Anuranon অনুরণন

Anuranon অনুরণন বিজ্ঞান ভিত্তিক সাময়িকী

21/08/2020

এ্যাসাইনমেন্ট- পর্ব-৪
রাকিন দীর্ঘ ৯ মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ডান পা একটু ছোট করে সুস্থ হয়ে বাসায় আসে। ভাগ্য ওর ভালো প্রতিটা গুলি ওর শরীরে বিদ্ধ হয়ে এফোর ওফোর হয়ে যায় কিন্তু কোন কারনে হার্ট, ফুসফুস, লিভার বা কিডনি কোথাও আঘাত করেনি। এরপর আর রাকিব এর জীবন বদলে যায়, রাকিব এখন এম.ডি ইয়েন বায়িং হাউজ। রাকিবের নতুন জীবন, নতুন গাড়ী, নতুন অফিস। ২দিন আগে সিয়েন বারে রাকিবের সাথে সচিন এর সাথে দেখা দীর্ঘ ৫ বছর বছর পর। সেদিন রাকিবের নেশা একটু বেশীই ধরেছিলো। এলোমেলো লাগছিলো সবকিছু, ঠিক তার পিছনের টেবিলে প্রচন্ড চিল্লাচিল্লি হচ্ছিল, নেশাটা কেটে যাচ্ছিলো, বার বার মনে হচ্ছিলো চেয়ারটা ছুড়ে মারে কিন্তু নিজকে সংযত করে।....চলবে

30/05/2020

TANU YOU ARE MOST WELCOM
Emadul Haque Tanu

23/02/2020

অনলাইন-পর্ব ০৩
*****------****
একদিন অফিসে যেয়ে সাইদ তার ফেসবুক এ্যাকাউন্টের ম্যাসেঞ্জারে ইন্দোনেশিয়ার এক মেয়ের লিখা যা বাংলায় অনুবাদ করলে এইরকম, সাইদ, আমি তোমার প্রোফাইল দেখেছি, আমার মনে হয়েছে তুমিই একমাত্র ব্যক্তি যে আমার কাজ করে দিতে পারো। সাথে আমার ইমেইল দিলাম তুমি সেই ইমেইলে হ্যালো করো, বাকী ডিটেইলস আমি ইমেইলে লিখে দিবো তোমার কি করতে হবে। জলদি ইমেইল করো। ব্যাপারটা খুবই গোপনীয় তাই কারো সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করো না। ইতি সাবরিহাও রিনি।.....চলবে/

23/02/2020

অনলাইন-পর্ব ০২
*****------****
বেতন পায় সর্বসাকূল্যে ১৮,০০০/- টাকা, দোকান ভাড়া পায় ৪,০০০/- টাকা, সহিদার মা'র দেয়া বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় পত্রের মাধ্যমে প্রতি মাসে পায় ৩,০০০/- টাকা, সর্বমোট তাদের আয় প্রতি মাসে ২৫,০০০/- টাকা। কিন্তু ছেলেরা বড় হওয়াতে তাদের স্কুলের বেতন, কোচিং, যাতায়াত ভাড়া, মাসিক বাজার সহ প্রতিমাসে খরচ হয় ৪০,০০০/- টাকা থেকে ৫০,০০০/- টাকা। এই বাড়তি টাকার জন্যে সাইদকে অনলাইনে ঘরে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করতে হয়। রাত জাগতে হয়। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বয়স দিন দিন বেড়ে যাওয়াতে এখন পরিশ্রম করতে খুব কষ্ট হয়। সহিদাও অসম্ভব কষ্ট করে। সকালবেলা উঠে সকলের নাস্তা তৈরী করা, ছেলেদের টিফিন দিয়ে তাদের স্কুলে রিক্সায় নিয়ে পৌঁছে দেয়া। বাসায় আসার সময় হেটে হেটেই চলে আসে, শরীর ঘেমে যায়, অনেক সময় আর পা চলতে চায় না তখন খুব কষ্ট হয়। তবুও সাইদকে এবং তাদের বাচ্চাদের নিয়ে সহিদা খুবই সুখী। সহিদা নিজে যেমন সংসারের সবাইকে ভালোবাসে ঠিক তেমনি সাইদও বৌ কে এবং সন্তানদের অসম্ভব ভালোবাসে। ....চলবে/

23/02/2020

অনলাইন-পর্ব ০১
*****------****
সাইদের বয়স আজকে ১০ই জানুয়ারী'তে ৫১ বছর পূর্ণ হলো। বাসায় রাতে কেক কাটা হলো, বৌ এর রান্না করা পোলাও, গরু, মুরগী, মাছ, খাওয়া দাওয়া হলো। তাদের দুইটা ছেলে সন্তান। বড় ছেলের বয়স ১৩ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স ৯ বছর। দুজনই ভালো স্কুলে পড়াশোনা করে। সাইদের বৌ সহিদা একজন সাংসারিক মহিলা, বয়স ৩৭ বছর। এই বয়সেও তার শরীর স্বাস্থ্য বেশ ভালো দেখতেও সুন্দরী। সুন্দর করে দুই বেনী করে চুল বাঁধলে মনে হয় মাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছে। সাইদ এবং সহিদা ১৯ বছরের সাংসারিক জীবনে অনেক সুখী। সাইদ একটা আউটসোর্সিং ফার্মে চাকরি করে। ....চলবে/

16/02/2020

শীগ্রই আসছে কিছু...

28/11/2019

রহস্য-১১
-----+++++
সানু আমাকে ক্রমান্নয়ে আকর্ষণ করে চলছে। কি যেনো ওর মধ্যে আছে যা আমাকে আকর্ষণ করে, মনে হয় মায়াবী চোখ আর নিখুঁত শরীর। ভদ্র মেয়ে। কে বলবে এই মেয়ে বস্তিতে মানুষ হয়েছে। আসলে সানুর একটা সুনির্দিষ্ট চিন্তা ভাবনা নিয়ে আমার কাছে প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। যা সে আমাকে বলার জন্যেই এতদিন অপেক্ষা করেছে, কত কাহিনীর জন্ম দিয়েছে, কত অভিনয় করছে। আমি কখনই কল্পনা করিনি সানু একটা প্লান করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আমার কাছে একটা বিষয় নিয়ে অনুরোধ করবে, যেটা আমাকে করতে হবে। আগামীকাল বলবে। আমি কোন কিছুরই কূল কিনারা পাচ্ছি না যে কি বলবে। কিছুটা ভয়ও পাচ্ছি। ঘুম হারাম হয়ে গেছে আমার।...... চলবে

