বন্ধু

বন্ধু Lifestyle and Entertainment

খুব প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট।।একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবক...
05/11/2023

খুব প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট।।
একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।
সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।
মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো- তার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক হয়েছিল। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।
সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভারসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটে মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।
স্ট্রোককে চিনুন...
সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R... পড়ুন এবং জানুন!
মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।
সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ
S – Smile. রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk. রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।
এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)
সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো। সুতরাং, আপনি শিখলেন- আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান..!!
DR. NARAYAN RAY
MOBILE -9051271988

27/06/2023

পুরো পৃথিবীর জুড়ে এখন একটাই ধ্বনি সেটি হলো:-

لَبَّيْكَ اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لا شَرِيْكَ لَكَ

উচ্চারণ : লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।

অর্থ : আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। আমি আাপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোন শরীক নেই, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা, নে‘মত এবং সাম্রাজ্য আপনারই। আপনার কোনো শরিক নেই। (বুখারি, হাদিস : ১৫৪৯; মুসলিম, হাদিস : ২৮১১)

 #টাকার_মেশিন 😕😓পর্ব_০৪মা তো আমাকে ভুলেই গিয়েছে,,  আমার সাথে কেউ বসে খাবার খায় না,, মোন্তাহা কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেয়,,,...
25/06/2023

#টাকার_মেশিন 😕😓
পর্ব_০৪

মা তো আমাকে ভুলেই গিয়েছে,, আমার সাথে কেউ বসে খাবার খায় না,, মোন্তাহা কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেয়,,, যখন সাবাই খাবার খেতে বসে তার আগে আমার রুমে আমার জন্য খাবার পাঠিয়ে দেয়,, হয়তো বা যেনো তার সাথে খাবার না খাই সেই জন্য,, কেটে গেলো দুই দিন,, দুই দিন পর আম্মু আমার রুমে আসে হঠাৎ আম্মু কে আমার রুমে দেখে কিছু টা অবাক হলাম,,, কারণ এই দুই মাসে আম্মু আমার একবার ও খবর নেয় নাই,, আম্মু আমার কাছে এসে বলে

আম্মু : বাবা নিলয় কি করসি
— কিছু না মা
আম্মু : বাবা তুই কি আমাদের উপর রেগে আচ্ছিস
— রেগে থাকবো কেন মা তোমার তো কিছু করো নাই
আম্মু : নাহ তোর ছোট ভাই তোর আগে বিয়ে করে ফেলছে তাই
— নাহ্ মা রাগ করবো কেনো,, তোমরা যা ভালো মনে করছো তাই করছো এখনে রাগ করার কি আছে,,
আম্মু : আসলে বাবা আমারা ভেবে ছিলাম,, তুই এখন দেশে আসবি না তাই ওকে বিয়ে করিয়ে ফেলি,, আর ঘরে অনেক কাজ এই কাজ গুলো আমি একা একা করতে পারি নাহ্,, তাই বিয়ে করি দিয়েছি
— হুম মা বুঝতে পারছি,, সমস্যা নাই,, ভালো হইছে
আম্মু : বাবা তুই কবে যা আবার,, অনেক দিন তো হলো
— আম্মু কথা শুনে অনেক অবাক হলাম,, নিজের অজান্তে চোখ পানি চলে আসছে,, নিজেকে সামলে নিয়ে,, বললাম,, কেনো মা আমার এখানে থাকাতে কি তোমাদের সমস্যা হয়
আম্মু : না সমস্যা না আসলে তুই দেশে আসলি অনেক দিন হলো তাই জিজ্ঞেস করলাম,, কখন যাবি
— আমি চলে যাবো মা চিরদিনের জন্য,, তখন চাইলে ও আর ফিরতে পারবো নাহ্,, আর মাএ কিছু দিন,,
আম্মু : আচ্ছা যত তারাতাড়ি পারিস চলে যা,, সংসারে এখন অনেক টাকার দরকার,, তোর ছোট চাচা টাকা চাচ্ছে,, ওনার টাকা দিতে হবে,, আবার মোন্তাহা কে বিয়ে দিতে হবে,, অনেক টাকা লাগবে বুঝতে পারছিস তুই ছাড়া টাকা দিবে কে

এই বলো আম্মু চলো গেলো,, আম্মুর কথা গুলো তীরের মতো আমার বুকে এসে বিদলো প্রথমে ভেবে ছিলাম আম্মু মনে হয় সান্ত্বনা দিতে এসেছে,, এখন বুঝলাম আম্মু সান্ত্বনা না আমি কতো দিন এখানে আছি তা জানতে এসেছে,, ভেবে ছিলাম সাবাই যদি এক রকম হয় মা হয়তো আমাকে আগলে রাখবে,, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম কারণ সাবাই টাকার পাগল টাকা দিতে পাড়লে সাবাই আপন হয় থাকে,, যখন টাকা থাকে না,, তখন নিজের মা বাবা ভাই বোন সবাই পর হয়ে যায়,,

সাবাই শুধু নিজের সার্থ খুঁজে,, সার্থ ছাড়া দুনিয়া অচল,, রাতের খাবার খেয়ে বসে আছি,, তখন বড় আপু আব্বু আম্মু আমার রুমে আসে,, আব্বু চেহারায় অনেক টা বিরক্ত ভাব বুঝতে পারছি,, হয়তো কিছু বলতে চায়,, তখন বড় আপু বললো

