ᗩ. ՏᕼᗩᗰՏ. K

ᗩ. ՏᕼᗩᗰՏ. K কিছু কথা ব্যথা হবে, কিছু ব্যাথা কথা হবে
কিছু কথা কিছু ব্যথা মধ্য রাতে কাঁদিয়ে দেবে
A. SHAMS. K
(1)

28/11/2023

এত নীরবে তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই,
যেনো আমি নিজেও কিছু টের না পাই !
-প্রবর রিপন

#

মানুষ কী তবে দুঃখ পাইলে পাখি হইতে চায়?
20/11/2023

মানুষ কী তবে দুঃখ পাইলে পাখি হইতে চায়?

এমন একাকিত্ব আমার হোক। 🖤
20/11/2023

এমন একাকিত্ব আমার হোক। 🖤

20/11/2023
15/11/2023

আমি আপনাকে কতোটা ভালোবাসি আপনি কোনো দিন জানতেই পারবেন না.......🥺🥺

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.Whenever yo...
17/10/2023

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

- তবুও তুমি আমার হয়ে যাও!🥺
12/10/2023

- তবুও তুমি আমার হয়ে যাও!🥺

10/10/2023

ক্যাপশন দেয়ার মত কোন ভাষা নাই 😥😥

আমারে ছাইড়া গেলে, তুমি অন্যরকম এক জীবন পাইবা; আফসোস, আমারে পাইবা না!🖤
09/10/2023

আমারে ছাইড়া গেলে, তুমি অন্যরকম এক জীবন পাইবা; আফসোস, আমারে পাইবা না!🖤

Hmm😥💔🥰
09/10/2023

Hmm😥💔🥰

07/10/2023

হুম
#কষ্ট

🥰🥀
06/10/2023

🥰🥀

05/10/2023

This Song 🥀🖤💫
#অনুগল্প

04/10/2023

হয়তো মেসেজ দেন, নয়তো আনফ্রেন্ড করে দেন 🙂

দুইজন মিলে সম্মান দিতেছে 😁 BTS (방탄소년단) Kailash Kher Aparajita adhya fan club F1 Ziaul Hoque Polash Mehedi Hasan Rana BTS...
03/10/2023

দুইজন মিলে সম্মান দিতেছে 😁

BTS (방탄소년단) Kailash Kher Aparajita adhya fan club F1 Ziaul Hoque Polash Mehedi Hasan Rana BTS RM BD BTS Plumbing & Heating #সংগৃহীত #ছোটগল্প #অনুগল্প #গল্পঃ #কষ্ট

01/10/2023

কথা গুলো 🌸🥹
#কষ্ট

26/09/2023



#কষ্ট
#ছোটগল্প

25/09/2023



24/09/2023

মানুষের থেকে দূরে থাকা ভালো। একা থাকা ভালো,মানুষ দূর থেকে সুন্দর। মানুষের মাঝে বেশি ভেসে যেতে নেই, মিশে যেতে নেই, মানুষ মিশে গিয়ে আবার পি'ষে দেয়!

22/09/2023

বাবা 💔😥

সত্যি ছবিটা দেখার পর নিজের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই.. 🥲🙂
22/09/2023

সত্যি ছবিটা দেখার পর নিজের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই.. 🥲🙂

কতোই না অভিযোগ আমাদের এই  জীবনে। তবে দেখছেন তাদের কিন্তু খুব একটা অভিযোগ নেই।সত্যি এগুলো দেখার পর আর কোন অভিযোগ  থাকে না...
21/09/2023

কতোই না অভিযোগ আমাদের এই জীবনে।

তবে দেখছেন তাদের কিন্তু খুব একটা অভিযোগ নেই।

সত্যি এগুলো দেখার পর আর কোন অভিযোগ থাকে না।
তারা অল্পতেই খুশি।😊

আনিলার মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলো কান্নার শব্দে। পাশে ঘুমিয়ে আছে নিয়াজ ।আনিলা বুঝলো এ কান্নার শব্দ  ভাবীর। ও বিছানা থেকে উঠে...
20/09/2023

