Islamic Book

Islamic Book বেশি বেশি বই পড়ুন। ইসলামী সাহিত্য ও স?
(1)

আমি আল্লাহ্‌কে সাক্ষী রেখে বলছি যে, উপরে প্রদত্ত তথ্যগুলো সব সত্য। আমি যেভাবে কাজ করার জন্য অ্যাপ্লাই করলাম ঠিক সেই কাজটি আন্তরিকভাবে মন, প্রান দিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ্‌কে খুশি করার জন্য করব।

লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ):কর্মক্ষেত্রে বা পারিবারিক বা বন্ধু মহলে আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়...
26/03/2024

লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ):
কর্মক্ষেত্রে বা পারিবারিক বা বন্ধু মহলে আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না।আমি উচিৎ কথা মুখের উপর বলে দেই। আমি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড! যা মনে আসে তাই বলি।"
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত! সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন! ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয়।
আল্লহ্‌ এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন সূরা হুমাজাহ তে। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।
আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি। মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন। হয়তো আমিও লুমাজার অন্তর্ভুক্ত, তবে চেষ্টা করছি নিজেকে বাঁচাতে। আল্লাহ তৌফিক দান করুন।

Collect

বেশি কিছু লাগবে না ব্র্যাকের দুইটা প্রতিষ্ঠান আড়ং আর বিকাশ বয়*কট করুন, তাদের ব্যাংকে লেনদেন করা বন্ধ করে দিন, এক সপ্তাহে...
22/01/2024

বেশি কিছু লাগবে না ব্র্যাকের দুইটা প্রতিষ্ঠান আড়ং আর বিকাশ বয়*কট করুন, তাদের ব্যাংকে লেনদেন করা বন্ধ করে দিন, এক সপ্তাহের ভিতর এরা ক্ষ*মা চাইতে বাধ্য হবে।

মনে আছে?
আড়ংয়ে একজনের চাকরি হয়নি, শুধু দাঁড়ি থাকার কারণে! আপনারা প্র*তিবাদ করছিলেন, একদিন পর আড়ং ক্ষ*মা চাইতে বাধ্য হয়েছিল।

#সহমতভাই

হতাশার সময় ইস্তিগফারকে আবশ্যক করে নিন, কারন ইস্তিগফার অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ [শারহুল...
22/01/2024

হতাশার সময় ইস্তিগফারকে আবশ্যক করে নিন, কারন ইস্তিগফার অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।
ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ
[শারহুল কাফিয়াহ, ৩/১৮৯]

শীত হলো ইবাদাতে মগ্ন হওয়ার ঋতু। এখন শীতকাল। ফ্যান্টাসি নয়, এই শীত হয়ে উঠুক রবের নৈকট্য হাসিলের অপূর্ব উপাখ্যান।↓- আরি...
04/01/2024

শীত হলো ইবাদাতে মগ্ন হওয়ার ঋতু। এখন শীতকাল। ফ্যান্টাসি নয়, এই শীত হয়ে উঠুক রবের নৈকট্য হাসিলের অপূর্ব উপাখ্যান।

- আরিফ আজাদ
To The Point

04/11/2023

খাঁটি অন্তরে তওবা করলে সব গুনাহই মাফ করা হয়, একটা ব্যতীত। লক্ষ কোটি বার তওবা করলেও আল্লাহ নিজে থেকে সেই গুনাহ মাফ করেন না। বুঝা যাচ্ছে তো কোন গুনাহের কথা বলছি? না, সেটা শিরকের গুনাহ নয়।

আর এজন্যই কেউ অপমান করলে, হাসির পাত্র বানালে, গায়ে হাত তুললে, ফিজিক্যালি এবিউজ করলে, গীবত করলে, ধন সম্পদ টাকা পয়সা আত্মসাৎ করলেও আমাদের উচিত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া!

কেননা সে সারা জীবন ধরে সেই গুনাহের বোঝা বয়ে বেড়াবে যতক্ষণ অপর ব্যক্তি ক্ষমা না করছে। এমনকি বহু বছর সাধনা করলেও ক্ষমা পাবেনা।

এখন প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক, ক্ষমা করলে ভিক্টিমের কি লাভ?

দুইটা ঘটনা বলি।

ঘটনা ১
হুজুর সঃ এক কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যেখানে অনেক আযাব হচ্ছিল। মূলত কবরের ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় তার মাকে কষ্ট দিতো অনেক। হুজুর সঃ তার মাকে ডেকে সন্তানের অবস্থার কথা জানানোর পাশাপাশি মাফ করতেও আহ্বান জানালেন। বৃদ্ধা মা অতীত জীবনে সন্তানের মাধ্যমে লাঞ্ছনার কথা স্মরণ করে বিবর্ণ হয়ে যান এবং মাফ করতে অস্বীকার করেন।

হুজুর সঃ এর দোয়ার উছিলায় আল্লাহ কবরের অবস্থা মায়ের নিকট দৃশ্যমান করেন। সন্তানের উপরে চলতে থাকা ভয়ানক আযাব দেখতে পেয়ে তিনি সহ্য করতে না পেরে ক্ষমা করে দেন সন্তানকে। এতে সন্তানের আযাবও আল্লাহ বন্ধ করে দেন।

