It"z Santo Rion Alif

It"z Santo Rion Alif সময় তোমাকে ততক্ষণি সঙ্গ দেবে 🕛
যতক্ষণ তোমার কাছে কাগজের নোট থাকবে💸
🔥ক্লিনিক্যালি প্রমানিত 🔥
(1)

18/12/2023

Follow and support 🤘

18/12/2023

Follow and support 🤘🤘

09/06/2023

এরকম আপনার সাথে ঘটলে কি করবেন 😱😱😱😱

Perfect Gaming 420

Perfect Gaming 420🔥🔥Mr:Perfect 😁😁Follow Plz🔥🔥
14/05/2023

Perfect Gaming 420🔥🔥
Mr:Perfect 😁😁
Follow Plz🔥🔥

13/05/2023

BR Ranked Quota kills🔥🔥

🥰🥰🥰🥰
10/05/2023

🥰🥰🥰🥰

আমাদের নতুন সদস্য। 🥰🥰কতো কিউট😘😘।
07/05/2023

আমাদের নতুন সদস্য। 🥰🥰
কতো কিউট😘😘।

02/05/2023

যারা হাসতে ভালোবাসেন 🤣🤣
তারাই ভিডিওটি দেখুন👀👀

এটা কি পোকা 🤔🤔কেউ কি বলতে পারেন 🙄🙄
20/04/2023

এটা কি পোকা 🤔🤔
কেউ কি বলতে পারেন 🙄🙄

14/04/2023

🤣🤣🤣

12/04/2023

অস্থির চাপাবাজ।।।🤣🤣🤣
সবার ফলো ও সাপোর্ট আশা করি। Digital পোলাপাইন Santo Rion Alif ডিজিটাল পোলাপাইন

😇😇😇
05/04/2023

😇😇😇

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস 😔আল্লাহ যেনো সেই সকল ব্যাবসায়িকদের ধৈর্য দান করুক। 😢😢😞😞
05/04/2023

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস 😔
আল্লাহ যেনো সেই সকল ব্যাবসায়িকদের ধৈর্য দান করুক। 😢😢😞😞

29/03/2023
27/03/2023

🥹🥹🥹🥹

25/03/2023

লুইচ্চা চেয়ারম্যান ও লুইচ্চা শাশুড়ী | Rion Ahamed | Bangla Funny Video|

মুসলিম হলে কমেন্টে সুবহানাল্লাহ বলে যাও। 🥰।সুবহানাল্লাহ 🥰🥰🥰
25/03/2023

মুসলিম হলে কমেন্টে সুবহানাল্লাহ বলে যাও। 🥰

সুবহানাল্লাহ 🥰🥰🥰

22/03/2023

🥀🥀

তোমার চোখে আকাশ আমার 🔥🔥চাঁদ ঝোড়া পূর্ণিমা 🌙🌙ভেতর থেকে বলছে হৃদয় ❤️‍🩹❤️‍🩹তুমি আমার প্রিয়তমা 🥰🥰
22/03/2023

তোমার চোখে আকাশ আমার 🔥🔥
চাঁদ ঝোড়া পূর্ণিমা 🌙🌙
ভেতর থেকে বলছে হৃদয় ❤️‍🩹❤️‍🩹
তুমি আমার প্রিয়তমা 🥰🥰

মানুষ মানুষকে দ্বিতীয় সুযোগ দিতে পারে। 😇😇জীবনে কখনো তোমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেবে না। 💔 💔
22/03/2023

মানুষ মানুষকে দ্বিতীয় সুযোগ দিতে পারে। 😇😇
জীবনে কখনো তোমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেবে না। 💔 💔

😒😒😒
11/03/2023

😒😒😒

08/03/2023

নতুন পেজ খুলছি দোয়া করে সবাই ফোলো করবেন🙏🙏🙏

হালাল ইনকাম 🔥🥵🥵একটু জমিদারিতো থাকবোই 😎😎😎
08/03/2023

হালাল ইনকাম 🔥🥵🥵

একটু জমিদারিতো থাকবোই 😎😎😎

04/03/2023

বিচি বাবা | Bangla Funny Video |Rion Ahamed

01/03/2023

🥵বান্ধবির ম্যাডাম কি শেখায় আপনারাই দেখুন🫣🫣🫣

28/02/2023

🔥🔥🔥
Like.comment.share🥰🥰

20/02/2023

Girls👩‍🦳vs Boys🧔‍♂️

19/02/2023

😈😈😈😈

18/02/2023

বাঘ তো বাঘ। 🔥🔥🔥
তার সাথে কারো তুলনা হয় নাকি। 😒😒😒

07/06/2019

প্রতিটিক্ষন শুধু তোমায় ভাবি,জানি
অনেক দুরে আছো,তবু ও এই আশায় থাকি
তোমায় কাছে পাবো।ভালোবাসা
এমনই,কখনও কাউকে ভুলে থাকা যায়
না।সে যতই দুরে থাকুক।হারিয়ে যাওয়া
মানেই শেষ হয়ে যাওয়া নয়,হয়তো
হারিয়ে গিয়েও সুখ ফিরিয়ে দেয়া
যায়।ভালবেসে গেলেই ভালোবাসা
পেতে নেই,সবাইকে ভালোবাসার
স্বাদ পেতে নেই।ভালোবাসা মানেই
সুখের পরশ নয়,প্রকৃত ভালোবাসা হয়তো
বেদনাতেই হয়।

04/06/2019

#স্মৃতিচারণ
____পিচ্চি____

দিন টি ছিলো শনিবার। সপ্তাহের এই দিন টিতেই আমি সব চেয়ে বেশি ব্যাস্ত থাকি।

সারাদিন অনেক কাজ করে ক্লাস্ত হয়ে রাত এগারো টায় বাসায় ফিরেছিলাম। এসেই ফেসবুকে লগইন করলাম।
আমি ফেসবুকে গল্প লিখতাম।
তো সারাদিন যেহেতু ফেসবুকে আসতে পারিনি। সেহেতু গল্পও পোস্ট করা হয়নি।

তো সেই ক্লান্ত শরীর নিয়েই আমি ল্যাপটপ নিয়ে বসে গেলাম। চটপট কাজ গুলো সেরে ঘুমিয়ে পরবো।

ঠিক তখনি একটা আইডি থেকে বার বার মেসেজ আসতে লাগলো।

আমি কয়েকবার সিন না করেই ফেলে রাখলাম। কিন্তু তখনো সে মেসেজ দিয়েই যাচ্ছে। আর আমার কাজের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে।
আমি রাগ করে মেসেজ ওপেন করলাম।
সে অলরেডি পনেরো টা মেসেজ দিয়েছে।

তবে মেসেজ ওপেন করে বুঝলাম সে আসলে দরকারেই মেসেজ দিয়েছিলো।

মেয়েটিই গল্প লিখে। তবে খুব নতুন। আর সে গল্প পোস্ট করার জন্যই মেসেজ দিয়েছে।
আমি পরে রিপ্লাই দিলাম যে, 'বিজি আছি, পরে কথা বলছি এই বিষয়ে '

মেয়েটি তখন থেমে গেলো।
আমিও পরে আর মেসেজ দেইনি। কাজ শেষ করে ঘুমিয়ে গেছিলাম। দুই দিন পরে যখন মনে পরলো তখন আমি মেসেজ দিলাম...গল্প গুলো দেয়ার জন্য। সে মেসেজ করে গল্প দিলো আমায়।
আমিও পোস্ট করে দিলাম। লাইক কমেন্ট বেশ ভালোই পরতো। মেয়েটি নতুন হিসেবে বেশ ভালো লিখে।

