বর্ণলিপি প্রকাশনী - Bornolipi Prokashoni

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • বর্ণলিপি প্রকাশনী - Bornolipi Prokashoni

বর্ণলিপি প্রকাশনী - Bornolipi Prokashoni সত্যের স্বচ্ছতা, বর্ণের লিপিবদ্ধতা!
(3)

08/05/2024

বর্ণলিপি এখন নীরব…!
প্রিয় পাঠক কোনো মন্তব্য হবে কি আমাদের নিয়ে?

20/04/2024

চমৎকার ১০টি বই মাত্র ৬৫০ টাকায়।

অফারটির সময়সীমা বাড়ানো হলো। অর্ডার করা যাবে এপ্রিলের ৩০ তারিখ অবধি। যারা এখনও অর্ডার করেননি, তারা এখুনি অর্ডার কনফার্ম করে ফেলুন।

20/02/2024

প্রিভিউ:
সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার এগিয়ে গেল কনস্টেবল নাজমুলের দিকে। এই থানায় বর্তমানে দুজন যুবক কনস্টেবল আছে। বাকিরা বৃদ্ধ নয়তো মধ্য বয়স্ক। যুবকদের একজন হলো নাজমুল তারেক, অপরজন হলো নূর হোসেন। কনস্টেবলের পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল আনোয়ার, “কী অবস্থা এদিকের? তেমন কিছু পেলে?” প্রশ্ন দুটো করতে করতে লক্ষ করল ফরেনসিক বিভাগের ছেলেগুলোর দিকে। তাদের আচরণ কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। চেহারায় ফুটে উঠেছে ভয়ের ছাপ। কনস্টেবলের প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করে পালটা প্রশ্ন রাখল সে,
“ফরেনসিক এই ছেলেগুলো এসেছে কতক্ষণ হয়েছে?”
এবার ঝটপট উত্তর দিলো নাজমুল। “বেশিক্ষণ হয় নাই স্যার। আপনে আসার অল্প কিছুক্ষণ আগে আইছে।”
আর কিছু বলল না অফিসার। নিজেই এগিয়ে গেল গাড়ির দিকে। পকেট থেকে সাদা রঙের গ্লাভস বের করে পরে নিতে ভুলল না। এগিয়ে গিয়ে লক্ষ করল গাড়িতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন নেই। কালো রঙের একটি নিসান কোম্পানির গাড়ি। তির্যক দৃষ্টি গিয়ে পড়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে দরজার সাথে ঝুলতে থাকা হাতটার দিকে। একটু ভালো করে দেখলে স্পষ্ট হয়, জানালার ওপরে একজন যুবকের এলানো মাথা। চেহারাটা পুরোপুরি স্পষ্ট না। একটু এগিয়ে এসে দেখতে পেল, রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। ছেলেটার বাম হাতের দিকে লক্ষ করল—বুকের কাছে রক্ত জমে আছে। মাথা যে বরাবর রয়েছে, তার নিচে গাড়ির দরজা বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়েছে। গাড়ির সামনে এসে মাথাটা নিচু করল। জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করল গাড়ির ভেতরে। জমাটবাঁধা রক্তের কেমন যেন এক চামসে দুর্গন্ধ নাকে এসে ঠেকে। খেয়াল করল—পাশের সিটে আর কেউ নেই। পঁচিশ থেকে ছাব্বিশ বছরের একজন ফরেনসিক ডাক্তার এসে তাকে দেখে স্যালুট জানায়। ছেলেটাকে সে চেনে। এর আগেও বেশ কয়েকবার কয়েকটা কেসের সিলসিলায় দেখা হয়েছিল। নামটা মনে করার চেষ্টা করল। হ্যাঁ মনে পড়েছে, সজীব। হাত বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কী অবস্থা সজীব। কিছু কি পেলে?”
প্রত্যুত্তর জানাল না ছেলেটা। বরং তার বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা ধরে কিছুটা টেনে নিয়ে গেল গাড়ির পেছন সিটে। পেছনের খোলা দরজার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে ভেতরে দেখার জন্য বলে ছেলেটা। ঠিক বুঝে উঠতে পারে না অফিসার—ছেলেটা এরকম আচরণ করছে কেন! স্বাভাবিক ভঙ্গি নিয়ে গাড়ির ভেতর তাকাতেই তার অন্তরাত্মা উড়ে যায়! এটা কী দেখল সে? তৎক্ষণাৎ নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল। এরকম দৃশ্য দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না! একটি বিভৎস মেয়ের লাশ! মুখে কোনো চামড়া নেই! চোখগুলো যেন কোটর থেকে বেরিয়ে এসেছে। কেমন বিশ্রী দেখাচ্ছে দাঁতগুলো! দ্রুত পেছন ঘুরে গেল অফিসার। দ্বিতীয়বার দেখার সাহস করতে পারল না। পেটের ভেতর কেমন গুলাচ্ছে সব—চক্কর কেটে উঠেছে মাথাটা।

বই: সালেম নো গ্রেনি (ডার্ক ব্লু লিমিটেড এডিশন)
লেখা: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা
ছাড়মূল্য: ৩৫০ টাকা

ভিডিও: তাহিয়া নূর

সালেম নো গ্রেনি বইয়ের অটোগ্রাফ মোমেন্ট! ডার্ক ব্লু এডিশনে আসা বাংলাদেশের প্রথম বই! ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার ঘরনায় লেখা বইটি ...
28/01/2024

সালেম নো গ্রেনি বইয়ের অটোগ্রাফ মোমেন্ট! ডার্ক ব্লু এডিশনে আসা বাংলাদেশের প্রথম বই! ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার ঘরনায় লেখা বইটি অর্ডার করুন আপনার পছন্দের বুকশপে।

নাম: সালেম নো গ্রেনি
লেখক: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা

"সালেম নো গ্রেনি" বইটি চলে এসেছে। অর্ডার করুন আপনার পছন্দের বুকশপে। 💙
27/01/2024

"সালেম নো গ্রেনি" বইটি চলে এসেছে। অর্ডার করুন আপনার পছন্দের বুকশপে। 💙

প্রি-অর্ডারের আজকেই শেষ দিন। আগামীকাল প্রকাশ পাবে ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার ঘরনায় লেখা সালেম নো গ্রেনি (ডার্ক ব্লু এডিশন) বইট...
24/01/2024

প্রি-অর্ডারের আজকেই শেষ দিন। আগামীকাল প্রকাশ পাবে ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার ঘরনায় লেখা সালেম নো গ্রেনি (ডার্ক ব্লু এডিশন) বইটি। মাত্র ৩৫০ টাকায় ডার্ক ব্লু এডিশনের বইটি সংগ্রহ করতে বর্ণলিপি প্রকাশনী - Bornolipi Prokashoni পেজের ইনবক্সে নক করুন! এছাড়াও আপনার পছন্দের বুকশপ থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারেন।

