জৈবনিক

জৈবনিক জৈব প্রযুক্তির যত খবর, শুধু বাংলায়!

ভাইরাস বন্ধু নাকি শত্রু!জৈবনিক পডকাস্টের এই পর্বের অতিথি জাকির হোসাইন, ডক্টোরাল ক্যান্ডিডেট, কুমামোতো বিশ্ববিদ্যালয়, জাপ...
10/03/2024

ভাইরাস বন্ধু নাকি শত্রু!

জৈবনিক পডকাস্টের এই পর্বের অতিথি জাকির হোসাইন, ডক্টোরাল ক্যান্ডিডেট, কুমামোতো বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান।

পডকাস্টটি শুনতে ও ইমেইল সাবস্ক্রাইব করতেঃ https://joiboniknews.substack.com/p/3f2

ইউটিউবে দেখতেঃ https://youtu.be/n_9BWFPwW4s

জৈবনিক জৈবপ্রযুক্তি ও জৈববিজ্ঞানের খবর ও আবিষ্কারের গল্প বলবে বাংলায়।এই পর্বের অতিথি জাকির হোসাইন, ডক্টোরাল ক্.....

জৈবনিক পডকাস্টের এই পর্বে থাকছে অ্যালঝেইমার্স ডিজিসে নিউরনের আরএনএ কিভাবে ভূমিকা রাখে সেই বিষয়ে একটি গবেষণার কথা। https:...
21/01/2024

জৈবনিক পডকাস্টের এই পর্বে থাকছে অ্যালঝেইমার্স ডিজিসে নিউরনের আরএনএ কিভাবে ভূমিকা রাখে সেই বিষয়ে একটি গবেষণার কথা।
https://youtu.be/is8-Wwpu79w

গবেষণাটি প্রকাশিত হবে ন্যাচার কমিউনিকেশন্স জার্নালে আগামি সপ্তাহে, তবে নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে তার আগেই। খবরের লিঙ্কঃ https://news.northwestern.edu/stories/2024/01/new-cause-of-neuron-death-in-alzheimers-discovered?fj=1

পডকাস্টটি ডাউনলোড করেও শুনতে পারবেন এখান থেকেঃ https://joiboniknews.substack.com/p/974

জৈবনিক এর সাবস্ক্রাইবার লিস্টে থাকতেঃ https://joiboniknews.substack.com/

#বাংলায়বিজ্ঞান #জৈবনিক

জৈবনিক জৈবপ্রযুক্তি ও জৈববিজ্ঞানের খবর ও আবিষ্কারের গল্প বলবে বাংলায়।এই পর্বে থাকছে অ্যালঝেইমার্স ডিজিসে নিউর....

জৈবনিক পডকাস্টের ৩য় পর্ব! এবারের পর্বে থাকছে ক্রিস্পার-ক্যাস জিনোম এডিটিং এর চিকিৎসায় সফল প্রয়োগ ও এর অনুমোদন! এছাড়াও আছ...
14/01/2024

জৈবনিক পডকাস্টের ৩য় পর্ব! এবারের পর্বে থাকছে ক্রিস্পার-ক্যাস জিনোম এডিটিং এর চিকিৎসায় সফল প্রয়োগ ও এর অনুমোদন! এছাড়াও আছে মুনওয়াক বায়োসাইন্স নামে একটি নতুন বায়োটেক স্টার্টআপের কথা। কিছুটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি কিভাবে জিনোম এবং এপিজিনোম এডিটিং কাজ করে।

ইউটিউবে দেখতেঃ https://youtu.be/QETDyvIbuYQ

পডকাস্টটি শুনতে ও ইমেইলে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করতেঃ https://joiboniknews.substack.com/p/0c9

এবারের পর্বে থাকছে বিগত বছরে জৈবপ্রযুক্তির অন্যতম একটা বড় খবর, ক্রিস্পার-ক্যাস জিনোম এডিটিং এর প্রথম চিকিৎসায় প্...

চলে এলো জৈবনিক পডকাস্ট এর দ্বিতীয় পর্ব!এবারের অতিথি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ...
01/04/2023

চলে এলো জৈবনিক পডকাস্ট এর দ্বিতীয় পর্ব!

এবারের অতিথি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ইশতিয়াক আহমেদ।

তার সাথে আলাপচারিতায় আমরা বাংলাদেশে জৈবপ্রযুক্তির গবেষণায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই আলোচনার অংশ হিসেবে ছিল মেটাজিনোমিক্স, জৈবপ্রযুক্তিতে মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বায়োসাইন্সের শিক্ষার্থিদের বায়োইনফরমেটিক্স কিভাবে শেখা উচিত, বাংলাদেশে জৈবপ্রযুক্তির সম্ভাবনা এবং আরও অনেক কিছু।

জৈবনিক জৈববিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তির কথা বলবে, বাংলায়। জৈবনিক পডকাস্টের দ্বিতীয় পর্বের অতিথি ইশতিয়াক আহমেদ, বৈজ্ঞ.....

