শামিম রহমান আবির

শামিম রহমান আবির This is not a celebrity page. This page is opened for promotion of my small businesses only. Thank U

শিল্পী এস এম সুলতান।
09/03/2021

শিল্পী এস এম সুলতান।

🔖অমর একুশে বইমেলা ২০২১ কুঁড়েঘর প্রকাশনী লিমিটেড-এর স্টল নং: ৪৩০-৪৩১ ❤️📌কুঁড়েঘর পত্রিকা থাকছে লিটলম্যাগ চত্বরে।
09/03/2021

🔖অমর একুশে বইমেলা ২০২১
কুঁড়েঘর প্রকাশনী লিমিটেড-এর
স্টল নং: ৪৩০-৪৩১ ❤️

📌কুঁড়েঘর পত্রিকা থাকছে লিটলম্যাগ চত্বরে।

সুন্দর হোক শৈশব, ফিরে আসুক স্মৃতির কাঁধে চেপে;নীরবে... রৌদ্রে ছায়া হয়ে... আপনভূমে...
04/03/2020

সুন্দর হোক শৈশব,
ফিরে আসুক স্মৃতির কাঁধে চেপে;
নীরবে... রৌদ্রে ছায়া হয়ে... আপনভূমে...

আজকে আমার বাবাই'টা বইমেলা ঘুরে এসেছে। মাত্র তিন মাস বয়সে তাকে কোলে নিয়ে সারা মেলা ঘুরে বেড়িয়েছি আমি। সে যখন বড় হবে, বুঝত...
05/02/2020

আজকে আমার বাবাই'টা বইমেলা ঘুরে এসেছে। মাত্র তিন মাস বয়সে তাকে কোলে নিয়ে সারা মেলা ঘুরে বেড়িয়েছি আমি। সে যখন বড় হবে, বুঝতে শিখবে; তখন হয়তো কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারবে কেন তাঁর বাবা তাকে শিশুকালেই বইমেলায় নিয়ে এসেছে। আজকের স্মৃতি তাঁর মনে থাকবে না। কিন্তু ছবিগুলো তাকে জানান দেবে। আমাদের মুখে গল্প শুনবে। তখন হয়ত সে অনুভব করবে, তাঁর বাবা বই, বইমেলা, প্রকাশনী, শিল্প - সাহিত্যে নিয়ে কতটা আবেগ বুকে ধারণ করে।

হয়তো একদিন আমার অবর্তমানে সে হাল ধরবে। তাঁর প্রজন্মের কাছে তাঁর বাবার গল্প বলবে।

আমাদের ক্ষুদে ভবিষ্যৎ প্রকাশকের জন্য আপনারা মন থেকে দোয়া করবেন। তাঁর জীবন যেন অসাধারণ ছোট ছোট সুখে ভরে থাকে।

আমিন।

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-“কুঁড়েঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা 'পরে,তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্ট...
05/02/2020

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
“কুঁড়েঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা 'পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।''
বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।''

~ রজনীকান্ত সেন - স্বাধীনতার সুখ

কুঁড়েঘর প্রকাশনী লিমিটেড
স্টল নং - ৪০৫~৪০৬

⚓ দ্যা প্রফেট হচ্ছে লেবাননী-আমেরিকান কবি, চিত্রশিল্পী, লেখক, দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, চাক্ষুষ শিল্পী কাহলিল জিবরানের লিখ...
28/01/2020

⚓ দ্যা প্রফেট হচ্ছে লেবাননী-আমেরিকান কবি, চিত্রশিল্পী, লেখক, দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, চাক্ষুষ শিল্পী কাহলিল জিবরানের লিখা ২৬টি গদ্য কবিতার একটি বই যা ইংরেজিতে লিখা হয়েছে। এটি ১৯২৩ সালে মূলত আলফ্রেড এ. নফ প্রকাশ করে। এটি জিবরানের পরিচিত সেরা কাজ। দ্যা প্রফেট বইটি ৮০টির বেশি ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। বইতে জীবরানের নিজের আঁকা ১২ টি চিত্রকর্ম আছে। এজন্যই শেক্সপিয়ার আর লাউজির পরে জিবরানের বই-ই এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি বিক্রিত বই।

