Rupena akther Rupa

Rupena akther Rupa I am a professional digital marketer expert .I have been working successfully .

30/11/2023

Friends RJF

22/11/2023
এক বন্ধু কেঁদে কেঁদে বলছিল,আমার স্ত্রীর গায়ে যেদিন প্রথম হাত তুলে ছিলাম,সেদিন সে শুধু ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে চেয়ে ছি...
13/07/2023

এক বন্ধু কেঁদে কেঁদে বলছিল,আমার স্ত্রীর গায়ে যেদিন প্রথম হাত তুলে ছিলাম,সেদিন সে শুধু ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে চেয়ে ছিল। থাপ্পড়ের বেগ এমন ছিল যে তার ঠোঁটের কোণে রক্ত বিন্দু জমে গেছিল। নিঃশব্দে চোখ থেকে পানি ঝরছিল তার, কোন প্রতিবাদ সে করেনি। আমি কিন্তু তার চোখের পানি দেখে গলে যায়নি।

বরং আরো কঠোর হয়েছিলাম।তার পর থেকে দেখলাম আমার সমস্ত কাজ কর্ম বেশ গুছিয়ে করতো। কোনো কাজের আর ঝামেলা ছিল না।তখন বুঝে ছিলাম নারী জাতিকে মাথাতে নয় পায়ের তলায় রাখতে হয়। বেশি আলগা দরদ দেখালে বিগড়ে যায় এরা। তাই তাকে কন্ট্রোলে রাখার জন্য পান থেকে চুন খসলেই মারতাম। এক সময় দেখলাম, আমার স্ত্রী আগের মতো আর চঞ্চল নেই, প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না, কোনো আবেগ আর দেখায় না। যা বলি বিনা বাক্যে করে দেয়। মাঝে মধ্যে মনে হতো যেন এখন রোবট নিয়ে বাস করছি। ওর হাসি মাখা মুখটা ভুলে গেছিলাম। এক রাতে দেখি স্ত্রী পাশে নেই, আমি মনে করেছিলাম হয়তো ওয়াশরুমে গেছে।

কিন্তু অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পর ও আসছে না দেখে নিজেই উঠে গিয়ে দেখি সে ওয়াশরুমে নেই। বাইরে বারান্দায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ছে,বাজে তখন ৩:২৫মিনিট। হয়তো তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ছে। খানিক ক্ষন আড়াল থেকে দেখলাম। মোনাজাতের সময় সেজদাহ হয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। তার কান্না কখনোই আমার অন্তর অব্দি পৌঁছায়নি। আগে অল্প কিছু হলেই ফ্যাচ ফ্যাচ করে কেঁদে ফেলতো বড্ড বিরক্ত লাগতো। কিন্তু এই নামাজে কান্না দেখে কেমন যেন অন্তরে ভয় ঢুকে গেল। এই কান্না আমাকে হিম করে দিলো। পাঁজরে যেন কেউ আঘাত করছে তেমন কষ্ট হচ্ছিল।

আমি আর দাঁড়াতে পারলাম না। চলে আসলাম ঘরে । শুধু মাথার ভিতর কাজ করছিল আল্লাহর কাছে সে কি এমন চাচ্ছিলো যে এমন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সে। পরদিন সন্ধ্যায় দেখলাম আমার স্ত্রী বারান্দায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চুপচাপ তার পাশে গিয়ে বসলাম। আমাকে বসা দেখে সে উঠে চলে যেতে নিলে আমি তাকে বলি , কোথায় যাচ্ছো? সে ভীতু চোখে বলে,এই সময় তো চা খাও,আমি এখনি চা করে আনছি। আরে চা লাগবে না এখন , তুমি আমার পাশে বসো একটু। আমার কথায় সে কিছু ক্ষন বোকার মত চেয়ে রইল তার পর বাধ্য মেয়ের মত আমার পাশে খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে বসে পড়লো। আমি ওর দিকে তাকিয়ে নরম সুরে বললাম। তোমার কি কোন অভিযোগ আছে আমার প্রতি??

এমন প্রশ্ন করাতে সে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে 'থাকলো কিছুক্ষন, হয়তো বুঝতে চেষ্টা করছে কেন এমন প্রশ্ন হঠাৎ করছি। অন্য দিকে তাকিয়ে সে শান্ত স্বরে বলল,অভিযোগ আর কোনো মানুষের কাছে বলিনা। যা অভিযোগ তা সব আল্লাহর কাছে পেশ করি। কারন কিছু ঠিক করে দেওয়ার হলে তিনিই দিবেন আর না ঠিক করার হলে বদলে দিবেন। সব কিছু তার হাতেই। তাই কারো প্রতি আমার অভিযোগ,রাগ ক্ষোভ কিছুই নেই। তাহলে কাল রাতে নামাজে এমন কি প্রার্থনা করছিলে যে কাঁদছিলে তুমি? সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, একটা সময় ছিল যখন আল্লাহর কাছে তোমাকে নিয়ে সুন্দর একটা সংসার সাজানোর জন্য দুআ করে করে কাঁদতাম,
প্রতিটি মোনাজাতে। এখন ও ঠিক সেই ভাবেই আল্লাহর কাছে চাই তোমার কাছ থেকে মুক্তি পেতে।

