমরা কেন মুসলমান হলাম আর কেনই বা মুসলমান হয়েই আছি।
নিজের দ্বীনকে জানার, বোঝার ও এর উপর বিশ্বাসকে আরো অটল করবার জন্য চমৎকার একটি মাধ্যম এই বইটি।

অর্ডার করতে এখনই ইনবক্স করুন।

বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি ইতিহাস-বিষয়ক একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ। এ গ্রন্থে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে উমাইয়া খে...
14/11/2023

বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি ইতিহাস-বিষয়ক একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ। এ গ্রন্থে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে উমাইয়া খেলাফতের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস। বাস্তবতা হচ্ছে, উমাইয়া শাসনামল এমন দিগন্তবিস্তৃত ইসলামি সাম্রাজ্যের জন্ম দিয়েছিল, যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং প্রদর্শন করেছে আপনাপন প্রতিক্রিয়া এই সময়কালে সাধিত হয়েছে জাতীয় ও সামাজিক বিভিন্ন বিপ্লব; ঘটেছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি; যা এর যাত্রা ও পথচলাকে করেছে ধারালো ও গতিশীল। এসব অগ্রগতির মূল কারণ ছিল—আকিদা-বিশ্বাস ও মুসলিম সমাজে এর মৌলিক প্রভাব।

এজন্যই আমরা দেখতে পাই, সূচনা থেকে পতনকাল পর্যন্ত উমাইয়া খেলাফতের ইতিহাসে প্রাচীন ও সমকালীন বহু ইতিহাসবিদের ভেতর তৈরি করে রেখেছে একধরনের রহস্য ও জটিলতা। এ থেকেই তাদের রচনায় জন্ম নিয়েছে একপ্রকার অস্পষ্ট গোলকধাঁধা ফলে স্বভাবতই উমাইয়াদের ঐতিহাসিক আখ্যান হয়ে পড়েছে অবহেলিত। এর পেছনে কয়েকটি বড় কারণ আছে— জানতে পড়ুন 'উমাইয়া খেলাফত'

লিখেছেন: ড. সুহাইল তাক্কুশ
অনুবাদ: মুজিব মাহমুদ
মুদ্রিত মূল্য: ৩৬০৳
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩১

কোনটা কার সংগ্রহে আছে?
13/11/2023

কোনটা কার সংগ্রহে আছে?

নবীর ভালবাসায় আমাদের জীবন নির্মল হয়ে উঠুক। কার কার যেতে ইচ্ছে করে এখানে?
12/11/2023

নবীর ভালবাসায় আমাদের জীবন নির্মল হয়ে উঠুক।

কার কার যেতে ইচ্ছে করে এখানে?

মসজিদে কুবা। রাসুলের হাতে প্রথম মসজিদ। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল মাদানি জীবন।
11/11/2023

মসজিদে কুবা। রাসুলের হাতে প্রথম মসজিদ। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল মাদানি জীবন।

10/11/2023

আসহাবে সুফফাহ
অর্ডার করছেন তো?
প্রি অর্ডার টাইম কিন্তু শেষ হতে চলে.....

09/11/2023

সরাসরি ৫০% ছাড়!
সাথে আরেকটি বই ফ্রি!
মুসলিম জাতির ইতিহাস। মুসলিম ইতিহাসের বিশ্লেষণী ও মূল্যায়নধর্মী বিবরণ উঠে এসেছে দুই খণ্ডের এই বইতে। বইটিতে প্রাক-নববী যুগ থেকে ড. সুহাইল তাক্কুশ ইতিহাস বর্ণনার সূচনা করেছেন। জাহেলি যুগে ভৌগোলিক পরিবেশ কেমন ছিল, ইসলামপূর্ব আরবের হাল কেমন ছিল ইত্যাদি বিবরণ দিয়েই শুরু হয়েছে এই ইতিহাসযাত্রার। আরবের উত্তর ও দক্ষিণের সাম্রাজ্যগুলোর বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। পাঠক ইসলামের আবির্ভাবকালীন পুরো দৃশ্যপটের একটা চিত্র মনের মধ্যে এঁকে নিতে পারবেন এই বর্ণনা থেকে। এভাবে নববী যুগ, খুলাফায়ে রাশেদার যুগ, উমাইয়া ও আব্বাসী শাসনের বর্ণনা দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম খণ্ড। দ্বিতীয় খণ্ডে এসেছে আন্দালুসীয় যুগ, ফাতেমী সাম্রাজ্য, মামলুক ও উসমানীদের বিবরণ।
বইটি পাচ্ছেন ৫০% ছাড়ে! সাথে আরেকটি বই 'শাজারাতুদ দুর' ফ্রি!

এই অফার সীমিত সময়ের জন্য। জলদি করুন!

