Sabuj The Mia Vai

Sabuj The Mia Vai My Life

ঘুরাঘুরি আর কি?
07/09/2024

ঘুরাঘুরি আর কি?

মানুষ যেখানে মরে যাচ্ছে সেখানে কুকুর বিড়াল নিয়ে ভাবার সময় কই? এটাই বলছে সবাই।কিন্তু বাড়ির সবাইকে যখন উদ্ধার করে কুকুরট...
24/08/2024

মানুষ যেখানে মরে যাচ্ছে সেখানে কুকুর বিড়াল নিয়ে ভাবার সময় কই? এটাই বলছে সবাই।
কিন্তু বাড়ির সবাইকে যখন উদ্ধার করে কুকুরটাকে রেখে যায়, তখন কুকুরটার কেমন লাগতে পারে। কুকুর তো দুধ দেয় না, ডিম দেয় না। কিন্তু কুকুরেরও তো বাঁচার অধিকার আছে। উদ্ধারকারী ভাই ও বোনেরা, কুকুর বিড়ালের ব্যাপারটাও একটু দেখবেন প্লিজ।

বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণত্রাণ সংগ্রহ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাজধানীর বিভিন্...
23/08/2024

বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণত্রাণ সংগ্রহ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। নানা ধরনের শুকনা খাবারের পাশাপাশি নগদ টাকা দিচ্ছেন লোকজন। এসব ত্রাণসামগ্রী বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে।

11/08/2024

সুরা হাশর

06/08/2024

স্বাধীন বাংলাদেশের এ আমি

এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে শিক্ষার্থীরা সংসদ ভবন পরিস্কারের কাজে লেগে গেছে এইভাবে দেশ পরিস্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্...
06/08/2024

এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে
শিক্ষার্থীরা সংসদ ভবন পরিস্কারের কাজে লেগে গেছে
এইভাবে দেশ পরিস্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ

১৯৭১ এর পর ২০২৪ সালে নতুন করে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো রক্তের বিনিময়ে। আজ জনগণ নিশ্বাস নিচ্ছে প্রান ভরে, আনন্দ আর কান্নার ভি...
05/08/2024

১৯৭১ এর পর ২০২৪ সালে নতুন করে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো রক্তের বিনিময়ে।
আজ জনগণ নিশ্বাস নিচ্ছে প্রান ভরে, আনন্দ আর কান্নার ভিতরে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ 🇧🇩।
05-08-2024 স্বাধীন বাংলাদেশ

05/08/2024

5-8-2024
নতুন করে আজ স্বাধীন,
বাংলাদেশ🥀😍

চোখ বিক্রি করে আমি এই শহরে এসেছি। চারদিকে তাই কাউকে দেখি না।পথের মধ্যে একজন বলেছিল, কান দুটাও রেখে যাও। রেখে এলাম। এখন আ...
03/08/2024

চোখ বিক্রি করে আমি এই শহরে এসেছি।
চারদিকে তাই কাউকে দেখি না।পথের মধ্যে একজন বলেছিল, কান দুটাও রেখে যাও। রেখে এলাম। এখন আমি আর ভালো-মন্দ কিচ্ছু শুনি না।
তবে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এই শহরে। একজনকে বললাম, এই খারাপ লাগার কারণ কী?
বললেন, বোকা ছেলে সব বিক্রি করেছ,বিবেকটা বিক্রি না করলেতো এমন হবেই...
এরপর এই শহরে আমি একজন ভালো ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছি। কয়েকজনকে পেয়ে বললাম,একটা বিবেক ছিল। খুব কমে বেঁচতে চাই । নেবেন ভাই?
বললেন, মাথা খারাপ ! আমরা মাত্রই নিজেদের বিবেকও বেঁচে দিয়ে এলাম।
আপনারা যারা "ইন্টারনেট" ফিরে পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা,
এত আনন্দিত আর স্বাভাবিক কিভাবে থাকেন??
যেন কিছুই হয়নি 🙂
সংগৃহীত

03/07/2024

People in Fast Class think They Can do whatever they like. this guy learns a good lesson .

23/06/2024

অন্যরা যেখানে সিনেমা প্রমোটে ব্যস্ত সেখানে আমাদের মেগাস্টার মাছ ধরতে ব্যস্ত এটাই মেগাস্টার।
Walton খামার'বাড়ি
#তুফান Shakib Khan

ভাইরে ভাই আমি সতীন দেখেছি বাট বিশ্বাস করেন অপু বিশ্বাসের মতো এতো আ্যকটিভ সতীন  দেখিনি, অন্তত মিডিয়ায়!! সুবর্না মুস্তাফা,...
19/06/2024

ভাইরে ভাই আমি সতীন দেখেছি বাট বিশ্বাস করেন অপু বিশ্বাসের মতো এতো আ্যকটিভ সতীন দেখিনি, অন্তত মিডিয়ায়!! সুবর্না মুস্তাফা, মাহি, রুনা লায়লা শাওন থেকে শুরু করে বলিউডের শ্রীদেব হেমা মালিনী এরাও কারো না কারো সতীন হয়েছেন, এরা সবাই দ্বিতীয় স্ত্রী কোনো না কোনো পুরুষের, কিন্তু হুমায়ুন ফরিদীর প্রথম স্ত্রী বলি বা গুলতেকিন কিম্বা খোশনুর আলমগীর কাউকেই দেখিনি মিডিয়ায় এসে সতীন সম্পর্কে এতো ঘৃনা উগরে দিতে!
অপু বিশ্বাসের কথা শুনলে মনে হয় পৃথিবীতে বুবলীই একজন নারী যে কিনা অন্য এক পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী হয়েছে, যে কিনা বিবাহিত পুরুষকে ভালোবেসেছে!! আর বুবলি যখন বিয়ে করেছে তখন তো আপনাদের ডিভোর্স হয়েই গিয়েছিল। তো একজন ডিভোর্সড পুরুষকে বিয়ে করা কোন আইনে বা কোন ধর্মে নিষেধ একটু বলবেন?
আপনি একজন স্বনামধন্য নায়িকা ছিলেন, অনেকেই আপনাকে কুইন বলে, আর সেই আপনি কি দিচ্ছেন আপনার দর্শকদের উপহার? এটাই যে কিভাবে একটি গনমাধ্যমে এসে অপর এক নারীকে অপমান করা যায়? কিভাবে একজন শিক্ষিতা নারীকে যে কিনা এই মূহুর্তে বাংলা চলচ্চিত্রের হাল ধরার চেস্টা করছে তাকে যা নয় তাই বলা যায়? আপনার কাছ থেকে কি শিখছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম? এটাই যে দেখো এবং শেখো কিভাবে নারী হয়ে অন্য নারীকে অপমান করতে হয়, তাও আবার গনমাধ্যমে এসে!!!
আপনি যা বলেন মিডিয়াতে এসে তা কোনো সাধারন নারীও সহ্য করবে না, আমি জানিনা বুবলি কিভাবে সহ্য করেন এসব? আসলেই কস্টদায়ক, আমরা যারা সাধারন মানুষ তারাই আপনার এসব কথা শুনতে পারিনা, স্ক্রল করে চলে যাই যতো দ্রুত সম্ভব আর ভাবুন যাকে বলা হয় উনার কতোটা সহ্য শক্তি থাকলে উনি এসব মুখ বুঝে সহ্য করেন?
অপু বিশ্বাস আপনার অনেক ফেসবুক ফলোয়ার আছে যারা আপনাকে ফেসবুকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে যার কারনে আপনি এতোটা দাম্ভিকতার সাথে এসব বলেন, কিন্তু আপনার সেই ফলোয়াররা আপনার ছবি কেনো এখন হিট করতে সাহায্য করেনা? কেনো শাকিব খান যখন তৃতীয় বিয়ের ঘোষনা দেয় তখন তারা কেনো শাকিব খাঁনের বাড়ি ঘেরাও করে বলেনা যে, না শাকিব আপনি তৃতীয় বিয়ে করতে পারবেন না, অপুকে নিয়েই আপনার সংসার করতে হবে? উনারা এসব কিছুই করে না, পারে কেবল বুবলির সাথে, তাকে আজেবাজে উপাধি দিতে।
আর পচা আলু কাকে বলছেন? আলু কখন পচে জানেন? আলু তখনই পচে যখন সেটাকে কেউ ব্যবহার করেনা, গুদামজাত করে রাখে, বুবলি কিন্তু কাজ করছে, তার একটার পর একটা ছবি মুক্তি পাচ্ছে, অতএব পচা আলু সে নয় বরং বুবলি হলেন সেই সব্জি যা সবসময়ই সতেজ এবং সুন্দর। পচা বা শেকড় তো তাদের গজাবে যাঁদের হাতে কোনো কাজ নেই, গসিপ করা ছাড়া।
King Earth Bubly

আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে? গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে। রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টা...
07/06/2024

আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে।
রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। দোতলার বারান্দায় নাকি আম্মু মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগির খোপ রেখে এখানে এগুলো কেন রেখেছেন? আম্মু জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে।
চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেবাবুদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না।
আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ও ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ।
এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাসায় থাকতে হলে বাসা ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত।
সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই এক বাচা বাঁচল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জমেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল তা আমরা একটু পরে বলছি।
জীবনের এই প্রথম ধাক্কাই তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে।
আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে।
ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালকসুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনোকিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়।
আমাদের অধিকাংশ মানুষদের দেখবেন বলতে, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়িগাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়।
যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে।
আমাদের ভিতরে যারা একটু স্মার্ট এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন, তারা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িগাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব।
তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলেমেয়ের পিছনে অঢেল টাকাপয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুটঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’।
সত্যিকারভাবে ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া।
একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না।
আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবা না, তুমি হবা ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে।
আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।
বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে? এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ।
এমন কোনো প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।
সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। ফিরে আসুন ইসলামের বাতলানো সমাজ চিন্তায়। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার তলে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম। ইসলাম বলে একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তিনটা সাইন:
১. স্বপ্ন*দো-ষ হওয়া
২. নাভির নিচে লো+ম গজানো, কিংবা
৩. বয়স পনেরো বছরে উপনীত হওয়া
এরপর ইসলামি আইনমতে সে একজন পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। তার উপর শরিয়তের সকল আইন কার্যকর। মহান আল্লাহ এই সীমাটা এইজন্যই নির্ধারণ করেছেন যে, এই বয়স থেকে সে জীবন ও জগতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুরু করবে।
আমাদের উচিত ছিলো, আমাদের সন্তানদেরকে এই বয়সে উপনীত হওয়ার আগেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও যোগ্য করে গড়ে তোলা; কিন্তু সেটা না করে একটা দীর্ঘ সময় তাদেরকে স্পুন ফিডিং করে আমরা একটি অকর্মন্য ও অযোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলছি।

01/06/2024

I’m not gonna say ‘Kabul’ if he doesn’t vibe like this on our wedding day. 😑❤️
Congratulations Tamim Mridha .

রুমে বসে ফোন টিপছি। এমন সময় আমার স্ত্রী মিতু  তাড়াহুড়ো করে রুমে ঢুকে বললো,- পাশের ফ্ল্যাটে নতুন ভাবীকে দেখে আসলাম। অনেক ...
27/05/2024