🔖 বইটি পাওয়া যাবে অমর ২১শে গ্রন্থমেলায়
"কুঁড়েঘর প্রকাশনী লিমিটেড" স্টল এবং
কুঁড়েঘর লিটলম্যাগ স্টলে।

🖋 প্রকাশক - প্রকৌ. শামিম রহমান আবির
🖋 প্রকাশ করছে - কুঁড়েঘর প্রকাশনী লিমিটেড।

Before Sunrise (1995)Dir : Richard LinklaterThe Hero (Nayak) (1966)Dir : Satyajit Ray
28/01/2020

Before Sunrise (1995)
Dir : Richard Linklater

The Hero (Nayak) (1966)
Dir : Satyajit Ray

27/01/2020
সন্ধ্যেবেলা ঝিলের ধারে আমরা কাগজের নৌকা দিয়ে খেলছিলাম। আমরা মানে অকালপক্ক বালকের দল। কারো নৌকার রঙ নীল, কারোটা সবুজ, কার...
23/12/2019

সন্ধ্যেবেলা ঝিলের ধারে আমরা কাগজের নৌকা দিয়ে খেলছিলাম। আমরা মানে অকালপক্ক বালকের দল। কারো নৌকার রঙ নীল, কারোটা সবুজ, কারোটা কমলা, হলদে আরো নানান রঙ। একজন তার কাগজের নৌকায় বড় বড় হরফে লিখল, স্বপ্ন। তার দেখাদেখি আমরাও হুড়োহুড়ি করে কেউ লিখলাম, বিশ্বাস। কেউ লিখল, আশা। কেউ লিখল, শ্রদ্ধা। তারপর নৌকাগুলো হাতে নিয়ে আমরা বোকার মতো দাঁড়িয়ো রইলাম। ঠিক কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।

এমন সময় ঝিলের ওপারে একটা বাড়িতে আলো জ্বলে উঠল। ঝকঝকে সপ্রাণ একটা আলো। আলোটাকে খুব পরিচিত মনে হল আমাদের। ভীষণ আপন করা একটা আলো। বিশ্বাস, স্বপ্ন আর আশার শক্তিতে ভরপুর। নিকষ অন্ধকারে একটি মাত্র আলো। দেরি না করে আমরা আমাদের নৌকাগুলো সেই আলোর দিকে ভাসিয়ে দিলাম।

আলোটার নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ❤

ভাষা নেই! ভালোবাসা রইল! ❤
11/12/2019

ভাষা নেই!
ভালোবাসা রইল! ❤

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক অজয় রায় (৮৪) আর নেই। আজ সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপা...
09/12/2019

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক অজয় রায় (৮৪) আর নেই। আজ সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

অজয় রায় দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন।

দেশি–বিদেশি বহু জার্নালে অজয় রায়ের পেপার প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি পদে ছিলেন। তিনি সম্প্রীতি মঞ্চের সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এশিয়াটিক সোসাইটির বিজ্ঞান বিভাগের সম্পাদক।

২০১২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে একুশে পদক অর্জন করেন অজয় রায়।

রূপকথার রাজকন্যাদের মতনই ১৮৮০ সালের ৯ই ডিসেম্বর, রংপুর জেলার পায়রাবন্দের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার বাড়ির ঘর আলো করে আস...
09/12/2019

রূপকথার রাজকন্যাদের মতনই ১৮৮০ সালের ৯ই ডিসেম্বর, রংপুর জেলার পায়রাবন্দের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার বাড়ির ঘর আলো করে আসেন বেগম রোকেয়া। কিন্তু পরবর্তীতে এই মহান মহীয়সী যে আমাদের সমাজটাও আলোকিত করে তুলবেন, তা কিন্তু কেউ ভাবতেও পারেনি!

