সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ

সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ বিভিন্ন নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংবাদ মাধ‍্যম ও মানবাধিকার বিষয়ক সকল ধরনের আপডেট খবরাখবর।

17/06/2024

সকলকে পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা ২০২৪!

" ঈদ মোবারক "🌙

11/06/2024

কি সুমধুর কণ্ঠস্বর 🥰

11/06/2024

With Md. Juwel Islam – I just got recognized as one of their top fans! 🎉

দিনে লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে• ছাত্রদের প্রায় অর্ধেকই ধূমপানে আসক্ত, বাদ নেই ছাত্রীরাও• ধূমপানে আস...
01/06/2024

দিনে লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে
• ছাত্রদের প্রায় অর্ধেকই ধূমপানে আসক্ত, বাদ নেই ছাত্রীরাও
• ধূমপানে আসক্তি থেকে মাদকে জড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
• খাবারের তুলনায় অর্ধেক ব্যয় হয় ধূমপানে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধূমপানের প্রতি আসক্তি বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ নিয়মিত ধূমপান করেন। এতে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন তারা। ধূমপানের বিস্তারে ক্যাম্পাসে চাঙা হচ্ছে সিগারেটের বাজার। প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ২৮ লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ক্যাম্পাসে। যার বেশিরভাগ ক্রেতাই শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্ররা ধূমপানে বেশি আসক্ত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রীদের একটি অংশও ধূমপানে জড়িয়ে পড়ছেন। নতুন ব্যাচ যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের অনেকে ধূমপান থেকে অন্যান্য মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কয়েকটি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগ বিভাগে ছাত্রদের প্রায় অর্ধেকই ধূমপানের সঙ্গে জড়িত। এরমধ্যে ৩০-৩৫ শতাংশ নিয়মিত ধূমপান করেন।

ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও আবাসিক এলাকার দোকানগুলো থেকে এসব সিগারেট সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে দুটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে সিগারেট সরবরাহ করে। এরমধ্যে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি ছয় ব্র্যান্ডের ১৪ ধরনের এবং জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল তিন ব্র্যান্ডের সাত ধরনের সিগারেট বিক্রি করে থাকে।

এসব কোম্পানির বিপণন কর্মকর্তা ও ক্যাম্পাসের মুদি দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই কোম্পানি ক্যাম্পাসের অন্তত ২২টি দোকানে প্রতিমাসে গড়ে ২৪ লাখ টাকার সিগারেট সরবরাহ করে। যার খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা। স্বাভাবিক দিনগুলোতে গড়ে পৌনে এক লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়। বিশেষ দিনে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়।

মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লাখ শলাকা সিগারেট সরবরাহ করে কোম্পানি দুটি। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে বিক্রির পরিমাণ। মুদি দোকানগুলোতে অন্যান্য পণ্যের তুলনায় সিগারেট বেশি বিক্রি হয়। এসব দোকানে দৈনিক মোট বিক্রির ৫৫-৬০ শতাংশই আসে সিগারেট থেকে। সিগারেট ক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানান দোকানিরা।

সূত্র বলছে, ক্যাম্পাসের আবাসিক হলের ডাইনিং ও অভ্যন্তরের খাবারের হোটেলগুলো মিলিয়ে প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকার খাবার বিক্রি হয়। ফলে হিসাব অনুযায়ী খাবারের তুলনায় অর্ধেক ব্যয় হয় ধূমপানে।

ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়ের এক মুদিদোকানি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার দোকানে প্রতিদিন গড়ে আট হাজার টাকার সিগারেট বিক্রি হয়। অন্য সব পণ্য মিলে বিক্রি হয় পাঁচ হাজার টাকার মতো। এরমধ্যে খাবার পণ্য বিক্রি হয় সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় হাজার টাকার। গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন দুই থেকে তিনগুণ বিক্রি বেড়েছে।’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই ধূমপানে আসক্ত হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর। এটিকে ‘আধুনিকতা’ হিসেবে নিয়ে এবং বন্ধু ও বড়ভাইদের দেখে ধূমপানে জড়াচ্ছেন নবীন শিক্ষার্থীরা। অনেকে শিক্ষকদের দেখেও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