23/06/2019
22/06/2019

রহস্য-১০
-----+++++
আজকে ঠিক এক সপ্তাহ পর ২য় দফায় সানুর সাথে আমার দেখা হবে একই জায়গায় একই সময়। এর মধ্যে তার ফোনেও কোন কথা হয় নাই। পুরো এক সপ্তাহ আমি কোন কুল কিনারা পাই নাই যে ভাইয়াদের ব্যাপার গুলোর সাথে সানু মেয়েটার কি সম্পর্ক। হয়তো আজকে এর উত্তর পেয়ে যাবো। আমার সানুকে বেশ ভালো লেগেছে, সুন্দরী কিন্তু মনে একটা দুঃখের ছায়া। এইসব আবোল তাবোল নিয়ে অফিসে বসে ভাবছি। আসলে সানু কি চায়? আমি ওর কি উপকার করতে পারি? ভাইয়া এবং তার বন্ধুদের চিনে তাদের পারিবারিক অবস্থানও জানে, তাহলে এই মেয়েটা কে? এইসব ভাবতে ভাবতে সকাল দুপুর বিকেল পেরিয়ে আমার অফিস ছুটির সময় হলো। আর একঘন্টা পর সানুর সাথে দেখা হবে।
সন্ধা ৬:৩০মি:, চয়নিকা রেষ্টুরেন্টে অনেক লোক জনের মধ্যে আমি একটা টেবিলে একা বসে আছি। সানুর জন্যে অপেক্ষা করছি আর গেটের দিকে তাকিয়ে আছি। অবশেষে সানু ঢুকলো, ঢুকেই সালাম দিলো এবং হাসি মুখে বললো ভাই কেমন আছেন, সব খবর ভালো? আমিও হেসে বললাম ভালো আছি। বসেন সামনের চেয়ারে আজকে আপনাকে দেখি। সানু আমার কথায় কোনপ্রকার মাইন্ড না করে হাসতে হাসতে বসে পড়লো। হালকা লাইটের বেশীরভাগ আলো ওর চেহারায় পরায় আজকে আমি ওর চেহারা আরও নিখুতভাবে দেখছি নির্লজ্জ ভাবে কিছু খোঁজার চেষ্টা করছি। ব্যাপারটা সানু লক্ষ্য করে আবার হেসে বললো ভাই এইভাবে আমাকে দেখবেন না প্লিজ। আমিও হেসে বললাম সরি সানু। এই কথা বলে যখন আমি ঠিক চোখটা নামিয়ে নিবো তখন আমার নজরে পড়লো ওর উপরের ঠোটের ডান দিকে বড় একটা কালো তিল যা আমি আগে কোথাও অসংখ্য বার দেখেছি, আমার কাছে খুব পরিচিত। আমি চোখ নামিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বললাম আজকে কি খাব? বিল আমি দিবো। সানু বললো আপনার পছন্দমত আজকে খাবার খাবো, সো আপনি আজকে অর্ডার দেন।
------- চলবে

19/06/2019

রহস্য-৯
****++++
১৭ বছর আগের ঘটনা মনে হয়ে গেলো, প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলাম। ভাইয়া মারা যাওয়ার পর আমার বাবা মা বেশীদিন বাঁচেন নাই। আমি তখন সবেমাত্র নটরডেম কলেজে ভর্তি হলাম। ক্লাশ শুরুর প্রথমদিনই ঘটলো দূর্ঘটনা। ক্লাশ শেষ করে বাসায় ঢোকার আগেই দেখি বাসার সামনে লোকজনের ভীড়। সবাইর চেহারায় একটা ভয়ের ছাপ। বাসায় পুলিশের গাড়ি ভরা। তখনও বুঝি নাই যে ভাইয়া ভাবি দুজনেই প্রতিপক্ষের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেছে সাথে আকবর ভাইও। ভাগ্যক্রমে আকবর ভাইয়ের বৌ সেদিন তার বাপের বাড়িতে ছিলো। কিন্তু সে যখন আকবর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পায় তখন সে নিজেও সেই মৃত্যুর খবর সহ্য করতে পারছিলো না তাই বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলো। একেতো সে ৮ মাসের অন্তঃসত্তা তার উপর স্বামীর মৃত্যু সংবাদ। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তারদের বোর্ড বসে যায় সেই মুমূর্ষু রোগী কে নিয়ে। শেষমেষ হেড সার্জন বের হয়ে বলেন আমরা একজন কে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারি। মায়ের অবস্থা শোচনীয় স্ট্রোক করেছে কিন্তু এই মুহূর্তে সিজার করলে বেবিটাকে হয়তো বাঁচানো যেতে পারে। ২ মিনিটের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো সিজার করা হবে। সিজার করার পর পর মা মারা গেলো কিন্তু বেবিটা বেচেঁ গেলো। এরপর আমি আর কিছুই জানতাম না। জানার কোন ইচ্ছাও ছিলো না। কারণ আমার বাবা মা'র অকাল মৃত্যুর জন্যে আমি ভাইয়াকেই দায়ী করতাম। ভাইয়া আর আকবর ভাই লোপা নিপা নামে দুই যমজ বোনকে বিয়ে করেছিলো। তারা দুজনেই দেখতে হুবুহ একইরকম সবসময় একই রকম কাপড় পরতো কিন্তু পার্থক্য হলো নিপার উপরের ঠোটে ডানদিকে কালো বড় একটা তিল ছিলো। লোপা ছিলো ভাইয়ার বৌ আর নিপা ছিলো আকবর ভাইয়ের বৌ। দুজনাই দেখতে বেশ লম্বা এবং সুন্দরী ছিলো। কথাবার্তা এবং ব্যবহারও আকর্ষণীয় ছিলো। সমস্যা একটাই ছিলো তাদের বাবা ছিলো গরীব একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী কাজ করতো সিটি কর্পোরেশন এর দারোয়ান এবং তাদের বসবাস ছিলো বস্তিতে। তাই আকবর ভাইয়ের বাবা এবং তাঁদের ফ্যামিলি এই বিয়ে মেনে নেননি।

18/06/2019

রহস্য-৮
----++++++
আমার জানামতে আকবর ভাইরা অনেক বড়লোক ছিলেন, আমাদের বাসায় যখন আসতেন অনেক দামী গাড়িতে আসতেন এবং নিজই ড্রাভিং করতেন। আমাকে নিয়ে মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়াতেন আর বলতেন, শোন ছোটু জীবনটা অনেক ছোট এর মধ্যে অনেক কাজ করতে হয় যার মধ্যে আমার কোন কাজই হয় নাই। আমাকে তিনি ছোটু বলে ডাকতেন, কারণ তার কোন ভাইবোন ছিলো না। আমি বলতাম বলেন জীবনে কি কি কাজ করতে হয়? তখন তিনি হাসতেন আর বলতেন ঠিক বয়সে বিয়ে করতে হয়, চাকরি বা ব্যবসা করতে হয়, ছেলেমেয়ে জন্ম দিতে হয় এবং তাদের মানুষ করতে হয়। কিন্তু আমার আমাদের কিছুই করা হলো না।
এর কিছুদিন পর আকবর ভাই আর আমার ভাই হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে একই সাথে একই দিনে কাজী অফিসে যেয়ে যমজ দুই বোন কে দুইজন বিয়ে করে ফেলে। আমার বাবা মা তা মেনে নিলেও আকবর ভাইয়ের বাবা মা তা মেনে নেন নাই। তাই তারা প্রথমে আমাদের বাসায়ই থাকতেন পরে একটা ভাড়া বাসায় ২ জনই থাকতেন।
আমি যখন কলেজে পড়ি তখন জানতে পারি আমার ভাই সহ তারা ৫ জনই পুলিশের তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তারা অস্ত্র বেঁচাকেনা সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। আমার মাথায় আসতো না তারা কিসের অভাবে এগুলোর সাথে জরিয়ে গেলেন। পুলিশ, ডিবি পুলিশ, সিআইডি প্রায়ই ঘরে তল্লাশী করতে আসতো। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলা ছিলো। ভাইয়া মাঝে মাঝে গভীর রাতে লুকিয়ে বৌ কে সাথে নিয়ে এসে মায়ের সাথে দেখা করে যেতো। যতক্ষণ ভাইয়া থাকতো ততক্ষণ বাইরে ৩/৪ জন লোক তাদের গার্ড দিতো। মা শুধু কাঁদতো আর তাদের নিজের হাতে খাইয়ে দিতেন। ভাইয়া আমাকে খুব আদর করতো এবং বলতো তুই আমাকে অনুসরণ করবি না তাহলে তোকে গুলি করে মেরে ফেলবো, আমি ভয় পেতাম। আমি বলতাম ঠিক আছে ভাইয়া। ভাইয়া বলতো আমি একদিন থাকবো না আমাকে মেরে ফেলবে তখন তুই বাবা মা কে দেখবি। তখন ভাইয়ার কথাগুলো আমি শুধু গিলতাম কিন্তু কিছুই বুঝতাম না। কারা বা কেনই বা ভাইয়াকে মেরে ফেলবে। আসলে আধিপত্য বিস্তার যে একটা নেশা সেটা আমার মাথায় কোনদিন আসেনি।
চলবে....