সম্রাট শাহজাহান ১৬৫৮ সালে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার জন্ম, শৈশব, কৈশোর, যৌবন এবং রাজত্বের যে স্বর্ণালি ইতিহাস অমনটি স...
09/11/2023

সম্রাট শাহজাহান ১৬৫৮ সালে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার জন্ম, শৈশব, কৈশোর, যৌবন এবং রাজত্বের যে স্বর্ণালি ইতিহাস অমনটি সমপর্যায়ের অন্য কোনো সম্রাটের জীবনে পাওয়া যায় না। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রাজদরবার অথবা অন্দর মহল কিংবা ধর্মালয় থেকে বিদ্যালয় অথবা গহিন জঙ্গলের শিকারক্ষেত্র সর্বত্রই তিনি যে মেধা ও মননশীলতা এবং নান্দনিকতার ইতিহাস রচনা করেছেন তার সাথে দুনিয়ার অনবদ্য অন্য কোনো সম্রাটের তুলনা চলে না। প্রজা পালন-ন্যায়বিচার, দান-খয়রাতের পাশাপাশি রাজকীয় বিলাসব্যসনে তিনি যে অর্থ ব্যয় করেছেন তা আজো অক্ষয় ও অম্লান হয়ে রয়েছে।�সম্রাট শাহজাহানের ন্যায়বিচার, কঠোর অনুশাসন এবং সমগ্র রাজ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় নজিরবিহীন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। ফলে তার রাজত্বকালে যুদ্ধ বিগ্রহ-বিদ্রোহ ইত্যাদি তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

দিল্লির শাহী জামে মসজিদ, দিল্লির দুর্গ অর্থাৎ লালকেল্লা, ময়ূর সিংহাসন, আগ্রার তাজমহল, আগ্রার দুর্গসহ শত শত দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করে তিনি সমগ্র ভারতবর্ষকে উন্নয়নের সহস্রাব্দের এক মহা রোলমডেলে পরিণত করেন।
�সম্রাট শাহজাহানের কারাবাসের কারণ কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু তার কারাবাসের দহন যন্ত্রণা অনুভব করার মতো মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে বিরল। বড় বড় কবিসাহিত্যিক তাদের হাজারো রচনায় সম্রাটের মনোবেদনা এবং ব্যাকুলতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

ভারতবর্ষের হাজার বছর মুসলিম শাসনের বিস্তারিত ইতিহাস জানতে পড়ুন 'সিন্ধু থেকে বঙ্গ'

লিখেছেন: সায়মা বিনতে কালাম"অতএব তুমি কাহিনী বর্ণনা কর, যাতে তারা চিন্তা করে।" (সূরা আরাফ, আয়াত ১৭৬)সমুদ্রের তীরে আছড়ে প...
08/11/2023

লিখেছেন: সায়মা বিনতে কালাম

"অতএব তুমি কাহিনী বর্ণনা কর, যাতে তারা চিন্তা করে।" (সূরা আরাফ, আয়াত ১৭৬)

সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া স্রোতের মতো বহমান সময়ের ধারায় আদিকাল থেকেই একের পর এক বিস্ময়কর ঘটনা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছে। তৈরি করেছে কালজয়ী ইতিহাস। যা প্রতিটি জাতিকে শেখায় তাদের নিজস্বতাকে, শেকড়ের অজানা গল্প। তেমনি বাঙালি মুসলিম জাতিরও রয়েছে হাজার বছরের এক স্বর্ণালি ইতিহাস। নিজেদের অসম বীরত্বের কাহিনী। যা কুচক্রীদের নিজস্ব অতীত ভুলানোর দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার কাছে হার মেনে ধীরে ধীরে প্রজন্ম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। একটা চিরন্তন সত্য বাণী আছে- যে জাতি ইতিহাস থেকে শিখে না, সে জাতি কখনো ইতিহাস রচনা করতে পারে না। এরই প্রেক্ষাপটে উম্মাহের ক্রান্তিলগ্নে ঘুমন্ত জাতিকে তার শেকড় চেনাতে, নিজস্ব সত্ত্বার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মনযূর আহমাদ হাতে নিয়েছেন তার জাগ্রত কলমকে। জাতির কল্যাণে নিজস্ব দায়বোধ থেকেই চেতনা প্রকাশনও হয়েছে তাঁর রথের সারথি। ফলে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বাঙালি মুসলমানদের হাজার বছরের ইতিবৃত্ত- "সিন্ধু থেকে বঙ্গ"। যা হবে ঘুমন্ত বাঙালির জন্য এক অনন্য ব্যবস্থাপত্র।

★শর্ট পিডিএফ থেকে প্রাপ্ত ধারণা:
শর্ট পিডিএফ পড়ে বইটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জনের সুযোগ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। দুই খন্ডের এই বইয়ে প্রথমেই আলোকপাত করি সূচিপত্রে। যেহেতু ইতিহাস গ্রন্থ, সেহেতু সূচিপত্রের আকার বিশাল হওয়াই স্বাভাবিক। প্রথম খন্ডের সূচিপত্র থেকে জানা যায়, বইটির এ অংশটি সর্বমোট ২১ টি অধ্যায় নিয়ে গঠিত। প্রথম অধ্যায় "শিকড়ের ইতিহাস" থেকে শুরু হয়ে এটি শেষ হয় "সভ্যতায় ইসলামের অবদান" নামক অধ্যায়টি দিয়ে। ঠিক শেষ বললে ভুল হবে, ইতিহাসের যাত্রা বিরতি বলা যায় আরকি। তারপর দ্বিতীয় খন্ডে "মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা" অধ্যায়টি দিয়ে শুরু হয় এর ইতিহাসের পুনর্যাত্রা। যার পূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটে উক্ত অংশের বিংশতম অধ্যায় "ভারতবর্ষে সভ্যতা নির্মাণে ইসলামের ঐতিহাসিক অবদান" এর মাধ্যমে। মানে এককথায় সম্পূর্ণ বইটি ৪১ টি অধ্যায়ে সজ্জিত। যেগুলো আবার একাধিক পাঠে বিভক্ত হয়েছে। পাঠগুলোর শিরোনামের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝা যায়, লেখক কতো সুন্দরভাবে ইতিহাসকে উপস্থাপন করেছেন। ৭২১ থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এই সুবিশাল সময়ের ধারাক্রমে ভারতবর্ষের বিভিন্ন মুসলিম শাসকদের জন্ম-মৃত্যু, উত্থান-পতন এবং এর কারণসমূহ, তাদের কৃতিত্ব-অবদান, সে সময়কার ধর্মীয়-রাজনীতিক-সামাজিক অবস্থা, শিক্ষা-সাহিত্য, চিকিৎসা, শাসকের শ্রেষ্ঠত্ব, চরিত্র, অভিযান, জয়-পরাজয় ইত্যাদি প্রায় সবকিছুই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

