School of Learning

School of Learning Welcome !

23/09/2024

আপনি কি জানেন কোন ভিটামিনের অভাবে কোন রোগ হয়, কোন ফলে আছে কোন ভিটামিন? | Business Times24

19/09/2024

Let's learn something new

29/08/2024

ইন্টারনেট, সিম কার্ড ছাড়াই চ্যাটিং করার উপায় | Chatting Without Internet, Sim Card | Mesh Network

28/08/2024

বন্য কবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধ করার উপায়, শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন 🍶

বিজ্ঞানী আ‌বেদ চৌধুরী‌কে অ‌ভিনন্দন!থাকবে না আর ধানের দেশে ভাতের কষ্ট।  এ উদ্ভাবন গরিবদের জন্য বিলিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছে...
21/11/2021

বিজ্ঞানী আ‌বেদ চৌধুরী‌কে অ‌ভিনন্দন!

থাকবে না আর ধানের দেশে ভাতের কষ্ট।

এ উদ্ভাবন গরিবদের জন্য বিলিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী। তাঁকে নিয়ে আমাদের গর্ব অনেক। নিচে তাঁর লেখা দিলাম

'মৌলভীবাজারের যে গ্রামে ১৪ বছর ধরে এই ধান চাষ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি, সেই গ্রামেই আমি বড় হয়েছি। শৈশবে আমি গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করেছি। ওই কমিউনিটিতে আমি থেকেছি। একটা সংগ্রামময় জীবন ছিল আমার। ষাটের দশকে কৃষিকে ঘিরে আমাদের একটা জীবন ছিল। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বাবাকে হারিয়েছি। পরে মাকে কেন্দ্র করে আমার একটা জীবন ছিল। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় কৃষকের জীবন খুব কাছ থেকে দেখেছি। তখন থেকেই ধান নিয়ে কিছু একটা করব- এরকম একটা ভাবনা আমার ছিল।

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ে আমেরিকায় গেলাম। তখন চেষ্টা করেছি বায়োলজির দিকে ফিরে আসতে। ধানের বিজ্ঞানের দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করেছি। আমার একটা স্বপ্ন ছিল, ধান ফলিয়ে মানুষের আয় বাড়ানোর। কারণ, আমি দেখেছি কৃষিকাজ যারা করছেন, তারা একেবারেই দরিদ্র অবস্থায় রয়ে গেছেন। ধান ফলিয়ে টাকা রোজগার করা যায় না- এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এই সংগ্রামের অঙ্গ হিসেবে আমি যখন বিদেশে গেলাম, তখন জেনেটিক্স আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি। দেশে দেশে গেছি বিজ্ঞান শেখার জন্য।

১৪ বছর ধরে আমি আমার গ্রাম কানিহাটির মাঠে এই ধানগুলো লাগিয়েছি। একটি ধানের সঙ্গে আরেকটি ধান ক্রস করেছি। আমেরিকাসহ সারা পৃথিবীতে থাকা আমার শিক্ষকদের সাহায্য নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি ধান কত বেশি উৎপাদনশীল করা যায়। এভাবে আমি আমার কাজটি এগিয়ে নিয়েছি।

আমার শৈশবের স্মৃতি, দারিদ্র্য দেখা এবং কৃষিকে কেন্দ্র করে মানুষের বেঁচে ওঠার সংগ্রাম আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, এই ধানগুলো আমার জীবনেরই একটা প্রতিচ্ছবি। ধানের উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমি জাগ্রত হয়ে উঠেছি। একটা কবিতা আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণ দেয়, 'হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখন জন্ম নিয়েছ সচেতনতার ধান, গত আকালের মৃত্যুকে মুছে আবার এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ।'

আমার জীবনের অভিজ্ঞতা, সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, দারিদ্র্য এবং কৃষিকে কেন্দ্র করে সংগ্রামের মাধ্যমেও যারা দরিদ্র রয়ে গেছেন, তাদের এই সংগ্রামের অভিজ্ঞতা আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে।

আমার উদ্ভাবিত ধান পাঁচবার ফলন দিচ্ছে, যা বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত জরুরি। এটি জলবায়ুবান্ধব ধান। এই ধানটি হাইব্রিড নয়, কিন্তু এই ধানের উৎপাদন হাইব্রিডের সমান। সাধারণত আমাদের দেশে আউশ, আমন ও বোরো ধান রোপণ করা হয়। দীর্ঘসময় মাঠ খালিও থাকে। অনেক সময় তিনটি ধান একসঙ্গে করাও যায় না। কিন্তু আমার উদ্ভাবিত ধান সারাবছরই উৎপাদনের কারণে লাগানো যায়।