হয়তো ভাবছেন, 'জৈবনিক এর লেখা দেখছি না সপ্তাহ খানেক হলো, ঘটনা কি!'ঘটনা হলো, জৈবনিক খানিকটা বিরতি নিয়ে ফিরে এসেছে পডকাস্ট ...
27/02/2023

হয়তো ভাবছেন, 'জৈবনিক এর লেখা দেখছি না সপ্তাহ খানেক হলো, ঘটনা কি!'

ঘটনা হলো, জৈবনিক খানিকটা বিরতি নিয়ে ফিরে এসেছে পডকাস্ট নিয়ে!!

এবং প্রথম পর্বেই আমরা অতিথি হিসেবে পেয়েছি জৈববিজ্ঞানের লেখক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, হাসানুজ্জামান শ্যামল কে।

ইউটিউবে দেখতে চাইলেঃ https://www.youtube.com/watch?v=qKhO6rVyVMg

আর পডকাস্টটি ডাউনলোড করে শুনতে চাইলেঃ https://www.buzzsprout.com/2079133/episodes/12337935

মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না আপনার মতামত, আর ভবিষ্যতে কাকে দেখতে চান জৈবনিক এর পডকাস্টে।

জৈবনিক জৈববিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তির কথা বলবে, বাংলায়। পডকাস্টটি ডাউনলোড করে শুনতে চাইলেঃ https://www.buzzsprout.com/2079133/episodes/12337935জৈবন....

**মুক্ত করো বন্ধনঃ মৃদু অ্যাফিনিটির অ্যান্টিবডি চিকিৎসায় অধিক কার্যকরি**যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণ...
07/02/2023

**মুক্ত করো বন্ধনঃ মৃদু অ্যাফিনিটির অ্যান্টিবডি চিকিৎসায় অধিক কার্যকরি**

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাদল তাদের গবেষণায় দেখেছেন যে বিভিন্ন ক্যান্সার বা অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় হাল আমলে যে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয় এদের আণবিক বন্ধন বা অ্যাফিনিটি যত কম হবে ততো ভালো কার্যকরিতা দেখাবে। অথচ আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল এই অ্যাফিনিটি যত বেশি হবে কার্যকরিতা ততো বেশি হবে। ন্যাচার বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে তারা প্রমাণ করেছেন যে বিজ্ঞানীদের প্রচলিত ধারণাটি আসলে সঠিক নয়।

জৈবনিক এ ফ্রি সাবস্ক্রাইব করতেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/2b7?sd=pf
------------------------------------------------------------------
অ্যাফিনিটি কি?
অ্যাফিনিটি সম্পর্কে জানার আগে সংক্ষেপে জেনে নিই অ্যান্টিবডি সম্পর্কে। অ্যান্টিবডি হলো ইংরেজি অক্ষর ‘ওয়াই’ আকৃতির প্রোটিন অণু যা বিভিন্ন ধরণের জৈবঅণু যেমন অ্যান্টিজেন, কোষের আবরণে থাকা রিসেপ্টর ইত্যাদির সাথে আণবিক বন্ধনের সাহায্যে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন ধরণের জৈবনিক প্রক্রিয়া ঘটিয়ে থাকে। কোন অণুর সাথে অ্যান্টিবডি যে আণবিক বন্ধনে যুক্ত হয় তার দৃঢ়তাকে বলা হয় অ্যাফিনিটি। অ্যাফিনিটি যত বেশি অ্যান্টিবডি ততো দৃঢ়ভাবে কোন অণুর সাথে যুক্ত থাকে।
------------------------------------------------------------------
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা যা করলেন
প্রথমে কম্পিউটারের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা সিডি-৪০ নামের একটি কোষের রিসেপ্টরের বিপক্ষে কিছু অ্যান্টিবডি ডিজাইন করেন যাদের কারো অ্যাফিনিটি কম আর কারো অ্যাফিনিটি বেশি। এরপর নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডের বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে এই অ্যান্টিবডিগুলো উৎপাদন করা হয়। এবার এই অ্যান্টিবডিগুলো সিডি-৪০ বহনকারী ট্র্যান্সজেনিক ইঁদুরের শরীর প্রয়োগ করা হয়। দেখা যায় যেসব অ্যান্টিবডির অ্যাফিনিটি কম তাদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধী কোষ বা ইমিউন সেল গুলো বেশি সক্রিয় হয়েছে।
------------------------------------------------------------------
বিজ্ঞানীরা যা বলেন
এই গবেষণা প্রবন্ধের প্রাথমিক লেখক ও সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ক্যান্সার সাইন্সেস এর পিএইচডি গবেষক শাওজি ইউ বলেন,
‘চিকিৎসায় যেসব অ্যান্টিবডি উৎপাদন করা হয় তাদের মূলমন্ত্রই ছিলো বেশি অ্যাফিনিটি। কম অ্যাফিনিটির অ্যান্টিবডি অধিক কার্যকরি ইমিউনো কোষের সক্রিয়তা দেখিয়ে থাকে এই আবিষ্কার নতুন ও অধিক কার্যকরি অ্যান্টিবডি উৎপাদনে একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।’

