12/01/2023
ফিলিস্তিনের ইতিহাসঃ
গোধূলির লালিমার মতো ইতিহাসে ফিলিস্তিন রক্তের আঁধার। মুসলিম, ইহুদি, খ্রিষ্টান সবাই একে চিনে বায়তুল মোকাদ্দাসের ইতিহাস দিয়ে। ফিলিস্তিন হাত বদল হয়েছে বহুবার। আসিরিয়,আরামায়িক,কারানি,ব্যবিলনিক,হেলেনিয়, সেলজুক, গ্রিক, রোমান, সাসানি থেকে নিয়ে ক্রুসেড প্রত্যেকটি আগ্রাসীর রক্তলোলুপ জিঘাংসার বলি হয়েছে ফিলিস্তিন। মাত্র একবারই রক্তপাতহীন হাতবদল হয় সাহাবায়ে কেরাম খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু এর হাতে। দাউদ এবং সুলাইমান আলাইহিমুস সালাম এবং মুসলিম শাসনের সময়টা বাদে ফিলিস্তিনের বাকি সবটা সময়ই ছিলো অশ্রু ও বেদনার।
যতদিন মুসলিমদের হাতে ফিলিস্তিনের শাসনভার ছিলো ইহুদিদের জন্য সেই সময়টা ছিলো স্বর্ণযোগ। ক্রুসেডারদের হাতে এর শাসনভার ন্যাস্ত হওয়ার পর থেকে ইহুদিরা হয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত ও নিকৃষ্ট জাতি। খ্রিষ্টানরা যিশু খ্রিষ্টের(ঈসা আলাইহিস সালামের) হত্যাকারী হিসেবে ইহুদিদের উপর নির্যাতন করতো। তারা ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে৷
জায়নিজম এর উদ্দেশ্য তাদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থএ প্রতিশ্রুত ভূখন্ডকে নিজেদের দখলে নিয়ে আসা এবং তাদের প্রতিশ্রুত রাজা দাজ্জাল আসার ক্ষেত্র তৈরী করা। তাদের ধারণা তাদের রাজা এসে পুরো পৃথিবী শাসন করবে। উনবিংশ শতাব্দীতে বৃটিশ সরকারের সহায়তায় ফিলিস্তিনে আশ্রয় নিতে শুরু করে ইহুদিরা, ইসরঈলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৪৮ সালে৷ তারপর থেকে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর নির্মম অত্যাচারের আবির্ভাব ঘটায় সন্ত্রাসবাদী ইসরঈল।
ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রথমসারিতে আছে ইহুদি,বর্তমানে ইসরইল। পৃথিবীতে সংঘটিত সমস্ত অনিষ্টের মূলেও এরা। খ্রীষ্ট ও পৌত্তলিক শক্তি তাদের ক্রীড়নক মাত্র। মুসলমানদের চূড়ান্ত ও শেষ লড়াইটি সংঘটিত হবে ইহুদি, খ্রীষ্টান ও অবিশ্বাসীদের সম্মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে। ফিলিস্তিনে সংঘটিত হবে বিশ্বকে বাঁচানোর শেষ মহাযুদ্ধ।
ইহুদিদের পরিচয়, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, মুসলিমদের সাথে শত্রুতা। পৃথিবীর ইতিহাসে নিপীড়িত,নির্যাতিত,নিকৃষ্ট অত্যাচারিত একটি জাতি কিভাবে অত্যাচারী হয়ে উঠেছে এবং ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ ইতিহাসের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বইয়ে।
রক্তে আঁকা ফিলিস্তিন।
আপনি যদি জানতে চান বায়তুল মোকাদ্দাসে আমাদের হাতে বন্দীদের সঙ্গে কী আচরন করা হয়েছে, তাহলে একটুকু জেনে নিন, আমাদের সৈন্যরা সোলায়মান মন্দিরে পৌছেছে মুসলমানদের রক্তের গভীর স্রোত পার হয়ে। রক্তে ডুবে গিয়েছে ঘোড়ার উরু......
রিভিউ লেখেছেন: Bristi Akter Bushra