ঘটনা ২

হুজুর সঃ কে তায়েফের মাটিতে যে কায়দায় অত্যাচার করা হয়েছিল, তা শুনলে একজন নিষ্ঠুর মানুষের হৃদয়ও কেঁপে উঠে।

যখন তায়েফে ওনার পবিত্র শরীর অত্যাচারে জর্জরিত করা হচ্ছিল, শরীর ফেটে রক্ত বেয়ে বেয়ে পড়ছিল, ঠিক সেই মুহুর্তে পুরো তায়েফ শহরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আল্লাহর পক্ষ থেকে আসার পরও তিনি বিনয়ের সাথে তা প্রত্যাখান করেছিলেন। এত কঠিন আর কষ্টদায়ক মুহুর্তেও কারো প্রতি কোন অভিযোগ রাখেননি আমাদের প্রিয় নবী সঃ।


উপরের ঘটনা দুইটা ক্ষমা করা একটি মহৎ গুন আমাদেরকে সে শিক্ষাই দিচ্ছে। এটাই তো ইসলাম।

কেউ ক্ষমা না করলে সেই মুসলমান জাহান্নামে হয়তো শাস্তি ভোগ করবে। অবশ্যই ক্ষমা সে না করতেই পারে, এই এখতিয়ার আল্লাহই দিয়েছেন। কিন্তু কেউ শাস্তি ভোগ করলে তার কি লাভ আছে কোন আদৌ?
বরং ক্ষমা করলেই তার লাভ আছে। আল্লাহ পবিত্র কোরানে এরশাদ করেন,

‘তোমরা যদি ওদের মার্জনা কর, ওদের দোষত্রুটি উপেক্ষা কর এবং ক্ষমা কর, তবে জেনে রেখ, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা তাগাবুন, আয়াত : ১৪)

ব্যাপারটা যদি একটু ভিন্নভাবে বুঝি। সাপোজ, কাউকে ক্ষমা না করেও সে ব্যক্তি জান্নাত পেলো, তবে পেলো দারুল সালাম, অর্থাৎ সবচেয়ে ছোট জান্নাত।

অপরদিকে সেই ব্যক্তি জাহান্নামী হলো।
এখন ভাবি অন্য অপশন, অর্থাৎ সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো। যেহেতু ক্ষমা করে দেওয়া হলো, ফলে সেই ব্যক্তি আর জাহান্নামী হলো না হয়তো। দেওয়া হলো জান্নাত। হতে পারে সেটা সবচেয়ে ছোট জান্নাত বা বড় জান্নাত, হটেভার।

কিন্তু যে ক্ষমা করলো, সে আর কিন্তু ছোট জান্নাত পেলো না, সে পেলো সবচেয়ে বড় জান্নাত, এট লিস্ট আগের চেয়ে বড় জান্নাত।

'তার কি লাভ?' প্রশ্নের উত্তর এটাই। তার লাভ হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা ও নিয়ামত প্রাপ্তি।

এখন সিদ্ধান্তটা তার।
.......সংগ্রীহিত

⭕ রাসূল ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি জামাতের সহিত ফজরের নামাজ আদায় করবে এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাজের স্থানে বসে আল্লাহর জিকিরে মশগ...
23/07/2023

⭕ রাসূল ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি জামাতের সহিত ফজরের নামাজ আদায় করবে এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাজের স্থানে বসে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবে, অতঃপর দুই রাকাত ইশরাকের নামাজ আদায় করবে, সে একটি পরিপূর্ণ হজ্ব ও উমরাহর সওয়াব লাভ করবে। [তিরমিযি- ৫৮৬]

🔲 রাসূল ﷺ আরো বলেন, যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে ৪ রাকাত (ইশরাকের) নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তা'য়ালা তার সারা দিনের সকল কাজের জিম্মাদারী নিয়ে নিবেন, সুবহা-নাল্ল-হ। ইশরাকের নামাজ সূর্যোদয়ের ১০-১৫ মিনিট পর ২ রাকাত করে মোট ৪ রাকাত আদায় করতে হয়।

🔰 অপর এক হাদীসে রাসূল ﷺ বলেন, মানুষের শরীরে ৩৬০ টি জোড়া রয়েছে, অতঃএব তাদের জন্য কর্তব্য হচ্ছে প্রত্যেক জোড়ার জন্য একটি করে সদকা করা। তখন সাহাবায়ে কেরাম (র.) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্ল-হ কার সামর্থ্য রয়েছে এই কাজটি করার.??

