মোহাম্মদ আসাদ আলী

মোহাম্মদ আসাদ আলী মোহাম্মদ আসাদ আলী (MD. I am a member of Hezbut Tawheed, a non-political movement based in Bangladesh, with a mission to build a better and more beautiful world.
(77)

ASAD ALI) বাংলাদেশের একজন লেখক ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তিনি হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ধর্মীয় উগ্রবাদসহ সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তিনি আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

15/11/2024

আলহামদুলিল্লাহ! এক সমাবেশেই ৭০ জন হেযবুত তওহীদে যোগদান

আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আকিদা অনুষ্ঠানে ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্য শোনার পর এভাবেই উপস্থিত সকলে অঙ্গীকার-ফর্ম পূরণ করে তওহীদে ঐক্যবদ্ধ হন।

14/11/2024

যে কারণে ড. ইউনুসকে ইমাম মনে করেন রফিকুল্লাহ আফসারী | মোহাম্মদ আসাদ আলী

11/11/2024

হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে আপনার প্রশ্ন, মতামত ও পরামর্শ জানাতে যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
লিংক কমেন্টে।

কুষ্টিয়ায় হেযবুত তওহীদের ইমাম! হাজার হাজার মানুষের ঢল! ইসলাম দিয়ে রাষ্ট্রসংস্কারের দাবি! হলরুমে জায়গা না পাওয়া ও বাইরে অ...
11/11/2024

কুষ্টিয়ায় হেযবুত তওহীদের ইমাম! হাজার হাজার মানুষের ঢল! ইসলাম দিয়ে রাষ্ট্রসংস্কারের দাবি! হলরুমে জায়গা না পাওয়া ও বাইরে অপেক্ষমান হাজারও কর্মী-সমর্থকের উদ্দেশে ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের সংক্ষিপ্ত ভাষণ।

11/11/2024

হেযবুত তওহীদের সাথে ইসলামিক বিষয়ে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান? আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারটি আমাকে ইনবক্স করুন এবং যুক্ত হয়ে যান আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।

07/11/2024

রাসূল (সাঃ) কেন রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন? Why Did the Prophet Become the Head of State?

04/11/2024

উগ্রবাদীদের হাতে দেশকে ছেড়ে দিবে না হেযবুত তওহীদ
[রংপুর টাউন হল চত্বর]

02/11/2024

যে কারণে ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম অসম্ভব!

01/11/2024

জামায়াতে ইসলামী কেন ছাত্রদেরকে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রস্তাব দিচ্ছে না?

26/10/2024

ভারতের কলকাতা প্রেসক্লাব থেকে হেযবুত তওহীদ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিবাদ সভা লাইভ হচ্ছে।
লিংক কমেন্টে

এবার রংপুরবাসীর সামনে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রের রূপরেখা তুলে ধরলেন ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। আজ দিনব্যাপী রংপুর টাউন হলে ...
24/10/2024

এবার রংপুরবাসীর সামনে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রের রূপরেখা তুলে ধরলেন ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

আজ দিনব্যাপী রংপুর টাউন হলে হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। বর্তমানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় ইসলাম কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, তার বিজ্ঞানসম্মত ও যৌক্তিক রূপরেখা তুলে ধরে তিনি ছাত্র-জনতাকে আহ্বান করেন তারা যেন মানবরচিত ভুল জীবনবিধান চর্চা বাদ দিয়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্বভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নেয়।

দুঃখজনক বিষয় হলো- এই সমাবেশটা পণ্ড করার জন্য রংপুরের স্থানীয় কিছু উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ী উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু আমাদের সঙ্গে ছিল আল্লাহর সাহায্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জনসাধারণের সমর্থন। কাজেই অত্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলার সাথে পুরো প্রোগ্রামটি সম্পন্ন হয়।

যাই হোক ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্যকে সাদর বরণ করে নেওয়ায় এবং উগ্রবাদীদের ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করে দেওয়ায় রংপুরবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

11/10/2024

যারা বলত পূজার মূর্তি দেখাও গুনাহের কাজ, তারা এখন পূজামণ্ডপে গিয়ে ইসলামী সঙ্গীত গায়!
হায়রে ধর্মের রাজনীতি!

10/10/2024

দুইটি ঐতিহাসিক ভুলের মাশুল দিচ্ছে মুসলিম উম্মাহ। কী সেই ঐতিহাসিক ভুলগুলো?