প্রিভিউ:
সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার এগিয়ে গেল কনস্টেবল নাজমুলের দিকে। এই থানায় বর্তমানে দুজন যুবক কনস্টেবল আছে। বাকিরা বৃদ্ধ নয়তো মধ্য বয়স্ক। যুবকদের একজন হলো নাজমুল তারেক, অপরজন হলো নূর হোসেন। কনস্টেবলের পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল আনোয়ার, “কী অবস্থা এদিকের? তেমন কিছু পেলে?” প্রশ্ন দুটো করতে করতে লক্ষ করল ফরেনসিক বিভাগের ছেলেগুলোর দিকে। তাদের আচরণ কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। চেহারায় ফুটে উঠেছে ভয়ের ছাপ। কনস্টেবলের প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করে পালটা প্রশ্ন রাখল সে,
“ফরেনসিক এই ছেলেগুলো এসেছে কতক্ষণ হয়েছে?”
এবার ঝটপট উত্তর দিলো নাজমুল। “বেশিক্ষণ হয় নাই স্যার। আপনে আসার অল্প কিছুক্ষণ আগে আইছে।”
আর কিছু বলল না অফিসার। নিজেই এগিয়ে গেল গাড়ির দিকে। পকেট থেকে সাদা রঙের গ্লাভস বের করে পরে নিতে ভুলল না। এগিয়ে গিয়ে লক্ষ করল গাড়িতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন নেই। কালো রঙের একটি নিসান কোম্পানির গাড়ি। তির্যক দৃষ্টি গিয়ে পড়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে দরজার সাথে ঝুলতে থাকা হাতটার দিকে। একটু ভালো করে দেখলে স্পষ্ট হয়, জানালার ওপরে একজন যুবকের এলানো মাথা। চেহারাটা পুরোপুরি স্পষ্ট না। একটু এগিয়ে এসে দেখতে পেল, রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। ছেলেটার বাম হাতের দিকে লক্ষ করল—বুকের কাছে রক্ত জমে আছে। মাথা যে বরাবর রয়েছে, তার নিচে গাড়ির দরজা বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়েছে। গাড়ির সামনে এসে মাথাটা নিচু করল। জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করল গাড়ির ভেতরে। জমাটবাঁধা রক্তের কেমন যেন এক চামসে দুর্গন্ধ নাকে এসে ঠেকে। খেয়াল করল—পাশের সিটে আর কেউ নেই। পঁচিশ থেকে ছাব্বিশ বছরের একজন ফরেনসিক ডাক্তার এসে তাকে দেখে স্যালুট জানায়। ছেলেটাকে সে চেনে। এর আগেও বেশ কয়েকবার কয়েকটা কেসের সিলসিলায় দেখা হয়েছিল। নামটা মনে করার চেষ্টা করল। হ্যাঁ মনে পড়েছে, সজীব। হাত বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কী অবস্থা সজীব। কিছু কি পেলে?”
প্রত্যুত্তর জানাল না ছেলেটা। বরং তার বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা ধরে কিছুটা টেনে নিয়ে গেল গাড়ির পেছন সিটে। পেছনের খোলা দরজার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে ভেতরে দেখার জন্য বলে ছেলেটা। ঠিক বুঝে উঠতে পারে না অফিসার—ছেলেটা এরকম আচরণ করছে কেন! স্বাভাবিক ভঙ্গি নিয়ে গাড়ির ভেতর তাকাতেই তার অন্তরাত্মা উড়ে যায়! এটা কী দেখল সে? তৎক্ষণাৎ নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল। এরকম দৃশ্য দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না! একটি বিভৎস মেয়ের লাশ! মুখে কোনো চামড়া নেই! চোখগুলো যেন কোটর থেকে বেরিয়ে এসেছে। কেমন বিশ্রী দেখাচ্ছে দাঁতগুলো! দ্রুত পেছন ঘুরে গেল অফিসার। দ্বিতীয়বার দেখার সাহস করতে পারল না। পেটের ভেতর কেমন গুলাচ্ছে সব—চক্কর কেটে উঠেছে মাথাটা।

বই: সালেম নো গ্রেনি (ডার্ক ব্লু লিমিটেড এডিশন)
লেখা: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা
ছাড়মূল্য: ৩৫০ টাকা

বইটি অফলাইনে সংগ্রহ করতে পারবেন ৩৮/২ খ মান্নান মার্কেট, বাংলাবাজার, ঢাকা অফিস থেকে।

সালেম নো গ্রেনির কিছু স্থির চিত্র…><বই: সালেম নো গ্রেনি লেখক: যাবেদ খান আবু বকর প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী জনরা: ডার্ক ক্...
10/01/2024

সালেম নো গ্রেনির কিছু স্থির চিত্র…><

বই: সালেম নো গ্রেনি
লেখক: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মূল্য: ৬০০ টাকা
ছাড়মূল্য: ৩৬০ টাকা

প্রিভিউ:সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার এগিয়ে গেল কনস্টেবল নাজমুলের দিকে। এই থানায় বর্তমানে দুজন যুবক কনস্টেবল আছে। বাকিরা বৃদ্ধ ন...
07/01/2024

প্রিভিউ:

সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার এগিয়ে গেল কনস্টেবল নাজমুলের দিকে। এই থানায় বর্তমানে দুজন যুবক কনস্টেবল আছে। বাকিরা বৃদ্ধ নয়তো মধ্য বয়স্ক। যুবকদের একজন হলো নাজমুল তারেক, অপরজন হলো নূর হোসেন। কনস্টেবলের পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল আনোয়ার, “কী অবস্থা এদিকের? তেমন কিছু পেলে?” প্রশ্ন দুটো করতে করতে লক্ষ করল ফরেনসিক বিভাগের ছেলেগুলোর দিকে। তাদের আচরণ কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। চেহারায় ফুটে উঠেছে ভয়ের ছাপ। কনস্টেবলের প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করে পালটা প্রশ্ন রাখল সে,
“ফরেনসিক এই ছেলেগুলো এসেছে কতক্ষণ হয়েছে?”
এবার ঝটপট উত্তর দিলো নাজমুল। “বেশিক্ষণ হয় নাই স্যার। আপনে আসার অল্প কিছুক্ষণ আগে আইছে।”
আর কিছু বলল না অফিসার। নিজেই এগিয়ে গেল গাড়ির দিকে। পকেট থেকে সাদা রঙের গ্লাভস বের করে পরে নিতে ভুলল না। এগিয়ে গিয়ে লক্ষ করল গাড়িতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন নেই। কালো রঙের একটি নিসান কোম্পানির গাড়ি। তির্যক দৃষ্টি গিয়ে পড়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে দরজার সাথে ঝুলতে থাকা হাতটার দিকে। একটু ভালো করে দেখলে স্পষ্ট হয়, জানালার ওপরে একজন যুবকের এলানো মাথা। চেহারাটা পুরোপুরি স্পষ্ট না। একটু এগিয়ে এসে দেখতে পেল, রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। ছেলেটার বাম হাতের দিকে লক্ষ করল—বুকের কাছে রক্ত জমে আছে। মাথা যে বরাবর রয়েছে, তার নিচে গাড়ির দরজা বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়েছে। গাড়ির সামনে এসে মাথাটা নিচু করল। জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করল গাড়ির ভেতরে। জমাটবাঁধা রক্তের কেমন যেন এক চামসে দুর্গন্ধ নাকে এসে ঠেকে। খেয়াল করল—পাশের সিটে আর কেউ নেই। পঁচিশ থেকে ছাব্বিশ বছরের একজন ফরেনসিক ডাক্তার এসে তাকে দেখে স্যালুট জানায়। ছেলেটাকে সে চেনে। এর আগেও বেশ কয়েকবার কয়েকটা কেসের সিলসিলায় দেখা হয়েছিল। নামটা মনে করার চেষ্টা করল। হ্যাঁ মনে পড়েছে, সজীব। হাত বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কী অবস্থা সজীব। কিছু কি পেলে?”
প্রত্যুত্তর জানাল না ছেলেটা। বরং তার বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা ধরে কিছুটা টেনে নিয়ে গেল গাড়ির পেছন সিটে। পেছনের খোলা দরজার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে ভেতরে দেখার জন্য বলে ছেলেটা। ঠিক বুঝে উঠতে পারে না অফিসার—ছেলেটা এরকম আচরণ করছে কেন! স্বাভাবিক ভঙ্গি নিয়ে গাড়ির ভেতর তাকাতেই তার অন্তরাত্মা উড়ে যায়! এটা কী দেখল সে? তৎক্ষণাৎ নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল। এরকম দৃশ্য দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না! একটি বিভৎস মেয়ের লাশ! মুখে কোনো চামড়া নেই! চোখগুলো যেন কোটর থেকে বেরিয়ে এসেছে। কেমন বিশ্রী দেখাচ্ছে দাঁতগুলো! দ্রুত পেছন ঘুরে গেল অফিসার। দ্বিতীয়বার দেখার সাহস করতে পারল না। পেটের ভেতর কেমন গুলাচ্ছে সব—চক্কর কেটে উঠেছে মাথাটা।

বই: যাবেদ খান আবু বকর (ডার্ক ব্লু লিমিটেড এডিশন)
লেখা: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা
ছাড়মূল্য: ৩৬০ টাকা

সালেম নো গ্রেনি নিয়ে যত সমালোচনা ছিল, সব যেন এক প্রমাণে ঠান্ডা হয়ে গেছে। তবুও সবকিছু ছাপিয়ে আমার চাওয়া থ্রিলার ঘরনায় যেন...
02/01/2024