আনিলার মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলো কান্নার শব্দে। পাশে ঘুমিয়ে আছে নিয়াজ ।আনিলা বুঝলো এ কান্নার শব্দ ভাবীর। ও বিছানা থেকে উঠে ওদের বেডরুম সংলগ্ন বারান্দায় গেলো, স্লাইডিং ডোর খুলে।ওদের পাশেই ভাবীর বেডরুম। আর সাথে ঠিক এমনই একটি ছোট্র বারান্দা। পাশাপাশি বারান্দা হওয়ায় দুটো বারান্দায় কথা কিংবা আওয়াজ হলো শোনা যায়।

ভাবীর গুনগুনিয়ে কান্নার শব্দটা এখন আরো স্পষ্ট হলো। ভাইয়া (ভাসুর) নিশ্চয়ই আজও ড্রিংক করে এসে ভাবীকে মেরেছে। আনিলা বোঝেনা এমন শিক্ষিত, উচ্চবিত্ত পরিবারে এমন ঘটনা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না কেন?আনিলা সহ্য করতে পারেনা। আজ মাস তিনেক হলো, আনিলার বিয়ে হয়েছে নিয়াজের সাথে।

নিয়াজ খুব শান্ত, ভদ্র একটা ছেলে। নিয়াজ একটা মাল্টি ন্যাশন্যাল কোম্পানীতে চাকরি করে। আনিলা বেছে নিয়েছে শিক্ষকতার পেশা। নামি একটা স্কুলে চাকরি করে।বিয়ে হয়ে এ পরিবারে এসে ভালই লেগেছে। শাশুড়ি আম্মা বেশ ডমেনেটিং, তবে প্রছন্ন ভাবে তার প্রকাশ ঘটে।আনিলার সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই।

এ বাসায় এসে যাকে তার সব চাইতে ভাল লেগেছে সে হচ্ছে
ভাবী।ভাবী ভীষন কেয়ারিং একজন মানুষ। আনিলাকে আপন করে নিতে তার দুদিনও লাগেনি। বিয়ের পর দিন সকালে সবার জন্য নতুন বৌয়ের নাস্তা বানানোর কাজটা ধরতে গেলে ভাবীই করে দিয়েছে। শুধু বলেছে তোমার বলার দরকার নেই আমি যে তোমাকে সাহায্য করেছি।এ ভাবেই ভাবীর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠেছে।

বিয়ের কিছুদিন যেতেই বুঝতে পারলো ভাবীর এ বাসায়
কোন মূল্যায়ন নেই। আম্মা মাঝে মধ্যেই ভাবীর সাথে এটা সেটা নিয়ে রাগ করেন। ভাইয়া বাসায় ফিরে বেশ রাত করে।একদিন টের পায় ভাইয়া ড্রিংক করে ফেরেন। আনিলা বড় হয়েছে ভিন্ন পরিবেশে। ড্রিংক করা ব্যাপারটা তার কাছে ভাল লাগেনি। এটা নিয়াজকে বলতেই নিয়াজ বলেছে, দেখো সব মানুষ সমান না। ভাইয়ার জীবন ভাইয়া বুঝুক ওটা নিয়ে তোমার মাথা ঘামাতে হবে না। কিন্তু যেদিন ভাইয়ার ঘর থেকে রাতে ভাবীর কান্নার শব্দ শুনলো এবং বুঝলো ভাইয়া ভাবীকে মেরেছে সেদিন আনিলা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো।

আনিলার ভিতর ন্যায় অন্যায় বিষয়টা খুব প্রবল। ওর ব্যক্তিত্বটা গড়ে উঠেছে সেভাবে। ওদের দুই ভাই, দুই বোনের
পরিবারে ভাই, বোনরা সমান ছিলো। কোন উঁচু , নিচু ছিলো না। বাবা, মা আপু আর ওর মতামতের মূল্য দিয়েছে সব সময়। সে স্বাধীনতা নিয়েই আনিলা বড় হয়েছে। ওদের পরিবারের সবাই জানে আনিলা অত্যন্ত দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী।

আনিলা কিছুক্ষন বারান্দায় বসে থেকে উঠে এসে শুয়ে পড়লো। নিয়াজকে এ ব্যাপারে বলেছে কিন্তু নিয়াজের একই উওর, ওদের বিষয় ওদেরকে বুঝতে দাও। কিন্তু আনিলা কিছুতেই এটি মানতে পারে না। ভাবলো কাল ভাবীর সাথে কথা বলবে।বাকি রাতটা আনিলা আধো ঘুমে আধো জাগরণে কাটালো।

