মূর্খ?

মূর্খ? যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ।
যদি তুমি রুখে দেও, তবেই বাংলাদেশ।

স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিস্বাস করুন ভালো থাকা...
24/11/2024

স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।
বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিস্বাস করুন ভালো থাকার জন্য অনেক বেশি টাকার দরকার একদম-ই নেই। দরকার আপনার ভালোবাসার।
জীবন থেকে যে একটা সেকেন্ড চলে যায় সেটা আমরা আর কখনো ফিরে পাই না। আর আপনি বছরের পর বছর স্ত্রী, সন্তান রেখে বহুদূরে পরে আছেন!
এই কি জীবন? কোথায় সুখ? কোথায় আপনার স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা? কোথায় সন্তানের জন্য স্নেহ?
হ্যাঁ, টাকা-পয়সা জীবনে অনেক দরকার কিন্তু; ভেবে দেখেন তো সারাদিনে ৩০০ টাকা রোজগার করা মানুষটা যখন দিনশেষে ঘরে ফিরে তার সামনে জল দেওয়ার জন্য একজন মানুষ আছে, সে রাতে তার স্ত্রী, সন্তানদের পাশে ঘুমাতে পারে, তার অসুস্থতায় তার স্ত্রী তাকে সেবা করে, তার সন্তান দূর থেকে তাকে দেখে দৌড়ে এসে কোলে ওঠে।
কোনো নারীর জীবন থেকে এমন সময় কেঁড়ে নিবেন না যে সময়টায় সে শুধু আপনাকে কাছে চায়।
বাইরে গেলে যখন তার চোখে পরে পাঞ্জাবি পরা কোনো এক ছেলে তার প্রিয়তমার হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছে, তখন আপনার স্ত্রীর ভেতর থেকে দীর্ঘস্বাস বের হওয়া ছাড়া আর কিছু-ই করার থাকে না।.
আপনি সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে বউকে দামী শাড়ি আর গহনা-ই পরিয়ে গেলেন। কিন্তু যে সময়গুলো আপনারা হারিয়েছেন সেটা আর আসবে না কোনোদিন। উত্তপ্ত প্রেম টাকার তলায় চাপা দিয়ে দিলেন।
আপনার সন্তান যখন রাস্তায় দেখে কোনো বাবা তার ছেলেকে রঙিন বেলুন কিনে দিচ্ছে, তখন সে আপনাকে খোঁজে।
সন্তান যখন দেখে তার বয়সী বাচ্চা তার বাবার হাত ধরে বাজারে যাচ্ছে তখন সে আপনাকে খুব মিস করে।
সে আপনার আদর্শে বড় হবে। তখন সে আপনার কাছে ৫ টাকার প্রয়োজনে ১০ টাকা চাইবে না। বরং ১০ টাকার কাজ টা ৫ টাকায় মিটমাট করার চেষ্টা করবে।
কাজের চাপে আপনি সারাদিনে বউকে মনে করার তেমন সময়ও পান না অনেক সময়।
এদিকে দুপুরের নাওয়া-খাওয়া শেষ করার পর আপনার স্ত্রীর অলস বিকালে আর সন্ধ্যা নেমে আসতে চায় না।

জানালা দিয়ে সে বাইরে তাকিয়ে দূরের ঐ নীল আকাশে রং বেরঙের কত কী দেখে। দেখে না শুধু আপনাকে।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর বাম পাশে আপনাকে না পেয়ে বুকে আকাশ সমান বোঝা নিয়ে আপনার স্ত্রী ঘুমিয়ে যায়। এভাবেই আপনার বয়স ৫০ পেড়িয়ে যাবে, স্ত্রীর চোখ ধূসর হয়ে আসবে।
হলো না আপনাদের কদম হাতে বৃষ্টিতে ভেজা।
আর হলো না আঁকাবাকা রাস্তায় পা মিলিয়ে সামনে হাটা। হলো না সন্তান বুকে নিয়ে ঘুমানো

