28/02/2024
"নির্যাতনের ফাঁকে ফাঁকে তারা আমাকে একটি হত্যা মামলার দায় স্বীকার করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমি রাজি হচ্ছিলাম না। আমাকে নিয়ে যাওয়ার দ্বিতীয় দিন রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
একজন ডাক্তার আনা হলো, আমাকে ইঞ্জেকশান দেয়া হলো। একটি ট্যবলেট খাওয়ানো হলো। আর কি যেন একটা স্প্রে করা হলো। ডাক্তার বললেন, যমটুপিটা একটু খুলে রাখার জন্য। ব্যথা কিছুটা কমলেও আমার শরীরে কোনো শক্তি ছিলো না। উঠে দাঁড়াবার মতো অবস্থাও ছিলো না। তাদেরই দু’জনের কাঁধে ভর করে আমি টয়লেটে গেলাম। এর কিছুক্ষন পর হঠাৎই আবার ডেকে পাঠালো। জমটুপি পরানো হলো। কিছুই দেখছি না।
প্রচন্ড জোরে আমার পায়ে, কোমরে, হাতের বাহুতে পেটানো শুরু করলো। হাত, পা সবই বাঁধা। তাদের অন্তত ৫-৬ জনের নির্যাতনে আমি চেয়ারসহ মাটিতে পড়েগেলাম। অনেকটাই অচেতন। কিন্তু টের পাচ্ছিলাম, তারা বলা বলি করছিল; আমার নখ তুলে ফেলা হবে।"