রুমে বসে ফোন টিপছি।
এমন সময় আমার স্ত্রী মিতু তাড়াহুড়ো করে রুমে ঢুকে বললো,
- পাশের ফ্ল্যাটে নতুন ভাবীকে দেখে আসলাম। অনেক কিউট জানো। আর অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ি পড়ে...
আমি মিতুর কথা শুনে আনন্দিত হয়ে হাসতে হাসতে বললাম,
-- একদম ঠিক বলেছো, ভাবী সত্যি অনেক সুন্দরী। দেখতে একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগে। তাছাড়া গলার নিচে একটা কালো তিলও আছে। সেদিন বিকালে ভাবীকে দেখলাম খোলা চুলে নীল শাড়ি পড়ে ছাদে হাটাহাটি করছে। উফফ কি যে সুন্দর লাগছিলো...
মিতু চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি যে কত বড় ভুল করে ফেলেছি সেটা আমি ঠিক ভালো করেই বুঝতে পারছি। রাগে মিতু র সারা মুখ লাল হয়ে গেছে। আমি কিছু না বলে মাথা নিচু করে বসে রইলাম। মিতু রুম থেকে বের হয়ে গেলো। একটু পর রান্নাঘর থেকে বটি দা'টা এনে বললো,
-দেখো তো এটার ধার ঠিক আছে কি না?
আমি হাতে নিয়ে পরীক্ষা করে বললাম,
-- একদম ঠিক আছে। আজকেই ধার করালে না কি?
মিতু দা টা হাতে নিয়ে বললো,
- হে আজকেই করিয়েছি। আচ্ছা এটা দিয়ে এক কোপ দিলে কি ঘাড় থেকে মাথাটা ভাগ হয়ে যাবে না?
আমি বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললাম,
-- এইসব কি ভয়ংকর কথা বলছো?
মিতু আমার শার্টের কলার ধরে বললো,
-পাশের বাসার ভাবীর গলার নিচে তিল আছে সেটা তোর চোখে পড়ে আর আমার যে ঠোঁটের নিচে তিল আছে সেটা তো তোর কখনো চোখে পড়ে নি।
ভাবী নীল শাড়ি পড়েছিলো সেটা তোর মনে আছে আর আমি যে এই মুহূর্তে নীল শাড়ি পড়ে রয়েছি সেটা তোর চোখে পড়ে না? ভাবীর চেহারা বাচ্চা আর আমি কি বুড়ি হয়ে গেছি?
আমি মাথাটা নিচু করে বললাম,
-- সরি, বাবু...
মিতু রাগে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
- তোর সরিকে তোর টুট টুট টুট( এটা নিজ দ্বায়িত্বে বুঝে নিতে হবে)
তুই এই মুহূর্তে বাসা থেকে বের হয়ে যা তা না হলে আমি কিন্তু আজ বিধবা হয়ে যাবো...
ক্লাসমেটকে বিয়ে করলে এই এক ঝামেলা। কথায় কথায় তুই তোকারি করে গালিগালাজ করে আর যখন তখন মাঝ রাতে বাসা থেকে বের করে দেয়।
রাত কয়টা বাজে জানি না কারণ আমার হাতে ঘড়ি নেই সাথে মোবাইলও নেই। পকেটে হাত দিয়ে দেখি সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার আছে। জ্বলত সিগারেট ঠোঁটে নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মূত্র বির্সজন দিচ্ছি। এখন সময় কেউ একজন পিছন থেকে বলে উঠলো,
- দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা ঠিক না।
আপি প্যান্টের চিইন লাগতে লাগতে বললাম,
-- প্যান্টটা অনেক টাইট তো তাই বসে সঠিক ভাবে মূত্র বির্সজন দেওয়া যায় না..
লোকটা কিছু না বলে আমার ঠোঁট থেকে সিগারেটটা নিয়ে দুটো টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললো,
- আমি ইমরান , তা ভাই কি বিবাহিত?
আমি কিছুটা অবাক হয়ে বললাম,
-- আমি তুষার , তা আমি যে বিবাহিত সেটা আপনি বুঝলেন কিভাবে?
লোকটা মুচকি হেসে বললো,
- এত রাতে বউয়ের দৌড়ানি খেয়ে বিবাহিত পুরুষ বাদে অন্য কেউ বাসা বের হবে না। তা ভাই বউ বাসা থেকে বের করে দিলো কেন?
আমি মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললাম,
-- ভাইরে, পরস্ত্রীর সৌন্দর্য্যের প্রশংসা করেছিলাম।
আমার কথা শুনে লোকটা বললো,
-আপনারটা না হয় মেনে নেওয়া যায় কারণ কোন স্ত্রী স্বামীর মুখ থেকে অন্য নারীর সৌন্দর্য্যের কথা সহ্য করতে পারে না কিন্তু আমাকে তো ছোট একটা কারণে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে।
আমি বললাম,
-- কারণটা কি?
লোকটা একটানে সিগারেটটা শেষ করে বললো,
-আমার বউ নিতু শপিংমল থেকে একটা পারফিউম কিনে এনেছে। আমাকে পারফিউমটা দেখিয়ে বললো, দেখো তো ঘ্রাণটা কেমন? আমি ঘ্রাণ শুকে বললাম, ঘ্রাণটা ভালো আছে কিন্তু আমার কলিগ ফারিয়ার ওর পারফিউমের ঘ্রাণটা দারুণ। এই কথা শুনে আমার বউ প্রথমে পারফিউমের বোতলটা ভাঙলো তারপর আমাকে বাসা থেকে বের করে দিলো। কাল না কি আমায় ডিভোর্স দিবে কারণ আমার না কি চরিত্র ভালো না। আমি না কি কলিগের শরীরের ঘ্রাণ শুকে বেড়াই...
এমন সময় খেয়াল করলাম হাফপ্যান্ট পড়া খালি গায়ের একটা লোক এদিক ওদিক উঁকিঝুঁকি মারছে। আমাদের দেখতে পেয়ে দৌড়ে আমাদের কাছে এসে বললো,
~ভাই আপনারা কেউ কি সেন্টু গেঞ্জি পড়েছেন?
আমি বললাম,
-- হে আমি পড়েছি কিন্তু কেন?
লোকটা বললো,
~তাহলে ভাই, আপনার শার্টটা আমায় দেন। কোন রকম ভাবে আমার লজ্জাটা নিবারণ করি। তারপর সব বলছি।
আমি শার্টটা খুলে দিতেই উনি কোমড়ে পেছিয়ে পড়লেন।তারপর আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
~আমি সুজন , তা ভাই আপনারা কি বিবাহিত?
আমি আর ইমরান ভাই মুচকি হেসে বললাম,
-- জ্বি ভাই। তা আপনাকে বাসা থেকে বের করে দিবার কারণ?
সুজন ভাই একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
~ আমার বিয়ে হয়েছে ২ বছর হলো। কিন্তু এখনো সন্তানের বাবা হতে পারলাম না। সন্তান হবে কিভাবে, সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে ৪ দিনেই বউ আমায় বাসা থেকে বের করে দেয়, ২ দিন বউয়ের মাথা ব্যথা থাকে আর একদিন শ্বাশুড়ি বাসায় আসে আর বউ শ্বাশুড়ির সাথে ঘুমায়। আজ মা আমার বউকে বললো ১ বছরের ভিতর যদি নাতি নাতনির মুখ দেখাতে পারে তাহলে মা তার সমস্ত গহনা আমার বউকে দিয়ে দিবে। বউ নিজের ইচ্ছেতেই আমাকে কাছে ডাকলো, অন্তিম মুহূর্তে আবেগে বউকে বলে ফেললাম, আই লাউ ইউ রিয়া , আই লাভ ইউ সো মাচ। কিন্তু আমার বউয়ের নাম ছিলো অবন্তী। বউ প্রথমে আমাকে ধাক্কা দিয়ে খাট থেকে ফেলে দিলো তারপর একের পর এক প্রশ্ন, রিয়া কে। তাই বাধ্য হয়ে সব বললাম, রিয়া আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড ছিলো আর ওর সাথে একবার মনের ভুলে শারীরিক সম্পর্ক করে ফেলেছিলাম। আর এই কথা শুনে বউ সোজা বাসা থেকে বের করে দিলো। প্যান্ট পড়ার সময়টা পর্যন্ত দেয় নি...
রাতের অন্ধকার কেটে আস্তে আস্তে আলো ফুটতে লাগলো। এখন বিদায়ের পালা। হঠাৎ ইমরান ভাই আমাদের দুইজনকে বললো,
-ভাই, স্ত্রী লোক সৃষ্টি হয়েছে স্বামীর পাঁজরের বাকা হাড় দিয়ে। এমন আমরা যদি একদিনেই বাঁকা হাড় সোজা করতে চাই তাহলে সেই হাড় ভেঙে যাবে আর যদি সোজা করার চেষ্টা না করি তাহলে সেই হাড় দিনকে দিন আরো বেঁকে যাবে। তাই প্রতিদিন আদর ভালোবাসা যত্ন দিয়ে আস্তে আস্তে সেই বাঁকা হাড় সোজা করতে হবে। আমরা তিন জন আজকে রাস্তায় রাত কাটালাম। বিশ্বাস করেন আমাদের কারো স্ত্রী কিন্তু ১ মিনিটের জন্য হলেও বিছানায় শরীর লাগায় নি। কেউ হয়তো সারারাত বেলকনিতে দাঁড়িয়ে পথ চেয়ে রয়েছিলো, কেউ সারারাত কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে আর কেউ হয়তো ফজরের আযানের পড়েই স্বামীকে খুঁজতে বের হয়ে গেছে। স্ত্রী লোক ভাই খুব আজব জিনিস। দুনিয়া উল্টে গেলেও স্বামীর ভাগ কাউকে দিবে না...
যখন চলে যাবো তখন সুজন ভাই বললো,
~তুষার ভাই, আপনার শার্টটা কবে দিবো?
আমি মুচকি হেসে বললাম,
-- কোন একদিন মধ্যরাতে আপনার সাথে আবার দেখা হয়ে যাবে। যেহেতু আমরা বিবাহিত। সেদিন না হয় দিয়েন।
গেইট দিয়ে যখন বাসায় ঢুকতে যাবো তখন দেখি মিতু বেলকনির গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে নীল শাড়ি আর খোলা চুল। পাশের বাসার ভাবীর থেকে কমপক্ষে হলেও ১০ গুণ বেশি সুন্দর অথচ এই সৌন্দর্য্যটা এতদিন আমার চোখেই পড়ে নি...
সুজন কলিংবেল বাজাতেই অবন্তী দৌড়ে এসে দরজা খুললো। সারা রাত কেঁদে অবন্তী চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। সুজনকে জড়িয়ে ধরে অবন্তী বললো,
- আর যদি কখনো রিয়ার নাম শুনেছি তাহলে কিন্তু খুন করে ফেলবো তোমায়.. ইমরানকে দেখেই নিতু অন্য দিকে হাটা শুরু করলো। ইমরান নিতুকে বললো,
- তুমি কি আমায় খুঁজতেছিলে?
নিতু অন্য দিকে তাকিয়ে বললো,
-- তোমার মত একটা ফাজিলকে খুঁজতে আমার বয়েই গেছে। একটু মোটা হয়ে যাচ্ছি দেখে রাস্তায় হাটাহাটি করছি...
আসলেই স্ত্রী কঠিন জিনিস। সারাজীবন সাধনা করলেও আমরা তা বুঝতে পারবো না
#অনুগল্প #সমাপ্ত

