বারকাতী পাবলিকেশন্স

বারকাতী পাবলিকেশন্স Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from বারকাতী পাবলিকেশন্স, Publisher, Dhaka.
(1)

03/02/2022

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোর্কারমের সম্মানীত খাতীব হযরত মাওলানা প্রফেসর সালাহ উদ্দিন সাহেব (রহঃ) আজ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১ রজব ১৪৪৩ জিহরী রোজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫:৩০ মিনিটের সময় ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

ইনশাআল্লাহ খাতীব সাহেবের জানাযা নামায আগামীকাল ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অুনুষ্ঠিত হবে।

13/10/2021
Tears come to my eyes when   asked me "Alastu bi-rabbikum"??⏺️Am I not your Lord?” we saying, “Balaa! Indeed You are our...
12/07/2021

Tears come to my eyes when asked me
"Alastu bi-rabbikum"??
⏺️Am I not your Lord?” we saying, “Balaa! Indeed You are our Lord!”
On this, says with lot of love
"Fa ayna tadh-habuun"
⏺️So where are you going.. Can any person love you more than me?

28/01/2020

কোন কাফির একজন আলিমের কাছে ইসলামগ্রহণ করতে আসার পর আলিম ব্যক্তির তাকে একথা বলা কুফুরি বলে গন্য হবে যে,-আজ নয়, আমার অমুক মাহফিলে এসে ইসলামগ্রহণ করো। কেননা এতে নির্ধারিত মাহফিল পর্যন্ত আলিম ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার জন্য কুফুরিতে অটল থাকার অনুমতি প্রদান সাব্যস্ত হয়।

বাংলাদেশের ওয়াজ মাহফিলগুলোতে হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়ার রেওয়াজ বহুদিন ধরেই চলে আসছে। যদি কোন মাহফিলে বক্তার ওয়াজ শুনে কোন কাফির তাৎক্ষণিক ইসলামগ্রহণ করে তা অবশ্যই প্রশ্নাতীত প্রশংসনীয় কাজ। কিন্তু বাস্তবে যা হয়, আগে থেকেই এফিডিভেটের মাধ্যমে সব সমাধা করে কোন বক্তার হাতে কালিমা পড়িয়ে বক্তাকে এভাবে ক্রেডিট দেয়া হয় যেন তার বক্তব্যেই অনুপ্রাণিত হয়ে বেচারা মুসলমান হচ্ছে।

তাই যদি কোন কাফির মুসলমান হওয়ার জন্য আসে, আর বক্তা বা আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাকে নির্ধারিত তারিখে ইসলামগ্রহণের জন্য আসতে বলা হয়, তাহলে তাদের জন্য এটা অবশ্যই কুফুরি হবে। (আল্লাহ না করুন, ইসলামগ্রহণে ইচ্ছুক লোকটি যদি নির্ধারিত মাহফিলের আগেই কাফির অবস্থায় মারা যায়, এর দায় কে নেবে?)

এধরণের নাটক বা প্রদর্শনী নিঃসন্দেহে প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রীয়ভাবেও এর কুপ্রভাব স্পষ্ট। হিন্দু থেকে ইসলামগ্রহণ করতে চাইলে কাউকে নিয়ে এত বাগাড়ম্বরের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। নিজেদের ক্রেডিট বাড়াতে কুফুরি বা প্রতারণায় লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি অন্যকে বিপদে ফেলার মত কাজ নিঃসন্দেহে পরিত্যাজ্য।

আজ ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংশের ২৭তম বার্ষিকী। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় হিন্দু মৌলবাদীদের আক্রমনে অয...
06/12/2019

আজ ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংশের ২৭তম বার্ষিকী। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় হিন্দু মৌলবাদীদের আক্রমনে অযোদ্ধার ষোল শতকের এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ধ্বংস করা হয়।

১৯৯২-৯৩ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর শহরে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গায় আনুমানিক দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন যাদের অধিকাংশই মুসলমান। বিষয়টি মুসলিমরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না।

নরওয়েতে কী হচ্ছে, জানেন?•আজ থেকে চারদিন আগে নরওয়ের দক্ষিণা শহর ক্রিস্টিয়ান্ডে পুলিশি পাহারায় দুর্ধর্ষ এন্টি মুসলিম গ্রুপ...
24/11/2019

নরওয়েতে কী হচ্ছে, জানেন?

