22/08/2024
ফেনীতে বন্যা “শুরু হওয়ার কারণ” বাংলাদেশে বৃষ্টি, কিন্তু ফেনীতে বন্যা “ব্যাপক বৃদ্ধি” পাওয়ার কারণ ডুম্বুর বাধ খুলে দেওয়া।
সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করি। আমাদের এগুলো জানা জরুরী যাতে ইন্ডিয়া আমাদের গোজামিল না বুঝাইতে পারে। দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গায় ইন্ডিয়ার দায় ঢাকার প্রচেষ্টা চলতেছে।
এখানে ২টা নদী নিয়ে আলাপ দরকার। ১) মুহুরি নদী যা লিটল ফেনী নদী হিসেবেও পরিচিত, ২) গোমতী নদী।
মুহুরী ত্রিপুরার লুসাই পাহাড় হতে শুরু হয়ে ফেনীর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে (রেফারেন্স ১ - কমেন্টে)। আর গোমতী নদী ত্রিপুরার ডুম্বুর হতে কুমিল্লা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে (রেফারেন্স ২ - কমেন্টে)। এদের লোকেশানের রেফারেন্স ছবি (ফিগার ১) দেওয়া আছে যেখানে বাংলাদেশের সাথে ত্রিপুরার বর্ডার দেখতে পাবেন।
দুইটা নদীর উৎপত্তি স্থলের মধ্যে দূরত্ব ৩০-৪০ কিলোমিটারের বেশি না। এজন্য একটার পানির ঢল আরেকটার সাথে সম্পর্কিত (ফিগার ২, ৩, এবং ৪)। উভয় নদীই ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে (রেফারেন্স ৩ - কমেন্টে)। ছবির ক্যাচমেন্ট এরিয়ার নিচেই খাগড়াছড়ি,যেখানেও অবস্থা বেশ ভয়াবহ।
ডুম্বুর বাধের পানি সরাসরি তাই গোমতী নদীর পানি বাড়িয়ে দিয়েছে। আর একই কারণে মুহুরী নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপত্তিস্থলে পানি বৃদ্ধি পেলে অবশ্যই নদীর পানি গড়ে বাড়বেই।
যেহেতু এমনিতেই বন্যার অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো, এর কারণে এই “বাধের অতিরিক্ত পানি” বন্যার অবস্থা ভয়াবহ করে তুলেছে। ইন্ডিয়া এই ডুম্বুর বাধ গতকাল মধ্যরাতের পরে আমাদেরকে না জানিয়ে “হঠাত” ছেড়ে দিয়ে নিঃসন্দেহে অন্যায় করেছে।
সুতরাং যদি কেউ আপনাদের ঘোল খাওয়ানোর চেষ্টা করে যে “ইন্ডিয়ার এখানে দোষ নাই”,