🔸 তখন রাসূল ﷺ বলেন, মসজিদের কোথাও থুতু দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোনো ক্ষতিকারক বস্তু পেলে তা সরিয়ে দাও। তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের দুই রাকাত নামাজ আদায় করো, তাহলে এর জন্য তাই যথেষ্ট হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। [আবু দাউদ- ১২৮৫]

⭕ ইশরাকের নামাজ আদায় করার ১-১.৫ ঘন্টা পর সূর্য যখন প্রখরভাবে তাপ দেওয়া শুরু করে তখন ৪-৮ রাকাত চাশতের নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। তবে ইশরাক এবং চাশতের নামাজ সূর্যোদয়ের ১৫ মিনিট পর থেকে ধরে যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আদায় করা যায়।

🔲 হাশরের ময়দানে মহান আল্লাহ তা'য়ালা বান্দার ফরজ আমলের ঘাটতি সমূহ নফল আমল দ্বারা পূর্ণ করবেন, আর তাই আমাদের সকলের জন্য উচিত হচ্ছে ফরজ আমলের পাশাপাশি কিছু নফল আমলেরও পূঁজি সংগ্রহ করে রাখা।

➡️ তাই আসুন আমরা আজকে থেকেই এই ফজিলতপূর্ণ নামাজগুলো আদায় করে মহান আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করি এবং নিজেদের আমল নামাটাকে আরো উত্তম রূপে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করি ইন শা আল্লাহ 💞✅

বক্রতাই যাদের সৌন্দর্যনবি ﷺ বলেন: -“মহিলারা হলো পাঁজরের হাড়ের মতো। তাকে যদি সোজা করতে যাও, ভেঙে ফেলবে। যদি আপন অবস্থায়...
06/07/2023

বক্রতাই যাদের সৌন্দর্য
নবি ﷺ বলেন: -“মহিলারা হলো পাঁজরের হাড়ের মতো। তাকে যদি সোজা করতে যাও, ভেঙে ফেলবে। যদি আপন অবস্থায় রেখে দাও, বাঁকা দেখা গেলেও তার থেকে তুমি উপকৃত হতে পারবে।” (সহিহ বুখারি: ৫১৮৪)
অনেকে ভাবে, পাঁজরের হাড়ের সঙ্গে তুলনা করে রাসুল ﷺ মহিলাদের অপমান করছেন। এ জন্য কিছু লোক রাসুলের এ তুলনাকে নারীদের অবমাননা এবং তাচ্ছিল্যের অর্থে গ্রহণ করেছে। আর এ সুবাদেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হলে কেউ কেউ বলে, 'ওরে পাঁজরের বাঁকা হাড়, তোকে আমি সোজা করেই ছাড়ব।' অথচ তারা ভেবে দেখে না রাসুল ﷺ তাকে পাঁজরের বাঁকা হাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন—তো পাঁজরের হাড়ের বৈশিষ্ট্যেই হলো বাঁকা হওয়া। বাঁকা না হয়ে যদি সোজা হয়, তাহলে তাকে আর পাঁজরের হাড় বলা যায় না। পাঁজরের হাড়ের সৌন্দর্যই হলো বাঁকা হওয়া। সোজা হওয়া তার জন্য ত্রুটিপূর্ণ বলে গণ্য হবে।
মূলত রাসুল ﷺ. এই হাদিসে বোঝাতে চাচ্ছেন, বাঁকা-সোজা হওয়া এটা দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ, একভাবে দেখবেন তো মনে হবে সোজা, অন্যভাবে দেখলে মনে হবে বাঁকা। দেখুন, মসজিদের সামনের যে সড়কটি চলে গেছে, মসজিদে বসে দেখলে মনে হবে সড়কটি বাঁকা, মসজিদ সোজা; আর সড়কে গিয়ে দাঁড়ালে মনে হবে সড়কটি সোজা, মসজিদটি বাঁকা। অথচ সড়ক আর মসজিদ কোনোটিই বাঁকা নয়; বরং মসজিদের জন্য প্রয়োজন ছিল কিবলামুখী হওয়া, তা সে কিবলামুখীই আছে। সুতরাং বোঝা গেল সোজা-বাঁকা একটি আপেক্ষিক বিষয়। এক দৃষ্টিকোণে বাঁকা আবার অন্য দৃষ্টিকোণে সোজা।

© আল্লামা মুফতি তাকি উসমানি

19/06/2023
⬛ যিলহজ্ব মাসের আমল সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট, তাই মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ লিখাটি পড়ে দেখবেন এবং আমল করার চ...
18/06/2023

⬛ যিলহজ্ব মাসের আমল সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট, তাই মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ লিখাটি পড়ে দেখবেন এবং আমল করার চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ। ✅

⭕ যিলহজ্জ মাস কবে থেকে শুরু হবে..?

🔸 আজ ২৩শে যিলক্বদ মঙ্গলবার, চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আগামী ২০/২১ শে জুন পবিত্র যিলহজ্ব মাস শুরু হবে এবং ২৯/৩০ শে জুন পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হবে ইন শা আল্লাহ। তাই কবে চাঁদ উঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

🔹 রাসূল ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা'য়ালার নিকট যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় আর অন্য কোনো দিনের আমল নয়। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে সিয়াম পালন করো এবং অধিক পরিমানে তাসবীহ তাহলীল, যিকির আযকার (সুবহা-নাল্ল-হ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্ল-হ, আল্ল-হু আকবার) পাঠ করো। [মুসনাদে আহমাদ- ৫৪৪৬]

🔸 রাসূল ﷺ বলেন, যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের প্রতিদিনের সিয়াম ১ বছরের সিয়াম সমতূল্য এবং প্রতিটি রাতের তাহাজ্জুদ লাইলাতুল কদরের তাহাজ্জুদের সমতূল্য। [জামে তিরমিযী- ৭৫৮]

⭕ যিলহজ্ব মাসে সর্বমোট কয়টি রোজা রাখতে হবে.?

