Lady & Kiddy

28/09/2024

আমার এই চা খাওয়াতেই আনন্দ ☕☕☕☕

27/09/2024

হাইনজা বেলা চা এর সাথে টা না হলে কেমনে 😆!!

চমৎকার প্রাণজুড়ানো প্রাকৃতিক পরিবেশে একটা সন্ধ্যা এখানে ❤️❤️😋👌।।

05/09/2024

জুলাই বিপ্লব, ২৪

31/08/2024

আমরা কি ভারতকে টাকা দিয়ে সাহায্য করছি ?
উত্তর হলো, হ্যাঁ করছি ।

২০২৩ সালে ভারত ভ্রমণ করেছেন প্রায় ১৫-১৬ লাখ বাংলাদেশী ।

উদ্দেশ্য মূলত ৩ টা ।

চিকিৎসা (৮০%) :- চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশীরা আনুমানিক খরচ করেন ২০০-১০০০ ডলার । যদি গড়ে ৪০০ ডলার ধরি তাহলে এই খাতেই ভারত পেয়েছে ৪০০x১২৮০০০০ = ৫১ কোটি ডলারের বেশি ।

কেনাকাটা (১৫%) :- বাংলাদেশীরা এই খাতে ৫০০-১০০০ ডলার খরচ করেন । যদি গড়ে ৬৫০ ডলারও ধরি তাহলে এই খাত থেকে ভারত পেয়েছে ৬৫০x২৪০০০০ = ১৫ কোটি ডলারের বেশি ।

ট্যুরিজম (৫%) :- আনুমানিক খরচ করেন ১৫০-৫০০ ডলার । যদি গড়ে ২৫০ ডলারও ধরি তাহলে এই খাত থেকে ভারত পেয়েছে ২৫০x৮০০০০ = ২ কোটি ডলার ।

অর্থাৎ গত বছর আমাদের কাছ থেকে ভারতের আয় প্রায় ৭০ কোটি ডলার বা পৌনে ৮ হাজার কোটি টাকা ।

সোর্স :- বিবিসি, দ্যা ডেইলি স্টার, দ্য হিন্দুস্থান টাইমস ।

29/08/2024

ফেনী জেলায় বন্যা কবলিত জনসাধারণকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ০৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে, দ্রুত চিকিৎসা সেবা পেতে যোগাযোগ করুন: ০১৫৫৭৭০৩৫৬৬, ০১৩২৯৭৬৮০৬৬, ০১৪০৭০৯৫০৩৬।

29/08/2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিচিত কেউ থাকলে তথ্য এই ফর্ম পূরণ করে সহযোগিতা করতে পারেন। এই তথ্য তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করতে জরুরী।

https://www.facebook.com/share/p/qT2b9Dkvt8QMDgCL/?mibextid=oFDknk

29/08/2024

বন্যার আসল সংকট কিন্তু শুরু হয় পানি নেমে যাওয়ার পর। পানি যতদিন থাকে, ততোদিন মিডিয়া থেকে শুরু করে সবার ফোকাস থাকে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সবাই ত্রাণ-ট্রাণ দেয়। পানি নেমে যাওয়া শুরু হলে সবাই ভাবে বিপদ শেষ, কিন্তু সেই মুহূর্ত থেকেই মূল সংগ্রামের হয় শুরু।

বাড়িঘর ফেলে রেখে আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্য কোথাও যারা আশ্রয় খুঁজে নিয়েছিলো, ধীরে ধীরে তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করবে তারা। যাদের পাকা বাড়ি বা মজবুত ঘর ছিলো, তারা বাদে গ্রামের অনেক মানুষ এসে নিজেদের ঘরের ঠিকঠিকানা পাবেনা ঠিকমতো। পানি নেমে যাওয়ার পর এখানে ওখানে মিলতে থাকবে অর্ধগলিত মৃতদেহ— একটা, দুইটা করতে করতে একে একে বহু লাশ, কোনটা জানা মানুষের, কোনটা নাম না জানা, দূর থেকে ভেসে আসা বেওয়ারিশ কেউ। মানুষ আর পশুপাখির মরদেহগুলোর একই হাল, সবাই এক কাতারে। কাদামাথা অর্ধগলিত লাশগুলোর আশেপাশে ক্ষুধার্ত কাকের আনাগোনা!