এই গবেষণার অর্থায়ন করেছে ক্যান্সার রিচার্চ ইউকে ও সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ইমিউনোলজি ফান্ড।
------------------------------------------------------------------
মূল গবেষণা প্রবন্ধঃ https://www.nature.com/articles/s41586-022-05673-2

ছবি বৃত্তান্তঃ কনফোকাল মাইক্রোস্কোপিতে ধারণকৃত ছবিতে দেখা যাচ্ছে সবুজ রঙের সিডি-৪০ রিসেপ্টর ও নীল রঙের নিউক্লিয়াস। নিচের ঘরের কোষগুলোতে কম অ্যাফিনিটির অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়েছে ফলে সিডি-৪০ রিসেপ্টরগুলো বেশি ঘণীভূত (ক্লাস্টারিং) হয়েছে, ফলে ইমিউন কোষ সহজেই এদের চিনে নিতে (রিকগনাইজ) পারবে (সূত্রঃ মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ)

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধি ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়তে লাইভ মেডিসিন! ব্যাকটেরিয়াকেই এবার ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজে লাগালেন স...
30/01/2023

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধি ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়তে লাইভ মেডিসিন!

ব্যাকটেরিয়াকেই এবার ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজে লাগালেন স্পেনের কাতালান ইন্সটিটিউট ফর রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভান্সড স্টাডিস এবং বার্সেলোনা ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা। হাসপাতালে ভর্তি রোগিদের অনেকেই সিউডোমোনাস অ্যারুজিনোসা নামের একটি শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বিশেষ করে আইসিইউতে থাকা সংকটাপন্ন রোগিরা। এই ব্যাকটেরিয়া প্রায়শই প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ (রেসিস্ট্যান্স) দেখিয়ে থাকে। প্রখ্যাত বিজ্ঞান প্রকাশনা ন্যাচার বায়োটেকনোলজিতে সম্প্রতি প্রকাশিত এক বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে এই গবেষক দল দেখিয়েছেন যে মাইকোপ্লাসমা নিউমোনি নামের আরেকটি ব্যাকটেরিয়াতে জিনগত কারিগরি ঘটিয়ে সিউডোমোনাস কে কার্যকরি ভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিজ্ঞানীরা এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন ‘লাইভ মেডিসিন’।

জৈবনিক এর লেখাগুলো প্রতি সপ্তাহে সরাসরি ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুনঃ https://yameenhamid.substack.com/p/5cd
-----------------------------------------------------------------
লাইভ মেডিসিন কি?
এই প্রযুক্তিকে লাইভ মেডিসিন বলা হচ্ছে কারণ এখানে যে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি জৈবিকভাবে সক্রিয় তবে অ্যাটেনুয়েটেড অর্থাৎ, রোগের কারণ হওয়ার ক্ষেত্রে অপারগ। মাইকোপ্লাসমা ব্যাকটেরিয়া আকারে বেশ ছোট, এর জিনোমের মাত্র ৬৮৪ টি জিন রয়েছে, তাছাড়া এর কোষ পর্দার বাইরে কোন শক্ত কোষ প্রাচীর (সেল ওয়াল) নেই। কাজেই মাইকোপ্লাসমা কে জিনগত ভাবে পরিবর্তন করা সহজতর। মাইকোপ্লাসমার আরও একটি বিশেষ দিক হলো এই ব্যাকটেরিয়াও ফুসফুস ও শ্বাসনালীকে আক্রমণ করে, কাজেই এটি সহজেই ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে থাকা সিউডোমোনাসের সাথে সহজেই মিথষ্ক্রিয়া করতে পারে।
-----------------------------------------------------------------
বিজ্ঞানীরা যা করলেন
প্রথমে মাইকোপ্লাসমার ডিএনএ তে থাকা প্যাথোজেনিক জিন, অর্থাৎ যে জিনগুলোর কারণে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ (ইনফেকশন) ঘটাতে পারে, সেগুলোকে ডিএনএ থেকে কেটে বাদ দেয়া (ডিলিশন) হয়। এরপর এর ডিএনএ তে তিন ধরণের এনজাইমের জিন প্রবেশ (ইনসার্শন) করানো হয় যারা সিউডোমোনাস এর কোষ প্রাচীরের পলিস্যাকারাইডকে ভেঙে দেয়। এছাড়াও পায়োসিন নামের এক ধরণের প্রোটিনের জিনও মাইকোপ্লাসমার ডিএনএ তে প্রবেশ করানো হয় যার ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই জিনগত পরিবর্তিত মাইকোপ্লাসমা রোগির শ্বাসনালী থেকে পৃথককৃত সিউডোমোনাসের বিরুদ্ধে যেমন কার্যকরিতা দেখিয়েছে তেমনি ইঁদুরের শরীরে সংক্রমণ ঘটানো সিউডোমোনাসের বিপক্ষেও কার্যকরিতা দেখিয়েছে।
-----------------------------------------------------------------
বিজ্ঞানীরা যা বলেন
এই গবেষণা দলের একজন প্রধান গবেষক, লুই সেরানো বলেন, ‘ব্যাকটেরিয়ার পরিবর্তন ঘটিয়ে বিভিন্ন ধরণের অণু, যেমন, সাইটোকাইন, ন্যানোবডি বা ডিফেন্সিন এর নিঃসরণ ঘটানো যায়। আমাদের লক্ষ্য ব্যাকটেরিয়ার এই বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার করা।’
এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে পালমোবায়োটিকস নামে একটি স্পিন অফ কোম্পানিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার বিভিন্ন ফুসফুসের রোগের বিরুদ্ধে বায়োথেরাপি উদ্ভাবন ও প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে।
-----------------------------------------------------------------
মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধঃ https://www.nature.com/articles/s41587-022-01584-9

