27/06/2024
"সুখবর বলবো নাকি দুঃসংবাদ বলবো ভেবে কুল পাচ্ছি না" !!! ✍️ এস এ এম নূর হোসাইন
মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ৫হি'ন্দু যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ ।
টাঙ্গাইলে মাদ্রাসার ছাত্রীকে জোরপূর্বক হিন্দু ছেলের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, অপহরণ করে ৫হি'ন্দু যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। ইসকনের ডেডিকেটেড কর্মী সাগর চন্দ্র শীল পার্শ্ববর্তী এলাকার এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে প্রথমে ইভটিজিং করতো পরবর্তীতে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তাতে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় এবার সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব। তাতেও রাজি না হওয়ায়, ঘটনার দিন সকালে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শালদাইর ব্রিজের কাছে পৌঁছালে সাগর শীল আরো দুইজন বন্ধুকে নিয়ে মেয়েটিকে প্রকাশ্য দিবালোকে জোর পূর্বক সিএনজিতে তোলে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকায় নিয়ে যায়।
আবার সেখানে মধুপুর চোরাল জানী গ্রামে সাগর শীলের বন্ধু রাজনের বাড়িতে নিয়ে উঠে। সেখানে তারা ৫ হি'ন্দু যুবক মিলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে নিয়ে মাস্তি করে এবং মেয়েটিকে সাগর শীলের সাথে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু সাগর শীল হি'ন্দু হওয়াতে মেয়েটি বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয় নাই। বিয়েতে রাজি না হওয়ার কারণে ওই রাতেই সাগর শীল তার বন্ধু রাজনের বাড়িতে মেয়েটিকে আটকে রেখে বন্ধুরা জনসহ দুইজনে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এতে তারা ক্ষান্ত হয়নি। দিনের বেলায় মেয়েটির উপর চলেছে অমানুষিক নির্যাতন। আর রাতে মেয়েটিকে এবার বংশাই নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে সেখানে তারা ৫ জন হিন্দু যুবক মিলে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। মেয়েটির আত্মচিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তাদের ভয়ে কেউ উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। আধ মরা অবস্থায় মেয়েটিকে ফেলে রেখে গেলে ভোরে পথচারীদের সহায়তায় স্বজনেরা এসে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হলে, মূল আসামিকে বাদ দিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষনকারীদের মধ্য থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। মূল আসামি সহ তিনজন পলাতক। তাদেরকে পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। কিছুই করার নাই। বলতে গেলে অঘোষিতভাবে এখন হিন্দুদের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক কোন বিচার হবে বলে আমার মনে হয় না। দুই একটা মিডিয়া ছাড়া আর কেউ এই নিউজ প্রচারও করবে না। কারণ অতীতে শিক্ষক পরিমলের কোন বিচার হয়নি। মুসলিম গৃহবধূকে ধর্ষণের নের কোন বিচার হয়নি। মুসলিম তরুণীকে জোরপূর্বক মাথায় সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে এবং ধর্ষণের কোন বিচার হয়নি। মিথ্যা অজুহাতে মুসলিম যুবকদেরকে মন্দিরে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যার কোন বিচার হয়নি। বিষয়টি শুনতে গা শিউরে উঠে। ভাবতে অবাক লাগে। একজন বিবেকবান মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন !!!
আমি ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ইসকনের হিন্দু সন্ত্রাসীদের টার্গেট মুসলিম তরুণী, শীর্ষক পোস্ট করেছিলাম। এখন তার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন তো ?
প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা এখনো কি ভাবার সময় হয়নি? বিষয়ে ভাবতে যদি তোমাদের কষ্ট লাগে! মুখ খুলতে যদি লজ্জা লাগে! তাহলে পরিত্রাণের আর কোন উপায় থাকবে না। এখনো সময় আছে। ভাবতে হবে তোমাকে। সোচ্চার হতে হবে। মুসলিম জাতির ঈমান আকিদা সংস্কৃতি, মুসলিম মেয়েদের মান ইজ্জত এবং দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হিন্দুদের গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। মুসলমানদের ইজ্জত সম্মান এবং আমাদের কলিজার টুকরা মেয়েদেরকে হিন্দুদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়ে রুখে দিতে হবে তাদের সকল নোংরা ষড়যন্ত্র।
এমতাবস্থায় আমাদের শেষ ভরসা, রাষ্ট্র নায়ক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন। আপনি বাংলার নারীদের শিরোমনি। মায়ের জাতি, আপনি পর্দাশীল দ্বীনদার একজন মুসলিম নারী। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের মুসলিম মা বোনদের এবং আমাদের কলিজার টুকরা মেয়েদের ইজ্জত সম্ভ্রম রক্ষার্থে উক্ত ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
পরবর্তীতে আর যাতে করে কেউ কোনো প্রকার আস্কারা না পায়, সে বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশ দানে জন্য সারাদেশের মুসলমানদের পক্ষ থেকে বিনয়ের সাথে আপনাকে অনুরোধ করছি।
এই ধরনের ঘটনার স্বীকার হয়ে, বাংলাদেশের ৬৮হাজার মুসলিম তরুণী বর্তমানে ভারতের পতিতালয়ে আটক আছে।
এর সংখ্যা দিন দিন গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত অনিবার্য।।