সত্যের ছায়া

সত্যের ছায়া ইসলামের সেবা করুন এবং আল্লাহর আদেশকে মেনে চলুন
(2)

14/06/2024

বয়কট ইস্যুতে বাংলাদেশে কোকা কোলার বিক্রি কমেছে ২৩ শতাংশ 😍
Keep Boycotting

08/01/2022
08/01/2022

দাইয়ুস জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই এইসব ব্যাপারে সকলের কঠোরভাবে সাবধান হওয়া জরুরী এবং তা ঈমানের দাবী।
‘যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।’ (সূরা নুর, আয়াতঃ ১৯)

প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির জন্যে আল্লাহ তাআলা জান্নাত হারাম করেছেন- নেশাদার দ্রব্যে আসক্ত ব্যক্তি, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, এবং দাইয়ুস। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৫৮৩৯)

দাইয়ুস সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ঐ ব্যক্তিকে দাইয়ুস বলা হয় যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও কুকর্মকে মেনে নেয়।’ (মুসনাদ আহমদ, নাসাঈ)

অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-কন্যা সহ পরিবারের অধিনস্ত অন্য সদস্যদের বেপর্দা চলাফেরা ও অশ্লীল কাজকর্ম বা ব্যভিচারকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে অথবা কোনোরূপ বাধা না দিয়ে মৌনতা অবলম্বন করে।

ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেছেন, ‘দাইয়ূস’ সে ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর ফাহেশা কাজ সম্পর্কে অবগত। কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসার কারণে এ ব্যাপারে সে উদাসীন থাকে। অথবা তার উপর তার স্ত্রীর বৃহৎ ঋণ বা মোহরানার ভয়ে কিংবা ছোট ছেলেমেয়েদের কারণে সে স্ত্রীকে কিছুই বলে না এবং যার আত্ম-সম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই’। (যাহাবী, কিতাবুল কাবায়ের- ১/৫০)

হাদিসটির ব্যাখ্যা বিস্তারিত। তবে এখানে মুল বিষয় হল ফাহেশা বা অশ্লীলতা।

যে তার নিজ পরিবারে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে শিথিলতা প্রদর্শন করে, স্ত্রী-কন্যাদেরকে পর্দার আদেশ করে না, পর্দাপালনে উৎসাহিতও করে না, ঘরে নিষিদ্ধ গান-বাদ্য দিব্যি চলে, এর কোনো প্রতিবাদ করে না; এ রকম সকল শরীয়াহ বিরোধী অশ্লীলতাকে মেনে নেয় – সে ব্যক্তি `দাইয়ুস`।

এ ব্যক্তি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দাইয়ুস কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (নাসায়ীঃ ২৫৬২, মিশকাতঃ ৩৬৫৫)

রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘জেনে রাখো, তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং নিজ নিজ অধীনস্থের বিষয়ে তোমাদের প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।

অতঃপর দেশের শাসক জনগণের উপর দায়িত্বশীল। সে তার দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষ তার পরিবারের উপর দায়িত্বশীল। অতএব, সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামীগৃহের উপর দায়িত্বশীলা। কাজেই সে তার দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে। দাস তার প্রভুর সম্পদের দায়িত্বশীল। সেও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থের দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারী : ৮৯৩; মুসলিম: ১৮২৯)

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসী বান্দাগন, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই আগুণ থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয় ও কঠোরস্বভাবের ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তাআলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং তারা তা-ই করে যা করতে তাদের আদেশ করা হয়।” (সূরা তাহরিম-৬)

দাইয়ুস ও এর পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসের ভাষ্য তো স্পষ্ট। এবং আল্লাহর রাসূল বলেও দিলেন আমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং অধীনস্থদের সম্পর্কে আমরা অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবো।

উপরন্তু আল্লাহ তাআলা আদেশও করেছেন বান্দা যেন নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনদেরকে জাহান্নামের আগুণ থেকে বাঁচায়।

তাই সাধারণভাবে সমস্ত অধীনস্থদেরকে এবং বিশেষভাবে পরিবার-পরিজনদেরকে যাবতীয় বেহায়াপনা, অশ্লীলতা-অন্যায়-পাপাচার এবং বে-পর্দা চলাফেরা করা থেকে বিরত রাখা এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানো আমাদের উপর ফরয।

এখন নিজেকে প্রশ্ন করা উচিৎ, আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব কতটুকু নিষ্ঠার সাথে পালন করছি? অথবা আদৌ পালন করছি কি? বা এই দায়িত্বের অনুভূতিটুকুও কি আমার মাঝে আছে?