বড় আপু : নিলয় তুই কি বিয়ে করবি,,
— নাহ্ আপু বিয়ে করবো নাহ্,, হঠাৎ এই কথা কেনো
বড় আপু : নাহ্ অনেক দিন হলো, দেশে আসলি তাই জিজ্ঞেস করছি,, বিয়ে করবি নাকি
— নাহ্ আপু বিয়ে করবো নাহ্,,
বড় আপু : তাহলে একটা কাজ কর তুই কিছু দিনের মধ্যে চলে যা বাড়িতে থেকে কি করবি,, অনেক দিন তো হলো
আব্বু : নিলয় তোর আপু কিন্তু ঠিক বলছে যদি বিয়ে না করিস তাহলে এখানে থেকে কি করবি
— ওহ তোমার তাহলে এই জন্য আমার কাছে আসছো
বড় আপু : হুম তারাতাড়ি চলে যা অনেক দিন হলো,,
— হুম আপু চলে যাবো আর পাচ দিন পর

তারপর সবাই চলে গেলো আমার থকে কেউ জিজ্ঞেস করে নাই আমি কেমন আছি,, বা আমি কি চাই সাবাই শুধু আমি কবে যাবো তা নিয়ে ব্যস্ত,, পাচ দিন পর ছোট বোন যখন আমার খাবার নিয়ে আসে এসে দেখে আমার নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরছে,, রক্তে পরিমাণ এতো যে সারা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে আছে,, এইটা দেখে ছোট এক চিৎকার দিয়ে বেহুশ,, ছোট বোন এর চিৎকার শুনে সাবাই চলে এলো

এসে দেখা এই অবস্থা,, মা ও এক চিৎকার দিয়ে বেহুশ হয় পড়ে,,কারণ নিলয় এর দেহটা এক দম সাদা হয়ে গিয়েছে সারা বিছানায় রক্ত লেগে আছে,, ছোট ভাই দেখে নিলয় নিশ্বাস নিচ্ছে না,,হয়তো বা অনেক আগে মারা গেছে নিলয় নিলয় এর ছোট ভাই যখন নিলয় কাছে যায় দেখে তার মাথার পাশে একটা চিরকুট,, চিরকুটা হাতে নিলো,, চিরকুট এর উপরে লেখা আমার পরিবার,, এইটা দেখে ছোট ভাই এই বার পড়তে শুরু করলো,,

চলবে.......

 #শিক্ষামূলক_গল্প 🙃🙂লোকটা মারা যাওয়ার আগে তার নাতিকে তিনটা উপদেশ দিয়ে গেল....😴😴😴১. ঘরের বউকে কখনও মনের কথা বলবি না!!🤐😶২....
20/06/2023

#শিক্ষামূলক_গল্প 🙃🙂
লোকটা মারা যাওয়ার আগে তার নাতিকে তিনটা উপদেশ দিয়ে গেল....😴😴😴
১. ঘরের বউকে কখনও মনের কথা বলবি না!!🤐😶
২. বাড়ির সামনে কখনও বড়ই এর গাছ লাগাব না!!✌😑
৩. পুলিশের সাথে কখনও বন্ধুত্ব করবি না!!🙃🤐
দাদা মারা যাওয়ার পর নাতির মাথায় সারাক্ষণ একটাই চিন্তা। দাদা কেন এই কাজগুলো নিষেধ করে গেল? নাতির মনে একটা সময় জেদ চেপে বসলো, সে ভাবলো দাদার নিষেধ করা কাজগুলো সে করবে, এবং দেখবে কী ঘটে!😴😴🤥
যেই কথা সেই কাজ। সে সর্বপ্রথম একজন পুলিশের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে বন্ধুত্ব করলো। মাঝে মাঝেই সেই পুলিশ বন্ধুকে বাড়িতে নিয়ে এসে দাওয়াত খাওয়ানো শুরু করলো। পাশাপাশি বাড়ির সদর দরজার সামনে একটি বড়ই গাছ লাগালো। বাকি থাকলো বউয়ের কাছে মনের কথা বলা...🤭🤭🤭
সে বসে বসে প্লান করলো, বউকে মনের কোন কথাটা বলা যায়...😑
সে বাজারে গেল। তিনটা ডাব কিনলো। তিনটা গামছা কিনলো। তারপর দোকান থেকে কিছু লাল রং কিনলো। তারপর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুকুরঘাটে বসে ডাবের উপর লাল রং মেশালো। রং মেশানোর পর গামছা দিয়ে ডাব এমনভাবে পেচিয়ে ফেললে যাতে দেখে মনে হয় গামছার ভিতরে মানুষের কাটা মাথা...🥴🥴🥴
তারপর দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়িতে এসেই ভং ধরে বউকে বললো, আমি তো তিনটা মানুষকে খুন করে ফেলছি! তুমি এই কথা কাউকে বইলো না প্লিজ...😰🙏
তারপর স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে একটা গর্ত করলো, সেই গর্তে তিনটা ডাব ( পড়ুন কাটা মাথা ) পুঁতে রাখলো। তারপর অনেক দিন কেটে গেল। কোনো প্রকার সমস্যায় হল না...😯😯
নাতি বসে বসে দাদার কথা ভাবছে আর হাসছে। শালা বুইড়া সবই তো করলাম। কিছুই তো হল না। হা হা হা....😂🤣
সবকিছুই ঠিকঠাক যাচ্ছিলো। ব্যাপারটা একসময় সে ভুলেই গেল। হঠাৎ একদিন বউয়ের সাথে তার প্রচুর ঝগড়া হল। রেগে গিয়ে বউ বললো, তোর গোপন কথা ফাঁস করে দিবো ওয়েট...🥴😐😐
বউ তখন স্বামীর পুলিশ বন্ধুকে ফোন করে বাড়িতে ডাকলো...🤒
পুলিশ আসার পর লোকটির বউ পুলিশকে গর্তের কাছে নিয়ে গিয়ে বললো, এখানে তিনজন মানুষের মাথা আছে, আমার স্বামী এদের খুন করছে...
গর্ত থেকে পুলিশ গামছা পেঁচানো তিনটা মুন্ডু বের করলো। গামছা খুলে দেখা গেল, তিনটা ডাব! বউ তখন বললো, এখানে মানুষের মাথা ছিল, আমার স্বামী মাথা চেইঞ্জ করে ডাব পুঁতে রাখছে! আমি সাক্ষী...
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বললো, এরেস্ট হিম!
লোকটি দৌড় দিতে যাবে ঠিক তখনই সদর দরজায় বড়ই গাছের কাটা পায়ে লেগে লোকটি পড়ে গেল। পালাতেও পারলো না...
পুলিশ তাকে ধরে ফেললো, মারতে মারতে জিজ্ঞেস করলো, বল! মুন্ডু গুলা কোথায় লুকিয়ে রাখছিস?
লোকটা আকাশের দিকে মুখ করে কাঁদতে কাঁদতে বললো, দাদা আমারে বাঁচাও, আমার শিক্ষা হয়ে গেছে!! আমারে বাঁচাও!!😬😬😬