মাত্র ৫২ বছর বয়সে ১৯৩২ সালের ৯ই ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন। যেই বিন্দুতে তিনি তাঁর সংগ্রামের পথচলা শেষ করেছিলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সেই একই বিন্দুতে তাঁর পথচলা থেমে যায়।

ক্ষমা করে দাও সমাজ, জন্মই যখন পাপ।তোমাদেরকে, কি আর দেবো অভিশাপ।না জানি কোথায় আছে বাপ। কোথায় আছে মা।তাদেরকে বলে দিও, শী...
08/12/2019

ক্ষমা করে দাও সমাজ, জন্মই যখন পাপ।
তোমাদেরকে, কি আর দেবো অভিশাপ।

না জানি কোথায় আছে বাপ। কোথায় আছে মা।

তাদেরকে বলে দিও, শীতের রাত গুলো করে না, আমাদের মত হাজারো পথশিশুকে ক্ষমা।

24/11/2019

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের সব থেকে বেশী মন খারাপ থাকে জন্মদিনের দিন। কারণ জন্মদিনকে কেন্দ্র করে তাদের ছোট ছোট প্রত্যাশাগুলোও পূরণ হয় না।

শামিম রহমান আবির

মায়েরা নারী হলেও,  সকল নারী মা নয় । পৃথিবীর মোড়ে মোড়ে  খারাপ মেয়েমানুষ হয়ত পাবেন , কিন্তু পৃথিবীর কোথাও একটা খারাপ মা  প...
31/10/2019

মায়েরা নারী হলেও, সকল নারী মা নয় । পৃথিবীর মোড়ে মোড়ে খারাপ মেয়েমানুষ হয়ত পাবেন , কিন্তু পৃথিবীর কোথাও একটা খারাপ মা পাবেন না । মা এর সাথে নারী, মেয়ে, এদের কোনটাই মিলবে না । মা চরিত্রটা হল পৃথিবীর একমাত্র নোবেল চরিত্র এবং একক চরিত্র । The best character who is playing each & everyday is your mother.

এতগুলো অসুন্দর মেয়েমানুষ যে দেখি , কই একটা অসুন্দর মাকে তো দেখা যায় না । কারণ মায়েরা কখনও অসুন্দর হয় না । Every mother is beautiful .

মায়েদের আলাদা কোন গায়ের রঙ হয় না । পৃথিবীর একেক মানুষ, একেক রঙের হলেও, পৃথিবীর সকল মা শুধুমাত্র ধুসর রঙের । মা হওয়ার পরে প্রত্যেকটা মেয়ে ধুসর রঙের হয়ে যায় । পৃথিবীর সবচেয়ে কালো মেয়েটাও মা হওয়ার পরে ধুসর রঙ ধারণ করে ফেলে নিজের মধ্যে ।

মায়েদের নিদৃষ্ট কোন উচ্চতা নেই । উচ্চতা হতে পারে মানুষের কিংবা কোন বস্তুর । মায়েরা হয়ত মানুষের চেয়েও বেশি কিছু । মায়েদের উচ্চতা মাপার কোন যন্ত্র নেই । কারণ মায়েদের কোন উচ্চতা হয়না ।

মায়েদের আলাদা কোন যোগ্যতার দরকার হয় না । মা হওয়াটাই একটা যোগ্যতা । Womb is the only place where GOD comes continuously to take care of his creation . So nothing is more qualify then the womb .

মায়েরা শরীরে বৃদ্ধ হয় কিন্তু মনে কখনও বৃদ্ধ হতে পারে না । কারণ মায়েদের দায়িত্ব অনেক । মায়েদের বয়স সন্তান হওয়ার সাথে সাথেই সেখানেই আটকে থাকে । এজন্য সন্তান বড় হলেও মায়েরা ঠিক ছোট একটা শিশুই দেখতে পায় সবসময় ।


মায়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় । No matter your problems are, no matter what is happening in the world , no matter is there any world war or not but you are always safe in front of your mother . Every mother is the best warrior in the world.

মায়েরা সবসময়ই সুন্দর । কারণ সুন্দর মানেই মা । আর মায়েরা মানুষ নয় , মানুষের চেয়েও বেশি কিছু ।

Take care of your mother. Cause your mother is your blessing . ❤

ইচ্ছে গুলো বাঁচিয়ে  রাখা খুব জরুরী!! ❤️     !
14/10/2019

ইচ্ছে গুলো বাঁচিয়ে রাখা খুব জরুরী!! ❤️

!