🔹 সর্বমোট নয় দিনে নয়টি রোজা রাখতে হবে। সবগুলো রোজা রাখাই উত্তম। তবে সবগুলো রোজা রাখতে না পারলে সাধ্য মোতাবেক রোজাগুলো রাখার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্তত শেষের দুইদিন অথবা শেষের একদিন রোজা রাখার চেষ্টা করতে হবে ইন শা আল্লাহ 💞✅

🔲 রাসূল সল্লল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ

🔸 আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশাবাদী যে, এতে তিনি পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। -[সহিহ মুসলিম হাদিস নং- ২৬৩৬]

🔹 যাদের রমজানের কাযা রোজা বাকি রয়েছে, তারা প্রথমে কাযা রোজাগুলো রাখবেন। এরপরে শেষের একটি রোজা আরাফার রোজা হিসেবে রাখবেন।

⭕ আরাফার রোজাটি কবে রাখতে হবে.?

🔸 আরাফার রোজা সম্পর্কে হাদীসে পাকে “ইয়াওমে আরাফাহ” অর্থাৎ আরাফার দিনের কথা বলা হয়েছে। আর ইয়াওমে আরাফাহ হচ্ছে যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ। সুতরাং আরাফার রোজাটি রাখতে হবে যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে।

🔹 সৌদি আরবের একদিন পরে বাংলাদেশে ঈদ হয়। তাই মুহাক্কিক আলেমগনের ফতুয়া হচ্ছে, বাংলাদেশে আরাফার রোজা রাখতে হবে যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ অর্থাৎ ঈদের আগের দিন। কারন রাসূল সা. বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে রোজা ভঙ্গ করো অর্থাৎ ঈদ করো।” [সহীহ বুখারী- ১৯০৯]

⭕ রোযা রাখার জন্য নিয়ত কিভাবে করতে হবে.?

🔸 সাহরী খেয়ে মনে মনে স্মরণ করতে হবে যে, আমি যিলহজ্ব মাসের (নফল) রোজা রাখলাম অথবা রোজা রাখার নিয়ত করলাম। এছাড়া আরবীতে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।

⭕ সাহরী না খেয়ে রোযা রাখা যাবে.?

🔹 সাহরী খাওয়া সুন্নত এবং ফজিলতপূর্ণ একটি সওয়াবের কাজ। তাই সাহরী খেতে না পারলেও রোজা রাখার নিয়ত করে ঘুমালে কিংবা ঘুম থেকে উঠে নিয়ত করে নিলে রোজা রাখা যাবে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না, বরং রোজা আদায় হয়ে যাবে।

🔲 তবে সাহরী না খাওয়ার কারনে সুন্নত আদায়ের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে হবে। তাই সাহরীতে এক ঢোক পানি হলেও পান করা উচিত। আর রোজারত অবস্থায় ভুলক্রমে কিছু খেয়ে ফেললে এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

⭕ ঈদের আগের দিন রোযা রাখা হারাম.?

🔸 বছরে ৫ দিন রোযা রাখা হারাম। ১) ঈদুল ফিতরের দিন এবং ২) ঈদুল আযহার প্রথম ৪ দিন। অর্থাৎ যিলহজ্ব মাসের ১০,১১,১২,১৩ তারিখ রোজা রাখা হারাম। এছাড়া অন্য যেকোনো দিনই রোজা রাখা বৈধ তথা হালাল।

⭕ যিনি কুরবানী করবেন না তিনিও কি রোযাগুলো রাখতে পারবেন.?

🔹 জ্বী, এই রোযাগুলো হচ্ছে নফল। কুরবানী করা কিংবা না করার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই কুরবানী না করলেও রোযাগুলো রাখতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।

⭕ যারা কুরবানী করবেন তারা চুল নখ ইত্যাদি কবে কাটবেন.?

🔸 যারা কুরবানী করবেন তাদের জন্য সুন্নত হচ্ছে, যিলহজ্ব মাস শুরু হওয়ার পর থেকে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত চুল, নখ, অবাঞ্চিত পশম কোনো কিছু না কাটা। তাই এই আমলটি করতে হলে যিলহজ্ব মাস শুরু হওয়ার পূর্বেই সব কিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে ইন শা আল্লাহ।

⭕ তাকবীরে তাশরীক কি.?

🔹 তাকবীরে তাশরীক হলঃ-
اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ،
وَاللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ ﻭ ﻟِﻠّﻪ الحَمْدُ

“আল্ল-হু আকবার আল্ল-হু আকবার লা~ ইলাহা ইল্লাল্ল-হু,
ওয়াল্ল-হু আকবার আল্ল-হু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ”

⭕ তাকবীরে তাশরিক কখন পাঠ করতে হবে.?

🔸 প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ সকলের উপর একবার করে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব এবং একাধিকবার পাঠ করা মুস্তাহাব। পুরুষেরা উচ্চস্বরে এবং মহিলারা নিম্নস্বরে তাকবীরটি পাঠ করবেন।

⭕ কোন ওয়াক্ত থেকে কোন ওয়াক্ত পর্যন্ত তাকবীরটি পাঠ করতে হবে.?

