04/12/2023
ফ্রিল্যান্সিং করে ভাই আসলেই কোনো লাভ নাই।
লাভ হবে কি করে?
যে দেশে কৃষক, চাষি, জেলেদের পেশাকে ছোটোচোখে দেখা হয়, যে দেশে বেকারত্বের হার ১৪.২% হওয়া সত্ত্বেও মানুষ চাকরির পিছন ছুটে, যে দেশে পণ্যের দাম আকাশ ছোয়া,সে দেশে কি আর ফ্রীল্যান্সিং এর দাম আছে?
আমরা সকলেই পড়ালেখার পিছনে অনেক মোটা অঙ্কের অর্থ এবং লম্বা একটা সময় ব্যায় করি। একজন মানুষের দশ বছর কাটে প্রাতিষ্ঠানিক (বিদ্যালয়ের) শিক্ষা অর্জনে, দুই বছর কলেজ এবং চার বছর ভার্সিটি লাইফে। এরপর মাস্টার্স, পিএইচডি তো বাদই দিলাম। একটি নূন্যতম সরকারি/ বেসরকারি চাকরির আবেদনের জন্যে অন্তত গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হয়। তবে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিটের পরও যে চাকরি হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। চাকরি খোঁজার চেয়ে মনে হয় যুদ্ধের ময়দানও শ্রেয়। তবে আপনার যদি মামা, চাচা, খালু থাকে তবে সেক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা।
এই বেকারত্বের মেঘে ঢাকা দেশে ফ্রিল্যান্সিং যে একটা আশীর্বাদস্বরূপ তা কে বুঝাবে এই অন্ধ জাতিকে ? বর্তমানে বাংলাদেশে সক্রিয় ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ। করোনা মহামারীতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এনে রেকর্ড করেছেন ফ্রিল্যান্সাররা। একটু চোখ ঘুরালেই দেখতে পাবেন এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠছে আইটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃতি দেয় ফ্রিল্যান্সিং কে। ভবিষ্যতে যে ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের আয়ের অন্যতম একটি প্রধান খাত হিসেবে রূপ নেবে, তার এখন থেকেই পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
আমি কোনো পেশাকেই তুচ্ছ করছি না। আপনি চাকরি করেন, ডাক্তার বা শিক্ষক হন এইটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমি তাদেরকে বলছি যারা চাকরি বা অন্য পেশার আঙ্গিকে ফ্রিল্যান্সিংকে তুচ্ছ করছেন। আর আমার কথা তাদের গায়েই লাগবে।
যারা বলেন বা ভাবেন ফ্রিল্যান্সারদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই তাদের জন্যে আমার প্রশ্ন:বেকারত্বময় চাকরির এই জগতে আপনার কি আদৌ কোনো ভবিষ্যৎ আছে?
আমি সবার উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই যে, আপনি যাই করেন না কেনো । পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম-এর সিকিউর একটি ক্যারিয়ার বা এক্সট্রা লাইফ টাইম আর্নিং সাপোর্ট হিসেবে আইটিতে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিতে পারেন, সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। কারণ -
"সময় গেলে সাধন হয় না "
আমি পেরেছি, আপনিও পারবেন। 💝