বাড়ি ফিরবে ঠিকই সবাই, এসে দেখবে গৃহপালিত পশুপাখি কিচ্ছু বেঁচে নাই আর, ভেসে গেছে। খেতখোলার ফসল নাই, বাড়ির উঠানের ফলফলাদির গাছপালা কিংবা বাগান সব শেষ। যত কাপড়চোপড়, আসবাব ছিলো সবই প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ, সার্টিফিকেট, বইপত্র সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অনেকের।

বন্যার পানি নামতে না নামতেই প্রকট হতে থাকে পানিবাহিত রোগব্যাধি, স্কিনডিজিজ থেকে শুরু করে নানা জটিলতা লেগেই থাকবে কিছুদিন। আর সাথে লেগেই থাকবে খাদ্য সংকট, ক্ষুধা-দারিদ্র্য হয়ে যাবে নিত্যসঙ্গী।

ডানাভাঙা আহত পাখিটা নীড়ে ফিরবে ঠিকই, কিন্তু এসে দেখবে তার সাজানো-গোছানো ছোট্ট সংসার-স্বপ্নের ঠিকানা তছনছ হয়ে গেছে। তবুও হয়ত সে নতুন করে স্বপ্ন বুনবে, ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে থাকবে। হাড়-জিরজিরে এই মানুষগুলোর শুকনো বিবর্ণ মুখগুলোতে আবার যেন নতুন একটা ভোরের স্বপ্ন বুনে দিতে ভুলে না যাই আমরা— সেই প্রয়াসটা জারি রাখবেন সবাই বন্যা পরবর্তী সময়েও।

Saiyed Abdullah

28/08/2024

বন্যাকবলিত এলাকায় খাওয়ার পানির সহজ সমাধান: ইমারজেন্সি অবস্থায় বন্যার পানি যেভাবে বিশুদ্ধ করে পান করবেন।

27/08/2024

সম্মানিত বন্যা কবলিত দেশ-বাসি সবার জন্য সতর্কতা।⚠️

পানি দ্রুত নামা শুরু হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে হয়তো বাড়ি ফিরে যাবেন। বাড়িতে যাবার পর, কিছু করনীয়ঃ

১| বিদ্যুতের তার কোথাও পড়ে আছে কিনা দেখে, সাবধানে চলাচল করবেন।

২| বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে রাখবেন, পুরো ঘর শুকানোর আগ পর্যন্ত।

৩| ঘরে অনেক বিষাক্ত পোকামাকড় বা সাপ আশ্রয় নিতে পারে, সাবধানে প্রবেশ করবেন।

৪| পর্যাপ্ত সেলাইন ও পানিবাহিত রোগের ঔষধ সংগ্রহ করে রাখুন।

৫| বাচ্চাদের খেয়াল রাখুন, এখন সব জায়গায় পানি, পুকুর বা কোনো জলাশয়ে যাতে না যেতে পারে চোখে চোখে রাখুন।

27/08/2024

https://www.facebook.com/share/v/fA9mcFxKicvveTwa/?mibextid=xfxF2i

26/08/2024

‼️ছড়িয়ে দিন‼️
অনেক বেশি আর্জেন্ট, আজকে খাবার না পেলে মরে যাবে।
ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার পুরাতন মুন্সির হাটে উত্তর শ্রীপুরে সৌদিয়া হোটেলের পাটেয়ারী টাওয়ারে ২৫০+ জন মানুষ অবস্হান করছে। যারা গত তিন দিন ধরে বন্যার পানি খেয়ে আছে। সবাই শুধু এক মুটো খাবারের জন্য হাহাকার করছে। শুকনো খাবার এখানে প্রয়োজন আর্জেন্ট৷ +8801609057259,(শিপন) +8801825223260, +8801884159588(বিমল) যোগাযোগের জন্য সেখানে অবস্হানকারী তিনজনের নাম্বার দেওয়া হয়েছে।

26/08/2024

26/08/2024

দয়া করে আমার পোস্টটি শেয়ার করুন

পিতা : মো: জলিল মোল্লা
বাড়ি: কুলিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুনসিরহাট ইউনিয়নের বিসবাগ গ্রামে।

অনি ওনার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না। কেউ দেখে থাকলে কোন খোজ পেলে অবশ্যই এই নাম্বারে ফোন করে জানাবেন।