আজ থেকে চারদিন আগে নরওয়ের দক্ষিণা শহর ক্রিস্টিয়ান্ডে পুলিশি পাহারায় দুর্ধর্ষ এন্টি মুসলিম গ্রুপ Stop Islamisation of Norway (SIAN) শতশত মানুষের উপস্থিতিতে আমাদের সংবিধান, প্রাণের খোরাক, হৃদয়ের স্পন্দন পবিত্র কুরান শরীফ ছুঁড়ে ফেলা এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার মতো ন্যক্কারজনক কর্মসূচি পালন করে। আর যে যায়গায় তারা সমবেত হয় সেখানে পুরো নরওয়ের তুলনায় মুসলিমদের বসবাস বেশি। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক এই জায়গা তারা নির্বাচন করে মুসলিমদেরকে একটি কড়া বার্তা দিতে। স্থানীয় প্রশাসনের ব্যাপক উপস্থিতি তাদের মনোবল আরও চাঙা করে।

Stop Islamisation of Norway (SIAN) এর প্রধান নরাধম Arne Tumyr হাতে কুরানের একটি কপি নিয়ে বক্তৃতা শুরু করে। কয়েক সেকেন্ড পর হাত থেকে কুরানের কপিটি মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে। এর মধ্যে অন্য একজন গ্রুপ নেতা লাইটার এবং কুরানের কপি নিয়ে ব্যারিকেডের মাঝখানে চলে যায়। চারদিকে বৃত্তাকার হয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। ক্ষণিকের মধ্যে কুরানে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। এখনো সেভাবে জ্বলে উঠেনি। কুরানের কপি তার হাতেই। ঠিক এমন সময় সৌষ্ঠব যুবক মুহাম্মদ ইলিয়াস সব বাধা ভেঙেচুরে এক দৌড়ে ওর উপর হামলে পড়ে। পূর্ব থেকেই সঞ্চিত শক্তির পুরোটা পায়ে এনে ওর কোমর বরাবর দেয় এক লাথি। সঙ্গেসঙ্গে পুরো সমাবেশস্থলে হট্টগোল, দৌড়াদৌড়ি। ভাই ইলিয়াস এক লাথি দিয়েই থেমে থাকেনি, ঘুরে আবার দেয় লাথি। ইতোমধ্যে পুলিশ হাজির। দুজনকে দুদিকে সরিয়ে নেয়। ভাই ইলিয়াসকে ছয় থেকে সাতজন পুলিশ ঝাপ্টে ধরে।

শত শত মানুষ এবং অসংখ্য পুলিশের বাধা চুরমার করে কীভাবে একজন যুবক দুর্ধর্ষ এক সন্ত্রাসীকে খালি হাতে আক্রমণ করল তা না দেখে বিশ্বাস করতে পারবেন না। আর শিক্ষা নেয়ার তো হিউজ পাঠ আছেই। প্যান্ট শার্ট গায়ে জড়ানো থাকলেও ভাইটির দিলে ঈমানের আলো ছিল। হাতে এটম বোমা না থাকলেও বুকে ছিল ঈমানের বারুদ। এক খোঁচাতেই জ্বলে উঠে পুড়িয়ে দিল অসংখ্য মানুষদের চেতনা। শুধু একজন। আল্লাহু আকবার।

Stop Islamisation of Norway (SIAN) এর প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০০৮-এ। গ্রুপটির একটিভ সদস্য প্রায় তিন হাজার। গত জুনে ঠিক এমনই একটি কর্মসূচি তারা পালন করে। আগস্টে অসলোর আল নুর মাসজিদে একজন শ্বেত সন্ত্রাসী গান নিয়ে ফায়ার করে। সে সময় পাকিস্তানি ৭৫ বছর বয়সী আব্দুল করিম নামক আরেক সাহসী বুড়ো ওকে ঝাপটে ধরে বিশাল বিপদ সামলে দিয়েছিলেন।

নরওয়ের মুসলিম বিরুদ্ধে এমন আগ্রাসী মনোভাবের একটা কারণও আছে। তারা গোপনে একটা জরিপ করে, কারা কোন ধর্মের প্রতি দুর্বল তা খোঁজে বের করতে। ফলাফল হয় তাদের ধারণার একদম বিপরীত। রিজাল্টে দেখা যায়, ৪৭ ভাগ লোক ইসলামের প্রতি অনেকটা দুর্বল। মাত্র ১৭ ভাগ খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি। এতেই তাদের মাথা খারাপ। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনে করছে, এভাবে চলতে দিলে পুরো ইউরোপ মুসলিমদের হাতে চলে যাবে। এরপর থেকেই তারা এতো আগ্রাসী।

তারা থামিয়ে দিতে চায়। অথচ তারা জানেই না, এই কাফেলা থামতে আসেনি। বাধার দেয়াল ভেঙে কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দেয়াই এই কাফেলার জন্মগত স্বভাব। এই স্বভাব কী তারা দূর করতে পারবে?