একটি বিশাল দিক হচ্ছে, কৃষক নিজের কাছে এ ধানের বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। এটি এমন একটি আবিস্কার, যার মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরাট একটা পরিবর্তন আসতে পারে। গত বছর যখন দেখেছি এ ধানটি পাঁচবার মাঠে থাকতে পারে এবং ফসল দিতে পারে- এটা আমাকে বিরাট উজ্জীবনী শক্তি দিয়েছে। যেন সংগ্রামমুখর জীবন পেরিয়ে দীর্ঘ রজনীর পর উষার দ্বারপ্রাপ্তে এসে উপনীত হয়েছি। বিজ্ঞানী হিসেবে আমি অনেক কাজ করেছি। কিন্তু আমার সব কাজ ছাপিয়ে এখন মনে হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত কিছু একটা অর্জন করতে পেরেছি।

এই যে দীর্ঘ সংগ্রামের একটা জীবনের মধ্যে কৃষি ও ধানের বিজ্ঞানকে নিয়ে জাগ্রত হয়ে ওঠা, ২০-৩০ বছর ধরে একই সঙ্গে কাজ করা এবং ফাইনালি একটা কিছু করতে পারা- এটা মনে হচ্ছে একটা পরিণতির দিকে আমাকে নিয়ে এসেছে। আমি আজ অত্যন্ত তৃপ্ত, অত্যন্ত খুশি।

বাংলাদেশের অনেক সুধীজন, বন্ধু, পরিচিতজন আমাকে সব সময় সহাযোগিতা করেছেন। আমি বিশেষ করে স্মরণ করছি আমার মাকে, যিনি আমাকে বড় করেছেন। এ অর্জন তারই জীবনের সার্থকতার প্রতিচ্ছবি। আজ তিনি বেঁচে নেই। তার কথা আমি বিশেষ করে মনে করি এবং এসব কাজকে আমি তার স্মৃতির প্রতি নিবেদন করলাম। এ ছাড়া কানিহাটি গ্রামে আমার এ ধান চাষের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন রাসেল মিয়া। তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা। আমার এই উদ্ভাবন কোনো ব্যবসায়িক কাজে নয়, গরিব মানুষের জন্য বিলিয়ে দেব।'

সমকাল : ২০ নভেম্বর ২০২১

ছাত্রীকে পড়াচ্ছিলাম।কিছুক্ষণপর দরজায় কে যেন নক করলো।ছাত্রী উঠে গিয়ে দরজা খুলে ওর আম্মুকে ডেকে বলতে লাগলো!আম্মু "পরিষ্কার...
01/07/2021

ছাত্রীকে পড়াচ্ছিলাম।কিছুক্ষণপর দরজায় কে যেন নক করলো।ছাত্রী উঠে গিয়ে দরজা খুলে ওর আম্মুকে ডেকে বলতে লাগলো!
আম্মু "পরিষ্কারওয়ালা" এসেছে......!

অত:পর ছাত্রী আবার সেখান থেকে এসে পড়ার টেবিলে বসলো আমি জিজ্ঞেস করলাম!"হুমায়রা" "পরিষ্কারওয়ালা" আবার কে??
ছাত্রী:আম্মু বলেছে ময়লাওয়ালাদেরকে পরিষ্কারওয়ালা বলতে।কারণ আমরা ময়লা করি আর তারা সেগুলো পরিষ্কার করে।

মায়ের শিক্ষা ♥

Education Begins At Home

তারপরও নাকি আমরাই সৃষ্টির সেরা জীব।---------------------------------কক্সবাজারে কয়েকদিন আগে দুটো মৃত তিমি ভেসে এলো না? বি...
04/05/2021

তারপরও নাকি আমরাই সৃষ্টির সেরা জীব।
---------------------------------
কক্সবাজারে কয়েকদিন আগে দুটো মৃত তিমি ভেসে এলো না? বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে এরা কাপল। পুরুষ তিমিটি হয়তো বড় কোন জাহাজের ধাক্কায় মারা গেছে। এই শোক সইতে না পেরে স্ত্রী তিমিটিও আত্মহত্যা করেছে।