নাম্বার :;
01816714655/
01716168970

26/08/2024

#আপডেট #উদ্ধার_করতে #টিম_যাচ্ছে

প্লিজ আশেপাশের কেউ দ্রুত হেল্প করুন 🙏🙏🙏

জগতপুর কোরিয়ান রোড লতিফ মেম্বার এর বাড়ীর পাশে প্রবাসী আলআমিন এর স্ত্রী প্রেগনেন্সি পেইনে ভুগছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ, তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা হসপিটালে নিতে হবে। তাই দয়াকরে একটা স্পিড বোড কিংবা নৌকা দিয়ে যে আগে পারেন তাকে উদ্ধার করুন
যোগাযোগ 01861947581

পোস্ট টি শেয়ার করে সহযোগিতা করুন।

#ফেনীর_বন্যা২০২৪

25/08/2024

আজকে থেকে চালু হয়ে গেলো মেট্রোরেল। সাদা শার্ট-সাদা চুলের যেই ভদ্রলোককে দেখছেন উনি ড. ফাওজুল কবির খান। সড়ক, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। ভদ্রলোক নিজেই আজকে মেট্রোরেলে করে যাত্রা করেছেন। উনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ১৬ আগস্ট, আর আজকে ২৫ আগস্ট। মানুষটার সিমপ্লিসিটির দিকে তাকান, আর জাস্ট মনে মনে ভাবেন উনার জায়গায় ওবায়দুল কাদের আছেন, দেখবেন ভাবতেই বিবমিষা জাগবে!

১৮ জুলাই থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো মেট্রোরেল। হাসিনা আর ওবায়দুল কাদের বিশাল ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেখিয়েছিলো, আদতে ক্ষতি হয়েছিলো শুধু দুইটা স্টেশনের, কিন্তু তারা সেটা স্পেসিফিক্যালি ব্রিফ করেনাই। ওই দুই স্টেশন বন্ধ রেখে মেট্রোরেল ইজিলি চলতে পারতো, কিন্তু তারা সামগ্রিকভাবেই দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পায়তারা করছিলো ছাত্রদের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলতে।বলেছিলো এক বছর সময় লাগবে মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু করতে এবং ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

অথচ ১৬ আগস্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথাতেই মেট্রোরেল যাত্রী পরিবহন শুরু করে দিলো। আরও আগে হতে পারতো, যদি মেট্রোরেল কর্মচারীরা তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সময়ক্ষেপণ না করতো। কাজীপাড়া ও মিরপুর১০ স্টেশন বন্ধ রেখে বাকী ১৪ টা স্টেশন চালু হয়ে গেছে। ড. ফাওজুল কবির খান জাপানি স্টেকহোল্ডারদের সাথে জরুরি বৈঠক করবেন কীভাবে জাপান থেকে যন্ত্রপাতি এনে কাজীপাড়া ও মিরপুর১০ স্টেশন চালু করা যায় অল্প কয়েকমাসের ভেতরেই। ওবায়দুল কাদেররা যেখানে বলেছিলো ওই দুই স্টেশন একবছরের আগে সংস্কার করা সম্ভব নয় কোনমতেই, এখন নতুন উপদেষ্টা চেষ্টা করছেন একবছরের বহু আগেই যাতে ওই দুইটা স্টেশন চালু করা যায়। জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আজকেই মিটিং এ বসবেন উনি এই ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।

সাধারণ মানুষের উপকারের কথা বাদ দিলেও মেট্রোরেল চালু হওয়ায় দুইটা স্ট্রাটেজিক ব্যাপার সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেলো।

১. ওবায়দুল কাদের এবং হাসিনা বলেছিলো মেট্রোরেলের এতোই ক্ষতি হয়েছে যে তা পুরোপুরি চালু হতে ১ বছর সময় লাগবে, আসলে ওরা নরমাল ক্ষতির চেয়ে কয়েক শতগুণ বেশি দেখানোর চেষ্টা করেছিলো রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। ১৪ টা স্টেশন ইতোমধ্যেই চালু করে মেট্রোরেল জার্নি শুরু করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে ওই দুইটা স্টেশন চালু করতে একবছর না, বরং মাত্র কয়েকমাসে চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন নতুন উপদেষ্টা। মেট্রোরেল চালু হয়ে যাওয়ায় মানুষ অটোমেটিক বুঝে গেছে স্বৈরাচারীরা জাতির সাথে কী পরিমাণ মিথ্যাচার করতো।

