01/10/2023
সম্প্রতি “কেন ব্রাজিল করি??” শীর্ষক শিরোনামে কিছু তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
তথ্যগুলোতে দাবি করা হচ্ছে:
১. ব্রাজিল বিশ্বকাপ খেলছে ২০ বার, আর আর্জেন্টিনা ১৬ বার।
২. ব্রাজিল ফাইনাল খেলছে ৭ বার, আর আর্জেন্টিনা খেলছে ৪ বার।
৩. ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছে ৫ বার, আর্জেন্টিনা ২ বার।
৪. ব্রাজিল যতবার ফাইনাল খেলেছে, আর্জেন্টিনা ততবার সেমিফাইনালও খেলে নাই।
৫. ব্রাজিল একটানা দুইবার (৫৮,৬২) বিশ্বকাপ জিতেছে, একটানা তিনবার ফাইনাল খেলেছে (৯৪,৯৮,০২)
৬. ব্রাজিলের পেলে আর রোমারিও’র ১ হাজারের বেশি গোল করার কৃতিত্ব আছে। আর আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ও মেসির গোল যোগ করলেও ১ হাজার হয় না।
৭. ব্রাজিলের রোনালদোর বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করার রেকর্ড আছে। আর আর্জেন্টিনার মেসি ও রোনালদোর গোল যোগ করলে হয় ৯ টা।
৮. ব্রাজিল গত ২৪ বছরে কাপ পেয়েছে ১৫ টা,আর্জেন্টিনা ১ টা পেয়েছে ২৮ বছর সাধনা করার পর।
৯. আর্জেন্টিনার ১১ গোল খাওয়ার রেকর্ড আছে।
১০. ২০১৮ সালে স্পেনের কাছে ও ২০০৬ সালে বলিভিয়ার কাছে ৬ গোল খেয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ, দুই দলের ফাইনালে খেলা, আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ও মেসির গোল যোগ করলেও ১ হাজার না হওয়া, বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মেসি ও রোনালদোর মোট গোল সংখ্যা, ব্রাজিলের ২৪ বছরে ১৫ টা কাপের বিপরীতে আর্জেন্টিনার ১ টি কাপ ও আর্জেন্টিনার ১১ গোল খাওয়ার রেকর্ডের তথ্যগুলো সঠিক নয় বরং তথ্যগুলোতে পরিসংখ্যানগত ভুল রয়েছে।
দাবি ১. ব্রাজিল বিশ্বকাপ খেলছে ২০ বার, আর আর্জেন্টিনা ১৬ বার।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলতি বছর কাতারে চলমান বিশ্বকাপটি বিশ্ব ফুটবলের ২২ তম আসর।
১৯৩০ সালে শুরু হওয়া বিশ্ব ফুটবলের এই আসর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়নি। এর বাইরে ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অংশগ্রহণের সংখ্যাটি ২০ নয় বরং চলতি বিশ্বকাপ সহ ২২ বার।