23/11/2019

রাস্তা বন্ধ করে কষ্ট দেওয়া তো অনেক পরের বিষয়, রাস্তায় কোনো কষ্টদায়ক জিনিস দেখলে ঈমানের দাবি হলো তা সরিয়ে দেবে।
এটি ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
الْإِيمَانُ بِضْعٌ وَّسَبْعُونَ أَوْ بِضْعٌ وَّسِتُّونَ شُعْبَةً، فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الْأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ، وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الْإِيمَانِ.
“ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা রয়েছে। সর্বোত্তম শাখা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা। আর সর্বনিম্ন শাখা হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়া। আর লজ্জা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা।”
[ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৫ ].
প্রশ্ন হলো,
১. এই যে পূর্বঘোষণা ছাড়াই হুটহাট পরিবহণ ধর্মঘট করে রাস্তা অচল করে ফেলা;
২. অসুস্থ, অফিসগামী নাগরিক, পরিক্ষার্থী, শিশু ও মহিলাদেরকে চরম দুর্ভোগের মুখে ফেলা;
৩. ব্যস্ততম রাজপথ বন্ধ করে সভা-সমাবেশ ও মিটিং-মিছিল করা;
৪. সড়কের ওপর হকারদের বসতে দিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করা;
৫. যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে অন্যদের পথ রোধ করা;
৬. নেতা-নেত্রীদের সংবর্ধনার নামে রাজপথ বন্ধ করে শোভাযাত্রা করা-
এগুলো কি উক্ত হাদিসের লঙ্ঘন নয়?
তাহলে কেন আমরা অন্যদের কষ্ট দিয়ে ঈমানের শাখাগুলো পদদলিত করছি?
আসুন, দেশের আদর্শ নাগরিক হই। তার আগে আদর্শ ঈমানদার হই।

ইনশাআল্লাহ আজ ২২ নভেম্বর রোজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকারররমে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা...
22/11/2019

ইনশাআল্লাহ আজ ২২ নভেম্বর রোজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকারররমে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল আলোচনা করবেন মুফতী আমীমুল ইহসান একাডেমির পরিচালক জনাব মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাইমুল ইহসান বারকাতী

আলোচনার বিষয়: কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত ও গুরুত্ব

11/11/2019

আমরা তথা উম্মতে মুহাম্মদীর উপর মহান আল্লাহর বড় মেহেরবানী যে তিনি আমাদেরকে তার নবীর উপর ঈমান আনার তৌফিক দিয়েছেন। নিজেই বিবেচনা করে দেখুন যেখানে মক্কার কুরাইশদের কাফের আবু জেহেল, আবু লাহাব, উমাইয়া বিন খালফ, ওকাবা ইবনে আবু মুয়ীত, মুনাফিকদের সর্দার আবদুল্লাহ বিন উবাই, আবদুল্লাহ বিন জুল-খুয়াসরা আত তামীমী, তারা তো নবীজীকে সচক্ষে দেখেছিল প্রিয়নবীর জন্ম, শৈশবকাল, যৌবন, বিবাহ ইত্যাদি তাদের চোখের সামনেই হয়েছিল। এমনকি তারা সচক্ষে প্রিয়নবীর মুজেযা সমূহকে প্রত্যক্ষ করেছিল। কিন্তু এটা তাদের পরম দুর্ভাগ্য যে তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনতে পারে নি। আবু লাহাব তো নবীজীর আপন চাচা ছিল, তাদের উভয়ের বাসা পাশাপাশি ছিল। দেয়ালের একদিকে নবীজীর বাসা ও অন্যদিকে আবু লাহাবের বাসা। প্রিয়নবীর প্রতিবেশী ও আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও সে ঈমান আনতে পারে নি।

অথচ হযরত বেলাল (রা) কে হাবশা থেকে, হযরত সালমান ফারসী (রা.)-কে ইরান থেকে, হযরত হাসান (রহ.)-কে সুদূর বসরা থেকে এসে ঈমান লাভ করার তৌফিক পেয়েছিলেন। এই বিষয়কে মাওলানা রুমী মসনবী শরীফে এভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন।
بلال ازحبس سحيب ازروم حسن ازبصرى
چه بوجهل درمكه بود ايں چه بولهب ايست
বেলাল হাবশা থেকে, শোয়ায়েব রোম থেকে, হাসান বসরা থেকে ঈমান আনতে পেরেছে।
অথচ আবু জেহেল মক্কায় থেকেও ঈমানের স্বাদ পেল না।