সালেম নো গ্রেনি নিয়ে যত সমালোচনা ছিল, সব যেন এক প্রমাণে ঠান্ডা হয়ে গেছে।
তবুও সবকিছু ছাপিয়ে আমার চাওয়া থ্রিলার ঘরনায় যেন সালেম নো গ্রেনি অন্যতম মাইলফলক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।

পাণ্ডুলিপির বেটা রিডে সাহায্য করেছেন Lutful Kaiser ভাই, Tanvir Ahmed SrijOn দা, Rafat Shams ভাই, Sultan Azam Sazal ভাই, Jawad Ul Alam ভাই, আব্দুস সাত্তার সজীব ভাই এবং সবচেয়ে বেশি হেল্প করেছেন P EA L ভাই। এছাড়া অবদান রেখেছেন বর্ণলিপি প্রকাশনীর বেটা রিড টিমের সদস্যগণসহ আরও অনেকে। এবং পুলিশ বিষয়ক তথ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন Palash Chowdhury ভাই। সবাইকে আমার হৃদয় থেকে ভালোবাসা রইল। আশা রাখছি সবার সহযোগিতায় এবছর বইমেলায় সালেম নো গ্রেনি হয়তো পাঠকদের মনে যায়গা করে নিতে পারবে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

এছাড়া আমার সমালোচক ও হেটার্সদেরেও ভালোবাসা রইল। আপনারা না থাকলে আমার উত্থান এত সহজ হতো না।

বই: সালেম নো গ্রেনি (ডার্ক ব্লু এডিশন)
লেখা: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মূল্য: ৬০০ টাকা

©️ লেখক

লেখকের টাইমলাইন থেকে নেওয়া। #১লক্ষ_টাকার_নিলাম_বিষয়ক_আপডেটগত ১৮ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় বুকলেট ডট কম পেইজে আমার লেখা দ্...
29/12/2023

লেখকের টাইমলাইন থেকে নেওয়া।

#১লক্ষ_টাকার_নিলাম_বিষয়ক_আপডেট

গত ১৮ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় বুকলেট ডট কম পেইজে আমার লেখা দ্বিতীয় বই “সালেম নো গ্রেনি” নিলামে তোলা হয়। ১৯ তারিখ সন্ধ্যায় একেবারে শেষ সময়ে এসে ফারাবী ভাই ৯৯ হাজার ৯শত ৯৯ টাকা দিয়ে প্রথম কপিটি নিলাম থেকে কিনে নেন।
আর ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই। উনি ওনার পরিচিত ভাইয়ের বই ৯৯ হাজার ৯শ ৯৯ টাকা দিয়ে কেন কিনলেন? এটাই হচ্ছে তার সবচেয়ে বড়ো অপরাধ। বিগত এই ৭-৮ দিন যাদের যোগ্যতা নাই দুইটা কথা বলার তারাও বাজে, বিশ্রী ভাষায় মন্তব্যগুলো করেছেন। লেখক হিসেবে আমাকে, প্রকাশনা হিসেবে বর্ণলিপিকে আর সবচেয়ে বেশি গালি খেয়েছেন নিলাম বিজয়ী ফারাবী ভাই। একজন রেপিস্টকে না যতটা বাজে চোখে দেখা হয়, যতটা না গালি দেওয়া হয়, তারচেয়েও বেশি বাজে এবং বিশ্রীভাবে বই জগতে বসবাস করা কিছু বইপ্রেমী মানুষগুলো গালাগালি করেছেন ওনাকে। অথচ বই জগতের মানুষ হিসেবে হওয়া উচিত ছিল ভদ্র, সভ্য, রুচিসম্মত এক মানুষ।

আচ্ছা কিছু প্রশ্ন করি, একটু উত্তর দেবেন যারা এই কদিন গালি আর জঘন্য মন্তব্যগুলো করে গেছেন।
ফারাবী ভাইয়ের দোষ কী ছিল যে এতগুলো কথা শুনতে হলো তাকে? ওনাকে বাজে মন্তব্যগুলো করার স্পর্ধা আপনাকে কে দিয়েছিল? কোন অপরাধের ভিত্তিতে তাকে এতগুলো কথা শোনালেন আপনারা? [আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছেন, আমাকে গালি দিয়েছেন, অসংখ্য অগণিত বাজে মন্তব্য করেছেন সেগুলো নিয়ে ভাবছি না বা জিজ্ঞেস করছি না। লেখক হিসেবে করতেই পারেন, কিন্তু তাকে ঠিক কোন অপরাধের দায়ে এতগুলো কথা আপনারা শোনালেন?]

বিগত ৭-৮ দিনে যেভাবে তাকে বকা দিয়েছেন, বাজে মন্তব্য করেছেন, বিশ্বাস করেন, আমি আমার জীবনে এমন কোনো কাজ করি নাই যার জন্য মাথা নিচু হতে হবে বা লজ্জায় মিইয়ে যেতে হবে। অথচ আপনাদের এসব মন্তব্যগুলো দেখার পর যতবার ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি, যতবার ওনার ব্যাপারে ভেবেছি, প্রত্যেকটাবার মনে হয়েছে লজ্জায় মাটিতে মিশে যাই অথবা যদি সম্ভব হতো তবে মাটি ফুঁড়ে ভেতরে ঢুকে যেতাম। সত্যিই, আপনারা আমাকে গালি দিয়েছেন, বাজে মন্তব্য করেছেন এ নিয়ে আমার একটুও আফসোস নাই। আপনাদেরকে আমার সালাম রইল সেই সাথে বইমেলায় এসে অন্তত একবার দেখা করবেন। বই কেনা লাগবে না আমার, আপনাদের সাথে আড্ডা দেবো, আপ্যায়ন করব। কিন্তু এই যে ফারাবী ভাইকে যতগুলো মানুষ এরকম বিশ্রী মন্তব্যগুলো করেছেন, তীর্যক মন্তব্যগুলো করেছেন, এরজন্য আমার এখনও লজ্জায় মিইয়ে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে। আমি আমার জীবনে জ্ঞান থাকা অবস্থায় বুকে হাত রেখে বলতে পারব আমার জন্য বিনা অপরাধে কোনো মানুষকে কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি, বিনা অপরাধে লজ্জিত হতে হয়নি। অথচ আপনারা এই ইস্যুতে আমাকে জীবনের জন্য তার কাছে ছোটো করে দিলেন।
আচ্ছা এবার কিছু প্রশ্ন করি ও জবাব দিই।

একজন লেখকের বই তখনই নিলামে কেন ওঠাতে হবে যখন তিনি দুনিয়ার খুব বড়ো কিছু হয়ে যাবে? কেন সেলিব্রিটি ছাড়া নিলাম একজন নবীন লেখক তুলতে পারবে না? না কি ওঠানোটা পাপ হবে? আপনাদের মন্তব্যগুলো দেখে মনে হচ্ছিল নিলামে বই তুলে আমি আমার জীবনেও সবচেয়ে বড়ো ভুল করে ফেলেছি। আর নিলামে ফারাবী ভাই ১ লাখ টাকা বলে খুব সম্ভবত এই দুনিয়ার যত বড়ো পাপ আছে সেটা করে ফেলেছেন।
আর নিলামের বইটা একজন বই পড়ুয়া পাঠকই কিনে নিবে সবসময় এমনটা আপনারা কীভাবে ভাবেন? একজন বই পড়ুয়া পাঠক কখনোই নিলামে বই কিনবে না। কারণ সে, সেই টাকা দিয়ে আরও শত শত বই ক্রয় করতে পারবেন। সাধারণত নিলামে বই কেনেই সেসব মানুষ; যারা লেখকের কাছের কেউ হয় অথবা লাইমলাইটে আসতে চায়। ফারাবী ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় মোটামুটি লম্বা সময়ের। সেই হিসেবে উনি আমার বইয়ের নিলাম সর্বোচ্চ দাম দিয়ে ক্রয় করেছেন আনন্দ ও স্নেহের বশে। তো এখানে তার ভুলটা কোথায়? আর অন্যায়টা কোথায়? নিলাম মানেই তো যে যত বেশি প্রাইজে জিনিসটা ক্রয় করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাদের কেন আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ পেল? চাইলে আপনারাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারতেন অথবা পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু দুটোর একটিও না করে, অস্ত্র হিসেবে বেছে নিলেন নিকৃষ্ট চিন্তা-ভাবনাকে। এখন এই কাজের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বা আমার প্রকাশনা আপনাদের সাধুবাদ জানাই কী করে? না কি সেটাও এ স্বাধীন দেশে হরণ করা হয়েছে?