ছবি বৃত্তান্তঃ এই বার দুটি সিউডোমোনাসের বায়োফিল্ম বা ঘনত্ব বুঝাচ্ছে। ধূসর বারটি শুধুমাত্র অ্যাটেনুয়েটেড মাইকোপ্লাসমার উপস্থিতিতে আর সবুজ বারটি এনজাইম নিঃসরণকারি মাইকোপ্লাসমার উপস্থিতিতে সিউডোমোনাসের ঘনত্ব। দেখা যাচ্ছে পরিবর্তিত মাইকোপ্লাসমার উপস্থিতিতে সিউডোমোনাসের ঘনত্ব অনেক কমে আসে (সূত্রঃ মূল প্রবন্ধ)

21/01/2023
**যে রক্ত পরীক্ষা কমিয়ে দিবে অপ্রয়োজনীয় কেমোথেরাপি**প্রতি সপ্তাহ জৈবনিক এর আপডেট ইমেইলে পেতেঃ https://yameenhamid.substa...
21/01/2023

**যে রক্ত পরীক্ষা কমিয়ে দিবে অপ্রয়োজনীয় কেমোথেরাপি**

প্রতি সপ্তাহ জৈবনিক এর আপডেট ইমেইলে পেতেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/6ab
--------------------------------------------------------------------------
কলোরেক্টাল ক্যান্সার বা অন্ত্র ও মলাশয়ের ক্যান্সারের রোগিদের সাধারণত অস্ত্রোপচার পরবর্তী অ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপি দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় ৭০% রোগির ক্ষেত্রে এই কেমোথেরাপির কার্যকরিতা বা প্রয়োজনীয়তা নেই। ন্যাটেরা ইনকর্পোরেশন নামের যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি এমন একটি ডিএনএ ভিত্তিক রক্ত পরীক্ষা উদ্ভাবন করেছে যার মাধ্যমে নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা যাবে কোন কলোরেক্টাল ক্যান্সার রোগিদের ক্ষেত্রে অ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপির প্রয়োজন হবে এবং কাদের কেমোথেরাপির প্রয়োজন হবে না। নেচার মেডিসিন নামের প্রখ্যাত বিজ্ঞান প্রকাশনায় সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নিবন্ধে তারা দেখিয়েছেন সার্কুলেটিং টিউমার ডিএনএ এর উপর নির্ভর করে আগে থেকেই বের করা যাবে কোন ক্যান্সার রোগিদের কেমোথেরাপির প্রয়োজন আছে কিংবা নেই। এই প্রযুক্তির আরেকটি নাম সেল-ফ্রি ডিএনএ প্রযুক্তি।
--------------------------------------------------------------------------
সেল-ফ্রি ডিএনএ প্রযুক্তি কি?
একটি কোষ যখন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তখন এর নিউক্লিয়াস থেকে ডিএনএ অণুসমূহ রক্তে ছড়িয়ে পড়ে, তবে এর আর কোন জৈবনিক কার্যকরিতা থাকে না। কিন্তু রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে খুব সহজেই এই ডিএনএ এর বিন্যাস ও উপস্থিতি বের করা যায়। এই ডিএনএ অণুকে বলা হয় সেল-ফ্রি ডিএনএ। এই সেল-ফ্রি ডিএনএ যখন ক্যান্সার বা টিউমার থেকে নির্গত হয় তখন একে বলা হয় সার্কুলেটিং টিউমার ডিএনএ (সিটি-ডিএনএ)। কলোরেক্টাল ক্যান্সার রোগিদের সিটি-ডিএনএ এর বিন্যাস পর্যবেক্ষণ করে বলা সম্ভব কোন রোগিদের রক্তে অস্ত্রোপচারের পরেও সিটি-ডিএনএ বিদ্যমান রয়েছে। যাদের রক্তে অস্ত্রোপচারের ৪ সপ্তাহ পরেও সিটি-ডিএনএ পাওয়া যায় তাদের মলিক্যুলার রেসিডুয়াল ডিজিস (এমআরডি) অর্থাৎ, বাহ্যিকভাবে দেখা/ নির্ণয় যায় না এমন টিউমার কোষ রয়ে গেছে বলে আখ্যায়িত করা হয়। কেবল মাত্র এমআরডি ক্যান্সার রোগিদের ক্ষেত্রেই অ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপি কার্যকর।
------------------------------------------------------------------------
গবেষণায় যা দেখা গেলো
ন্যাটেরা ইনকর্পোরেশন ও জাপানের ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার হাসপাতালের সহযোগিতায় সংঘটিত ‘সার্কুলেট-জাপান’ নামের এই কোহর্ট বা প্রস্পেক্টিভ গবেষণায়, জাপানের ১০৩৯ জন কলোরেক্টাল ক্যান্সার রোগিদের রক্তে সিটি-ডিএনএ এর মাত্রা নিরূপণ করা হয়। যাদের রক্তে অস্ত্রোপচারের ৪ সপ্তাহ পরেও সিটি-ডিএনএ বিদ্যমান ছিল তাদের পুনরায় ক্যান্সার হবার ঝুঁকি প্রায় ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। আবার যাদের রক্তে সিটি-ডিএনএ বিদ্যমান ছিল অ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপির পর তাদের রোগমুক্ত থাকার সম্ভাবনা (ডিজিস ফ্রি সার্ভাইভাল) সাড়ে ৬ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কোম্পানির নামের সাথে মিল রেখে এই সিটি-ডিএনএ নির্ণয় প্রযুক্তির নাম দেয়া হয়েছে সিগন্যাটেরা।
-------------------------------------------------------------------------
গবেষকেরা যা বলছেন