নিত্যনতুন গল্প পেতে পেইজ ফলো করুন 🍁

 #টাকার_মেশিন 😕😓পর্ব_০৩ দেখতে দেখতে কেটে গেলো পনেরো দিন,, এই পনেরো দিনে আমার পরিবারের কেউ আমার খুজ খবর রাখে নাই,, শুধু ম...
19/06/2023

#টাকার_মেশিন 😕😓
পর্ব_০৩


দেখতে দেখতে কেটে গেলো পনেরো দিন,, এই পনেরো দিনে আমার পরিবারের কেউ আমার খুজ খবর রাখে নাই,, শুধু মাএ ছোট বোন মোন্তাহা ছাড়া এক কথায় আমি বাড়িতে যে আমি আছি সবাই ভুলে গিয়েছে,, মোন্তাহা সব সময় আমার খবর রাখে,, আমি এই কয় দিন ঘয় থেকে বাহিয়ে যাই নাই,, বাহিরে গিয়ে কি যেখানে আমার কোনো মূল্য নেই,, সকাল বেলা,, ছোট বোন আমার রুমে আসে,, এসে বলে

মোন্তাহা : ভাইয়া বাবা তোমাকে ডাকে বাহিয়ে
— কেনো
মোন্তাহা : জানি নাহ্,, হয়তো তোমার সাথে কথা বলবে
— ও আচ্ছা তুই যা আস্তেছি
ছোট বোন চলে গেলো আমি ও বাহিয়ে আসলাম,, দেখি সবাই বসে আছে,, তখন বাবা বললো

আব্বু : নিলয় কি খবর তোর
— বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম,, কারণ এই কয় দিনে একবার ও দেখা করে নাই,, আর এখন জিজ্ঞেস করছে, কি খবর,, একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,, এইতো ভালো বাবা
আব্বু : আচ্ছা শুনো তোকে যেই জন্য ডাকা
— বুঝতে পারলাম প্রয়োজন পরছে তাই এতো দিন পর মনে পড়েছে,, জ্বী বলেন
আব্বু : তোর রিটার্ন টিকিট কবে,,
— কেনো বাবা
আব্বু : কেন মানে তোর জন্য কেনা কাটা করতে হবে নাহ্,, তাই জিজ্ঞেস করছি,, তোর রিটার্ন টিকিট কবে
— আসলে বাবা অনেক বছর পড়ে বাড়িতে আসলাম,, এই হলো কিছু দিন,, আরো কয়েক মাস পড়ে যাবো,, আর যদি এখানে একটা কিছু করতে পারি,, তাহলে আর যাবো নাহ্,, দেশের বাহিরে,,
আমার কথা শুনে,, আমার পরিবারের সবাই এমন ভাবে তাকালো যেনো তাদের উপর অনেক বড় একটা বোঝা এসে পড়েছে,, তখন মা বললো
আম্মু : নিলয় তুই এখানে কি করবি,, আর মাসে বা কতো টাকা ইনকাম করবি,,
— কেন মা ব্যাবসা করবো,,
আব্বু : বুঝলাম ব্যবসা করবি,, কিন্তু ব্যাবসা করতে হলে টাকা লাগবে এতো টাকা আছে তোর কাছে,,
— কেনো এতো বছরের টাকা গুলো কই,, আমি তো প্রতি মাসে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম
আব্বু : এতো বছরের টাকা মানে,, সেই গুলো তো সংসারে পিছনে খরচ হয়ে গেছে,, তাহলে টাকা আসবে কই থেকে
— বাবা আমাদের সংসারে প্রতি মাসে,, ৭০ হাজার টাকা খরচ হয় সেই টা আমার জানা ছিলো নাহ,,
আব্বু : আমি বলেছি পুরো টাকা শুধু আমার খেয়ে ফেলেছি,, এই টাকা দিয়ে,, তোর ছোট ভাই ছোট বোন পড়া লেখা চালিয়েছে,, একটা ঘর উঠাতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে,,
— ওওও
আব্বু : শুনো তুই যত তারাতাড়ি পারিস চলে যা তোর ছোট কাকা আমাদের,, কাছে তিন লক্ষ টাকা পাওনা
— কি সের তিন লক্ষ টাকা পাওনা,, আমাদের তো কোনো লেনাদেনা ছিলো নাহ,, তাহলে
আব্বু : আরে তোর ছোট ভাই কে একটা বাইক কিনে দিয়ছি,, তিন লক্ষ টাকা দিয়ে,, সেই টাকা আর কি
— কই বাবা আমাকে তো বলো নাই,,
আব্বু : এখানে তোকে বলার কি আছে,, ও তোর ছোট ভাই,, আর আমি ভেবে ছিলাম তুই এখন দেশে আসবি নাহ্,,
— ওওও
আব্বু : হুম আর শুনো তোর রিটার্ন টিকিট তারাতাড়ি কেটে ফেল,,

