08/04/2022
আল্লাহর ইঙ্গিতে ফেরেস্তার প্রতিনিধিত্বে গ্রহ-নক্ষত্রের অভিনয়চক্রে, সুপার ক্লাস্টার গোত্রীয় লোকাল ক্লাস্টার ল্যানিয়াকিয়া'র ডিভিনিটিরিগিনালসিন ঐশ্বরত্বে সূর্য্যের আলোক রশ্মির সৌভাগ্যপূর্ণতায়, পর্যায় সারণির ৭টি পর্যায় এবং ১১৮টি মৌলে বিরল মৃত্তিকা ধাতুর সংমিশ্রণে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বন্ধনে আপনিও যেনো হউন জাতির মাইক ফলক।
বিশ্বভ্রমাণ্ডের নাক্ষত্রিক ফিশন ও ফিউশন এর অভিলাষে বাংলাদেশ স্বাধীনতার অসারত্বে আমার অন্তরঙ্গের প্রগাঢ়তায় বাঙ্গালী জাতির জীবন স্বর্গসুখের সূচকে ঐশ্বর্যশালী হউক। এবং বিশ্ব বিশিষ্ট পরমাণুবিদ রাদারফোর্ডের সৌরজগত পরমাণু মডেলের আলফা কণা'র অনুক্রমে আপনিও যেনো তরঙ্গে-অন্তরঙ্গে জাতির কল্যাণে ঘূর্ণায়মান হউন। কসমিক সাইন্স-মহাকর্ষীয় আপেক্ষিকতা'র স্টিমুলেশনে জাতি যেনো ধন্য হয়।
কিন্তু অত্যন্ত অনুতপ্তের বিষয় হচ্ছে ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার জন্য আমাদের জাতি শরীরের যেই রক্ত দিয়েছিল-রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সেই স্বাধীনতা আজ খর্ব হচ্ছে নীতিভ্রষ্ট কতিপয় আমলার জন্য।
সমাজকর্মী-লেখক মোশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। (প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম)।
''আইনের অহেতুক ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই অপব্যবহার বন্ধে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।'' অর্থাৎ এই কথার মাধ্যমে তিনি স্বীকার করে নিলেন যে কেউ কেউ এই আইনের অপব্যবহার অলরেডি করেছে।
তবে প্রশ্ন থাকে যে, যারা যারা আইনের অপব্যবহার করেছে তাদেরকে শনাক্ত করার দায়িত্বও কার?
এবং সাংবিধানিকভাবে জনগণের অধিকার রক্ষা করা আদালতের কর্তব্য।
অথচ কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদকে কেন ছয়বার জামিন আবেদন করার পরও জামিন দেওয়া হয়নি?
উক্ত আদালতের বিচারক কার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে? নাকি বিচারকের পক্ষপাতিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতায়?
মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট আইনে মুমূর্ষু রুগীকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিতে জামিন মুঞ্জুর না করে তাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এই বিচারক।
যাহার কথা বলিতে এখন কলম ধরিলাম, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পরাক্রমশালী স্রোতে সবার চোখে বাংলার বুকে জাহিরও করিলাম,
তাহার নামঃ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন (বিচারক, ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ) প্রহসনের এই বিচারকের অন্যায্য এহেন বিচারিক কার্যক্রমে শুধুমাত্র মোশতাক আহমেদ এরই মৃত্যু ঘটেনি অধিকন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার লঙ্ঘনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরম ভাবে নষ্ট হয়েছে।
এখন সম্মানিত প্রধান বিচারপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি, সৌরমণ্ডলে নিখিলশ্রেষ্ট আদালতের বিচারিক দৃষ্টিকোণে আপনারা আপনাদের স্নায়ুতন্ত্রের মানবতা সংশ্লিষ্ট চৈতন্য ধারায় ইন্দ্রিয় প্রণালীর (মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত নক্ষত্রের সমতুল্য সাংখ্যিক) কোটি কোটি সাইটোপ্লাজমীয় কোষের কম্বিনেশনে গঠিত এক হাজার কোটি স্নায়ুকোষ(নিউরন, গ্লিয়াল) কোষগুলোর কেন্দ্রীয় বিচক্ষণতায়, এই বিচারকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন নাকি তাকে বহাল রাখিবেন তা আপনাদের আপেক্ষিক ব্যাপার। তবে 'সাধারণ আপেক্ষিকতা থিওরি'র জনক বিশ্ব নন্দিত জ্যোতির্বিদ-আইনস্টাইনের ভাষ্যমতে ''সময় অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের মধ্যে পার্থক্য শুধু একগুঁয়ে বিভ্রমের।''
অর্থাৎঃ ভাগ্য, অতীত ও বর্তমানের কর্মকাণ্ডের ফলাফলে সময়ের পরিক্রমায় ভবিৎষতের স্থানান্তর (বিভ্রম!) সংশ্লিষ্ট গবেষণায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের মাল্টিভার্স থিওরি ও টাইম ট্রাভেল থিওরি'র হাইপোথিসিসে প্রাপ্ত বিশাল ব্যাখ্যা হতে নেওয়া অতি সহজ ভাষ্যে সংক্ষিপ্ত পরামর্শঃ আদালত প্রাঙ্গণে হাজারো সাধু বিচারক থাকতে দূষিত এই বিচারকের নীতিহীন কর্মকাণ্ডের দায়ভার আপনি কেনইবা স্বেচ্ছায় কান্দে নিবেন! বরং তাকে বিচার বিভাগ হইতে পার্মানেন্টলি বহিস্কার করে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে আদালতকে কলুষিত মুক্ত করিয়া আদালতের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাটা অত্যাবশ্যকীয়।।
জগলুল হোসেন পাইলো সরকারি দরবারখানা, বাংলার আদালতকে বানাইলো মুঘল সাম্রাজ্যের সাদৃশ্যমান শাহী দরবারখানা।
আর কোন লোভে কার অবৈধ ইঙ্গিতে তার বেআইনি নির্দেশে লেখক অর্থাৎ শিক্ষাগুরু'র মৃত্যু ঘটাইলো !