ন্যাটেরা ইনকর্পোরেশনের চিফ মেডিকেল অফিসার, মিনেটা লিউ বলেন, ‘সার্কুলেট কন্সোর্টিয়ামের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। সিগন্যাটেরাকে আমরা শুধু জাপান বা যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং সারা বিশ্বের জন্য একটি সহজলভ্য প্রযুক্তিতে পরিণত করতে চাই।’
এই গবেষণার প্রধান গবেষক, জাপানের ন্যাশনাল ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসক ও গবেষক তাকায়ুকি ইয়োশিনো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের হাতে এমন কোন পর্যাপ্ত প্রযুক্তি ছিল না যার মাধ্যমে কেমোথেরাপি থেকে কোন কলোরেক্টাল ক্যান্সার রোগিরা উপকৃত হবে সেটি জানা যাবে। এই গবেষণা একটি বড় প্রমাণ যে সিগন্যাটেরা-এমআরডি পজিটিভ ক্যান্সার রোগিরা অ্যাডজুভান্ট কেমোথেরাপি থেকে উপকৃত হবে, এবং এমআরডি নেগেটিভ রোগিদের কেমোথেরাপির প্রয়োজনই হবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কম্প্রিহেন্সিভ ক্যান্সার নেটওয়ার্ক কলোরেক্টাল কান্সার এর জাতীয় গাইডলাইন ২০২৩ এ এই গবেষণার ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করবে।
-------------------------------------------------------------------------
ছবি- ১ বৃত্তান্তঃ স্কিম্যাটিক এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসপ্রাপ্ত টিউমার কোষ থেক নির্গত ডিএনএ অণু চলে যাচ্ছ রক্তে যা পরবর্তীতে রক্তের প্লাজমা থেকে পৃথক করা হয় (সূত্রঃ ন্যাটেরা ওয়েবসাইট)

ছবি- ২ বৃত্তান্তঃ ছবির বামের অংশে দেখা যাচ্ছে সিটি-ডিএনএ পজিটিভ রোগিদের যারা কেমোথেরাপি নিয়েছে (নীল রেখা) তাদের রোগমুক্ত থাকার সম্ভাবনা যারা কেমোথেরাপি নেয়নি (লাল রেখা) তাদের থেকে সাড়ে ৬ গুণ বেশি। ছবির ডান অংশে দেখা যাচ্ছে সিটি-ডিএনএ নেগেটিভ রোগিদের যারা কেমোথেরাপি নিয়েছে (নীল রেখা) ও যারা নেয়নি (লাল রেখা) তাদের রোগমুক্ত থাকায় উল্লেখযোগ্য কোন পার্থক্য নেই (সূত্রঃ মূল বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ)
-------------------------------------------------------------------------

বৈজ্ঞানিক নিবন্ধঃ https://www.nature.com/articles/s41591-022-02115-4

**মানব স্টেম সেল থেকে পরিণত স্নায়ুকোষ**ল্যাবরেটরির কালচার প্লেটে মানুষের স্টেম সেল (যে কোষ থেকে বিভিন্ন ধরণের কোষ উৎপন্ন...
15/01/2023