অন্যদিকে আমরা যারা মুসলমান ও আখেরী নবীর উম্মতী হতে পেরেছি, আমরা নবীর আত্মীয় নই বা প্রতিবেশীও নই। আমরা তো সচক্ষে নবীর দেখার সুযোগ থেকেও মাহরুম রয়েছি। কিন্তু তারপরও মহান আল্লাহ দয়া করে মায়া করে, সাড়ে চৌদ্দশ বছর পর, পবিত্র মক্কা নগরী থেকে সাড়ে তিন হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশে বসেও যে তার ও তাঁর হাবীবের উপর ঈমান আনার তৌফিক দিয়েছেন এই জন্য সদাসর্বদা আমাদের তার শুকরিয়া আদায় করা উচিত

আজ রহমত ও বরকতময় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। প্রিয় নবীর আদর্শ ধারণ করে মুসলিম বিশ্বে নেমে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি। পবিত্র এই দি...
10/11/2019

আজ রহমত ও বরকতময় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। প্রিয় নবীর আদর্শ ধারণ করে মুসলিম বিশ্বে নেমে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি। পবিত্র এই দিন কাটুক ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যেওয়াজ মাহফিল, মিলাদ শরীফ ও দোয়ার অনুষ্ঠান ২০১৮ ○○○নাতে রাসূল○○○মুহাম্মাদ জিয়াউদ্দীন মনির○○○তা...
09/11/2019

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে
ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ শরীফ ও দোয়ার অনুষ্ঠান ২০১৮

○○○নাতে রাসূল○○○
মুহাম্মাদ জিয়াউদ্দীন মনির

○○○তারিখ○○○

১২ই রবিউল আউয়াল ১৪৪০ হিজরি
২১ নভেম্বর ২০১৮ইং,
রোজ বুধবার বাদ এশা

○○○স্থাণ○○○

কলুটোলা মসজিদে মুফতী-এ-আযমের পাশে (ডালপট্রিমোড়)

○○○আয়োজনে○○○
মুফতী আমীমুল ইহসান একাডেমী

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ শরীফ ও দোয়ার অনুষ্ঠান ২০১৮ ○○○নাতে রাসূল○○○ মুহাম্মাদ জিয়াউদ্দ...

সবাইকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শুভেচ্ছা ও মোবারক।নূর নবী এসেছে, নূর নিয়ে এসেছে,সেই নূরেতে সারা জাহান আলোকিত হয়েছে,আস্সালাত...
09/11/2019

সবাইকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শুভেচ্ছা ও মোবারক।

নূর নবী এসেছে, নূর নিয়ে এসেছে,
সেই নূরেতে সারা জাহান আলোকিত হয়েছে,

আস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ,
আস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলাইকা ইয়া হাবীবাল্লাহ

ঈদ (عِيْدٌ)  আরবী শব্দ এবং আরবী ভাষায় সেই দিনকে ঈদ বলা হয় যে দিন মানুষ আনন্দ ও খুশী উদযাপন করে বা সেই দিনটি যখন মানুষের ...
09/11/2019

ঈদ (عِيْدٌ) আরবী শব্দ এবং আরবী ভাষায় সেই দিনকে ঈদ বলা হয় যে দিন মানুষ আনন্দ ও খুশী উদযাপন করে বা সেই দিনটি যখন মানুষের জীবনে ফিরি আসে।
عيد শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে
o اَلرُّجُوْعُ : প্রত্যাবর্তন করা।
o اَلْفَرَحُ : আনন্দ।
o اَلْعِيَادُ : ফিরে আসা।
শাব্দিক দিক দিয়ে ঈদ বলতে বুঝানো হয় আনন্দ বা খুশি। অথবা কোন দিন যখন মানুষ আনন্দ উদযাপন করে তা যখন মানুষের জীবনে ফিরে আসে।
মিলাদ مِيْلاَدٌ কথাটি আরবী مَوْلُدٌ মাওলুদ থেকে এসেছে এবং এই দু শব্দেরই আভিধানিক অর্থ হচ্ছে জন্ম।
ঈদে মিলাদুন্নবী কথাটির অর্থ হচ্ছে হুযুর প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জন্ম ও জন্মকাল ও তথা সীরাত সম্বন্ধে আলোচনা করা এবং তাঁর দুনিয়ায় আগমন উপলক্ষে আনন্দ ও খুশি পালন করা ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন নামে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হয়। যেমন-