তাহলে কি আমি দাইয়ুসদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছি? আমি কি প্রস্তুত সেই জাহান্নামের জন্য যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর?

08/01/2022

ধীরে ধীরে রাসুল (সাঃ) এর অনেক হাদিস আমরা ভুলেই যাচ্ছিঃ-
১। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজা।
(সহীহ মুসলিম- ৮৯৮)
২। রাতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নির্জনে হাঁটা।
(বুখারী- ৫২১১)
৩।বৃষ্টি আসলে দোয়া করা।
(সহীহ বুখারী- ১০৩২)
৪। স্ত্রীর রান্না করা হালাল খাবারের দোষ না ধরা।
খেতে মন না চাইলে চুপ থাকা।
(মুসলিম- ২০৬৪)
৫। কোনো কিছু জানা না থাকলে স্বীকার করা যে, আমি জানি না।
(বায়হাকী- ১৭৫৯৫)
৬। মাঝে মাঝে বিপদে আকাশের দিকে মাথা তোলা।
আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টগুলো আল্লাহকে বলা।
(মুসলিম- ২৫৩১)
৭। খুব খুশি হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়া।
(মুখতাসার যাদুল মা' আদ- ১/২৭)
৮। ধোঁয়া ওঠা গরম খাবার ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত না খাওয়া।
(বায়হাকি-৪২৮)
৯। নফল ও সুন্নাহ সালাতগুলো নিজের ঘরে পড়া।
(বুখারী- ৭৩১)
১০। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাসা ফিরে দুই রাকাআত সালাত আদায় করা।
(মুসনাদে বাযযার- ৮৫৬৭)
১১। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুতা না পরা।
বিশেষ করে শু জুতা ( স্যান্ডেল না)।
(আবু দাউদ- ৪১৩৫)
১২। যতই ভালো খাবার হোক ভরা পেটে না খাওয়া।
(তিরমিযী- ২৪৭৮)
১৩। ফজরের সালাতের পর সালাতের স্থানে বসে তসবি পড়া।
অতঃপর সূর্য উঠার পর দুই রাকাআত সালাত আদায় করা।
(আরশিফু মুলতাকা- ৪৫৬৯)
১৪। দ্বীনের দাওয়াত সহজ করার উদ্দেশ্যে নতুন একটি ভাষা শিখা।
(মুসনাদে আহমাদ- ২১৬১৮)
১৫। বাড়িতে অজু করে রুমাল দিয়ে হাতপা মুছে মসজিদে জামায়াতে যাওয়া।
(তাবরানী- ৬১৩৯)
১৬। মানুষের মাঝে বিবাদ মিটিয়ে দেয়া।
(মুসনাদে আহমাদ- ২৭৫০৮)
১৭। রাতে অজু অবস্থায় ঘুমানো।
(ফাতহুল বারি- ১১/১১০)
১৮। মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটা।
(আবু দাউদ- ৪১৬০)
১৯।যদি কারো উপর কোনো কষ্ট আসে, আল্লাহ তাআলা এর কারণে তার গুনাহসমূহ ঝরিয়ে দেন; যেমনভাবে গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ে।
(বুখারি, হাদিস নং: ৫৬৮৪)
২০।যে মানুষের উপকার করে, সেই সবচেয়ে ভালো মানুষ।
(সুনানে দারাকুতনি)
২১।রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেনঃ
আমি টেক(হেলান) লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না।
(বুখারি, হাদিস নং: ৫১৯০)

03/01/2022

যে রব (আল্লাহ্‌) গতকাল আপনার জন্য যথেষ্ট ছিলেন, তিনি আগামীকালও আপনার জন্য যথেষ্ট হবেন।
— শাইখ আলী জাবের আল ফীকি হাফিযাহুল্লাহ

03/01/2022

সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে ।
— হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

03/01/2022

সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ ।
— হযরত আলী (রাঃ)

Address

55 Sohrawardi Avenue, Baridhara
Dhaka
1212

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সত্যের ছায়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সত্যের ছায়া:

Videos

Share

Category

Nearby media companies