**মানব স্টেম সেল থেকে পরিণত স্নায়ুকোষ**

ল্যাবরেটরির কালচার প্লেটে মানুষের স্টেম সেল (যে কোষ থেকে বিভিন্ন ধরণের কোষ উৎপন্ন হয়ে থাকে) থেকে নিউরন বা স্নায়ুকোষ উৎপাদন এর আগে সম্ভব হলেও এই প্রথম পরিণত নিউরন তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল। প্রখ্যাত সেল স্টেম সেল বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে তারা দেখিয়েছেন এক্সট্রা-সেলুলার ম্যাট্রিক্স বা কোষের চারপাশে থাকা অণুসমূহের বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে নিউরনকে আরও পরিণত করা সম্ভব।

বিস্তারিত পড়তেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/021

ছবি বৃত্তান্তঃ চিত্রায়িত সারসংক্ষেপে (গ্রাফিকাল অ্যাবস্ট্র্যাক্ট) দেখানো হচ্ছে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় অধিক সঞ্চারণশীল (হাই মোবিলিটি) পিএ অণুর উপস্থিতিতে নিউরনগুলো গাঠনিক ও তড়িত-শারীরবৃত্তিক ভাবে আরও কার্যকরি (সূত্রঃ মূল বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ)

মূল বৈজ্ঞানিক নিবন্ধঃ https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S1934590922004945

**ক্যান্সার কোষ দিয়ে ক্যান্সার নিরাময়!** ব্যপারটা কাটা দিয়ে কাটা তোলার মত! ক্যান্সার কোষকে কাজে লাগিয়ে হার্ভার্ড মেডিকেল...
07/01/2023

**ক্যান্সার কোষ দিয়ে ক্যান্সার নিরাময়!**

ব্যপারটা কাটা দিয়ে কাটা তোলার মত! ক্যান্সার কোষকে কাজে লাগিয়ে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকেরা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিন তৈরি করেছেন। সাইন্স ট্র্যান্সলেশনাল মেডিসিন প্রকাশনায় সম্প্রতি প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে তারা দেখিয়েছেন প্রাণিদেহের মডেলে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করবে এই প্রযুক্তি।

জৈবনিক এ ফ্রি সাবস্ক্রাইব করতেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/d93

কিভাবে কাজ করবে এই ভ্যাক্সিন?
প্রথমে টিউমার থেকে কিছু ক্যান্সার কোষকে পৃথক করা হয়। এরপর এই কোষগুলোকে ক্রিস্পার-ক্যাস এডিটিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে পরিবর্তন ঘটানো হয় যেন টিউমার কোষ ধ্বংসকারি ইন্টারফেরন বিটা নিঃসরণ করে। এছাড়াও এই কোষগুলো গ্র্যানুলোসাইট-মনোসাইট কলোনি স্টিমুলেটিং ফ্যাক্টর (জিএম-সিএসএফ) নিঃসরণ করবে যা নিকটবর্তী ডেনড্রাইটিক কোষকে ক্যান্সার কোষের বিপক্ষে সক্রিয় করে তুলবে। দুই পদ্ধতিতে এই কোষগুলো ক্যান্সারের বিপক্ষে কাজ করে বলে এই কোষগুলোকে বলা হচ্ছে বাইফাংশনাল থেরাপিউটিক টিউমার সেল। এছাড়াও এই থেরাপিউটিক কোষগুলোতে দুই স্তরের সেফটি সুইচ থাকবে, অর্থাৎ, এই সুইচ সক্রিয় হলে থেরাপিউটিক কোষগুলো নিজের থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে (অ্যাপোপটসিস)। পরিশেষে, এই ধ্বংসপ্রাপ্ত টিউমার কোষ থেকে অ্যান্টিজেন নিঃসৃত হয় যার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধি কোষগুলো দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকে।

বিজ্ঞানীরা যা বলেন
এই গবেষণা দলে প্রধান, হার্ভার্ড সেন্টার ফর স্টেম সেল অ্যান্ড ট্র্যান্সলেশনাল ইমিউনোথেরাপি এর পরিচালক, অধ্যাপক খালিদ শাহ বলেন, ‘আমাদের গবেষনা দল একটা খুব সহজ আইডিয়া নিয়ে কাজ করেছে, ক্যান্সার কোষকে ক্যান্সারের বিপক্ষে কাজে লাগানো। জিন এডিটিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা ক্যান্সার কোষকে ক্যান্সারের বিপক্ষে থেরাপিতে পরিণত করেছি যা নিজেও ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করবে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষাকেও সক্রিয় করবে, এবং পরবর্তীতে ক্যান্সার হওয়া থেকেও প্রতিরোধ করবে।’

ছবি বৃত্তান্তঃ থেরাপিউটিক টিউমার কোষ কিভাবে কাজ করবে ক্যান্সার কোষের বিপক্ষে সেটার স্কিম্যাটিক চিত্র (সূত্রঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি নিউজ)

মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের সার-সংক্ষেপঃ https://www.science.org/doi/10.1126/scitranslmed.abo4778

বছরের প্রথম জৈবনিক খবর, পুরানো ধাঁচে! জৈবনিক এর খবরগুলো পড়তে ও সরাসরি ইমেইলে পেতে চাইলে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করতে হবে এখানেঃ...
01/01/2023

বছরের প্রথম জৈবনিক খবর, পুরানো ধাঁচে! জৈবনিক এর খবরগুলো পড়তে ও সরাসরি ইমেইলে পেতে চাইলে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করতে হবে এখানেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/4b9!