এছাড়া কিছু মানুষ হাসাহাসি করলেন স্পেশাল অটোগ্রাফ নিয়ে। আবার কিছু মানুষ হাসাহাসি করলেন বইটা কি সোনা দিয়ে বাঁধানো হবে কি না। অরও কত কী যে ছিল শেষ করা যাবে না। স্বল্প কথায় উত্তর দিচ্ছি। স্পেশাল অটোগ্রাফ বলতে বুঝানো হয়েছিল, গতানুগতিকভাবে একজন পাঠককে যেভাবে অটোগ্রাফ দেওয়া হয়, সেভাবে না। ধরুন যে-কোনো পাঠক ঠিক কীভাবে বই কেনে? হয় বুকশপ, না-হয় প্রকাশনা অথবা বইমেলা। ওখানে লেখক কখনো থাকেন আবার কখনো থাকেন না। অটোগ্রাফের নামে ‘শুভকামনা’, ‘ভালোবাসা নিবেন’ লেখা আর একটা সিগনেচার ছাড়া এর বেশিকিছু থাকে বলে মনে হয় না। হাতে গোনা কিছু লেখক হয়তো দারুণ সব উক্তি/উদ্বৃতি লিখে থাকেন পাঠকদের ভালোবেসে। সেখানে, আমি সেই নিলামধারী মানুষটাকে স্পেশাল ফিল করাতে, সাক্ষাৎ নিজে উপস্থিত হব ওনার দোরগোড়ায়। প্রকাশিত বইয়ের প্রথম কপিটি, নিজের পছন্দের কিছু লেখা ওখানে লিখে ওনাকে সেটা উপহার হিসেবে দিব। সাথে সেইসব মুহূর্তের যে ফটোগ্রাফি হবে, ওগুলো পরবর্তীতে প্রকাশনার পেইজ ও লেখক আইডি থেকে শেয়ার করা হবে। এবং তা অবশ্যই সেই মানুষটির অনুমতি নিয়ে। অনেকে আছেন নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন, সেদিক থেকে নিলামধারী মানুষটা যেভাবে কম্ফোর্ট হবেন, সেভাবেই সব করা হবে। অর্থাৎ লেখক নিজে উপস্থিত হয়ে, বইয়ের প্রথম কপিটি অটোগ্রাফ দিয়ে যে মানুষটাকে দিচ্ছে সেটা কি স্পেশাল হলো না? যদি না হয়, তাহলে লেখক হিসেবে কোন কাজটিকে আপনারা স্পেশাল হিসেবে ভাবেন সেটা জানালে উপকৃত হতাম এবং শিখে নিতেও পারতাম।

তবে যেভাবে ব্যাপারটাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হচ্ছিল, আসলেই মর্মান্তিক ব্যাপার।
অন্যতম শকিং ব্যাপার হচ্ছে ফ্ল্যাপ পড়ে টিটকারি দেওয়া, হাসাহাসি করা থেকে শুরু করে যাচ্ছে-তাই মন্তব্য আসছে। এমনকি এ-ও বলা হয়েছে, “এই ফ্ল্যাপের বই এত টাকা নিলামে কেনা ফাজলামি কিংবা অন্যকিছু।” এছাড়া সিরিয়াল কপি, সব মুভিতে একই রকম, সাধারণ একটা থ্রিলার, বমি করার মতো ফ্ল্যাপ কিংবা আরও জঘন্যসব মন্তব্য! আর এই মন্তব্যগুলো করার একমাত্র কারণ ১ লক্ষ টাকা নিলাম! অথচ বইটা প্রকাশই পেল না, সেই বই নিয়ে এখনই এত বিশ্রী মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বই আসার পর জ্ঞান আর ভদ্র মানুষগুলোর আচরণ কতটা বিশ্রী হবে।

যারা সন্দেহ করছিলেন যে, ফারাবী ভাই আসলে ফেইক কিংবা আমার সেকেন্ড আইডি। তাদের জন্য নিচে কিছু স্ক্রিনশর্ট শেয়ার দিলাম। সেই সাথে ফারাবী ভাই লাইভে এসেছিলেন সেটার লিংকও দিয়ে দিলাম। সেই সাথে উনি এর আগেও অসংখ্য বই উপহার দিয়েছেন অপরিচিত বইপড়ুয়া পাঠকদের, সেগুলোর স্ক্রিনশর্ট এবং লিংক দিলাম। আর সবচেয়ে বড়ো এলিগেশন যেটা দিয়েছিলেন, এই টাকা দিবে না, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। তাদের জন্য টাকার ট্রানজেকশন ডিটেইলস দিয়ে দিলাম। এমনকি এই টাকা গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিলি করা হবে সেটা শুনেও অনেকে অনেক রকমভাবে টিটকারি দিয়েছেন, হাসাহাসি করেছেন। তাদের জবাব দেওয়ার জন্য সামান্য ছবি দিলাম। দুটি খাতে নিলামের বড়ো অংশ দান করা হয়েছে। একটি গরীব-দুঃখীদের শীতবস্ত্র বিতরণ এবং অপর দানটির ব্যাপারে সম্পূর্ণ গোপণ রাখতে চাচ্ছি। চেয়েছিলাম দান করব সম্পূর্ণ গোপনভাবে। দানদাতা আর যে দান গ্রহণ করছে এই দুই পক্ষ জানবে। আমার কোনো ইচ্ছে নেই কেয়ামতের মাঠে দানশীল নামধারী হয়ে জাহান্নামের আগুনের জ্বালানোর পাপী হওয়ার, কিন্তু পরিস্থিতি এমন সৃষ্টি হয়েছে যে, বাধ্য হয়েছি প্রকাশ্যে দানের কয়েকটা ছবি তুলে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরার। আর অপর দানটি যেহেতু প্রকাশ্যের দান নয়, সেহেতু ওটা গোপন রাখার চিরসিদ্ধান্ত।

#পরিশিষ্ট: আমি জানি, এরপরেও অনেকের বিশ্বাস হবে, অনেকের বিশ্বাস হবে না। অনেকে বাহবা দিবেন, অনেকে আবার গালি দিবেন। কিন্তু সর্বশেষ একটা কথাই বলব, আপনি আপনার মতামত অথবা আপনার চিন্তাভবনা রাখতে পারেন, কিন্তু আমার অথবা আমাদের সততাতে আপনার চিন্তাভাবনায় বিন্দু পরিমাণ ক্ষতি হবে না। আমাদের সততা আমরা আর আমাদের আল্লাহ জানেন। আপনার বিশ্বাস-অবিশ্বাসে কিছুই যাবে আসবে না। সেই সাথে একটা চক্র আমাকে ইতোমধ্যে লক্ষ করে রেখছেন, বই প্রকাশের পরপরই বইয়ের মাঝে ভুল থাকুক কিংবা না থাকুক, এরপরেও যাচ্ছে-তাইভাবে তুলোধুনা করবেন। আপনাদের গ্রুপের সেসব আলাপ-আলোচনাও আমার কান অবধি এসেছে। সমস্যা নেই, আপনি আপনার চেষ্টা চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল, আর দেখা করার অনুরোধ রইল বইমেলায় কিংবা বাংলাবাজার। চায়ের বিলটা আমার।

নোট: ফারাবীর বিষয়ে শেষ আরেকটা ভিডিও আসবে। অপেক্ষা করবেন একটু সময়।
ধন্যবাদ সবাইকে।

ডার্ক ব্লু এডিশন (লিমিটেড এডিশন)চুম্বকাংশ: “স্যার, খুনের ক্ষেত্রে বয়স এখন কোনো ম্যাটার করে না। এখন ছোটো-বড়ো সবাই খুন করত...
24/12/2023

ডার্ক ব্লু এডিশন (লিমিটেড এডিশন)