তিমি খুবই অনুভূতি সম্পন্ন প্রাণী। তিমির বুদ্ধিও আছে। এরা কখনো একা চলে না। জোড় বেঁধে চলে। সঙ্গীর মৃত্যু হলে তিমি যখন একা হয়ে যায় তখন সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

সঙ্গীর মৃত্যু হলে তিমির আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্বে প্রচুর। এরা দল বেঁধে চলতে ভালবাসে। একজনের বিপদ হলে সবাই ঝাপিয়ে পড়ে। দলের জন্য অনায়েসে নিজের জীবন দিয়ে দেয়।

কয়েক বছর আগে নিউজিল্যান্ডে এক দিনে প্রায় ৩শ তিমি আত্মহত্যা করেছিল। এরা সমুদ্রের তীরে উঠে আসে। মানুষ অনেক চেষ্টা করেও তাদের সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে পারেনি।

ভারতের তামিল নাড়ুতে প্রায় ১০০টি তিমি তীরে এসে আটকে গিয়েছিল। জেলেরা অনেকগুলোকে অনেক চেষ্টা করে ঠেলে সমুদ্রে পাঠালেও তারা আবার ফিরে আসে। রাতে সমুদ্রে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসার পর সকালে উঠে দেখে সবগুলো আবার ফিরে এসে তীরে মরে পড়ে আছে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করে, কোন তিমি যদি তীরে উঠে বালুতে আটকে যায় তখন সমুদ্রে একটি সিগন্যাল পাঠায়। তাকে বাঁচাতে তখন ঝাকে ঝাকে তিমি এসে নিজেরাও আটকে যায়। জেলেরা ধরে নিয়ে তাদেরকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলেও সঙ্গীকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বারবার ফিরে আসতে থাকে।

ব্লুহোয়েল (নীল তিমি) নামে একটা গেম নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। যে গেমটা মানুষকে আত্মহত্যা পর্যন্ত নিয়ে যায়। এই হলো গেমটির নাম করণের সার্থকতা।

মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণীর মধ্যে অভিনয় নেই, ছলনা নেই, বিশ্বাস ঘাতকতা নেই। তারা যেটা করে সঙ্গীর জন্য, দলের জন্য ডেস্পারেটলি করে। কারণ তাদের বুদ্ধি কম। ছলনা করার মতো বুদ্ধি নেই তাদের। ওরা সেলফি তুলে নেতাকে খুশি করার চেষ্টা করে না। মুখে হাসি দিয়ে অন্তরে ঘৃণা পুষে রাখার মতো ক্ষমতা তাদের নেই।

মানুষ নিজেদের মরার জন্য যে পরিমান অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে অন্য প্রাণী মারতে তেমন নেই। কোন প্রাণী নিজেদের ক্ষুধা নিবারণ ছাড়া অন্য প্রাণীকে মারে না। নিজের শক্তি জাহির করতে কাউকে পেটায় না। তারপরও নাকি আমরাই সৃষ্টির সেরা জীব।

---সংগৃহীত

17/01/2021
  #কোলন_ক্যান্সারবলিউডের ইরফান খানের পরে; হলিউডের চ্যাডউইক বোসম্যান মারা গেলেন কোলন ক্যান্সারে। কোলন ক্যান্সারের অন্যতম ...
30/08/2020


#কোলন_ক্যান্সার
বলিউডের ইরফান খানের পরে; হলিউডের চ্যাডউইক বোসম্যান মারা গেলেন কোলন ক্যান্সারে। কোলন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ দ্রুত মলত্যাগ করা ও মলত্যাগ করতে বসার পদ্ধতি। প্রচলিত লো-কমোড ওয়াশরুমের চেয়ে হাই-কমোড/সিটিং কমোডে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। সিটিং কমোডে পায়ুনালী সোজা না হয়ে, বাঁকানো থাকে৷

ফলে পরিপূর্ণভাবে মলত্যাগ হয় না। যা ক্ষতের সৃষ্টি করে, ইহা পর্যায়ক্রমে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। বিলাসিতার জন্য সিটিং কমোড এখন বহুল ব্যবহৃত হয়, তবে পায়ুনালী সোজা রাখতে পায়ের তলায় প্লাস্টিকের টুল ব্যবহার করতে পারেন।