তাঁর ডাক নাম ছিল রুমা, ভালো নাম কমলিকা। অনেকেই জানেন না, এই কমলিকা নামটি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই এই নামটি রুমা ...
22/11/2024

তাঁর ডাক নাম ছিল রুমা, ভালো নাম কমলিকা। অনেকেই জানেন না, এই কমলিকা নামটি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই এই নামটি রুমা রেখে দিয়েছিলেন বুকের মধ্যে, একান্ত নিজের করে। সকলের করতে দিয়েছিলেন শুধু ডাক নামটিকে। তাই এই ডাক নামেই বিখ্যাত হয়েছিলেন রুমা গুহঠাকুরতা।

একাধারে গায়িকা ও নায়িকা রুমার জন্ম হয়েছিল ১৯৩৪ সালে। যশোরে। বাবা সত্যেন্দ্রনাথ ঘোষ, মা সীতা দেবী। মা ছিলেন এইচ এম ভি’র নিয়মিত গায়িকা। বাবাও ছিলেন অভিনয় আর সঙ্গীতের সমঝদার গুণী মানুষ। পাড়ার নাটকেপালায় অভিনয় করতেন। তাই গান আর অভিনয় রক্তে নিয়েই জন্মেছিলেন রুমা। মায়ের কাছেই তাঁর গানের তালিম হয়েছিল, অভিনয়টা শুরু হয়েছিল হঠাৎ সুযোগে।

দেশ ভাগের পর বাবা চাকরি নিয়ে কলকাতায় এলেন। মা এখানে এসে খুললেন গানের স্কুল ‘স্বরবিতান’। নামটা বাবার দেওয়া। এটাই কলকাতার প্রথম গানের স্কুল। কলকাতায় এসে রুমা যোগ দিলেন উদয় শঙ্করের ট্রুপে। ভারতের নানান প্রান্তে নাচের অনুষ্ঠান করতে লাগলেন। বোম্বের এক অনুষ্ঠানে তিনি চোখে পড়ে গেলেন তখনকার হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত নায়িকা দেবিকারানির। তিনি ডাকলেন বোম্বে টকিজের ছবি ‘জোয়ার ভাটা’য় একটি নর্তকীর ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য। এটি অভিনেতা দিলীপ কুমারের প্রথম ছবি। এই ছবি দিয়েই চলচ্চিত্র জগতের যাত্রা শুরু হল রুমার, নাম হল, রুমা দেবী। তারপর হিন্দি ও বাংলা মিলিয়ে অনেক বিখ্যাত ছবি তাঁর অভিনয় দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন।

ছায়াছবিতে রুমা দেবীর বিশেষত্ব ছিল তিনি অন্যের গানে লিপ দিতেন না। ‘আশিতে আসিও না’-ছবির জন্য ‘তুমি আকাশ যদি হতে’ গানটি রেকর্ডিং করা হয়ে গিয়েছিল। গানটি ডুয়েট। প্রথমে মান্না দে ও বনশ্রী সেনগুপ্তের কন্ঠে রেকর্ডিং করা হয়েছিল। তখন অন্য এক নায়িকার অভিনয় করার কথা ছিল। তিনি করতে না পারায় নেওয়া হয় রুমাকে। তখন রুমার শর্ত অনুযায়ী গানটি আবার রেকর্ডিং করতে হয়। ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল গানটি।