মেয়েটির সাথে পরে আমার মাঝে মাঝে কথা হতো।

মেয়েটি ছিলো অনেক সাদাসিধা। অনেকের চেয়ে আলাদা। গ্রামের একদম সাধারণ মেয়ে।

আমি কখনই মেয়েটিকে মেসেজ দিতাম না। সে সব সময়ই নিজে থেকে আমায় মেসেজ দিতো।

আমি মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হতাম। রেগে যেতাম। ব্লক করে দিতাম। কথা বলতাম না। ইগনোর করতাম। অপমান করতাম। আমার রাগ বরাবরই একটু বেশি ছিলো।

মাঝে মাঝে কথা বলতাম না, তবে বুঝতে পারতাম যে মেয়েটি খুব কষ্ট পাচ্ছে।
কিন্তু সে কখনো রাগ করেনি আমার উপরে । তবে মেয়েটা খুব মজা করে কথা বলতো। সব সময়ই সে মজা করতো। আর সব বিষয় নিয়ে।
আমিও বেশ ভালোই কথা বলতাম মেয়েটির সাথে।
তারপরে মেসেঞ্জারে কথাও হতো আমাদের।
ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলার পরেও আমি যখন রাখতে চাইতাম সে তখন বলতো...
-সব সময় রাখি রাখি করেন কেনো?? আরেকটু কথা বলুন না প্লিজ.....

আমি তখন আবার কথা বলা শুরু করতাম। আর সে মুগ্ধ হয়ে শুনতো শুধু।
আমি মাঝে মাঝে যখন বলতাম....
- শুধু আমিই কি বলে যাবো?? তুমিও কিছু বলো??
- তখন সে দুয়েকটা কথা বলে আবার চুপ করে থাকতো। আর আমি আবার বলা শুরু করতাম।



এই ভাবেই চলছিলো সব টা ।

মেয়েটি আমায় একদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তার নাম্বার দিয়েছিলো। কিন্তু আমি উলটো সেদিন তাকে অপমান করেছিলাম। গুরুত্ত দেইনি তাকে।

সেও সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করছিলো সবটা। তবে একটা কথা আমি কিছুতেই বুঝতাম না যে, সে কেনো কথা বলে আমার সাথে?? আমি এতো অপমান করি। অবহেলা করি তারপরেও চুপ চাপ কেনো সহ্য করে সে??
সেটা কি শুধুই আমার পেইজে গল্প পোস্ট করার জন্য??
সেটা তো আমি এমনিই করে দিবো। তাহলে কেনো??

আমি এগুলো মাঝে মাঝেই ভাবতাম।তারপরে আবার ভুলে যেতাম সব টা।

এই ভাবেই চলছিলো সব কিছু। আমি সব কিছু নিয়েই বেশ ভালোই ছিলাম।

অহ.... আপনাদের তো আমার পরিচয় টাই দেয়া হয়নি। আমি আবির।

বাবা মা কেউ নেই। বাবার বিশাল ব্যাবসা আমি নিজেই দেখা শোনা করি। আর এই ফেসবুক টা শখ মাত্র।

আমি রাগ করলে মেয়েটি আপ্রাণ চেষ্টা করতো আমার রাগ ভাঙানোর জন্য। কিন্তু আমার তাতে কিছু যায় আসতো না।

আমি নিজের মতোই থাকতাম। কেনো জানি মনে হতো যে সে আমায় ছেড়ে কখনোই যাবে না। সে আবার মেসেজ দিবে।

আর আমার মনে হওয়া টা প্রতিবারই সত্যিই প্রমাণিত হতো।
না চাইতে যেটা পাওয়া যায় তার মূল্য সত্যিই আমাদের কাছে থাকে না।

আমিও না চাইতেই তাকে পেয়েছিলাম। তাই তার মর্ম বুঝিনি।

একদিন হঠাৎ করেই সে লাপাত্তা হয়ে গেলো। আমি এক দিন দুই দিন, এই ভাবে পনেরো দিন কেটে গেলো। আমি তখন সত্যিই তাকে অনুভব করেছি।। মনে হচ্ছিলো আমার বুকের ভেতোরে ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো। মেয়েটির কথা মনে হলেই শূন্য লাগছিলো নিজেকে ।

কিন্তু সেই মুহুর্তে আমার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না।
আমি নিরুপায় ছিলাম।
খুব অসহায় লাগছিলো নিজেকে। আগের মেসেজ গুলো আমি ডিলিট করে দিয়েছিলাম। তাছাড়া আমি তার নাম্বার টা অন্তত পেতাম।
আজ নিজেকে নিজের কাছেই খারাপ লাগছিলো খুব। কেমন যেনো অস্থির লাগছিলো। কিছুই ভালো লাগছিল না।

আমি যে তার প্রতি এতো টা দূর্বল আগে কিন্তু কখনো বুঝিনি।

আমি কোনো কাজেই আর মনোযোগ দিতে পারছিলাম না।

এইভাবেই আরো এক মাস কেটে গেলো। আমার অস্থিরতা এখনো কমেনি। কেনো জানি মেয়েটির জন্য মন পুড়তো আমার। পিচ্চিটাকে হয়তো ভালোবেসে ফেলেছিলাম আমি। হয়তো সেই ভালোবাসা শুধু বন্ধুত্বেরই। অন্য কিছু হয়তো ছিলো না।

মেয়েটার সাথে যেই আমি ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম সেই আমি এখন বলার জন্য কথা খুঁজে পাইনা।

আরো কেটে গেলো কয়েকটা মাস। আমি প্রায় ভুলতে বসেছি তাকে। আর তার জন্য মন খারাপ করে না আমার। মনে হলে শুধু ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে।

হঠাৎ একদিন মেয়েটির আইডি থেকে মেসেজ আসে..."কেমন আছেন??"

আমি দেখা মাত্র বুকের ভেতর ধক করে উঠলো। মন টা যেনো এক অজানা শান্তি ফিরে পেলো।

আমি কয়েক মুহুর্ত তাকিয়ে ছিলাম মেয়েটির নামের পাশে জ্বলা সেই সবুজ বাতির দিকে।

তারপরে রিপ্লাই দিলাম...
"এতোদিন কোথায় ছিলে পিচ্চি??"

সে আমার কথার জবাব না দিয়েই বলল..
" আপনার সাথে কথা বলা যাবে??"
আমিও উত্তর দিলাম...
" হুম... যাবে।"
সে আবার মেসেজ দিলো...
" নাম্বারটা দিন"

আমিও আর কথা না বাড়িয়ে নাম্বার টা দিয়ে দিলাম।

কিছুক্ষন পরে এক টা নাম্বার থেকে ফোন এলো।
আমিও দেরি না করে রিসিভ করে ফেললাম।
"কেমন আছো পিচ্চি??"
-" আমি ভালো আছি,, আপনি কেমন আছেন??"