এতো গেল সূচিপত্রের কথা। শর্ট পিডিএফে অবস্থিত প্রথম অধ্যায়টিতে উঠে এসেছে সৃষ্টির আদিলগ্নের ইতিবৃত্ত- গুরুত্বপূর্ণ নবি-রাসূলদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। কালের বিবর্তনে তাঁদের বংশধররা কিভাবে স্থান পরিবর্তন করে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হয়ে উঠে সেটাও সুনির্দিষ্টভাবে দেখানো হয়েছে এখানে। নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অর্পিত নবুওতের শাশ্বত সৌন্দর্য ভারতবর্ষের গন্ডিতে ছড়িয়ে পড়ে সিন্ধু বিজয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হয়ে উঠার ইঙ্গিতও এখানে পাওয়া যায়।

★কী আছে এ বইয়ে:
এবার আসা যাক বইটির সামগ্রিক আলোচনায়। বইটিতে মূলত বঙ্গীয় মুসলিম শাসনের হাজার বছরের ইতিহাসকে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের বিশাল ভূখণ্ডে মুসলিম জাতি ও শক্তি কিভাবে দাঁড়িয়েছে, বৈরী পরিবেশে কিভাবে শাসন করেছে এবং সেই চেষ্টা ও সক্ষমতার কথা এখানে সুনিপুণভাবে দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুসলিম শাসকদের কর্ম ও কৃতিত্ব যেমন এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ঠিক তেমনি তাদের ওপর আরোপিত নানান অভিযোগেরও সুষ্ঠু বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বইটিতে এমন একটি উল্লেখযোগ্য দিক আছে যা অন্যান্য সকল দিককে ছাড়িয়ে যায়। আর তা হলো- এতে ইসলামি ও আধুনিক দৃষ্টিকোণের যৌথতাকে যথাসম্ভব ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই পাঠক মাত্রই ব্যতিক্রমী ধারার এ বইটির শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতে বাধ্য হবে।

★পাঠ্যানুভূতি:
বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও ইতিহাসের প্রতি ভীষণ টান অনুভব করতাম অনেক আগে থেকেই। প্রায় সময় মনে হত, আমাদের সময়কার ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির সমাজ বই থেকে একটু ঢুঁ মেরে আসি। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হতো না। তারপর হঠাৎ ই ওইদিন প্রিভিউ প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সিন্ধু থেকে বঙ্গ বইটির শর্ট পিডিএফ পড়া শুরু করি। পড়তে গিয়ে মনে হল, আরেহ! একেই তো খুঁজছিলাম এতোদিন ধরে। পড়তে থাকি, পড়তে থাকি। সূচিপত্র পাঠের সময় মনে হল যেন টাইম ট্রাভেল করছি। পড়ার উচ্চ শব্দ আমার কানে দাপুটে খুড়ের শব্দ শুনাচ্ছিল, আর মানসপটে ধারাবাহিকভাবে ভেসে উঠছিল- হাজার বছরের বঙ্গীয় ইতিহাসের দ্রুতগামী বল্গা ঘোড়ার স্থান পরিবর্তন। এ এক অনন্য অনুভূতি! যা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। একের পর এক ঐতিহাসিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন আমাকে একখন্ড সময়ের মধ্যে যেন এক হাজার বছর ঘুরিয়ে নিয়ে এলো!

তারপর প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মনযূর আহমাদ লেখকের কথা, শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব মূসা আল হাফিজের কথা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে গেল বইটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে। স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেল যে, আমরা বাঙালি মুসলিম জাতি ঠিক কী কারণে পিছিয়ে আছি! কারণটা হলো ইতিহাস পাঠ; শেকড়ের ইতিহাস না জানা। যার ফলে আমরা অনুভব করতে পারি না আমরা আসলে বিড়ালের জাতি নয়, সিংহের জাতি। পারি না অনুভব করতে, আমাদের পূর্বপুরুষদের মতো আমাদের মধ্যেও আছে সেই এক গর্জনকারী সত্ত্বা। যা আসলে এখন ঘুমন্ত। তাকে জাগানো প্রয়োজন। আজ থেকেই এবং সেটা এখনই।

যাক সে কথা। তারপর এগিয়ে গিয়ে পড়লাম প্রথম অধ্যায়। শর্ট পিডিএফে এটাই ছিল বই থেকে অবমুক্ত একমাত্র পাঠ। এখান থেকে এটা জেনে আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি যে, সিন্ধু বিজয়ের অভিযান মুহাম্মদ বিন কাসিমের থেকে শুরু হয়নি, শুরু হয়েছে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রা.) এর শাসনামল থেকে। আর ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের প্রসার ঘটতে থাকে তখনকার আরব বণিক, নাবিক এবং সম-সাময়িককালের সুফি-সাধকদের দ্বারা।