18/06/2019

রহস্য-৭
**+++++++
মেয়েটির কথাবার্তায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো। এতদিন কেউ এগুলো নিয়ে একবারও জিজ্ঞেস করে নাই।
সানু- পল্টুভাই, পানুভাই, নাজিমভাই বিদেশে আছেন কিন্তু তিনজন তিন দেশে, আপনি কি জানেন?
আমি- জানি, অবশ্যই জানি।
সানু- তাঁদের সাথে আপনার কোন যোগাযোগ আছে?
আমি- অবশ্যই আছে।
সানু- আকবরের ব্যাপারে কি জানেন?
আমি- আকবর ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন।
সানু- আর কি জানেন?
আমি- আর তেমন কিছু জানি না তবে ভাইয়া আর আকবর ভাই একসাথে প্রান হারান।
সানু- আর কিছু?
আমি- তিনি বিবাহিত ছিলেন, এবং মারা যাওয়ার সময় তার বৌ এর ৮ মাসের অন্তঃসত্তা। তারপর আর কোনদিন তাদের দেখিনি।
চলবে...

15/06/2019

রহস্য-৬
---++++++
বাসার সামনে চয়নিকা নামে রেষ্টুরেন্টে আগের দেয়া সময়মত ঢুকলাম। চতুর্দিকে দৃষ্টি দিয়ে কালো শাড়ী পড়া একটি মেয়ে টেবিলে বসে আছে, হালকা আলোতেও মেয়েটিকে চিনে ফেললাম। এখন আর কোন ভয় কাজ করছে না, বুকটা ধুক ধুক করছে না। মেয়েটি খুবই সাবলীলভাবে বসে আছে। আমাকে কাছে দেখে সালাম দিয়ে বসতে বললো। আমি বসলাম, ভালো লাগলো মেয়েটির আপ্যায়ন ভঙ্গি। মেয়েটি আমার ডাক নাম সানু, এই নামেই আমাকে ডাকবেন কিন্তু আমার ২য় আরেকটি নাম আছে সময় হলে বলবো। এখন বলুন।
সানু- তারেকভাই আজকে যা কথা হবে তা কাউকে বলতে পারবেন না, আর যা খাবো বিল আমি দিবো।
আমি- ঠিক আছে। বল তোমাকে আমি কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
সানু- যা বলবেন সত্যি বলবেন, ঠিক আছে ভাই।
আমি- ঠিক আছে।
সানু- আপনারা ২ ভাই ছিলেন তাইনা? আপনার বড়ভাই তরিকভাই এলাকার সবচাইতে বড় সাহসী গুন্ডা ছিলো। ১৭ বছর আগে তাঁর মৃত্যু ঘটে প্রতিপক্ষের গুলিতে, কথাটা কি ঠিক?
আমি অবাক হলাম এবং কখনও ভাবিনি ১৭ বছর আগের ঘটনা আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করতে পারে।
আমি- হ্যাঁ, ঠিক।
সানু- আপনার বড় ভাই খুব ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিলেন এবং তার বন্ধুরাও, রাইট?
আমি- রাইট।
সানু- তারা ৫জন মিলে একটা দল ছিলো। দলের সবাইকে আপনি চিনেন?
আমি- জ্বি, চিনি।
সানু- তরিকভাই ছিলেন গং লিডার, আকবর৷ ভাই ছিলে ২য়, ৩য় ছিলেন নাজিম ভাই, ৪র্থ ছিলেন পানু ভাই আর ৫ম ছিলেন পল্টু ওরফে গিট্টু পল্টু, তারা ৫ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্স পাশ করা, রাইট?
(আমি খুবই আশ্চর্য হলাম মেয়েটি এইসব ঘটনা কি করে জানলো। তাহলে কে হতে পারে মেয়েটি আমার মতো কারো আত্মীয় স্বজন নাকি। কিন্তু যাদের নাম বললো তাদের সবাইকে এবং তাদের বাবা মা ভাই বোন সহ সকল আত্নীয় স্বজনও আমি চিনি। কে এই মেয়েটা। মনে অনেক খটকা ঘুরপাক খাচ্ছে)।
আমি- রাইট, তুম এতক্ষণ যা বললে সব ঠিক আছে, কিন্তু আমাকে এগুলো কেন জিজ্ঞেস করছো কেন? আর তুমি কে? এরপর এব্যাপারে আমি আর কিছু বলবো না যদি না তুমি নিজের পরিচয় দেও।
মেয়েটি সুন্দর এবং পরিতৃপ্ত একটি হাসি দিলো। বললো বলবো এবং পরিচয়ও দিবো, তার আগে কিছু কমিটমেন্ট করতে হবে।
সানু- আপনি কি রাজি?
আমি- এজটু সময় নিলাম, চুপচাপ ভাবলাম তারপর বললাম, আমি রাজি।

12/06/2019

রহস্য-৫
----+++++
গত ২দিন ধরে ভাবছি কি করবো। মেয়েটিকে ফোন করবো কিনা, নাকি ফোন নম্বররের কাগজটা ছিড়ে ফেলবো। ঠিক বুঝতে পারছি না।
আজ শুক্রবার অফিস বন্ধ। জুম্মা নামাযে যেতে হবে। বাসার কিছু রিপেয়ার কাজ করতে হবে। মনটা সকাল থেকে উসখুস করছে। মেয়েটি কি চায় তা বুঝেই উঠতে পারছি না। ভীষণ আবোল তাবোল চিন্তা ভাবনা আসছে। আমি এাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগছি। ব্রোমাজিপাম জাতীয় কিছু খেতে হবে। ঘুম দরকার। অসুধ খেয়েও ঘুম হলো না। মাথা স্থীর কাজ করছে না।
অবশেষে মোবাইলটা নিয়ে কাগজে লিখা নম্বরে রিং দিলাম। একটা রিং হতেই ফোনটা সালাম দিয়ে ধরে বললো, 'তারেক ভাই ভালো আছেন'?। আমি বুঝলাম আমার নাম এবং নম্বর মেয়েটির মোবাইলে সেভ করা আছে। আমি ভয়ে ভয়ে কাঁপা গলায় বললাম, বলুন আপনি কি বলতে চান। মেয়েটি বললো আসলে তারেক ভাই ফোনেতো সব বলা যাবে না, আপনি আমার সাথে দয়া করে সামনের সপ্তাহে বিকালে একদিন যেকোন যায়গায় দেখা করুন। ভয় পাওয়ার কিছু নাই, বসে কথা বললে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। আমি বললাম কোথায় বসা যায়? মেয়েটি বললো যেখানে আপনার মন চায়। আমার মন চায় এমন কোন যায়গা আমার নাই, তবে ঘরের সামনে একটা ছোট রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে বসা যেতে পারে। মেয়েটি রাজি হলো। সামনের রবিবার সন্ধা ৬ টায় আমাদের প্রথম কথা হবে। কিছুটা হলকা লাগছে, তবুও ভয় একটা রয়েই গেলো।
----- চলবে