চাকরির বেতনের টাকাটা যখন আমার স্বামী আসিফের হাতে তুলে দিলাম, সে টাকাটা গুণে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,- “তুমি তো ৩০ হাজার টা...
19/05/2024

চাকরির বেতনের টাকাটা যখন আমার স্বামী আসিফের হাতে তুলে দিলাম, সে টাকাটা গুণে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- “তুমি তো ৩০ হাজার টাকা বেতন পাও, এখানে তো দেখছি মাত্র ১০ হাজার টাকা!”
আমি বললাম- ১০ হাজার তোমাকে দিলাম, ১০ হাজার নিজের কাছে রাখলাম আর বাকি ১০ হাজার আমার বাবা-মায়ের জন্য।
আসিফ অবাক হয়ে বললো,
- “তোমার বাবা-মায়ের জন্য মানে! মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে মানে মেয়ের উপর তাদের দায়িত্ব শেষ! আর স্বামীর বাড়ি পা রেখেছো মানে তোমারও তাদের উপর দায়িত্ব শেষ! আলাদা করে উনাদের প্রতিমাসে তোমার টাকা দিতে হবে না। দাও বাকি টাকাটা দাও!”
আমি বাবা-মায়ের জন্য যে টাকাটা আলাদা করে রেখেছিলাম, সেই টাকাটাও আসিফের হাতে তুলে দিলাম। আসিফ টাকাটা গুণে বললো
- “তোমার নিজের জন্য টাকা রাখতে হবে কেন? তোমার যা লাগে সবই তো আমি দিই!”
আসিফের কথার ধরণ দেখে বুঝতে পেরেছিলাম কি বুঝাতে চেয়েছে। আমি আমার জন্য রাখা টাকাটাও চুপচাপ তার হাতে দিয়ে দিলাম…
শ্বাশুড়িও কিছুটা তার ছেলে আসিফের মতোই। একদিন মার্কেট থেকে একই রঙের দুইটা শাড়ি এনে শ্বাশুড়িকে দেওয়ার পর শ্বাশুড়ি বললো,
- “বউমা, একই রঙের দুইটা শাড়ি এসেছো কেন? দুইটা দুই রকম আনতে?”
আমি বলেছিলাম- একটা আপনার জন্য, একটা আমার মায়ের জন্য।
সেদিন শ্বশুড়ি বিরক্ত হয়ে বলেছিল
- “তোমার আহ্লাদ দেখে বাঁচি না। মেয়ে মানুষের বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই সব। এতো বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করলে হবে?”
মাথা নিচু করে বলেছিলাম- ঠিক আছে, আর বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করবো না!
পরদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময় আসিফকে বললাম,
- আমাকে ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা দিও। আর শোনো, বাসায় ফেরার সময় আমার জন্য নতুন দুই সেট ব্রা*-পেন্টি* নিয়ে এসো, আর হ্যাঁ ফার্মেসি থেকে এক প্যাকেট প্যাডও। ব্রা আনার সময় ভুল সাইজ এনো না কিন্তু! যদি আনো, তাহলে তোমারই আবার সেটা চেঞ্জ করে আনতে হবে।
কথার ধাক্কাটা হয়তো আসিফ নিতে পারেনি। তাই বোবা হয়ে গেলো! আমি মানিব্যাগ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে অফিস চলে গেলাম…
অফিস থেকে ফেরার পর শ্বাশুড়ি একটা শাল দেখিয়ে বললো,
- “এটা রিনা (আমার ননদ) আমার জন্য কিনে পাঠিয়েছে। কেমন হয়েছে বউ মা?”
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম
- রিনার তো বিয়ে হয়েছে। সে শ্বাশুড়ির জন্য শাল না কিনে কোন আক্কেলে আপনার জন্য কিনেছে বুঝলাম না! বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই মেয়েদের নিজের বাড়ি! জানি না রিনার এতো আহ্লাদ কেন? যা হোক, শালটা আমি নিয়ে গেলাম। পরে সময় মতো রিনার কাছে পাঠিয়ে দিবো! একথা বলে শ্বাশুড়ির গা থেকে শালটা খুলে নিজ রুমে চলে আসলাম…
কিছুক্ষণ পর আসিফ বাসায় ফিরলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- আমার জিনিস এনেছো?
আসিফ মুখ ভোঁতা করে বললো- “না, আনিনি!”
কিছুটা রেগে বললাম,
- আনো নি কেন? আমার পেট ব্যথা শুরু হয়েছে। একটু পর যখন পিরিয়ড শুরু হবে, তখন বিদেশ থেকে আনা এই দামী কম্বলে রক্তের দাগ লেগে গেলে সেটা কি ভালো লাগবে? আমার কথা শুনে আসিফ তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে গেলো…
কিছুক্ষণ পর এক প্যাকেট প্যাড এনে আমার হাতে দেওয়ার পর আমি বললাম
- বাকী জিনিস কোথায়?
আসিফ মাথা নিচু করে ১০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বললো
- “আজ থেকে তোমার জিনিস তুমিই কিনো। মেয়েদের সব জিনিস পুরুষ কিনতে পারে না!”
পরদিন বাবা বাসায় এসে আমার স্বামী-শ্বাশুড়ির সামনে আমাকে বললো,
- “মা, আমার বয়স হয়েছে। কখন কি হয় বলা যায় না। তুই তোর প্রাপ্য সম্পত্তিগুলো বুঝে নে।”
বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম,
- কিসের সম্পত্তি বাবা? তুমি জানো না, মেয়েরা বিয়ের পরে পর হয়ে যায়? তুমি যেদিন আমায় বিয়ে দিয়েছো, সেদিনের পর থেকেই আমার প্রতি তোমার দায়িত্ব শেষ! আর আমি যখন শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছি, তখনই তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব শেষ! আমার স্বামী-শ্বাশুড়ি আমাকে সেটাই শিখিয়েছে!
বাবা অবাক হয়ে বললো,
- “মা, এসব তুই কি বলছিস?”
আমি বললাম- ঠিক বলেছি বাবা, আমার কিছুই লাগবে না।
আসিফ আমতা আমতা করে আমাকে বললো,
- “তুমি আমাদের ভুল বুঝছো, বিষয়টা এমন না!”
শান্ত গলায় আসিফকে বললাম,
- তুমিই বলো বিষয়টা কেমন? আমার কি ইচ্ছে হতে পারে না, যে মানুষটা আমাকে এতো বড় করলো, পড়াশোনা শিখিয়ে যোগ্য পাত্রের সাথে বিয়েও দিলো, তার জন্য কিছু করতে? আজ আমি চাকরি করছি সবটা তো উনার জন্যই। উনি তো চাইলেই পারতেন উনার মেয়েকে পড়াশোনা না করাতে। আমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে উনার প্রতি আমার সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে? মেয়ে বিয়ে দিলেই যদি বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যেতো, তাহলে আমার বাবা এখানে আসতো না আমার প্রাপ্য আমাকে বুঝিয়ে দিতে।
আসিফ আর কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে রইলো…
আমি তখন শ্বাশুড়িকে বললাম,
- এক মাকে ছেড়ে আরেক মায়ের কাছে এসেছি। আমার দুই-দুইটা মা! যে মেয়ের দুই-দুইটা মা, সে তো একটু আহ্লাদি হবেই। আমি এক মায়ের জন্য কিছু কিনবো, আরেক মায়ের জন্য কিনবো না, সেটা কিভাবে হয় মা, আপনিই বলুন?
শ্বাশুড়ি মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগলো…
আসিফ আমার হাত ধরে বললো,
- “তুমি তোমার সম্পত্তি নাও কিংবা না নাও, এতে আমার বিন্দু পরিমাণ আপত্তি নেই। কিন্তু তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যেও না। আমি চাই তোমার সাথে থেকে হলেও আমার নিচঁ মন-মানসিকতার পরিবর্তন হোক।”
বাবা আমাদের এসব কথা শুনে অবাক হয়ে বললো- “মা রে, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!”
হেসে বললাম- তেমন কিছু না বাবা। একটু সমস্যা হয়েছিল, তোমার সামনেই সেটা সমাধান হয়ে গেলো।
শ্বাশুড়ির কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- আহারে সোনা, শালটা নিয়ে গেছি বলে কান্না করতে হবে না?
শ্বাশুড়ি আমার কান টেনে বললো,
- “ফাজিল মেয়ে, মায়ের সাথে ঢং করা হচ্ছে? শালের জন্য না, আমি আমার করা ভুলের জন্য, আর এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আরেকটা মেয়ে পেয়েছি, সেই খুশিতে কান্না করছি।”
মানুষ কখনো ভুলের উর্ধ্বে নয়। সংসার জীবনে এমন সমস্যা হতেই পারে। আপনার প্রতিবাদের কৌশলটা শুধু একটু অন্য রকম হোক…