চমৎকার শব্দচয়নে এতো সহজ-সাবলীল ভাষায় যে কোনো ইতিহাস গ্রন্থ হতে পারে, তা জানা ছিল না। বইটা ইতিহাস লেখার গতানুগতিক ধারার ভাষার কাঠিন্যকে উপেক্ষা করেছে। প্রতিটি বিষয়ের সঠিক তথ্যসূত্র এবং প্রয়োজনীয় টীকা নিশ্চিত করেছে। ফলে বড়দের পাশাপাশি মাধ্যমিক লেভেলের ছাত্র-ছাত্রীরাও বইটা খুব সহজেই পড়তে পারবে। এছাড়া বইটির "সিন্ধু থেকে বঙ্গ" নামটিও এর ইতিহাসের সূচনা লগ্ন থেকে পরিসমাপ্তির বিষয় যথাযথ ধারণ করে দেয় নামকরণের সার্থকতার পরিচয়। এর প্রচ্ছদে ঐতিহাসিক আভিজাত্যের একটা প্রচ্ছন্ন ছাপ চমৎকার কালার কম্বিনেশনে ফুটে উঠায় তা সহজেই পাঠকদের নজর কাড়তে সক্ষম। শুধু তাই নয়, বইটিতে পৃষ্ঠাসজ্জার ব্যাপারটিও আমার কাছে প্রশংসাযোগ্য বলে মনে হয়েছে। তাই সবমিলিয়ে বলা যায় বইটি পাঠকবোদ্ধাদের জন্য সুখপাঠ্য হবে ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে আশা করি, প্রথম অধ্যায়ের মতো আগামী অধ্যায়গুলোও পড়ে কেউ হতাশ হবেন না ইনশাআল্লাহ।

📚একঝলকে বই পরিচিতি:
বই: সিন্ধু থেকে বঙ্গ (দুই খণ্ড)
লেখক: মনযূর আহমাদ

১০ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান ইসরাইলি পণ্য বর্জন অভিযানে ম্যাকডোনাল্ড হারিয়েছে ৪00 মিলিয়ন ডলার।পেপসি হারিয়েছে ৬০০ ম...
07/11/2023

১০ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান ইসরাইলি পণ্য বর্জন অভিযানে

ম্যাকডোনাল্ড হারিয়েছে ৪00 মিলিয়ন ডলার।
পেপসি হারিয়েছে ৬০০ মিলিয়ন ডলার।
কোকাকোলা হারিয়েছে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।

অতএব হে ঈমানদার ভাইয়েরা, কুনুতে নাজেলা ও খাস দোয়ার পাশাপাশি ওদের পণ্য বর্জন জোরছে অব্যাহত রাখি।

সূত্র : এক্স (সাবেক টুইটার)

আসবে সুফফাহ কি কোনো বিশেষ পরিচিতি? স্বতন্ত্র মর্যাদার প্রতীক? অন্যন্য ফজিলত ও গৌরবের ধারক ও বাহক? যদি তাই হয়, তবে কেন খ...
07/11/2023

আসবে সুফফাহ কি কোনো বিশেষ পরিচিতি? স্বতন্ত্র মর্যাদার প্রতীক? অন্যন্য ফজিলত ও গৌরবের ধারক ও বাহক? যদি তাই হয়, তবে কেন খোলাফায়ে রাশেদিন, আশারায়ে মুবাশশারা এমনকি আনসার সাহাবিদের মধ্য থেকে একজনও এই ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারলেন না? তা ছাড়া জীবনের শেষ পর্যন্ত কোনো সাহাবি আসহাবে সুফফাহ পরিচিতি বহন করেছিলেন কি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে পারলেই আসহাবে সুফফাহ-কেন্দ্রিক আমাদের ভুল চিন্তাগুলো থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। আরবের প্রখ্যাত গবেষক আলেম এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেছেন কোরআন-হাদিস-সহ ইসলামের সমস্ত নির্ভরযোগ্য ভাষ্যের আলোকে। তিনি আসহাবে সুফফাহর সূচনা ও প্রেক্ষাপট থেকে এর সমাপ্তি পর্যন্ত পুরো চিত্রটা এমন মুন্সিয়ানার সাথে অঙ্কন করেছেন, পড়তে পড়তে কখন যে ঘটনার ভেতর হারিয়ে যাবেন, টেরই পাবেন না।

আসহাবে সুফফাহ
মূল: সালেহ আহমাদ শামি
অনুবাদ ও সম্পাদনা: আব্দুর রহমান আদ-দাখিল
পৃষ্ঠা : ১০৫

অর্ডার করুন পছন্দের যে কোন শপে।

পাঠকের কথা—◾প্রাক কথন :'বাঙালির ইতিহাস' শুনলেই  আমাদের মানসপটে সাধারণভাবে সর্বপ্রথম যে শব্দাবলী ভেসে ওঠে তা হচ্ছে- ভাষা ...
07/11/2023