সকালে উঠে আনিলা ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে গেলো।গিয়ে দেখলো ভাবী নাস্তার জন্য পরোটা বানাচ্ছে। এ বাসায় বাঁধা কাজের মানুষ নেই। দুজন ছুটা বুয়া আসে দশটার দিকে।আম্মা বাঁধা লোক পছন্দ করেন না।আনিলা চায়ের পানি বসালো।ভাবীর দিকে তাকিয়ে দেখলো ভাবী পাতলা একটা শাল দিয়ে গা মাথা ঢেকে রেখেছে।হঠাৎ শালটা একটু সরে যেতেই দেখলো ভাবীর চোখের কাছে আঘাতের নীল চিহৃ।আনিলা মনে মনে বলল, জানোয়ার। তারপর কাছে গিয়ে বলল, কেন এসব সহ্য করছো?

ভাবীর চোখ ছল ছল করে উঠলো বলল, আমার তো কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই? কি করবো?আনিলা বলল,তবে কি এ ভাবে মার খেয়ে একদিন মরে যাবে? প্রতিবাদ করো! এমন সময় আম্মা রান্না ঘরে ঢুকলো। আনিলার কথা তার কানে গেছে। আম্মা বলল, দেখো আনিলা তুমি ছন্দার কানে এ সব কথা দিওনা! একটা বাজা মেয়েকে আমার ছেলে বৌ করে রেখেছে এই তো বেশি। আজ পাঁচ বছর, ঘরে কোন বাচ্চার মুখ দেখলাম না।তারপর বলল, এ ব্যাপারে তুমি ছন্দার হয়ে কোন কথা বলতে আসবে না। বলে চলে গেলেন।

আনিলা এ তিন মাসে এ কথাটা শুনে নাই। ও অবাক হয়ে বলল, ভাবী তোমরা ডক্টর দেখাও নাই? ভাবী চোখ মুছতে মুছতে বলল, দেখিয়েছি। আনিলা বলল, সমস্যা কি তোমার? এবার ভাবী উওর না দিয়ে বলল, আনিলা তোমার স্কুলে দেরি হয়ে যাচ্ছে! এমন সময় নিয়াজের গলা ভেসে এলো আনিলা নাস্তা দাও।

আনিলা নিয়াজকে নাস্তা দিলো, নিজেও তাড়াহুড়ো করে খেয়ে বেরিয়ে পড়লো। নিয়াজ ওকে স্কুলে নামিয়ে চলে গেলো। আনিলার আজ ক্লাসে মন বসছে না।শুধু ভাবীর অসহায় মুখটা চোখের সামনে ভেসে আসছে।ও স্কুল থেকে আজ একটু তাড়া তাড়ি বেরুলো।আজ আনিলা মায়ের বাসায় যাবে। ফোন করে নিয়াজ আর আম্মাকে জানিয়ে দিলো।

মায়ের বাসায় গিয়ে সোজা নিজের ঘরে চলে গেলো।ওর দুই
ভাই প্রবাসী। আপু সংসার, দুই বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত। বাবা, মাকে তাই ওরই বেশি খেয়াল করতে হয়। তবে বাবা, মা মাশাল্লাহ সুস্থ সবল।মা এই ভর দুপুরে ওকে দেখে অবাক হলো। বলল, কিরে হঠাৎ চলে এলি? আনিলা উওরে বলল,কেন মা? এ বাসা তো আমারো। মা হেসে বলল, অবশ্যই। এভাবে হুট করে তো আসিস না তাই! আর নিয়াজ কই? তোদের কোন ঝামেলা হয় নাই তো? এবার আনিলা হেসে উওর দিলো কিছু না মা এমনি মন চাইলো তাই চলে এলাম।মা বলল, ঠিক আছে ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।

দুপুরে বাবা, মায়ের সাথে খেতে আনিলার ভাল লাগছিলো। কিন্তু তার ফাকে ভাবীর মুখটা মনে পড়লেই মন খারাপ হচ্ছে।