10/06/2019

রহস্য-৪
-----++++
খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভয় কেটে গেলো, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলো এবং খুব স্বাভাবিক ভাবে মেয়েটি আমাকে জিজ্ঞেস করলো 'ভাই, আপনার নাম কি তারেক?
আমি বললাম হ্যাঁ, কিন্তু আপনি কে? মেয়েটি বললো, আমাকে আপনি চিনবেন না, আমার নাম সানু, আমি মগবাজার মাজার রোডের বস্তিতে থাকি।
আমি খুবই আশ্চর্য হই, মেমোরি ঘুরাতে থাকি মাগবাজার, মাজার রোড বস্তি সহ তার আসে পাশের সব জায়গা, না কিন্তু কোন কুল কিনারাই মেমোরিতে আসে না। তখন মেয়েটি আবার বললো, 'বললামতো আপনি আমাকে চিনবেন না, কখনও দেখেননি, কখনও আমাদের পরিচয়ও হয়নি। আপনি আমার একটা উপকার করতে পারেন। একমাত্র আপনিই পারবেন আমার একটা ব্যাপার সমাধান করতে। যদি আমার উপকার করতে চান তাহলেই বলবো। না উপকার করতে চাইলে বলবো না। ব্যাপারটা ভেবে বলুন তারেক ভাই।'
আমি পাল্টা প্রশ্ন করি 'উপকার করার সামর্থ্য কি আমার আছে? মেয়েটি বললো অবশ্যই আছে এবং একমাত্র আপনারই আছে। আমি মনে মনে ভাবি কি সমস্যার মধ্যে পড়লাম। কে এই মেয়েটি, সে আমার কাছে কি উপকার চায়, আমার কাছে কেন আসলো, বাসার সামনেই বা কেন আমাকে লুকিয়ে ফলো করলো, আমি কি ধরনের উপকার করতে পারি ইত্যাদি মাথায় ঘুরছে, এমন সময় মেয়েটি বললো একটা কাগজ আমার দিকে বারিয়ে, তারেক ভাই এটাতে আমার ফোন নম্বর আছে রাখেন, সময় নেন, পরে যখন মনে হবে কিছু বলার আমাকে রিং দিয়েন, এই ব্যাপারে আলাপ হবে, আর আমি ঐ বস্তিতে এখন থাকি না। এখানেও আর আসবো না, আমাকে ঐ নামে ঐখানে খুঁজবেন না। হাতে সময় কম। যোগাযোগ করেন। এই বলেই মেয়েটি জোরে জোরে হেটে চলে গেলো সামনে ডান দিকের মোরে ঘুরলো একটা সিএনজি স্টার্ট নিলো, আমি এগিয়ে ডানদিকের মোরে মেয়েটিকে দেখলাম না। একটা সিএনজি চলে যেতে দেখলাম।...... চলবে

10/06/2019

রহস্য-৩
------+++
আজকে ২৭ রমযানের রাত পার করছি। এখন বাজে রাত ২:১৯ মি। আমি নামায পড়ছিলাম, অজু'র প্রয়োজনে বের হলাম। বের হয়ে বারান্দায় আসলাম। মসজিদের চতুর্দিকে একটা চক্কর দিলাম কাছের কোন বন্ধুর দেখা মিলে কিনা। কাউকে দেখলাম না, দোকানপাট বন্ধ, একটু আগেও সব খোলা ছিলো। সব গেটে বেশ কিছু ফকির ঘোরা ফিরা করছে। আর কিছু বৃদ্ধ পুরুষ মহিলা বসে বসে ঝিমুচ্ছে, সামনে প্লেট তার ভিতর কিছু খুচরা পয়সা রাখা। আর যারা বিভিন্ন গেটে ঘুরছে তাদের কিছু বাচ্চা বালক বালিকা একটু পর পর এই গেট ঐ গেট দৌরাচ্ছে। এরা বেশীর ভাগ ভাইবোন। যখন কোন গেটে দানকারী বড় নোট দিচ্ছে সেই গেটে দাড়ানো এবং বসা ফকিররা সবার আগে পায়। যে প্রথম পায় সে অপর গেট গুলোতে দৌড়ে বলে আসে। তখন অন্যরাও দৌড়ে সেই গেটে হুলস্থুল করছে।
ভোরবেলা ঘরে ফিরার সময় নজরে আসলো আলো আঁধারে বোরখা পড়া মেয়েটা বসে আছে। আমার দিকেই তাকানো, আজকে বোরখার মুখের ঢাকনা উঠানো, সেই অনেকদিন আগে গাড়ীর হেড লাইটে দেখা মেয়েটির মুখ, চিনতে মোটেই কষ্ট হয়নি, মনে হচ্ছে আমার সাথে কথা বলার জন্যেই বসে আছে। আমার সমস্ত শরীর বেয়ে একটা ঠান্ডা অনুভূতি নেমে গেলো। আমি ভয় পেলাম।..... চলবে

09/06/2019

রহস্য-২
--------++
রাতে গাড়ির হেড লাইটে দেখা রহস্যজনক সুন্দরী মেয়েটির প্রতি আমার আগ্রহ আরো বেড়েই চলছে। মাঝখানে একদিন মেয়েটিকে দেখলাম মোবাইলে কার সাথে যেনো কথা বলছে, শোনার চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুই বুঝলাম না। কথা শেষ করে বোরখার মধ্যে মোবাইল রেখে আবার শুয়ে পরলো। কয়েকদিন ভোরবেলা অনেক চেষ্টা করেও তার চলে যাওয়ার সময়টা বের করতে পারলাম না। বের করতে পারলে পিছু নিতাম। একদিন দেখলাম মেয়েটি আর নাই। তারপর থেকে আর কখনই ঐ যায়গায় মেয়েটিকে দেখা গেলো না। আরো কিছুদিন লক্ষ্য করলাম না সে হারিয়ে গেছে। কোথা থেকে আসলো কেনো আসলো কোথায়ই বা হারিয়ে গেলো তা আর জানা হলো না। মনের মধ্যে একটা খটকা লেগেই থাকলো। মন বলছে আবার তার সাথে আমার দেখা হবে হয়তো অন্য কোথাও অন্য ভাবে কিন্তু আমি তাকে ঠিকই চিনে নিতে পারবো কারণ গাড়ীর হেড লাইটের আলোতে তার চেহারাটা স্পষ্টভাবে আমার মনে গেঁথে আছে যেটা ভুলে যাবার না।
------ চলবে