পাঠকের কথা—

◾প্রাক কথন :
'বাঙালির ইতিহাস' শুনলেই আমাদের মানসপটে সাধারণভাবে সর্বপ্রথম যে শব্দাবলী ভেসে ওঠে তা হচ্ছে- ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, নীল বিদ্রোহ, গণ অভ্যুত্থান, ছয়দফা, স্বায়িত্বশাসন সহ আরো অনেক বিষয়। এসব আমাদের দু'শ বছরের ইতিহাস। এর বাইরেও আমাদের রয়েছে সর্ববৃহৎ ও সর্বোৎকৃষ্ট পরিচয়- জাতি বিচারে বাঙালি বর্তমানে আরবের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী। আর এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর রয়েছে দু'হাজার বছরের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। গৌরবের বলা এজন্য যে- এটি ইসলামের উৎসভূমি হেজাজ থেকে বহু বহু দূরে। পাখির চোখে দেখলে ৫১৪১কিঃমিঃ। এখানে দলে দলে সাহাবি এসে ইসলাম প্রচার করেছেন এমন ইতিহাস কোথাও পাওয়া যায় না। তাহলে সুদূর আবর থেকে এদেশে কী মাধ্যমে, কীভাবে ইসলাম এলো! আর কী করেই বা বাঙালি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরল! চিন্তার বিষয়!
এই চিন্তাধারার পালে যথাযথ হাওয়া দিয়ে ভাবনার তরী'কে একটি তীরে ভিড়ানোর চেষ্টা করেছেন লেখক মনযূর আহমাদ তার 'সিন্ধু থেকে বঙ্গ' বইটির মাধ্যমে।



◾যা যা থাকছে বইটিতে :
বৃহৎ কলেবরের বইটিতে ভারতবর্ষের বিশাল ইতিহাসে বিস্তারিত আলোকপাত করার প্রয়াস করেছেন লেখক। যার ধারাবাহিকতায় দুটো খন্ডে রচিত বইটির প্রথম খন্ডে রয়েছে সুলতানি আমলের ইতিহাস এবং দ্বিতীয় খন্ডে স্থান পেয়েছে মোঘল আমলের ইতিহাস।
প্রথম খন্ডটিতে একুশটি অধ্যায় রয়েছে। এখানে মুসলিম জাতির অতীত ইতিহাস থেকে শুরু করে ভারতের প্রাচীন ইতিহাস, সুলতানি আমলে শাসনব্যবস্থা, ভারতে মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠা, মুসলিমদের আগমনের সময় ভারতের সামাজিক অবস্থা, গজনি বংশ, ঘুর বংশ, দিল্লির সাম্রাজ্য, বিভিন্ন বংশের শাসন, বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠা, দিল্লির বিভিন্ন বংশ, সিন্ধু বিজয় এবং সুলতানি শাসনের পতন।
দ্বিতীয় খন্ডটিতে রয়েছে বিশটি অধ্যায় যা সাজানো হয়েছে মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালের ঘটনা থেকে শুরু করে এর পতন। ভারতবর্ষীয় সভ্যতা বিনির্মাণে মুসলিম শাসকদের অবদান ও উত্থান-পতনের ইতিহাস নিয়ে। এখানে স্থান পেয়েছে বাবর, হুমায়ুন, শের শাহ, আওরঙ্গজেব শাসনামলের ইতিহাস।



◾যে কারণে বইটি পড়া উচিৎ:
একটি জাতির অস্তিত্বের ইশাদী হচ্ছে সে জাতির ইতিহাস। স্বজাতীয় ইতিহাসের মূলের ভিত্তি সম্পর্কে না জানলে গৌরবান্বিত মাথা তুলে সাফল্যের শীর্ষে চোখ রাখতে বক্ষপিঞ্জরে সাহস সঞ্চিত হয় না। ইতিহাস সেই আরশি যেখানে বর্তমানে দাঁড়ালে অতীতের গৌরব অথবা পদস্থলনের প্রতিবিম্ব ভেসে ওঠে।
বইটির লেখক নিজেকে নিতান্তই ইতিহাসের পাঠক বলে দাবি করেছেন। তার দাবি যাথার্থ বলে আমি মনে করি। কেননা একজন একনিষ্ঠ পাঠকের পক্ষেই সম্ভব পাঠের মূল বিষয়বস্তুকে হৃদয়ঙ্গমের মাধ্যমে তা অন্যের নিকট সবিস্তারে তুলে ধরা। ইসলামি ধারার লেখা বা ইতিহাসে যেখানে অনুবাদের ছড়াছড়ি তিনি সেখানে মৌলিক এই বইটির মাধ্যমে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।


◾বইটি সম্পর্কে আশাবাদ :
চুয়াত্তর পৃষ্ঠার পিডিএফ পড়ে এক হাজার একশত পৃষ্ঠার বই সম্পর্কে সবকিছু তো জানা যায় না তবে সেই চুয়াত্তর পৃষ্ঠা যেভাবে মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছে তাতে আমাদের মত ইতিহাস বিমুখ অলস জাতি কিছুটা হলেও আগ্রহ নিয়ে বইটি পড়বে। সে পড়া নিজের মূলকে জানার জন্য বেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।

◾একনজরে বই সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য

বইয়ের নাম : সিন্ধু থেকে বঙ্গ (১ম ও ২য় খণ্ড)
লেখক : মনযূর আহমাদ

প্রিভিউ লিখনে : খাদিজা আইরিন।

06/11/2023

নিজের বাবার পরিচয় জানাটা যেমন জরুরি, তেমন জরুরী নিজ জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে জানা। নিজ জাতির ইতিহাসের সাথে মিশে থাকে, আপন রক্তের ঘ্রাণ, নাড়ীর টান।

নিজের রক্ত ও নাড়ীর সম্পর্কে, নিজের শেকড় সম্পর্কে উদাসীন থাকলে কি হবে? শিখরে চড়তে চাইলে শেকড় মজবুত করতে হবে! নয়তো হালকা একটা কাল বৈশাখীর ঝাপটায় শেকড়শুদ্ধ উপড়ে পড়তে হবে।

সেই এক বালিকার চিৎকারে আরবের মরু থেকে উঠে এলো এক তেজদীপ্ত বালক, দোর্দণ্ড প্রতাপে জয় করে নিল সিন্ধু, ভেঙে দিল জালিমের কালো হাত! মনে আছে সেই কথা? আরে ওই-তো আমাদের শেকড়?