বেশি না, মাত্র ৭ তলার ওপর থেকে! এক হাত দিয়ে রশি ধরে রাখা, আরেক হাত দিয়ে রং দেয়া। তার যায়গায় নিজেকে ভাবতেছিলাম! ভাবতেই কে...
17/05/2024

বেশি না, মাত্র ৭ তলার ওপর থেকে! এক হাত দিয়ে রশি ধরে রাখা, আরেক হাত দিয়ে রং দেয়া।
তার যায়গায় নিজেকে ভাবতেছিলাম!
ভাবতেই কেমন যেন পা কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছিল!
জীবন সুন্দর!

"প্রজন্মের 'মা' ধ্বংসের মাষ্টার প্লান"ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েদের একটা অংশ দেহ ব্যবসা করছে। আরেকটা বড় অংশ প্রেমীকের সাথে রুমড...
13/05/2024

"প্রজন্মের 'মা' ধ্বংসের মাষ্টার প্লান"
ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েদের একটা অংশ দেহ ব্যবসা করছে। আরেকটা বড় অংশ প্রেমীকের সাথে রুমডেট, মেস, আবাসিক হোটেল, ডার্ক রেস্টুরেন্ট, হাইড আউট, পার্কে যাচ্ছে। আমার নিজের শহরে এরা সংক্রামক ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়েছে।
আমার এক বন্ধু পড়ালেখার পাশাপাশি আবাসিক এক হোটেলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে। ওর ডিউটি রাতে। বিশাল বড় হোটেলের কোনো রাতেই খুব একটা রুম ফাঁকা থাকেনা। ও বলছে, বন্ধু বেশিরভাগই ভার্সিটির স্টুডেন্ট। পার নাইট ১৫০০-৫০০০/- পর্যন্ত খরচ করে থাকছে এক রাতের স্বামী-স্ত্রীর মত। বলছে, বেশির ভাগই তো মুখে হিজাব পড়ে আসে,তারপরও যখন আমি ক্যামপাসে যাই তখন অনেকে আমাকে দেখে মুখ ঢেকে চলে যায়। একটা হোটেলের তথ্য, অথচ অসংখ্য হোটেল শহরে!
আরেকটা অংশ ভার্সিটির খরচসহ লাক্সারিয়াস লাইফ পার করতে এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। একটা চক্র দালালের ভূমিকায় কন্টাক্ট করে দেয়। এরকম একজনকে চিনি, আমার কলেজের সিনিয়র যিনি মেসের ছেলেদেরকে চড়া সুদে টাকা ধার দেওয়ার পাশাপাশি কমিশন সিস্টেমে এই দু'নাম্বারি বিজনেস করেন। প্রশাসনের সাথেও এদের কানেকশন শক্তিশালী। যেকারণে হুট করে এদের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে টিকে থাকা কঠিন!
জি আমার প্রিয় অভিভাবকেরা এই হচ্ছে আমার বোন। অর্থাৎ, আপনাদের মেয়েদের অবস্থা! পুরো রমরমা ক্যারিয়ার বানাতে যে পাঠিয়েছেন তার যথাযথ অর্জন করেই আপনার ঘরে ফিরবে।
অনার্সের বয়সটা এমন যে, কনজারভেটিভ পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়েটা ছেলেদের সাথে দীর্ঘ সময় উঠাবসা করে। আর এই বয়সের ছেলেদের তেমন ভয় থাকেনা। তাই এরা নিঃসংকোচে গোপন কথাবার্তা মেয়ে বন্ধুকে ট্রিট করে বলে। এসব শুনতে শুনতে এক সময় মেয়েদের লজ্জা কমে যায়। আর জৈবিক চাহিদা যেহেতু নারী-পুরুষের সব চেয়ে তীব্র ও বড় মাপের চাহিদা তাই ভয়হীন ছেলে আর লজ্জাহীন নারীর জন্য এটা সহজ হয়ে যায়। তাই অবাধে চলছে আপনার মেয়ের যৌন প্রেম অথবা রমরমা যৌন ব্যবসা।
এখানে বড় পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এই মেয়েগুলো তো সারাজীবন আর এভাবে চলতে পারেনা। ভার্সিটি শেষে একটা পর্যায়ে এদেরই কেউ না কেউ আপনার আমার ঘরে স্ত্রী হিসেবে আসছে। এবং লজ্জাহীন এই নারী তখন স্বামীকে মমতা, প্রেম, তীব্র আবেগানুভূতি দিতে পারেনা। পারেনা সন্তানকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে। এভাবেই প্রজন্মের মায়েরা ধ্বংস হচ্ছে।
এখন অভিভাবক হিসেবে কি আপনি চান ভার্সিটি ক্যারিয়ারের নামে আপনার কলিজার টুকরো মেয়েটা এভাবে নিজের ইজ্জত বিলিয়ে দিক? অনেকে বলছে বিকল্প অপশন কি?
বিকল্প অনেক আছে, কিন্তু আপনার পুঁজিবাদী মস্তিষ্ক বিকল্প দেখতে পায়না, দেখিয়ে দিলেও মানতে পারেনা। কারণ আপনার চাহিদা বস্ত্রহীন, লজ্জাহীন, ইজ্জতহীন রং মাখানো ক্যারিয়ার।
©
#পোস্টটির জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