বম্বে টকিজের বাংলা ছবি ‘সমর’-এ অভিনয় করতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল কিশোর কুমারের সঙ্গে। সেখান থেকেই প্রেম ও বিয়ে। বিয়ে হল, সংসার হল। সেইসঙ্গে প্রাণের গান নিয়ে আরও মেতে উঠলেন। শৈলেন্দ্র, সলিল চৌধুরী, মান্না দে কে নিয়ে গড়ে তুললেন গণসঙ্গীতের দল ‘বম্বে ইয়ুথ কয়্যার’। কিশোরের সঙ্গে বিচ্ছেদ হল কয়েক বছরের মধ্যেই। অমিতকে কোলে নিয়ে কলকাতায় ফিরলেন। সে এক নিঃসঙ্গ সময়। সেই সময় অবলম্বন খুঁজে পেলেন শিল্পী অরূপ গুহঠাকুরতার মধ্যে। বিয়ে হল, নতুন সংসার হল। পদবি পেলেন গুহঠাকুরতা। এসময়ই গড়ে তুললেন ‘ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার’। ব্রত নিলেন দিকে দিকে বাংলা গণসঙ্গীতকে ছড়িয়ে দেওয়ার। জানালেন, ‘ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম’। এই সঙ্গীতসংঘই ছিল তাঁর আমৃত্যু অবলম্বন।

© পার্থ সারথি পান্ডা

বিশ্রী একটা স্বপ্ন দেখে হুড়মুড় করে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। স্বপ্নে দেখলাম আমার প্রেমিকা এক যুবকের সাথে একই বিছানায় শুয়ে...
20/11/2024

বিশ্রী একটা স্বপ্ন দেখে হুড়মুড় করে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম।

স্বপ্নে দেখলাম আমার প্রেমিকা এক যুবকের সাথে একই বিছানায় শুয়ে আছে।

'শুয়ে থাকা ' মানে আমি শুয়ে থাকাকেই বোঝাচ্ছি, অন্য কোনো দুষ্টুমি না। কিন্তু একই চাদরের নিচে ঠিকই শুয়ে আছে।

স্বপ্নে এমনটাই দেখলাম।

এই স্বপ্ন দেখে মনটা প্রচণ্ড রকম খারাপ হয়ে গেলো। শরীরটা কেমন যেনো এক অবসাদে ভার হয়ে গেলো। প্রচণ্ড পানির পিপাসা পেলো। এসি অন থাকার পরেও কপাল আর গলা দিয়ে ঘাম ঝরতে লাগলো। কিছুই ভালো লাগছিলো না।

পাঁচ দশ মিনিট বিছানার উপর টানা বসে থাকলাম। ওটা যে স্রেফ একটা স্বপ্ন ছিল সেটাই যেনো নিজেকে বোঝাতে থাকলাম।

অন্যান্য দিন ঘুম থেকে উঠেই আমি জেরিনকে মেসেজ পাঠাই বা কল করি। জেরিনও তাইই করে।

যেদিন জেরিন আগে ঘুম থেকে ওঠে, সেদিন ও গুড মর্নিং মেসেজ পাঠায়।

এই এক বছর ধরে আমরা সকালে একজন আরেকজনের মেসেজ দেখে চোখ খুলি।

গত এক বছরে আমাদের অনেক কিছুই হয়েছে। অনেক ঝগড়া, হাসি, কান্না, রাগ, ঠাট্টা সবকিছুই। কিন্তু এমন কোন সকাল নেই যেই সকালে আমরা ফ্রেশ স্টার্ট করিনি।

এমনও হয়েছে, আগের দিন রাতে ফাটাফাটি ঝগড়া করে ব্রেক আপ করে আমরা ঘুমাতে গেছি, কিন্তু পরের দিন সকালেই আবার আমি ওকে মেসেজ পাঠিয়েছি। জেরিনও তার রিপ্লাই দিয়েছে। নিমিষেই আমাদের ঝগড়া শেষ হয়ে গেছে।

কিন্তু আজ আমি ফোন হাতে নিয়ে জেরিনকে কোনো মেসেজ পাঠাতে পারলাম না, কল করতে পারলাম না।

স্বপ্নটা যেনো একদম স্বপ্ন নয়, মনে হচ্ছে আমার চোখের সামনে ঘটেছে। আমার প্রচণ্ড ভয় হলো - কল করলেই হয়তো শুনতে পাবো জেরিন গতকাল রাত্রে আসলেই সেই যুবকের সাথে ছিলো।

