30/03/2024
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন,
আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন,
ততোবারই আপনার কপালে শোক ও
দুশ্চিন্তার ছাপ ছিলো? এর কারণ কি?
জিবরাঈল (আ.) নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর প্রশ্নের জবাবে বললেন,
"জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে
আমার ঠোঁটে, চোখে ও মুখে কখনো হাসি ফুটেনি।"
জাহান্নাম কেমন হবে?
১. জাহান্নামের গভীরতা এমন যে,
এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে
জাহান্নামের তলদেশে পৌঁছাতে ৭০ বছর সময় লাগে। বিচারের দিন জাহান্নামকে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে, যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।
২. জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।
৩. জাহান্নামবাসীদের শরীরের চামড়া
১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে, যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ কঠিন হয়। তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল, যার এক একটি উহুদ পাহাড়ের সমান।
৪. প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ কঠিন করা হবে।
৫. জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটাযুক্ত গাছ। আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি, পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল। এরপরও জাহান্নামবাসীর পিপাসা এতো বেশি হবে যে, তারা এই পানীয় পান করতে থাকবে।
৬. জাহান্নামের এই ভয়াবহ কঠিন কল্পনাতীত আযাব অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে।
জাহান্নামবাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে, তাদেরকে লোহার হাঁতুড়ি দিয়ে আঘাত করে, পুনরায় জাহান্নামে ফেলে দেওয়া হবে।
এই জন্যই বলছি, আমার ভাইবোনরা আসুন, আমরা দীনের পথে চলি, ইসলাম মেনে চলি, আমাদের কখন, কি হবে আমরা কিন্তু কেউ জানি না?কেউ আমার সাথে যাবে না, আমার হিসাব আমাকেই দিতে হবে! দুনিয়াটা একটা ধোঁকা ও লালসাময়।
তাই আসুন, আমরা পবিত্র কুরআন- হাদিসের আদেশ-নিষেধ ও শরিয়াহ মোতাবেক চলে, ভয়াবহ কঠিন জাহান্নাম থেকে বাঁচি, আমাদের পরিবারকে বাঁচাই ও সারাবিশ্বের মুসলমানদেরকে বাঁচাই।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে, আমাদের পরিবারকে ও সারাবিশ্বের সকল মুসলমানকে, ভয়াবহ কঠিন জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুণ। আমিন। # #