হিমু-Himu

হিমু-Himu Himu
(1)

Address

166/1 Mirpur Road, Kalabagan
Dhaka
1205

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হিমু-Himu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Our Story

"ময়ূরাক্ষী" দিয়েই ম্যাজিশিয়ান হিমুর পথচলা শুরু। "ময়ূরাক্ষী" প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে এবং বাংলা সাহিত্যে রীতিমত সাড়া জাগিয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে 'হিমু'। "এ্যাই ছেলে এ্যাই " বাক্যটি দিয়ে শুরু হওয়া বইটিতে পাঠক হিমুর স্বভাবসুলভ রসিকতা, মুগ্ধময় বিভ্রান্তিকরণ, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা আর তাৎক্ষণিক বাচিক ক্ষমতা শুরুতেই পেয়ে যাবেন। জাস্টিস সাহেবের স্ত্রী আর মেয়ের সাথে ইচ্ছাকৃত জটিলতার কারণে থানায় যাওয়া এবং অতঃপর ওসির সাথে হিমুর কথোপকথন পাঠক হিসেবে আমাদের হাসাতে বাধ্য করবে। এর পরপর-ই ময়ূরাক্ষী নদীর ইতিহাস পাঠক অজান্তে হিমুর মাধ্যমে কল্পনায় পেয়ে যাবো-"নদীর ধার ঘেঁষে পানি ছিটাতে ছিটাতে ডোরাকাটা সবুজ শাড়ি পরা একটি মেয়ে ছুটে যাচ্ছে। আমি শুধু এক ঝলক তাকে দেখতে পেলাম। স্বপ্নের মধ্যেই তাকে খুব চেনা, খুব আপন মনে হল"। হিমুর ফুফাতো ভাই বাদল আর ফুফাতো বোন রিনকি হিমুকে প্রচন্ড ভালবাসে। ফুপার সাথে হিমুর ছোট ছোট দার্শনিক সংলাপ য়ামাদের ভাবিয়ে তুলবে। ধীরে ধীরে আমরা হিমুর শৈশব থেকে শুরু করে তার বড় হওয়া দেখবো। প্রচন্ড নির্মমতায় মহাপুরুষ বানানোর লক্ষ্যে হিমুকে হিমুর বাবার সাথে ফ্ল্যাশব্যাকে দেখতে পাবো এবং চোখ নোনাময় হয়ে যাবে। পরক্ষণেই অসম্ভব রুপবতী তরুণী, রুপার সাথে সাথে আমাদেরও হিমুকে ভালবাসতে ইচ্ছে করবে; যে রুপা প্রতিদিন নীল শাড়ি পরে বারান্দায় হিমুর জন্য অপেক্ষা করে। বইয়ের শেষে হিমুর অনন্ত পথচলা দেখে আমাদের থমকে যেতেই হবে। "আমি সারাদিন হাঁটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার কথাও নয়..."। একজন পাঠকের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো হুমায়ূন আহমেদ খুব যত্নের সাথে হিমুর মাধ্যমে তুলে এনেছেন। "ময়ূরাক্ষী" দিয়ে যে হিমুর যাত্রা, তা পাঠককে আমৃত্যু অন্ত্যহীন পথে সঙ্গী করে নিয়ে বেড়াবে। যে ভ্রমণ আনন্দের, ভালোবাসার এবং এক-ই সাথে গভীর বিষাদের।