চুম্বকাংশ:
“স্যার, খুনের ক্ষেত্রে বয়স এখন কোনো ম্যাটার করে না। এখন ছোটো-বড়ো সবাই খুন করতে পারে। ইন্ডিয়ার বিহারের অমরজিৎ সাদার ঘটনা নিশ্চয়ই অজানা না আপনার। আট বছর বয়সেই কিন্তু তিন তিনটা খুন করেছিল। সেই হিসেব করলে কিন্তু সালাম আঠারো থেকে উনিশ বছরের একজন ছেলে। তাছাড়া সমস্ত প্রমাণ ওর বিরুদ্ধেই যাচ্ছে। ডেড বডিতে পাওয়া ক্লোরোফর্ম কিন্তু সালাম বানাতে পারে। আর ওর সাথে কিন্তু জান্নাতের একটা কানেকশন আছে। যেটাকে আমি বলব শত্রুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কেননা ও জান্নাতের পেছনে ঘুরত, যে কারণে জান্নাতের চাচাতো ভাই তাকে মেরেছিল। আর মেয়ের প্রতি ক্ষোভ থেকে কিন্তু এ অবধি বহু ঘটনাই ঘটে গেছে। আর একজন মানসিক রোগী যাচ্ছে-তাই করতে পারে। তারা রেগে গেলে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। কী করে নিজেরাও বলতে পারে না। সেখানে ওর রাগার মতো যথেষ্ট স্ট্রং পয়েন্ট আছে।”
জোর গলায় কথাগুলো বললেন সাব-ইন্সপেক্টর সাবিত সরকার। তার এরকম কণ্ঠ দেখে বেশ অবাক হলেন ওসি শাহ-আলম। এর আগে কখনো তাকে এভাবে কথা বলতে দেখেননি তাকে। প্রত্যুত্তর করলেন তিনি, “হ্যাঁ বুঝলাম, এখন তোমার কাছে পোক্ত প্রমাণ আছে যে তুমি ওকে এরেস্ট করতে চাচ্ছ?”
“স্যার, ও প্রমাণ রাখে নাই দেখেই আমাদের এরেস্ট করে জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্য ঘটনা বের করতে হবে। আপনার কী মনে হয়, ও মেজর কোনো প্রমাণ রেখেছে? সেগুলো তো কবেই নষ্ট করে দিছে ও।” ওসির কথা শেষ হতেই নিজে বলা শুরু করলেন এসআই। তার কথা শুনে ইন্সপেক্টরও ভাবনায় পড়ে যান। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।

বই: সালেম নো গ্রেনি
লেখা: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা
ছাড়মূল্য: ৩৬০ টাকা

সালেম নো গ্রেনির প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রথম ডার্ক ব্লু এডিশনে আসছে ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার। অর্ডার করুন আপ...
20/12/2023

সালেম নো গ্রেনির প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রথম ডার্ক ব্লু এডিশনে আসছে ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার। অর্ডার করুন আপনার পছন্দের যে-কোনো বুকশপ থেকে মাত্র ৩৬০ টাকায়।

ফ্ল্যাপ:
মধ্যরাতের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ঘটে চলেছে একের পর এক খুন! মেয়েরাই যার প্রধান শিকার। কিন্তু খুন করেই শুধু ক্ষান্ত হয় না খুনি। মৃতদেহের ওপর চলে তার অকথ্য নির্যাতন। যার পিছনে রয়েছে বিশেষ এক কারণ, কী সেটা?
তদন্তে নামেন শ্রীনগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন। যিনি নিজ কাজে সিদ্ধহস্ত। কিন্তু তদন্ত যতটা সহজ হবে ভেবেছিলেন, তার থেকেও জটিল রূপ ধারণ করে যখন জানতে পারেন কোনো এক বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে খুনগুলো করা হচ্ছে। তা-ও আবার জটিল এক প্যাটার্ন মেনে। কী করবেন তিনি? ঊর্ধ্বতনদের জবাবই বা কী দেবেন?
অন্যদিকে নড়িয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাবিত সরকার বুঁদ হয়ে আছেন মৃত দুই মেয়ের তদন্ত নিয়ে। যাদের ধর্ষণের পর করা হয়েছে খুন। এ কাজ কার সেটা খুঁজতে হন্যে আছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কি তিনি পারবেন রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে? না কি কোনো অজানার মুখোমুখি হবেন?
প্রশ্ন অনেক, উত্তর অজানা। সব উত্তর জানতে হলে ঢুঁ দিতে হবে ‘সালেম নো গ্রেনি’ উপন্যাসের অন্তরালে। যেখানে খুনের বিভৎসতা, তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া প্রক্রিয়া আর এক মহান উদ্দেশ্য সাধনের সংকল্প পিঠাপিঠি হয়ে চলে। এ সবকিছুর নাটের গুরু কে? জানতে হলে পড়তে হবে যাবেদ খান আবু বকরের লেখা ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাসটি।

১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সালেম নো গ্রেনির প্রথম কপি নিলাম করে জিতে নিলেন ফারাবী ভাই! বাংলাদেশে এই প্রথম ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ...
19/12/2023

১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সালেম নো গ্রেনির প্রথম কপি নিলাম করে জিতে নিলেন ফারাবী ভাই!

বাংলাদেশে এই প্রথম ১ লাখ টাকার বিনিময়ে নিলামে প্রথম কপি বিক্রি হলো! এটা সত্যিই লেখক এবং প্রকাশনীর জন্য গর্বের বিষয়। আগামীকাল আসছে প্রি-অর্ডার!

বই: সালেম নো গ্রেনি
লেখক: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মূল্য: ৬০০ টাকা

সালেম নো গ্রেনি বইটা আসতে চলেছে সেরা প্রিমিয়াম প্রডাকশনে ডার্ক ব্লু এডিশনে। মুদ্রিত মূল্য হবে ৬০০ টাকা। তবে প্রি-অর্ডারে...
17/12/2023

সালেম নো গ্রেনি বইটা আসতে চলেছে সেরা প্রিমিয়াম প্রডাকশনে ডার্ক ব্লু এডিশনে।

মুদ্রিত মূল্য হবে ৬০০ টাকা। তবে প্রি-অর্ডারে থাকবে সর্বোচ্চ ছাড়! এছাড়া বইটির প্রথম কপি নিলাম হবে আগামীকাল সন্ধ্যায় বুকলেট.কম-এর অফিসিয়াল পেইজে।

বই: সালেম নো গ্রেনি
লেখক: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী - Bornolipi Prokashoni
প্রচ্ছদ: সজল চৌধুরী
জনরা: ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা

শুভ জন্মদিন লেখক যাবেদ খান আবু বকর....!  শুভ কামনা রইল আপনার নতুন বইয়ের জন্য। বই: সালেম নো গ্রেনি লেখক: যাবেদ খান আবু বক...
16/12/2023

শুভ জন্মদিন লেখক যাবেদ খান আবু বকর....!

শুভ কামনা রইল আপনার নতুন বইয়ের জন্য।

বই: সালেম নো গ্রেনি
লেখক: যাবেদ খান আবু বকর
প্রকাশ: বর্ণলিপি প্রকাশনী

 #প্রি_অর্ডার #বর্ণ_বক্সশুরু হচ্ছে বর্ণ বক্সের দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রি-অর্ডার। ১,২৫০ টাকা মুদ্রিত মূল্যের প্রিমিয়াম পেপারব্য...
10/11/2023

#প্রি_অর্ডার
#বর্ণ_বক্স

শুরু হচ্ছে বর্ণ বক্সের দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রি-অর্ডার। ১,২৫০ টাকা মুদ্রিত মূল্যের প্রিমিয়াম পেপারব্যাক প্রোডাকশনের ৪ টি মৌলিক ও ১টি অনুবাদ বই পাওয়া যাবে মাত্র ৩৮০ টাকায়! চটজলদি অর্ডার করে ফেলুন যেকোন বুকশপে।

• কী কী থাকবে এই বর্ণবক্সে?