✅“সচেতনতামূলক পোষ্ট।”ℹ️ মিরপুর বেড়ি বাঁধের রাস্তায় যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা অনেকেই লক্ষ্য করবেন রাস্তার দুই পাশে ...
11/05/2024

✅“সচেতনতামূলক পোষ্ট।”
ℹ️ মিরপুর বেড়ি বাঁধের রাস্তায় যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা অনেকেই লক্ষ্য করবেন রাস্তার দুই পাশে কিছু মাছ বিক্রেতা বসে থাকেন জিওল মাছ (শিং, মাগুর, কৈ) নিয়ে। বিরুলিয়া থেকে নবাবের বাগ পর্যন্ত প্রতি ১/১.৫ কি:মি: পরপরই একজন করে পাবেন যারা বালতি আর বড় সিলভারের ডালায় করে মাছ সাজিয়ে বসে থাকে। এদের জিজ্ঞাসা করলেই বলবে দেশী বিলের মাছ। এরা মাছগুলো ঠিকা বা আনুমানিক একটা দাম ধরে বিক্রি করে। এদের প্রত্যেকের কাছেই কৈ, শিং, মাগুর সব মিলিয়ে আনুমানিক ২/২.৫ কেজি করে মাছ থাকে, কাষ্টোমার বুঝে তারা এই মাছের দাম ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত চেয়ে থাকে!
এই মাছগুলো আসলে মোটেও দেশী বিলের মাছ নয়। মাছগুলো রাজশাহী এবং নঁওগা এলাকার চাষের মাছ। এগুলোকে কৃত্তিম রং মিশিয়ে এরা ডালায় সাজিয়ে দেশী বলে বিক্রি করে। চাষের মাছ খাওয়া দোষের কিছু নয়, তবে এরা প্রতারণা করে সস্তা চাষের মাছকে দেশি মাছ বলে বেশি দামে বিক্রি করছে যেটা দোষের।
এছাড়াও এই একই রূটে এবং পূর্বাচল ৩০০ফিট রূটে দুপুরের পরে মিনি ট্রাকে করে একদল মাছওয়ালা পদ্মা এবং যমুনা নদীর মাছ বলে বার্মা থেকে আমদানীকৃত প্রিজারভেটিভ দেয়া বিশালাকারের ফ্রোজেন রুই, কাতলা, বোয়াল এবং বাঘাড় মাছ বিক্রি করে। এরাতো আরও বড় প্রতারক!
সুতরাং যারা এসব মাছ কিনে খান বা যাওয়া-আসার পথে দেখতে দেখতে কেনার পরিকল্পনা করেন তারা একটু দেখে শুনে, ভেবে-চিন্তে কিনবেন। ©

সহজে না দিলে , শক্তি দিয়ে কেড়ে নিতে হবে ।
08/05/2024

সহজে না দিলে , শক্তি দিয়ে কেড়ে নিতে হবে ।

"পুরো জাপান জেনে গেছিলো"এক ভারতীয় লোক জাপানে ঘুরতে গিয়ে সেখানকার এক ফাইভ স্টার হোটেলে উঠেছে। সে যখন সুইমিংপুলে নেমেছে, ত...
27/04/2024

"পুরো জাপান জেনে গেছিলো"
এক ভারতীয় লোক জাপানে ঘুরতে গিয়ে সেখানকার এক ফাইভ স্টার হোটেলে উঠেছে। সে যখন সুইমিংপুলে নেমেছে, তখন আর কোনো গেস্ট ছিলো না। একা সুইমিংপুলে সাঁতার দিতে গিয়ে ইন্ডিয়ান বদমাইশটার মাথায় চ্যাগান দিয়ে উঠলো শয়তানি। ভাবলো, "একটা ফাইভ স্টার হোটেলের সুইমিংপুলে হিসু করে রেখে যাই। আমার মূত্রে বাকি গেস্টরা অবগাহন করবে, অনেক মজা হবে।"
মজা পাওয়ার জন্য ভাইটি মূত্রবিসর্জন করামাত্র দেখলেন, পুলের ওই অংশের পানি গোলাপি হয়ে গেছে এবং এলার্ম বেজে উঠেছে। হোটেল স্টাফরা এসে সাথে সাথে তাকে পুল থেকে তুলে ফেললো। কারণ, এখন পুরা সুইমিংপুলের পানি ফেলে দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর নতুন করে পানি ভরা হবে।
ঘটনা ঘটার দশ মিনিটের মাথায় লোকটাকে রিসেপশনে ডেকে আনা হলো। তার হাতে পাসপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে হোটেল থেকে বিদায় করে দেয়া হলো। লোকটা ভাবলো, সে সম্মানিত ট্যুরিস্ট এবং তার প্রচুর পয়সা আছে। অন্য হোটেলে গিয়ে উঠলেই হবে।
এখান থেকেই মূল খেলাটা শুরু। লোকটা প্রথমদিকে আশপাশের ফাইভ স্টার হোটেলগুলায় উঠার চেষ্টা করলো। মজা হলো, যেই হোটেলেই সে উঠার চেষ্টা করে, রিসেপশনিস্ট তার পাসপোর্টের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে ফেলে, "আচ্ছা, আপনিই সেই লোক যে সুইমিংপুলে.... আহ্, সরি স্যার, আপনাকে গেস্ট হিসেবে আমরা নিতে পারতেসি না। অন্য হোটেল দেখেন।"
লোকটা হোটেল দেখা শুরু করলো। প্রথমে সবগুলো ফাইভ স্টার, এরপরে ফোর স্টার, এরপর থ্রি স্টার.... প্রত্যেকটা হোটেলেই সেইম ঘটনা ঘটতেছে। কেউই তাকে গেস্ট হিসেবে নিচ্ছে না। সারাদিন ঘুরে জাপানের কোনো হোটেলেই থাকার জায়গা না পেয়ে লোকটা শেষমেশ নিজের এমব্যাসিতে আশ্রয় নিলো।
সেখানে তাকে পরামর্শ দেয়া হলো, জাপানের এমন কোনো হোটেলেই তুমি আর কোনোদিন উঠতে পারবা না, যেখানে সুইমিংপুল আছে। তারচেয়ে বড় কথা, তোমার এই অপরাধের ছাপ্পা তোমার পাসপোর্টের সাথে লেগে গেছে। তোমার জাপান ভ্রমণ এখানে সমাপ্ত করাটা হবে বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত।
লোকটার অপমান সেখানেই শেষ হয় নাই। চলে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে পাসপোর্ট অফিসার তার পাসপোর্টে সিল মারতে মারতে বললো, "আশা করি আপনি আপনার শিক্ষা পেয়েছেন। অন্য দেশে যাওয়ার সময় শিক্ষাটা ভুইলেন না।"
ইন্ডিয়া ফিরে গিয়ে লোকটা পুরো ঘটনাটা তার ফেসবুকে লিখেছে। সেই স্ট্যাটাসের লাস্ট লাইন ছিলো, "পুরো জাপান জেনে গেছিলো যে আমি ওদের হোটেলের সুইমিংপুলে হিসু করেছি।”
এদিকে আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কারা আমাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়ে গেছে, সেটা আমাদের সরকার এখন পর্যন্ত বের করতে পারে নাই।
সংগৃহীত পোষ্ট।