"ভালোই আছি। ভালোই তো রেখেছো তাইনা?"
" এইভাবে বলছেন কেনো??"
" কি ভাবে বলেছি?"
" আমি আপনাকে ভালো রাখার কে বলুন?"
" তোমার কন্ঠের মাধুর্যতা নষ্ট হয়ে গেছে পিচ্চি। তুমি কি অসুস্থ??"
" কই না তো, আমি ভালো আছি। " আচ্ছা এখন রাখি, যদি পারি পরে আবার ফোন দিবো, যদি আপনি চান তবেই??"
" তোমার যখন ইচ্ছে ফোন দিও পিচ্চি, আমি তোমার ফোনের জন্য ওয়েট করবো"

সে আর কোনো কথা না বলেই ফোন কেটে দিলো। কিন্তু আমার কেনো জানি খুব অস্থির লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো যে মেয়েটির কিছু হয়েছে। তাছাড়া যে মেয়ে কিনা আমার সাথে কথা বলার সময় ফোন রাখতে চাইতো না। সে কিনা আজ নিজে থেকেই ফোন কেটে দিলো??
তারপরেও মনে হচ্ছিলো সে কাঁদছিলো।
তার চোখে পানির কথা মনে হতেই বুকের ভেতরটা ছ্যাঁত করে উঠলো আমার।
তার তিন দিনের মাথায় আমার ফোনে একটা অন্য নাম্বার থেকে ফোন আসে । একটা মেয়ে ফোন দিয়েছে।
আর সে যা বলল... তাতে আমার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো।
আমি ততক্ষণাত মেয়েটির থেকে ঠিকানা নিয়ে চলে গেলাম সেখানে।

গিয়ে দেখলাম... একটা জীর্ণ শীর্ণ মেয়ে হস্পিটালের ইমার্জেন্সি রুমে শুয়ে আছে।

আমি দেখে চমকে গেলাম।মুখে অক্সিজেন মাস্ক পড়ানো। হাতে স্যালাইন, রক্তের নল লাগানো।

বুকেও কি সব লাগানো আছে। আমি ইমার্জেন্সির বাইরে দাঁড়িয়ে দেখছি তাকে। আর দুইজন ডাক্তার এসে এসে সব কিছু খুলে দিলো একে একে।

আর বলে গেলো.... সি ইজ নো মোর।

আমি যেনো থমকে গিয়েছিলাম এক মুহুর্তের জন্য।
একটা অজানা অপরিচিতা মেয়ের জন্য কেনো জানি সেদিন খুব কষ্ট হচ্ছিলো।

আজ সুহানা চলে যাওয়া এক বছর পুর্ণ হলো। (মেয়েটির নাম ছিলো সুহানা।) আমি বসে বসে শুধু তার স্মৃতি গুলো আওড়াচ্ছি মাত্র।
___সমাপ্ত____

04/06/2019

#ভ্যামপায়ার_হাসবেন্ড!

পর্ব-২

বিগত মাস-খানিকের মধ্যে প্রথম যখন ইন্টারভিও দিতে এসেছিলাম ঠিক তখনই সরাসরি দেখেছিলাম উনাকে, কাল পর্যন্ত কখনোই উনি উনার কোনো কাজে আমাকে ডাকেন নি, তাই আজ বেশ নার্ভাস লাগছে! পুরো গ্লাস-ওয়ার্ক করা চেম্বারের এক কোণে- নেভি-ব্লু কালারের কোট-প্যান্ট পরে, ভিতরে সাদা সার্ট আর চুলে ইস্টালিস ব্রাস করে দাড়িয়ে কফি খাচ্ছেন আর বাহিরে তাকিয়ে আছেন।রোদ থেকে বাঁচার জন্য পর্দার আড়ালে চেয়ে কি যেনো দেখছেন অপলক দৃষ্টিতে, মনে হচ্ছে পর্দার ফাঁকে ফাঁকে হাল্কা সামান্য রোদের ছোয়ায় তার গায়ের উজ্জলতা ছড়িয়ে যাচ্ছে চারদিকে!
এলিনা- মে আই কামিং স্যার?
লিওন- কামিং! (নিচুস্বুরে, বাহিরে তাকিয়ে থেকেই )
এলিনা- জি স্যার! আপনি আমায় ডেকে ছিলেন।
লিওন- হুম! সিট ডাউন প্লিস! সো মিস্ গোম্বস্ হাউ আর ইউ নাও?
এলিনা- ইয়েস আম ফাইন স্যার!
লিওন- গ্রেট! বাই দা ওয়ে, টেল মি এবাউট ইউর স্টোরি! (আমার দিকে ঘুরে)
এলিনা- সরি...স্যার! আমি কিছু বুঝলাম না!
লিওন- হুম! বেশ চমৎকার ভাবে গল্প সাজাতে পারেন আপনি মিস্ গোম্বস্! (মৃদু হেসে) তবে এটা আমার অফিস, এটা গল্প সাজানোর জায়গা নয়! এম আই ক্লিয়ার?
এলিনা- স্যার লেট মি এক্সপ্লেইন প্লিস! আমি সত্যি বলছি! সেদিন রাতে কাজ শেষ করে লিফটে উঠার পর......!
লিওন- ওয়েট আমি বলছি বাকিটুকু! লিফ্টে উঠার পর হঠাৎ লিফ্ট ওফ হয়ে যায়, তখন প্রচন্ড অন্ধকারের মধ্যে কেউ একজন আপনাকে টেনে তার কাছে নেয়, যাকে কিনা আপনি দেখনই নেই, এরপর সে জোরপুর্বক ভাবে আপনাকে কিস্ করে, দ্যান আপনি ভয়ে সেন্সলেস হয়ে পরে যান এন্ড, সেন্স ফেরার পর উঠে দেখেন আপনি হসপিটালের বেডে! রাইট?
এলিনা- জি স্যার.....আমি!
লিওন- হা হা হা! হোয়াট এন ইন্টারেসটিং স্টোরি মিস্ গোম্বস্! বাট সরি টু সে দ্যাট, সিসিটিভি ফুটেজে সেদিন লিফ্টে আপনি একাই ছিলেন! এখন বলুন তার মানে কি আমি ভেবে নিবো, যে কোনো অশরীরী আত্মা আপনাকে কিস্ করে চলে যায়, তা আবার আমার অফিসের লিফ্টে! ব্যাপারটা কি হাস্যকর নয়?
এলিনা- স্যার প্লিস একটু শুনুন, আমি সত্যি...! (কান্না-স্বুরে)
লিওন- এনাফ্ (উচ্চস্বরে)! আর কিছু আমি শুনতে চাই না মিস্ গোম্বস! নেক্সট টাইম এই টাইপের কোনো তামাশা আমি আমার অফিসে দেখতে চাই না, এই ব্যাপারটা নিয়ে আর কোনো সমালোচনাও শুনতে চাই না, এন্ড দিস্ ইস্ মাই ওর্য়ানিং! নাও ইউ ক্যান লিভ প্লিস!
পিছনে ফিরতে নেবো এমন সময়-
লিওন- আর শুনুন...! (নিচুস্বরে)
এলিনা- ইয়েস...স্যার! (কান্না-স্বুরে)
লিওন- আম....টেক কেয়ার ওফ ইউরসেল্ফ মিস্ গোম্বস্! নাও ইউ ক্যান গো!
নিজের কেবিনে এসে ভাবছি,লোকটা যে এতটা অদ্ভুত তা কখনো কল্পনাও করিনি! সুমি হাতে কফি নিয়ে পাশে এসে বসলো-
সুমি- আম সরি এলিনা! জেরিন আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলো তোর কি হয়েছে। তাই তাকে আমি তোর ব্যাপারটা জানালাম, এরপর সে কখন যে গিয়ে এটা স্যারের কানে দিলো কিছুই বুঝতে পারি নি! আম রেলি ভেরি সরি!
এলিনা- ইটস্ ওকে! (দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
সুমি- নে কফি খা। এরপর কি বললো স্যার?
এলিনা- কি আর..কতগুলো কথা শুনিয়ে দিলো! অদ্ভুত লোক একটা,অসহ্য! আচ্ছা তোরও কি তাই মনে হয় যে আমি মিথ্যা বলছি?
সুমি- নো! আই ট্রাস্ট ইউ! তুই আর এই নিয়ে চিন্তা করিস না কেমন! ভুলে যা সব!
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতে চলেছে, কাজ শেষ করে উঠতে নিবো এমন সময় জেরিন আমার সামনে এসে দারালো-