**টাইপ-১ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় নতুন ইমপ্ল্যান্ট**

একটি পয়সার কাছাকাছি আকার এবং ওয়েফারের সমান পাতলা ইমপ্ল্যান্ট বদলে দিতে পারে টাইপ-১ ডায়াবেটিসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি। নতুন ধরণের এই ইমপ্ল্যান্টটি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন মেথডিস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট। নেচার কমিউনিকেশনস গবেষণা পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা দেখিয়েছেন এই ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহারে টাইপ-১ ডায়াবেটিসের প্রচলিত চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ইনসুলিন কিংবা আইলেট সেল ট্র্যান্সপ্লান্ট, কোনটিরই প্রয়োজন হবে না।

টাইপ-১ ডায়াবেটিস কি?
এই ধরণের ডায়াবেটিস অটোইমিউন প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে, অর্থাৎ, শরীরের রোগ প্রতিরোধে নিয়োজিত কোষেরা ভুলবশত শরীরের নিজস্ব কোষকে আক্রমণ করে বসে। এক্ষেত্রে, প্যানক্রিয়াসের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স এর বিটা কোষকে আক্রমণ করে। আর এই বিটা কোষ বা আইলেট কোষ থেকেই নিঃসৃত হয় ইনসুলিন যা রক্তের গ্লুকোজকে শরীরের কাজে লাগায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো সাধারণত জীবনের প্রথম দিকেই দেখা দেয়, তাই একে জুভেনাইল ডায়াবেটিসও বলে। এই ডায়াবেটিসের চিকিৎসার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, রোগিদের ইনসুলিন ইনজেকশনের উপর আজীবন নির্ভরশীল থাকতে হয়, মুখে খাওয়ার ডায়াবেটিসের ঔষধ এক্ষেত্রে এককভাবে কাজ করে না।

কিভাবে কাজ করবে এই ইমপ্ল্যান্ট?
এই ইমপ্ল্যান্টের মাঝখানে থাকবে সেল রিসার্ভার যেখানে ন্যানোপোরাস মেমব্রেন এর মাঝে আইলেট সেলগুলো অবস্থান করবে। সেল রিসার্ভারের বাইরে থাকবে ড্রাগ রিসার্ভার, যেখানে থাকবে ইমিউনোসাপ্রেসিভ ঔষধ। সাধারণত অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্লান্ট (যে ট্র্যান্সপ্লান্টে দাতা বা ডোনারের কাছ থেকে কোষ বা টিস্যু নেয়া হয়) এ ইমিউনোসাপ্রেসিভ ঔষধ ব্যবহার করা হয় যেন গ্রহীতার (হোস্ট) শরীরের রোগ প্রতিরোধী কোষ দাতার কোষ বা টিস্যু আক্রমণ করে না বসে। তবে প্রচলিত ট্র্যান্সপ্লান্টে ব্যবহৃত ইমিউনোসাপ্রেসিভ ঔষধের থেকে পার্থক্য হলো এখানে লোকাল ইমিউনোসাপ্রেসিভ ঔষধ ব্যবহার করা হয়, ফলে ঔষধের সিস্টেমিক বা সার্বজনীন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার (যেমন, ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া) সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ইমপ্ল্যান্টটি শরীরের প্রতিস্থাপনের পর প্রতিদিন ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন হবে না, সেল রিসার্ভারে থাকা আইলেট কোষ ইনসুলিন উৎপাদন করতে থাকবে। শুধুমাত্র প্রয়োজন মত ইমপ্ল্যান্টের একপাশে থাকা সিলিকন পোর্ট দিয়ে ইমিউনোসাপ্রেসিভ ঔষধ রিফিল করে নিতে হবে। গবেষকেরা এই ইমপ্লান্টটির নাম দিয়েছেন নিওভাস্কুলারাইযড ইমপ্ল্যান্টেবল সেল হোমিং অ্যান্ড এনক্যাপ্সুলেশন, সংক্ষেপে নিশে। এই ইমপ্ল্যান্টটি এক ধরণের বায়ো-ইঞ্জিনিয়ার্ড প্যানক্রিয়াস।