২. ওরা দাবি করেছিলো মেট্রোরেল চালু করতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। অথচ টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা জানিয়েছেন মিরপুর১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশনে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তিন মাস বা তার কিছু বেশি সময়ের ভেতর ঠিকঠাক করা পসিবল জাপান থেকে যন্ত্রপাতি এনে। আর সামগ্রিক কাজে খরচ হতে পারে মোটে ৫০ কোটির মত। তারমানে চোরের বাচ্চা চোর লীগের নেতারা যে এইভাবে এক্সকিউজ তৈরী করে এখান থেকেও ২৫০ কোটি টাকা চুরির ধান্দায় ছিলো, এটাও প্রমাণিত হয়ে যাবে।

স্বৈরাচার আর আজ্ঞাবহ সুশীলদের মিথ্যার বয়ান এভাবেই ভেঙেচুরে পড়তে থাকবে একে একে। সবাই অটোমেটিক বুঝতে পারবে কীভাবে তাদেরকে মিথ্যার বটিকা সেবন করিয়ে চেতনার সাগরে ডুবিয়ে রেখে লুটপাট করা হতো।

Saiyed Abdullah

24/08/2024

ড্যাম দিয়ে দিল্লীর পানি আটকানো কোন প্র্যাকটিকাল সলিউশন নয়। কারণ বাংলাদেশ সমতল ভূমি, ড্যামের জন্য যে পাহাড়ি এলাকা লাগে ন্যাচারাল ব্যরিয়ারের জন্য তা নেই, পিলারের জন্য যে পাথর লাগে তা মাটির ২০০ ফুট নীচে ইত্যাদি ইত্যাদি নানাবিধ প্র্যাক্টিক্যাল প্রবলেম আছে।

পানি উপর থেকে নীচে প্রবাহিত হয়। নদীগুলো যখন ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন ভারতে পড়েছে নদীর আপার স্ট্রিম, আর আমরা পেয়েছি লোয়ার স্ট্রিম। লোয়ার স্ট্রিমে ড্যাম দিয়ে আপার স্ট্রিমের ড্যাম খুলে ছেড়ে দেয়া পানিকে আটকানো কোনো প্র্যাক্টিক্যাল সলিউশান না।

কেউ কেউ আবার বলছে বাংলাদেশ ৭,৫০০ ফুট উঁচু ড্যাম দিবে। তারা কী জানে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ড্যামের উচ্চতা কেবল ১,০০১ ফুট। যা চীনের জিনপিং-১ ড্যাম। আমেরিকার সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর উচু ড্যামের উচ্চতা ৭৭০ ফিট।

বন্যা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর আর সম্ভাব্য উপায় হলো ভারতের সাথে বসে একটা সলিউশনে আসা। কিন্তু ভারত তো ভারত। তারা খালি নিতে জানে, দিতে না। তারা বিভিন্ন নদীগুলোর পানি ডাইভার্ট করে আমাদের নদীগুলোকে হয় শুকিয়ে মারছে, আর না হয় নিজেদের প্রয়োজনে বিনা ওয়ার্নিং এ ড্যামের গেইট খুলে দিয়ে ডুবিয়ে মারছে। যা চরম অসভ্যতা। পানি শেয়ারে যে আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী আছে, তা তারা মনে না। কোন একটা প্রতিবেশির সাথে তাদের ভালো সম্পর্ক নেই। যারা ভাবছেন ভালো প্রতিবেশী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা একদিন না একদিন বুঝতে পারবে, আমার মতে পারবে না। ভালো প্রতিবেশী হওয়া তাদের ইচ্ছাতেও নেই, আদতেও নেই।

ভারত কখনোই বাংলাদেশকে তাদের ন্যায্য পানি দেয় না। এর জন্য কোর্ট কাচারি করে চাপ সৃষ্টি করা গেলেও তারা এতেই নমনীয় হয়ে সুড়সুড় করে আমাদের ন্যায্য পানি আমাদের দিবে বলে বলে মনে করি না। বাস্তবে তারা কোন কোর্টের রায় মানবে না। এবার সেটা জাতিসংঘ হোক কী আইসিজে বা অন্য কোনো।