এই বলে সবাই চলে গেলো,, কি আজব আমার মা বাবা,, মানুষ তার ছেলে মেয়েকে কাছে রাখতে চায় আমার বাবা মা আমাকে দৃরে ঠেলে দিচ্ছে,, যদি বাড়িতে না আসতাম হয় তো বা এই গুলো কখনো জানা হতো নাহ্,, আর আমার পরিবার যে আমাকে শুরু টাকার জন্য মনে রেখেছে সেই ও টা জানা হতো নাহ্,, তবে ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছিলাম আমার আর এই দেশে বেশি দিন থাকা হবে নাহ্,, কারণ সাবাই চায় আমি চলে যাই,, কেটে গেলো আরো এক মাস এক মাস পর বাবা আমার রুমে আসে,, বলে

আব্বু : কিরে নিলয় তোকে সেই কবে বললাম কখন যাবি আমাকে বলতে তোর কোনো খোঁজ খবর নাই
— বাবা আমি তো চার মাসের ছুটি নিয়ে আসছি,, ছুটি শেষ হলে চলে যাবো,,
আব্বু : আমি বলি কি,, চার মাস থাকতে হবে নাহ্,, তুই এখন চলে যা আবার না হয় তিন চার বছর পড়ে চলে আসবি,, দেখতে তো পতেছিস সংসারে অবস্থা,, তার পড়ে আবার তোর ভাই কে একটা চাকরি দিতে হবে,, অনেক টাকা লাগবে,, মোন্তাহা কে বিয়ে দিতে হবে,, সেখানে ও অনেক টাকা লাগবে,,
— আচ্ছা বাবা দেখি,,
বাবা চলে গেলো কি মা বাবা আমার আমি বাড়িতে চার মাস থাকলে তাদের সমস্যা,, কথা গুলো ভাবতে হাসি পায়,, মা তো আমাকে ভুলেই গিয়েছে,, ওহ একটা কথা,, আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে ভালো কথা বলে নাহ্,, কথা বলা দৃরের কথা,, আমার সাথে কেউ বসে খাবার খায় না,, মোন্তাহা কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেয়,,, তার দুই দিন পর,, আম্মু বলে...

আমি বাকরুদ্ধ!!! চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো আহহহ 💔ইনফার্টিলিটি ডক্টর দেখাতে আসছি ঢাকা বার্ডেম ২। সিরিয়ালে বসে আছি। পাশেই বসা এক ভ...
16/06/2023

আমি বাকরুদ্ধ!!! চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো আহহহ 💔
ইনফার্টিলিটি ডক্টর দেখাতে আসছি ঢাকা বার্ডেম ২। সিরিয়ালে বসে আছি। পাশেই বসা এক ভদ্র মহিলার সাথে কথা বলে সময় পার করছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম বিয়ের কত বছর ? বললেন ২৫ বছর।
একটিও বেবী নেই? না।

উত্তর শুনে কিছুক্ষন বাকরুদ্ধ হয়ে ছিলাম।বললাম আপনার হাজব্যান্ড কোথায়?
বলল,নীচে রিসিপশনে গিয়েছে।

একটুপর একজন মধ্যবয়স্ক লোকের দিকে উনি ইশারা করে বলল উনিই আমার হাজব্যান্ড।
মুখ ভর্তি সাদা খোচা খোচা দাড়ি। মাথার চুলেও সিংহ ভাগ বার্ধক্যের ছাপ।

আমি তখন অনেক্ষন কেমন যেনো আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম। ২৫ বছর ধরে এই মানুষ দুটি একটি সন্তানের আশায় প্রহর গুনছে। কিভাবে পার করেছে দু যুগেরও অধিক সময়। ভেবেই যাচ্ছিলাম।

কারন আমরাও যে এক নিঃসন্তান দম্পতী। আমি তো ৫/৬ বছরেই ব্যাকুল হয়ে পরেছি।
পিরিয়ড হলে কান্নাকাটি করে বুক ভাসাই। কিভাবে সম্ভব এতো বছর এভাবে পার করা।

ভাবতে ভাবতেই আমার সিরিয়াল আসলো।
ডক্টর সব রিপোর্ট দেখে বলল:অনেক দিন ধরেই তো ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন। বরের রিপোর্ট তো ভালো আসছে না।এই রিপোর্টে বাবা হওয়া পসিবল নয়।একটা কথা বলি আপনারা একটা বেবী দত্তক নিয়ে নিন।
কথাটা শুনে ভিতরে যেনো দুমড়ে মুচরে যাচ্ছিলো।

কিন্তু বরকে কিছুই বুঝতে দিচ্ছিলাম না। বাসায় আসলাম। দত্তক নেওয়ার বিষয়টি ভাবলাম।
আমি পর্দা করি। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী চলার চেষ্টা করি।
আর ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী পালক সন্তান ঔরসজাত সন্তানের মত নয়। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার সাথে পর্দার বিধান প্রযোজ্য হবে। তাই এই চিন্তে মাথা থেকে বাদ দিলাম।

আমার কোন বোন নেই। ছোট একটি ভাই আমার। একদিন মাকে কল করে কথায় কথায় ছোট ভাইয়ের কথা বললাম,মা ধরো আমার যদি বাচ্চা নাই হয়।
পালকও তো আনতে পারবো না। কারন বড় হলে দেখা দিতে পারবো না।

কিন্তু যদি ওর (ছোট ভাই) বিয়ের পর আল্লাহ দিলে ওর সন্তান থেকে আমাকে একটা ছেলে দেয় তাহলে তো আমি ওর ফুপু হবো।দেখাও করা জায়েজ। এভাবে আমি ওকে নিজের সন্তানের মত লালন করে তুলবো। আর মেয়ে নিলে তো আমার বরের সাথে বড় হলে দেখা করতে পারবে না।

আমার মা আমার বাচ্চা সূলভ অদূর ভবিষ্যতের কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ ছিলো।কান্না জরানো কন্ঠে বলল,আল্লাহ তোমাকেই সন্তান দিবে মা।
তুমি দোয়া করতে থাকো।