16/02/2019

আমার শ্রদ্ধেয় মেজো মামা'র
স্মৃতিচারণ, ইমাদুল হক তনু থেকে সংগৃহিত।।।।।।।
Sujon..lalmatia
আজ ৯ জুন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক , শিক্ষানুরাগী , প্রখ্যাত রাজনীতি বিদ , বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা , সমাজ সংস্কারক প্রয়াত এ, বি, এম জহুরুল হক লাল মিয়া র ৩১ তম মৃত্যু দিবস । তিনি ১৯২০ সালের ২২ জানুয়ারি তৎকালীন নাজিরপুর থানার কলারদোয়ানিয়ার কুলাইতলী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম এমদাদ আলী পন্ডিত, মাতার নাম মরহুম আজিমুন্নেছা । তিনি তার পিতা মাতার ৩ পূত্র ৪ কন্যার দ্বিতীয় সন্তান। তৃতীয় শ্রেণি তে পড়াকালীন সময়ে তিনি এবং তার পরিবার স্থায়ীভাবে সোহাগদলে চলে আসেন। কিশোর বয়সে প্রতিবাদি লাল মিয়া ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু পরিবার গড়াইদের অন্যায়ের প্রতিবাদে তাদের পরিচালিত স্কুল ত্যাগ করে ১৯৩৮ সালে পটুয়াখালী জুবলী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪১ সালে ঢাকা জগন্নাথ কলেজে অধ্যায়ন কালে তিনি বৃটিশ সেনাবাহিনী তে যোগদান করেন। একজন সৈনিক হিসাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইরাক সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রণাঙ্গনে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দেন। তৎকালীন পঃ পাকিস্তানে বসবাস কালীন ( চাকুরী সুবাদে) সময়ে তিনি সীমান্ত গান্ধি নামে পরিচিত আব্দুল গাফ্ফার খান পূত্র ওয়ালী খানের সংস্পর্শে আসেন এবং তার রাজনৈতীক আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। পাকিস্তানে আইউব খান সামরিক আইন জারী করলে তিনি স্বেচ্ছায় পাক সেনা বাহিনী থেকে অবসর নেন। ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্টের এম এল এ মরহুম জয়নাল মোক্তার এর সার্বিক সহযোগীতায় সোহাগদলের বড়বাড়িতে গণমান সোহাগদল নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৫৭ সালে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে মাওলানা হামিদ খান ভাষানী ও অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহম্মদ এর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি(ন্যাপ) গঠিত হলে তিনি সরাসরি রাজনীতি তে যোগদান করেন। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে র সময় দেশে সীমিত আকারের রাজনীতি করার সুযোগ হলে তিনি স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী , ব্যবসায়ী , শিক্ষক সমাজ , জন প্রতিনিধি দের সর্বাত্মক সহযোগীতায় কিশোর বয়সে নিগৃহীত গড়াই পরিবারের ভিটে বাড়িতে স্বরুপকাঠি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ প্রতিষ্ঠিত স্বরুপকাঠি কলেজ থেকে তিনি ১৯৬৭ সালে ইন্টার মিডিয়েট , ১৯৭৪ সালে কৃতিত্বের সাথে বি এ পাস করেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃহত্তর বরিশাল সহ পটুয়াখালী জেলার মুক্তিকামী / তরুন যুবাদের সংগঠিত করে ভারতের পঃ বাংলার চব্বিশ পরগণা জেলার হাবরা থানার অশোক নগর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে তাদের কে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন । তৎকালীন প্রখ্যাত সাংবাদিক দেব দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং অনলবর্ষী ভাষণ কলিকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করেন। ১৯৭০, '৭৩ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ন্যাপের হয়ে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বরুপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর আজীবন এই প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকতা করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠিত পাঠশালা পূণঃউদ্ধার করে ( যাহার ভূমি স্থানীয় একজন ভূমিদস্যু বেদখল করে রেখেছিল ) পূর্ব সোহাগদল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৮ সালের ৯ জুন ২৬ জৈষ্ঠ্য , বৃহস্পতিবার এই মহান পুরুষ না ফেরার দেশে চলে যান । তিনি এখন অন্তিমশয়নে স্বরুপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমীর সবুজ চত্তরে। আমরা তার বর্ণাঢ্য জীবনের শুন্যতা বোধ করছি । মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তালার কাছে করজোড় প্রার্থণা তিনি যেন জান্নাতুন ফেরদৌস বাসী হোন , আমিন । পূণশ্চঃ ১৯৭১ সনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ কালীন তথ্য দেয়ার সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য দুঃখিত।।

04/12/2018

রহস্য ১
--++++++---
বাসার ঠিক সামনে রাস্তার ওপাড়ে একটা স্টেশনারী দোকান। প্রচুর কাস্টমার তার। সকাল ৯টায় খুলে আর রাত ১০টায় বন্ধ করে। দোকানে ২টা ফ্রিজ। ১টা ভিতরে রেখে যায়। আর ১টা বাইরে দেয়ালের সাথে তালা দিয়ে লাগানো।
বেশ কয়েকদিন ধরে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি যে একটা কালো বোরখা পড়ে মহিলা রাত ১১ঃ৩০-১২টার মধ্যে এসে সেই ফ্রিজের ছায়ার আড়ালে শুয়ে পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সারারাত ঘুমায় সকালে হারিয়ে যায় আর দেখি না। সকালে কখন যায় বলতে পারবো না, মনে হয় ভোর রাতে চলে যায়। পাশের বাসার বন্ধু সৈকত কে বললাম। সে জানে ব্যাপারটা, বললো পাগলী মহিলা। আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে কে এই মহিলা বোরখা পড়া শুধু রাতে আসে ঘুমায় আর ভোরে চলে যায়। দিনে দেখা যায় না শুধুমাত্র রাতে তাও ১২টার পর। কি চায় মহিলা? আমি মহিলার গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকি। রাতে দেওয়ালে উঠে দেখি বেশ কয়েকবার। একদিন দেওয়ালে উঠে দেখি মাঝ বয়সী সুন্দরী এক যুবতী বসে নিজের চুল বাঁধছে, কোনদিকে মনোযোগ নেই একমাত্র চুল বাঁধা ছারা। আশে পাশের পরিবেশে তার বিন্দু মাত্র উৎসাহ নেই। কি যেনো ভাবছে। একটা গাড়ী আছসে তার লাইটে স্পষ্ট চেহারা দেখতে পেলাম। খুবই সুন্দরী যুবতী। নেমে গেলাম দেওয়াল থেকে।

29/09/2018

গতকাল রাতে আবার সেই একই ঘটনা, তৎদ্বির এর জন্যে আসা লোকটির কথা ভাবছে, তার বাবার জন্যে এসেছিলো। দীর্ঘ ২ ঘন্টা ড্রয়িং রুমে বসিয়ে রেখছিলো। ড্রয়িং রুমে ঢুকতে না ঢুকতেই লোকটি পা জরিয়ে ধরে বললো, বড়ভাই আমার বাবাকে আর কিছুদিন বাঁচার সুযোগ করে দিন প্লিজ। আর একমাস উনার বেঁচে থাকা খুবই জরুরী। লোকটির মুখ দেখেই বুঝে নিলো সবকিছু। আপনি বাসায় যান আমি দেখছি কি করা যায়। লোকটি চলে যাওয়ার পর আমি দ্রুত বাসা থেকে বের হই, যা করার এখনই করতে হবে। মসজিদের মাঠে যাই যেখানে মানুষের জানাযা পড়ানো হয়। কাউকে খুঁজতে থাকি। গভীর রাত এখন মাঠ অন্ধকারাচ্ছন্ন। আবছা আলোতে ঠিকই খুঁজে পাই নাড়িকেল গাছের নীচে সাদা সার্ট, জিনস প্যান্ট, পায়ে জুতো পরে একটা লোক দিব্বি ঘুমাচ্ছে। হালকা ডাক দেই। লোকটি নড়ে উঠে। আমি সালাম দেই, কোন উত্তর নাই আবার একটু নড়ে উঠে। আমি বলি অনুগ্রহ করে যদি আর একমাস সময় দেন তাহলে খুব ভালো হয়, কথাটা বলেই আমি উত্তরের অপেক্ষা করি না, খুব দ্রুত মাঠ ত্যাগ করি।

12/09/2018

Where ever you go...
I will be with yoh.

