15/04/2024
পরনে জরাজীর্ণ কোট-টাই, ঢিলেঢালা মলিন প্যান্ট, মাথায় কালো রঙের ডার্বি হ্যাট, হাতে একটি ছড়ি, পায়ে পুরোনো এক জোড়া বুট এবং ঠোঁটের উপর খাটো অথচ প্রশস্ত একটুখানি টুথব্রাশ গোঁফ !
বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের নাম বলতে হলে যে নামটি একদম শুরুর দিকে থাকবে, সেটি নিঃসন্দেহে চার্লি চ্যাপলিন।
নিদারুণ দারিদ্রে কেটেছে তাঁর শৈশব। অভাবের তাড়নায় মাত্র আট বছর বয়সে যুক্ত হন 'দ্য এইট ল্যাঙ্কাশায়ার ল্যাডস' নামের একটি যাত্রাদলের সাথে। 'মেকিং আ লিভিং' ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের জগতে তার আগমন। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁর।
একের পর এক তৈরি করছেন 'দ্য ইমিগ্র্যান্ট (১৯১৭)', 'দ্য অ্যাডভেঞ্চারার (১৯১৭)', 'আ ডগস লাইফ (১৯১৮), 'দ্য কিড (১৯২১)', 'দ্য গোল্ড রাশ (১৯২৫)', 'দ্য সার্কাস (১৯২৮)', 'সিটি লাইটস (১৯৩১)', 'মডার্ন টাইমস (১৯৩৬), ' দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০)' এর মতো জনপ্রিয় এবং আলোচিত চলচ্চিত্র।
হাস্যরসের আড়ালে চার্লি তাঁর চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তুলতেন জীবনদর্শন, তাতে মিশে থাকত রাজনীতিও। তাঁর চলচ্চিত্রের অন্যতম একটি উপাদান নিম্নবিত্তের জীবন৷ আমেরিকানরা তাকে সমাজতান্ত্রিক মনে করলে তিনি রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন ফলে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডে।
১৯৭২ সালে একাডেমি পুরষ্কার নিতে তিনি যখন মঞ্চে ওঠেন তখন টানা বারো মিনিট হাততালির ঝড় বয়ে যায়। অস্কারের ইতিহাসে এটিই দীর্ঘতম অভ্যর্থনা।
নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে কথা না বলেও, যে বলে গেছেন অনেক কিছু, আজ সেই মহান শিল্পীর জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন চার্লি চ্যাপলিন !