08/10/2019

আমি খাল কেটে কুমির আনিনা; লাইফ খুব ভালো চলতে থাকলে নিজে গিয়ে কুমির ভর্তি খালে লাফ দেই।

03/10/2019

যে হৃদয় ক্ষমা চাইতে জানে। ভুল
স্বীকার করতে জানে। সেই হৃদয়ই
সবচেয়ে বেশি "ভালোবাসা" পাবার
যোগ্য। ❤

মুর্শিদ আছে দেশে দেশে, এই জগতে কতো বেশে;ধরতে পারলে পাবিরে তুই বেহেশতেরই নাজরানা।পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না ... ... ...
03/10/2019

মুর্শিদ আছে দেশে দেশে, এই জগতে কতো বেশে;
ধরতে পারলে পাবিরে তুই বেহেশতেরই নাজরানা।
পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না ... ... ...

27/09/2019

মানুষ তার বিশ্বাসের সমান সুন্দর। ❤️

ছবি তুলতে না জানলে যা হয় আর কি! 😜Device: Nikon D750
26/09/2019

ছবি তুলতে না জানলে যা হয় আর কি! 😜

Device: Nikon D750

মৃত্যু- হুমায়ূন আহমেদ (সকল কাঁটা ধন্য করে)তার পেটে ক্যানসার। দুবার অপারেশন হয়েছে। প্রথমবার দেশে, দ্বিতীয়বার কোলকাতায়। লা...
21/09/2019

মৃত্যু
- হুমায়ূন আহমেদ (সকল কাঁটা ধন্য করে)

তার পেটে ক্যানসার। দুবার অপারেশন হয়েছে। প্রথমবার দেশে, দ্বিতীয়বার কোলকাতায়। লাভ কিছু হল না। অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগলো। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো ব্যাঙ্ককের আমেরিকান হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসা না-কি ভালো। অনেক সময় এমন হয়েছে, দেশের ডাক্তাররা বলেছেন ক্যানসার—ওখানে গিয়ে দেখা গেছে অন্য কিছু।

তিনিও হয়তো তেমন কিছু আশা করছিলেন। কিন্তু ব্যাঙ্ককের ডাক্তাররা বিনয়ের সঙ্গে বললেন, রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন শুধু যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টাই করা যাবে। আর কিছু না।

তিনি হতভম্ব হয়ে ডাক্তারদের কথা শুনলেন। পাশে দাঁড়ানো তার বড় ছেলের দিকে তাকিয়ে নেত্রকোনার ডায়ালেক্টে বললেন–নাক চেপ্টা ডাক্তার, এইতা কি কয়?
ছেলে বলল, বাবা, তুমি কোন চিন্তা করবে না। আমি তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাব। যে চিকিৎসা কোথাও নেই–সেই চিকিৎসা আমেরিকায় আছে।
তিনি বিরক্ত গলায় বললেন, গাধার মত কথা বলিস না। আমেরিকার মানুষ বুঝি ক্যানসারে মরে না? চল দেশে যাই। মরণের জন্য তৈয়ার হই।

ভদ্রলোক মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন।
গল্প-উপন্যাসে এরকম চরিত্র পাওয়া যায়। অমোঘ মৃত্যুর সামনেও দেখা যায় গল্প-উপন্যাসের চরিত্ররা নির্বিকার থাকে। একটা হিন্দী ছবিতে দেখেছিলাম, নায়ক জানতে পেরেছে ক্যানসার হয়েছে। অল্প কিছুদিন বাঁচবে। জানবার পর থেকে তার ধেই ধেই নৃত্য আরো বেড়ে গেল। কথায় কথায় গান। কথায় কথায় হাসি।

বাস্তব কখনোই সেরকম নয়। বাস্তবের অসীম সাহসী মানুষও মৃত্যুর মুখোমুখি হতে পারেন না। মৃত্যুকে সহজভাবে গ্রহণ করা তো অনেক দূরের ব্যাপার ।
আমরা বেঁচে থাকতে চাই। শুধুই বেঁচে থাকতে চাই। যখন শেষ সময় উপস্থিত হয় তখনো বলি–দাও দাও। আর একটি মুহূর্ত দাও। দয়া কর।
গলিত স্থবির ব্যাঙ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে।
আরেকটি প্রভাতের ইশারায় অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে।
(আট বছর আগে একদিন)।

যে জীবনের জন্যে আমাদের এত মোহ, এত ভালবাসা, সেই জীবনটা যে কী তাই কি আমরা জানি? নিঃশ্বাস নেয়া, খাওয়া এবং ঘুমানো? না কি তার বাইরেও কিছু?