খাবার পর আনিলা নিজের ঘরে গেলো। একটু পর মাও আসলো। মা পাশে এসে বসে বলল, তোর মন খারাপ কেন
বল তো? এরপর আনিলা মাকে সব খুলে বলল। মা চিন্তিত মুখে বলল, এমন শিক্ষিত পরিবারে এখনো এ সব কুসংস্কার রয়েছে। আনিলা বলল, আসলে প্রকৃত অর্থে এরা আলোকিত মানুষ নয়।আর নিয়াজের তো প্রতিবাদ করা উচিত।এদিকে আধুনিকতার নামে ভাইয়া মদ্যপান করছে অন্যদিকে বৌকে মারছে,বাজা বলছে। এদের তো পুলিশে দেওয়া উচিত।

মা বলল, কিন্তু এ সবের ভিতর তুই তোর আর নিয়াজের সম্পর্ক খারাপ করিস না।আনিলা উওর দিলো তুমি আর বাবাই তো আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শিখিয়েছ এখন কি ভাবে সহ্য করি বলো? এমন পরিবেশে থাকলে আমি দম আটকে মরে যাবো ! বৌ পেটায়…এটা ভাবলেই আমার রক্ত মাথায় উঠে যায়। আর ভাবীর মত এমন শান্ত লক্ষী মানুষ হয় না মা! বেচারী ছোটবেলা বাবা, মাকে হারিয়ে চাচার কাছে মানুষ। চাচী তো দুচোখে দেখতে পারে না।বেচারী ইন্টারমিডেয়েট পযর্ন্ত অনেক কষ্ট সহ্য করে পড়েছে।

ভাবীকে আম্মা পছন্দ করে এনেছেন অথচ এখন তিনিও ভাবীকে অপমান করছে। বেচারী কোথায় যাবে?এর একটা বিহিত করতে না পারলে আমি শান্তি পাবো না।

মা বলল, কিছু বললেও ভেবে চিন্তে বলিস! আমিও চাই এটার প্রতিবাদ হোক। তবে নিজের সংসারটা ঠিক রাখিস।

বিকেল বেলা আনিলা বাসায় ফিরলো।সন্ধ্যার পর ও গেলো ভাবীর রুমে। নিয়াজের আজ রাতে মিটিং তাই ফিরতে দেরি হবে। আর ভাইয়া তো নিত্য দিনের মত রাতে ফিরবে। দেখলো ভাবী রুমে নেই। ওয়াশরুমে থেকে শব্দ আসছে। বুঝলো ভাবী ওয়াশরুমে। ও এদিক ওদিক তাকালো। এত কিছুর ভেতরেও বেচারি কি সুন্দর করে ঘর গুছিয়ে রেখেছে।

হঠাৎ ওর দৃষ্টি পড়লো সাইড টেবিলে দুটি ফাইলের উপর।ও কাছে গিয়ে দেখলো ডাক্তারের ফাইল।আনিলা ফাইল নিয়ে দেখলো ভাবী আর ভাইয়ার নাম লেখা। ও দুটো ফাইলই খুলে পড়লো। সব টেষ্টই বাচ্চা হওয়া সম্পর্কিত।ক্ষানিকটা বুঝলো ক্ষানিকটা বুঝলো না। ডাক্তারি পরিভাষা বোঝা সম্ভব নয়। যা বুঝলো তাতে মনে হলো ভাবীর সবই ঠিক আছে। কিন্তু ভাইয়া? এমন সময় খুঁট করে আওয়াজ করে দরজা খুলে ভাবী বাইরে আসলো।

ওর হাতে ফাইল দেখে অনেকটা দৌড়ে ফাইল হাতে নিলো। বলল, এ সব পড়ছো কেন? এবার আনিলা খুব দৃঢ় গলায় বলল, ভাবী তুমি কি লুকাচ্ছে? সত্য করে বলো! বাচ্চা না হওয়ার অক্ষমতা কার তোমার না ভাইয়ার?এমন সরাসরি প্রশ্নে শুনে ভাবীর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো।আনিলা বলল, সত্যটা প্রকাশ করো। এবার ভাবী ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলল।এরপর বলল, আমার কোন সমস্যা নেই। সমস্যা ওর। কিন্তু এটা প্রকাশ করলে ও আমাকে ডিভোর্স দিবে। তাই কিছু বলি না।আম্মা ছাড়া এ কথা কেউ জানে না। আমি তো সে অর্থে পড়া শুনা শেষ করি নাই। চাচা মারা গেছেন। চাচী বাসায় ঢুকতে দিবেনা। কি করবো? কোথায় যাবো? তাই সব সহ্য করে এখানে পরে আছি। নিজের হতাশার জন্য ও আমাকে মার ধোরও করে।ও মানুষ ভাল না ।