কিছুক্ষণ এমন ঝিম মেরে বসে থাকতে থাকতেই জেরিন মেসেজ পাঠালো।

আমি কোনো রিপ্লাই দিলাম না।

জেরিন কল করলো কিন্তু তাও আমি রিসিভ করলাম না।

আমি কিছুতেই এই স্বপ্নের ঘোর থেকে বের হতে পারছি না। আমার হয়তো আরো সময় লাগবে।

আধা ঘণ্টা পর ফ্রেশ হতে ঢুকলাম। গোসল টোসল সেরে জামা কাপড় পরে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলাম।

অফিসে ঢুকে জেরিনের সাথে আমার চোখাচোখি হলো, কিন্তু আমি কোনো কথা বললাম না। সরাসরি আমার কিউবিকেলে যেয়ে বসলাম।

জেরিন আমাকে মেসেজ পাঠালো, ইজ এনিথিং রং?

আমি কোনো রিপ্লাই দিলাম না।

আমার রুম থেকে জেরিনকে দেখা যায়। জেরিনের পাশে বসা ছেলেটাকেও দেখা যায়।

ছেলেটা অফিসে নতুন এসেছে, ওর নাম রাসিক। জেরিনের রেফারেন্সেই আমি ওকে চাকরিটা দিয়েছি।

কিন্তু অনেকদিন ধরেই খেয়াল করছি জেরিন আজকাল রাসিকের সাথে খুব বেশিই হাসাহাসি করছে।

গল্প করতে করতে একদম গায়ের উপর ঢলে পড়ছে।

আমি কয়েকবার জিজ্ঞেসও করেছি , রাসিকের সাথে তোমার এতো হাসাহাসি কিসের?

জেরিন আমাকে বলেছে রাসিক ওর জাস্ট কলিগ, এবং জাস্ট ফ্রেন্ড, এর বেশি কিছু না।

বরং আমি ওদেরকে নিয়ে কেনো এরকম ভাবলাম সেটা নিয়ে অনেকক্ষণ অভিমান করে থাকলো।

আমি আমার এমন কুচিন্তার জন্য অনেক দুঃখ প্রকাশ করলাম। অনেকবার সরিও বললাম।

জেরিন আমাকে আশ্বাস করেছে ওদের ভিতর এমন কিচ্ছু নেই।

কোথায় আমি আর কোথায় রাসিক!

আমি যেনো এরকম বাজে চিন্তা আর কখনোই না করি।

আমি জেরিন আর রাসিককে সন্দেহ করা বন্ধ করলাম।

জেরিন অফিসে আমার আন্ডারে জয়েন করেছে দেড় বছর হলো। অফিসে এসেই ওর রূপে গুণে আমাকে মুগ্ধ করে ফেলেছে। শুধু আমাকে না, সবাইকেই।

ওর সাথে যারা জয়েন করেছিলো তাদের সবার থেকে জেরিন আলাদা। তাই সবার আগে জেরিন প্রমোশন পেয়েছে, আমিই রেফার করেছি।

ছয় মাসের মধ্যেই জেরিন ইন্টার্ন থেকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হয়ে গেলো। এতো অল্প সময়ে পরপর দুটো প্রমোশন এই অফিসে এর আগে কেউ পায়নি।

এটা রেকর্ড। হ্যা, আমি জানি এটা আমার জন্যই হয়েছে। আমার রিকমেন্ডেশন ছাড়া জেরিন এই মাইলস্টোন কিছুতেই অর্জন করতে পারতো না।

কারণ অফিসিয়ালি আমি জেরিনের ম্যানেজার। ওর কর্পোরেট ফাদার। ওর প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট সব আমার হাতেই।

কিন্তু আমি জেরিনকে সেটা বুঝতে দেইনি। ওকে বুঝিয়েছি ওর পারফরমেন্সের কারণেই ও এরকম সাফল্য পেয়েছে।

প্রথম যেদিন জেরিনের সাথে আমার দেখা হয়েছিলো, সেদিন ও একটা স্লিভলেস টপস পরে এসেছিলো। মিথ্যা বলবো না, আমি ওর প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলাম।