07/06/2018

ঈদ আসছে

26/04/2018

হয়তো হবে
পর্ব - ৩
তরুন চৌধুরী, পরিবার নিয়ে নিউজিল্যান্ড থাকেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে। গত দুইদিন ধরে বাসার প্রতিটা আনাচে কানাচে কি যেনো খুঁজছে। তরুনের মোট ৩টা ডায়েরী আছে। যার একটাতে বাংলাদেশের সবার টেলিফোন নাম্বার আছে আর অন্য দুটোতে বিভিন্ন হিসাব। ৩টা ডায়েরীর প্রতিটা পৃষ্ঠা খুঁজে দেখেছে কোথাও রাহাতের নাম্বার পাওয়া গেলো না। ঘরে এক প্রকার অশান্তি তৈরী হলো। বাচ্চাদের উপর ঝড় যাচ্ছে। কারণ যেই ডায়েরীতে ঠিকানা লিখে সেই ডায়েরীর একটা পেজ নাই মাঝ বরাবর ছিড়ে আছে। তার ধারণা বাচ্চারা এই কাজটা ঘটিয়ছে এবং ঐ পৃষ্ঠাতেই রাহাতের নাম্বার ছিলো। অথচ এই মূহুর্তে রাহাতের নাম্বারটা কত জরুরী তা একমাত্র তরুনই জানে। মেজাজটা ১৯০ থাকে। কপালটা সারাক্ষন কুচকানো। খিটখিটে মেজাজ। কারণ একটাই গত ২দিন আগে অফিস থেকে বাসায় আসার সময় রাস্তায় একজন তাকে বললো "ঐ তরু একটু দারা আমার কথাটা শোন"। তরুন ভয় পেয়ে গেলো, এখানে গত ১৫ বছরে কেউ তাকে এভাবে ডাকে নাই। গলাটা খুব পরিচিত মনে হলো। সে বুঝতে পারলো কোন কারনে ছোট ইমন তার না বলা কথাটা বলতে এসেছে। সাথে সাথে হা পা কাঁপা শুরু হলো এবং একসময় আর কিছুই মনে করতে পারলো না। রাস্তায় পড়ে গেলো। লোকজন ধরাধরি করে বাসায় দিয়ে গেলো। ঘটনাটা বাসার সামনই ঘটেছিলো। এরপর থেকেই ডায়েরী খুঁজতে লাগলো রাহাতকে ঘটনাটা জানানোর জন্যে। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় আছে।.....চলবে

01/03/2018

হয়তো হবে
পর্ব - ২
তীরেফেরা উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক বনভোজন। রাহাত ৮ম শ্রেণীতে উঠলো। বরাবর সে ১ম এবং ছোট ইমন ২য় স্থানে থাকে। তাদের কাছাকাছি কেউই ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। গ্রামের স্কুল তাই বার্ষিক বনভোজন সবসময় স্কুলের ভিতরেই হয়। এবারই ১ম ছোট একটা মুরির টিন বাসে নতুন অংক স্যারের দায়িত্বে একঝাঁক ছেলেরা অল্প দুরে একটা নদীর পাড়ে বনভোজনের ব্যবস্থা করা হল। সবকিছুই ঠিক ঠাক ছিলো। শুধু আসার সময় নতুন স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে জানালা দিয়ে রাহাত, ছোট ইমন এবং তরুন বাসের ছাদে উঠে পরে। তারপর গাছের ডালে বারি খেয়ে ছোট ইমন গাছের ডাল গলায় অনেকটা ফাঁসির দরির মতো আটকিয়ে নিথর দেহটা ঝুলতে থাকে আর ২ জন বাসের ছাদ থেকে পড়ে যায়। সে এক ভংয়কর দৃশ্য যা আজও কেউ ভুলতে পারে নাই। সেই ঝুলন্ত নিথর দেহ ঝুলতে ঝুলতে অল্প সময়ের মধ্যেই একসময় নিচে পড়ে যায়। ছোট ইমনের লাশ নিয়ে বাড়ী ফেরা। রাতে কবর দেয়া। সবই মনে পড়লো রাহাতের। প্রায় ভুলেই যাচ্ছিলো স্মৃতিগুলো। এখন মনে পড়লো বাসের ছাদে তারা মাছ ধরা নিয়ে গল্প করছিলো। হঠাৎ ছোট ইমন দারিয়ে বললো একটা কথা শোন.....কিন্তু কথাটা আর বলা হয় নাই। তখনই গাছের ডাল ওদের ৩ জনকেই আঘাত করে।
রাহাত ভাবছে সেই কথাটা বলতেই কি ৩৫ বছর পর ছোট ইমন ফিরে আসলো।
এরপর থেকে রাহাত রাস্তায় যত ভিক্ষুক দেখে সবার চেহারা খুব ভালো ভাবে দেখে কিন্তু ছোট ইমন কে আর দেখে না। রাহাত জানে আবার দেখা হবে এবং ছোট ইমন ওর না বলা কথাটা বলতেই আসবে। মনে মনে ভাবে ঘটনাটা তরুনকে জানাতে হবে। তরুন থাকে নিউজিল্যান্ডে।............. চলবে।

01/03/2018

হয়তো হবে
পর্ব-১
রাহাত এগিয়ে যাচ্ছে, সকাল থেকে চলছেই, থামছে না কোথাও, কোন গন্তব্য নেই। কি ভাবছে ঠিক বুঝতে পারছে না। গত ২দিন আগে অফিসে যাওয়ার সময় বাসে উঠবে এমন সময় পিছন থেকে রাহু নাম ধরে কে যেনো ডাক দিলো। ছোট বেলায় মাঠে খেলার সাথীদের দেয়া নাম রাহাত থেকে রাহু। চমকে উঠলো রাহাত কারণ দীর্ঘ ৩৫-৪০ বছর ধরে কেউ তাকে এই নামে ডাকে না। বাসে না উঠে আস্তে ধীরে পিছনে তাকালো। কোন পরিচিত মুখ আশা করছিলো। না কাউকে রাহাত চিনলো না। কেউ তার দিকে তাকিয়ে নেই। বাসটা চলে গেলো। আরেকটা বাসের জন্যে অপেক্ষা করছিলো রাহাত। এবার একটু জোরে শুনলো এবং পরিস্কার "এই রাহু"। আবার পিছনে ঘুরলো, না কেউ নেই। এবার দেখার পরিধি বাড়ালো এবং দেখলো বেশ দুরে একজন ভিক্ষুক ময়লা ছিড়া কাপড় পড়া তার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর হাতের ইশারায় তাকেই ডাকছে। এবার রাহাত লোকটির কাছে গেলো এবং চেনার চেষ্টা করলো। না, কোন ভাবেই চিনতে পারলো না। লোকটি মিটি মিটি হাসছে।
রাহাত : আমি কি আপনাকে চিনি বা আপনি আমাকে চিনেন?
ভিক্ষুক : তুই কি রাহাত মানে রাহু?
রাহাত : জি, কিন্তু আপনি?
ভিক্ষুক : দোস্ত আমি ইমন, ছোট ইমন।
নাম বলার সাথে সাথে রাহাতের সব কিছু মনে পড়েছে, এখন সে তার চেহারার সাথে ছোট ইমনের সম্পূর্ণ মিল খুঁজে পেলো।
রাহাত : কি! কিরে তুই কোথা থেকে আসলি? তুইতো বাসের ছাদ থেকে পড়ে যেয়ে মারা গেলি, সেতো ৪০ বছর আগে। আমরা তোকে কবর দিয়ে আসলাম।
বলতে বলতে রাহাত ভয় পেলো, হাত পা কাঁপছিলো, দ্রুত পিছন ফিরে দৌরে বাসে উঠে গেলো। পিছন থেকে ভিক্ষুকটি বলছিলো, শুধুমাত্র একটা কথা শোন এই একটা কথা বলার জন্যেই আমি এসেছি। রাহাত কান দিলো না, অফিসে যেতেই হবে আজকে।
-------------চলবে

17/11/2017

We are sorry

11/11/2017

এ্যাসাইনমেন্ট- পর্ব-৩....? .....
ঠাস ঠাস ঠাস প্রচন্ড গুলির আওয়াজ। স্তব্দ চারিদিক। রাকিব কি করবে বুঝতে পারছে না। কে কাকে গুলি করছে? রাকিব বুঝতেই পারেনি ওর শরীরে পর পর ৯টা তাঁজা গুলি ওর শরীর ভেদ করে চলে যায়, ও রাস্তায় লুটিয়ে পরে। হাতে তার মোবাইল, হাতটা কাঁপছে তখনও। রাকিব বুঝতে পারছে সময় খুব কম। আস্তে আস্তে সবদিক কালো...........চলবে...... দেখ
🙈 ৭.৬৫ এবং ৩২ ক্যালিবারের
---- ? ----