জেরিন- সো..এনি স্টোরি মিস্ গোম্বস? বিকস্ আই লাইক এরোটিক স্টোরিস্ টু মাচ্! হা হা! বাই বাই হানি! (হাসতে হাসতে পাশ কেটে চলে গেলো)
প্রচুর রাগ লাগছিল এই মেয়ের উপর।এদের কি কোনো কাজ নেই সারাটা দিন মানুষের পেছনে লেগে থাকে যত্তসব! বাহিরে কোথাও কোনো ট্যাক্সি নেই, তাই হেঁটেই পথ পাড়ি দিচ্ছিলাম।হঠাৎ, কেনো জানি বার বার মনে হচ্ছিলো কেউ একজন আমাকে ফলো করছে বাট পেছনে ফেরে তাকাতেই দেখি কেউ নেই! কেমন যেনো অস্বস্তি লাগছিল সামনে তাকিয়ে দেখলাম একটি খালি ট্যাক্সি আসছে,দ্রুত সেটায় উঠে চলে আসলাম বাসায়! রাতে সামান্য কিছু অফিসিয়াল কাছ শেষ করেই ঘুমিয়ে পরলাম! গভীর রাতে একটা স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। স্বপ্নটা এমন যে- আমি আমার ঘরে শুয়ে কফি খাচ্ছিলাম আর মিউজিক শুনচ্ছিলাম হঠাৎ, ডাইনিং স্পেস থেকে খুটখাট শব্দ শুনে আমি মিউজিক ওফ করে দিয়ে সেখানে যাই। ফার্স্টে বাবার রুমে গেলাম- নাহ্! বাবা আর স্যামস্ ঘুমিয়ে আছে, তাহলে কে সেখানে, কিসের শব্দ ছিল সেটা! এক পা দু পা করে এগোচ্ছিলাম, আমার রুমের লাইটের মৃদু আলোতে দেখলাম কেউ নেই সেখানে, ভাবলাম হয়ত মনের ভুল! রুমে ফিরে এসে আবারো মিউজিক ছেড়ে বারান্দায় গিয়ে দারালাম, আকাশটা বেশ ঘনকালো মেঘে ঢাকা, বাহিরের আবহাওয়াটাও অনেক ঠান্ডা, নিশ্চুপ একটা পরিবেশে হাতে কফি নিয়ে চোখটা বন্ধ করে গানের তালে তালে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে লাগলাম! হঠাৎ শীতল বাতাসে একজোড়া শীতল হাতের স্পর্ষ পেলাম আমার কাঁধে, আর সাথে সেই নিশ্বাসের উত্তাপ! চোখটা খুলেই হতবম্ভ হয়ে দাড়িয়ে রইলাম, পিছনে ফেরার সাহস পেলাম না, প্রচুর ঘাম বের হতে লাগলো আমার। ধীরে ধীরে সেই হাতটা কাঁধ থেকে আমার চুলগুলো সরিয়ে নিলো, এবার নিশ্বাসের উত্তাপ আরো বেড়ে গেলো! হঠাৎ, সেই শীতল ঠোঁটের চুমুর স্পর্ষ পেলাম আমার কাঁধে! কয়েকটা সেকেন্ড পার হতে না হতেই কান বরাবর এসে, সেই ঠোঁটগুলো বললো “আই এম ওয়েটিং ফর ইউ!” এটা শুনে হাতের কফির মগটা নিচে পরে গেলো আমার।
ঘুমের ঘোড়টাও কেটে গেলো, শোয়া থেকে উঠে বসলাম বিছানায়, পাশের ল্যাম্প লাইটটি জ্বালিয়ে দিলাম, উফ কি অদ্ভুত স্বপ্ন! ভাবতে ভাবতেই চোখ পরলো বারান্দাতে, দরজাটা খোলা! বাহির থেকে শীতল বাতাস আসছে ঘরের ভেতরে, আমার এখনো স্পস্ট মনে আছে আমি দরজাটা লাগিয়েই শুয়ে পড়েছিলাম কিন্তু এটা কি করে সম্ভব! নো ইটস্ ইমপসিবল! দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে সোজা ওয়াশরুমে গেলাম রিফ্রেশ হতে।মুখে অনর-বরত পানি দিয়ে বেরিয়ে এসলাম, মুখ মুছতে মুছতেই ড্রেসিন টেবিলের আয়নায় চোখ পরলো! আমার বাম সাইডের কাঁধে সেই তিনটা আঙ্গুলের হাল্কা ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে! দ্যাটস মিন ইটস্ নট এ ড্রিম! এটা কিভাবে সম্ভব! কি হচ্ছে আমার সাথে? সে কে? কি চায় আমার কাছে? কেনো বার বার আমার সংস্পর্ষে আসছে, শুয়ে শুয়ে এগুলো ভাবতে ভাবতেই কখন যে চোখ লেগে গেলো!

সকালে অফিসে এসে সুমিকে গত রাতের কাহিনীটা বললাম, আর কাঁধের সেই হাল্কা তিনটা আঙ্গুলের ছাপগুলোও দেখালাম। ওতো দেখে বেশ অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!
সুমি- ওহ্ মাই গড! এটা.... এটা কি করে সম্ভব?
এলিনা- আই ডোন্ট নো! বুঝতে পারছি না কেনো এমন হচ্ছে আমার সাথে! আই কান্ট টেইক ইট এনিমোড় সুমি! এটা আমার হ্যালুসিনেশন না! ইটস্ ইমপসিবল!
সুমি- রিলেক্স রিলেক্স! কফি খা! আমি ভেবে দেখছি কি করা যায়!
এর মধ্যেই ম্যানেজার এসে বললো “মিস্ গোম্বস্! স্যার ইস কলিং ইউ!” উফ! একেতো এসব নিয়ে প্যারায় আছি তার উপর উনি নতুন করে জ্বালানো শুরু করেছে! “ইয়েস আম কামিং, গিভমি যাস্ট ওয়ান সেকেন্ড প্লিস!” দরজা খুলে দেখলাম, বসে ল্যাপ্টপের দিকে তাকিয়ে কি যেনো করছে বেশ মনোযগ দিয়ে!
এলিনা- মে আই কামিং স্যার? (ভয়ে ভয়ে)
লিওন- কামিং! সিট ডাউন প্লিস!
এলিনা- থ্যাংক ইউ স্যার!
লিওন- মিস্ গোম্বস! সামনের সপ্তাহে আমেরিক্যান ক্লাইন্টের সাথে আমাদের কম্পানির একটি বড় ঢিল হতে যাচ্ছে, সো সেই ঢিলটা ফাইনালের জন্য একটি মিটিং এ্যারেন্জড্ করা হয়েছে। দ্যাট’স হোয়াই, দু-দিনের জন্য আমাদেরকে প্যারিস যেতে হবে! এম আই ক্লিয়ার!
এলিনা- আমা.... আমাদের মানে?? (কাপা-কাপাস্বুরে)
লিওন- হুম! আমাদের মানে হচ্ছে- আমি আর আপনি! (দাড়িয়ে পেছনমুখী ঘুড়ে বাহিরে তাকিয়ে)
এলিনা- বাট স্যার আ...মি! (কাপা-কাপাস্বুরে)
লিওন- কাল আপনার পার্সপোটের ফটোকপি আর আই.ডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসবেন... এন্ড প্লিস ইন টাইমে রেডি থাকবেন, মনে থাকে যেনো! কাল বা পরশু আপনাকে এর ডিটেইল্স বলে দেওয়া হবে! এখন আসতে পারেন!
এলিনা- ইয়ে...ইয়েস স্যার! (কাপা-কাপাস্বুরে)

চলবে....
(দয়া করে, অনুমতি ছাড়া কেউ কপি করবেন না!🙂)

04/06/2019

#সন্দেহ
২য় পর্ব

দরজা খুলার পর দেখি শুভ্রের সাথে ২ জন ছেলে কলিগ আরেকজন মেয়ে কলিগ দাঁড়িয়ে আছে।মেয়েটির গায়ের শাড়িটি খুব বেশি পরিচিত লাগছিল,ক্ষণিকেই মনে পরে গেলো শাড়ি টা নীলুর পেইজের সেই শাড়ি যা শুভ্র আমার জন্য অর্ডার করেছিল ভেবেছিলাম!