০৯ যিলহজ্জ = [ফজর+যোহর+আসর+মাগরিব+ইশা]

১০ যিলহজ্জ = [ফজর+যোহর+আসর+মাগরিব+ইশা]

১১ যিলহজ্জ = [ফজর+যোহর+আসর+মাগরিব+ইশা]

১২ যিলহজ্জ = [ফজর+যোহর+আসর+মাগরিব+ইশা]

১৩ যিলহজ্জ = [ফজর+যোহর+আসর = ২৩ ওয়াক্ত]

🔹 সর্বমোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর পুরুষেরা উচ্চস্বরে এবং মহিলারা নিম্নস্বরে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করবেন 💞✅

⭕ কুরবানীর সাথে আকিকা দেওয়া যাবে.?

🔸 জ্বী, কুরবানীর সাথে আকিকা দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে কুরবানীর পশু কেনার পূর্বেই আকিকার নিয়ত করতে হবে। আর গরু কুরবানীর ক্ষেত্রে ছেলের জন্য ২ অংশ এবং মেয়ের জন্য ১ অংশ ধরতে হবে।

🔹 তবে আকিকার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্তানের মঙ্গল কামনা করা। সন্তান জন্মের ৭ দিনের দিন আকিকা করা সুন্নত। আর যিনি কুরবানী করতে পারেন তিনি চাইলে একটু কষ্ট করে (আলাদাভাবে) আকিকাও করতে পারেন। তাই সুন্নত পদ্ধতি হলো ৭ দিনের দিন আলাদাভাবে গরু কিংবা ছাগলের মাধ্যমে [ছেলেদের জন্য দুইটি ছাগল এবং মেয়েদের জন্য একটি ছাগলের মাধ্যমে] আকিকা করা।

⭕ সাহরি ও ইফতারের সময়সূচী কোথায় পাবো.?

🔸 নামাজ, রোজা, সাহরী ও ইফতারের সময়সূচী জানার জন্য “মুসলিম ডে” এবং মুসলিম বাংলা দুইটি এপ্স অনুসরণ করতে পারেন। এই এপ্সগুলোতে চাঁদ অনুযায়ী নিয়মিত নামাজ রোজার সময়সূচী জানিয়ে দেওয়া হয়।

⭕ যারা প্রবাসে থাকেন তারা কবে থেকে এই রোজাগুলো রাখবেন.?

🔸 আপনারা যারা দেশের বাহিরে থাকেন, তারা সেই দেশের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রোজাগুলো রাখবেন।

🔲 আমলের নিয়তে এবং দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে লিখাটি কপি করে ছবিটি সেভ করে নিজ নিজ আইডি, স্টোরি এবং গ্রুপগুলোতে পোষ্ট করে দিবেন ইন শা আল্লাহ। এতে করে যতজন মানুষ আপনাদের উছিলায় আমলগুলো সম্পর্কে জেনে আমল করতে পারবে তাদের আমলের সম-পরিমান সওয়াব আপনাদের আমল নামাতেও লিপিবদ্ধ করা হতে থাকবে ইন শা আল্লাহ 💞✅

♥ Parents - a way to Jannah ♥Abud-Darda' (radiAllahu ánhu) reported: I had heard Messenger of Allah (sallAllahu ályhi wa...
18/06/2023

♥ Parents - a way to Jannah ♥

Abud-Darda' (radiAllahu ánhu) reported: I had heard Messenger of Allah (sallAllahu ályhi wasallam) saying,

"A parent is the best of the gates of Jannah; so if you wish, keep to the gate, or lose it."

[At-Tirmidhi and Ibn Majah].
Source: Riyad us Saliheen Book 1, Hadith 334

চুপ থাকাটাও একটি পরিশ্রমহীন ইবাদত...সুবহানাল্লাহ
04/04/2023

চুপ থাকাটাও একটি পরিশ্রমহীন ইবাদত...

সুবহানাল্লাহ

❤️
28/03/2023

❤️

😱😱😱
05/03/2023

😱😱😱

ধীরে ধীরে রাসুল (সাঃ) এর অনেক হাদিস আমরা ভুলেই যাচ্ছিঃ-১। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজা।📖(সহীহ মুসলিম- ৮৯৮)২। রাতে স্ত্রীকে সা...
27/12/2022