তারপর থেকে জমুনার জল কত গড়ালো, কি বিশাল সভ্যতা তৈরি করলাম আমরা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও প্রকৌশলে কত উন্নত ও সমৃদ্ধ হলো আমাদের মহাভারত—যার গর্ভ থেকে উঠে এসেছি আমরা, এসবই আমাদের নাড়ীর কথা, এসব কিছুই মিশে আছে আমাদের রক্তে।

আমাদের রক্তের উৎস, নাড়ীর টান, শেকড়ের সংবাদ— এই সকল অজানা অধ্যায় উঠে এসেছে দুই-দুই চার মলাটের এই অনবদ্য গ্রন্থে, সিন্ধু থেকে বঙ্গ।

সিন্ধু থেকে বঙ্গ (হার্ডকভার)
ভারতীয় উপমহাদেশে হাজার বছর মুসলীম শাসনের স্বর্ণালি ইতিহাস
by মনযূর আহমাদ
TK. 780
অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://rokshort.com/FH7fdQMMp

06/11/2023

ইসলামই কেন আমাদের জীবনবিধান
আমরা যারা এদেশে থাকি, তাদের বেশিরভাগই জন্মসূত্রে মুসলমান। কিন্তু কেন আমরা মুসলমান? কেন ইসলামই আমাদের জীবনবিধান? ইসলামকেই কেন আমরা দ্বীন হিসেবে নেবো? কুরআন ও হাদীস বা নবীজীবনের মধ্যে এমন কী লুকিয়ে আছে, যার কারণে এই দ্বীন এতো বেশি আবেদনময়, এতো বেশি বিশ্বাসযোগ্য?
প্রাঞ্জল আলাপে এই প্রশ্নগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে “আমরা কেন মুসলমান” বইটিতে। যুক্তি ও প্রমাণের আলোকে এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের প্রামাণিকতা স্পষ্ট করা হয়েছে। দেখানো হয়েছে কুরআনের অলৌকিকতা। উজ্জ্বল সব বৈশিষ্ট্যে ফুটে উঠেছে সত্য দ্বীন হিসেবে ইসলামের সত্যতা। ইসলামের আবির্ভাবকালীন ঘটনাবলি ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সাবলীল বর্ণনায় বইয়ের তিনটি তিনটি অধ্যায়ের একাধিক পরিচ্ছেদের মধ্যে একেবারে জ্বলজ্বলে হয়ে উঠেছে আমরা কেন মুসলমান হলাম আর কেনই বা মুসলমান হয়েই আছি।
নিজের দ্বীনকে জানার, বোঝার ও এর উপর বিশ্বাসকে আরো অটল করবার জন্য চমৎকার একটি মাধ্যম এই বইটি।
সেই সাথে বলে রাখি, ওয়াফিলাইফে চলছে সিরাহ বুক ফেস্ট!
অফার হিসেবে থাকছে-

💌 সিরাতের নির্দিষ্ট বইগুলোতে সর্বোচ্চ ৫৫% ছাড় এবং প্রতিটি বইয়ে থাকছে ১টি "একনজরে সিরাহ কার্ড" ফ্রি!
🤑 বিকাশ ১০% ক্যাশব্যাক! সর্বনিম্ন ৫০০৳ এর অর্ডারে।
📖 ২৯৯৳ অর্ডারে ১টি প্রিমিয়াম বুকমার্ক ফ্রি!
🤯 APP03 প্রমোকোড ব্যবহারে অ্যাপ থেকে আরও ৩% ছাড়!
বিস্তারিত কমেন্টে।

লিখেছেন: নাফিসা ইয়াসমিনইতিহাস কোন স্তব্ধ অতীত নয়‌ বরং ইতিহাস চির-মুখর, ধারাবাহিক এক জীবন প্রবাহ। যুগ-যুগান্তর ধরে মানব...
05/11/2023