-এই নীরা,কি হয়েছে তোমার?আর কতক্ষণ দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে?ভেতরে এসো,সবাইকে জিজ্ঞেস করো।

-ওহ,সর‍্যি।আসছি।

-তোমার কি শরীর খারাপ?

-না না,ঠিক আছি আমি।চলো।

ভেতরে গিয়ে দেখি সবাই বসে গল্প করছে।আমি ভিতরে ঢুকতেই শুভ্রের মেয়ে কলিগ টা উঠে এসে আমাকে ধরে বলল-বাহ,ভাবী তো অনেক প্রিটি।অনেক সুন্দর লাগছে তো ভাবী কে কালো শাড়িতে।আমি জোড় করে যেন পানসে হাসি দিয়ে মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি শাড়িটা এত পাতলা তার ব্লাউজের বড় গলা ভেদ করে শরীরের অনেকাংশ দেখা যাচ্ছে।

-নীরা,উনার নাম সুবাহ।তোমার রান্নার অনেক সুনাম করি,তাই আজকে তোমার কাছে রান্না শিখতে ও টেস্ট করতে নিয়ে এসেছি।কি?ভালো করেছি না?

আমি শুধু পানসে হাসি দিয়েই যাচ্ছি।রাতে সবাই একসাথে ডিনারের পর ডেজার্ট খেতে খেতে গল্প করছিলো সবাই।আমি সুবাহ মেয়েটার আচরণ দেখছিলাম,অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে,সে তেমন একটা শুভ্রের দিকে তাকাচ্ছে না বা তার পাশে এসেও ঘেঁসে বসে নি একবারো।

রাতে সবাইকে বিদায় দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি খুলছিলাম,হঠাত শুভ্র পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে কাঁধে চুমু খেয়ে বলল-আজ তোমাকে কেন যেন খুব বেশি মায়াবী লাগছিল।

-কেন?অন্যদিন বুঝি খারাপ লাগে দেখতে?

-আহ!কি যে বলো না।আমার বউ কে কখনোই খারাপ লাগে না।তবে আজ একটু বেশি ই সুন্দর লাগছিল।আচ্ছা,কাল তো শুক্রবার,চলো আজ হরর মুভি দেখি কোনো।

আমার খুব ক্লান্ত লাগা সত্ত্বেও রাজি হয়ে গেলাম।আমি চাইছিলাম শুভ্রের সাথে বেশি বেশি সময় কাটাতে,ব্যাপার টা বুঝতে।কিন্তু আজকে অফিসের কলিগ ই যে সেই মেয়েটা তাতে কোনো সন্দেহ নেই,কিন্তু মেয়েটার আচার ব্যবহারে খুব বেশি কিছু বোঝা গেলো না।
শুভ্র ওয়াশরুমে যেতেই আমি ওর মোবাইল চেক করা শুরু করি,কোনো ম্যাসেজ নেই।এমনকি সেদিনের আনসেইভড নাম্বারের ম্যাসেজ টা ও নেই।সন্দেহ টা আরো যেন বেড়ে গেলো।
তবে কি শুভ্র আন্দাজ করতে পারছে যে আমি জেনে গেছি ব্যাপারটা?

খাটের উপর শুভ্রের শার্ট টা নিয়ে লন্ড্রি বাস্কেটে রাখতে যাবো,হঠাত দেখি শার্টের কাঁধের পাশে এক জায়গায় একটুখানি লাল রঙ,লিপ্সটিকের রঙ!
চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পরল শার্টে। এমন সময় ই ওয়াশরুম শুভ্রর থেকে বের হবার শব্দ শুনে চোখ মুছে অন্য রুমে কাজ গোছাতে চলে গেলাম।

রাতে হরর মুভি দেখলেই আমি শুভ্রের কোলে মাথা রেখে কাঁথার নিচে শুয়ে শুয়ে দেখি,বেশি ভয়ঙ্কর সিন আসলেই কাঁথার নিচে মুখ লুকাই।
আজকে আর শুভ্রের কোলে মাথা রাখার রুচি হয়নি আমার,কিন্তু হঠাত ওর ফোনের রিংটোনে ঘুম ভেঙে দেখি আমি ওর কোলেই শুয়ে ছিলাম।আমার মাথা টা আস্তে করে বালিশে রেখে মোবাইল টা নিয়ে একটু দূরে গেলো।

আমি আড়ি পেতে শুনতে লাগলাম তাদের কথপোকথন।

-হ্যালো,পৌঁছেছো?
হ্যাঁ,ও তো ঘুমাচ্ছে।
হা হা হা,আচ্ছা,তাই নাকি?
ওকে,নীরা জেগে যাবে,পরে কথা হবে।বাই।

আমি চুপটি করে ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকলাম,ও এসে আবার আমার মাথায় হাত দিতেই চোখ খুলে বললাম-মুভি এখনো চলছে?দেখি কয়টা বাজে বলে ওর মোবাইল টা হাতে নিয়ে কল লিস্টে ঢুকে দেখি একটু আগে সুবাহর নাম্বার থেকেই কল টা এসেছিল।

এভাবে আমার সন্দেহের উপরই দিন চলে যাচ্ছিল,মনের ভেতরে আমি পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছিলাম।কিন্তু প্রমাণের অভাবে কিছুই বলতে পারছিলাম না কাউকে।
হঠাত একদিন শপিংমলে একা একা কেনাকাটা করে ক্লান্ত হয়ে ফুডকার্টে জুস খেতে গিয়ে দেখি,শুভ্র আর সুবাহ ২ জন জুস খাচ্ছে আর বসে গল্প করছে।
আস্তে করে নেমে গিয়ে,শুভ্রকে কল দিলাম।

-কোথায় তুমি?

-আমিতো একটা মিটিং এর জন্য প্রিপেয়ার হচ্ছি।ক্লায়েন্ট এর সাথে মিটিং আছে।

-ও,আচ্ছা।কখন আসবে বাসায়?

-এইতো,অফিস শেষেই চলে আসবো।

-আচ্ছা,রাখি তাহলে।বাই।

শুভ্র আমাকে এভাবে মিথ্যা বলতে পারে তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
আমার মাঝে কিসের কমতি যে শুভ্র আমাকে এভাবে চিট করছে!
ছি!নিজেকে যে কেমন ছোটো মনে হচ্ছে তা এই দুনিয়ার কাউকে বুঝাতে পারব না।
কোনোভাবে বাসায় এসে ফ্লোরে বসে অনেক্ষণ কান্নাকাটি করে মা কে কল দিয়ে বললাম কিছুদিন মা এর কাছে থাকবো।আজই আসছি।

রাতে শুভ্র বাসায় এসে আমায় না পেয়ে ফোনের পর ফোন দিয়েছে নিশ্চয়ই।কিন্তু আমার ফোন ছিল বন্ধ।
মায়ের কাছে ফোন এলো,মা যখন বলল আমি মা এর কাছে তখন সে রাতেই আমাকে নিতে আসতে চেয়েছিল।কিন্তু মা বলেছিল আমি অসুস্থ,তাই কিছুদিন থাকতে চাই।
শুভ্র আর কথা বাড়ায়নি।