পরে অবশ্য জেনেছি যে, জেরিনও নাকি প্রথম থেকেই আমার প্রতি..... দূর্বল।

এ কারণেই হয়তো জেরিনই আমাকে প্রপোজ করেছিলো।

প্রপোজ করার আগে আমাদের অনেক চ্যাটিং হতো। একসাথে লাঞ্চ করতে বাইরে যেতাম। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে প্রায় মধ্য রাত পর্যন্ত কথা বলতাম। কিন্তু কেউ কাউকে ভালোবাসি বলিনি।

একদিন।

অফিসের লিফটে শুধু জেরিন আর আমি ছিলাম। খুব সংকোচ নিয়ে ওর হাত ধরেছিলাম। ওমনি জেরিন আমার ঠোঁটে এক প্রকাণ্ড চুমু বসিয়ে দিলো।

আমি সামলে ওঠার আগেই ঠোঁট সরিয়ে জেরিন বললো, তুমি এতো ভীতু, কিছু পারো না।

আমি জেরিনকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নিলাম। ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলাম কয়েক সেকেন্ড।

সেদিন থেকেই আমাদের শুরু।

আমরা বাইরে দেখা করি, ঘুরতে যাই, খেতে যাই। কিন্তু অফিসে আমরা খুব রিজার্ভ থাকি। অফিসের কেউ আমাদের সম্পর্কের কথা জানে না।

অফিসে দুইজন একা কথাও বলি না, পাছে কেউ সন্দেহ করে। এভাবেই চলছে আমাদের সম্পর্ক।

যেটা বলছিলাম.... সপ্নের কথা।

আমি রুমে বসে দেখলাম জেরিন আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে, আর ইশারা করছে আমার ফোন দেখতে।

আমি ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম জেরিন আবার মেসেজ পাঠিয়েছে। লিখেছে কিচেনে আসো, কফি খাবো।

আমার কেনো যেনো যেতে ইচ্ছা করছিলো না। এই স্বপ্নের ঘোর না কাটা পর্যন্ত আমার কিছুই ভালো লাগবে না বোধ হয়।

জেরিনকে আজ একটু অগোছালো দেখাচ্ছে। প্রতিদিন যেমন পরিপাটি ফিটফাট হয়ে আসে আজ তেমন আসেনি।

জেরিন আজ গতকালের ব্ল্যাক কামিজটাই পরেছে। ব্ল্যাক কামিজের উপর গোল্ডেন কাজ। এই ড্রেসটা আমিই কিনে দিয়েছিলাম ওকে।

গতকাল আমাদের প্রেমের এক বছর পূর্ণ হলো। আর এই ব্ল্যাক কামিজটা ছিলো ওকে দেওয়া আমার প্রথম গিফট।

তাই আমিই বলেছিলাম প্রথম অ্যানিভারসারির দিন আমার দেওয়া প্রথম গিফটটাই পরে এসো।

তাই জেরিন গতকাল এই কামিজটাই পরে এসেছিলো।

কিন্তু আজকেও পরেছে। পরপর দুইদিন একই ড্রেস জেরিন আগে কখনো পরেনি।

আজ কেনো পরেছে? আমার খুব পছন্দ তাই?

মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম জেরিন একের পর এক মেসেজ পাঠিয়েই যাচ্ছে।

আমি কিচেনে গেলাম। জেরিনও এসেছে। ও কফি বানাচ্ছে আমার জন্য। আমি পিছনের টেবিলে হেলান দিয়ে ওকে দেখছি।

জেরিনের চুল এলোমেলো হয়ে আছে। বাম হাতে কালো চুলের ব্যান্ডটা পরে আছে। চুলগুলো কোমরের ঠিক উপরেই এসে থেমে গেছে। এই কারণেই হয়তো কোমর আর নিতম্বের মিলনস্থল এতো আকর্ষণীয় লাগছে।

খুব ইচ্ছা করছে পেছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরতে।

কিন্তু লোভ সংবরণ করলাম। কেউ দেখে ফেললে খুব সমস্যা হবে।

জেরিন কফি বানিয়ে আমার দিকে ফিরলো। জেরিন আজ একদমই উশকো খুশকো। চোখের নিচে কালিও পড়েছে। রাতে ঘুমায়নি নাকি?