ঘটনাটি ২০১৫ সালের।
আজ ২০২৩ সালের জুন মাস।
আমার ১৪ তম বিবাহ বার্ষিকী ১০ই জুন।
বৈবাহিক জীবনের ১৩ টি বসন্ত পার করলাম।১৪ তে পদার্পণ।

আজও আমরা ২ থেকে ৩ হতে পারিনি। এখনও প্রতিটি মাসে আশায় থাকি।মাস শেষে সুসংবাদ পাবো। কিন্তু না।আমার আশা আজও অপূরনীয়।
মাস শেষে যখন পিরিয়ড হয়ে যায়। পাথরের মত হয়ে যাই। এখন আর হাউমাউ করে কাঁদি না। চোখ ২টি ঝাপসা হয়ে আসে শুধু।মুখ ফুটে কোন আওয়াজ বের হয়ে আসে না।

এই ১৪ বছরে কত ডাক্তার কত গাছন্ত ঔষধ, কত কি কি করেছি কত টাকা ভেংগেছি তার কোন হিসেব নেই।
জীবনের এই সময় এসে আমার মনে পরে সেই মহিলার কথা যে ২৫ পরেও মা হতে পারিনি।

সেদিন কি আমি ভেবেছিলাম আমিও ১৪ বছরে সন্তানের মুখ দেখবো না। এই ১৪ সংখ্যা টি ভবিষ্যতে কত সংখ্যায় রুপ নেয় সেটাও জানিনা
জানিনা কতদিন বাঁচবো? কিভাবে কাটবে আমার এই নিঃসন্তান জীবন?

একাকিত্ব ,বিষন্নতা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়।
স্বামীর প্রতি আমার বিন্দুমাত্র কোন অভিযোগ নেই। বড্ড ভালোবাসি এই মানুষটাকে।
একবার এক ডক্টর আগের জনের মতই রিপোর্ট দেখে বলে দিল, নরমালি পসিবল না।আইভিএফ করেন হলে হতেও পারে। আরো কিছু হতাশাজনক কথাবার্তা। সেদিন আমার স্বামী আমাকে বলেছিলো,তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে? ..

তোমাকে ছাড়া কিভাবে বাচঁবো আমি?
তবুও তোমার অধিকার আছে মা ডাক শুনার।যদি তুমি মনে করো আমায় ছেড়ে অন্যত্র কারো বাহুডোরে আবদ্ধ হলে তুমি মা হতে পারবে।তাহলে তোমায় আমি আটকাবো না।
তোমাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।

কথা গুলি উনার মুখ থেকে বের হয়ে আমার কলিজাটাকে যেনো ছিদ্র করে ফেলছে। চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে এলো।উনার মুখের দিকে তাকিয়ে উনার হাত দুটিকে আমার হাতে মুষ্ঠিবদ্ধ করে নিয়ে বললাম।
এই চিনলেন আমাকে?

এক যুগেরও বেশী সময় পার করলাম একসাথে।
এটা সত্য যে আমি সন্তানের মা হতে চাই।কিন্তু যার বাবা হবেন আপনি।আমি আপনারই সন্তান গর্ভে ধারন করতে চাই। আপনাকে ছাড়া আমার পৃথিবীটা অন্ধকারাচ্ছন্ন।
আপনি আমার জন্য প্রভুর দেয়া এক বিশেষ নেয়ামত।
সন্তানের জন্য এই নেয়ামত আমি হারাতে চাই না।

আমার মা আর ছোট ভাই ছাড়া আমার আত্নীয় কেউ জানে না আমার বরের প্রব্লেম এর কথা।
জানাতেও চাই না। থাক না কিছু কথা গোপনীয়।
যেই মানুষটিকে উন্মাদের মত ভালোবেসে হৃদয়ের মনি কোঠায় জায়গা দিয়েছি, চাই না তাকে অন্যের সামনে ছোট করতে।

আসলেই মানুষটার প্রতি আমি মুগ্ধ। এই মুগ্ধতায় বিভোর থাকতে চাই আমি আজীবন।
এমন নয় যে,উনার প্রব্লেম বলে উনি আমার প্রতি অমায়িক।
প্রব্লেম তো জানতে পারছি ৫/৬ বছর পর।কিন্তু ৫/৬ বছর তো আমি মানুষটাকে দেখেছি।কতটা ভালোবাসে ,কেয়ার করে আমায়।

উনি মাসজিদের ইমাম। মহল্লার থেকে খানা দেয় উনাকে। আমি মাদ্রাসায় জব করতাম।বোর্ডিং এর খানা আমার জন্য কষ্ট হবে ভেবে নিজের খানা থেকে বাঁচিয়ে আমার জন্য খাবার নিয়ে আসতো।নিষেধ করেলে বলতো,খাওয়ার সময় তোমার কথা মনে হয়।কি করবো বলো?

একদিন এক ছেলেকে দিয়ে টিফিন পাঠিয়ে দিয়ে কল করে বলতেছে,টিফিন খুলে খানা দেখলে বুঝতে পারবা।তোমাকে রেখে খাওয়ার সময় আমার কেমন লাগে?

আমি টিফিন খুলে দেখলাম কই মাছ ভাজা,আর কি তরকারী যেনো মনে নেই। উনার কথার মর্ম তেমন কিছুই বুঝলাম না।কিন্তু যখন মাছ প্লেটে নেওয়ার জন্য হাত দিলাম তখন বুঝলাম।
কারন মাছের এক পিঠ খাওয়া ছিলো।আরেক পিঠ উনি আমার জন্য রেখে দিছে।
অনেক সময় তরকারী, ভাজি এই গুলির মাঝে ভাত ভরানো দেখতে পেতাম।মানে খাওয়ার জন্য প্লেটে নিয়েও আমার জন্য উঠিয়ে রেখে নিয়ে আসতো।

অনেকের কাছে এই বিষয় গুলি খুব তুচ্ছ।
কিন্তু আমি সেই ভাজা মাছেও আমার স্বামীর ভালোবাসার খুজে পেয়েছি।