17/10/2017

এ্যাসাইনমেন্ট- পর্ব-২
আজকে আবার রেকি শুরু করলো রাকিব। সারারাত প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছে। সকালেও বৃষ্টি থামছে না। হাতের পপসোয়াচ ঘরি দেখলো রাকিব এখন সকাল ৭:০০টা বাজে ২৫ মিনিটের মধ্যে তাকে রেডি হয়ে বের হয়ে বাসার সামনের মোরে দাড়াতে হবে। বৃষ্টি থামছে না। দ্রুত জিনস প্যান্ট, টি সার্ট পড়লো। একটা এট্যাচি ব্যাগে ৭.৬৫ টার সবকিছু চেক করে ভরলো সাথে কিছু ডাক্তারী প্যাড কলম নিয়ে নিলো। রেইন কোর্টটা খুজে পাচ্ছে না। ছাতা নিয়ে কোনভাবেই বের হওয়া যাবে না। মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে। কোথায় রেইন কোর্টটা রেখেছিলো মনে করার চেষ্টা করছে। মনে পরেছে টয়লেটে রেখেছিলো। টয়লেটে গেলো, রেইনকোর্টটা ধীরে সুস্থে পড়লো। এবার নিজেকে আয়নায় দেখলো। নিজেকে চিনতে কষ্ট হলো। ফ্রেঞ্চ কার্ট দাড়ি সাথে গোল্ড রিমের দামি চশমা। দুটোর কোনটাতেই অভ্যস্ত না রাকিব। সবসময় ক্লিন সেভড থাকে, চোখের পাওয়ার তার ৬/৬, চশমা লাগে না তাই চশমা পড়ে না। না কোন ভাবেই তাকে একজন প্রফেশনাল খুনীর মতো দেখাচ্ছে না, বরং তাকে একজন বড় ডাক্তারের মতো লাগছে নিজে নিজে আসস্ত হলো। টয়লেট থেকে বের হয়ে এ্যাটাচি ব্যাগ থেকে ভারী অস্রটা নিজের কোমরে গুজে দিলো। ব্যাগের এবং রেইনকোর্টের চেইন লাগিয়ে ঘরে তালা মেরে বের হয়ে বাসার সামনের মোরে দাড়িয়ে থাকলো। এবার চারিদিকে একবার দৃষ্টি দিয়ে দেখলো কেউ তাকে দেখছে কিনা। না কেউ তাকে দেখছে না কনফার্ম হলো, ঘড়ি দেখলো সময় ৭:২৫ মিনিট।

11/10/2017

এ্যাসাইনমেন্ট- পর্ব-১
রাকিব বেশ অনকদিন ধরে রেকি করছে, কোন কুল কিনারা করতে পারছে না। মাথায়ও কিছু ধরছে না যে কিভাবে কাজটা করবে? বস ৫০% এ্যাডভান্স টাকা দিয়েছে বাকী অর্ধেক কাজের পর দিবে। এই মুহূর্তে টাকার খুব প্রয়োজন রাকিবের। রাকিবের মা'র শরীরটা ভালো না, ডাক্তার বলছে এনজিওগ্রাম করতে হবে, প্রয়োজনে রিং পরাবে। এত টাকা সে কিভাবে যোগার করবে। তাই পুরানো কাজই বেছে নিলো। ইচ্ছে ছিলো আর নতুন করে কোন এ্যাসাইনমেন্ট নিবে না। তাই ঢাকার বাইরে নারায়নগঞ্জে ছোট একটা খুপরি বাসা ভাড়া নেয়। বৃদ্ধ মাকে নিয়ে তার বসবাস। কিন্তু প্রকৃতি বাধ্য করলো। কি করবে ভাবছ রাকিব। পিছু হটার কোন পথ নেই। আস্তে করে কোমরে হাত দেয়। ঠান্ডা একটা লোহার কিছু স্পর্শ করে। ৭.৬৫ যন্ত্রটাকে অনুভব করে। ম্যাগাজিন ঠিক আছে কিনা, সেফটি লকটা ঠিকমত কাজ করে কিনা ভাবছে।

21/01/2017

আমি এবং সে, পর্ব- ১৪
শামীমের মনটা একদম খারাপ হয়ে গেলো, মনে পড়লো সেই ভয়াল দৃশ্য। বাবার বাৎসরিক ছুটিতে শাহনাজ এর পরিবারসহ ঢাকায় এসেছিলো শাহনাজদের বড় মাইক্রোবাসে চড়ে। অনেক ঘোরাঘুরি করলো, প্রচুর মার্কেটিং করলো আর সিনেমা দেখলো সবাই। হোটেলে থাকা খাওয়া, আর শাহনাজের সাথে হাত ধরে লবিতে ঘুরে বেড়ানো এবং প্রেম প্রেম খেলা, আহ সে কি যে আনন্দ, কতই না মধুর। শাহনাজ শামীমের হাত ধরে বলতো, ভাইয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি, কতো ভালোবাসি জানো? শামীম বলতো কতো ভালোবাসো? শাহনাজ বলতো এই যে এত ভালোবাসি বলেই দুহাত দিয়ে জরিয়ে ধরে উত্তর দিতো নীল আকাশ এর মতো ভালোবাসি, নীল আকাশের যেমন কোন সীমানা নেই তেমনি আমারও ভালোবাসার কোন সীমানা নেই। শামীম মনে মনে ভাবতো এত সুন্দর সুন্দর কথা শাহনাজের আসে কোথা থেকে, তার নিজের মুখ থেকে থেকে কিছুই বের হতো না।
আজকে শেষ দিন থাকা ঢাকায়, কাল ভোরে রওনা দিবে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে তাই সবাই ব্যস্ত গোছগাছ নিয়ে। হটাৎ শাহনাজ এসে শামীমকে বললো ভাইয়া চলো একটা দারুন যায়গা তোমাকে দেখিয়ে আনি।
শামীম- কোথায়?
শাহনাজ- লালবাগের কেল্লা।
শামীম- কিভাবে যাবো?
শাহনাজ- রিক্সায় যাবো, ২০ টাকা ভাড়া। আমি বাবার পকেট থেকে ১০০ টাকা চুরি করেছি। চলো জলদি।
শাহনাজ আর শামীম নামলো রিক্সা থেকে লালবাগের কেল্লায়। দুপুরবেলা কড়া রোদ, কেল্লার ভিতর মানুষজন নেই। সাধারণত দুপুরে কেউ এখানে আসে না। মনের আনন্দে দুজনে হাত ধরাধরি করে ঘুরছে। শামীম লক্ষ্য করলো আজকে শাহনাজকে একটু অন্যরকম লাগছে। কেন যেনো ছটফট করছে। বার বার বলছে ভাইয়া তুমি কথা দাও আমাকে ছেড়ে কখনও কোথাও যাবে না, আমার হাত ঠিক এভাবেই শক্ত করে ধরে রাখবে। শামীম বললো, ঠিক কথা দিলাম। কিন্তু শামীম তার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে নাই। কথা বলতে বলতে তারা কেল্লার সেই ইতিহাস বিখ্যাত সুরঙে উপস্থিত হলো।
শাহনাজ- এটা কি জানো?
শামীম- জানি, বইতে পরেছি, আজকে প্রথম দেখলাম।
শাহনাজ- দেখো, ডানদিকে একটা গলি আর বাম দিকে একটা গলি মধ্যে যেই বড় গলিটা দেখছো সেটা দিয়েই মনে হয় মোঘল সৈন্যরা সবাই যাতায়াত করতো। শুনেছি ঘোড়ার পিঠে চড়ে নাকি যেতো, চলো আমরা হেটে হেটে যাবো।
শামীম- চলো ভিতরে ঢুকে দেখি।
শাহনাজ- সাইনবোর্ডের লেখা দেখছো না, ভিতরে যাওয়া সম্পূর্ন নিষেধ। তবে যাওয়া যায় ভাইয়া কারণ আসে পাশে কেউ দেখার লোক নেই। ঐ যে দুরে একটা গার্ড আছে কিন্তু ঘুমাচ্ছে। চলো।
শামীম- আমি আগে নামি, তারপর তুমি আমার হাত ধরে নামো।
ভিতরে নামলো দু'জন। অসম্ভব গন্ধ, পেশাব পায়খানার গন্ধ পাচ্ছে। শাহনাজ নাকে ওড়না পেঁচিয়ে শামীমের হাত শক্ত করে ধরে এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যের বড় গলিটা দিয়ে। ডান দিক এবং বাম দিকের গলি দুটো মোটা রড দিয়ে মুখ বন্ধ করা। শাহনাজ খুব দ্রুত ভিতরের দিকে যাচ্ছে। শামীম তাল মিলাতে পারছে না। অন্ধকার পথ আর তীব্র গন্ধে শামীম দিশেহারা। শামীমের জুতোর নীচে নরম কি যেনো লাগলো এবং শামীম স্লিপ কেটে পড়ে গেলো। শাহনাজের হাত ছুটে গেলো, শাহনাজ চিৎকার দিয়ে বলছে, ভাইয়া হাত ধরো, প্লিজ হাতটা ধরো, ভাইয়া তুমি কোথায়, ভাইয়া ভাইয়া, শাহনাজের কথাগুলো আস্তে আস্তে দুরে মিলিয়ে গেলো। মনে হলো শাহনাজ অন্ধকারে দৌড়ে ভিতরের দিকে চলে যাচ্ছে। শামীম কিছুই বলতে পারছে না, পড়ে যেয়ে কোমরে ব্যথার চোটে কিছুই বলতে পারলো না। একসময় আর কোন শব্দ পেলো না। শামীম ভয়ে, তীব্র গন্ধ এবং ব্যথার যন্ত্রনায় জ্ঞান হারালো।... চলবে।