আজকাল আমরা রাতে বেশি কথা বলি না। তবুও কি জেরিন গতকাল রাত জেগেছে?

আমি তখনো স্বপ্নের ঘোর থেকে বের হতে পারিনি।

সেই কারণেই কি না, আমি খুব আচমকা জেরিনকে জিজ্ঞেস করে বসলাম, তুমি গতকাল রাত্রে কোথায় ছিলে?

আমার প্রশ্নে জেরিন প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলো যেনো! মুখটা একদম ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। চোর হাতেনাতে ধরা পড়লে যেমন দেখায় একদম তেমন দেখালো।

জেরিন মাথা নিচু করে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কিভাবে জানলে?

আমি বুঝে গেলাম কোথাও কোনো ঘাপলা আছে। বুদ্ধি করে বললাম, আমি যেভাবেই হোক জেনেছি, কিন্তু তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই। খবরদার কিচ্ছু লুকাবে না।

এরকম প্রশ্ন করার সাহস আমার আগে ছিলো না। কিন্তু ওই স্বপ্নের কারণেই আমি হয়তো এতো সাহস পেয়েছি।

জেরিন চুপ করে আছে দেখে আমি আবার বললাম, তুমি রাসিকের সাথে ছিলে, তাই না?

জেরিন মাথা তুলে তাকালো। ওর চোখেমুখে অপরাধীর ছাপ স্পষ্ট। পুরো ব্যাপারটা বুঝতে আমার আর কোনো কষ্ট হলো না।

এরপর জেরিনের কাছ থেকে সবটা শুনলাম।

বেশ কিছুদিন হলো রাসিক আর জেরিনের সম্পর্ক চলছে।

রাসিক নাকি ওনেক অ্যাগ্রেসিভ আর পজেসিভ। জেরিনকে না পেলে ও সুইসাইড করবে। হাত কেটে জেরিনকে ভয় দেখিয়েছে। সুই ফুটিয়ে জেরিনের নাম হাতে ট্যাটু করে লিখেছে।

তাই জেরিন না করতে পারেনি।

গতকাল রাতে ওরা রাসিকের ফাঁকা বাসায় একসাথেই ছিলো। একই চাদরের নিচে। ওদের মধ্যে সব কিছুই হয়েছে!

আমি জেরিনকে কিছু না বলেই কিচেন থেকে বের হয়ে এলাম।

রুমে এসে ভাবছি এটা কি হলো আমার সাথে! আমার এখন কি করা উচিৎ?

তখনই আমার স্ত্রী কল করলো।

একবার রিং বাজতেই কল রিসিভ করলাম। মৌ বললো, কি ব্যাপার আজকে একবার কল না করতেই রিসিভ করলে যে! কাজের প্রেসার কম নাকি আজকে?

হুম।

আজকাল তোমার অনেক প্রেসার যাচ্ছে, তাই না?

হুম।

এতো কাজ করে কি হবে বলো? তুমি আজকে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এসো, তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।

মৌ আমার বিবাহিতা স্ত্রী। পাঁচ বছর হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে।

বিয়ের পর আমাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিলো। কিন্তু গত এক বছর ধরে কেমন যেনো একটা শীতল ভাব চলে এসেছিলো আমাদের মধ্যে!

আমি মৌকে তেমন একটা ফিল করতে পারছিলাম না।

না মানসিকভাবে, না শারীরিকভাবে।

ঠিক এমনই এক সময়ে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিলো জেরিন।

সেই বিশ্বাসঘাতক জেরিন! আমিও নই কি?