এই ১৪ টি বছরে আজও কোন কারনে উনি আমাকে "তুই" বলে সম্ভোধন করেনি।কখনো গায়ে হাত তুলে নি। কোন বিষয় নিয়ে আমার রাগ থাকলে আমি কিছু বললেও উনি চুপ করে থেকে আমাকে বুঝায়। নিজেকে উনি দূর্বল ভেবে এমন।বিষয়টা এমন নয়।উনি মানুষটাই এমন।সবাই বলে অনেক ভাগ্য করে নাকি এমন স্বামী পাইছি।

এই মানুষটার সাথে একই বিছানায় আমি বৃদ্ধা হতে চাই।
সেই বিছানায় আমরা বুড়ো বুড়ি আমাদের নাতী নাতনীদের নিয়ে খেলা করতে চাই।
আদৌ আসবে কি সেই দিন?
হতে পারবো তো এক রত্নগর্ভা জননী ?
নির্ঘুম রাত।ফুপিয়ে ফুপিয়ে নিঃশব্দে কান্না করার দিন শেষ হবে কবে?
একজন নিঃসন্তান নারীর মনের ভিতরে বয়ে যাওয়া যন্ত্রনা বুঝার ক্ষমতা কাহারো নেই।

আমি কল্পনায় আমার সন্তান,আমার মাতৃত্বকে ভেবে যাই প্রতিনিয়ত।
কিন্তু বাস্তবতায় যখন ফিরে আসি তার কোন অস্তিত্ব আমি খুজে পাই না। আমার চারপাশটা ভিষন রকম একা।

বিছানায় নিজের পাশে হাত বুলিয়ে এখানে ছোট এক অবুঝ শিশুর হাত পা নাড়িয়ে খেলা করার দৃশ্য আমি দেখতে পাই।
কিন্তু সেটা কল্পনা।
"আমার মাতৃত্ব কল্পনাতেই সুন্দর"

কা"বার মালিক চাইলে এই কল্পনা একদিন বাস্তবে রুপ নিবে। এই আশা বুকে নিয়েই দিন গুলি পার করছি।
আমি দেখছি আমার বরের রিপোর্ট থেকেও অনেক খারাপ রিপোর্ট নিয়ে অনেক মেয়েদের মা হতে।
আমি আমার প্রভুর কাছে আশাবাদী তিনি আমাকেও নৈরাশ করবেন না।

তুমি তো ঐ প্রভু আমার । মারিয়াম আঃকে কুমারী অবস্থায় পিতা ছাড়া পুত্রের জননী করেছিলে তুমি।
তুমি সর্বক্ষমতার অধিকারী।
তুমি আমাকেও সন্তান দিতে সক্ষম।
আমাকে এমন ভাগ্য দান করো যে,আমার মৃত্যুর পর যেনো আমার সন্তান আমার জন্য তোমার দরবারে মাগফেরাত প্রার্থনা করে।
সেদিনটির জন্য হলেও আমি মা হতে চাই।

 #টাকার_মেশিন  😕😓পর্ব_০২তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া,, আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি  দেখতে দেখতে দুই দি...
16/06/2023

#টাকার_মেশিন 😕😓
পর্ব_০২

তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া,, আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি দেখতে দেখতে দুই দিন কেটে গেলো দুই দিন,, এই দুই দিনে আমার পরিবারের কেউ আমার কোনো খুজ খবর রাখে নাই,, শুধু আমার ছোট বোন,, মোন্তাহা ছাড়া,, দুই দিন পর আব্বু আম্মু আমার রুমে আসে,, সাথে ছোট ভাই,, বড় আপু,, মোন্তাহা,, আব্বু বলে

আব্বু — নিলয় কি করিস
— কিছু না আব্বু বলেন
আব্বু — তা আসার সময় কি নিয়ে আসলি,, এখনো দেখলাম না যে
— বুঝতে পারলাম সাবাই এখন আমার রুমে কেনো আসছে,, আসলে আব্বু তোমার বিয়ে নিয়ে ব্যাস্ত তাই,, কিছু বের করি নাই
আব্বু — ওওও তাহলে এখন বের কর তর বড় আপু আছে, দেখি সবার জন্য কি নিয়ে আসলি,,
— আসলে আব্বু কারো জন্য কিছু নিয়ে আসি নাই,, শুধু মোন্তাহার জন্য কিছু জিনিস নিয়ে আসছি,,
দেখলাম,, ছোট ভাই,, বড় আপুর চেহারা,, মলিন হয়ে গেছে,, তখন আম্মু বললো,,
আম্মু— দেখি কি নিয়ে আসলি,, মোন্তাহার জন্য,,

তার পর,, আমার সব কিছু বের কি,, যা বের করেছি সেখানে,, শুধু মোন্তাহার,, জিনিস ছিলো,, তখন বড় আপু বললো
বড় আপু— শুধু এই জিনিস গুলো নিয়ে আসলি
— হুম কেনো
বড় আপু— আমি না বললাম কিছু দিন আগে,, তুই যখনি বাড়ি আসবি তোর দুলা ভাইয়ের জন্য একটা লেপটপ নিয়ে আসবি,,
— আসলে আপু হঠাৎ করে চলে আসছি তাই কিছু নিয়ে আসি নাই,,
বড় আপু— তোকে কে বলছে হঠাৎ করে চলে আসতে,, আরো দুই বছর পড়ে আসলে কি হতো,, সেই দিন তো গেলিদেশের বাহিরে,, এতো তারি চলে আসা লাগে,, হুম
— আপু আট বছর পড়ে আসলাম,,
বড় আপু— তো কি হইছে,, মানুষ তো দশ বছর পড়ে আসে বাড়িতে,, আর শুধু আট বছর আট বছর করিস,, এই আট বছরে কি করছিস আমাদের জন্য,,
আপুর কথা শুনে কিছু বললাম না,, আমি শুধু একটা মুচকি হাসি দিয়ে,,আব্বুর দিকে তাকালাম
ছোট ভাই — ভাইয়া আমার জন্য আই ফোন আনতে বলে ছিলাম নিয়ে আসছো
— নাহ্ বললাম তো হঠাৎ করে চলে আসছি,, তাই কিছু নিয়ে আসি নাই
— তা তো দেখতে পারতেছি,, ছোট বোনের জন্য জিনিস,, নতুন ফোন,, তারপর কসমেটিক,, আরো কতো কিছু,, আর আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসো নাই,,
— আরে সেই রকম কিছু না,, ওর জন্য আগে এই গুলো কিনে রেখে ছিলাম,,
ছোট ভাই — হুম বুঝতে পারছি,, আর বলতে হবে,, কিছু দিন পড়ে আসলে তো হতো এতো তারা তারি আসার কি দরকার ছিলো শুধু শুধু,, আর আপু তো ঠিক বলছে,, কি করছো তুমি আমাদের জন্য,,