ধীরে ধীরে রাসুল (সাঃ) এর অনেক হাদিস আমরা ভুলেই যাচ্ছিঃ-
১। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজা।
📖(সহীহ মুসলিম- ৮৯৮)
২। রাতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নির্জনে হাঁটা।
📖(বুখারী- ৫২১১)
৩।বৃষ্টি আসলে দোয়া করা।
📖(সহীহ বুখারী- ১০৩২)
৪। স্ত্রীর রান্না করা হালাল খাবারের দোষ না ধরা।
খেতে মন না চাইলে চুপ থাকা।
📖(মুসলিম- ২০৬৪)
৫। কোনো কিছু জানা না থাকলে স্বীকার করা যে, আমি জানি না।
📖(বায়হাকী- ১৭৫৯৫)
৬। মাঝে মাঝে বিপদে আকাশের দিকে মাথা তোলা।
আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টগুলো আল্লাহকে বলা।
📖(মুসলিম- ২৫৩১)
৭। খুব খুশি হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়া।
📖(মুখতাসার যাদুল মা' আদ- ১/২৭)
৮। ধোঁয়া ওঠা গরম খাবার ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত না খাওয়া।
📖(বায়হাকি-৪২৮)
৯। নফল ও সুন্নাহ সালাতগুলো নিজের ঘরে পড়া।
📖(বুখারী- ৭৩১)
১০। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাসা ফিরে দুই রাকাআত সালাত আদায় করা।
📖(মুসনাদে বাযযার- ৮৫৬৭)
১১। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুতা না পরা।
বিশেষ করে শু জুতা ( স্যান্ডেল না)।
📖(আবু দাউদ- ৪১৩৫)
১২। যতই ভালো খাবার হোক ভরা পেটে না খাওয়া।
📖(তিরমিযী- ২৪৭৮)
১৩। ফজরের সালাতের পর সালাতের স্থানে বসে তসবি পড়া।
অতঃপর সূর্য উঠার পর দুই রাকাআত সালাত আদায় করা।
📖(আরশিফু মুলতাকা- ৪৫৬৯)
১৪। দ্বীনের দাওয়াত সহজ করার উদ্দেশ্যে নতুন একটি ভাষা শিখা।
📖(মুসনাদে আহমাদ- ২১৬১৮)
১৫। বাড়িতে অজু করে রুমাল দিয়ে হাতপা মুছে মসজিদে জামায়াতে যাওয়া।
📖(তাবরানী- ৬১৩৯)
১৬। মানুষের মাঝে বিবাদ মিটিয়ে দেয়া।
📖(মুসনাদে আহমাদ- ২৭৫০৮)
১৭। রাতে অজু অবস্থায় ঘুমানো।
📖(ফাতহুল বারি- ১১/১১০)
১৮। মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটা।
📖(আবু দাউদ- ৪১৬০)
১৯।যদি কারো উপর কোনো কষ্ট আসে, আল্লাহ তাআলা এর কারণে তার গুনাহসমূহ ঝরিয়ে দেন; যেমনভাবে গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ে।
📖(বুখারি, হাদিস নং: ৫৬৮৪)
২০।রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেনঃ
আমি টেক(হেলান) লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না।
📖(বুখারি, হাদিস নং: ৫১৯০)

25/10/2022

আল্লাহর পক্ষ থেকে যখন হিজরতের অনুমতি পাওয়া গেলো, সেদিন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাসায় চলে আসলেন। দু'জন মিলে যাত্রা করবেন ইয়াসরিব তথা মদিনার পথে। খুব সঙ্গোপনে।

মক্কা থেকে মদিনা অনেক দূরে। তাঁরা কিছু পথ হেঁটে পাড়ি দিবেন, আর সুযোগ হলে কিছু পথ উটে চড়ে— এমনটাই পরিকল্পনা। কিন্তু যাত্রাপথে খাবেন কী? এই ধুঁ ধুঁ মরুভূমি পথে একেবারে রিক্তহস্তে, কোন ধরণের খাবার-সামগ্রী ছাড়াই নেমে পড়বেন— এটা বড় বোকামি হবে বৈ কি!

ঠিক হলো— পথিমধ্যে খাওয়ার জন্যে তারা কিছু খাবার সাথে নিয়ে নেবেন। হিজরতের সেই পবিত্র যাত্রার খাবার গুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহুর কন্যাদের কাঁধে।

আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা— আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহুর কন্যা। নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহুর খাবার-দাবার গুছিয়ে দেওয়ার পর দেখলেন— খাবার যে থলেতে রাখা, তার মুখ বেঁধে দেওয়া জরুরি। নচেত খাবার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। একদিকে নবিজী এবং আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহুর হিজরতে বেরিয়ে পড়বার তাড়া, অন্যদিকে খাবারের থলে হাতে আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহুর সীদ্ধান্তহীনতা— কী দিয়ে আটকাবেন তিনি থলের মুখ?

তখনকার বালিকারা একধরণের কোমর-বন্ধনী দিয়ে পাজামা পরতেন। আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা নিজের কোমরবন্ধী খুলে নিয়ে, সেটাকে লম্বা করে ছিঁড়ে দুই টুকরো করলেন। একটুকরো নিজের কোমরে পেছালেন, অন্য টুকরো দিয়ে বেঁধে দিলেন নিজের পিতা এবং নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাবারের থলের মুখ।

নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেদিন আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহার এই ঘটনা জানতে পারলেন, সেদিন থেকে তার উপাধি দিয়ে দিলেন— দুই কোমরবন্ধনী-ওয়ালী!