09/10/2024

দুইটি ঐতিহাসিক ভুলের মাশুল গুনছে মুসলিম উম্মাহ।

ভিডিওর লিংক কমেন্টে।

09/10/2024

কোর’আন ও হাদিসে তো মুসলিমদেরকে জামায়াতবদ্ধ জীবনযাপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হইল- সেই জামাত কি তাবলীগ জামাত? নাকি জামাত-শিবির? নাকি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম? নাকি আহমদিয়া মুসলিম জামাত? নাকি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত? তাছাড়া কোর’আন হাদিসে যে আমিরের আনুগত্য করা বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে সেই আমিরই বা কে? তিনি কি খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক? নাকি জামাতের আমির শফিকুর রহমান? নাকি চরমোনাইয়ের আমির ফয়জুল করিম? নাকি তাবলীগের আমির সাদ কান্ধলভী?
আপনার কী মনে হয়?

08/10/2024

এ যুগের মুজতাহিদ- ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম?

[লেখাটি না পড়ে মন্তব্য করবেন না]

একটা রাষ্ট্রকাঠামো দাঁড় করাতে হলে যত ধরনের আইন কানুন বিধি-ব্যবস্থা লাগে তা কিন্তু পবিত্র কোর’আনে নাই। আপনি যদি গভীর মনোযোগ দিয়ে কোর’আন পড়েন তাহলে দেখতে পাবেন- কোর’আনে কিন্তু খুব বেশি আইন কানুন আল্লাহ দেননি। শুধু প্রধান প্রধান কয়েকটি অপরাধের সর্বোচ্চ দণ্ডবিধি ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন- চুরি, ডাকাতি ও ব্যাভিচারের শাস্তি। বলা বাহুল্য, এতটুকু আইন-বিধান-দণ্ডবিধি দিয়ে কিন্তু রাষ্ট্র চলে না। একটা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আরও হাজার হাজার আইন, কানুন, দণ্ডবিধি ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন যে হয়- তা আমাদের চাইতে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ আরও ভালোভাবে জানেন। তবু তিনি এই মৌলিক কিছু বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কোর’আনে কিছুই বলেননি। প্রশ্ন হলো, কেন বলেননি?

কেন বলেননি- তা জানতে হলে আমাদেরকে আগে বুঝতে হবে পবিত্র কোর’আনটা আসলে কী। আসলে কোর’আন কোনো আইনের বই নয়, বা দণ্ডবিধির বই নয়। কোর’আন হলো আল্লাহর দেওয়া সীমারেখা। কীভাবে? ব্যাখ্যা করছি।

ধরেন আপনি একটা মহল্লায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ সেখানে বসবাস করার কারণে ঐ মহল্লার আশেপাশের পরিবেশ, পরিস্থিতি সবই আপনার জানা। ঐ মহল্লার উত্তরপ্রান্তে আরেকটা মহল্লা আছে- যেখানে প্রতিনিয়ত চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া ওখানে সবসময়ই মারামারি, গণ্ডগোল, রক্তপাত লেগেই থাকে। হঠাৎ একদিন আপনার ছোট ভাই আপনার বাড়িতে আসলো। আপনি তাকে বললেন- শোনো, ঐ যে রাস্তাটা দেখছো, ওখান পর্যন্ত তোমার সীমারেখা। পরিস্থিতি যাই হোক তুমি ওই রাস্তা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী মহল্লার ভেতরে ঢুকবে না। ঢুকলে কিন্তু বিপদ হবে। অন্য যে কোনো স্থানে তুমি যেতে পারো, ঘুরতে পারো, বেড়াতে পারো, কোনো অসুবিধা নাই।