আনিলা ভাবীর কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলো। মানুষ কি বিচিত্র! নির্দোষ একটা মানুষকে অপবাদ, অপমান, মার, ধোর সহ্য করতে হচ্ছে। আনিলা বলল, ভাবী আমি এর প্রতিবাদ করবো। ভাবী ভয় পেয়ে বলল, তুমি তোমার জীবনকে অশান্ত করোনা। আমার কপালে যা আছে তাই হবে।এবার আনিলা বেশ রাগ করে বলল, এটাকে কপাল বলে না।তুমি শুধু আমাকে সমর্থন করো। ভয় পেয়ে না।বলে আনিলা চলে আসলো।

মধ্যরাতে ভাইয়া বাসায় ফিরে একই ঘটনা ঘটালো। এবার আনিলা সোজা গিয়ে ভাবীদের দরজায় জোরে জোরে করাঘাত করলো। ভাইয়া নেশার ঘোরে দরজা খুলে বাইরে আসলো।আনিলাকে দেখে হৈ চৈ শুরু করলো।এর ভিতর নিয়াজ, আব্বা, আম্মা, রুম থেকে বেরিয়ে এসেছে। ভাবীও কাঁদত কাঁদত বাইরে আসলো। আম্মা এসে আনিলাকে ধমক দিলো। বলল, আনিলা তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করছো!আমার মানা স্বত্বেও।

এবার আনিলা বলল, বাড়া বাড়ি মানে? একজন মানুষ মদ খেয়ে বৌ পেটাচ্ছে আর আপনারা সেটা দেখে চুপ করে আছেন! ছেলেকে কিছুই বলছেন না। তার উপর ভাবীকে বাজা বলছেন। যেখানে বাচ্চা না হওয়ার অক্ষমতা ভাবীর নয় আপনার গুণধর পুত্রের।আপনারা মানুষ না অন্য কিছু? এবার আম্মা চেয়ারে বসে পড়লেন। নিয়াজ দৌড়ে গিয়ে আম্মাকে ধরলো।এরপর আনিলাকে রাগী গলায় বলল, আনিলা চুপ করো। আম্মার শরীর খারাপ হয়ে যাবে।আনিলা বলল, আম্মার কিছু হবে না। আম্মা সব জানেন।

নিয়াজ হতবাক হয়ে আম্মা আর ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।ভাইয়ার মুখ ঝুলে পড়েছে। তারপরও বলল, আমি ছন্দাকে ডিভোর্স দিবো। এখনই ছন্দা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাবে।হঠাৎ লিভিং রুমে পিন পতন নিরবতা নেমে এলো।

আনিলা কিছু শোনার আশায় নিয়াজের দিকে তাকালো। কিন্তু নিয়াজ চুপ করে রইলো। একেই কি বলে পরিবারের সম্মান রক্ষার প্রক্রিয়া?এরা কোন যুগে বাস করে! আনিলা
এবার গলা উঁচু করে বলল, আপনার দিতে হবেনা,ভাবীই আপনাকে ডিভোর্স দিবে। বলে ভাবীর হাত টেনে ঘরে গিয়ে
বলল, তোমার জিনিস পত্র নাও। আমি উবার ডাকছি।

নিয়াজ এসে বলল, আনিলা চিন্তা করে দেখো! কি করতে যাচ্ছো? বিষয়টা তোমার জন্যও খারাপ হতে পারে। আনিলা হেসে বলল, ভয় দেখিও না! আমি ভয় পাওয়ার মত মেয়ে নই। তুমি আমাকে খুব ভাল চেনো।ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্য তোমরা ফেসে যাবে। নিজেদের চিন্তা করো । আর যদি তোমার ন্যায়, অন্যায় বোধ কিছু মাত্র থাকে তবে এর প্রতিবাদ করো। নিয়াজ চুপ করে গেলো । নিয়াজ আনিলাকে জানে এ মেয়ে দমবার পাত্রী নয়।