লিখেছেন: নাফিসা ইয়াসমিন

ইতিহাস কোন স্তব্ধ অতীত নয়‌ বরং ইতিহাস চির-মুখর, ধারাবাহিক এক জীবন প্রবাহ। যুগ-যুগান্তর ধরে মানব-সভ্যতার চলমান জীবনধারাই ইতিহাস। সেই চক্রতীর্থের পথে পথে ছড়িয়ে আছে কত শত ভাঙা-গড়ার ইতিহাসের অর্ধলুপ্ত অবশেষ। কত রক্ত-রঞ্জিত দৃশ্যপটের পরিবর্তন।কত উত্থান-পতন, কত চেষ্টার তরঙ্গ, কত সামাজিক বিবর্তন।
যুগ-যুগান্তরব্যাপী সভ্যতার ক্রম-বিবর্তনের‌ ধারায় অতিবাহিত হয়ে আমরা উপনীত হয়েছি এই একবিংশ শতাব্দীতে।
এই শতাব্দীর প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে, সর্বশেষ ওহীর জন্মভূমি আরব ভুখন্ড থেকে লক্ষ্য কোটি মাইল ‌দূরে অবস্থিত আর্য-অনার্য ,শক ,হুন ,রাজপুত অমুসলিম জাতির মিলনক্ষেত্র ভারতীয় উপমহাদেশে কিভাবে মুসলিম আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছে।
বিশেষ করে পূর্ব বাংলা এবং অল্প বিস্তর পশ্চিম বাংলা মুসলিম জনসমাবেশের প্রাণকেন্দ্র কিভাবে হয়ে উঠলো?
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যেখানে মুসলিম জনসংখ্যার আধিক্য কখনো পঁচিশ শতাংশের অধিক হয়নি সেখানে মুসলিম শাসকেরা ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেছে প্রায় ৮০০ বছর।
আরো আশ্চর্যের বিষয়,প্রিয় নবীজির সাহাবীরা(রাঃ) এই ভুখন্ডে এসে দলে দলে ইসলামের আলো প্রচার করেছিলেন এমন তথ্য‌ও পরিবেশিত হয়নি।
তবুও জাতির বিচারে বাঙালি মুসলিম বর্তমান আরবের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী।

আমরা কি কখনো অনুসন্ধিৎসু হয়েছি নিজদের শিকড়ের সন্ধানে কিংবা ভারতীয় ভুখন্ডে কেমন ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষদের আগমনে ইসলামের ঊষাকাল থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ইতিহাসের বিবরণী?
এই সমস্ত আদ্যোপান্ত শিকড়ের ইতিহাস জানাতে এবং মুমিন হৃদয়ের চিরন্তন এই সম্পর্কিত কৌতূহলের জবাবের উত্তর দিতে চেতনা প্রকাশনার এক অনবদ্য প্রয়াস সিন্ধু থেকে বঙ্গ (১-২ খন্ড) গ্রন্থটি।ব‌ইটির লেখক মনযূর আহমাদ।

📚প্রিভিউ পর্যালোচনা
----------------------------------
চেতনা প্রকাশনা থেকে প্রকাশিতব্য ব‌ইটির শর্ট পিডিএফ থেকে উপলব্ধি করা যায়, যে ব‌ইটির সূচিপত্র এর ভিতরের বিষয়বস্তু সম্পর্কিত দর্পণ।

🍂সূচিপত্র‌ থেকে এক ঝলক 🍂
----- -------- ------- ----- ----- ------

📙ব‌ইটির প্রথম খণ্ডে আলোচিত হয়েছে সর্বমোট ২১টি অধ্যায়ে যার প্রথম অধ্যায়ে লেখক পাঠককে নিয়ে যাবেন 'শিকড়ের ইতিহাসে' যেখানে আলোচিত হয়েছে ইব্রাহীম (আঃ) -এর মুনাজাত, এরপর ঈসা (আঃ) এর খোশখবর, ইহুদি ও বনি ইসরাইল এরপরে ধারাবাহিক পর্যায়ক্রমে উঠে এসেছে মালাবারে ইসলাম, ভারতের গোড়ার কথা এবং প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলাম প্রচারে ওলি আউলিয়ার অবদান, বঙ্গে ইসলাম প্রচার,বাংলায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ , ভারতে মুসলিম শাসনের সূচনা ও অবদান, গজনি বংশ, ঘুর বংশ, দিল্লির তুর্কি সাম্রাজ্য, খিলজী বংশ, তুঘলক বংশ, লোদী বংশ, তৈমুরের ভারত আক্রমণ, আঞ্চলিক স্বাধীন রাজ্যসমূহের উত্থান এবং সর্বশেষ দিল্লির সুলতানদের শাসন, সমাজ ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে।

📙 দ্বিতীয় খণ্ড সন্নিবেশিত হয়েছে ২০ টি অধ্যায়ে যেখানে তিনি পাঠককে নিয়ে গেছেন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা এবং গৌরবান্বিত ইতিহাসের আয়নায়। যার সূচনা হয়েছিলো বাবরের শাসনকাল দিয়ে এবং পর্যায়ক্রমে উঠে এসেছে হুমায়ুন ও শের শাহ, আকবরের বঙ্গ বিজয়, সম্রাট শাজাহানের চাকচিক্যময় শাসনকাল, শাসক আওরঙ্গজেবের শাসনকাল এবং মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহুমুখী কারন বিশ্লেষণ, মুঘল আমলে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশের চিত্র সবিস্তার তুলে ধরা হয়েছে। মুঘল আমলের সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থা, হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক, শিক্ষা সাহিত্য ইত্যাদি চিত্রায়িত হয়েছে। সর্বশেষ আলোচনার বিষয় ভারতবর্ষের সভ্যতা নির্মাণে ইসলামের অবদান।

ব‌ইটি পাঠের প্রয়োজনীয়তা ও বিশেষত্ব(শর্ট পিডিএফ এর আলোকে পাঠ্য অভিমত)
--------------------------------------------------------------------------------
ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে অমুসলিমদের হাত ধরে। আমরা যে ইতিহাস পাঠ করি তাতে ভারতবর্ষে ইসলামের উত্থান ও তার বিস্তার, মুসলিমদের অবদান চিত্রায়িত হয়না বললেই চলে।
মুসলিম শাসকদের ইতিহাস আলোচিত হলেও তাদের দেখানো হয় স্বৈরাচারী অত্যাচারি খলনায়ক হিসাবে।