আমার স্ত্রীর এই কথা টা সেদিন আমার কলিজা ছেদ করেছিল। একটা সুক্ষ্ম ব্যাথা অনুভব করছিলাম। আমার কাছে মনে হচ্ছিল এর থেকে বেদনাদায়ক কথা এই পৃথিবীতে আমার জন্য একটাও নেই। আমার স্ত্রীর চোখের কোণে তখন পানি ছিল। আমি বুঝে ছিলাম নারী কে কঠোর হয়ে কখনো আয়ত্তে রাখা যায় না।

চাকরির বেতনের টাকাটা যখন আমার স্বামী আসিফের হাতে তুলে দিলাম, সে টাকাটা গুণে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,- “তুমি তো ৩০ হাজার টা...
12/07/2023

চাকরির বেতনের টাকাটা যখন আমার স্বামী আসিফের হাতে তুলে দিলাম, সে টাকাটা গুণে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- “তুমি তো ৩০ হাজার টাকা বেতন পাও, এখানে তো দেখছি মাত্র ১০ হাজার টাকা!”
আমি বললাম- ১০ হাজার তোমাকে দিলাম, ১০ হাজার নিজের কাছে রাখলাম আর বাকি ১০ হাজার আমার বাবা-মায়ের জন্য।
আসিফ অবাক হয়ে বললো,
- “তোমার বাবা-মায়ের জন্য মানে! মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে মানে মেয়ের উপর তাদের দায়িত্ব শেষ! আর স্বামীর বাড়ি পা রেখেছো মানে তোমারও তাদের উপর দায়িত্ব শেষ! আলাদা করে উনাদের প্রতিমাসে তোমার টাকা দিতে হবে না। দাও বাকি টাকাটা দাও!”
আমি বাবা-মায়ের জন্য যে টাকাটা আলাদা করে রেখেছিলাম, সেই টাকাটাও আসিফের হাতে তুলে দিলাম। আসিফ টাকাটা গুণে বললো
- “তোমার নিজের জন্য টাকা রাখতে হবে কেন? তোমার যা লাগে সবই তো আমি দিই!”
আসিফের কথার ধরণ দেখে বুঝতে পেরেছিলাম কি বুঝাতে চেয়েছে। আমি আমার জন্য রাখা টাকাটাও চুপচাপ তার হাতে দিয়ে দিলাম…

শ্বাশুড়িও কিছুটা তার ছেলে আসিফের মতোই। একদিন মার্কেট থেকে একই রঙের দুইটা শাড়ি এনে শ্বাশুড়িকে দেওয়ার পর শ্বাশুড়ি বললো,
- “বউমা, একই রঙের দুইটা শাড়ি এসেছো কেন? দুইটা দুই রকম আনতে?”
আমি বলেছিলাম- একটা আপনার জন্য, একটা আমার মায়ের জন্য।
সেদিন শ্বশুড়ি বিরক্ত হয়ে বলেছিল
- “তোমার আহ্লাদ দেখে বাঁচি না। মেয়ে মানুষের বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই সব। এতো বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করলে হবে?”
মাথা নিচু করে বলেছিলাম- ঠিক আছে, আর বাপের বাড়ির কথা চিন্তা করবো না!

পরদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময় আসিফকে বললাম,
- আমাকে ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা দিও। আর শোনো, বাসায় ফেরার সময় আমার জন্য নতুন দুই সেট ব্রা*-পেন্টি* নিয়ে এসো, আর হ্যাঁ ফার্মেসি থেকে এক প্যাকেট প্যাডও। ব্রা আনার সময় ভুল সাইজ এনো না কিন্তু! যদি আনো, তাহলে তোমারই আবার সেটা চেঞ্জ করে আনতে হবে।
কথার ধাক্কাটা হয়তো আসিফ নিতে পারেনি। তাই বোবা হয়ে গেলো! আমি মানিব্যাগ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে অফিস চলে গেলাম…

অফিস থেকে ফেরার পর শ্বাশুড়ি একটা শাল দেখিয়ে বললো,
- “এটা রিনা (আমার ননদ) আমার জন্য কিনে পাঠিয়েছে। কেমন হয়েছে বউ মা?”
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম
- রিনার তো বিয়ে হয়েছে। সে শ্বাশুড়ির জন্য শাল না কিনে কোন আক্কেলে আপনার জন্য কিনেছে বুঝলাম না! বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই মেয়েদের নিজের বাড়ি! জানি না রিনার এতো আহ্লাদ কেন? যা হোক, শালটা আমি নিয়ে গেলাম। পরে সময় মতো রিনার কাছে পাঠিয়ে দিবো! একথা বলে শ্বাশুড়ির গা থেকে শালটা খুলে নিজ রুমে চলে আসলাম…

কিছুক্ষণ পর আসিফ বাসায় ফিরলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- আমার জিনিস এনেছো?
আসিফ মুখ ভোঁতা করে বললো- “না, আনিনি!”
কিছুটা রেগে বললাম,
- আনো নি কেন? আমার পেট ব্যথা শুরু হয়েছে। একটু পর যখন পিরিয়ড শুরু হবে, তখন বিদেশ থেকে আনা এই দামী কম্বলে রক্তের দাগ লেগে গেলে সেটা কি ভালো লাগবে? আমার কথা শুনে আসিফ তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে গেলো…

কিছুক্ষণ পর এক প্যাকেট প্যাড এনে আমার হাতে দেওয়ার পর আমি বললাম
- বাকী জিনিস কোথায়?
আসিফ মাথা নিচু করে ১০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বললো
- “আজ থেকে তোমার জিনিস তুমিই কিনো। মেয়েদের সব জিনিস পুরুষ কিনতে পারে না!”