তত্ত্বকথায় না গিয়ে আগের জায়গায় ফিরে যাই। যে ভদ্রলোকের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, তার কাছে যাওয়া যাক। ভদ্রলোক শিক্ষকতা করেন। প্রাইভেট কলেজে ইংরেজি সাহিত্য পড়ান। তাঁর সারাজীবনই কষ্টে কষ্টে গেছে। শেষ সময়ে একটু সুখের মুখ দেখলেন। একজন ছেলে সরকারী কলেজে শিক্ষকতার কাজ পেল। আরেক ছেলে ব্যবসাতে ভালো টাকা পেতে লাগল। একমাত্র মেয়েটি মেডিকেল কলেজে ফোর্থ ইয়ারে আছে। এমন সুখের সময় সব ছেড়ে ছুটে চলে যাবার চিন্তাটাই তো অসহনীয়।
তারচেয়েও বড় কথা, তার যাত্রা এমন এক ভুবনের দিকে যে ভুবন সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। সঙ্গী-সাথীও কেউ নেই যে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভদ্রলোক মৃত্যুর প্রস্তুতিপর্ব শুরু করলেন অত্যন্ত সহজ ভঙ্গিতে। এরকম ভঙ্গি যে থাকা সম্ভব তাই আমি জানতাম না।

তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। ধরেই নিয়েছি, মৃত্যুভয়ে ভীত একজন মানুষকে দেখব, যিনি ডুবন্ত মানুষের মত হাতের কাছে যাই দেখছেন তাই ধরার চেষ্টা করছেন। যা ধরতে যাচ্ছেন তাও ফসকে ফসকে যাচ্ছে।

গিয়ে দেখি সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। ভদ্রলোক শুয়ে আছেন ঠিকই, কিন্তু মুখ হাসি হাসি। তার হাতে কি একটা ম্যাগাজিন। তিনি আমাকে দেখে হৈ হৈ করে উঠলেন।
আরে আরে, মিসির আলি চলে এসেছে!
আমি বললাম, কেমন আছেন?
খুবই খারাপ আছি। টাইমলি এসেছো। আর কিছুদিন পরে এলে দেখা হত না। ডাক্তার বলে দিয়েছে, আর বড়জোর একমাস।
আপনাকে দেখে কিন্তু ভালো লাগছে।
ভালো লাগারই তো কথা। চেহারা তো কোনদিন খারাপ ছিল না। হা হা হা।

আমি রীতিমত হকচকিয়ে গেলাম। কি নিয়ে আলাপ করব তাও বুঝতে পারছি না। মৃত্যুকে শিয়রে নিয়ে যিনি বসে আছেন তার সঙ্গে নিশ্চয়ই নাটক নিয়ে কথা বলা যায় না।
আমি বললাম, এখন চিকিৎসা কি হচ্ছে?
তিনি গলার স্বর নামিয়ে বললেন, সবরকম চিকিৎসা চলছে। আধিভৌতিক চিকিৎসাই বেশি চলছে। বর্তমানে একজন জ্বীন ডাক্তার আমার চিকিৎসা করছেন।
কে চিকিৎসা করছেন?
জ্বীন। জ্বীনদের মধ্যেও ডাক্তার কবিরাজ আছে। তাঁদেরই একজন।
বলেন কি!
যে যেখানে যা পাচ্ছে ধরে নিয়ে আসছে। কবিরাজ, পানিপড়া, মন্ত্র-তন্ত্র সব চলছে। একজন বালক-পীরের সন্ধান পাওয়া গেছে। বয়স নয় বছর। টাঙ্গাইলে থাকে। সে তেলপড়া দিয়েছে। সেই তেলপড়াও পেটে মালিশ করলাম।
কোন লাভ হচ্ছে কি?
লাভ হবে কোত্থেকে? অনেকের ভালো ব্যবসা হচ্ছে। তবে আমি আপত্তি করছি না। যে যা করতে বলছে, করছি। অনেকে আবার বোকার মত জিজ্ঞেস করে–কি খেতে মনে চায়? আমি রাগ করতে গিয়েও রাগ করি না। কি হবে রাগ করে? আমি খাবারের নাম বলি–যা খুব সহজে পাওয়া যায় না–আবার একেবারে দুষ্প্রাপ্যও নয়। যেমন একজনকে বললাম, চালতার আচার খেতে ইচ্ছা করছে। সে অনেক খুঁজে পেতে এক হরলিক্সের টিন ভর্তি চালতার আচার নিয়ে এল। এবং এই আচার খুঁজে বের করতে তার যে কি কষ্ট হয়েছে সেটা সে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বলল।