যেখানে মুসলিম বিরোধী শক্তি বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের কৌশল হিসাবে ইতিহাসের পাতা থেকে ইসলামের ইতিহাসকে বিবর্ণ করে দিতে সদা তৎপর সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা বিস্মৃত রয়েছি আমাদের পূর্বসূরীদের আগমনী ইতিহাস, বঙ্গে ইসলামের শিকড়ের বিস্তার সম্পর্কে।
সুতরাং এই প্রান্তিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে চেতনা প্রকাশনার "সিন্ধু ও বঙ্গ" বইটি সত্য উন্মচনের একটি নিবেদিত প্রয়াস হতে চলেছে অবশ্যই।
ইসলামের শুরুর দিকের ইতিহাসের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা এসেছে তেমনি এসেছে মুসলিম শাসনের‌ ভাঙনের ইতিহাস, এখানে বঙ্গে ইসলাম প্রচার,বাংলায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ।
শর্ট পিডিএফ ও সূচিপত্র থেকে উপলব্ধি করি, ব‌ইটি ভারত ভুখন্ডে মুসলিম জাতির ইতিহাসের দর্পণে অঙ্কিত একটি অমূল্য রতন যেটা সংগ্রহ করে রাখা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে আমার কাছে।
শর্ট পিডিএফ পড়ে উদগ্রীব হয়ে আছি সমগ্র ব‌ইটি পড়ার জন্য।নিজের আত্মপরিচয় জানতে, শিকড়ের সন্ধানের টানে পাড়ি দিতে ইচ্ছে করছে ব‌ইটির গভীরে।
এত সুন্দর অথেনটিক রেফারেন্স প্রাঞ্জল উপস্থাপন, ও তথ্যবহুল‌ , শিকড়ের ইতিহাস সমন্বিত ব‌ইটিকে একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়।

কেন পড়বেন(ব‌ইটির গুরুত্ব)
----------------------------------------
⬛বিশ্বসভ্যতা নির্মাণের একচ্ছত্র দাবিদার পশ্চিমারা। সেই দাবিকে ফোকাস করে তাদের হাতে নির্মিত ইতিহাসে একপাক্ষিক ভাষ্যের জয়জয়কার।
শুধু পশ্চিমারা নয়, মুসলিম বিরোধী উপমহাদেশীয় শাসকদের আগ্রাসী মনোভাবে খুব সচেতনভাবে তারা এড়িয়ে গেছে ভারতবর্ষে মুসলমানদের অবদান। তবে তারা ইতিহাসের লম্বা একটি সময়কে যতই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, ইতিহাস কখনোই নীরব ছিল না।

⬛এর বিপরীতে আমাদের যদি ভারতীয় সভ্যতা বিনির্মাণে ইসলাম ও মুসলমানদের অবদান ও বঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকে, তাহলে আমরা নিজ আত্ম পরিচয়ের গৌরবে অমলিন হতে পারবো।

⬛সেই সাথে মুসলমানদের সম্পর্কে যে ধরনের সহিংস অত্যাচারি বর্বর ভাবমূর্তির ইতিহাসের মিথ্যা বিকৃতি তুলে‌ ধরা হয়, তার বিরুদ্ধে একটি মোক্ষম জবাব দিতে সক্ষম হব।
বিশেষ ভাবে অস্তিত্বের দাবিতে তরুণ প্রজন্ম সহ সমগ্র মুসলমানের জন্য ব‌ইটি অপরিহার্য হতে চলেছে ইন শা আল্লাহ।

⬛কালের ঘূর্ণাবর্তে মুসলিম শাসকদের পালাবদলের ইতিহাস কেমন ছিলো, মুসলিম শাসনকাল বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটা ইসলামের ছাপ রাখতে পেরেছে?এগুলো কি ছিল ইসলামি শাসনব্যবস্থা? উপমহাদেশে এবং এই বাংলায় এত মুসলিম কীভাবে শিকড় গেঁথেছে কী তার উৎস, কী তার ইতিহাস সবকিছুর উত্তর মিলবে "সিন্ধু থেকে বঙ্গ" ব‌ইটির অন্দরমহলে ইন শা আল্লাহ।

📚একনজরে বই পরিচিতি
বই : সিন্ধু থেকে বঙ্গ (১-২ খন্ড)
লেখক : মনযূর আহমাদ
প্রকাশক :চেতনা প্রকাশন
বাইন্ডিং :হার্ডকভার

আলহামদুলিল্লাহ রুকইয়ার আয়াত ও দুআ চলে এসেছে। এই বই দিয়ে নিজের রুকইয়াহ নিজেই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। নিজের ডায়াগনসিস নিজে...
04/11/2023

আলহামদুলিল্লাহ রুকইয়ার আয়াত ও দুআ চলে এসেছে।

এই বই দিয়ে নিজের রুকইয়াহ নিজেই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
নিজের ডায়াগনসিস নিজেই করে রুকইয়াহ করতে পারবেন।

কিনতে পারছেন ৩৫% ছাড়ে।

Address

# 20, 1st Floor. Islami Tower, Banglabazar
Dhaka
1100

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801798947657

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চেতনা প্রকাশন - Chetona Prokashon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to চেতনা প্রকাশন - Chetona Prokashon:

Videos

Share

Category