নিয়মিত ধূমপানের ফলে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় পড়ছেন বলে জানা গেছে। বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচতে এখনই সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্যানসার সচেতনতামূলক সংগঠন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম মুসা জাগো নিউজকে বলেন, ‘সিগারেটে ৭০টিরও বেশি ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে; যা ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ানোর সঙ্গে লিভার, কিডনি ও যৌনস্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণজনিত সমস্যা হয়। এছাড়া হৃদরোগ, স্নায়ুবিক ও মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে।’

ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফুসফুস ক্যানসারের ৮০-৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে ধূমপান। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ ক্যাম্পাসে সিগারেট বিক্রির ক্ষেত্র সীমিত করা প্রয়োজন।’

ধূমপান শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি অপরাধপ্রবণ করে তুলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাজীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে ধূমপান। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধূমপান বড় প্রভাবক। ফলে ওষুধও সঠিকভাবে কাজ করে না। যারা ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকেন তাদেরও একই ক্ষতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছে করলে ক্যাম্পাসে এর বিক্রি বন্ধ করতে পারে।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “ধূমপানে আসক্তি আসলে পারিবারিক ও প্রতিবেশগত শিক্ষার বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মূলত ‘হিরোইজম’ এর চিন্তা ও বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ধূমপানে যুক্ত হয় শিক্ষার্থীরা। আমরা আগামীতে মাদকবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে ধূমপানকেও যুক্ত করবো। তবে সবচেয়ে কষ্ট লাগে যখন শুনি শিক্ষকরাও ধূমপান করেন। একজন উপাচার্য তখন কী করতে পারেন?’’

দিল্লিতে তাপমাত্রা ছাড়াল ৫২ ডিগ্রী, রেড অ্যালার্ট জারী...! ২৯ মে, ২০২৪  ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ বুধবার সর্বোচ্চ তা...
29/05/2024

দিল্লিতে তাপমাত্রা ছাড়াল ৫২ ডিগ্রী, রেড অ্যালার্ট জারী...!

২৯ মে, ২০২৪


ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন-চারদিন এরকমই তাপপ্রবাহ চলবে রাজধানীতে।
একইসঙ্গে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে প্রচণ্ড গরমে জ্বালাপোড়া ভাব থাকবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতেও একাধিক জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহের রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহের এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের রেড অ্যা্লার্ট জারির মানে লোকজনকে তাপজনিত অসুস্থতা এবং হিট স্ট্রোক থেকে সতর্ক থাকতে বলা।

বিশেষ করে শিশু কিংবা বৃদ্ধ, যারা এ ধরনের অসুস্থতার ঝুঁকির মুখে রয়েছে তাদের জন্য।
এদিন দিল্লির মুঙ্গেসপুরের আবহাওয়া অফিস দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে তাপমাত্রা ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে রাজধানী দিল্লিতে বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড ৮ হাজার ৩০২ মেগাওয়াটে পৌঁছেছিল বলে জানিয়েছেন এক বিদ্যুৎ কর্মকর্তা। গরমের কারণে দিল্লির সাধারণ বাসিন্দারা পাওয়ার-ইনটেনসিভ এসি বেশি পরিমাণে চালু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দেশটিতে আরও যেসব জায়গায় ৫০ ডিগ্রি বা তারও বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়েছে সেগুলোর দুটিই মরুভূমির রাজ্য রাজস্থানে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাজস্থানের দক্ষিণের বিভাগ- বার্মার, জোথপুর, উদয়পুর, সিরোহী এবং জালোরে আজ গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি কম ছিল। আরব সাগর থেকে আসা আদ্র বাতাসের কারণে সেসব জায়গায় তাপমাত্রা কমেছে। যা নির্দেশ করছে ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ কমা শুরু করেছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান | আসিফ নজরুল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহি...
25/05/2024