ভদ্রলোক কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। আমি বললাম, আপনি আর কথা বলবেন না, বিশ্রাম করুন। আমি আবার আসব।
তিনি অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে বললেন, এসো। এখন কথা বলতে এবং কথা শুনতে ভাল লাগে। আমি ইন্টারেস্টিং কিছু শুনতে চাই। কেউ ইন্টারেস্টিং কিছু বলতে পারে না। সবাই আমার কাছে এখন আসে তাদের সবচে বোরিং গল্পটা নিয়ে।

আমি চলে এলাম। চার-পাঁচ পর দিন তার ছেলে আমাকে এসে বলল, বাবার শরীর খুব খারাপ করেছে। আপনাকে শেষ দেখা দেখতে চায়।
আমি তৎক্ষণাৎ গেলাম। ভদ্রলোকের মুখ এখনো হাসি-হাসি। আমি বললাম–কেমন আছেন?
তিনি উত্তর দিলেন না। সম্ভবত এই প্রশ্নের উত্তর দিতে তার ইচ্ছা করছে না। আগেরবার আমার সঙ্গে আধশোয়া হয়ে গল্প করছিলেন–এবার শুয়েই রইলেন। ছেলেকে বললেন পাশ ফিরিয়ে দিতে। ছেলে পাশ ফিরিয়ে দিল। তিনি ক্ষীণ গলায় বললেন, যাত্রার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছি। একটা ইচ্ছা ছিল–আমার স্কুলের সব ছাত্রদের একবেলা দাওয়াত করে খাওয়াব–সে ইচ্ছাও পূর্ণ হচ্ছে। শনিবার দুপুরে এরা খাবে।
বাহ, ভাল তো!
তুমি এসো শনিবারে। তোমাকে দাওয়াত করছি না। দেখার জন্যে আসবে। ঐদিন শুধু বাচ্চাদের দাওয়াত।
জ্বি, আমি আসব।

তিনি অল্প খানিকক্ষণ কথা বলার পরিশ্রমেই হাঁপাতে লাগলেন। আমি বসে রইলাম। বিস্তর লোকজন আসছে-যাচ্ছে। অধিকাংশই কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলছে। তিনি সবার সঙ্গেই সহজভাবে একটা-দুইটা করে কথা বললেন। আমাকে নিচু গলায় বললেন, আল্লাহ পাক নিজেই মনে হয় সব মানুষকে মৃত্যুর জন্যে তৈরি করেন। এখন আর মানুষের সঙ্গ আমার ভালো লাগে না, অথচ কয়েকদিন আগেই অন্য ব্যাপার ছিল।
মৃত্যুর জন্যে আপনি তাহলে তৈরি?
হ্যাঁ।
ভয় লাগছে না?
লাগছে। আবার এক ধরনের কৌতূহলও হচ্ছে। এই প্রথমবার আমি এমন একটা জিনিস জানব যা তোমরা কেউই জানো না। মৃত্যু কি সেটা জানা যাবে। ঠিক না?
জ্বি ঠিক।
একটা মজার ব্যাপার কি লক্ষ্য করেছ–জন্ম সময়ের স্মৃতি মানুষ অন্যকে বলতে পারে না, আবার মৃত্যুর কথাও বলতে পারে না। জন্ম-মৃত্যু দুটা স্মৃতিই এমন–যা অন্যকে দেয়া যায় না। দুটোই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্মৃতি।
ঠিকই বলেছেন।