এই যে আপনি আপনার ছোট ভাইকে তার সীমারেখাটা বুঝিয়ে দিলেন- এভাবেই আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে তাঁর মো’মেন বান্দাদেরকে সীমারেখা বর্ণনা করে দিয়েছেন, যার বাইরে গেলেই বিপদ। কিন্তু এই সীমারেখার ভেতরে মো’মেনরা স্বাধীন। মানুষ কী পোশাক পরবে তা আল্লাহ নির্ধারণ করে দেননি, শুধু সীমারেখা বলে দিয়েছেন- লজ্জাস্থান ঢাকতে হবে। কী দিয়ে ঢাকবে তা যার যার সংস্কৃতি অনুযায়ী, রুচি অনুযায়ী, অভ্যাস অনুযায়ী, পরিবেশ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। ওখানে আল্লাহর কোনো হস্তক্ষেপ নাই। মো’মেনরা কী খাবার খাবে তা বলেননি শুধু বলেছেন শুকর, রক্ত ইত্যাদি খেতে পারবে না। মো’মেনরা কী গান গাইবে, কী ছবি আঁকবে, কী সিনেমা বানাবে, কী ভাস্কর্য বানাবে, কী সাহিত্য লিখবে তা নিয়ে আল্লাহর কোনো আদেশ বা নিষেধ কোনোটাই নাই, শুধু সীমারেখা বলে দিয়েছেন অশ্লীলতা করা যাবে না, মিথ্যা প্রচার করা যাবে না। সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায়- ব্যক্তিগত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে, খাদ্য নিয়ে, পোশাক নিয়ে, সংস্কৃতি নিয়ে কিংবা অন্যান্য ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আল্লাহ যদি কোর’আনে হাজার হাজার বিধান দিতেন তাহলে মানুষের জন্য তা দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি করত। একবার ভাবুন তো- মেরু এলাকার মানুষ যে পোশাক পরে, যে খাদ্য খায়, যে সংস্কৃতি চর্চা করে, মরু এলাকার মানুষ কি তা পারবে? কখনই না। আবার চিন্তা করে দেখুন- আমাদের দেশের মানুষ এখন থেকে এক হাজার বছর আগে যে আইন কানুন মেনে জীবনযাপন করেছে, এখন কি আমাদের পক্ষে হুবহু সেটা মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে? আমাদের শাসকরা কি চাইলেও সুলতানী যুগের আইন দিয়ে বর্তমান যুগের বাংলাদেশ শাসন করতে পারবেন? পারবেন না, কারণ যুগের সাথে আমাদের জীবনে হাজারও নতুন উপাদান যুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কতকিছু যুক্ত হবে, কতকিছু বাতিল হয়ে যাবে। তাই আল্লাহ ছোটখাটো সকল বিষয়ে কোর’আনে বিধান দিয়ে মানুষকে একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখতে চাননি। তিনি শুধু চূড়ান্ত সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়ে বাকি সবকিছু মানুষের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন বাকিটুকু নিজেদের মতো পরিবেশ পরিস্থিতি ও স্থান-কাল-পাত্র বুঝে নির্ধারণ করে নিতে।

অর্থাৎ আল্লাহর চাওয়া হলো- “আমার এই সীমারেখার মধ্যে থেকে তোমরা তোমাদের স্থান কাল পাত্র বুঝে নিজেদের সিস্টেম ডেভেলপ করে নাও। তারপর সময়ের প্রয়োজনে সেটাকে আপডেট করো, সংস্কার করো, মেরামত করো, কিংবা ঢেলে সাজাও। সেটা তোমাদের ইজতেহাদের ব্যাপার। ওখানে আমি হস্তক্ষেপ করতে যাব না। যাওয়ার দরকারও নাই- কারণ যতক্ষণ তোমরা আমার সীমারেখার মধ্যে থাকবে ততক্ষণ তোমাদের কোনো বিপদ হবে না, তোমরা শান্তিতেই থাকবে, তোমাদের মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু আমার নির্ধারণ করে দেওয়া চৌহদ্দির বাইরে চলে গেলে, অর্থাৎ সীমালঙ্ঘন করলে তোমরা বিপদে পড়বে, তোমরা ইবলিশের আক্রমণের শিকার হবে, তোমাদের জান-মালের নিরাপত্তা থাকবে না, তোমরা অন্যায় অবিচার ও যুদ্ধ রক্তপাতে জড়িয়ে পড়বে।

এখানে আরেকটা কথা না বললেই নয়, আমাদের সমাজে একটা ভুল ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, “ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যত আইন কানুন, দণ্ডবিধি ইত্যাদি প্রয়োজন তা হাজার বছর আগের মুজতাহিদরাই লিখে দিয়ে গেছেন। সুতরাং, এখন আর ইজতিহাদের যুগ নয়। এখন তাকলীদের যুগ। ইসলামী রাষ্ট্রের মুফতীরা আগেকার যুগের ফকিহদের লেখা আইন কানুনগুলো পড়ে মুখস্থ করে রাখবেন, আর যখন যেটা প্রয়োজন হবে ফতোয়া দিয়ে দিবেন- ব্যাস! ইসলামী রাষ্ট্র দিব্যি চলতে থাকবে!”