16/01/2017
Anuranon অনুরণন

Anuranon অনুরণন

আমি এবং সে, পর্ব- ১৩
একদিন শাহনাজের অনেক জ্বর আসলো। পরের দিন জ্বর আরো বেশী হলো। সেইদিন রাতে ঘুমের ঘোরে শাহনাজ বার বার বলছিলো "শামীম ভাইয়া, আমাকে মেরো না, মেরো না প্লিজ"। পরের দিন আর জ্বর ছিলো না। শাহনাজের মা এসেছিলো। জিজ্ঞেস করেছিলো শামীমকে "বাবা তুমি কি শাহনাজ'কে মেরেছিলে"? শামীমের কিছুই ভালো লাগছিলো না, দু'দিন খেলা হচ্ছে না, কথা হচ্ছে না, মনের ভিতরে কোথায় যেনো একটা ব্যথা হচ্ছিলো তাই দেখতে গেলো শাহনাজকে। শাহনাজের অবস্থা দেখে খারাপ লাগলো, বেচারার মুখটা শুকিয়ে একদম ছোট হয়ে গেছে। শাহনাজের মুখটা উজ্জল হয়ে উঠলো হাত ধরলো শামীমের। কি অসম্ভব ভালো যে লাগছিলো শামীমের, হাতটা ছারতেই ইচ্ছে করছিলো না। নাস্তা খেয়ে যখন শামীম উঠলো যাওয়ার জন্যে আবার হাত ধরলো এবার আরো শক্ত করে, আস্তে আস্তে বললো "ভাইয়া, হাত ছেড়ো না, ছারলেই আমি গর্তে পড়ে যাবো আর আমাকে খুঁজেও পাবে না"। বাস্তবিক তাই হয়েছে কিন্তু আরো ৩ বছর পরে। এক এক করে শামীমের সব কথা মনে পড়লো। চ ল বে...

16/01/2017

আমি এবং সে, পর্ব- ১৩
একদিন শাহনাজের অনেক জ্বর আসলো। পরের দিন জ্বর আরো বেশী হলো। সেইদিন রাতে ঘুমের ঘোরে শাহনাজ বার বার বলছিলো "শামীম ভাইয়া, আমাকে মেরো না, মেরো না প্লিজ"। পরের দিন আর জ্বর ছিলো না। শাহনাজের মা এসেছিলো। জিজ্ঞেস করেছিলো শামীমকে "বাবা তুমি কি শাহনাজ'কে মেরেছিলে"? শামীমের কিছুই ভালো লাগছিলো না, দু'দিন খেলা হচ্ছে না, কথা হচ্ছে না, মনের ভিতরে কোথায় যেনো একটা ব্যথা হচ্ছিলো তাই দেখতে গেলো শাহনাজকে। শাহনাজের অবস্থা দেখে খারাপ লাগলো, বেচারার মুখটা শুকিয়ে একদম ছোট হয়ে গেছে। শাহনাজের মুখটা উজ্জল হয়ে উঠলো হাত ধরলো শামীমের। কি অসম্ভব ভালো যে লাগছিলো শামীমের, হাতটা ছারতেই ইচ্ছে করছিলো না। নাস্তা খেয়ে যখন শামীম উঠলো যাওয়ার জন্যে আবার হাত ধরলো এবার আরো শক্ত করে, আস্তে আস্তে বললো "ভাইয়া, হাত ছেড়ো না, ছারলেই আমি গর্তে পড়ে যাবো আর আমাকে খুঁজেও পাবে না"। বাস্তবিক তাই হয়েছে কিন্তু আরো ৩ বছর পরে। এক এক করে শামীমের সব কথা মনে পড়লো। চ ল বে...

Address

4/3 Lalmatia Block C
Dhaka
1207

Opening Hours

Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00

Telephone

01735675755

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Anuranon অনুরণন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Anuranon অনুরণন:

Share

Category

These we were?

https://www.facebook.com/pg/anuranonn

Check It.

Nearby media companies


Comments

এ্যাসাইনমেন্ট- পর্ব-৪
রাকিন দীর্ঘ ৯ মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ডান পা একটু ছোট করে সুস্থ হয়ে বাসায় আসে। ভাগ্য ওর ভালো প্রতিটা গুলি ওর শরীরে বিদ্ধ হয়ে এফোর ওফোর হয়ে যায় কিন্তু কোন কারনে হার্ট, ফুসফুস, লিভার বা কিডনি কোথাও আঘাত করেনি। এরপর আর রাকিব এর জীবন বদলে যায়, রাকিব এখন এম.ডি ইয়েন বায়িং হাউজ। রাকিবের নতুন জীবন, নতুন গাড়ী, নতুন অফিস। ২দিন আগে সিয়েন বারে রাকিবের সাথে সচিন এর সাথে দেখা দীর্ঘ ৫ বছর বছর পর। সেদিন রাকিবের নেশা একটু বেশীই ধরেছিলো। এলোমেলো লাগছিলো সবকিছু, ঠিক তার পিছনের টেবিলে প্রচন্ড চিল্লাচিল্লি হচ্ছিল, নেশাটা কেটে যাচ্ছিলো, বার বার মনে হচ্ছিলো চেয়ারটা ছুড়ে মারে কিন্তু নিজকে সংযত করে।....চলবে
TANU YOU ARE MOST WELCOM
Emadul Haque Tanu