Shabz Diary

Shabz Diary where i keep all my random thoughts

07/08/2024

"বাঙালী আবেগি জাতি" ব্যাপারটা দেশ আর দেশের জনগন দুইয়ের জন্যই একটা অভিশাপ!!!

07/08/2024

অন্তরবর্তিকালিন সরকার গঠনের কোন খবর নাই! চাইরপাশে খালি "আমাদের বাচ্চারা দেশ পরিস্কার করে, ট্রাফিক সামলায়, মন্দির, মসজিদ পাহাড়া দেয়"! মানে হইলো যার যা করার তা না কইরা, ফেইসবুকে দ্যাশ নির্মান করে!!

07/08/2024

,
We don’t want you!!!
কম খারাপ আর বেশী খারাপের রাজনীতি চাইনা!!
পুরো সিস্টেমের পরিবর্তন চাই!!

06/08/2024

Why Zia family are getting ready! What for!!! Why they are even relevant!
Same applies to Zamaat family!!

 #অপ্রিয়কথা  লেখাটা প্রথমে শুরু করেছিলাম "৫ আগস্ট ২০২৪ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের মধ্যে দিয়ে আশা করি দেশে এক নতুন অ...
05/08/2024

#অপ্রিয়কথা

লেখাটা প্রথমে শুরু করেছিলাম "৫ আগস্ট ২০২৪ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের মধ্যে দিয়ে আশা করি দেশে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো" এই লাইন দিয়ে! কিন্তু এর মাঝেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটাকে দাউদাউ আগুনে জ্বলতে দেখে মনে হচ্ছে, দেশ আসলে স্বাধীন না, দোযখের মালিকানাটা হয়তো এক হাত থেকে অন্য হাতে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র! প্রচন্ড দুঃখ, হতাশা আর ব্যার্থতা নিয়ে বলতে হচ্ছে আমরা দেশের জনগনরা আসলে এমনই! প্রতিহিংসাপরায়ণ! সুযোগের অভাবে সবাই ভালো আর সহজ সরল! সুযোগ পেলে প্রত্যেকে এক একজন রাবণ! কি ভীষন হিংস্রতা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মানসিকতা আমরা নিজেদের ভেতর ধারন করি তা ভাবলেও আমি শিউরে উঠি!

সত্যি কথা বলতে দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়েছে, যারা প্রান দিয়েছে, ৭১ কি ২৪, সেই স্বাধীনতা আমরা এতো বছরেও পাইনি। সামনেও পাওয়ার আশা আছে কিনা জানি না। আজকে কোনভাবে আওয়ামীলিগ জিতে গেলে যা করতো, সাধারণ জনগনও ঠিক একি কাজটাই করছে! ধ্বংসযজ্ঞ, হানাহানী আর প্রতিশোধপরায়নতার উদযাপন! তাই হয়তো স্বাধীনতার দাবীতে অন্য সবার মতো অতি আবেগের আতিশয্যে স্রোতে গা ভাসাতে পারিনি। যুক্তিবোধটাই বেশী কাজ করেছে!

নাহ, শেখ হাসিনার বিকল্প নাই বা দেশ কে চালাবে এই ভাবনার চেয়েও শংকিত হচ্ছিলাম দেশের পলিটিক্যাল ট্র্যাকরেকর্ড চিন্তা করে। বিএনপি জামাত জেতার পর ২০০১ এ প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছাপানো হিন্দুদের পুড়ে ছাই হওয়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ আর ঘরপোড়া মানুষের আর্তনাদ আমি ভুলতে পারিনা! আর আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় আসার পর ক্যাঙারু কোর্টে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ত্বকী হত্যা, সাগর, রুনী হত্যা, গুম খুনের সংস্কৃতি আর সর্বশেষ সাধারন ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণ, এসবই বা আমি কিভাবে ভুলবো! এইসব ক্ষত প্রতিটা মানুষের মনে এখনো তরতাজা!
গণজাগরন মঞ্চের সময় আওয়ামীলিগের সৃষ্ট যে ডিভাইড আর রুল কালচার তা আমাদের নেক্সট কত জেনারেশন ধরে বহন করতে হবে কে জানে!
লীগের বিপক্ষে কথা বলা মানেই যেমন রাজাকার ট্যাগ দেয়া হতো, আজকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের সাথে সাথে বিজয়ী জনগন, 'লীগের দালালদের' লিস্ট করা শুরু করেছে! অর্থাৎ লীগের পক্ষে কেউ কিছু বললে সেও এখন 'বিপক্ষ দল' হয়ে যাবে! কেউ কোথাও ভারসাম্য রাখতে পারবে না! আর এই পক্ষপাতিত্বের রাজনীতিতে জয়ী হয় শুধু ক্ষমতাবান আর তাদের পক্ষ! এর বাইরে আমরা আর কিছু বুঝিনা! বুঝতে চাইও না। কারন ক্ষমতাইতো দিনশেষে আমাদের 'যাদুর কাঠি'!