তাদেরকে হতাশ করার জন্য দুঃখিত- কেননা তাদের ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। যদি কেউ হাজার বছর আগে লেখা ফিকাহর কিতাবগুলোকে ইসলামী শরিয়াহর নামে যুগের পর যুগ ধরে প্রয়োগ করতে চান এবং লোকজনকে জোর করে সেই আইন মানাতে চান, তারা ভুল করবেন। আমি আগেই বলে এসেছি- ১০০০ বছর আগের ইজতেহাদ দিয়ে যদি আজকের যুগের সমস্যার সমাধান হতো, তাহলে তো আল্লাহ কোর’আনেই হাজার হাজার আইন কানুন দিয়ে দিতে পারতেন। আল্লাহ কোর’আনে এত আইন কানুন উল্লেখ করেননি এই জন্য যে, মো’মেনরা যেন আল্লাহর দেওয়া সীমারেখার ভেতরে থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যখন যেই আইন কানুন, বিধি-বিধান ও সিস্টেম প্রয়োজন হবে তা ইজতিহাদ করে নির্ধারণ করতে পারে। কারণ মানবসমাজ নিত্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নতি মানুষের জীবনের হেন দিক নেই যাকে প্রভাবিত করেনি। উটের যুগ শেষ হয়ে মার্সিডিজের যুগ চলে এসেছে। ঢাল তলোয়ার ফেলে দিয়ে মানুষ এখন পরমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই যুগটা তো হাজার বছর আগের মুজতাহিদরা দেখেন নাই। তারা শেয়ার বাজার দেখেন নাই, পারমাণবিক বোমা দেখেন নাই, ডিজিটাল ডিভাইস হ্যাকিং দেখেন নাই, সাইবার যুদ্ধ দেখেন নাই, ক্যাসিনো দেখেন নাই, ক্রিপ্টো কারেন্সি দেখেন নাই, ডার্ক ওয়েব দেখেন নাই। কাজেই একবিংশ শতাব্দীর সঙ্কটের সমাধান হাজার বছর আগের শরিয়াহর কেতাবে পাওয়া যাবে না। তাহলে উপায়? উপায় হলো এই যুগে মো’মেনদের যিনি ইমাম হবেন, তাকেই এই যুগের উপযোগী ইজতেহাদ করতে হবে। আল্লাহর কোর’আনের সীমারেখার মধ্যে থেকে ও রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাহ মোতাবেক তাকে এমন রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলতে হবে- যা হবে ইতিহাসের সবচাইতে আধুনিক, যুগোপযোগী ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা। সেই রাষ্ট্রব্যবস্থার আইন কানুন, দণ্ডবিধি ইত্যাদি হুবহু হাজার বছর আগের ফিকাহর কিতাবের সাথে না-ও মিলতে পারে। আবার এই যুগে যে ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে- ভবিষ্যতে সেটাও সংস্কার করা লাগতে পারে। যদিও সবই করতে হবে আল্লাহর দেওয়া সীমারেখার ভেতর থেকে বা কোর’আনের মানদণ্ডকে স্থির রেখে।

আমাদের জন্য আনন্দের খবর এই যে, ইতোমধ্যেই এই যুগের মুজতাহিদ, ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেছেন। পশ্চিমা বিশ্বের ব্যর্থ প্রমাণিত হওয়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও নয়, আবার হাজার বছর আগে লেখা শরিয়াহ আইনের উপর ভিত্তি করা মোল্লাতান্ত্রিক রাষ্ট্রও নয়, তার প্রস্তাবিত রাষ্ট্রকাঠামো হলো একক ও অনন্য। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের লিংক কমেন্টবক্সে দেওয়া হলো। পাঠকদের কাছে সবিনয় অনুরোধ- আপনারা ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্য শুনুন, মতামত দিন। কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকলে সেটাও উল্লেখ করুন। আমরা আর কড়াই থেকে চুলোয় পড়তে চাই না। পশ্চিমাদের তৈরি বিধান বারবার ব্যর্থ হবার পরও পুনরায় সেই বিধানে শান্তি খোঁজার বৃথা চেষ্টা করতে চাই না। আসুন এবার আল্লাহর বিধান নিয়ে সিরিয়াস হই। কথা বলি। আলোচনা করি। সত্যিকারের রাষ্ট্রসংস্কার করতে উদ্যোগী হই।