ছোট ভাইয়ের কথায় ও কিছু বলি নাই,, শুধু ছোট ভাই আর আপুর দিকে তাকিয়ে ছিলাম,, কি বলবো যেখানে আমার মা বাবা আছে,, তাদের সামনে এতো কিছু বললো তারাই কিছু বলে নাই,, সেখানে আমি কি বলবো,, ভেবে ছিলাম আব্বু কিছু বলবে দেখলাম আব্বু আম্মু দুই জন চুপ,, তখন আম্মু বললো,,

আম্মু — নিলয় আম্মু জন্য কি নিয়ে আসলি,,
— নাহ্,, মা আমি কিছু নিয়ে আসি নাই,,
আম্মু— তোকে না বলে ছিলাম আসার সময় আম্মু জন্য এক জোড়া জিনিস নিয়ে আসবি,, তাও নিয়ে আসিস নাই,,
— না মা আমি কিছু নিয়ে আসি নাই,, আর তোমাকে তো আমি অনেক বার জিনিস দিয়েছিলাম,, সেই গুলো কই
আম্মু— সেই গুলো পৃরনো হয়ে গেছে,, তাই বলে ছিলাম,, জিনিস নিয়ে আসতে
— ওহ,,আচ্ছা আবার দেশের বাহিরে গিয়ে,, তোমার জন্য জিনিস পাঠিয়ে দিবো
আম্মু— হুম,, এখন বল তোর আব্বুর জন্য কি নিয়ে আসলি
— বললাম তো,, মা আমি কারো জন্য কিছু নিয়ে আসি নাই,, তাহলে বার বার জিজ্ঞেস করো কেনো,, তখন আব্বু বললো
আব্বু — বুঝলাম তুই কিছু নিয়ে আসিস নাই,, তাহলে টাকা পয়সা কই
— আমি টাকা পাবো কই,, মাসের সব টাকা তো বাড়িতে পাঠাই দিতাম,, তাহলে আমার কাছে টাকা আসবে কই থেকে,,
আব্বু — তাহলে আমি মানুষের লেনাদেনা দিবো কি করে,, আর তোর ছোট বোন মোন্তাহার বিয়ে দিবো কি ভাবে,,
— এতো বছরের,, টাকা পয়সা কই,,
আব্বু — সেই টাকা তো সংসারের করছ হয়ে গেছে,, এখনো অনেক দেনা বাকি,, তুই যত তারা তারি পারিস চলে যা,, আর তোর রিটার্ন টিকিট,, কবে
— আব্বার কথা শুনে,, আব্বুর কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম,, হুম আব্বু চলে যাবো,,

তারপর আব্বু চলে গেলো,, কি আজব দুনিয়া আমি কেমন আছি তা কেউ জিজ্ঞেস করে নাই,, সবাই শুধু টাকা আর জিনিস নিয়ে ব্যাস্ত,, কি আজব দুনিয়া,, আর দুনিয়ায় হিসেব,,তার পর ছোট বোন আমার কাছে আসে,,
মোন্তাহা — ভাইয়া কি দরকার ছিলো,, এই গুলো আনার
— আরে তুই আমার এক মাএ ছোট বোন,, তোর জন্য আনবো না তো কার জন্য আনবো শুনি
মোন্তাহা — ছোট ভাইয়া শুধু রাগ করলো,,

— আরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,, আর তো পনেরো দিন,,

মোন্তাহা — কেনো ভাইয়া পনেরো পর কি হবে,,
— কিছু না তুই যা

মোন্তাহা চলে গেলো,,দেখতে দেখতে কেটে গেলো পনেরো দিন,, সকাল বেলা,, ছোট বোন আমার রুমে আসে,, এসে দেখে..........

চলবে???

আপনি কি কখনো এই দোকানের কাস্টমার ছিলেন।
15/06/2023

আপনি কি কখনো এই দোকানের কাস্টমার ছিলেন।

 #টাকার_মেশিন 😕😓পর্ব_ ০১দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউ কে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সবাই কে সারপ্রাইজ দিবো বলে। বাড়িতে...
15/06/2023

#টাকার_মেশিন 😕😓
পর্ব_ ০১

দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউ কে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সবাই কে সারপ্রাইজ দিবো বলে। বাড়িতে এসে আমি নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যাই। কারণ আজকে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে অথচ আমাকে কেউ একবার বলেনি। আমি বাড়িতে আসায় কেউ খুশি হতে পাড়েনি। আমি ভালো ভাবে বুঝতে পারছিলাম। কারণ তাদের চেহারায় খুশির চেয়ে বিরক্ত ভাব টা বেশি ছিলো। সবার সাথে কোশল বিনিময় করে ঘরে যাই।তখন বাবা আমার পিছন পিছন পিছন আসে।

বাবা :কিরে নিলয় হঠাৎ বাড়িতে চলে আসলি যে কোন সমস্যা হইছে।
— না বাবা সমস্যা হয় নাই তোমাদের দেখতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম।
বাবা : ওওও তা আবার কখন যাবি