আমরা বাঙালীরা আবেগী জাতি, যেই আবেগ দিয়ে ৭১ এ পূর্বপুরুষরা দেশ স্বাধীন করেছিলো, ঠিক একিই রকম স্পৃহা আর আবেগ দিয়ে আমাদের কিশোর তরুনরা ২০২৪ এ এসেও দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। কিন্তু তারপর! যারা শহীদ হয়েছে, তারাতো আর ফিরে আসবেনা, কিন্তু যারা বেঁচে আছি তাদের দায়িত্বতো আকাশসম! কিন্তু ইতিহাস বলে সেই দায়িত্ব পালনে আমরা আসলে খুব একটা সফল না। আমরা বিজয় উদযাপন করি হিংস্রতার মাধ্যমে। আজ যদি আওয়ামীলীগের বিজয় হতো তাহলে সাধারণ জনগন আর ছাত্রদের যা দশা হতো, এখন হয়তো লীগের সাধারণ নেতাকর্মী আর সাপোর্টারদের সেই একি দশাই হবে! এই লেখা লিখতে লিখতে ইতিমধ্যেই ভাংচুরের খবর দেখছিলাম সোশাল মিডিয়াতে! গণভবন লুটপাট, সংসদ ভবনের চেয়ারে বসে সিগারেট টানা, হিন্দু বাড়িতে ভাংচুর, মন্দিরে আগুন, ভয় দেখানো!

আচ্ছা এতে করে কি স্বাধীনতার স্বাদ নেয়া হচ্ছে আপনাদের! খুব মিষ্টি লাগছে এই স্বাধীনতা! ১৫/১৬ বছর যারা লীগের লুটপাট, হত্যা, গুম সহ্য করেছে তাদের অনেকেই এখন চাইবে যেভাবেই হোক তার প্রতিশোধ নিতে! কিন্তু কে বোঝাবে এই জাতিকে এই প্রতিশোধপরায়ন মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, দেশ যতবারই স্বাধীন হোক না কেন, যতজনই শহীদ হোক না কেনো, সেই স্বাধীনতার সম্মান বা অস্তিত্ব বেশীদিন টেকেনা! যদি টিকতো তাহলে জনগনের ভয়ে 'শেখের বেটি'র লেজ গুটায় এইভাবে পালানো লাগতো না!

নেক্সট দেশ কে চালাবে, কি পরিকল্পনা, কি ভাবে কি হবে, কে যাবে, কে থাকবে আমি জানিনা। কিন্তু এইটুকু বুঝতে পারি আবেগ দিয়ে দেশ স্বাধীন করা গেলেও, দেশ চালানো যায়না! আর এটাও সত্য যে এতোদিন ধরে প্রশাসন চালানো আওয়ামী মনোভাবাপন্ন যারা তারা খুব সহজে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বরন করে নেবে বা নিশিন্তে দেশ পরিচালনা করতে দেবে সেটাও আমি ভাবিনা। কিন্তু খুব করে চাই দেশের সত্যিকার অর্থে ভালো চাওয়া তরুন আর প্রজ্ঞাবানরা মানুষেরা এক হয়ে দেশের জন্য মঙ্গলময় পরিবর্তনগুলোই আনুক!