গবেষণায় যা দেখা গেল
এই ইমপ্ল্যান্টটি গবেষকেরা টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের মডেলে প্রয়োগ করেছেন এবং দেখেছেন ১৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই ইমপ্ল্যান্টটি কার্যকর থাকে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই গবেষণা দলের প্রধান আলেসান্দ্রো গ্রাটোনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণার একটি প্রধান ফলাফল এই যে কোষ ট্র্যান্সপ্লান্টে লোকাল ইমিউনোসাপ্রেসিভ ঔষধ কার্যকরি ভূমিকা রাখে সেটা নির্ধারণ করেত পারা’। তিনি আরও বলেন, ‘এই ডিভাইসটি টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা তাদের জীবন যাপনের গুণগত মানের উৎকর্ষে একটি পরিবর্তনীয় ভূমিকা রাখতে পারে’। আগামি বছর তিনেকের মধ্যে এই ইমপ্ল্যান্টটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মানবদেহে প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে গবেষকদের। এই গবেষণা অর্থায়ন করেছে জুভেনাইল ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ভিভিয়ান স্মিথ ফাউন্ডেশন, হিউস্টন মেথডিস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট, ডায়াবেটিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ।

ছবি বৃত্তান্তঃ বামপাশে দেখা যাচ্ছে সাদা রঙের ইমপ্ল্যান্ট, ছবির মাঝের অংশে দেখানো হচ্ছে ডিভাইসটির বিভিন্ন অংশ (সূত্রঃ মূল গবেষণা প্রবন্ধ)

মূল গবেষণা প্রবন্ধঃ https://www.nature.com/articles/s41467-022-35629-z

এই সপ্তাহের জৈবনিকে থাকছে বিশ্বের প্রথম বেস এডিটেড সেল থেরাপি প্রয়োগের গল্প! বিস্তারিতঃ https://yameenhamid.substack.com...
13/12/2022

এই সপ্তাহের জৈবনিকে থাকছে বিশ্বের প্রথম বেস এডিটেড সেল থেরাপি প্রয়োগের গল্প!

বিস্তারিতঃ https://yameenhamid.substack.com/p/513

ইমেইলে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করতেঃ https://yameenhamid.substack.com/

ছবি বৃত্তান্তঃ বেস এডিটেড টি-সেল থেরাপি গ্রহণকারি বিশ্বের প্রথম শিশু ১৩ বছরের আলিসা ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম (ছবি সূত্রঃ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ওয়েবসাইট)

খবরটি ইংরেজিতে পড়তেঃ https://www.ucl.ac.uk/news/2022/dec/world-first-use-base-edited-car-t-cells-treat-resistant-leukaemia

বেস এডিটিং সম্পর্কে একটি সহজ অ্যানিমেটেড ভিডিওঃ https://youtu.be/NZZHwrXghRk

অ্যালঝেইমারস ডিজিসে প্রথম সফল মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি!বিস্তারিতঃ https://yameenhamid.substack.com/p/a23জৈবনিক এর নিউজলেটা...
03/12/2022

অ্যালঝেইমারস ডিজিসে প্রথম সফল মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি!

বিস্তারিতঃ https://yameenhamid.substack.com/p/a23

জৈবনিক এর নিউজলেটারে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করতেঃ https://yameenhamid.substack.com/

মানব জিনোমে করা যাবে 'কপি পেস্ট'! বিস্তারিত জানতেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/834প্রতি সপ্তাহে জৈবপ্রযুক্তির নতু...
26/11/2022

মানব জিনোমে করা যাবে 'কপি পেস্ট'!

বিস্তারিত জানতেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/834

প্রতি সপ্তাহে জৈবপ্রযুক্তির নতুন কোন খবর ইমেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব (ফ্রি!) করতে হবেঃ https://yameenhamid.substack.com/

খবরটি ইংরেজিতে পড়তেঃ https://news.mit.edu/2022/crispr-gene-editing-dna-1124

মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধঃ https://www.nature.com/articles/s41587-022-01527-4

20/11/2022

...অভিশপ্ত রোগও কি আশীর্বাদ হতে পারে? যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর রিজেনারেশন অ্যান্ড রিপেয়ার এর গবেষকেরা বলছেন, রোগও আশীর্বাদ হতে পারে!...

বিস্তারিত জানতেঃ https://yameenhamid.substack.com/p/df2

প্রতি সপ্তাহে সারা বিশ্বের জৈবপ্রযুক্তির সর্বশেষ দারুন কোন খবর সরাসরি ইমেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ https://yameenhamid.substack.com/

ছবি বৃত্তান্তঃ বামের ছবিতে আর্মাডিলো যাদের যকৃতের উপর গবেষণা করা হয়েছে। ডানের ছবিতে আল্ট্রাসনোগ্রামে দেখা যাচ্ছে কুষ্ঠর জীবাণু আক্রান্ত যকৃতের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে (সূত্রঃ মূল গবেষণা প্রবন্ধ)

Address

Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জৈবনিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to জৈবনিক:

Share

Category

Nearby media companies