○মাওলুদুন-নবী (আরবী/ উর্দু)
○মিলাদুন-নবী (আরবী/ উর্দু)
○ঈদুল মাওলুদুন-নবী (প্রিয়নবীর জন্মের খুশি ও আনন্দ)
○ঈদে-মিলাদুন-নবী (উর্দু)
○মাওলুদুন-নবওয়ী (প্রিয়নবীর জন্ম আলজেরিয়ান/ আফ্রিকা অঞ্চল)
○ইয়াওমুন-নবী (প্রিয়নবীর এর দিন আরবী/ আরব, ইরাক)
○মাওলুদুর-রাসূল (প্রিয়নবীর জন্ম , মালেশিয়া/ মালে)
○মাওলুদ শরীফ (তুর্কী)
○জহুরে পায়গাম্বারে আকরাম – ( ইরান/ ফাসী)
○আল মাওলুদুন-নবী - ( মিসর / মিসরীয় আরবী)
○মহানবী জয়ন্তি (সংস্কৃত, হিন্দী / ভারত)

বর্তমান বিশ্বে একমাত্র প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ   এর প্রতি ভালবাসা ও তাঁর সুন্নতের অনুসরণই পারে সমস্ত মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ ...
07/11/2019

বর্তমান বিশ্বে একমাত্র প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ এর প্রতি ভালবাসা ও তাঁর সুন্নতের অনুসরণই পারে সমস্ত মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে। ঈদে মিলাদুন্নবী ও মিলাদ মাহফিল নিয়ে এখন যে বিরোধ দেখা যায় এটা তো কয়েক বছর আগে ছিলই না। এমনকি ১৯২০ এর পরবর্তী সময় আল-সউদ পরিবারের হেজাজ বর্তমান সউদী আরবের ক্ষমতা দখলের আগ পর্যন্ত যারা যারা হিজাজ (বর্তমান সউদী আরব) শাসন করেছে উসমানী, আব্বাসীয় বা ফাতেমী বংশধরেরা তাঁদের প্রত্যেকের যুগে মিলাদ ও কিয়াম হয়েছে মক্কা মদীনায়। যতদিন মিলাদ মাহফিল এই সকল অঞ্চলে পালিত হয়েছে ততদিন তারা ছিল এক। কিন্তু যখন থেকে হিজাজের শাসকেরা মিলাদ মাহফিলের বিরোধিতা শুরু করলো, মুসলমানদের মধ্যে বিভেদই বেড়েছে, ঐক্য আসেনি।

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সমস্ত মুসলমানদের আল্লাহর বান্দা ও প্রিয় নবীর উম্মতী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকা। তাই এই জন্য নিজেদের মধে ছোটখাটো ভেদাভেদ ভুলে যাওয়াই উত্তম। যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আমরা কখনোই বলি না, এটা অবশ্যই করতে হবে বা এটা করা ফরজ এমন নয়। বরং সম্মানের দৃষ্টিতে আদবের জন্যই আমরা করে থাকি। যেমনÑ

 যদি কারুর মিলাদুন্নবী কথার সাথে আপত্তি থাকে তাহলে সীরাতুন্নবী হিসেবে পালন করুন। কিন্তু প্রিয় নবীর জীবনচর্চা হতে বিরত থাকবেন না।
 যদি দাঁড়িয়ে দরূদ ও সালাম থাকে তবে বসে পড়–ন। আমরা যারা দাঁড়িয়ে পড়ি তারা অধিক আদবের খাতিরেই পড়ি। তাই দাঁড়িয়ে পড়া যাবে না, এই অজুহাতে দরূদ শরীফ পড়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না।
 যদি ১২ রবিউল আউয়াল বা কোনো নির্দিষ্ট দিনে করা নিয়ে আপত্তি থাকে তাহলে বছরের অন্য যে কোনো দিন করুন, আমরা তো কখনই বলছি না যে এটা ১২ রবিউল আউয়ালই হতে হবে। কিন্তু এই খোঁড়া অজুহাতে নিজেকে প্রিয়নবীর আলোচনা হতে মাহরুম করবেন না।

আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের অন্তরে ইশকে রাসূল, আদাবে রাসূল, আহকামে রাসূলকে তাজা করা। এইজন্য ঈদে মিলাদুন্নবী হচ্ছে অত্যন্ত উপযোগী একটি মাধ্যম। এই মুস্তাহাব ও মুস্তাহসান মাহফিলের বৈধতা কোরআন ও হাদীসের আলোকে আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের এই প্রয়াস কবুল করুন। আমীন।

06/11/2019

মিলাদ মাহফিল ১৯৯০

ওয়াজ ও মিলাদ পরিচালনা করছেন
মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাফওয়ান নোমানী
খাতীব: মসজিদে মুফতী এ আযম,

দুআ পরিচালনা করছেন
মরহূম সাইয়্যেদ নু’মান বারকাতী (রহ.),
মেজ ভাই ও খলিফা মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আমীমুল ইহসান বারকাতী (রহ.)

