07/02/2022
বেকারত্ব কমাতে পারে ফ্রিল্যান্সিং 🥰🥰🥰
প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে, যাদের সিংহভাগই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জরিপে উঠে এসেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৬ শতাংশ বেকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পাশ করার হার কম নয়। আরেক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে স্নাতক বেকার ৪৭ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা এর অন্যতম কারণ হিসাবে চাকরির বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বড় ধরনের সমন্বয়হীনতার কথা উল্লেখ করেছেন। এভাবে ক্রমশ বেড়েই চলেছে শিক্ষিত বেকারের হার। এই বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও কমাতে পারে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারে একজন শিক্ষিত বেকার, তার পরিবার ও দেশ।
ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত পেশা। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে মুক্তভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে অর্থ উপার্জন করাই মূলত ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি। এ ওয়েবসাইটগুলোতে মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে, যার মধ্যে রয়েছে ডাটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। সময় ও চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারার সুবিধার কারণে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। তাছাড়া বিশ্বের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্থায়ী কর্মকর্তা নিয়োগের চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে তাদের প্রয়োজন মেটানোর দিকে বেশি ঝুঁকছে, যার হার ৪৮ শতাংশেরও বেশি। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওয়েবসাইটগুলোতে লক্ষ করা যায়, অনুন্নত দেশের চেয়ে উন্নত দেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ও আয় বেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে এবং ক্রমবর্ধমান উপার্জনে সেরা দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে দেশে কিছু অসুবিধা আছে। যেমন, ফ্রিল্যান্সিং কর প্রদান করা এবং এর ধাপগুলো অনেক সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিছু কিছু সময় ফ্রিল্যান্সিং আয় অনিশ্চিত হতে পারে। নির্দিষ্ট আয় ফ্রিল্যান্সিংয়ে সহজ নয়। দিন দিন ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে, তাই সেরা কাজের বিকল্প নেই। দক্ষ না হলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার বিষয়ে ভালো জ্ঞান না থাকলে ভবিষ্যতে টিকে থাকা কঠিন। কম্পিউটার দক্ষতা বৃদ্ধি করে সেটা ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।