এই ব্যাপারে ভারতকে অন্য ভাবে চাপে ফেলতে হবে। একদিকে চীন, নেপাল, ভুটান যারা ভারতের আপার স্ট্রিমে আছে তাদের সাথে নিয়ে নদী চুক্তিতে যেতে হবে। অপরদিকে ভারত স্থল আর নৌ পথে আমাদের যেসব ট্রানসিট ব্যবহার করে সেগুলো বন্ধ করে ভারতকে পানির সুষম বণ্টনে নেগোশিয়েট করতে বাধ্য করতে হবে।

অপর দিকে, আমাদের নদীগুলো কিভাবে এই বাড়তি পানির চাপ নিয়ে পানি সরিয়ে সাগরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেলতে পারবে তার বিকল্প আমাদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে। জলবায়ুর কারণে সারা বিশ্বে বৃষ্টি, জলোচ্ছাস, খরা, বন্যা , সমুদ্রের লেভেল ইত্যাদি বেড়ে গেছে। এসব প্রতিরোধে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে, সেমিনার হচ্ছে, সেসব এটেন্ড করে বিভিন্ন উপায়ে শিখে এসে দেশে তা প্রয়োগ করতে হবে। দেশে বিদেশে আমাদের নিজেদের প্রচুর এক্সপার্ট আছে, তাদের নিয়ে একটা এক্সপার্ট গ্রুপ বানিয়ে খুব দ্রুততার সাথে সলিউশনের দিকে আগাতে হবে।

ভারতকে পানি বণ্টন আর নিয়ন্ত্রণের জন্য রেগুলার মিটিং করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ভারতের সাথে যে কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে কেবল এডমিনিস্ট্রেশনের লোক নয় , টেকনিক্যাল এক্সপার্টদেরও পাঠাতে হবে, যাতে তারা ভারতীয় এক্সপার্টদের ভূজুং ভাজং করণগুলোকে নিজেদের লজিক আর কারণ সহ মোকাবেলা করতে পারে। আমাদের ভাষাগত দুর্বলতার কারণে বেশিরভাগ সময়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাগুলোতে ভারতীয় টিম ডমিনেট করে, এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশি টিম মেম্বারদের ইংরেজি ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ আর বোল্ড হতে হবে যাতে তারা মিটিংগুলোতে চুপ না থাকে। মোট কথা ভারতের স্ট্রং ম্যান ট্যাক্টিককে আমাদের স্ট্রং ম্যানেরা গিয়ে শক্ত ভাবে মোকাবেলা করবে।

আর আমাদের দেশে বিভিন্নভাবে ভারতের যে অগাথ বিচরণ, তাকে ল্যাভরেজ হিসাবে ফেলে ভারতের হাত টুইস্ট করতে হবে। আগের মতন কেবল দিয়েই যাবো না। আমাদের থেকে কিছু চাইলে আমাদেরকেও কিছু দিতে হবে। যতদিন দিবে, ততদিন পাবে। সমানে সমান ডিল হবে।

হাবিব,কানাডা

ছবি: থ্রী গর্জেস দাম, চীন
©️

24/08/2024

কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট খোলা হবে আজ রাত ১০টায়; জরুরী সতর্কতা

23/08/2024

আলহামদুলিল্লাহ্....সোনা বাচ্চা....you are safe now...❤️❤️❤️

23/08/2024

বন্যার্তদের জন্য আমরা যারা কমবেশি ত্রাণসামগ্রী পাঠাচ্ছি তাদের সবার সুবিধার্থে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকারি কিছু জিনিশের একটা লিস্ট আমি দিচ্ছি —

১. নবজাতক শিশুদের খাবার ও কাপড় : পর্যাপ্ত ল্যাকটোজেন, গুড়া দুধ, ফিডার, সফট টিস্যু ও ডায়াপার নিয়ে যাবেন । বন্যা প্লাবনে সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্বে ভোগে শিশু এবং বয়স্করা । কিন্তু নবজাতক শিশুদের এই বিষয়টা নিয়ে কাউকেই কথা বলতে দেখলাম না ।

২. স্যানিটারি ন্যাপকিন/প্যাড : অনেকেই কাজ করতেছে । আরো বেশি করে নিয়ে যেতে হবে । কারণ এই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এখনো ন্যূনতম এক মাস লাগবে । সুতরাং মায়েদের, মেয়েদের জন্য আগামী আরো দুই মাসের স্যানিটারি ন্যাপকিনের বন্দোবস্ত করতে হবে ।