১] ১২৫০ টাকা সমমূল্যের ৪টি মৌলিক বই এবং ১টি অনুবাদ!
২] পেপারব্যাকে সেরা প্রডাকশন ও সেরা কন্টেন্টের ৫টি বই!
৩] মৌলিক ৪টি বইয়ের জনরাই হবে থ্রিলার। এবং অনুবাদ বইটি সেরা আত্ম-উন্নয়মূলক বই।
৪] প্রতিটি বইয়ের জন্য থাকবে আলাদা আলাদা বুকমার্ক।
৫] ৫টি বই একত্রে রাখার জন্য থাকবে আলাদা বক্স!
৬] ৫টি বইয়ে লেখকের মাঝে ৪ জনই জনপ্রিয় লেখক এবং একজন নবীন।
৭] ৫ জন লেখকই বর্তমান সময়ের। এবং ৫টি বই-ই সমকালীন বই। কোনো চিরায়ত লেখক কিংবা চিরায়ত লেখকের বই নেই।
৮] প্রতিটি বক্সের সাথে থাকবে ধুলোময়লা থেকে সুরক্ষা রাখার জন্য পলি।

"তুমি আমারে বিয়ে করবা ইন্দুভাই, বিয়া? আমার বড়ো স্বাদ তোমার বউ হমু।"~ পরীবানুবই:মিশিবিবিলেখক:জান্নাতুল নাঈমাছবি: Fathama ...
03/11/2023

"তুমি আমারে বিয়ে করবা ইন্দুভাই, বিয়া? আমার বড়ো স্বাদ তোমার বউ হমু।"
~ পরীবানু

বই:মিশিবিবি
লেখক:জান্নাতুল নাঈমা

ছবি: Fathama Nur Trisha

চলে এসেছে বর্ণ বক্স!বর্ণ বক্স কি? স্বল্প মূল্যে পাঠকের হাতে বই তুলে দেওয়া একটু উদ্যোগ। বর্ণ বক্সে পাচ্ছেন ৪টি মৌলিক ও ১ট...
01/11/2023

চলে এসেছে বর্ণ বক্স!

বর্ণ বক্স কি? স্বল্প মূল্যে পাঠকের হাতে বই তুলে দেওয়া একটু উদ্যোগ। বর্ণ বক্সে পাচ্ছেন ৪টি মৌলিক ও ১টি অনুবাদ বই! সাথে একটি কিউট বক্স (যদিও খুনি ভাইভ আছে) ও সাথে আকর্ষণীয় বুকমার্ক প্রতিবারের মতো থাকছেই।

মূল্য কত? মাত্র ৩৮০!

অর্ডার করতে পারবেন যেকোনো বুকশপ।

নোট: যেসব বুকশপ অর্ডার নেবেন, নিতে চাচ্ছেন, তারা দয়া করে আমাদেরকে ইনফর্ম করবেন।

শুধু ভালোবাসতে জানলে হয় না, ধরে রাখতে জানতে হয়। বই- সরোবরে পুষ্প ভাসে।~ আফিয়া খোন্দকার আপ্পিতা
26/10/2023

শুধু ভালোবাসতে জানলে হয় না, ধরে রাখতে জানতে হয়।

বই- সরোবরে পুষ্প ভাসে।
~ আফিয়া খোন্দকার আপ্পিতা

 #ব‌ই_রিভিউবইয়ের নাম: বলতে মানালেখকের নাম: Roksana Rahman  প্রকাশনা: বর্ণলিপি প্রকাশনী পচ্ছদ: জাওয়াদ উল আলমজনরা: ক্রা'ইম...
25/10/2023

#ব‌ই_রিভিউ

বইয়ের নাম: বলতে মানা
লেখকের নাম: Roksana Rahman
প্রকাশনা: বর্ণলিপি প্রকাশনী
পচ্ছদ: জাওয়াদ উল আলম
জনরা: ক্রা'ইম ও মিস্ট্রি থ্রিলার
মূল্য: ৪০০ টাকা
পৃষ্টা: ২০৮

পাঠ প্রতিক্রিয়া:-

'বলতে মানা' ব‌ইয়ের প্রচ্ছদ নির্বাচন নিয়ে পোস্ট করা দেখে ব‌ইটি সম্পর্কে প্রথম জানা।
রোকসানা রাহমানকে রোমান্টিক গল্প/উপন্যাসের লেখক হিসেবে‌ই জানতাম। যদিও এর আগে কোনো লেখা বা ব‌ই পড়া হয়নি। 'বলতে মানা' দিয়েই সূচনা। রোমান্টিক ঘরানা ছেড়ে ক্রা'ইম থ্রিলার লেখা এবং তি ব‌ই হিসেবে প্রকাশকরা যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য একটি ব্যাপার।

লেখক বেশ সহজ-সাবলীল আর গুছিয়ে উপন্যাসের প্রতিটি অধ্যায় বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে লেখকের শব্দ চয়নে মুগ্ধ হয়েছি বটে। রহস্য উপস্থাপন, কাহিনি বিন্যাস, চরিত্রের চরিত্রায়ন, সংলাপ সব‌ই খুব ভালো ছিল। উপন্যাসের শেষ দিকটায় দৃশ্য বদলে সত্যিই খানিকটা চমকে গিয়েছিলাম।
পরিশেষে যথেষ্ট আগ্রহ, উত্তেজনা নিয়ে ২০৮ পাতার ব‌ইটি শেষ করা। তবে উপন্যাসের শুরুতে যে দৃশ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল সেটা পরবর্তীতে ব্যখ্যা-বর্ণনা করা হয়নি। আশা করেছিলাম শেষের অধ্যায়গুলোতে তা করা হবে। এছাড়া সব সূত্র‌ই শেষ পর্যন্ত খুব গুছিয়ে মেলানো হয়েছে।

বর্ণলিপির অন্যান্য ব‌ইয়ের তুলনায় এই ব‌ইয়ের বাঁধাই বেশ ভালো ছিল। তবে বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে, উপন্যাসে যথেষ্ট বানান ভুল/টাইপিং মিস্টেক ছিল। যা দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে খুব। প্রকাশনীর উচিত ছিল এই বিষয়গুলো ভালো মতো নজর দেওয়া। কারণ, তাদের আরো একটি ব‌ইতেও এমন ভুল লক্ষ্যণীয়। তাই বানান ভুলের ব্যাপারটা লেখকের ওপর বর্তায় না।

অভিজ্ঞ পাঠক বিশেষ করে যারা থ্রিলার, ক্রা'ইম থ্রিলার ধাঁচের ব‌ই পড়ে অভ্যস্ত; তাদের কাছে আহামরি না-ও লাগতে পারে। তবে যারা নতুন নতুন এই জনরার ব‌ই পড়ছেন তাদের আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

রেটিং - ৪.৫/৫

রিভিউ আর ছবি: Iffat Ara

তৃতীয় এডিশনের টাওয়ার!শিল্পী আমি, আঁকে সে!ক্রাইম থ্রিলার, মিথলজি, রহস্য-রোমাঞ্চকর এবং ফ্যান্টসি জনরায় লিখিত ❝শাহরিয়ার হাস...
18/10/2023

তৃতীয় এডিশনের টাওয়ার!

শিল্পী আমি, আঁকে সে!

ক্রাইম থ্রিলার, মিথলজি, রহস্য-রোমাঞ্চকর এবং ফ্যান্টসি জনরায় লিখিত ❝শাহরিয়ার হাসান❞-এর প্রথম বইটি একে একে তৃতীয় মুদ্রণে পদার্পণ করল।

পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং ভালোবাসা রইল আমাদেরকে এতটা ভালোবাসা এবং ভরসা করার জন্য।

উল্লেখ্য, এই এডিশন পুরোটাই কিনে নিয়েছে Premium Book Reader.