উবার আসার পর ভাবীকে নিয়ে চলে আসতে গেলে ভাইয়া
বলল, তোমার এত সাহস আমার বৌকে নিয়ে যাচ্ছো । বলে হিংস্র ভাবে এগিয়ে আসলো। আনিলা একটুও ভয় না পেয়ে হাতের ফোনটা দেখিয়ে বলল, শুধু মাত্র ট্রিপল নাইনে একটা কল দিবো! নন বেল জেলে ঢুকে যাবেন। স্বাক্ষী ভাবীর গায়ের আঘাতের চিহৃ আর আমার বয়ান।আর আমার কিছু হলে, আপনারা জানেন আমার বড় চাচা দেশের একজন প্রখ্যাত আইনজীবি। ভাইয়া থেমে গেলো।

আনিলা ভাবীকে নিয়ে সোজা মায়ের বাসায় চলে এলো। ভাবীর অবস্থা দেখে বাবা, মা দুজনেই হতবাক।মা জলদি গেলো ঔষুধ আনতে। এভাবেই রাতটা পার হয়ে গেলো।আনিলার শশুর বাড়ি থেকে কেউ খবর নিলো না।শুধু নিয়াজ কল দিয়েই যাচ্ছে। আনিলা ধরলো না।আনিলা ভাবীকে বলল, আজ থেকে তোমার পরিচয় হোক আমার বোন হিসাবে। ভাবী ডাকটি মুছে আমি তোমাকে ছন্দা আপু বলতে চাই। ছন্দা মাথা নেড়ে সায় দিলো।

সন্ধ্যার পর আনিলাদের বাসার ডোর বেল বাজলো। নিয়াজ এসেছে।ওরা সবাই মিলে নিয়াজকে ঘিরে বসলো।মা বলল, নিয়াজ তোমার কাছ থেকে এটি আমরা আশা করি নাই। ছন্দা একজন বাবা, মা হারা মেয়ে। ওর হয়ে কথা বলার কেউ নেই। অথচ তোমার ভাই মেয়েটাকে প্রায় প্রতিদিন নির্যাতন করে কিন্তু তোমরা কেউ তার প্রতিবাদ করো না? এটা কি মানুষের কাজ হলো? তুমি তো সোচ্চার হতে পারতে! নিয়াজ বলল, আসলে মায়ের কারনে আমরা কেউ কথা বলি না।তার উপর উনি আমার বড় ভাই।

এবার আনিলা বলল, বড়রাও অন্যায় করলে তাদের সেটা বলতে হবে।তোমার নিজের বিবেক কি বলে? নিয়াজ বলল,
বুঝতে পারছি। তুমি বাসায় চলো। এর একটা ব্যবস্থা করতে হবে। আনিলা বলল, আমি খুব ভাল বুঝেছি ভাইয়া নিজের ইগো নিয়ে থাকবেন আর সাথে আম্মা। ন্যায়, অন্যায় বোধ তাদের নেই। আনিলাকে তার বাবা, মা, বুঝিয়ে নিয়াজের সাথে পাঠিয়ে দিলো। আরো বলল, ছন্দা এখন এখানেই থাকবে।

বাসায় ফিরে আনিলা দেখলো আম্মার মুখ ভার। ওকে দেখেই বলল, নিজের শশুর বাড়ির মান সম্মান আর রাখলে না। সমাজে আমাদের তো মুখ দেখাতে হবে। আনিলা শান্ত স্বরে বলল, আম্মা অন্যায় করা আর অন্যায় সহ্য করা সমান অপরাধ। এ কথাটা ভুলবেন না।

এর মধ্যেই আম্মার কটু কথা, ভাইয়ার উদ্যতপূর্ন ব্যাবহার কোন কিছুই আনিলাকে দমাতে পারলো না।তবে এবার নিয়াজ তার ভুল বুঝতে পেরে আনিলার পক্ষ নিলো।