৩. খেজুর : শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুর সবচেয়ে বেশি উপকারী ‌। দুইটা তিনটা খেজুর খেয়ে এক বেলা কাটানোর মত শক্তি পাওয়া যায় । যারা ভলান্টিয়ার হিশেবে যাচ্ছেন তারাও খাওয়ার জন্য ভালো মানের পর্যাপ্ত শুকনা খেজুর নিয়ে যাবেন ।

৪. বিশুদ্ধ পানি : বন্যায় সবচেয়ে বেশি ঘাটতি তৈরি হয় বিশুদ্ধ পানির । আগামী দেড় দুই মাস পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকায় কোনো বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে না । এক্ষেত্রে আপনারা এক/দুই লিটারের বোতল না নিয়ে পাঁচ লিটারের বোতল নেবেন অবশ্যই । এক দুই লিটার পানি দিয়ে টাকাও বেশি খরচ হবে, উপকারও তুলনামূলক কম ।

৫. শীতের কাপড় : কাপড় নেয়ার ক্ষেত্রে সবাই-ই মূলত পড়নের কাপড় দিচ্ছে, নিচ্ছেন । পড়নের কাপড় অত্যন্ত জরুরি । পাশাপাশি আরো একটা জিনিশ জরুরি, সেটা শীতের মোটা কাপড় । স্বাভাবিকভাবেই বন্যায় ডুবে থাকা সবার ঠান্ডা লাগবে, কম্পন হবে শরীরে । সেক্ষেত্রে শীতের কাপড়গুলো নিয়ে যেতে পারলে বেশ উপকার হবে সবার ।

৬. স্যালাইন : স্যালাইন নেয়ার ক্ষেত্রে সবাই ওরস্যালাইন প্রেফার করবেন । টেস্টি স্যালাইন নিচ্ছেন অনেকে, নো প্রবলেম । তবে দূষিত পানি থেকে ডায়রিয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হবে তার জন্য ওরস্যালাইন-এন যেটা, ওটা বেশি কার্যকরী ।

৭. চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট : শুকনা খাবারের মধ্যে এগুলো সহজলভ্য । বিশেষ করে চিড়া বেশি নেয়ার চেষ্টা করেন, মুড়িও । খেজুরের মত চিড়াও ক্ষুধা মেটানোর জন্য ভালো ।

৮. মোমবাতি, টর্চলাইট : মোমবাতি সাময়িক সমাধান দেবে । ব্যাটারিচালিত (চার্জার না) টর্চলাইটগুলো বেশি নেয়ার চেষ্টা করবেন । একটা লাইট, সাথে এক্সট্রা আরো দুই সেট ব্যাটারি (সানলাইট) । রাতের বেলা বন্যার সবচেয়ে ভয়াবহ চেহারাটা দেখা যায় । তখন টর্চ না থাকা মানে মৃত্যুর মুখে নিরূপায় হয়ে বসে থাকা ।

৯. পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট : ঢাকা থেকে হাজার লক্ষ লিটার পানি নিয়ে গেলেও বিশুদ্ধ পানির চাহিদার তিনভাগের একভাগও মেটানো সম্ভব না । যতদূর পারেন পানি তো নেবেনই, সাথে পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট নিয়ে যাবেন । ব্যবহারবিধি ফার্মেসি থেকে বলে দেবে ।

১০. পলিথিন, ছাতা : বড় মাপের পর্যাপ্ত পলিথিন ও ছাতা (বড় সাইজের) নিবেন । ত্রাণসামগ্রী পাওয়ার পর সবকিছু শুকনা রাখার জন্য প্রত্যেকটা ফ্যামিলিকে একটা বড় পলি আর বৃষ্টির মধ্যে শুকনা থাকার জন্য ছাতা দিয়ে দিতে পারলেই আমাদের সকল ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শতভাগ কার্যকরী হবে ।

১১. তেল : ট্রলারের জন্য এক্সট্রা প্যাট্রোল/ডিজেল নিয়ে যেতে পারেন । বন্যা যেহেতু শহরগুলোর দিকে গড়াচ্ছে, ওখানে তেলের সংকট হতে পারে ।

আমি কিছু বাদ রেখে গেলে আপনারা বলতে পারেন । পরে আমি অ্যাড করে দেবো । ধন্যবাদ ।

Ibrahim Mahmud