***বিশেষ দ্রষ্টব্য: অনেকে ইসলামের রাষ্ট্রব্যবস্থা বলতে বোঝেন মোল্লাতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। অথচ ইসলামে মোল্লাতন্ত্র বা পুরোহিততন্ত্রের কোনো স্থানই নাই। মোল্লাতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর ধারণাটি মূলত ইউরোপের খ্রিস্টান পোপদের মতবাদ।

08/10/2024

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গণতান্ত্রিক ব্লক বিজয়ী হয়েছিল আর ফ্যাসিবাদী ব্লক পরাজিত হয়েছিল। ফলে যথারীতি সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের জয়জয়কার শুরু হয়েছিল, আর ফ্যাসিবাদকে ধিক্কার জানানো শুরু হয়েছিল। দেশে দেশে তখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার হিড়িক শুরু হয়ে যায়। এমন অবস্থা হয় যে, আমাদের বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামগণও তখন গবেষণা করে ইসলামী গণতন্ত্রের ধারণা আবিষ্কার করে ফেলেন। ইসলামের খলিফাদেরকে গণতান্ত্রিক নেতা, মজলিশে শুরাকে পার্লামেন্ট, মদীনা সনদকে সংবিধান, সাহাবীদেরকে নেতা-কর্মী আখ্যা দিতে শুরু করেন। জোর গলায় প্রচার করতে থাকেন- ইসলাম আর গণতন্ত্রের মধ্যে কোনোই পার্থক্য নাই এবং আবু বকর (রাঃ), উমর (রাঃ), উসমান (রাঃ) উনারা আসলে গণতান্ত্রিক শাসকই ছিলেন!

অথচ গণতন্ত্রের মূল থিমটাই হলো- “জনগণের জন্য, জনগণের পক্ষ থেকে জনগণের শাসন।” আল্লাহর কোনো স্থান এখানে নাই। কোনো বিষয়ে জনগণের রায় যদি আল্লাহর দেওয়া রায়ের বিপরীত হয় তাহলে গণতন্ত্র বলে- জনগণের রায় মানতে হবে, আর ইসলাম বলে আল্লাহর রায় মানতে হবে। এখানেই তো গণতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব ও ইসলামের সার্বভৌমত্বের তফাৎ পরিষ্কার বোঝা যায়। কিন্তু, এই পার্থক্য আমাদের ওলামায়ে কেরাম কখনই দেখতে পান নাই। কেউ দেখিয়ে দিলেও স্বীকার করেন নাই। বিভিন্ন গোজামিল দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন- এই যুগে ইসলামী গণতন্ত্রের চাইতে উত্তম ব্যবস্থা আর হতেই পারে না।

আমি তাদের গোজামিল দেওয়া বক্তব্যগুলো দেখি আর ভাবি- যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গণতন্ত্র বিজয়ী না হয়ে ফ্যাসিবাদ বিজয়ী হইত, তাইলে আমাদের এই বিজ্ঞ ইসলামী পণ্ডিতরা কী করতেন? নিশ্চয়ই তারা এতদিনে ইসলামী ফ্যাসিবাদ আবিষ্কার করে ফেলতেন এবং ফ্যাসিবাদের সাথে ইসলামের হাজার হাজার মিল বের করে প্রমাণ করার চেষ্টা করতেন যে, ইসলাম আর ফ্যাসিবাদের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্যই নাই এবং আধুনিক যুগে ইসলামী ফ্যাসিবাদের চাইতে উত্তম ব্যবস্থা আর হতেই পারে না।

বাংলাদেশে হেযবুত তওহীদের উপর উগ্রবাদীদের হা*মলা ও হুম*কির প্রতিবাদে আজকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ...
07/10/2024

বাংলাদেশে হেযবুত তওহীদের উপর উগ্রবাদীদের হা*মলা ও হুম*কির প্রতিবাদে আজকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বক্তারা উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান।
ইনশাল্লাহ এভাবেই প্রতিবাদ চলবে সারা বিশ্বে।

[বিস্তারিত ভিডিওর লিংক কমেন্টে]

Address

#223, Moddho Basabo, Sabujbag
Dhaka
1214

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোহাম্মদ আসাদ আলী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মোহাম্মদ আসাদ আলী:

Videos

Share