আজ বিকালে সিআরপি'র সিনেমার কাজে কামরাঙ্গীরচরের জান্নাতবাগ গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল আমাদের এক সম্ভাব্য অভিনয়শিল্পীর প্রস্তুতি দেখভাল করা। কাজ সেরে ফেরার পথে এক বাজারে ঢুকলাম বাজারটা একটু ঘুরে দেখতে। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন - আমি আসলে মাছবাজারই দেখতে গিয়েছিলাম। তবে, আজকে আমার চোখ আটকে গেল মুরগীর বাজারে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম যে ঢাকার পাশের কামরাঙ্গীরচরে বিশাল বিশাল সব মুরগী কেটে কেটে পিস পিস করে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো যার যতোটুকু লাগছে ঠিক ততোটুকুই কিনে নিচ্ছে। আর দাম ঢাকার কাওরান বাজারের চেয়েও অনেক কম।
বড় বড় খাসি মোরগ দেখে আজ আমিও লোভ সামলাতে পারি নাই। ৭ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটা কিং সাইজের মোরগ কিনে একটু আগে বাসায় ফিরলাম। দোকানী নিজেই কেটেকুটে সব রেডি করে দিয়েছে। লাইভ ওয়েটে দাম নিয়েছে ৩০০ টাকা কেজি!
আমি ডাইনিং টেবিলে বসে যখন এই স্ট্যাটাস
গ্রামের জীবন জিন্দাবাদ! ❤️🧡
পুরুষ মানুষ নাকি দুই প্রকার - জীবিত আর বিবাহিত। নচিকেতার সেই গানের কথা বিশ্বাস করলে আমি জীবিত নই, বিবাহিত! এ্যানিওয়ে, ৭ই মার্চ জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিন। সাত বছর আগের এই দিনে আমরা বিয়ে করেছি। হাসি-কান্না-আনন্দের সাথে এখনো একসাথে আছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন বাকী জীননটাও একসাথে কাটিয়ে দিতে পারি।
Shawkat Ara Fatima Mow Happy Marriage Anniversary!
It was a day to remember forever!
Nice reaction from the Founder of CRP!
আমাদের টমেটো ক্ষেতে একদিন!
Happy Birthday My Baccha, Asif Mas-ud Khan!
মৎস্য মারিবো, খাইবো সুখে!
আমরা গ্রামের মানুষ। গ্রামই আমাদের প্রথম ও শেষ ঠিকানা। তাই, সময় পেলেই আমরা গ্রামে চলে যাই। পরিবারের সাথে সময় কাটাই। মা-বাবা, ভাই-বোন ও একমাত্র ভাতিজা আসিফের সাথে আমাদের সময়টা দারুণ কাটে!
মাঝেমধ্যে সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা গেট-টুগেদারও করি। আজ সকালে বাবা ও চাচাতো ভাইদের নিয়ে মানিকগঞ্জের তরা ঘাটে গিয়েছিলাম তাজা মাছ কিনতে। রুই, কাতল ও গ্র্যাসকার্প মিলে কিনেছিও অনেক।
দুপুরে ভোজ হবে!
সাভারের সিআরপি-তে এক বিকাল!
ফার্মগেট থেকে ফেরার পথে মৌ আর আমি পূর্ব রাজাবাজারের এক মুরগীর দোকানের সামনে থামলাম। তারপর কৌতুহলবশত বিক্রেতাকে ফার্মের/ব্রয়লার মুরগীর বাজার দর জিজ্ঞেস করলাম। হঠাৎ আমাদের চোখ আটকে গেল খাঁচায় রাখা খুব বড় সাইজের একটা মোরগের দিকে। দোকানী আমাদেরকে জানালেন যে এগুলি পাহাড়ি মোরগ, দাম ৪২০ টাকা কেজি! আমাদের আগ্রহ কিছুটা বেড়ে গেল। আমরা আগে কখনো এই ধরনের মোরগ কিনি নাই।
আমাদের আগ্রহ দেখে বিক্রেতার উৎসাহ বেড়ে গেল। তিনি দোকানের সামনের জটলা থেকে এক ভদ্রলোককে ডেকে নিয়ে এলেন। সেও জানালেন যে এগুলি খেতে নাকি অসাধারণ! আমরা কনভিন্সড হলাম এবং শেষ পর্যন্ত ৪০০ টাকা কেজিতে ৪ কেজি ওজনের এই মোরগটি কিনে বাসায় ফিরলাম। এগুলি আসলে খেতে কেমন আর দামইবা কেমন?
এখন অবশ্য আমাদের বাসায় পোলাও আর এই পাহাড়ি মোরগটি রান্না হচ্ছে...