দেখুন— খুব ছোট্ট একটা কাজ, কিন্তু নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটাকেও মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করেননি৷

Islam is beautiful. Here, nothing goes unnoticed 💚

আরিফ আজাদ

31/08/2022

কার সাথে আপনার বিয়ে হবে, আপনার যাকে বা যেরকম মানুষকে ভাল লাগে আদৌ তাকে পাবেন কিনা, এসব চিন্তা হয়তো আজ আপনাকে অসুস্থ বানিয়ে ফেলছে। একটি সম্মানের চাকরী পাবো কিনা, অমুক দেশে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ আদৌ হবে কিনা কোন কুল কিনারা পাচ্ছেন না হয়তো ভবিষ্যত নিয়ে এই ভাবনার।

ফিউচার নিয়ে এই যে আমাদের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, অথচ আমরা ভুলে যাই আমাদের ফিউচার ইতিমধ্যেই লিখা হয়ে গিয়েছে। কার সাথে বিয়ে, রিযিক কোথায়, কোথায় হবে আমার আবাস, সবই অনেক আগেই লিপিবদ্ধ। যা আমার জন্য নির্ধারিত হয়েছে, তা আমার কাছে সময়মত অবশ্যই পৌছে যাবে। যা আমার জন্য লিখা হয় নি, তা কখনই আমার হবে না।

যদি কোন কিছু হাসিল করার জন্য চেষ্টা পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়, তা হলে তা করুন। কিন্তু সেটার জন্য নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে নয়, বরং চেষ্টা করতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন সেই জন্য। স্বাভাবিক চেষ্টা ও দুআর পরও উদ্দেশ্য সাধন না হলে ভেবে নিন, এটাই ছিল আল্লাহর ফায়সালা।

নিশ্চিত থাকুন, যতক্ষন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে থাকবো, তিনি আমাদেরকে সেই অনুগ্রহ দিয়েই সিক্ত করবেন, যা আমাদের জন্য সব দিক দিয়েই কল্যানকর। যা আমাদের ক্ষতির কারন হবে, এমন কিছুই তিনি আমাদের উপর চাপাবেন না।

তাই, যেই সময়টা আপনি দুশ্চিন্তা করে নষ্ট করছেন, নামাজে দাঁড়িয়ে যান। চাইতে থাকুন তাঁরই কাছে। চিন্তিত হওয়ার মত যদি অবসর সময় আপনার থাকে, দুআ করার সময় কি নেই?

নিশ্চয়ই যিনি কাঁদান, তিনিই হাসান।

লিখেছেন......... Rezwanul Kabir

28/08/2022

"লজ্জা লাগছে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা ভাংতি খুঁজে পাই না.....

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই পদার্থটি আমার সহ্য হয় না। খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটি হয়। তবু লোভে পড়ে খাই। মাঝে মাঝে। সিংগাড়া শেষ করেই ঔষধ খাই।

আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।

গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।

একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"

ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।"

তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।

দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"

খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!

এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"

ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"

এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"

-১৫ টাকা বাবা।

হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"

হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শালা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"

তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"

আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।

ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"

- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।

- বাড়িতে কে কে আছে ওর?

- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।

আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।

ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"

- না স্যার।

- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?

- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।

আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!

মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "

আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"

মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।

কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"

উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।

রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।

আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়।

আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।

-(সংগৃহীত)"

To be informed ✌️
24/08/2022

To be informed ✌️

20/06/2022
বিয়ের ১৩ বছর পর যখন তাদের প্রথম মেয়ে পৃথিবীর আলো দেখলো, কোন খুশির সীমা পরিসিমা ছিল না তাদের। মেয়ের বাবা পেশায় একজন আর্মি...
22/11/2021

বিয়ের ১৩ বছর পর যখন তাদের প্রথম মেয়ে পৃথিবীর আলো দেখলো, কোন খুশির সীমা পরিসিমা ছিল না তাদের। মেয়ের বাবা পেশায় একজন আর্মি পারসন। বাচ্চা পেটে আসার পর থেকে বাচ্চার মা সিএমএইচে সর্বোচ্চ কেয়ার পেয়েছিলেন। সম্পুর্ন সুস্থ বাচ্চা ভুমিষ্ট হওয়ার পর তাই কেউ কল্পনাও করতে পারে নি যে, এক ভয়ংকর বিপদ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।

অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করার আধা ঘন্টা পর হঠাৎ বাচ্চার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। অক্সিজেন দেয়া হল। কোন লাভ হলো না। এক ঘন্টা পর সরাসরি ভেন্টিলেশনে। অক্সিজেনও বাচ্চা নিতে পারছে না। মাত্র আধা ঘন্টার ব্যবধানে পুরো পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পরে। স্কয়ার হাসপাতালের মত হাসপাতালের ডাক্তারদের কপালেও চিন্তার ভাজ। নানা টেস্ট করা শুরু হয়। বিভিন্ন পরিক্ষার পর ডাক্তাররা ফুসফসের এমন একটি রোগের আশংকা করেন, যেটা বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত রেয়ার এবং এর কোন চিকিৎসা নেই। মৃত্যুই একমাত্র অপেক্ষা।

একবার কল্পনা করুন বাচ্চার বাবা মার মনের অবস্থা। ১৩ বছর পর সন্তান। সম্পুর্ন সুস্থ ভুমিষ্টের পর বাচ্চা এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। ছোট মেয়েটাকে একবারের জন্যও মা এখনো কোলে নিয়ে আদর করতে পারে নি। বাবা পারেন নি একটু ছুয়ে দেখতে। কাঁদতে কাঁদতে একেকজনের বেহুশ হবার দশা।

প্রফেসর হামীদুর রহমান সাহেব। একজন আল্লাহর ওলী। বাচ্চার বাবার একজন নিকটতম আত্মীয় এই আল্লাহর ওলীর কাছে পরামর্শ চাইলেন এখন কী করা যায়। কী এমন আমল আছে,যা করলে আল্লাহ বাচ্চাটাকে সুস্থ করে দিবেন!