আর কথা বাড়িয়েও বা কি,ওর মত মানুষের সাথে আমার আর কথা বলতেও রুচিতে বাঁধে।
এভাবে ৩দিন চলে গেলো।আমার অস্থির লাগতে শুরু করলো।শুভ্রকে ফোল ফিলাম,সে রিসিভ করল না।
পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। সকালে ফ্রি রাস্তা,৪০ মিনিটে পৌঁছে গেলাম।আমার কাছে এক্সট্রা একটা চাবি ছিল,সেই চাবি দিয়ে বাসায় ঢুকে দেখি ড্রয়িং রুমের সব কিছু এলোমেলো।কেমন যেন নিজের ঘর টা কে নিজের অপরিচিত লাগছিল।এই বাসায় শুধু আমি আর শুভ্র একাই থাকি বিয়ের পর থেকেই।
বেডরুমের দরজা লাগানো,বাইরে থেকে কেমন যেন ফিসফিস আওয়াজ পাচ্ছি।আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। একটা মেয়ের গলার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।
জোরে একটা শ্বাস নিয়ে দরজা টা খুলেই ফেললাম।

এসি ছেড়ে কম্বল গায়ে দিয়ে শুভ্র ঘুমাচ্ছে,কি যে মায়া লাগছে দেখতে।আর ফিসফিস আওয়াজ টা আসছিল বেডরুমের টিভি থেকে।টিভি ছেড়ে শুভ্র ঘুমিয়ে গেছে।যাক,বুকের মাঝে অনেক বড় পাথর বেঁধে ছিল তা সরল।
কিন্তু শুভ্র তো ধোয়া তুলসী পাতা না তা তো আমি জেনে গেছি।শুভ্রকে দেখতে খুব নিষ্পাপ লাগছে,ইচ্ছা করছে পাশে গিয়ে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিই।কিন্তু এত ভালবাসার মানুষ টার প্রতি আমার অনেক ভয়,ঘৃণা কাজ করতে শুরু করেছে।

-আরে নীরা তুমি কখন এলে?(ঘুম ঘুম চোখে,চোখ কচলে)আমায় ডাকছো না কেন?

-এইতো মাত্র।কেমন আছো তুমি?আর একয়দিন কেমন ছিলে?

-কি হয়েছে তোমার বলোতো,শরীর খারাপ?

-হ্যাঁ,কিছুতো খারাপ।গত কয়দিন ঘুমাতে পারিনি ভালোভাবে, আর শরীরটা এমনি ভালো লাগছে না তাই মায়ের কাছে চলে গিয়েছিলাম।
কথাগুলো বলতে না বলতেই কেমন যেন গা গুলিয়ে বমি আসছিল,দৌড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করলাম।শরীর টা খারাপ লাগছিল কেমন যেন ভার ভার লাগছিল।

শুভ্র সেদিন নিজের হাতে নাস্তা বানিয়ে আমাকে খাইয়ে তারপর অফিসে গেলো।বিছানায় শোবার পর কেমন যেন এক অপরিচিত ঘ্রাণ পেলাম।বুকের ভেতর টা আমার মোচড় দিয়ে উঠলো।

দুপুরের দিকে মাথা ঘুরাচ্ছিল,শরীর খারাপ লাগছিল।বেবিটেস্ট এর স্টিক দিয়ে এমনি রেগুলারের মত টেস্ট করে দেখলাম,জানি পজিটিভ কিছু হবে না তবুও।
কিন্তু আমি নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,সত্যি পজিটিভ দেখাচ্ছে।
এতদিন পর এই খুশির সংবাদে খুশিতে আমার চোখে জল চলে আসার উপক্রম,কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো শুভ্রের বর্তমান অবস্থা।আমি কি এখন ও কে এই নিউজ দিব?সে তো তখন অনেক বেশি অভিনয় করবে,আমার যত্ন নিবে।কিন্তু বাসার বাইরে তো সেই সুবাহ!
আমার সন্তান এক চরিত্রহীন বাবার পরিচয় নিয়ে বড় হবে!?কেন যেন এটা মেনে নিতে পারছিলাম না।ইচ্ছা করছিল নিজেকে আর নিজের সন্তান কে খুন করে ফেলি,নাহয় শুভ্রকে ই খুন করে ফেলি।

চলবে।

★বিঃদ্রঃ লিখা চুরি থেকে বিরত থাকুন।

03/06/2019

সন্দেহ- পর্ব-1

তখনো আমি শুভ্র কে সন্দেহ করিনি,যখন নীলু আমায় ফোন করে বলেছিল-

-নীরা আপা,তুই অনেক লাকি রে।দুলাভাই তো জানে না ফেইসবুকে আমার পেইজ আছে।না জেনেই আমার পেইজে তোর জন্য ২টা শাড়ি অর্ডার করেছে।খুবই সুন্দর।তোকে ছবি পাঠাবো?

-কি বলিস?আমার জন্মদিন তো দেরী আছে,আর এনিরভার্সারি ও গেলো কিছুদিন আগে।হঠাত আবার শাড়ি কেন?

-আরে কপাল করে এসেছিস আরকি।আচ্ছা,তোকে ছবিগুলো দিচ্ছি।

নীলু আমাকে ছবিগুলা পাঠানোর পর দেখলাম ২ টাই পাতলা নেটের পার্টি শাড়ি যেগুলা আমি পরি না।তারপরও কিছু আর ভাবলাম না।অপেক্ষা করতে লাগলাম কবে সে সারপ্রাইজ দিবে।
তারপর দিন গিয়ে মাস গড়ালে ভুলেই গিয়েছিলাম শাড়ির কথা।
হঠাত নীলু আবার ফোন করল,

-আপা,দুলাভাই আজকে খুব সুন্দর দামী একটা নেকপিস অর্ডার করেছে।আর আমার পেইজের শাড়ি দুটো কেমন লাগলো বললি না তো?

তখন মনে পরল,শুভ্র তো আমাকে কোনো শাড়ি ই দেয়নি।

আমি ভালো হ্যাঁ,হুম বলে ফোন রেখে দিলাম।
ভাবতে লাগলাম শুভ্র শাড়ি,নেকপিস এসব কাকে দিচ্ছে?আমায় তো দেয়নি,কিছু বলেও নি।

রাতে শুভ্র বাসায় আসার পর একসাথে ডিনার শেষ করেই সে ল্যাপটপ নিয়ে বসে অফিসের কাজ শেষ করতে।
আমি আমার বানানো নতুন ডেজার্ট নিয়ে এসে পাশে বসে ২জন খাই,আর গল্প করি।। গল্প বললে ভুল হবে,আমি একাই বকবক করি,শুভ্র ল্যাপটপে কাজ করে আর আমি খাইয়ে দিই।ইদানিং খুব ব্যস্ত হয়ে গেছে সে কাজে।

-নীরা,ঘুমিয়ে পরো,যাও। রাত জেগো না আমার জন্য।আমার কাজ শেষ করে ঘুমাতে দেরী হবে।ও আচ্ছা,আমার মোবাইল টা চার্জ থেকে একটু দিয়ে যেয়ো তো।

বেডরুমে গেলাম মোবাইল আনতে,মোবাইল টা হাতে নিতেই একটা টেক্সট এলো অপরিচিত নাম্বার থেকে-
"লেইট নাইট এ ভিডিও কলে এসো,একা একা লাগছে।"

ম্যাসেজ টা পড়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেলো,ধপ্পাস করে খাটে বসে গেলাম।কি হচ্ছে এসব বুঝতে পারছিলাম না।মোবাইলের স্ক্রিন টা লক করে মোবাইল টা নিয়ে শুভ্রের কাছে দিতেই সে মোবাইল টা পাশে রেখে আমার হাত ধরে টেনে আমার কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল-যাও ঘুমিয়ে পরো লক্ষীটি। গুড নাইট।

চলে যাচ্ছিলাম,হঠাত পিছন থেকে শুভ্র ডাক দিল,
নীরা,নেক্সট উইকেন্ড পর এক্সট্রা ২ দিন বন্ধ আছে।আর উইকেন্ড ২ দিন।মোট ৪দিন,কোথাও ঘুরতে যাবে?চাইলে মালদ্বীপে যেতে পারি প্যাকেজে,কি বলো?

