16/05/2024
পাহাড়িরা আগের যখন 🪱"কুঁচিয়া"🪱 খেতো তখন বাঙ্গালীরা বলতো পাহাড়ীরা 🪱সাপ 🪱 খায়।
আর যখন বাঙ্গালীরা "কুঁচিয়া" খাওয়া শুরু করে দিল তখন হয়ে গেল "🐋কুঁচিয়া মাছ"🦈🐠।
✅ পূর্বে যখন পাহাড়ীরা প্রাকৃতিক 🌲মাশরুম🌳 খেতো তখন বলতো বিষাক্ত ব্যাঙের ছাতা খায় পাহাড়ীরা ,এখন যখন বাঙ্গালীরা খেলো বলতে শুরু করে দিলো প্রোটিন,কার্বোহাইড্রেড এবং ভিটামিন যুক্ত, বিষ মুক্ত। বানিজ্যিকভাবে চাষ করলো মাশরুম।
✅ 🦍🦧পূর্ব পুরূষ হতে বর্তমান পর্যন্ত পাহাড়ীরা "নাপ্পি" নামে "ছোট্ট মাছের কাচা ভর্তা" তরি- তরকারী আকারে হরেক রকম পদের মধ্যে মিশিয়ে রান্না করে খায় বলে বাঙ্গালীরা উপহাস করতো পাহাড়ীরা পঁচা জিনিস খায়,
অথচ নাপ্পি তৈরি হয় ছোট ছোট কাঁচা মাছ কিংবা চিংড়ি মাছ সেচে প্রাকৃতিক উপায়ে বিষাক্ত হীনভাবে। কিন্তু রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত হয় না বিধায় দীর্ঘদিন সংরক্ষণে শুটকি মাছের মত একটু ঝাঝালো ঘ্রাণ হতে থাকে।
✅ সে একই পদ্ধতিতে উত্তর বঙ্গের অর্থাৎ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বাঙ্গালীরা নাপ্পি বানিয়ে খায় বলে সেই অঞ্চলে নাম হয়ে গেল "সিদোল "উত্তর বঙ্গের সেটা বাজারজাত করণ রয়েছে। হয়তো সামনে কোন একদিন অত্যাধুনিক যন্ত্র /মেশিনের মাধ্যমে "নাপ্পি" উৎপাদন হলে ছোট্ট তাজা মাছের কাঁচা মাছের ভর্তা বলে সর্বত্র বাঙ্গালী খাওয়া শুরু করে দিলে সেটাও হয়ে যাবে কাঁচা মাছের ভর্তা নামকরণের ইতিহাস !
✅ আগে বাঙ্গালীরা পাহাড়ীর মুখ দেখলে জিজ্ঞেস করতো এবং বলতো ছোট্ট ছোট্ট মাচাং ঘরের বসবাস তোমাদের। অথচ বর্তমানের সেইকালের উপহাস করার রূপরেখা অনুরূপ পাহাড়ের সমতলে বিভিন্ন রিসোর্ট নির্মিত হচ্ছে, সেই মাঁচা ঘরের সুখবিলাস এবং আরাম আয়েশ কিংবা প্রাকৃতিক প্রকৃতি জিনিস উপভোগের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী সেই মাচাং রিসোর্টে আসছে এবং প্রকৃতি জানার জন্য সেই মাচাং ঘর খুঁজছে এবং আরাম খুঁজে ছুটে বেড়ায় । আমরা পাহাড়ীরা বরং বোকা একটু উপহাস করলে আমরা লজ্জাবতি গাছের মত নূইয়ে পড়ি। স্ব স্ব সংস্কৃতি উপস্হাপন পছন্দ করি না এবং উপস্হাপনের জন্য লজ্জিত হয় এবং বোধ করি।
✅ আজ অপ্রয়োজন জিনিস কাল আপনার প্রয়োজনের তছনছ হয়ে খুঁজা লাগতে পারে, শুধু মাত্র কাল বিলম্বের ব্যাপার সংস্কৃতি ও ভাষা দূষিত ও পরিবর্তন হতে।
আদিবাসী জুম্ম নারী
আদিবাসী পাহাড়ি মেয়ে
আদিবাসী মেয়েদের আড্ডা
আদিবাসী পাহাড়ি সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্য।।