এগিয়ে চলেছে সময়। এগিয়ে চলেছে দেশ। আর প্রযুক্তির কল্যাণে কেবল দেশ নয়, পুরো পৃথিবীটাই এখন হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় খুব একটা পিছিয়ে নেই আমাদের বাংলাদেশও। ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রশাসনিক খাত থেকে শুরু করে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-শিল্প-সেবা, সকল খাতই এগিয়ে চলেছে বেশ দ্রুত। এরই ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই দেশের গণমাধ্যমও। অন্তরজালকে পুঁজি করে দেশে এখন অনালাইন পত্রিকার জয় জয়কার অবস্থা।
সম্প্রতি গণমাধ্যম বিষয়ক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইতিমধ্যে সারা দেশে অনালাইন নিউজ পোর্টালের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও এর ব্যাপক প্রসারতার দিকে লক্ষ্য রেখে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হলেও বেশ কিছু কারণে অনালাইন পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আমরা যদি এর কারণগুলো পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাইঃ
১. শতকরা প্রায় ৮০-৯০% অনলাইন পত্রিকারই অবকাঠামোগত কোন ভিত্তি নেই। সাধারণত এসব পত্রিকায় প্রকাশক নিজেই মালিক, নিজেই সম্পাদক, নিজেই প্রতিবেদক। অফিস তো দূরের কথা, নিজস্ব কোন রিপোর্টার পর্যন্ত নেই ভুঁইফোঁড় এসব পত্রিকায়। মূলত কপি-পেস্ট করেই চলে এসব পত্রিকার কার্যক্রম।
২. পত্রিকার ভিজিটর বা কাটতি বাড়াতে অনেক পত্রিকা আবার ভিত্তিহীন ও মুখরোচক গালগল্প দিয়ে পাঠককে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। এমনকি অশ্লীল গল্প, ছবি ও ইউটিউব ভিডিও লিংক জুড়ে দিতেও অনেকে কুণ্ঠাবোধ করেন না। এথিকস অব জার্নালিজম বা সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা এখানে চরমভাবে উপেক্ষিত।
৩. এখনকার অনলাইন পত্রিকাগুলো যেন একটি বিষম প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ। কে কার আগে ব্রেকিং নিউজ দিতে পারে, এ নিয়ে এক অদৃশ্য অস্থির দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত অনেকেই। এতে করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা হয় তাহলো, প্রতিযোগিতায় ক্রেডিট নিতে গিয়ে সংবাদের সত্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টিকে মোটেও তোয়াক্কা করা হয় না। অথচ যেকোনো সংবাদ পরিবেশনের আগে তা ভালোভাবে যাচাই করে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অন্যদিকে হুঠহাট ব্রেকিং নিউজের গোলকধাঁধায় পড়ে পাঠকরাও হচ্ছেন বিভ্রান্ত।
অনলাইন পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মোটা দাগে উপরের তিনটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হলেও এর পাশাপাশি আরও কিছু কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন, অধিকাংশ পত্রিকার সাংবাদিকদের সাংবাদিকতায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা না থাকা, নিউজের স্ট্রাকচার ফলো না করা, বানানের প্রতি খেয়াল না রাখা, আইডি কার্ড সর্বস্ব নামধারী সাংবাদিকদের চাঁদা আদায় করা ইত্যাদি।
এসব বিষয়কে সামনে রেখে নিউজ ইন বিডি ডট কম এর পুরো টিমকে সাজানো হয়েছে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে। আমাদের রয়েছেঃ
১. সুপরিচিত সম্মানিত উপদেষ্টামণ্ডলী, যারা আমাদের চলার পথে সার্বক্ষণিক নজরদারী করে সুপরামর্শ দিয়ে থাকেন।
২. অভিজ্ঞ সম্পাদনা প্যানেল, যেখানে প্রতিটি নিউজ সম্পাদকগণের কলমের সুনিপুণ আঁচড়ে নির্ভুল ও সুখপাঠ্য হয়ে তৈরি হয়।
৩. আত্মপ্রত্যয়ী ও উদ্যমী একদল তরুণ সংবাদকর্মী, যাদের অধিকাংশেরই সাংবাদিকতায় অনার্স/মাস্টার্স ডিগ্রী রয়েছে, সেইসাথে অভিজ্ঞতা তো বটেই।
৪. সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দৃষ্টি নন্দন ওয়েবসাইট
৫. ওয়েল ডেকোরেটেড অফিস
তাই এ কথা আমরা জোর দিয়েই বলতে পারি, নির্ভীক কলমে বাংলাদেশ গড়ার আত্মপ্রত্যয় নিয়ে যাত্রা করা নিউজ ইন বিডি ডট কম এ ২৪ ঘণ্টাই পাঠক পাবেন হালনাগাদ সংবাদ। তবে নির্ভীকতার সাথে সব সংবাদ সবার আগে নয় বরং সততার সঙ্গে পরিবেশনেই আমাদের সার্থকতা। আশা করছি নিউজ ইন বিডি'র এ নির্ভীক অগ্রযাত্রায় সব সময় আমাদের পাশেই থাকবেন। ধন্যবাদ।