মাহিফিলে আরও উপস্থিত রয়েছেন
মরহূম আল্লামা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ গুফরান বারকাতী (রহ.)
ছোট ভাই ও খলিফা মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আমীমুল ইহসান বারকাতী (রহ.)

স্থান: ধানমন্ডি ২, ঢাকা।

বাংলাদেশের আকাশে আজ মঙ্গলবার ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল বুধবার থেকে পবিত্র ...
29/10/2019

বাংলাদেশের আকাশে আজ মঙ্গলবার ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল বুধবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। সে হিসাবে আগামী ১০ নভেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) সারা দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

ভারতীয় উপমহাদেশে সহনশীলতা ও অপরিসীম জ্ঞান এবং সব বিষয়ে দক্ষতা ও কর্ম নৈপুন্যের বিরল ইতিহাস যিনি সৃস্টি করেছিলেন তিনি হলে...
25/10/2019

ভারতীয় উপমহাদেশে সহনশীলতা ও অপরিসীম জ্ঞান এবং সব বিষয়ে দক্ষতা ও কর্ম নৈপুন্যের বিরল ইতিহাস যিনি সৃস্টি করেছিলেন তিনি হলেন হযরত শাহ ইমাম আহমদ রেযা খাঁন কাদেরী বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি Ahmed Raza Khan Barelvi( احمد رضاخان بریلوی)।

উনার পিতা মওলানা হাকীম শাহ্‌ নকী আলী খান। ইমাম আহমদ রেযা (রঃ) ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলী শহরের হাবুলী/জাসুলী মহল্লায় ১০ই শাওয়াল ১২৭২ হিজরী এবং ১৪ই জুন ১৮৫৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। যার ক্ষুরধার লেখনি নিরলস সংগ্রাম ও পরিশ্রম ক্বিয়ামত পযর্ন্ত সুন্নী মুসলমানদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। বন্ধুরা,আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান ফাজেলে বেরেলভী (রহঃ) ছিলেন একজন শ্রদ্বেয় ও স্মরণীয় মহান ব্যক্তিত্ব। অনূর্ধ চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ‘শেষ সনদ’ লাভ করেন।
-
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই আ’লা হযরত ফতওয়া প্রণয়ন সূচনা করেন। 'আব্দুল মুছতফা' উপনাম ব্যবহারকারী আহমদ রেযা খান বেরেলভী ‘আ‘লা হযরত’ নামেই অধিক পরিচিত। ১৮৭৭ সালে পিতার সাথে তিনি হজ্জব্রত পালনের জন্য মক্কায় গমন করেন। অতঃপর দেশে ফিরে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন।আরবী, উর্দূ ও ফার্সী ভাষায় উনার রচিত মৌলিক ও অনুবাদ গ্রন্থ, কবিতাগ্রন্থ ইত্যাদির সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ টি রচনা করেছেন।
-
১৯১২ সালে উনার অনূদিত পবিত্র কুরআনের উর্দূ তরজমা ‘কুনূযূল ঈমান ফি তরজমাতিল কুরআন’ প্রকাশিত হয়। উনার প্রধান ও সর্ববৃহৎ রচনা হল ‘ফৎওয়া রেযভিয়াহ’ যা ২৭ খন্ডে রচিত ও প্রতিটি খন্ড ১০০০ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট। পরে রেযা ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এটি ৩০ খন্ডে প্রকাশিত হয়। যার পৃষ্ঠা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০,০০০। যার অধিকাংশ রচনাতেই রাসূল ﷺ প্রেমের বন্দনা প্রবল আকারে প্রকাশ পেয়েছে।ক্বাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে তিনিই জোর তৎপরতা চালিয়ে ছিলেন।সর্বস্বীকৃত আ‘লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খাঁন মুহাদ্দিসে বেরেলভী ছিলেন হানাফী মাযহাবের অনুসারী।মূলতঃ আ’লা হযরতের জন্মটাই ছিল এক নতুন শতাব্দির সূচনা।

ওফাত
✾══✾
ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী (রঃ) ২৫শে সফর ১৩৪০ হিজরী এবং ইংরেজী ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯২১ সালে জুমার দিন ৬৫ বছর বয়সে তিনি ইহলোক থেকে পর্দা করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন)
ইয়া আল্লাহ্‌ ! আমাদের অন্তর নবী ﷺ এর ভালবাসায় পরিপূর্ণ করে দিন। আ-মী-ন ।।

25/10/2019

আজ জুমাআয় প্রতিটি মসজিদে, প্রতিটি মিম্বারে আলোচনা হোক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা বিষয়ে।
ভালোবাসার দাবী কি? কি তার নিদর্শন?