বিঃদ্রঃ এখানে কোনো হাসির কথা বলা হয়নি,তাই দয়া করে হাহা রিয়েক্ট দিবেন না।

Courtesy : School of Engineers

বাসের গায়ের লেখাটা কি পড়তে পারছেন? জ্বি হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন… লন্ডন-কলকাতা-লন্ডন বাস সার্ভিস! অর্থাৎ বাসে চড়ে লন্...
19/07/2020

বাসের গায়ের লেখাটা কি পড়তে পারছেন? জ্বি হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন… লন্ডন-কলকাতা-লন্ডন বাস সার্ভিস! অর্থাৎ বাসে চড়ে লন্ডন থেকে কলকাতা যাতায়াত করা যেত। ১৯৫৭ থেকে ’৭২ সাল পর্যন্ত এই সেবা চালু ছিল। খরচ পড়ত জনপ্রতি ৮৫ পাউন্ড, পরবর্তীতে সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী তা ১৪৫ পাউন্ড পর্যন্ত হয়েছিল। এ্যালভার্ট ট্রাভেলস-এর কিছু বাসে আপার ডেক, লোয়ার ডেক এমনকি শোয়ার ব্যবস্থা ও ডাইনিং সিস্টেমও ছিল। কিছু সার্ভিস আবার যাত্রীদের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি রাতে হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও রাখতো। এই বাসগুলো বেলজিয়াম-জার্মানি-অষ্ট্রিয়া-স্লোভাগিয়া-তুর্কি-ইরান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-দিল্লী হয়ে কলকাতায় আসত। তবে ঠিক ক’দিন সময় লাগতো, কোথাও স্পষ্ট করে সেই তথ্য উল্লেখ নেই। যতদূর জানা যায়, প্রথম বাসটি ১৯৫৭ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করে ৫ জুন কলকাতায় পৌঁছেছিল অর্থাৎ সময় লেগেছিল সর্বমোট ৫১ দিন।

26/06/2020

পৃষ্ঠের গভীরতম বিন্দু কি?

মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম, "ভূপৃষ্ঠের উচ্চতম বিন্দু কি?" তার ঝটিতি উত্তর, " মাউন্ট এভারেস্টের শৃঙ্গ, 8848m বা 29,028 ft"। পরের প্রশ্ন, "ভূপৃষ্ঠের গভীরতম বিন্দু কি?" এবার মাথা চুলকে জিজ্ঞাসা-চিহ্ন লাগিয়ে বললো,"মারিয়ানা ট্রেঞ্চ"?

হ্যাঁ, জাপান দেশের দক্ষিণ-পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে এক গভীর সমুদ্র-খাদ "মারিয়ানা ট্রেঞ্চ"এর গভীরতম বিন্দু "The Challenger Deep" হ'ল ভূপৃষ্ঠের গভীরতম বিন্দু, সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে যার গভীরতা 10,911 m বা 35,798 ft।

ইটালিতে এক সুইস প্রযুক্তিবিদ অগষ্ট পিকার্ড এক ডুবোজাহাজ বানিয়েছেন, সময়টা 1953 সালের আগস্ট মাস। (এ বছরেরই মে মাসে এডমন্ড হিলারি ভূপৃষ্ঠের উচ্চতম বিন্দু জয় করে সমস্ত পৃথিবী জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। ) এই ডুবোজাহাজটি অদ্ভুতদর্শন, একটি কোল-বালিশের মতো 59.5ft × 11.5ft × 18.5ft ট্যাঙ্ক যার তলায় ঝুলছে একটি ভারী ধাতব গোলক । পিকার্ডের দাবি, এই ছোট্ট জলযানটি সমুদ্রের গভীরতম বিন্দু স্পর্শ করতে সক্ষম। বাবার কাজে মোহিত ছিলেন প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানী ছেলে জ্যাক পিকার্ড।

ভূপৃষ্ঠ বা সমুদ্রপৃষ্ঠে যদি বায়ুচাপ 1 atm (760mmHg) হয়, তা এভারেস্টের উপরে হবে 0.329 atm( 250mmHg); সমুদ্রের গভীরতম বিন্দু The Challenger Deep এ জলের চাপ হবে 1091.1 atm (829236 mmHg)। অর্থাৎ, আপনার উপর আঠারো হাজার হাতি চাপিয়ে দেওয়া হলো, বুঝুন এ'বার! এই চাপ সহ্য করতে পারবে পিকার্ডের তৈরী ডুবোজাহাজ "ট্রিয়েস্ট" (Trieste) ?