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান | আসিফ নজরুল।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন মেজর। সে রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাসরত পাকিস্তানি এক জেনারেলের কাছে তাঁকে পাঠানো হচ্ছিল। পরিকল্পনা ছিল তাঁকে ‘গ্রেপ্তার বা হত্যা’ করার (গোলাম মুরশিদ, মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর: একটি নির্দলীয় ইতিহাস)। পথিমধ্যে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সংবাদ শোনামাত্র বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরে এসে তাঁর কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যান্য পাকিস্তানি অফিসার ও সৈন্যকে বন্দী করেন। পরদিন তিনি প্রাণভয়ে পলায়নপর মানুষকে থামিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দীপনাময় ভাষণ দিতে শুরু করেন (বেলাল মোহাম্মদ, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র)। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বেতারে নিজ কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
জিয়ার এই রূপান্তর বা উত্থান বিস্ময়কর হতে পারে, কিন্তু তা আকস্মিক ছিল না। বরং বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনা, স্বাধীনতার স্বপ্ন, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একজন সৈনিককেও কীভাবে উদ্দীপিত করেছিল, এটি ছিল তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত (জিয়াউর রহমান, ‘একটি জাতির জন্ম’)।
জিয়া ছিলেন স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন অগ্রগণ্য সেনানায়ক। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের একজন ছিলেন। ৪৯ জন যুদ্ধফেরত মুক্তিযোদ্ধাকে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার সর্বোচ্চ বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। তিনি তাঁদের একজন ছিলেন। কিন্তু তিনি সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম খেতাবধারীদের মধ্যেও অনন্য ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে। ২৭ মার্চ এই ঘোষণা ‘মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের’ পক্ষে তিনি প্রদান করেন কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে।
এরপর জিয়া চট্টগ্রাম যুদ্ধাঞ্চল, ১১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক এবং পরে জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে বহু আলোচিত যুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদান করেন। যুদ্ধের শেষ ভাগে সিলেট অঞ্চলে তাঁর বাহিনীর কাছেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। তিনি সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের, এম এ জলিল বা খালেদ মোশাররফের মতো সম্মুখসমরের অসীম সাহসী যোদ্ধা ছিলেন না। সমশের মবিন চৌধুরী ও হাফিজ উদ্দিনের মতো তাঁর নিজস্ব বাহিনীর অফিসারদের মতো তিনি যুদ্ধ করতে গিয়ে আহতও হননি। কিন্তু ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধে তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম শক্তিশালী প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে, কিছু ক্ষেত্রে তাঁকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে।
জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। তাঁর আগে মাওলানা ভাসানী স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, ছাত্রনেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্লোগান দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। একাত্তরের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাসংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন, এ জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকি ২৫ মার্চ কালরাতের পর জিয়ার আগেই চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা এম এ হান্নান বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন কারণে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার তাৎপর্য ছিল অন্য রকম।
প্রথমত, শক্তিশালী সম্প্রচারকেন্দ্রে বারবার সম্প্রচারিত হওয়ার ফলে জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণাটিই কেবল দেশের সব অঞ্চল থেকে বহু মানুষ শুনতে পেয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর আক্রমণের মুখে দিশেহারা ও পলায়নপর অবস্থায় এটি মানুষের কাছে পরম ভরসার বাণী হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়ত, জিয়ার ঘোষণাটি ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন বিদ্রোহী বাঙালি অফিসারের এবং বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে। এটি মানুষকে প্রতিরোধের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রবলভাবে আশান্বিতও করেছিল।
মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান এ কে খন্দকার ২০০২ সালে এক স্মৃতিচারণায় বলেন, ‘যুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর একজন বাঙালি মেজরের কথা শোনা সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার। আমি নিজে জানি, যুদ্ধের সময় জানি, যুদ্ধের পরবর্তী সময়েও জানি যে মেজর জিয়ার এই ঘোষণাটি পড়ার ফলে সারা দেশের ভেতরে এবং সীমান্তে যত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সাংঘাতিক একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করল যে হ্যাঁ, এইবার বাংলাদেশ একটা যুদ্ধে নামল।’ (এ কে খন্দকার, মঈদুল হাসান ও এস আর মীর্জা, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর: কথোপকথন)। জিয়ার ঘোষণায় উৎসাহিত বা উদ্দীপিত হয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ এবং ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি), এইচ টি ইমাম (বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১), অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের (আমার একাত্তর) মতো আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও। তাঁর ঘোষণার গুরুত্বের উল্লেখ আছে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের সক্রিয় কূটনীতিক জে এন দীক্ষিতসহ ট্রেভর ফিসলক, ডেভিড লুডেনের মতো বহু আন্তর্জাতিক ব্যক্তির ভাষ্যে (মাহফুজ উল্লাহ, প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ)।
তবে মনে রাখতে হবে, জিয়ার ঘোষণাটির অতুলনীয় প্রভাব পড়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে এটি দেওয়া হয়েছিল বলে। মুক্তিযুদ্ধের গবেষক মঈদুল হাসান লিখেছেন, ‘মেজর জিয়া তাঁর প্রথম বেতার বক্তৃতায় (২৭ মার্চ সন্ধ্যা) নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করলেও পরদিন স্থানীয় নেতাদের পরামর্শক্রমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা প্রকাশ করেন। এই সব ঘোষণা লোকের মুখে মুখে বিদ্যুতের মতো ছড়িয়ে পড়ে, শেখ মুজিবের নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালিরা স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই শুরু করেছে।’ (মূলধারা ’৭১)