দেশ যেমন কারো বাপের না, দেশকে তেমন নতুন করে অন্য কারও বাপেরও হতে দেয়া যাবেনা! দেশ আমাদের সবার-আমার মতের পক্ষে যারা অথবা বিপক্ষে! তারমানে এই না যে দেশের ক্ষতি করা বা দেশের সম্পদ নষ্ট করার অধিকার আমাদের কারো আছে!

পরিবারে বাবা, মা, ভাইবোনের সাথে অমত হলেও যেমন আমরা তাদেরকে চিরশত্রু ভাবা শুরু করিনা। দেশটাও তেমনি। আপনি, আমি, পক্ষ, বিপক্ষ সবাই মিলেই আমাদের দেশ। এক দল জনগনকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে চায় তো আর এক দল ভারত! তাদের সাহস কি করে হয় যে তারা দেশের মানুষের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যায় কে কোন দেশে যাবে! অতীতের রাজনৈতিক ট্র্যাকরেকর্ড দেখলে উপলব্ধি করা যায় আমাদের পূর্বসুরীরা না অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছে, না তারা হিংসা, বিদ্বেষ উপেক্ষা করে জনগনের ভালোর জন্য দেশকে দৃঢ়ভাবে পরিচালিত করতে পেরেছে! তাই এই ২০২৪ এ এসে আমরা কি এবার আশা করতে পারিনা আমাদের নতুন প্রজন্ম অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আর প্রতিহিংসার রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে, প্রত্যেকের জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে!

©মুনলীন

(অস্থির সময়ের অগোছালো কিছু ভাবনা)

05/08/2024
❤️
29/07/2024

❤️

29/07/2024

"যুগে যুগে যত সরকার, যত ব্যাবসা প্রতিষ্টান কিংবা বড় বড় entity ডাউনফল করেছে। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফল করেছে একটা জেনারেশনের পর আরেকটা জেনারেশনের ট্রানজিশনটা ধরতে না পারায়।

জেনারেশন জেড, কিংবা Gen Z, এই জেনেরেশনের ব্যাপারে আমার প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। কারণ মূলত ওরাই আমার ফরমাইসি লেখা এবং প্রোডাক্ট দুইটারই টার্গেট কনজিউমার।

ওরা সম্পূর্ণ আলাদা ধাঁচে বড় হয়েছে। ওরা সোশ্যাল মিডিয়া আর ইন্টারনেট দিয়ে ওদের জীবন চালায়। ওদের কোন ব্যারিয়ার নাই। ওরা Global Citizen। দেশের সীমানা ওদেরকে আটকায় না।

আপনি টিভিতে যা খুশি দেখান। লাভ নাই। কারণ, ওরা টিভি দেখেই না! একারণে এরা স্বাধীন এবং স্বশিক্ষিত। ওদের learning source ওরা নিজেরাই। শেয়ারিং ব্যাসিসে একজন আরেকজনের কাছ থেকে শিখে এবং পাশে থাকে।

এ কারনেই Ten Minutes School এর মতন প্রতিষ্টান এত জনপ্রিয়। ওরা ওদের মতই কারো কাছ থেকে শিখতে চায় এবং খুব দ্রুত শিখতে চায়। দশ মিনিটেই শিখতে চায়।

এই যে দেশের IT সেক্টর নিয়ে আমরা এত বড়াই করি। এই সেক্টরের লাইফ লাইন কারা? এই Gen Z-ই তো। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি এগুলো শেখানো হয়?

না হয় না! তাইলে এরা শিখলো কিভাবে?

ওরা নিজে নিজে শিখেছে। মাসে লাখ লাখ টাকা কামাই করছে তাদের স্বশিক্ষা দিয়ে। যা আপনার আমার মতন পুরোনো প্রজন্মের কাছে কল্পনাতীত। তাই আমরা এখনো প্রাগৈতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্টানের গৌরব নিয়ে বড়াই করি।

এই যে মুগ্ধ ছেলেটা কপালে গুলি খেয়ে মারা গেল, তার ফাইভার প্রোফাইল দেখলাম। সে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতন স্কেলের চেয়ে বেশি টাকা মাসে আয় করতো।

সে কেন এসেছিলো আন্দোলনে? সে দেখেছে তার বন্ধুরা স্ট্রাগল করছে। সে এসেছিলো ভলান্টিয়ার হিসেবে। নিজের কামাই করা টাকায় পানি কিনে দিচ্ছিল। পানি খাওয়াতে এসে, কপালে গুলি খেল!