কেমন ছিল সাহাবা ও আসলাফদের মহাব্বতে রাসূল স. এর নমুনা?
তাঁকে মুহাব্বত না করলে কি ঈমান থাকবে?
তাঁকে যারা গালমন্দ করবে তাদের শাস্তি কি?

এছাড়াও এবিষয়ে আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে সচেতনতা তৈরী করা সময়ের অন্যতম দাবী।

সাথে সাথে কাল থেকে সীরাতে রাসূল স. এবং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পুরো মাসব্যাপী আলোচনা হতে পারে। এবং তরুণ ও মুরব্বীদের মাঝে বিভিন্ন প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

সবাইকে ধন্যবাদ।
জাঝাকুমুল্লাহু খাইরান।

23/10/2019

আমাদের আহলে সুন্নাতের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেয়া হয়, কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ হাদীস বলা হয় না বিধায় পুরো বিষয়টার অন্তনিহিত গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারি না। তেমনি প্রিয়নবীর একটি হাদীস যেটা পূর্ণ বলা হয় না আংশিক বলা হয় “তোমরা আমার সাহাবীদের কাউকে গালি দিবে না”। পুরো হাদীসটা কেউ বলেন না। আজকে আমরা পূর্ণ হাদীসটা তুলে ধরছি যাতে অন্তনিহিত গুরুত্ব বুঝতে পারি।

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ قَالَ كَانَ بَيْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَبَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ شَىْءٌ فَسَبَّهُ خَالِدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَسُبُّوا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِي فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَوْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا أَدْرَكَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ‏"‏ ‏.‏

উসমান ইবন আবু শায়বা (রহঃ) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার খালিদ ইবন ওয়ালীদ ও আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এর মধ্যে (অপ্রীতিকর) কিছু একটা ঘটেলছিল। তখন খালিদ (রাঃ) তাকে গালি দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমার সাহাবীদের কাউকে গালি দিবে না। কেননা, তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ ব্যয় করে তাহলেও তাঁদের এক মুদ কিংবা অর্ধ মুদের সমান হবে না। (সহীহ মুসলিম)

এইখানে সারমর্ম হল কোন এক কারণে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) এবং হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এর মধ্যে তর্ক, কথা কাটাকাটি হল এবং খালিদ ইবন ওয়ালীদ হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) কে কটু বাক্য বা কোন গালি দিয়ে বসেন। সেই সময়ে আল্লাহর রাসূল হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এর পক্ষ নিয়ে খালিদ ইবন ওয়ালীদকে তিরস্কার দিয়ে বললেন যে “তোমরা আমার সাহাবীদের কাউকে গালি দিবে না”।

এখন প্রশ্ন হল হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) কি সাহাবী নন?

○তিনিই তো সেই মহান ব্যাক্তিত্ব যাকে সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তলোয়ার) উপাধি দেওয়া হয়েছে
○আজীবন অপরাজিত ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপতি
○খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে মুতার যুদ্ধে বাইজেন্টাইন মুসলমানদের দখলে আসে। রোমানদের বিপক্ষে এটি মুসলিমদের প্রথম লড়াই ছিল। এই যুদ্ধের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে খালিদের নয়টি তলোয়ার ভেঙে গিয়েছিল।

এখানে কিন্তু বিবাদমান দুইজনই সাহাবী

কিন্তু এই সময়ে আল্লাহর রাসূল হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এর পক্ষ না নিয়ে হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এর পক্ষ নিয়ে তাকে সাহাবী বললেন।

আমাদের অনেকের কাছে হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এই নাম খুব পরিচিত নাও হতে পারে।
হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) কে তিনি