হুম,যাওয়া যায়।দেখো সব ঠিকঠাক হলে বুকিং দাও।

আচ্ছা,যাও,কালকে রাতে এ ব্যাপারে কথা হবে।গুড নাইট।

সারারাত ঘুমাতে পারি নি,কান্না করে করে বালিশ ভিজিয়েছি।হঠাত ই বুঝলাম শুভ্র রুমে আসছে,তখনি ওর মোবাইলের রিংটোন টা বেজে উঠলো সাথে সাথেই থেমে গেলো আওয়াজ।শুভ্র পাশে এসে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলো। কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই।কত ভালবাসি এই শুভ্র কে আমি,আর শুভ্র যে আমায় কত ভালবাসে এতদিন বড়াই করে বলেছি সবাইকে।সবাই আমাদের ভালবাসা দেখে হিংসা করত।
তবে হ্যাঁ,আমাদের বিয়ের ৫বছর হলেও কোনো বাচ্চাকাচ্চা নেই আমাদের।সমস্যা টা আসলে আমাদের কারোর ই না,আবার দুইজনের ই অল্প বিস্তর সমস্যা আছে।কিন্তু বাচ্চা হবে না এমন কথা কোনো ডাক্তার ই বলেন নি।
বাচ্চা হচ্ছে না বলে শুভ্রের মনে কখনো আফসোস দেখিনি,আমি মন খারাপ করলেই আমাকে ঘুরতে নিয়ে যায় দেশের ভিতরে,বাইরে।অনেক জায়গায় ঘুরেছি আমরা একসাথে।আমাকে কখনোই মন খারাপ করে থাকতেই দেয় না, সেই শুভ্র কিভাবে অন্য নারীর সাথে সম্পর্কে.... না না,আর কিছু ভাবতে চাই না।আমি একা থাকতে চাই কিছুদিন,কিন্তু এই অবস্থায় শুভ্র কে একা বাসায় রেখে যেতেও কেমন লাগছে।
না,এভাবে ভেঙে পরলে চলবে না,আমি আমার জায়গা ছেড়ে দিব না।ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে গিয়েছিল।

সকালে শুভ্র অফিসে যাবার আগে বলে গেলো আজ সন্ধ্যায় কিছু গেস্ট নিয়ে আসবে,অফিসের বস ও আসবে কিছু যেন রান্নাবান্না করে রাখি রাতের জন্য আর যেন সুন্দর কোনো শাড়ি পরে রেডি হয়ে থাকি।

সারাদিন ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকার পর বিকালে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়ালাম।গায়ের রঙ টা মনে হয় আরেকটু ফর্সা হয়েছে।দেখতে খুব ফর্সা ছিলাম না আমি,উজ্জ্বল শ্যামবর্নের রঙ ই শুভ্রের খুব পছন্দ ছিল।একটু মোটা মোটা লাগছে,চোখের নিচ টা কালো কালো লাগছে।আলমারি থেকে কালো রঙের একটা শাড়ি বের করে পরলাম,চোখে মোটা করে কাজল দিলাম। বিল্ডিং এর নিচেই ফুলের দোকান,দারোয়ান কে দিয়ে বেলী ফুলের মালা এনে হাতে জড়ালাম।
টিং টং কলিং বেল বাজতেই,শাড়ি সামলে,হিজাব ঠিক করে দরজা খুলতে গেলাম।
দরজা খুলে তাকিয়ে সালাম দিব ভেবে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম,এ কি দেখছি আমি!?

চলবে

03/06/2019

#ভ্যামপায়ার_হাসবেন্ড (পর্ব - ১)

অবশেষে জোর করে বিয়েটা করতেই হলো আমার। বাবা পাঁচ-ছয় না ভেবেই শুধু টাকাটা দেখেই, তুলে দিলো অন্যের হাতে। তবে বাবা মার জন্য যে নিজের জীবনটাও উৎসর্গ করে দিতে রাজি আছি,তা ভালো করেই জানেন আমার বাপ! আজ বিকেলেই চার্চে বিয়ে পরানো হলো লিওনের সাথে! শুনে আশ্চর্য হবেন, বিয়েতে শুধুমাত্র গোনায় ১২ থেকে ১৫ জন মানুষ এসেছে।এতবড় একটা ফ্যামিলির মাত্র কয়েকজন মানুষ আসায়, তারা বললো- তাদের নাকি যারা আত্বীয়রা আছেন তারা সবাই নর্থ আমেরিকাতে থাকেন আর বিয়েটা সেরে ফেললেই আমায় নিয়েও সেখানে পাড়ি জমাবেন! হ্যা আর এজন্যই বাবা দেরী না করে, ইনফ্যাক্ট আমাকে না জানিয়েই জোর পুর্বক বিয়েটা দিয়েই দিলেন!
আমি এলিনা গোম্বস্! অনার্স শেষ করে এখন একটি মাল্টি ইন্টার-ন্যাশনাল কম্পানিতে গত ৭ মাস যাবৎ কাজ করছি! বাবা ছোট খাটো ব্যবসা করেন, মা সাড়ে ৩ বছর আগেই মারা গিয়েছেন, আমি পরিবারের বড় মেয়ে আর আমার ছোট ভাই স্যামস্ ,এবার ইন্টারে পড়ে। মধ্যবিত্ত হওয়ায় আর বাড়ির বড় সন্তান হওয়ায় ,পরিবারের সমস্ত কিছু আমাকেই দেখতে হয়। যাক এখন মেইন কথায় আসি!