২.
১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু করার জন্য পাকিস্তানি বাহিনীর বাঙালি অফিসারদের কাছে কোনো সুস্পষ্ট বা সরাসরি নির্দেশ ছিল না। কিন্তু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে পাকিস্তানের শাসনভার প্রদানে অনীহার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা সচেতন ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীতে তাঁদের প্রতি বৈষম্য ও বঞ্চনা নিয়েও প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল (রফিকুল ইসলাম, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে)। এ কারণে তাঁদের অনেকেই ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার সংবাদ শোনামাত্র বিদ্রোহ করেন। বাঙালি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে জিয়া বিদ্রোহ করেন সবার আগে (মুরশিদ, পূর্বোক্ত)। ২৮ মার্চের মধ্যে বিদ্রোহ করেন সেক্টর কমান্ডারদের প্রায় সবাই। কিন্তু তাঁদের বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহকে সমন্বিত, সুশৃঙ্খল ও কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা এবং এটিকে পরিপূর্ণ একটি স্বাধীনতাযুদ্ধে পরিণত করার ব্যাপারে জিয়াসহ প্রত্যেকে সচেতন ছিলেন। যুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় তাঁদের এই অসাধারণ প্রজ্ঞা, দায়িত্ববোধ ও রণকৌশলের পরিচয় পাওয়া। এবং এখানেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আমরা জিয়াকে অনন্য বা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে দেখি।
প্রথমত, ৩ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার ঠিক পরদিন জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, কে এম সফি উল্লাহসহ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী ইউনিটগুলোর কমান্ডাররা তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা ভারতের সামরিক সাহায্য এবং দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে স্বাধীন সরকার গঠনের আবশ্যকতা প্রশ্নে একমত হন, বিদ্রোহী ইউনিটগুলো নিয়ে সম্মিলিত মুক্তিফৌজ গঠন করেন এবং এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে স্থির করেন। ৪ এপ্রিলের এই বৈঠকই ছিল বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর প্রথম সাংগঠনিক ভিত্তি।
দ্বিতীয়ত, যুদ্ধ সরঞ্জামের অভাব, কেন্দ্রীয় কমান্ডের নিষ্ক্রিয়তা এবং কূটনৈতিক স্বীকৃতি দানে ভারতের বিলম্বের কারণে একাত্তরের মে থেকে জুলাই মাসের প্রথম ভাগ পর্যন্ত হতোদ্যম পরিস্থিতিতে যুদ্ধাঞ্চলের অধিনায়কদের এক সম্মেলনে জিয়াই নতুন চিন্তা নিয়ে আসেন। ১০ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এর সূচনায় মুক্তিযুদ্ধের অধোগতি রোধ ও যৌথ কমান্ড-ব্যবস্থায় যুদ্ধ পরিচালনার জন্য যুদ্ধ কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দেন জিয়া। তাঁর এই প্রস্তাবে একজন বাদে বাকি সব সেক্টর কমান্ডারের সম্মতি ছিল। মন্ত্রিসভার সমর্থন থাকলে এটি যুক্তিসংগত বলে মেনে নিতে পারতেন তাজউদ্দীন। তাতে যুদ্ধ আরও গতিশীল হতে পারত (এ কে খন্দকার, মঈদুল হাসান ও এস আর মীর্জা, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর: কথোপকথন)। তবে সেই সম্মেলনে গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি সম্মুখসমর, মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ সেনাবাহিনী গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে ব্রিগেড গঠনের যে সিদ্ধান্ত হয়, তা রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকেই।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে মেজর জেনারেল কে​ ভি কৃষ্ণ রাওয়ের সঙ্গে জেড ফোর্স কমান্ডার জিয়াউর রহমান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। ​ছবি: সংগৃহীত
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে মেজর জেনারেল কে​ ভি কৃষ্ণ রাওয়ের সঙ্গে জেড ফোর্স কমান্ডার জিয়াউর রহমান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। ​ছবি: সংগৃহীত
তৃতীয়ত, জুলাই মাসের এই সম্মেলনে জিয়ার নেতৃত্বাধীন ব্রিগেড গঠনের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হলেও পরে কর্নেল ওসমানীর একক সিদ্ধান্তে আরও দুটি ফোর্স গঠিত হয় (এ কে খন্দকার, পূর্বোক্ত)। জেড ফোর্স নামে পরিচিত জিয়ার ব্রিগেড একাত্তরে দ্রুত কাজ শুরু করে। ঢাকামুখী অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানি বাহিনীর কামালপুর ঘাঁটিতে তারা ৩১ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট কয়েক দফা হামলা চালায়। ১ আগস্ট জেড ফোর্স বাহাদুরবাদ এবং ৩ আগস্ট শেরপুরে নকশি বিওপিতে আক্রমণ করে। এসব দুঃসাহসিক সম্মুখসমরে অনেক পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। কামালপুর যুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধাও শহীদ হন। জিয়াকে এ জন্য কিছু সমালোচনাও মেনে নিতে হয়। কিন্তু এসব যুদ্ধ মুক্তিবাহিনীর সামর্থ্য ও সাহসিকতা সম্পর্কে নতুন উপলব্ধির জন্ম দেয়।
চতুর্থত, মুক্তিযুদ্ধের শেষ ভাগে জিয়াকে আমরা দেখতে পাই সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক যুদ্ধের অধিনায়ক হিসেবে। একাত্তরের অক্টোবরে যৌথ সামরিক নেতৃত্ব গঠনের পর যুদ্ধের নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব চলে যায় ভারতের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে। নভেম্বরে ভারতীয় বাহিনী নিজ দেশের সীমান্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাংলাদেশের সেক্টর ও ফোর্সগুলো আরও মুহুর্মুহু আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ওসমানীর নিদের্শ অক্টোবর মাসে পুরো জেড ফোর্স নিয়ে মেজর জিয়া চলে আসেন সিলেটে। এর তিনটি ব্যাটালিয়ন শ্রীমঙ্গল, ছাতক ও কুলাউড়ায় অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা ও ক্যাম্পে সরাসরি হামলা চালায়। ১০ ডিসেম্বর এই ফোর্স সিলেট আক্রমণ শুরু করে। ১৪ তারিখ তারা সিলেটে প্রবেশ করে। যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে তিনি একদিন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, সিলেটে ১২৫ জন অফিসার, ৭০০ সৈন্যসহ সেই বাহিনীর একটি অংশ তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