IUTএর একটা ছেলে মারা গেল। প্যারালাল ল্যান্ডিং করতে পারে ড্রোন বানিয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকার মতন। কে শিখিয়েছে তাকে এসব? সে নিজে নিজে শিখেছে।

বাকি আন্দোলনকারীদের খোঁজ নেন। দেখবেন বেশিরভাগই এরকম। স্বশিক্ষিত ছেলেমেয়ে। যারা উল্টাপাল্টা সহ্য করতে পারে না।

এই যে স্বশিক্ষা এবং self dependency এই দুইয়ের কারণে এদের আত্মমর্যাদা প্রচন্ড রকমের। আপনি জাস্ট তাদেরকে অপমান করতে পারবেন না পূর্ববর্তী জেনারেশনেগুলোর মতন।

Gen Z এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল ওরা খুব ডিরেক্ট। যা চায় সরাসরি বলবে, যা করতে চায় সরাসরি করবে।

ঘুরানো প্যাচানো diplomacy তে ওরা খুব বিরক্ত হয়। এবং যেহেতু ওরা পৃথিবীর সবকিছুরই কম বেশি জ্ঞ্যান রাখে, (মিনিটে মিনিটে Google করে) ওরা খুব ভালো করেই বোঝে কোনটা মুলা ঝোলানো আর কোনটা আন্তরিকতা।

এর আরেকটা উদাহরণ দেই, জাফর ইকবালের মতন বুদ্ধিজীবিকে মোটামুটি মুছে দিতে তাদের ১ দিনও সময় লাগে নাই। এরকম ভয়ংকর বুদ্ধিবিত্তিক পতন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর একটাও ঘটে নাই আমার জানামতে।

এর কারণ জাফর ইকবাল ডিরেক্ট না। উনার ভুলকে ভুল, ঠিককে ঠিক বলার মতন সাহস কিংবা ইচ্ছে ছিল না। এর ফলে উনার বুদ্ধিজীবী থেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতে রুপান্তরিত হতে এক দিনও লাগে নাই!

মিলেনিয়ালদের মধ্যে যদি আপনি খোঁজ নেন দেখবেন ২০ জনে হয়তো একজন নিজের জীবনের বাইরে বর্তমান পৃথিবীর খবর রাখছে। কিন্তু Gen Z প্রতি দশে ৫ জনেই এসব খবর কম বেশি রাখে।

এই যে গত ৬-৭ বছরে অনেকগুলো আন্দোলন হলো দেশে, দুইদফা কোটা, একদফা সড়ক আন্দোলন,ছোট একটা কোভিড আন্দোলন । ওদের কথা একটাই ছিল, বদলান। পরিবর্তন আনেন। হয় করেন, না পারলে সরেন।

সরকার পরিবর্তন তো চায় নাই ওরা। চেয়েছিলো সরকারের মনমানসিকতার পরিবর্তন। একটু চিন্তা করেন। যখন সরকার নিজেকে মডিফাই করতে অস্বীকার করলো, তখন ওরা বললো, তাহলে হোক সরকার পরিবর্তন।

এইটা তো রেগুলার Gen Z বিহেভিওর। রাষ্ট্র বোঝেই নাই তাদের সাইকোলজি। কারণ রাস্ট্রের পলিসি মেকারদের কাছে কোন প্রপার রিসার্চ নাই। সেই প্রাগৈতিহাসিক divide and rule দিয়ে তাদেরকে দমন করতে গিয়ে উল্টো আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন!

