![এক কৃষকের বিস্ময়যাত্রা...কাঁচা রাস্তার ধারে আবর্জনার স্তূপ। ঠা ঠা রোদে ছায়া নেই। আপনমনে ময়লা জঙ্গল সাফ করে চলেছেন এক প্র...](https://img3.medioq.com/087/555/1045861280875555.jpg)
06/09/2024
এক কৃষকের বিস্ময়যাত্রা...
কাঁচা রাস্তার ধারে আবর্জনার স্তূপ। ঠা ঠা রোদে ছায়া নেই। আপনমনে ময়লা জঙ্গল সাফ করে চলেছেন এক প্রৌঢ় কৃষক। কিন্তু কি করবেন?
গাছ লাগাবেন তিনি। লোকে শুনে চলে যায়৷ বাধা দেয় না, সাহায্যও করে না৷ একা হাতে গোটা রাস্তার দু'ধারে ৪০০ পেঁপে গাছ লাগালেন সেই কৃষক৷ রাতারাতি ভাগ্য বদলালো তাঁর। পেঁপে বেচেই দিন ফিরল আলতাফ হোসেনের।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ঘটেছে এই নিরব বিস্ময়ের ঘটনা৷ উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের জমিদার নগর থেকে বলরাম বাজার যাওয়ার রাস্তায় দুই ধারে পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন আলতাফ।রাস্তার দুই ধারে ৪শ পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এসব পেঁপে ইতিপূর্বে বিক্রি শুরু করেছেন। তাঁর ভাষ্যে, প্রথম ধাপে প্রতি গাছ থেকে ৫ থেকে ৭ কেজি করে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১০ মণের বেশি পেঁপে উত্তোলন করেছেন। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ পেঁপে তিনি ৭০০থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
খাঁ খাঁ রাস্তা এখন সবুজে সবুজময়। যতদূর চোখ যায়, শুধু গাছ। গাছে গাছে পাখি। পাকা পেঁপের গন্ধ আছে মাঝেমধ্যে। আলতাফ হোসেনের এরকম উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
আমরা যখন মাথা কুটে মরছি, গাছ কাটবেন না, গাছ লাগান, তখন তথাকথিত সভ্য সমাজের একটা বিরাট অংশ এগিয়ে না এলেও এবারও কিন্তু হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার কৃষক ।
যাই হয়ে যাক না কেন, যেকোনো দুর্দিনে,দেশের প্রয়োজনে, এখনো আমাদের সবচেয়ে বড়ো গবেষক, ভরসার নাম বাংলার কৃষক। হরিপদ কাপালী, আলতাফ হোসেনদের জন্য ধন্য এ মাটি৷
শাফায়াত স্বচ্ছ
বিউটিফুল দিনাজপুর