৩.
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করা ছাড়াও যুদ্ধ পরিচালনা ও যুদ্ধ প্রশাসনের নীতিনির্ধারণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। জিয়া ছিলেন এই যুদ্ধে মহানায়কের মতো। আরও ছিলেন খালেদ মোশাররফ, আবু তাহের, আবু ওসমান, এম এ জলিল, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধ সর্বোপরি ছিল একটি জনযুদ্ধ, বহু সাধারণ মানুষের অসাধারণ আত্মত্যাগ আর শৌর্য–বীর্যের এক অনুপম গৌরবগাথা।
বাংলাদেশের এই বীর সন্তানেরা ছিলেন অত্যুজ্জ্বল এক নক্ষত্রমণ্ডলীর মতো। সে নক্ষত্রমণ্ডলীর সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধুই। কিন্তু তাই বলে অন্য কোনো নক্ষত্রের আলোও ম্লান হতে পারে না, অন্য কোনো নক্ষত্রও মুছে যেতে পারে না।
জিয়া আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের এমনই এক অবিনশ্বর নক্ষত্র। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে শুধু জিয়া নন, আরও অনেকের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে পক্ষে–বিপক্ষে নানা আলোচনা রয়েছে। কিন্তু সেটি তাঁদের একাত্তরের ভূমিকাকে ম্লান করতে পারে না।

আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৪০ টাকা দিয়ে সিম কিনলে ঐ সিম কোম্পানি নাগরিককে কথায় কথায় স্যার বলে, আর ৪০ হাজার টাকা ট্যাক্স দেয়া নাগরিকও যদি সরকারি কর্...
23/04/2024

৪০ টাকা দিয়ে সিম কিনলে ঐ সিম কোম্পানি নাগরিককে কথায় কথায় স্যার বলে, আর ৪০ হাজার টাকা ট্যাক্স দেয়া নাগরিকও যদি সরকারি কর্মচারীকে ভাই বা আপা বলে তখন তারা ক্ষ্যাপে যায়।
সকল সরকারি কর্মচারীদের উচিত সেবাগ্রহীতা নাগরিককে স্যার বলা।

উনি হচ্ছে - কৃষি অফিসার, সম্প্রতি এক কৃষকের সাথে খারাপ আচরণ করে আলোচনায় আসেন।

পরিশেষে বদলির আদেশ। যোগ দিচ্ছেন ফরিদপুর।

যেখানেই চাকুরী করেন কৃষকদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। সম্মানের সহিত আপনার দ্বায়িত্ব পালন করবেন। কৃষি কৃষক না থাকলে ভাতের মাড়ও খেতে পারব না আপনি আমি কেউ'ই।

ঘামে ভেজা শরীরের কৃষকরাই আমাদের প্রাণ,আমাদের অস্তিত্ব 💙

মানুষ কে সম্মান করতে শিখুন।

28/02/2024

২৯শে ফেব্রুয়ারি লিপইয়ার হবে ২০২৪ সালে! কি এই লিপইয়ার..? কিভাবে বছরে ১ দিন বেশি হিসাব করা হয়..??

ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনের হলেও প্রতি ৪ বছর পরপর একটা বছরের ফেব্রুয়ারি মাস হিসাব করা হয় ২৯ দিনে, যাকে বলা লিপইয়ার বা অধিবর্ষ। অধিবর্ষের ফেব্রুয়ারি মাসে ১ টা দিন বাড়তি হিসাব করা হয়। এটা প্রায় সবাই জানলেও কেনো এটি করা হয় সেই কারণ টা হয়তো অনেকেই জানেন না কেনো করা হয় এই বাড়তি দিনের গণনা...?

20/10/2023

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর আয়োজনে তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে......

১.অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব‍্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল
২.সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (PR) পদ্ধতির প্রবর্তন
৩.বিদ‍্যামান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে

ছাত্র যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইট থেকে সরাসরি.....

13/10/2023

১২ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, ঢাকা থেকে সরাসরি........