24/04/2024

Don't share your big dreams with small-minded people

অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ খেয়াল করি আমাদের পাশের বাসায় থাকে আফজাল সাহেব আর উনার স্ত্রী আমাদের আরেক প্রতিবেশী  রহমান...
15/04/2024

অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ খেয়াল করি আমাদের পাশের বাসায় থাকে আফজাল সাহেব আর উনার স্ত্রী আমাদের আরেক প্রতিবেশী রহমান চাচাকে বকাঝকা করছে। আফজাল সাহেবের স্ত্রী রহমান চাচাকে রেগে গিয়ে বলছে,
-"আপনি নাকি আমার ছেলেকে রাস্তার এতগুলো মানুষের সামনে থাপ্পড় মেরেছেন?"
রহমান চাচা তখন বললো,
-"থাপ্পড় তো আর এমনি এমনি দেই নি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খেয়াল করলাম তোমাদের ছেলে একজন মুরুব্বি রিকশাওয়ালার কলার চেপে ধরেছিলো। ক্লাস টেনে পড়ে একটা বাচ্চা ছেলে একজন বয়স্ক মানুষের কলার চেপ ধরেছে। এটা তো অনেক বড় বেয়াদবি। তাই একটু শাসন করেছিলাম "
আফজাল সাহেব তখন রেগে গিয়ে বললো,
-"আমার ছেলেকে শাসন করার আপনি কে? আর কলার তো এমনি এমনি চেপে ধরে নি। ঐ রিকশাওয়ালা রিকশা আমার ছেলের শরীরে লাগিয়ে দিয়েছিলো তাই তো কলার চেপে ধরেছিলো।"
রহমান চাচা মাথা নিচু করে বললো,
-" তাই বলে নিজের বাবার চেয়েও বড় বয়স্ক লোকের কলার চেপে ধরবে?"
আফজাল সাহেব তখন আরো রেগে গিয়ে বললো,
-" আমার ছেলেকে আমি জন্ম দিয়েছি তাই শাসন করার অধিকার একমাত্র আমার। আপনার কোনো মাতব্বরি করতে হবে না "
এইকথা বলে আফজাল সাহেব আর উনার স্ত্রী চলে গেলো। আমি তখন রহমান চাচার কাছে গিয়ে মুচকি হেসে বললাম,
--ছোটবেলায় সালাম না দেওয়ার কারণে আমার এক প্রতিবেশী দাদা আমায় থাপ্পড় মেরেছিলো। আমি দৌড়ে কাঁদতে কাঁদতে মাকে গিয়ে বলেছিলাম, সালাম না দেওয়ার জন্য দাদা আমায় মেরেছে। মা আমার কথা শুনে আমার গালে আরো ৩টা থাপ্পড় মেরে বলেছিলো, "তুই সালাম দিস নি কেন?"
এরপর থেকে দাদাকে সালাম দেওয়ার কথা কখনোই ভুলতাম না
একসময় সন্তান ভুল করলে বড়রা যখন শাসন করতো অবিভাবকরা তখন খুশি হতো। আর বর্তমান যুগে সন্তান হাজার ভুল করলেও শাসন করলে অবিভাবকদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়
আমার কথা শুনে রহমান চাচা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
-"ঠিক বলেছিস রে বাবা, যুগটা পাল্টে গেছে"....
এই ঘটনার বছর খানিক পর আমি বিকালের দিকে গলির মোড়ে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করি আফজাল সাহেব আর উনার স্ত্রী রিকশা দিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছে। আর আফজাল সাহেবের মাথায় ব্যান্ডেজ পেছানো।
আমি রিকশা থাকিয়ে আফজাল সাহেবকে বললাম,
--আরে কি হয়েছে আপনার? কপালে ব্যান্ডেজ কেন?
আফজাল সাহেবের স্ত্রী তখন বললো,
-"তেমন কিছু না বাথরুমে মাথা ঘুরে পরে গিয়েছিলো"
উনারা চলে গেলে আমি যখন দোকানদারকে চায়ের বিলের জন্য টাকাটা দেই তখন দোকানদার লোকটা টাকাটা হাতে নিয়ে বললো,
-" মিথ্যা কথা বলছে। বাথরুমে গিয়ে কপাল ফাঁটে নাই। উনার ছেলে তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আমার দোকানের পিছনে প্রায় সময় ছাইপাঁশ খায়। আজকে সকালেও খাচ্ছিলো। বাপ তখন দেখে ফেলে। পরে বাপ ছেলেরে মারধর করলে ছেলেও বাপের মাথায় ভাড়ি দিয়ে কপাল ফাঁটায়"
দোকানদারের কথা শুনে আমি বিড়বিড় করে বললাম,
আফজাল সাহেবের কপাল আজ না অনেক আগেই ফেটেছে....
----
------
ফাইলটা হাতে নিয়ে মামুন সাহেব আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তখন উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
--আজকে আবার কি হলো?
মামুন সাহেব মুচকি হেঁসে বললো,
- বউকে নিয়ে আজকেও একটু বের হবো। বুঝতেই পারছেন নতুন বিয়ে করেছি। আপনি ফাইলটা একটু দেখে স্যারের কাছে দিয়েন
আমি ফাইলটা হাতে নিয়ে মামুন সাহেবকে বললাম,
-- সংসার জীবনে ভালোবাসা হলো তরকারিতে লবণ দেওয়ার মত। তরকারিতে কম লবণ হলে যেমন খাওয়া যায় না তেমনি তরকারিতে বেশি লবণ হলেও খাওয়া যায় না। লবণ সবসময় পরিমাণ মত দিতে হয়। তেমনি ভালোবাসাও পরিমাণ মত দিতে হয়। অতিরিক্ত ভালোবাসা ভালো না। আজ নিজের কাজ ফেলে বউকে প্রচুর সময় দিচ্ছেন। এতে কিন্তু বউয়ের অভ্যাস হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যখন নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবেন, বউকে আগের মত সময় দিতে পারবেন না, তখন কিন্তু বউ আপনায় ভুল বুঝবে। সন্দেহের চোখে দেখবে। বউ মনে মনে ভাববে, আগে আমায় সময় দিতো এখন কেন সময় দেয় না। নিশ্চয়ই অন্য কাউকে সময় দেয়।
আমার কথা শুনে মামুন সাহেব কিছুটা রেগে গিয়ে বললো,
-"কাজটা করতে পারবেন না সোজাসাপ্টা বলে দিলেই হয়। এত লেকচার দেওয়ার কি আছে?"
আমি মুচকি হেসে বললাম,
-- আমি কাজটা করে দিবো আপনি যান...
সময়ের পরিক্রমায় অনেক দিন পার হয়ে গেলো। প্রোমোশনের পিছনে আমাদের মত মামুন সাহবেও ছুটলেন। বসকে খুশি করার জন্য সবাই সবার কাছে ব্যস্ত হয়ে গেলো
রাত ১১টার দিকে একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে একটা মেয়ে বললো,
-" আপনি পিয়াস ভাইয়া বলছেন?"