বাড়ির ফটক পেরোনের সময় সহসা ইন্দুকুলের চোখ পড়ল, সদ্য ডুব দিয়ে গোসল করে আসা রমণীর পানে। সোনা বরণ গায়ে কচু পাতা রঙের মতো ভে...
11/10/2023

বাড়ির ফটক পেরোনের সময় সহসা ইন্দুকুলের চোখ পড়ল, সদ্য ডুব দিয়ে গোসল করে আসা রমণীর পানে। সোনা বরণ গায়ে কচু পাতা রঙের মতো ভেজা শাড়ি আঁটোসাঁটো হয়ে লেগে আছে। পিঠ জুড়ে বয়ে গেছে মেঘ-বরণ কেশ৷ যে কেশ গলে টপটপ করে জল গড়াচ্ছে। শান্ত, স্নিগ্ধ প্রসন্ন বিকেলের মতো মুখশ্রী। ঐন্দ্রজালিক জ্যোৎস্নার মতো দু'টি চোখ। যা দৃষ্টিপাত হতেই মাথা নত করল ইন্দুকুল। এক পলকের সে দেখায় বুঝতে পারল না, এ মনোহারিতার সাথে তার যোগসূত্র। চিনতে পারল না এই সেই দরদী কন্যা। আকস্মিক তিনজন হুজুরের সামনে পড়ে অপ্রস্তুত মুখে দাঁড়িয়ে পড়ল মিশিবিবি। ত্বরিত আঁচল তুলল মাথায়। তিন হুজুরই দৃষ্টি নত করে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। হাঁপ নিঃশ্বাস ছেড়ে টুসির হাত ধরে বাড়ির আঙিনায় পা বাড়াল মিশিবিবি৷ ইন্দুকুল কয়েক পা এগিয়ে সহসা থমকে দাঁড়াল। ত্বরিত ঘার ফিরিয়ে তাকাল পাতা বায়ানের বাড়ির দিকে। বুকের খুব গভীরে অস্থিরতা অনুভব করল সে৷ দৃষ্টিজুড়ে ঝলমলিয়ে ওঠল মিশিবিবির আদুরে মুখখানি। সে মুহুর্তে উমেদের কণ্ঠে কেঁপে ওঠল ,

' পাতা বায়ানের মেয়ে, মিশিবিবি। এই গ্রামের সর্বাপেক্ষা সুন্দরী মহিলা। শুনছি, বয়স ত্রিশ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু বিয়েশাদী হয় নাই। '

বই: মিশিবিবি
লেখক: জান্নাতুল নাঈমা
জনরা : সামাজিক থ্রিলার

ছবি: লেখিকার

ছবি এবং রিভিউ কৃতজ্ঞতা: Rockiya Arefin Misty  বই পরিচিতিঃ___________________________বইঃ শিল্পী আমি আঁকে সে লেখকঃ শাহরিয়া...
07/10/2023

ছবি এবং রিভিউ কৃতজ্ঞতা: Rockiya Arefin Misty

বই পরিচিতিঃ
___________________________

বইঃ শিল্পী আমি আঁকে সে
লেখকঃ শাহরিয়ার হাসান
প্রকাশকঃ সাইমুন হাসান
প্রকাশনাঃ বর্ণলিপি প্রকাশনী
প্রচ্ছদঃ সজল চৌধুরী
জনরাঃ অক্টাল ফিকশন
মুদ্রিত মুল্যঃ ৪০০ টাকা
পৃষ্ঠাঃ ২২৪
রিভিউদাতাঃ Rockiya Arefin Misty

ব্যক্তিগত রেটিংঃ ১০/১০

লেখক পরিচিতিঃ
_____________________________

লেখক শাহরিয়ার হাসান! তার জন্ম ২৪ জুন, লক্ষ্মীপুর জেলার, শ্যামপুর গ্রামে। পিতা শাহাজাহান জামাল ও মাতা সালেহা বেগমের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান তিনি। ছোট বেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি লেখকের আলাদা একটা টান। সেই সুবাদেই সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়েই অনলাইন প্লাটফর্মে লেখালেখি শুরু করেন। ❝শিল্পী আমি আঁকে সে❞ লেখকের প্রথম লেখা বই। এবছরে লেখকের আরো একটি বই ❝আই অব সাহারা❞ প্রকাশ পাবে।

ফ্লাপ থেকেঃ
_______________________________

আর যাইহোক স্যার থমাসের শয়তানের প্রতি বিশ্বাসের চেয়ে যিশু প্রতি ঘৃণাটা ছিল অধিক প্রবল। ফলশ্রুতিতে বেছে নেন অনৈতিক সকল পথ। যুগ, কালের চোখে তিনি অবশ্যই একজন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী। কিন্তু তার প্রতিটি চিত্রকর্মের পেছনে রয়েছে হাজারো ভাঙা পরিবারের গল্প। সেসব ধামাচাপা দিতে নিজের যশ-খ্যাতির বিরাট একাংশ অর্থ ব্যয় করতে হয়। স্যার থমাস বাংলাদেশি নন। জন্মেছেন ভিনদেশে। কিন্তু এদেশে ওনার আসার গল্পটা আজও কোনো পত্র-পত্রিকায় ছাপেনি! না কেউ জানে, না জানতে পেরেছে। কেবল একজনই জানেন! সুদূর মিশরে জীবনের শেষভাগ কাটাতে থাকা শেখ সায়ের আলি। প্রতি বছর তিনি দু বাক্স পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু কী আছে এই বাক্স দুটোতে? আর কেই-বা এই শেখ সায়ের আলি?
নিজেকে অপ্রতিরোধ্য ভাবলেও খোদ কালের গহ্বর থেকে এক অভিশাপ সদেহে জেগে ওঠে! যারা চেনে, যুগ বলে অবিহিত করে তাকে। তবে নিজেকে সে অমর বলে দাবি করে না। দাবি করে, প্রতি যুগের একজন নির্বাক দর্শক হিসেবে। মৃত্যুদূতের আজ্ঞা ছাড়া কোনো কাজ করতে পারে না। নিজেকে সর্বদা পরিচয় দেয় অভিশপ্ত বলে। কিন্তু কে এই যুগ? যার জবাবে খোদ স্যার থমাসের মিথ্যা প্রভুও নিরুত্তর! অবশ্য এই রহস্যময় ব্যক্তি কোনো ক্ষতি করে না কিংবা বিরোধও নয়! এমনকি হ//ত্যা//র চেষ্টাও নয়। কেবল যেতে যেতে বাড়ির চাকর রহমতকে বলে যায়, ফাঁসিতেই ওর মুক্তি। কিন্তু কীসের থেকে মুক্তি? এই প্রশ্নের জবাব মিলে দুবছর পর। কী সেই জবাব?

কাহিনী সংক্ষেপঃ
______________________________

থমাস অ্যামারসন! স্যার থমাস একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। থমাস অ্যামারসনের জন্ম মিশরে। রং তুলি ক্যানভাসে ছবি আঁকা তার নেশা। তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নিজেকে শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু বাবার চাপে পড়ে তাকে ভর্তি হতে হয় ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির সুবাদে দেখা হয় বন্ধু রিচার্ডের সঙ্গে। রিচার্ডই তার একমাত্র কাছের বন্ধু। রিচার্ড পড়াশোনাতে ছিল প্রচুর আগ্রহী। তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বড় আর্কিওলজিস্ট হওয়া। কিন্তু থমাস! থমাস চাইনা ইঞ্জিনিয়ার হতে। তার মন মস্তিষ্ক সব কিছুই ক্যানভাস সমেত রংতুলি তে আবদ্ধ ছিল। যার কারনে ছেড়ে দেয় ইঞ্জিনিয়ারিং, বেঁছে নেয় রংতুলি আর স্যাটানের আরাধনা। থমাসের একমাত্র কাজ তখন হয়ে ওঠে স্যাটান অর্থাৎ শয়তানের আরাধনা করা। যার কারনে সে সূদুর মিশর থেকে পাড়ি জমায় বাংলাদেশে।

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
______________________________

শিল্পী আমি আঁকে সে বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহস্যতে ভরপুর ছিল। বইটি যখন পড়া শুরু করি তখন নিজের মধ্যে একটা উত্তেজনা কাজ শুরু করে। বইটা আমি এক বসাতে শেষ করেছি। সত্যি বলতে বইটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আমি পুরোটা সময় সকল চরিত্রের মধ্যে নিজেকে দাঁড় করিয়েছি। আমি মনে করি লেখক তার প্রথম বই লেখাতেই স্বার্থক।