সর্বজনীন শিক্ষাব‍্যবস্থা, নিরাপদ ক‍্যাম্পাস ও ভোটাধিকার পুণঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ‍্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক‍্যের ছাত্র কনভেনশন এ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি'র জালাময়ী বক্তব্য।

15/09/2023

সৌদি আরবের মক্কায় শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের লাগানো সেই নিম গাছের ইতিহাস।

"সতর্কবাণী"এখন থেকে ফেসবুকে অযথা কাউকে ইনবক্স, কমেন্ট কিংবা টাইমলাইনে বাজে মেসেজ বা ছবি পাঠিয়ে উত্ত‍্যক্ত করলে উত্ত‍্যক্...
05/08/2023

"সতর্কবাণী"
এখন থেকে ফেসবুকে অযথা কাউকে ইনবক্স, কমেন্ট কিংবা টাইমলাইনে বাজে মেসেজ বা ছবি পাঠিয়ে উত্ত‍্যক্ত করলে উত্ত‍্যক্ত‍্যকারী ব‍্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব‍্যবস্থা গ্রহন করবে পুলিশ।

জনসার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন এবং পেজটিতে লাইক, কমেন্ট ও ফলো দিয়ে আমাদের পাশে থাকবেন.....ধন‍্যবাদ!

22/07/2023

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র সাথে যোগ দিয়েছে জননেতা ববি হাজ্জাজ এর দল "জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)"🏝

04/07/2023

বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ, অবৈধ ও ক্ষতিকর কসমেটিক্স প্রোডাক্ট। অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

17/06/2023
🏝🌋 আরডিআরএস ভবন, রংপুর।🌋🏝ভবনটির আপাদমস্তক আচ্ছাদিত লতাপাতায়। কেউ কেউ এই স্থাপনার নাম দিয়েছেন উদ্ভিদমহল। ঘন সবুজে ঘেরা ভব...
10/06/2023

🏝🌋 আরডিআরএস ভবন, রংপুর।🌋🏝

ভবনটির আপাদমস্তক আচ্ছাদিত লতাপাতায়। কেউ কেউ এই স্থাপনার নাম দিয়েছেন উদ্ভিদমহল। ঘন সবুজে ঘেরা ভবনটি রংপুরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা "আরডিআরএস বাংলাদেশ" এর কার্যালয়। এ যেন ইট সিমেন্ট কংক্রিটের কাঠিন‍্যে সবুজের আলিঙ্গন। প্রকৃতি থেকে কিছু সবুজ নিয়ে নিজের গায়ে মেখে দাড়িয়ে আছে যেন ভবনটি। পরিবেশ বান্ধব এমন ভবনটি এখন রংপুর শহরের অন‍্যতম দর্শনীয় স্থান। রংপুর মহানগরীর জেল রোডে অবস্থিত বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা Rangpur Dinajpur Rural Service (Bangladesh) সংক্ষেপে (আরডিআরএস) এর কার্যালয়। ২০০০ সালে ভবনটিতে রোপণ করা "ওয়াল ক্রিপার" নামের এই উদ্ভিদ। প্রায় ৩ একর আয়তনের এই ক‍্যাম্পাস এখন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী তো বটেই অফিসের কাজে আগত অতিথিদেরও। এখানে সবচেয়ে বেশি নজর কাঁড়ে ওয়াল ক্রিপারের কারুকার্য। গাছটি যেন ভবনটিকে বেধেছে পরম মমতায়, এর ছোয়ায় ইট বালি যেন পেয়েছে প্রান। নান্দনিক ভবনগুলোর দিকে তাকালে যে কারো চোখ আটকে যায় অযান্তেই। "এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ" প্রকাশিত উদ্ভিদ ও প্রানী জ্ঞানকোষের তথ‍্য অনুযায়ী এটি লতা ডুমুর বা দেওয়াল ডুমুর নামে পরিচিত। কেউ কেউ আবার এটিকে চিনেন লতাবট নামে। যার বৈজ্ঞানিক নাম Ficus pumila। ডুমুর প্রজাতির এই গাছের জন্ম চীন ও জাপানে। ভবনটির নকশা করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫ তলাবিশিষ্ট নির্মিত ভবনগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার জন‍্য অষ্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ে আসা হয় ওয়াল ক্রিপার গাছ। এরপর রোপণ করা হয় ভবনগুলোর চারদিকে। মাত্র ১ বছরে ভবনগুলোর চারপাশ ঢাকা পড়ে সবুজে। লতাপাতার কারণে পরিবেশ থাকে শীতল। এ কারণে গ্রীষ্মের সময়ে বৈদ‍্যুতিক পাখা ও এসির ব‍্যবহার কম হয় এই ভবনে। শুধু ওয়াল ক্রিপারের আচ্ছাদনে নয় দৃষ্টিনন্দন এই ভবনকে ঘিরে রয়েছে ৫০ প্রজাতির ফলের গাছ, পুকুর এবং শিশুদের খেলার উপকরণ। এছাড়াও রয়েছে ১০ হাজার বইয়ের সংগ্রহশালা। মুজিব কর্নারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক বই। নান্দনিক সৌন্দর্যের সঙ্গে ২/৪ দিন কাটিয়ে দিতে পারেন এই অতিথিশালায়। এখানে রাত্রি যাপনেরও সুযোগ রয়েছে আরও রয়েছে ৫ টি হলরুম। যেখানে যেকোনো অনুষ্ঠান যে কেউ করতে পারেন নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে।