বিগত ৯ মাস পুর্বে, রেজাল্ট আউটের পর কাজ খুঁজতে শুরু করে দেই এবং অনেক চেষ্টার ফলে এই কম্পানিতে জয়েন করি, জয়েন করার পুর্বে শুনেছি এটা বেশ বড় একটা কম্পানি,এখানে ভালো অঙ্কের বেতনও দেওয়া হয় কিন্তু কাজে মনোযগী হতে হবে। আর হ্যা টাকাটা আমার জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল কারন, আমি চায়নি আমার ভাইটাও অভাবে বড় হোক তাই, যত সেক্রিফাইস সবটুকু ওর জন্যে! জয়েনের পর জানতে পারলাম এখানের যিনি প্রাক্তন এমডি তিনি বেশির ভাগ সময়ই বাহিরে থাকেন তাই উনার উত্তরাধিকারী হিসেবে উনার বড় ছেলে কম্পানি পরিচালনা করেন। দেখতে নাকি বেশ হ্যান্ডসাম, কম্পানির সমস্ত মেয়েদের ক্রাস উনি, কিন্তু উনি নাকি বেশ রাগি, কারো সাথে কাজ ছাড়া কোনো বাড়তি কথাই বলেন না, ইভেন উনার এতো সুন্দর পি এ জেরিন,যে কিনা এখানের সব ছেলেদের ক্রাশ-ওর সাথেও কাজ ছাড়া কোনো কথাই বলেন না, যদিও জেরিন পটানোর বেশ চেষ্টা করেছিল কিন্তু বেচারি অলওয়েজ ব্যর্থ হয়! আরও শুনেছি উনি বেশ ড্যামকেয়ার টাইপের প্যারসন, কারো কাজ যদি পছন্দ না হয়, সাথে সাথে বের করে দেন! এসব কথা আমার কলিগ সুমি আমায় বলেছিল! হ্যা মাস-খানিকের মধ্যেই ওর কথায় বেশ মিল পেলাম ! মি. লিওন ম্যাথইউড বেশ অদ্ভুত একটা মানুষ, প্যান্ট সার্ট পরে,চোখে গ্লাস লাগিয়ে,চুলে ইস্টালিস্ ব্রাস করে, হুর হুর করে হেটে নিজের চেম্বারে যান আবার,কাজ শেষ করেই বেড় হয়ে পরেন, উইথ আউট কোনো হাই হ্যালো ছাড়াই! আর উনাকে পটানোর জন্য জেরিন সবসময় অনর-বরত চেষ্টা করেই যাচ্ছে।আর নিজের কাজগুলো সব আমাকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে! যদিও আমার তেমন সমস্যা হয় না কারন, মাস শেষে টাকাটা যে বেশ প্রয়োজন তাই হয়তো করতে না ইচ্ছে করলেও মুখ বুঝে সব সহ্য করি!
প্রতিদিনের মতোই সেদিনও কাজের বেশ চাপ ছিলো, সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, বাবা ফোন করে বললো আসার সময় তার জন্য ঔষুধ নিয়ে আসতে আমিও ভাবলাম কাল যেহেতু ওফ তাই কালই এসে বাকিটুক করবো, লিফটে উঠে গেলাম।ফোনের দিকে তাকিয়ে, কানে হেডফোন দিয়ে ইউটিউবে নাটক দেখছিলাম, প্রথম সাত তালা পার হবার পর বুঝতে পারলাম কেউ একজন মাত্র লিফটে উঠেছে, আমি আর সেদিকে ধ্যান না দিয়েই নাটক দেখচ্ছিলাম। চার তালা পার হবার পর হঠাৎ লিফ্ট ওফ হয়ে গেলো, ভয় পেয়ে গেলাম, সামনে তাকিয়ে দেখি চারদিক অন্ধকার, শুধু ঘনকালো অন্ধকারে পাশে থাকা মানুষটার অবয়ব বুঝা যাচ্ছিলো, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি করবো! আস্তে আস্তে ফোনের চার্জটাও শেষ হয়ে গেলো। আমার সামনে যিনি ছিলেন বুঝতে পারলাম উনি এক পা দু পা করে আমার দিকে আসছে। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, বারবার বলতে লাগলাম “আমার কাছে আসবেন না বলে দিচ্ছি” সে আস্তে আস্তে করে আমার সামনে এসে পরলো! তার নিশ্বাসের উত্তাপ পরছে আমার নাকের উপর, হাত পা ঠান্ডা হয়ে পরলো আমার কিছুই বুঝতে পারছি না কি হতে যাচ্ছে আমার সাথে! সে তার এক হাত আমার কোমরে রাখলো, আর একহাত দিয়ে আমার ঘাড়ে ধরলো, বরফের মতো তীব্র শীতল হাতগুলো খুব শক্ত করে আমাকে তার কাছে টেনে নিলো, আমি বার বার ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু, তার অশরীরী শক্তির কাছে হেড়ে গেলাম! ধীরে ধীরে নিশ্বাসের উত্তাপ বারতে লাগলো, চোখের এক কোণা জুড়ে পানি বেরিয়ে আসলো আমার হঠাৎ, একজোড়া শীতল ঠোঁটের ছোয়া পরলো আমার ঠোঁটের উপর, সাথে সাথেই চোখদুটো বন্ধ করে ফেল্লাম! কতক্ষণ যাবৎ সেভাবে ছিলাম কিছুই মনে পরলো না, চোখ খুলে নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করি।পাশে তাকিয়ে দেখি বাবা আর স্যামস্ দারিয়ে আছে! বাবা বললো, আমি নাকি অজ্ঞান অবস্থায় লিফ্টে পরে ছিলাম, তারপর তারা আমার একাউন্ট থেকে বাবার নাম্বার নিয়ে বাবাকে কল দিয়ে এখানে আসতে বলে।

এলিনা- আর উনি কোথায়?
বাবা- কে? কে কোথায়???
এলিনা- আমার সাথে যিনি লিফ্টে ছিলো? সে কই?
বাবা- আমাকে তো সিকিউরিটি গার্ড বললো তুই ওখানে একাই পরে ছিলি! আর কেউ ছিলো না সেখানে!
এলিনা- কিহ!!! এটা কিভাবে সম্ভব?
বাবা- কি হয়েছে বলতো? তুই কার কথা বলছিস!
এলিনা- না ... না কিছু না!
আমি আর কিছু বললাম না, মনে মনে ভাবতে লাগলাম “তবে এটা কি আমার হ্যালুসিনেশন!” , “না হতেই পারে না আমি স্পষ্ট তার স্পর্ষ ফিল করেছি, কিভাবে সম্ভব!”
পরের দিন সকালে রিলিস পেলাম, বাসায় গিয়ে বিছানায় বসতেই না বসতেই পাশের ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় চোখ পরলো, খেয়াল করলাম আমার নিচের ঠোঁটের মাঝবরাবর রক্ত জমাঠ বেঁধেছ আছে! ঘাড়ের মধ্যে তিন আঙ্গুলের হাল্কা ছাপ দেখা যাচ্ছে, বুঝতে আর বাকি রইলো না! এটা আমার হ্যালুসিনেশন নয় বরং, বাস্তবে আমার সাথে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত ঘটনা! সারাটা রাত ঘুমাতে পারিনি, বারবার গতরাতের ঘটনা মনে পরতেই শরীরের পশম্ দাড়িয়ে যাচ্ছে! “কে সে? কেনো এমনটা করলো আমার সাথে? না এই অজনা তথ্যের রহস্য খুঁজে বের করতেই হবে আমাকে?!
পরেরদিন সকালে অফিসে গেলাম, সিকিউরিটি গার্ডকে সেদিন রাতের ঘটনা জিজ্ঞাস করতেই, সে বাবাকে বলা কথা আমাকেও বললো, কয়েকবার জিজ্ঞাস করায় উনি একি কথা বললো “না ম্যাম! আপনি ওখানে একাই ছিলেন, আপনার সাথে কেউই ছিল না!” হতাশ হয়ে নিজের কেবিনে যেতে যেতেই দেখি সবাই বেশ হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। সুমি দৌড়ে এসে আমার পাশে বসলো-
সুমি- কিরে কি অবস্থা তোর এখন? শুনেছি পরশু রাতে অজ্ঞান হয়ে পরেছিলি?
এলিনা- হুম! এখন ঠিক আছি!
সুমি- কি হয়েছিল বল আমাকে?
এলিনা- কি করে বলি! তুই কি বিলিভ করবি আমার কথা!
সুমি- অবশ্যই বল!
সেদিনের পুরো ঘটনাটা সুমিকে বললাম!
সুমি- ওহ্ মাই গড! হাউ ইটস্ পসিবল!
এলিনা- কিছুই বুঝতে পারছিনা, কি হল আমার সাথে!
সুমি- থাক তুই কেয়ারফুল থাকিস! এগুলো নিয়ে আর বেশি চিন্তা করলে অসুস্থ হয়ে পরবি! কফি খাবি?
এলিনা- হুম!!!
সুমি- ওয়েট নিয়ে আসছি!
সুমি চলে গেলো আর এর মধ্যেই জেরিন এসে হাজির হলো!
জেরিন- কেমন আছ?
এলিনা- ভালো!
জেরিন- গুড! এনিওয়েস্! বস ইস কলিং ইউ!
এলিনা- ওকে! আম কামিং!
হঠাৎ, বসের কথা শুনে আমি বেশ অবাক হয়ে যাই, বেশ টেনশন হচ্ছিল কেনো হঠাৎ বস আমাকে ডাকবে!

চলবে....

(Don't copy or share)

03/06/2019

প্রিয় পাঠক
নতুন কিছু গল্প নিয়ে আবারো ফিরলাম।
কে কে নতুন গল্প গুলো পরতে। চান তাদের সারা চাই।

Address

Chandra, Nabinagar, Road
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when It"z Santo Rion Alif posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to It"z Santo Rion Alif:

Videos

Share


Other Digital creator in Dhaka

Show All