পাঁচ বছর ধরে প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর 1958 সালে মার্কিন নৌবাহিনী "ট্রিয়েস্ট" কিনে নেয়। শুরু হয় Project "Necton"; অর্থাৎ The Challenger Deep (যার অস্তিত্ব তখনো পর্যন্ত তাত্ত্বিক) এ মানুষ পাঠানোর প্রচেষ্টা।

1960 সালের 23শে জানুয়ারি। সুন্দর রৌদ্রজ্বল আবহাওয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের উপর ভেসে আছে মার্কিনী নৌজাহাজ USS Wandank। জলে নামানো হয়েছে "ট্রিয়েস্ট"। তার floater-tank এ ভরে দেওয়া হয়েছে গ্যাসোলিন (পেট্রোলিয়াম), যা সমুদ্রের জলের থেকে বেশি ঘন, ফলে বাইরে-ভিতরে চাপপার্থক্য কমবে। দু'টো ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রপেলার ঘুরবে ও বিদ্যুত তৈরি হবে। বৈদ্যুতিক চুম্বকের সাহায্যে নীচে দু'টি আধারে ধরে রাখা হবে বেশ ওজনদার লোহার ballast , যা ট্রিয়েস্টকে ডুবতে সাহায্য করবে; আবার যান্ত্রিক ত্রুটি হ'লে (power failure) এ'গুলি খসে পরবে সমুদ্রে, ফলে ট্রিয়েস্ট নিজেই ভেসে উঠতে শুরু করবে। লৌহগোলকে প্রবেশ করলেন পিকার্ডের ছেলে জ্যাক পিকার্ড ও মার্কিন নৌ-অফিসার ডন ওয়াল্স। ছোট্ট গোলকে কোনো রকমে দু'টি মানুষের জায়গা হ'ল।

ট্রিয়েস্ট ডুবতে শুরু করলো, গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় তিন কিমি। একটি মোটা কাঁচের জানলা দিয়ে সতর্ক দুজোড়া চোখ সমুদ্র দেখে ও কন্ট্রোলপ্যানেলে তাকায়।

প্রথম দু'শো মিটার Surface-layer, কতো রকম সামুদ্রিক জীবের আনাগোনা, তিমিদের ওঠা-নামা, সামুদ্রিক কচ্ছপের ভেসে বেড়ানো, মাছের ঝাঁক; মানে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে আমরা যা দেখি আর কি! তারপর আলোটা কেমন যেন কমে এলো, সন্ধ্যা হওয়ার মতো। (The twilight zone)। মাছেদের আনাগোনা কম। কিছু Eel, Lobster, Shark, Olive-ridley ঘুরে বেড়াচ্ছে। গোলকের বাইরের sensorএ তাপমাত্রা কমছে, জলের ঘনত্ব বাড়ছে। কিছু বড়ো আকারের স্কুইড ও হাঙর পাশকাটিয়ে যায়। গভীরতা বাড়তেই থাকে...600m, 800m, অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। একটা Leather-back turtle ভেসে যায় জানলার সামনে দিয়ে। 900m, বাইরে মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা। কেবল ইঞ্জিনের শব্দটাই শোনা যায়।

গভীরতা 1000m। আর কোনো আলোর ছিটেফোঁটাও নেই। নিশ্ছিদ্র কালো অন্ধকার। তারই মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ তারার মতো জ্বলে উঠছে....ওগুলো কি? নিজের শরীরে আলো সৃষ্টিকারি সামুদ্রিক জীব। 1200m, তিন চার রকম আলোয় উজ্জ্বল এক কোরালের গাছ, কোনো এক প্রস্তরখণ্ডে লেগে আছে। 1400m, বীভৎস দর্শন ড্রাগন-ফিস, সার্চলাইটে দেখা গেলো। 1500m, 2000m....জীবনের সংখ্যা খুব কমে গেছে। অন্ধকার পাতালপুরি যেন মৃত্যু গহ্বর। জ্যাক আর ডনের যেন মাথায় ঘোর লাগে। কেবিনের ভেতরেও তাপমাত্রা বেশ কমছে।

প্যানেলের সিগন্যাল আলো জ্বলে ওঠে, গভীরতা 3680m, পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্রের গড় গভীরতা। 3000--6000m কে বলা হয় The Abyssal Zone, বাইরের তাপমাত্রা 4°C ।