এদিকে আনিলার মা ছন্দাকে মেয়ের মত আগলে রাখলেন। ছন্দা যেন তার আরেকটি মেয়ে হয়ে উঠলো।ছন্দাকে বলল, প্রাইভেটে বি, এ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে।এভাবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ছন্দার ডিভোর্স হয়ে গেলো। ছন্দা যেন নতুন একটা জীবন পেলো।

একটি বছর দেখতে দেখতে পার হয়ে গেলো।

আনিলা আজ সন্ধ্যায় ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে সাজ গোজ করছে। আজ সে ভীষন খুশি।রেডি হতেই নিয়াজ সামনে এসে দাঁড়ালো বলল, আজ তোমাকে ভীষন সুন্দর লাগছে।মনে হচ্ছে তোমার চোখে মুখে অন্যরকম একটা সৌন্দর্য্যের দূত্যি খেলে যাচ্ছে।আনিলা হেসে বলল, হয়তো এ দূত্যি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জিতে যাওয়ার দূত্যি। আমার ভিতরের এই বোধটুকু যেন চিরকাল থাকে সে প্রার্থনায়ই করি।

ওরা দুজনেই যাচ্ছে বিয়ে বাড়িতে। এক সময় পৌছে গেলো।
আনিলা দেখলো বাবা, মা অতিথি আপ্যায়নে ব্যাস্ত। ওদের দেখে খুশি হয়ে বলল, এসে গেসিছ! এমন সময় বরযাত্রীর আগমন। মা বলল, দেখ আনিলা আতিয়ার ছেলেকে ইমরানকে কি সুন্দর লাগছে। মায়ের বান্ধবী আতিয়া আন্টির ছেলে ইমরান ভাই ।বিদেশ থেকে পি, এইচ, ডি করে ফিরেছে।বিয়ে করবে না বলে পন করে ছিলো। কিন্তু বিধাতার খেলা কে কবে বুঝতে পেরেছে? কেউ না। এ জায়গায় সব মানবকুল এক।

এবার ইমরান ভাই আন্টির সাথে এসেছিলো মায়ের সাথে দেখা করতে। আর সেখানেই দেখা হয় এ বিয়ের কনের সাথে। প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে ফেলে। আন্টিও ছেলে রাজি হয়েছে বলে খুব খুশি । আর মেয়েকে তার আগেই পছন্দ ছিলো। তাই দুই দুই চার হতে সময় লাগেনি।

বর গিয়ে বসলো কনের পাশে। আনিলা মুগ্ধ হয়ে কনেকে দেখছে। কি সুন্দর লাগছে কনেকে! হ্যা পাঠক বৃন্দ কনে আর কেউ নয়, সে হচ্ছে ছন্দা।জীবনে বিধাতা কত মঙ্গলময় ঘটনার অবতারনা করেন,এটিও সেই রকম একটা ঘটনা।

আনিলা দুর থেকে দেখচ্ছে। খুশিতে ওর চোখ ভিজে আসছে। ওর খুশির আরেকটা কারন ও বুঝতে পেরেছে ওর ভিতরে আরেকটি প্রানের সঞ্চারণ ঘটছে। মনে মনে ভাবছে এ অনাগত শিশুটিকেও সে শেখাবে, অন্যায় করা আর অন্যায় সহ্য করা সমান অপরাধ।

অস্ফুটে উচ্চারণ করলো, “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃনা তারে যেন তৃণ-সম দহে”!

#গল্প-বোধের উপাখ্যান ।
ফৌজিয়া ইয়াসমিন ইভা।
গল্প টা পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন আর পেইজটি ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।❤️
#সংগৃহীত #ছোটগল্প #অনুগল্প #কষ্ট #গল্পঃ #গল্প

15/09/2023

একটা মানুষ ঠিক তখনি এমন সিদ্ধান্ত নেয় যখন সে আর নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনা। আত্মাহত্যা মহাপাপ তাই ভেবে বেঁচে আছে কত শত জীবন্ত লাশ