প্রফেসর সাহেব জানালেন তিনি নিজে আসবেন হাসপাতালে। সত্তোর্ধ বৃদ্ধ, দুজনের সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারেন না। বয়সের কারনে তার কথা ভাল বোঝা যায় না। তিনি এসে মেয়ের বাবাকে ঠিক নীচের কথাগুলো বললেন,

“তাজা ওজু করে দু’রাকাত নামাজ পরেন। এরপর আল্লাহর সাথে কথা বলেন। আল্লাহকে বলেন, আল্লাহ আমার মেয়েটাকে ভাল করে দেন।”

আর্মি পারসন মেয়ের বাবা। বাহ্যিক ভাবে যতই শক্ত মনে হোক তাকে, ভেতরে অত্যন্ত নরম মনের মানুষ তিনি। প্রফেসর সাহেবের কথাটি তিনি পুরোপুরি আমলে নিলেন।

শুরু হলো দুআ কান্নাকাটি। এতক্ষন কান্না ছিল নিজেদের ভেতর, দুঃখ কষ্ট আর হতাশার। এখনকার কান্নাগুলো পৌছে যাচ্ছে সরাসরি মাবুদের কাছে। সেই সাথে চলছে সদকা, দান।

মেয়ের দাদী এক ভদ্রলোককে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সৌদি থেকে অলংকার আনার জন্য। তিনি বলে দিলেন, কিছু লাগবে না। পুরো টাকা হারামের গরীব লোকজনের মাঝে সদাকাহ করে দিতে।

এদিকে বাচ্চার অবস্থা যায় যায়। ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে। হয়তো আজকের রাতটাও নাও থাকতে পারে। ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি তারা ব্লাডে ইনফেকশন এবং হার্টে ছিদ্রও পেয়েছেন। সামান্য সময়ের জন্য ভেন্টিলেশন খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। বাচ্চা অক্সিজেনের অভাবে কষ্টে লাফাতে শুরু করে। সাথে সাথে আবার ভেন্টিলেশনে দিয়ে দেয়া হয়।

বাচ্চার বাবা আশা হারান না। প্রফেসর সাহেবরে সেই ছোট কথা “আপনি আপনার আল্লাহর সাথে কথা বলেন।”

তিনি কথা চালিয়ে যান। পার হয়ে যায় এভাবেই প্রায় এক সপ্তাহ।

গত পরশুর আগের দিন। সুখবর আসার মুহর্ত। ডাক্তাররা জানান তারা আজকের পরিক্ষায় বাচ্চার হার্টে ছিদ্র আর পাননি। এটা মিশে গিয়েছে। কিছুক্ষন পর তারা জানান, ব্লাডের যে ইনফেকশনটা ছিল, সেটাও কমে আসছে। কিন্তু ফুসফুসের সমস্যা? যেটার কোন চিকিৎসা নেই, সেটার কী হবে?

বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতিতে যারা সবচেয়ে নাম করেছেন, এরকম একজন কার্ডিওলজিস্ট আসলেন। আর্মির ব্রিগেডিয়ার তিনি। আজকের রিপোর্ট দেখে তিনি বলছেন, বাচ্চার ফুসফুসে এই মুহুর্তে কিছু শ্যাডো দেখা যাচ্ছে, যেটা কফের কারনে হতে পারে এবং কিউরেবল।

এটা কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না যে, এতগুলো বাঘাবাঘা ডাক্তার এক্সরে ইসিজি সহ এত শত টেস্ট করে ফুসফুসের শ্যাডো যে কফের কারনে, এটা ধরতে পারেন নি। বরং এখানে অবশ্যই কুদরতের কারিশমা আছে, যা বান্দার সম্পুর্ন ক্যালকুলেশনের বাইরের বিষয়।

আজ সকালে মক্কার একটি রেস্টুরেন্টে আমরা যখন নাস্তা করছিলাম, শেষ খবর পেলাম, বাচ্চার ভেন্টিলেশন কাল খুলে নেয়া হয়েছে। খুব অল্প অক্সিজেন লাগছে এখন, দুএকদিনের ভেতর সেটারও আর প্রয়োজন হবে না,ইন শা আল্লাহ।

দুআ আর সদকা কী করতে পারে, একজন দুর্বল বান্দার জন্য যখন তার মাবুদ যথেষ্ট হয়ে যান, কীসের থেকে কী ঘটে যেতে পারে, তার চাক্ষুস প্রমান এই ঘটনা। নিশ্চয়ই আমার রব যদি অপ্রত্যাশিত ভাবে বিপদে ফেলতে পারেন, তিনি কল্পনাতীত ভাবে সেখান থেকে উদ্ধারও করতে পারেন।

নিশ্চয়ই তাঁরই জন্য সমস্ত প্রশংসা। সর্বাবস্থায়, সর্বক্ষেত্রে।

**-** **রিজওয়ানুল কবির **

Address

Dhaka
1216

Telephone

+8801917149021

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Book posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Islamic Book:

Videos

Share

Category