অসুস্থ মানুষের সামনে বসে চা খাওয়া যায় না। আমাকে খেতে হল। তিনি চা না খাইয়ে ছাড়বেন না। চলে আসবার সময় হঠাৎ বললেন–তুমি জিজ্ঞেস করছিলে ভয় লাগছে কি-না। হা লাগছে, প্রচণ্ড লাগছে। তবে এক ধরনের ভরসাও পাচ্ছি।
ভরসা পাচ্ছেন কেন?
ভরসা পাচ্ছি, কারণ পবিত্র কোরান শরীফে কয়েকটা অসাধারণ আয়াত আছে। ঐ আয়াতগুলি থেকে ভরসা পাচ্ছি। তুমি তো লেখালেখি কর–কোন এক ফাঁকে এই আয়াত কটা ঢুকিয়ে দিও। এতে মৃত্যুপথযাত্রী মানুষরা ভরসা পাবে।

আমি বললাম, আয়াত কটি বলুন আমি লিখে নিচ্ছি।

সুরা আল-ওয়াকিয়া, আয়াত ৮৪ ও ৮৫—
“একজন মানুষ যখন মারা যায়– তোমরা তখন তাকে ঘিরে বসে থাকো। কিন্তু তোমরা জান না, তোমরা ঐ মৃত্যুপথযাত্রীর যতটা কাছে বসে থাকো আমি তারচেয়েও অনেক কাছে থাকি।”

ভদ্রলোক শান্তস্বরে বললেন–মৃত্যুর সময় পরম করুণাময় যদি আমার পাশে থাকেন, তা হলে আর ভয় কি?

রুপালি গিটার ❤
18/09/2019

রুপালি গিটার ❤

Congratulations! ❤️Team Bangladesh.  🇧🇩
13/09/2019

Congratulations! ❤️
Team Bangladesh. 🇧🇩

"প্রিয় মুখ কিছু দিন পরপর দেখতে হয়। মানুষের মস্তিষ্ক অপ্রিয়জনদের ছবি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। প্রিয়জনদের ছবি কোন এক বিচিত্...
13/09/2019

"প্রিয় মুখ কিছু দিন পরপর দেখতে হয়। মানুষের মস্তিষ্ক অপ্রিয়জনদের ছবি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। প্রিয়জনদের ছবি কোন এক বিচিত্র কারণে কখনো সাজায় না। যে জন্য চোখ বন্ধ করে প্রিয়জনের চেহারা কখনোই মনে করা যায় না। "

- হিমু

বন্ধুর কাছে নাড়ু খেতে চাইবার আগে, তাঁর মন্দির নিরাপদ রাখার দায়িত্ব নিন। 🤝
11/09/2019

বন্ধুর কাছে নাড়ু খেতে চাইবার আগে,
তাঁর মন্দির নিরাপদ রাখার দায়িত্ব নিন। 🤝

কিডনি দুইটা কিন্তু ক্যামেরা তিনটাএ কি করলো আপেল 🍎 কোম্পানি!!! 🤧
11/09/2019

কিডনি দুইটা কিন্তু ক্যামেরা তিনটা
এ কি করলো আপেল 🍎 কোম্পানি!!! 🤧

ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে স্বীয় চরিত্রের উপর। ধন-সম্পদ কিংবা ক্ষমতার উপর নয়। নিজেকে সহজ ভাবে প্রকাশ করা, জাহির করা না; চরিত্...
29/08/2019

ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে স্বীয় চরিত্রের উপর। ধন-সম্পদ কিংবা ক্ষমতার উপর নয়। নিজেকে সহজ ভাবে প্রকাশ করা, জাহির করা না; চরিত্র যত উন্নত হবে, ব্যক্তিত্ব ততটাই বিকশিত হবে।

ব্যক্তিত্বের দ্বারা যেমন অন্যের প্রশংসা পেতে পারেন আবার ঘৃণার পাত্র হতে পারেন। আজ ব্যক্তিত্বের অভাবে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে গেছে। তাই বলবো নিজের ব্যক্তিত্বের উপর কোন কলঙ্ক আঁকতে দেবেন না।

আপনার ব্যক্তিত্বের উপর যেন অন্য কেউ প্রভাব ফেলতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। সুস্থ থাকুন।

ছোট্ট একটা কুইজ বলুন তো এই জায়গাটি কোথায়??? :)
27/08/2019

ছোট্ট একটা কুইজ
বলুন তো এই জায়গাটি কোথায়??? :)

Address

Dhaka
1205

Telephone

+8801674888898

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শামিম রহমান আবির posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to শামিম রহমান আবির:

Share

Category