আমি উত্তর দিলাম,
--জ্বি
তখন মেয়েটা বললো,
-"ভাইয়া, আমি অর্পিতা আপনার কলিগ মামুনের স্ত্রী। মামুনের মুখে আপনার কথা অনেক শুনেছি। তাই একটা কথা জানার জন্য মামুনের ফোন থেকে গোপনে আপনার নাম্বারটা নিয়েছি। আমি আপনার ছোট বোনের মত। আপনি সত্যি করে বলেব তো মামুন কি অফিসের কোন মেয়ের সাথে রিলেশন করে?"
আমি মেয়েটার কথা শুনে যা বুঝার বুঝে গিয়েছিলাম। আমি মেয়েটাকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করলাম মামুন সাহেব অফিসে কতটা ব্যস্ত থাকে। কিন্তু আমার মনে হলো আমার সব কথা মেয়েটা বিশ্বাস করছে না...
পরদিন সকালে অফিসে গিয়ে খেয়াল করি মামুন সাহেব মনমরা হয়ে চুপচাপ বসে আছে। আমি উনার সামনে গিয়ে বললাম,
-- টেবিলে রাখা চা তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
মামুন সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
-"আপনি সেদিন ঠিক কথা বলেছিলেন। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না৷ বউকে মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসা দিয়ে ফেলেছিলাম। এখন যদি কোন কারণে সময় দিতে না পারি কিংবা কোন কারণে রাগ দেখায়। বউ সেটা সহ্য করতে পারে না। সারাক্ষণ এখন আমায় সন্দেহের চোখে দেখে। আমার পিছনে ওর ভাইকে লাগিয়েছে। আমি যেখানে যাই না কেন সালা আমায় নজরদারি করে। বউয়ের ধারণা আমি অন্য একটা রিলেশন করি। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন নিশ্চয়ই সালা বাবু দাঁড়িয়ে আছে অফিসের সামনে"
আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি ১৮-১৯ বছরের একটা ছেলে মাথায় গোল টুপি আর চোখে কালো সানগ্লাস লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটা নিশ্চয়ই এই কাছে আনন্দ পাচ্ছে আর নিজেকে গোয়েন্দা ভাবছে
আমি কিছু না বলে চুপচাপ নিজের কাজে মন দিলাম আর মাঝেমধ্যে আড়চোখে মামুন সাহেবকে দেখতে লাগলাম, বেচারা দুইগালে হাতদিয়ে বসে আছে.....
----
-------
সুপ্তির সাথে আমার বিয়েটা ভেঙে যায় আমার কয়েকটা কথার কারণে। আমি সুপ্তিকে বলেছিলাম,
-- আমি তোমার ফেইসবুক আইডিটা ভালো করে দেখেছি। সেখানে দেখলাম ফ্রেন্ডের সাথে লেট-নাইট পার্টি করার অনেক ছবি। ট্যুরে গিয়েছো তারও অনেক ছবি পোস্ট করা। তুমি আধুনিক মেয়ে তুমি এইগুলো করতেই পারো এটা স্বাভাবিক কিন্তু বিয়ের পর আমি তোমার ছেলেবন্ধুদের সাথে তোমায় এইগুলো করতে দিবো না। তোমার যদি ইচ্ছে হয় বন্ধুরা মিলে লেট-নাইট পার্টি দিবে কিংবা বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যাবে তখন আমাকেও সাথে নিতে হবে। কারণ আমি আমার বউকে একা ছাড়বো না।
সুপ্তি আমার কথা শুনে রেগে বললো,
-" ছিঃ তুমি এত ছোটলোক? তোমার মত লো মেন্টালিটির মানুষকে আমি কখনোই বিয়ে করবো না। যে কিনা মেয়েদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে।
একটা ছেলে যদি মাঝরাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারে তাহলে একটা মেয়ে কেন পারবে না? একটা ছেলে যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরার অধিকার থাকে তাহলে একটা মেয়েরও সেই অধিকার আছে।
আমি তখন মুচকি হেসে সুপ্তিকে বললাম,
-- যে স্বাধীনতা দিলে আমার বউয়ের ক্ষতি হবে সেই স্বাধীনতাটা না হয় আমি আমার বউকে দিলাম না। আর সম অধিকার মানে এই না যে একটা পুরুষ যা করবে তা একটা নারীও করতে পারবে। তুমি যে অধিকারের কথাগুলো বললে৷ সেই অধিকার গুলো কোন সুস্থ আর বুদ্ধিমান মেয়ে কখনোই চাইবে না
আমার কথাগুলো সুপ্তি মানতে পারি নি আর যার ফলে আমাদের বিয়েটাও হয় নি...
৫ মাস পর.....
আমার স্ত্রী শ্রাবণী দুইদিন ধরে অসুস্থ। তাই অফিস থেকে কয়েকদিনের জন্য ছুটি নিয়েছি। রান্নাবান্না করে টেবিলে খাবার দিয়ে কতক্ষণ ধরে শ্রাবণীকে ডাকছি কিন্তু ওর আসার নাম নেই। রুমে এসে দেখি শ্রাবণী একমনে খবরের কাগজ পড়ছে। আমি তখন ওকে বললাম,
--কি হলো? কতক্ষণ ধরে ডাকছি তুমি আসছো না যে?
শ্রাবণী আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
-" একটা নিউজ পরছিলাম। থার্টি-ফাস্ট নাইটে একটা মেয়ে নিজের বন্ধুদের দ্বারা ধর্ষিত হলো। মেয়েটা প্রথম ছেলে বন্ধুদের সাথে মদ খেয়েছে। মদ খেয়ে যখন নেশা হয়ে যায় তখন ওর ছেলে বন্ধুরা ওর সাথে এই নোংরা কাজটা করেছে"
শ্রাবণী খবরের কাগজটা রেখে খেতে চলে যায় আর আমি তখন খবরের কাগজে সুপ্তির ছবিটা একমনে দেখছিলাম....
আমরা সবাই মনে করি আমারদের এই জগৎ সংসার খুব জটিল। কিন্তু এটা আমাদের ভুল ধারণা। আমাদের এই জগৎ সংসার একদম সহজ। কিন্তু আমরা নিজেরাই এই সহজ জিনিসটাকে জটিল করে ফেলি।
ভালো কাজের ফলাফল আল্লাহ দুনিয়ায় না দিলেও মন্দ কাজের ফলাফল আল্লাহ দুনিয়ায় কিছুটা হলেও দেয়।
তোমার আজকের কাজের উপরে নির্ভর করে তোমার আগামী দিনের ফলাফল...
#ফলাফল_অনুগল্প
সমাপ্ত
সামাজিক গল্প পড়তে পেইজ ফলো দিয়ে রাখুন।

Address

Dhaka
1205

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sabuj The Mia Vai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sabuj The Mia Vai:

Videos

Share

Category

Nearby media companies