03/06/2023

নীলফামারী জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার "ন্যায়কুঞ্জ" নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

৩রা জুন রোজ শনিবার বিকেলে ফলক উন্মোচন করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জনাব এম. ইনায়েতুর রহিম।

উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি জনাব এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, দূর দূরান্ত থেকে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীগণ সময় কাটানোর জন‍্য বসে থাকেন আদালত প্রাঙ্গণে। তাদের সুবিধার জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হচ্ছে সারাদেশে।

তিনি বলেন, ন্যায়কুঞ্জে ৮০ জন লোক বসতে পারবেন, এখানে টি-স্টল রয়েছে ও পাশাপাশি ব্রেষ্ট ফিডিং এর জন্য কর্ণার রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ কাজ শেষ হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে উদ্বোধন করবেন। এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসুচীর শুভ সূচনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ জনাব মাহমুদুল করিম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক।

গণপূর্ত অধিদপ্তর নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব তৌহিদুজ্জামান বলেন, ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

03/06/2023

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র! ভয়াবহ লোডশেডিং জুন মাস জুড়ে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট কয়লা সংকটে পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে তা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত।

এপ্রিল পর্যন্ত কয়লার ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়
চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। এতে কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ মে বন্ধ হয়ে যায়। আর ৪ জুন থেকে বন্ধ থাকবে পুরো বিদ্যুৎ উৎপাদন।

তবে সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা আমদানি শুরু হলেও কয়লা আসতে সময় লাগবে আরও ২৫ দিন। যার ফলে পুরো জুন মাস জুড়েই ভয়াবহ লোডশেডিং এর কবলে পড়বে দেশ।

31/05/2023

"আমাদের দাবী একটাই নীলফামারী এক্সপ্রেস চাই"

বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রস্তাবিত নীলফামারী-ঢাকাগামী দিবাকালীন ট্রেনের নাম "নীলফামারী এক্সপ্রেস" পূনঃ বহাল ও নীলফামারী স্টেশনের জন‍্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দের দাবিতে মানববন্ধন।

আয়োজনেঃ নীলফামারী জেলাবাসী।

31/05/2023

নীলফামারী জেলাবাসীর আয়োজনে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রস্তাবিত নীলফামারী-ঢাকাগামী দিবাকালীন ট্রেনের নাম "নীলফামারী এক্সপ্রেস" পূনঃ বহাল ও নীলফামারী স্টেশনের জন‍্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দের দাবিতে মানববন্ধন।

নিজ জেলার নামে একটা ট্রেন পেলাম। কালকে ছিলো আমাদের জেলার নামে সেটা আজকে হয়ে গেলো জেলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের নামে। অস্বীকার করবো না যে এটা আমাদের এলাকা নয়।

আজ সৈয়দপুর কে দেশবাসী এক নামেই চিনে কিন্তু নীলফামারী কে ঠিকমতো চিনে না।

তাই আমাদের দাবী চিলাহাটি কে চিনবে নীলফামারীর মাধ্যমে........চিলাহাটির মাধ্যমে নীলফামারী কে না।

এবার আমাদের দাবী ট্রেন চললে "নীলফামারী এক্সপ্রেস" নামেই চলতে হবে।

Address

Balagram, Jaldhaka, Nilphamari
Rangpur
5330

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ:

Videos

Share

Nearby media companies