এই যে পুলিশের সাথে ক্লেশ হলো। পুলিশের কাজ ওদের ভালো লাগে নাই। ওরা শ্লোগান দিলো, "পুলিশ চুদি না।"

আপনি আমি নিবো এইটাকে গালি হিসেবে। কিন্তু ওরা বোঝাচ্ছে আমরা পুলিশকে কেয়ার করি না। । ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত ওরা দিনে কম করে হলেও ২০ বার " I dont give a f**k(I dont care)" কথাটা শুনে। তারই স্রেফ বাংলা অনুবাদ এইটা।

এই যে গালি। এইটা ওদের রাগ, ক্রোধ প্রকাশের ভাষা। এই ভাষাকে অস্বীকৃতি দিতে পারেন কিন্তু অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

একইভাবে তাদের উপর গুলি করার পর তারা "বন্দুক চুদি না" বলে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আপনি আমি হয়তো অনেক লম্বা শব্দ চয়ন করতাম।

যেমন ধরেন, "যুগে যুগে বন্দুকের নল কিংবা বুলেট দিয়ে কোনদিন কোন রাস্ট্র ছাত্র আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারে নি। অথবা আমারা বীর বাঙালী ছাত্র সমাজ এসব বন্দুকের গুলির পরোয়া করি না।" সাথে ৫২, ৬৯, ৭১ এরকম কতকিছুই।

কিন্তু ওরা এক লাইনে শেষ করে দিয়েছে, "বন্দুক চুদি না"!

ধরেন রাষ্ট্র গালি খেয়ে গুলি করে দিলেন। এবার যেমন করেছেন। তখন ওরা কি ভয় পায়? না! পায় না! কারণ রাস্ট্র তাদের আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। তারা জানে রাষ্ট্র ভুল এবং রাষ্ট্রকে তার ভুল সংশোধন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে অপমান করেছেন। তারা রাস্তায় আন্দোলনে চলে এসেছে। ছাত্রলীগ তাদেরকে পিটিয়েছে, ওরা আরও বেশি অপমানিত হয়েছে, আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। আর গুলি করাটা ছিল ভীমরুলের চাকে ঢিল মারার মতন!

ওরা তখন বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে ডিরেক্ট জিজ্ঞেস করেছে, "খানকির পোলা, গুলি করলি কেন?"

এই ডিরেক্টনেস এর কারণে তারা প্রথাগত chain of command ভাঙতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না।

একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন কিনা। এই শিক্ষার্থীরা আগে নিজেরা আন্দোলনে নেমেছেন। তারপর তাদের বাবা-মা'দেরকেও সে আন্দোলনে নিয়ে এসেছেন। এইটা যে কি ভীষন রকমের একটা বিপ্লব না চিন্তা করলে বোঝা যাবে না।

একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন ব্যাপারটা। যেখানে নিরাপত্তার জন্যে পরিবার আন্দোলনে যেতে বাঁধা দেয়। সেখানে তারা পরিবারকে উল্টো নিয়ে এসেছে আন্দোলনে। এদের এই ডিরেক্টনেস এই অদ্ভুত লিডারশিপ এবিলিটি নিয়ে এসেছে।

কারণ এদের ডিসিশান মেকিং খুবই খুবই ফাস্ট। যেসব তথ্য উপাত্ত ঘেটে একটা সিধ্যান্তে যেতে হয়। তারা অলরেডি সেগুলো মাথায় নিয়ে ঘুরে। এই কারণেই তাদের অপিনিয়ন পরিবারের কাছে এখন প্রায়োরিটি পায়।

এরকম একটা সিনারিও বলি, মনে করেন অফিসের বস তাকে পাত্তা দিচ্ছে না বা তার চাহিদা মেটাচ্ছে না। এই অবস্থায় ওরা ডিরেক্ট ওই বসের উপরের লেভেলের বসের কাছে তার দাবী নিয়ে চলে যাবে। কিভাবে ? ইমেইল করবে কিংবা লিংকডইনে সরাসরি যোগাযোগ করবে।

এরপরেও না পোষালে সরাসরি চাকরি ছেড়ে দিবে। কিন্তু, যদি, অথবা এসব প্যাচানো বিশ্লেষন দিয়ে তাদের বোঝানো যায় না। পারবেনও না। ওরা সোজা সাপ্টা মানুষ। প্যাচ কম।

এর কারণ হচ্ছে, ওরা জন্মের পর থেকেই মাল্টিপল অপশনের দুনিয়াতে বড় হয়েছে। মুভি দেখছে, পছন্দ হয় নাই, ক্লোজ করে আরেকটায় চলে যাবে।

নেটফ্লিক্স এর মতন প্লাটফর্মের কারণে তাদের কাছে লাখ লাখ অপশন। একই ব্যাপার গান শোনা, বই পড়া, রাজনীতি, নেতা থেকে শুরু করে প্রেম ভালোবাসা পর্যন্ত। না পোষালে আবেগের ভার নিয়ে এরা বসে থাকে না। They just quit and move on.