13/09/2023

This “28 sec” of Kailash Kher is enough !!🖤✨

13/09/2023

অপেক্ষা। 🖤

Tahmina Akter

13/09/2023

ব্যর্থতা চিরকাল আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।। একদিন ছেড়ে যাবেই। মানসিকভাবে ভে'ঙে পড়া, নিজের সাথে নিজের যু'দ্ধ চলা সব একদিন সফল হয়ে যাবে। শুধু থেকে যাবে পৃথিবীর বাজারে, প্রিয়জনদের রূপ। দুঃসময়ে পাশে না থাকার আ'ঘাত, এরিয়ে যাওয়া, উপেক্ষা করে চলে যাওয়া কাছের মানুষদের থেকে পাওয়া দারুণ ক্ষ'ত।🙂🙂🥹😪

তুমি পুরুষ হও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। পরনা*রীতে আকৃষ্ট না হয়ে নিজের নারী'কে আঁকড়ে ধর, কেয়ারিং হও। 🖤🌼©
12/09/2023

তুমি পুরুষ হও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। পরনা*রীতে আকৃষ্ট না হয়ে নিজের নারী'কে আঁকড়ে ধর, কেয়ারিং হও। 🖤🌼

©

11/09/2023

তবুও যদি সম্পর্কের পূর্ণতা না হয়, তাও তুমি হৃদয়ের অত্যন্ত গভীরে তোমার জায়গাটা সযত্নে সবসময় শ্রদ্ধায়, রাখা থাকবে। 🖤

আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়,শৈশব-কৈশোরের ঠিকানায়;
07/09/2023

আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়,
শৈশব-কৈশোরের ঠিকানায়;

05/09/2023

পৃথিবীতে সব মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। ২/১ জন মানুষের মন জয় করে যেতে পারলেই যথেষ্ট।মৃত্যুর পর হাতেগোনা ২/১জন মানুষই কবরের পাশে এসে দোয়া করবে নিয়মিত।
কবরের পাশে এসে দাঁড়ানোর পর তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় কিন্তু তখনও তিনি গভীর ভাবে দোয়া করে চলেছেন মৃতব্যক্তিটির জন্য। হয়তো মৃত ব্যক্তিটা ওনার কাছে স্পেশাল একজন ছিলেন🙂

05/09/2023

একটা শান্ত জীবন চাই। একেবারে শীতল জলের মত শান্ত। যেখানে নেই আকাঙ্খা, হতাশা কিংবা ঐশ্বর্য।
বেঁচে থাকার শেষ দিনটা অবধি এভাবেই থাকতে চাই।

05/09/2023

কতবার'ই তো পালাতে চাই সব কিছু ছেড়ে,
চক্রাকারে ওই একই দিন, একই সন্ধ্যা, একই রাত একই চিন্তা — এবার ঠিক পালিয়ে যাবো, ভাবতে ভাবতে আর পালানো হয় না কোথাও।

04/09/2023

কারো উপর কখনো অভিযোগ রাখতে হয় না, নিজেকে সরিয়ে নিয়ে গুছিয়ে নিতে হয়। 🌼

[ নিঃশব্দে সরে গেছি, কোনো প্রতি'বাদ করিনি। প্রশ্ন তুলিনি, কি ভুল ছিলো আমার। সময়ের সাথে নিজেকে পাল্টে নিয়েছি, একা থাকাটা নিজের করেছি, চুপচাপ হয়ে গেছি নতুন আর কিছুই ভালো লাগেনা এখন।

নেই কোনো অ'ভিযোগ, নেই কোনো প্রশ্ন। ব্যাস নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি। 🖤 ]

রাগ হলো নতুন করে কাছে ফিরে আসবো। 🌼©
30/08/2023

রাগ হলো নতুন করে কাছে ফিরে আসবো। 🌼

©

30/08/2023

আলহামদুলিল্লাহ
হোয়াইট হাউজে কুরআন তেলওয়াত

ওনাদের যদি রিক্সা নিয়ে বের হতে হয়,তাহলে বয়স্ক ভাতা পায় কারা? 🙂
28/08/2023

ওনাদের যদি রিক্সা নিয়ে বের হতে হয়,তাহলে বয়স্ক ভাতা পায় কারা? 🙂

Address

Ring Road
Dhaka
14349

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ᗩ. ՏᕼᗩᗰՏ. K posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ᗩ. ՏᕼᗩᗰՏ. K:

Videos

Share

Category

Nearby media companies