31/05/2016
আর্টিফিশিয়াল বনাম প্রাকৃতিক খাবার...ও বিজ্ঞাপন ষড়যন্ত্র...
আমি টিভিতে কোন প্রোগ্রামের থেকে অ্যাড বেশী দেখি। কারন ২/৩ ঘন্টা একটা প্রোগ্রাম দেখে যে ম্যাসেজ পাই, ৩০ সেকেন্ডের অ্যাড দেখলে তার থেকে অনেক বেশী ম্যাসেজ পাই। আসল কথায় আসি, সম্প্রতি একটি অ্যাড দেখছি কিন্তু সময়ের সল্পতার কারনে লিখা হচ্ছে না। বার বার যখন ঐ অ্যাড চখে পড়ছে বুকের মধ্যে শিহরিত হচ্ছে। তাই লিখলাম। আপনারা একটু আমাকে দয়া করে সময় দিবেন, একটি গরিব পরিবারের ছেলে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে ঘুমাচ্ছে এভাবে প্রতি রাত সে ঘুমায়। অন্য দিকে তার বন্ধু ধনি পরিবারের একটি ছেলে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পাওডার দুধ খেয়ে ঘুমায়। গরিব ছেলেটি প্রচণ্ড কষ্টে মাকে বলে তার বন্ধুর রাতে দুধ খেয়ে ঘুমানোর কথা । আমিতো একটি অ্যাডের কথা বললাম, এরকম অনেক অ্যাড আছে, যেখানে পাওডার দুধ, মিক্সট পাওডারসহ ভিভিন্ন রকমারি প্রডাক্ট এমনকি বিস্কুটও এছাড়া এ জাতিয় হাজার অন্যান্য প্রোডাক্ট এর অনেক গুণ তুলে ধরা হয়, আর ঐ সমস্ত প্রোডাক্ট এর আকাশ ছোঁয়া মুল্য যা আমাদের দেশের ৮৫ শতাংশ পরিবারের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। আবার কিছু কিছু আছে সন্তান গর্ভে থাকা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত স্টার জলসার ধারাবাহিকের মতো, অথচ বাংলাদেশের কৃষি বিভাগ, ফুড নিউট্রিশন বিভাগ, খাদ্য বিভাগ বা এ জাতিয় বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের ফলমূল, শাক সবজি বা প্রাকৃতিক বিভিন্ন খাবারের পুস্টি গুনের কথা সাধারন জনগনের কাছে তুলে ধরছে না । ফলে আমাদের মনে ধারনা হয়েই যাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল খাবার ছাড়া আমাদের ছেলে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবে বাড়বে না বা বুদ্ধি বিকাশ হবে না । অথচ যারা আর্টিফিশিয়াল খাবারে অভ্যস্ত তাদেরি ছেলে মেয়েদের চখে জন্মের পর থেকে পাওয়ার চশ্মা, বয়স ১২/১৩ হলেও নিজের স্বাভাবিক কাজ নিজে করতে পারে না। এ বিষয়ে অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে কিন্তু এখন তো সবার সময় কম তাই লিখা সংক্ষিপ্ত করতে চাই, তা ছাড়া আমার বক্তব্য এতক্ষণ আমার বিজ্ঞ বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন। এ জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকে অনুরধ করবো বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করতে সাথে সাথে বিবেকবান ও সচেতন বন্ধুদের বলবো আর একটু সচেতন হতে। আমরা আমাদের চার পাশের প্রকৃতি থেকে প্রকৃতির সাথে বাঁচতে চায়, আমাদের প্রজন্মকেও বাঁচেতে চাই। তাই আসুন আর্টিফিশিয়াল খাবার নয় ্্ খাবার হোক প্রাকৃতিক...............।