(বাবার কথা শুনে কিছু টা অনেক টা অবাক হলাম এই মাএ বাড়ি আসলে আর এখন জিজ্ঞেস করছে কখন যাবি। একটা মুচকি দিয়ে বললাম)

– কিছু দিন পর চলে যাবো বাবা,,
বাবা : ওহ্ এখন না এসে কিছু দিন পর আসতি।এখনো অনেক লেনাদেনা বাকি আছে আমাদের।

বাবার কথা শুনে কিছু বললাম না,, তখন মা বললো

মা : কিরে বাবা চলে আসলি কেন কোন সমস্যা হইছে
— না মা সমস্যা হয় নাই। এমনি আসলাম তোমাদের দেখতে।
মা : ওও আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে আর,, আজকে আবার রাকিবের বিয়ে তুই যাবি নাহ্ তোর ভাইয়ের সাথে।
— নাহ্ মা আমি আমি ক্লান্ত,, তাই যাবো নাহ্

আমি আমার মা বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম। বড় ছেলে বিয়ে করে নাই। তাকে জিজ্ঞেস করে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যাবে কি নাহ্।সবাই ছোট ভাইয়ের সাথে চলে গেলো শুধু মা ছাড়া। সারা দিনের জার্নি করে আমি অনেক টা ক্লান্ত।তাই কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ঘুম ভাঙ্গে মানুষের হইচই শুনে। বুঝতে পারলাম বউ নিয়ে চলে আসছে এর মধ্যে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বা দেখা হয় নাই। ওই ভাবে শুয়ে আছি আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনি আমি কিছু খেয়েছি কি না। একটু পর ছোট বোন আসলো।

মোন্তাহা : ভাইয়া কেমন আছো তুমি
— ভালো তুই কেমন আচ্ছিস
মোন্তাহা : ভালো ভাইয়া তুমি মনে হয় সকাল থেকে কিছু খাওনি
— আরে তেমন কিছু না খাওয়া হইছে আমার
মোন্তাহা : ভাইয়া তুমি মিথ্যা টা ও ভালো ভাবে বলতে পারো নাহ্। তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসি।

মানুষ বলে মা নাকি মুখ দেখে সন্তানের দুঃখ বোঝে কিন্তু আমার বেলা উল্টো। আমার আম্মুর মনে নাই আমি বাড়িতে আসছি।এতো খন যার সাথে কথা বললাম। সে হলো আমার ছোট বোন। এক মাএ আমার ছোট বোন আমার চেহারা দেখে বলতে পারে আমি কি চাই। তাই তো বুঝতে পারছে আমি কিছু খাই নাই।কিছু খন পর খাবার নিয়ে আসলো

মোন্তাহা : ভাইয়া খাবার টা খেয়ে নাও।
— হুম।
মোন্তাহা : ভাইয়া একটা কথা বলি।
— হুম বল কি বলবি।
মোন্তাহা : আমার হাতে খাইয়ে দিবো তোমাকে।
— হুম দে অনেক দিন হলো কারো হাতে খাবার খাই না।

তার পর ছোট বোন।খাবার খাইয়ে চলে গেলো।রাতের বেলা সবাই আমার ঘরে আসলো। সাথে ছোট ভাই ও ছিলো আম্মু বললো।

মা : নিলয় কি নিয়ে আসলি আসার সময়। আমাদের একটু দেখা
— এনে ছিলাম অনেক কিছু। কিন্তু কা কে দিবো বুঝতে পারছি না।

তখন বাবা বললো।

বাবা : কা কে দিবি মানে আমরা তোর পরিবার আমাদের কে দিবি।

একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম।

– তোমরা আমার পরিবার

বাবা : কেনো
— নাহ্ এমনিম আমি এখন কিছু খুলতে পারবো নাহ্। দুই দিন পড়ে খোলবো।

তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া। আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি। দেখতে দেখতে দুই দিন কেটে গেলো দুই দিন পর

চলবে....... 🥰

ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

28/03/2023

09/02/2023
04/08/2022
04/08/2022
29/07/2022

বলিউড সুপারস্টার সালমান খান সঞ্চালিত বিগ বসের ১১তম মৌসুমের অন্যতম প্রতিযোগী মেহজাবি সিদ্দিকি বিনোদন অঙ্গন ছেড়ে...

29/07/2022

সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ২০২১ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম.....

29/07/2022

বর্তমান বিশ্বে সব ফরম্যাটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কে সম্প্রতি ...

29/07/2022

এহসান গ্রুপের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় কুয়াকাটা হুজুর খ্যাত হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর জামিন আবেদন মঞ্.....

29/07/2022

পটুয়াখালীর দুমকিতে অন্যের ছাগল জবাই করার অভিযোগে মো. রেজাউল করিম রাজন (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পু.....

29/07/2022

পদ্মা সেতুতে উল্টে গেল বেপরোয়া বাস, আহত ২০

বিস্তারিত : https://somoynews.tv/news/2022-07-26/পদ্মা-সেতুতে-উল্টে-গেল-বেপরোয়া-বাস-আহত-২০

--------------------------------------------------------------------------
দেশ বিদেশের সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন সময় এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে।
সাবস্ক্রাইব করুন: https://t.me/somoynews_tv
ফলো করুন:
ইন্সটাগ্রাম: https://www.instagram.com/somoynews_tv/
লিংকডইন: https://www.linkedin.com/company/somoynews
টুইটার: https://twitter.com/somoytv

29/07/2022

Keep us in your prayer 🤲..

29/07/2022

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কিছুদিন পর আমাদের আর বিদেশি ঋণ থাকবে না। তখন আমরাই আবার অন্যদেরকে ঋণ দিতে .....

Address

Jhenida Sadar Upazila
Jhenida

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বন্ধু posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বন্ধু:

Videos

Share