পরদিন বাবা বাসায় এসে আমার স্বামী-শ্বাশুড়ির সামনে আমাকে বললো,
- “মা, আমার বয়স হয়েছে। কখন কি হয় বলা যায় না। তুই তোর প্রাপ্য সম্পত্তিগুলো বুঝে নে।”

বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম,
- কিসের সম্পত্তি বাবা? তুমি জানো না, মেয়েরা বিয়ের পরে পর হয়ে যায়? তুমি যেদিন আমায় বিয়ে দিয়েছো, সেদিনের পর থেকেই আমার প্রতি তোমার দায়িত্ব শেষ! আর আমি যখন শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছি, তখনই তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব শেষ! আমার স্বামী-শ্বাশুড়ি আমাকে সেটাই শিখিয়েছে!

বাবা অবাক হয়ে বললো,
- “মা, এসব তুই কি বলছিস?”
আমি বললাম- ঠিক বলেছি বাবা, আমার কিছুই লাগবে না।
আসিফ আমতা আমতা করে আমাকে বললো,
- “তুমি আমাদের ভুল বুঝছো, বিষয়টা এমন না!”
শান্ত গলায় আসিফকে বললাম,
- তুমিই বলো বিষয়টা কেমন? আমার কি ইচ্ছে হতে পারে না, যে মানুষটা আমাকে এতো বড় করলো, পড়াশোনা শিখিয়ে যোগ্য পাত্রের সাথে বিয়েও দিলো, তার জন্য কিছু করতে? আজ আমি চাকরি করছি সবটা তো উনার জন্যই। উনি তো চাইলেই পারতেন উনার মেয়েকে পড়াশোনা না করাতে। আমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে উনার প্রতি আমার সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে? মেয়ে বিয়ে দিলেই যদি বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যেতো, তাহলে আমার বাবা এখানে আসতো না আমার প্রাপ্য আমাকে বুঝিয়ে দিতে।
আসিফ আর কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে রইলো…

আমি তখন শ্বাশুড়িকে বললাম,
- এক মাকে ছেড়ে আরেক মায়ের কাছে এসেছি। আমার দুই-দুইটা মা! যে মেয়ের দুই-দুইটা মা, সে তো একটু আহ্লাদি হবেই। আমি এক মায়ের জন্য কিছু কিনবো, আরেক মায়ের জন্য কিনবো না, সেটা কিভাবে হয় মা, আপনিই বলুন?

শ্বাশুড়ি মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগলো…

আসিফ আমার হাত ধরে বললো,
- “তুমি তোমার সম্পত্তি নাও কিংবা না নাও, এতে আমার বিন্দু পরিমাণ আপত্তি নেই। কিন্তু তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যেও না। আমি চাই তোমার সাথে থেকে হলেও আমার নিচঁ মন-মানসিকতার পরিবর্তন হোক।”

বাবা আমাদের এসব কথা শুনে অবাক হয়ে বললো- “মা রে, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!”
হেসে বললাম- তেমন কিছু না বাবা। একটু সমস্যা হয়েছিল, তোমার সামনেই সেটা সমাধান হয়ে গেলো।

শ্বাশুড়ির কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- আহারে সোনা, শালটা নিয়ে গেছি বলে কান্না করতে হবে না?
শ্বাশুড়ি আমার কান টেনে বললো,
- “ফাজিল মেয়ে, মায়ের সাথে ঢং করা হচ্ছে? শালের জন্য না, আমি আমার করা ভুলের জন্য, আর এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আরেকটা মেয়ে পেয়েছি, সেই খুশিতে কান্না করছি।”

মানুষ কখনো ভুলের উর্ধ্বে নয়। সংসার জীবনে এমন সমস্যা হতেই পারে। আপনার প্রতিবাদের কৌশলটা শুধু একটু অন্য রকম হোক…

-প্রতিবাদের কৌশল হোক অন্য রকম

17/06/2023

নিজেকে এমন ভাবে তৈরি কর যে পাবে সে গর্ব করবে,আর যে হারাবে সে আফসোস করবে।

13/06/2023

কারো উপর এতটা অন্যায় করো না,যাতে সে নিরুপায় হয়ে সৃষ্টি কর্তার কাছে বিচার দেয়।

Happiness
18/05/2023

Happiness

Address

Dhaka

Telephone

+8801306858667

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rupena akther Rupa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rupena akther Rupa:

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Dhaka

Show All