09/07/2024
আমাদের আজকের সংবাদ সম্মেলনের মূলকথা :
১.আমরা সর্বোচ্চ ৫% কোটার কথা প্রস্তাব করেছি ৷ এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ৷ কোনোভাবেই নাতিপুতি নামক পোষ্যকোটা ছাত্রসমাজ মানবে না ৷(জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ও সেবা সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে অধিক সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন হলে আমরা সেটিকে শতভাগ সমর্থন করি ৷) অন্যান্য কোটাগুলোকে এই মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে প্রাসঙ্গিক মনে করিনা ৷
২. আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে, সরকারের কাছে ৷ যখনই সরকার কিংবা নির্বাহী বিভাগ কোনো ত্রুটিমুক্ত নির্বাহী আদেশ বা পরিপত্র জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিবেন এবং কোটা সংস্কারের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তখনই আমরা রাজপথ ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে আসবো ৷
৩. আমরা হাইকোর্টে কোনো রিট করিনি ৷ যারা করেছে তারা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কেউ নয় ৷ তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ও সংক্ষুব্ধ হয়ে রিট করেছে ৷ চাইলে আমরাও করতে পারতাম ৷ কিন্তু একবার হাইকোর্টে গেলে তার রায় না আসা পর্যন্ত হাইকোর্টের উপর আস্থা রেখে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে হতো ৷ কিন্তু হাইকোর্ট থেকে শুধু '১৮'র পরিপত্র বহাল আমাদের প্রাণের দাবিটিকে ধারন করে না ৷
৪. হাইকোর্টে যদি ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালও করা হয় তারপরও সেটি আমাদের এক দফা দাবির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় না ৷ কারন আমরা কথা বলছি সরকারি চাকরির সকল গ্রেড নিয়ে ৷ আর ২০১৮'র পরিপত্রটি শুধু ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরি নিয়ে ৷
তাছাড়া এই পরিপত্রটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও হাইকোর্ট সেটি অবৈধ ঘোষণা করতে পেরেছে ৷ ভবিষ্যতে যে সেটা আবার অন্য কারো রিটের মাধ্যমে অবৈধ ঘোষণা হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই ৷ তাছাড়া সাংবিধানিকভাবে অনগ্রসর বলতে যে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে আমরা বোঝাচ্ছি তাদের জন্যও কোনো কোটা সেখানে নেই ৷ ফলে ভবিষ্যতে এই ত্রুটিগুলোতে আঘাত করে আবার এই পরিপত্রটাকে অবৈধ ঘোষণা করা হতে পারে৷
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় : অমাদের একটাই দাবি ৷ সকল গ্রেডে কোটা সংস্কার ৷ আমাদের দেশে ১ম ও ২য় শ্রেণিতে যে জব রয়েছে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে সে তুলনায় জব অনেক বেশি ৷ আবার ৩য়, ৪র্থ শ্রেণিতে কোটাও অনেক বেশি ৷ তারমানে এখানে সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি ৷ এতো বড় একটি জনসংখ্যাকে