○প্রথম পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করে যাঁরা 'সাবেকিনে আওয়ালীন'-এর অন্তভূক্ত
○আল্লাহর রাসূলের সাথে বদর, উহুদ, খন্দক, হুনাইনের যুদ্ধ অংশ নেন
○দুমাতুল জানদালে অভিযানে আব্দুর রহমান ইবনে আউফকে আমির নিযুক্ত করা হয় এবং আল্লাহর রাসুল নিজ হাতে তাঁকে পাগড়ি পরিয়ে দেন।
○হজরত উসমানের পর সাহাবাদের মধ্যে তিনিই ছিলেন ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
○শুধু তাই নয় একমাত্র এমন ব্যাক্তি যার পিছনে একবার ইকতেদা করে আল্লাহর রাসুল নামাজ আদায় করেন।

মোটকথা এতসব ফযীলতের মধ্যে প্রধান যেটা সেটা হল ইসলামের Crisis time তথা Primary stage যখন হাতে গোণা কিছু মুসলমান ছিলেন সেই হাতে গোণার একজন ছিলেন হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ)। যখন সুবিধাজন সময় থাকে তখন স্বাভাবিক ভাবে আপনার পাশে অনেক সহযোগী থাকবে, প্রকৃত সহযোগী তো তারাই যারা আপনার বিপদের সময় আপনার পাশে থাকবে।

যেমন আমাদের প্রিয়নবী অনেক স্ত্রী ছিল, সকলই আমাদের মা তথা উম্মাহাতুল মুমিনীন, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ফযীলত কার জানেন???
উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রাঃ) এর, কারণ সেই ইসলামের Crisis time তথা Primary stage প্রিয়নবীর পাশে যেই এক রমণী ছিলেন তিনিই তো খাদীজাতুল কুবরা (রাঃ)। যতদিন খাদীজাতুল কুবরা (রাঃ) জীবিত ছিলেন আল্লাহর রাসুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন নাই, কারণ তিনি একাই একশ ছিলেন।

একইভাবে সকল সাহাবীরাও সম মাকামের ছিলেন না। বিশেষ করে হিজরতের পূর্বে যারা মুসলমান হয়েছেন তাদের মর্যাদা এবং যারা হিজরতের পর মুসলমান হয়েছেন কোনভাবেই এক না। বিশেষ করে হুদাইবিয়ার সন্ধি থেকে মুসলমানদের সুদিন শুরু হয়ে যায়। তখন থেকে ধীরে ধীরে মক্কার মুশরিকরা মুসলমান হওয়া শুরু করে, মক্কা বিজয়ের পর তো মক্কার আবাল বৃদ্ধ বণিতা যারা যারা আজীবন ইসলাম ও প্রিয়নবীর বিরোধিতা করে তারাও মুসলমান হয়ে যায়। যেহতেু তখনও প্রিয়নবী জীবিত ছিলেন তাদের ভাগ্যে প্রিয়নবীর দীদারও লাভ হয় এবং মাকামে সাহাবীয়াতেও চলে আসেন তারা। কিন্তু এরা কখনই সেই সাহাবীদের সমমর্যাদায় যেতে পারবেন না যারা মক্কায় হিজরতের পূর্বে মুসলমান হয়েছেন, কাফিরদের মার যুলম অপমান সহ্য করেছেন , বদর উহূদ খন্দকের মতো অসম যুদ্ধে প্রিয়নবীর সাথে ছিলেন তাদের মর্যদায় যেতে পারবেন না।

তাই যখন কোন এক কারণে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) এবং হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) এর মধ্যে তর্ক, কথা কাটাকাটি হল বিষয়টি রাসুলে করীম (সা.) অবগত হয়ে হজরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদকে ডেকে সাংঘাতিকভাবে তিরস্কার করেন। তিনি বলেন, 'সাবেকিনে আওয়ালীন' একজন সাহাবির সঙ্গে এভাবে তর্ক ও ঝগড়া করা তোমার জন্য শোভনীয় নয়। আল্লাহর শপথ তুমি যদি উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ স্বর্ণের মালিক হয়ে যাও এবং তার সম্পূর্ণটা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দাও, তাহলেও তুমি আমার ওই সব সাহাবির কারো সমকক্ষ হতে পারবে না।'

আশারায়ে মুবাশশারাহ তথা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবী, এরা কিন্তু প্রত্যেকেই মক্কী জীবনেই ইসলাম গ্রহণ করেছেন, ইসলামের প্রাথমিক দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছেন।

আল্লাহপাক আমাদের দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করুক, আমীন।

Address

Dhaka
DHAKA-1100

Telephone

+8801764325554

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বারকাতী পাবলিকেশন্স posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বারকাতী পাবলিকেশন্স:

Videos

Share

Category