চরিত্র সমূহঃ
_____________________________

◽থমাস – মূল চরিত্র
◽রায়হান –থমাসের পালিত পুত্র
◽রহমত– থমাসের চাকর
◽রিচার্ড – থমাসের বন্ধু
◽শেখ সায়ের আলি – থমাসের পিতৃ তুল্য
◽সিন্থিয়া – থমাসের প্রিয়তমা
◽ম্যাক্স অ্যামারসন – থমাসের ঔরসজাত সন্তান
◽ফারিয়া – রায়হানের প্রিয়তমা
◽ইসমাঈল সাহেব – ফারিয়ার পিতা
◽নূর – পুলিশ ( রায়হানের বন্ধু)
◽অথোসিস – শয়তানের বার্তা বাহক
◽ফাহাদ ইকতিদার– পেশায় ডাক্তার
◽ফাহাদ মাহতাব – ফাহাদ ইশতিদারের ছোট ভাই
◽জামিল সাহেব – রিপোর্টার
◽যুগ – পথ প্রদর্শক
◽জয়নাল – পেশায় পুলিশ
◽আমেনা – জয়নালের স্ত্রী

চরিত্র বিশ্লেষণঃ
______________________________

▪️থমাসঃ স্যার থমাস! পুরো নাম থমাস অ্যামারসন। যার জন্ম হয় মিশরে। ছোট বেলা থেকে আঁকা আঁকির উপর ছিল তার প্রচুর আগ্রহ। ছবি আঁকাকে প্যাশন হিসেবে বেঁছে নেন তিনি। সঙ্গে যুক্ত হন স্যাটান/শয়তারের উপাসনা করা। যীশু কে ভুলে গিয়ে শয়তান কে জায়গা দেন স্রষ্টার স্থানে।শয়তান কে খুশি করাই যে তার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে। যার কারনে সে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে চলে আসে বাংলাদেশে।

▪️ রিচার্ডঃ থমাসের একমাত্র এবং কাছের বন্ধু রিচার্ড। রিচার্ড একজন খৃষ্টাব্দ ধর্মালম্বী এবং প্রচুর যীশু বিশ্বাসী ছেলে। রিচার্ডের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, একজন বড় আর্কিওলজিস্ট হওয়া।

▪️রায়হানঃ থমাসের পালিত ছেলে রায়হান। রায়হান ছোট বেলায় মানুষ হয় এতিম আশ্রমে। সেখান থেকেই স্যার থমাস তাকে নিয়ে আসে তার কাছে। রায়হান কে তার নিজ ছেলের মতো মানুষ করেছেন। কখনো কোন কিছুর অভাব বোধ করতে দেয়নি। তেমনি রায়হান ও থমাস কে ভালোবেসেছে স্বার্থ ছাড়া।

▪️ রহমতঃ থমাসের সবচেয়ে কাছের এবং সকল প্রকার পাপাচার কাজের স্বাক্ষী হলো রহমত। রহমত মূলত থমাসের বাড়ির সকল প্রকার কাজ করে থাকে। খুব ছোট বেলা থেকেই সে থমাসের কথা মতো কাজ করেন। যেন তার কাজেই হলো থমাসের দেখানো পথ অনুসরণ করা।

▪️শেখ সায়ের আলিঃ শেখ সায়ের আলি একজন মুসলিম ধর্মলম্বী। ধর্মের প্রতি তিনি প্রচন্ড প্রখর ব্যাক্তি সম্পন্ন মানুষ। তিনি একজন উদার মনের মানুষ। যার কাজ মানুষকে জীবনের পাঠ্য দান করা। তেমনই থমাসের কাছে তিনি ছিলেন পিতার সমতুল্য। প্রচুর ভালোবাসতের তিনি সায়ের আলি কে।

▪️সিন্থিয়াঃ থমাসের ব্যাক্তি জীবনে তার একমাত্র প্রিয়তমা সিন্থিয়া। রংতুলি যেমন ভালোবাসতো তেমনই ভালোবেসেছে তার প্রিয়তমাকে। কিন্তু নিজ স্বার্থ যশ খ্যাতির জন্য ছেড়ে দেয় প্রিয়তমার সঙ্গ। সে জানতেও পারেনা তার প্রিয়তমার গর্ভেই রয়েছে তার সন্তান

▪️অথোসিসঃ অথোসিস অদ্ভুত আকৃতির একটা জন্তু।অথোসিস মূলত শয়তানের বার্তা বাহক। তার কাজ হলো শয়তারের দেওয়া নির্দশনা থমাসের নিকট পৌঁছে দেওয়া। থমাস কে শয়তানের দিকে ধাবিত করা। কুমন্ত্রণা দেওয়া।

▪️ফাহাদ ইশতিদারঃ ফাহাদ ইশতিদার পেশায় একজন ডাক্তার। যে কিনা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ভাগ্যর ফিরে তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় থমাস নামক ন রপি শাচ রের সঙ্গে।

▪️ফাহাদ মাহতাবঃ ইশতিদারের ছোট ভাই মাহতাব। বয়সে তার থেকে অনেক ছোট তার ভাই। পড়াশোনা করছে ইন্টার প্রথম বর্ষে। সব কিছুই ঠিক ঠাক চলছিল, হঠাৎ কিছু দুঃস্বপ্ন বদলে দেয় তাদের সকলের জীবন।

প্রচ্ছদঃ
_______________________

শিল্পী আমি আঁকে সে বইটার সঙ্গে প্রচ্ছদ একদম পারফেক্ট। পাঠক বইটার সঙ্গে প্রচ্ছদ টাও বেশ পছন্দ করবে আমি যেটা মনে করি। একটা বই পাঠকের মনে জায়গা করে নেবার জন্য তার প্রচ্ছদের দিকেও বেশি নজর দেওয়ার প্রয়োজন পরে। সেক্ষেত্রে শিল্পী আমি আঁকে সে বইটির প্রচ্ছদ অঙ্কন ও স্বার্থক আমি মনে করি।

বানানঃ
_____________________

সাধারণতো বই পড়ার সময় বানান ভুল চোখে পড়লে পড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়, এবং বার বার বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে শিল্পী আমি আঁকে সে বইটি পড়ার সময় আমি কোন ভুল বানানই পাইনি। এক মনোযোগে বইটি শেষ করেছি।

পছন্দের কিছু চরিত্রঃ
_______________________________

▫️রায়হান
▫️রিচার্ড
▫️শেখ সায়ের আলি
▫️ফাহাদ ইমতিদার
▫️ফাহাদ মাহতাব
▫️যুগ
▫️নূর

অপছন্দের কিছু চরিত্রঃ
___________________________________

▫️থমাস
▫️অথোসিস
▫️রহমত
▫️স্যাটান/শয়তান

বই থেকে পছন্দের উক্তিঃ
_________________________________________

১. "সময় একটি প্রবাহের মতো।যে প্রবাহের পরিচালকও রয়েছে।একটা সময় আসবে,তখন সেই পরিচালক সময়কে ছেড়ে দেবেন।সময় তখন ধ্বং'স হবে।তখন আমরাও ধ্বং'স হবো।"

২.“এরা যেদিন আসে,সেদিন রাতে আমি খাবার খাই না।”

৩. “আদিমকাল থেকে মানুষ অন্ধকারকে ভয় পায়।
আলো প্রিয় মানুষদের সর্বোচ্চ ভয় এক খন্ড অন্ধকারের মধ্যেই প্রকাশ ঘটে।”


৪. "Knowledge is not about the world or how much you can pleased the world.It's about you,only you.It's about how you know yourself!
So,start knowing yourself."

৫.“বাঙালি তো চা প্রিয় জাতি, তাই না?আমিও পছন্দ করি। বাঙালির সাথে থাকতে থাকতে আমিও সঙ্গ দোষে লোহার মত ভাসছি।”

ওভারঅল অ্যানালাইসিসঃ
__________________________________________

❝ শিল্পী আমি আঁকে সে❞ বইটি প্রথম থেকে শেষ অবধি এক বসাতে শেষ করেছি। বইটা পড়ার সময় অন্য রকম উত্তেজনা কাজ করেছে সেটাই আগেই বলেছি। বইটা পড়ার সময় কোন প্রকার আগ্রহ সরেনি বইটার থেকে। শুরু থেকে শেষ দারুণ ইনজয় করেছি।

Address

৩৮/২ খ, মান্নান মার্কেট নিচ তলা, বাংলাবাজার
Dhaka
1100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বর্ণলিপি প্রকাশনী - Bornolipi Prokashoni posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বর্ণলিপি প্রকাশনী - Bornolipi Prokashoni:

Videos

Share

Category



You may also like