বিচারকঃ আসসামছ জগলুল হোসেন, বিচারকের বিচার করবে কে?
তবে ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে,
"পাপে ছাড়েনা বাপেরে।"
সাধারণ আপেক্ষিকতায় লেখক, ব্লগার ও সাংবাদিক বন্ধুরা,
প্রহসনের বিচারক (মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন) এর বেআইনি অর্ডারে (চিকিৎসা বঞ্চিত করায়)কারাগারে আমাদের কলমধারী এক ভাই (লেখক মোস্তাক আহমেদ)এর দেহ থেকে প্রাণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আমরা এখন আর নীরব থাকতে পারিনা একটুও।
টান দিলে ভাই টান পরিবে টানাটানি থাক, কিভাবে মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন হইছে ঢাকার বাঘ?
আমরা কলমধারী যারা এখনো জীবিত আছি তারা সুপারস্টার-ল্যানিয়াকিয়া'র অনুক্রমে (অধিকারবঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে) ক্ষমতার অপব্যবহারকারী (জগলুল হোসেন) এর বিরুদ্ধে নিখিলসৃষ্টির ফিউশন ধারায় কলম চালিয়ে যাবো। নিউট্রন তাঁরকার কালির ধূর্জটি স্রোতে কলমের লিখনি কার্যক্রম সোশ্যাল মিডিয়া/ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও নিউজ মিডিয়ায় আরো প্রবলভাবে লিথিয়ামের মতো সক্রিয় করে উন্মুখ জনতার আত্মজাগরণের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চৈতন্যকে জোরালো করে তুলে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী-প্রহসনের এই বিচারকরকে আদালতে আসামির কাঠগড়ায় দাড় করানোর ব্যবস্থা করবো (এটা আপেক্ষিকতা)। তখন দেখবে সুপারনোভার সাদৃশ্যমান বিস্ফোরণ সেখানে ঘটবেই ঘটবে। এবং প্রাণ ঘাতকের অন্তরালে কি লুক্কায়িত ছিল তা সবই বেড়িয়ে আসবেই আসবে।
আমরা বাংলা সংস্কৃতি-সাহিত্য শিখেছি বাঘের বাচ্চার মতন লড়বো, শকুন, বিড়াল দেখে একটুও ভয় পাইনা। আমরা মহাজাগতিক বিজ্ঞান শিখেছি, হাতে নিয়েছি কলম তুলে তা লিথিয়ামের মতন সক্রিয়তায় ওই সকল বাঘ-সিংহদেরকে হিলিয়ামের মত নিষ্ক্রিয় করে দিবো। নিশ্চয়ই কলম শক্তির চাইতে নীতিহীনদের শক্তি বেশি নয়। কলম শক্তির ঊর্ধ্বে কামান শক্তিও নয়। অতএব স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কলম শক্তির কাছে অনৈতিক শক্তি গুড়িয়ে যাবেই।
বিচারক: মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এর বেআইনি কর্মকাণ্ডের ক্যালকুলেশনে 'জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঋণাত্মক রাশি ও জ্যোতিষবিজ্ঞানের ভৌতিক রাশি গন্যতায়' স্বাধীনতার সুনাম খর্বকারী এই ঘাতকের সাবধানতায় ৯ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত প্রদর্শন করিতেছে।
বিশ্লেষণের ব্যাখ্যায়: তার ললাটের প্রতি শনি হুঙ্কারে বাঁশি বাজাচ্ছে ও রাহু গ্রাসে-অমাবস্যা তাকে ইশারায় ডাকিতেছে।'
এতএব, এখন শুধুমাত্র তাকে (আসসামছ জগলুল হোসেনকে) আদালতে আসামির কাঠ গড়ায় তুললেই রেজাল্টে তার রসের হাড়ির রস ঝরবেই ঝরবে। এবং সেই রেজাল্টে লেখক মুশতাক আহমেদের আত্মা অতিমানবিক জগতে শান্তি পাবে।
লেখক, ব্লগার ও গবেষক
টিপু সুলতান।
***পোস্টের কথাগুলির যুক্তি বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক ভিত্তিতে লেখা। লেখা কপি না করে বেশি বেশি শেয়ার করুন।
***অনুরূপ প্রতিবাদী শুধুমাত্র এই ছবিটি সংগৃহীত © Alamy