গতকালকে জানলাম ওরা ইউটিউব, নেটফ্লিক্স কিংবা টুইটারে ভিডিও দেখে 1.5x গতিতে। মানে যে গতিতে ভিডিওটা করা হয়েছে তার দেড় গুণ গতিতে। কারণ স্লো কোনকিছুই এই জেনারেশন পছন্দ করে না।

মোটামুটি সব বড় গবেষনায়ই দেখা গেছে যে, অনলাইনে ৭ সেকেন্ড হচ্ছে তাদের এটেনশন টাইম। এই টাইমের মধ্যে তাদের এটেনশন ধরতে পারলে পেরেছেন, না পারলে they just move on to the next thing।

তো এই হচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। ওরা নেতা হিসেবে বুর্জোয়া Diplomat চায় না। ওরা চায় clean, fair and precise মানুষদেরকে নেতা হিসেবে যারা কথা কম বলে to the point কাজ করবে এবং প্রায়োরিটি ব্যাসিসে একশান নেবে। একইভাবে ওরা পলিসি মেকিংয়েও এসব মারফতি প্যাঁচ ঘোঁচ চায় না।

সামনের সময়টা খুব কঠিন আমাদের পূর্ববর্তি জেনারেশনের নেতাদের। বিশেষ করে Boomers কিংবা Gen X দের জন্যে। ২০০০ পুর্ববর্তী জেনারেশনগুলোর মতন বাজেভাবে এই জেনারেশনকে ট্রিট করলে আমও থাকবে না, ছালও থাকবে না!"

লেখক: Zadhid Ahmed Powell

25/07/2024

আমি জানিনা ইশ্বর কিভাবে, কেন, কি ঠিক করে রাখে আমাদের মতো নশ্বর মানুষদের জন্য! কিন্তু মুগ্ধ নামের এই ছেলেটার বেঁচে থাকার অনেক বেশী প্রয়োজন কি ছিলো না!
অনেকে এই পৃথিবীতে আসার আগেই চলে যায়! অনেকে সন্তান নেয় তাতে শুধু সংখ্যাই বাড়ে! কিন্তু সুসন্তান হয়না! কিন্তু যেই ছেলেটা এই মাটি, পানি, বাতাসে এতোদিন বাঁচলো, বড় হলো! যে কিনা এতোটা মানবিকতা বুকে ধারণ করে মানুষের জন্য কাজ করলো! তার কেন এতো অসময়ে চলে যেতে হলো!!!
যাদের আসলেই যাওয়া দরকার, যাদের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, যাদেরকে এই পৃথিবীর আর প্রয়োজন নাই, তারা কেন যায় না!! কেন তারা অফুরন্ত সুযোগ পেয়েই যায়! অথচ মুগ্ধর মতো বাচ্চা ছেলেগুলো সময়ের বহু আগেই হারিয়ে যায়! কেন!!! ঈশ্বরের এ কেমন অবিচার!!!!

😢
25/07/2024

😢

লিখেছ জয়াশিস ঘোষ

25/07/2024

দেশে ইন্টারনেট ব্যাক করার পর এখন আরও বেশী দমবন্ধ লাগছে!
কেমন ভয়ংকর শ্বাসরুদ্ধকর একটা অনুভূতি! যেনো খুব খারাপ কিছু একটা হতে যাচ্ছে! হয়তো এরপরই সব আবার স্বাভাবিক হবে! The night is darkest just before the dawn!

21/07/2024

Very true!

Address

Sydney, NSW

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shabz Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shabz Diary:

Videos

Share


Other Digital creator in Sydney

Show All