13/02/2024
আকষ্মিক কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত (AKI) কি এবং কেন হয় ???
একিউট কিডনি ইনজুরি (AKI) বা আকষ্মিক কিডনি বিকল হল কিডনির ছাকন করার হার (Glomerular Filtration Rate) ঘন্টা থেকে কয়েক দিন ধরে দ্রুত কমে যাওয়ার কারণে উদ্ভূত শারীরিক পরিস্থিতি ।
এর ফলে শরীরে বিপাকীয় বর্জ্য পদার্থ জমে যায় (যেমন- ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন), সেইসাথে লবন (সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড) ও শরীরে পানির ভারসাম্য সাময়িকভাবে ব্যহত হয়।
আকষ্মিক কিডনি ক্ষতিগ্রস্ততার সংজ্ঞাঃ
১.রক্তের সেরাম ক্রিয়েটিনিন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ০.৩ মিগ্রা/ডিএল বা তার বেশি বেড়ে যাওয়া।
২. রক্তের সেরাম ক্রিয়েটিনিন ৭ দিনের মধ্য আগের চেয়ে দেড় গুন বেড়ে যাওয়া।
৩.প্রস্রাবের পরিমান ৬ ঘন্টায় প্রতি কেজি ওজনে ৩ এম এল এর নিচে হওয়া।
(ওপরের যে কোন একটি)
আকষ্মিক কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনঃ
অনেক কারনের মধ্য নিন্মোক্ত কারন গুলো উল্লেখ্য করছি।
১.শরীরে জলীয় অংশ কমে যাওয়াঃ যেমন- হঠাৎ তীব্র রক্ত ক্ষরন, ডায়রিয়া, বমি,মারাত্মক পুড়ে যাওয়া।
২.শরীরে ইনফেকশন(সেপসিস)ঃ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ম্যালেরিয়া, লেপ্টোস্পাইরা, ডেংগু জ্বর ইত্যাদি।
৩.হার্ট ফেইলিউর।
৪.লিভার সিরোসিস।
৫.মেডিসিন - ব্যাথার ঔষধ, কিছু ব্লাড প্রেসারের ঔষধ( এসিইআই/ এআরবি), কিছু এন্টিবায়োটিক, কিছু কেমোথেরাপির ঔষধ।
৬.কিডনির গ্লোমেরুলাস বা ছাকন যন্ত্র প্রদাহ (AGN)
৭. শরীরে মাংশ পেশীর মারাত্মক আঘাত।
৮. রক্তে ডাই (রঞ্জক) দিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা - যেমন - এনজিওগ্রাম।
৯. শরীরে বিষক্রিয়াঃ যেমন- প্যারাকোইট(আগাছা নাশক) অন্যান্য কীটনাশক,কপার, মিথানল ইত্যাদি। সাপে কামড়ানো।
১০.প্রস্রাবের থলির বহিঃগমন পথে পাথর বা কোন টিউমার জনিত বাধা বা প্রস্রাবের নালির দুই পাশেই কোন বাধা।
১১.কামরাংগা, বেলেম্ব, ঘৃত কুমারী (এলোভেরা), অননুমোদিত হোমিও, হারবাল ইত্যাদি খেলে কিডনি সাময়িক ভাবে আকস্মিক বিকল হতে পারে।
১২. গর্ভকালীন ও সন্তান প্রসব কালীন বিভিন্ন পরিস্থিতি।