6000m এর ও তলায় নামতে থাকে ট্রিয়েস্ট। বাইরের তাপমাত্রা 1°C, জলের চাপ বেড়েই চলেছে। The Hadal Zone । ট্রিয়েস্ট ঢুকে পড়েছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ এর ভিতর, সমুদ্রতলের দেওয়াল দেখা যায় দূরে। দুই অসীম সাহসী মানুষ বিস্ময়ে ও উত্তেজনায় হতবাক। একটু বোধহয় অন্যমনস্ক! হঠাৎ একটা আওয়াজ, থরথর করে কেঁপে ওঠে ট্রিয়েস্ট। জ্যাক পিকার্ড কন্ট্রোল-প্যানেলের তথ্যে চোখ বোলায়, গভীরতা 9000m। খুঁজে দেখে জানালার একটি বাইরের দিকের plexiglass pane এ চির ধরেছে। অতিরিক্ত চাপে কেঁপে উঠেছে ট্রিয়েস্ট। ডন একবার জ্যাকের চোখে চোখ রাখে। জ্যাক পিকার্ডের চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। ট্রিয়েস্টের গতি একদম কমিয়ে সে আরো গভীরে নামতে থাকে। এই রকম মৃত্যুশীতল গভীরতাতেও ডনের চোখে পড়ে কিছু অদ্ভুত দর্শন সামুদ্রিক জীব। Hydrothermal vent অর্থাৎ আগ্নেয় উষ্ণ প্রস্রবণের স্রোত থেকে পাওয়া খনিজ যাদের খাদ্য। কিন্তু হায়, জ্যাক বা ডন, কেউই জীববিদ্যায় পারদর্শি নন। ফলে এই জীবকুলের বৈজ্ঞানিক বিবরণ তাঁরা দিতে পারেন নি।


অবশেষে আর নীচে যাওয়ার পথ মেলে না, চার ঘন্টা সাতচল্লিশ মিনিট অতিক্রান্ত। কন্ট্রোলপ্যানেলে গভীরতা দেখাচ্ছে 10,924 m( যান্ত্রিক ত্রুটি বাদ দিয়ে এটি হবে 10,911m)। অর্থাৎ এভারেস্ট জয়ের সাত বছর পর মানুষ The Challenger Deep পৌঁছে আর এক ইতিহাস রচনা করেছে। বিশেষ hydrophone voice communication system এর মাধ্যমে উপরে ভাসমান জাহাজের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে তাঁরা সফল হন। বাতাসে শব্দের গতির পাঁচগুণ দ্রুততায় মাত্র সাত সেকেন্ডে এই বার্তা উপরে পৌঁছায় ও আরো সাত সেকেন্ডে অভিনন্দন বার্তা ফেরে। কেবিনের ভিতরে তাপমাত্রা তখন 7°C।

এই গভীরতায় কুড়ি মিনিট ট্রিয়েস্টকে স্থির রেখে, তারপর Iron ballast release করে ডন ও জ্যাক ধীর গতিতে উপরে উঠতে থাকেন এবং তিন ঘন্টা পনেরো মিনিটে তাঁরা নিরাপদে ভেসে ওঠেন।

এর পর 1995 সালে জাপানের রোবট এবং 2009 সালে মানুষহীন-যান Nereus, The Challenger Deep এ নামে ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করে। 2012 সালের মার্চ মাসে "টাইটানিক" খ্যাত হলিউডি চিত্রপরিচালক জেমস ক্যামেরন একটি অত্যাধুনিক ক্যাপসুলে চেপে পুনরায় The Challenger Deep স্পর্শ করেন।

2020র জুন মাস (till date) পর্যন্ত ধরে, এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন 5780 জন (একাধিকবার আরোহণ, বিশেষতঃ শেরপাদের, বাদ দিয়ে)। আর এ পর্যন্ত The Challenger Deep স্পর্শ করেছেন মাত্র তিনটি মানুষ।

ট্রিয়েস্ট যানটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাদুঘরে এখনো প্রদর্শিত আছে।

Writer: Dr Sagnik, Abu Dhabi
Bengali Translation: Hindol Roy

🖤 African Beauty 🖤
24/06/2020

🖤 African Beauty 🖤

19/06/2020

Never stop working on yourself.
19/06/2020

Never stop working on yourself.

Address

Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when School of Learning posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share