09/08/2024
১৭ই জুলাই ২০০২৪, লিখেছিলাম। কিন্তু কিছু নাশকতা কারীর ভয়ে পোস্টটি করতে পারিনি। আজ স্বাধীনতার চেতনা থেকে পোস্ট করলাম।
বঙ্গাল গর্বে মন প্রাণ ভরিয়া , রক্তিম ধারার বৈঠা বাহিয়া,
কোভিড-১৯ সূত্রমতে ৩ ফুট দূরত্ব থেকে। চিৎকার করিতে চাহিয়া আমি পারিনি চিৎকার করিতে, ওই বুলেটের গুলি-মুচকি হেসে মৃদুস্বরে বলে, ওহে বঙ্গ শহীদ! তোমার বক্ষ মাঝে শীতল স্থানে একটুখানি আশ্রয় দেবে?
আলতো ছুঁয়ে ডাঙ্গুলি (বুলেটের গুলি) বলে-ধন্যবাদ সাঈদ! অমর করিলাম তোমাকে, চলো হে বন্ধু মোর- গল্প করিব বসিয়া স্বর্গে, বঙ্গাল গর্বে।
হে পোশাক ধারী! ছি! ধিক্কার তোমাকে, এমনই ভাবে হারবো! তুমি জিতেও পস্তাবে! গুরুচন্ডালী দোষ ঘারে পাতাল থেকে সাগরের বুক চিরে, আবার আসিব ফিরে এই বঙ্গে। তুমি কি সেই আগের মতই আছো? নাকি একটুখানি নিজেকে পাল্টিয়েছো, শত্রুকে হারানোর শোকে! নাশকতাকারী! হা হা হা জানি তো, আমাকে খুব মনে পড়বে তোমার। এই বঙ্গে।
ডাঙ্গুলির গুলি-তোমাকেই বলছি, তুমি অনেক ক্ষুধার্ত ছিলে! তাইতো বুক পেতে দিয়েছি, তোমার ক্ষুধা নিবৃত করবো বলে।বুঝলে না তো! বসন্তের কোকিল কেন ডাকে বর্ষাকালে? শরতের কাশফুল কেন হেমন্তে ফোঁটে? শিউলি কেন ফোঁটার আগেই ঝরে পড়ে? বর্ষায় কেন তাল পাকে? জ্যৈষ্ঠের দেখা মিলবে কবে?
স্নান করিতে চাই ভাই, এক বালতি "লাল" এনে দেবে, বড্ড গরম পড়েছে আজকাল, রোদ্রের তেজটা একটু বড্ড বাড়াবাড়ি করছে, দাওনা, এক বালতি "লাল" ঢেলে, স্নান করিতে চাই ভাই। দয়া করো, একটিবার-আর একটিবার তিন ফুট দূরত্ব থেকে, এক বালতি "লাল" দেবে? এই বঙ্গে তুমি আমি একসঙ্গে বাধবো সুখের নিৃত্য শালা, ভাই-বোন লালমাখা, দেখবে বলে, দর্শক যে রয়েছে বসে। এই বঙ্গে।
ওহো! আরেকটি কথা, জানো কি তবে? "হ্যামলেট" কেন মায়ের বিপক্ষে? কালো মুখোশ! ওই বঙ্গে।
মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়াল থেকে - ৫ আগস্ট
আজকের এই দিনটা আবু সাঈদ, মুগ্ধ, তানভীর সহ আরো শহীদ ভাই-বোনেদের জন্যও খুশির দিন হতে পারতো। কিন্তু আজকের এই খুশির দিন তারা দেখতে পারলো না। তারা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের দেশ কে স্বাধীন করে দিয়ে গেল আমাদেরকে । আমরা কোনদিন তাদের এই ত্যাগ ভুলবোনা। অনলাইন যোদ্ধারা তাদের অবদান ও আমরা ভুলতে পারবো না। দেখিনি ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু ২০২৪ দেখেছি। দেখেছি আরেকটি জুলাই। আরেকটি আগস্ট, শোকের মাতম। আমাদের দাদা-নানারা কি করে গেছেন, তা শুধু গল্পে শুনেছি, বইয়ের পাতায় পড়েছি। কিন্তু ২০২৪ এ হয়ে গেল আরেকটি যুদ্ধ, যেটি আবার জায়গা করে নিবে ইতিহাসের পাতায়, চোখের পাতায়, ঘুমন্ত স্নিগ্ধ স্বপ্নে। পরবর্তী জেনারেশন আবার বলবে, আবার পড়বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো, ২০২৪ এ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো,কিন্তু দুই মুক্তির গল্প ভিন্ন ভিন্ন। যাদের রক্তের বলিদানে এই দেশ পেয়েছি, আমরা কখনো তাদের ভুলবোনা। তাদের স্বরণে একটা দিন হোক, যে দিনটিতে সবাই তাদেরকে মনে করুক, সবাই তাদের স্মৃতি অন্তরের অন্তঃস্থলে স্নিগ্ধ মায়ায় ধারণ করুক। এই হোক আগামীর পথ চলার অনুপ্রেরণা।