মৌয়ের কাছ থেকে সারপ্রাইজের কথা শুনে মনে হলো ও বোধ হয় সব জেনে গেছে। আমি ফোন রেখেই ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বললাম। আধা ঘন্টার মধ্যে বাসায় পৌছালাম।

বাসায় গিয়ে দেখলাম, মৌ আমার জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনে রেখেছে। কুচকুচে কালো পাঞ্জাবি। তার উপরে গোল্ডেন কালারের কাজ!

আমি মৌয়ের দিকে তাকালাম। লাস্ট কবে ওকে একটা জামা কিনে দিয়েছি আমি মনে করতে পারলাম না।

আমি মৌকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে উঠলাম।

আমি আর কখনো সারপ্রাইজ চাই না।

অনেক কুলাঙ্গারের মত আমিও বুঝিনি নরমাল জীবনটাই যে অনেক সুখের!

⛔ সারপ্রাইজ

🖋Nishad R.Prithul

তারপর, আমাকে মনে পড়লেকুকুরদের বিস্কুট কিনে দিও।;খাঁচা নয়—ঝরে পড়া পাখিটিকে তুলে দিও মগডালে—শুশ্রুষা শেষে।
17/11/2024

তারপর, আমাকে মনে পড়লে
কুকুরদের বিস্কুট কিনে দিও।;
খাঁচা নয়—
ঝরে পড়া পাখিটিকে তুলে দিও মগডালে—
শুশ্রুষা শেষে।

চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে সম্মানের দিক থেকে অনেক উঁচুত...
17/11/2024

চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে সম্মানের দিক থেকে অনেক উঁচুতে উঠাতে পারে। আবার অসম্মানের একদম নিম্ন মানের জায়গাতেও নামিয়ে এনে দাঁড় করাতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে অনেক আর্থিক এবং সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারে। আবার সেই নারীই একজন পুরুষকে ভিক্ষুক হিসেবে কিংবা সমাজের একদম গরীব পুরুষ হিসেবে পরিণত করতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মা-বাবা ভাই-বোন ছাড়া করে সে একাই রাজত্ব বহণ করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের, মা-বাবা ভাই-বোন এর সাথে মিলেমিশে নিজেকে প্রকৃত সুন্দরী নারী হিসেবে তৈরি করতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে পরিবার ছাড়া, ঘর ছাড়া, সমাজ ছাড়া, দেশ ছাড়া করতে- বাধ্য করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে একটা সুন্দর ঘর, একটা সুন্দর পরিবার এবং সুন্দর একটা সমাজ তৈরি করে- সুন্দর একটা বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - শত রকমের খারাপ একজন পুরুষকে ভালো করে গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন ভালো পুরুষকে নষ্ট করে সমাজ থেকে উৎখাত করে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মৃত্যুর রাস্তায় পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে! শুধু কেবল রব এর হুকুমের মৃত্যু ছাড়া।

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে বস্ত্রহীন পাগল - উম্মাদ বানিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে স্বাভাবিক সেন্সে ফিরিয়ে আনতে পারে এবং মানসিক ভাবেও সুস্থ করে তুলতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে দিয়ে গোটা পৃথিবীটা অন্ধকারে আচ্ছন্ন করাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - পুরো পৃথিবীটা আলোয় আলোকিত করে বদলে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে জাহান্নামের বাসিন্দা বানাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে জান্নাতের পথ খুঁজে দিতে পারে!

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সমস্যা কারণ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - একজন পুরুষের সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে।

একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সুখ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের দুঃখ হয়ে - আজীবন পুরুষের জীবননাশ করতে পারে! ইত্যাদি ইত্যাদি

একজন নারীর -

শিক্ষা, চিন্তা- চেতনা, শক্তি- ক্ষমতা, ভালোবাসার মায়া - মমতা এবং সভ্যতা অনেক প্রখর হয়।

তাই

নারী চাইলেই - অনেক কিছু করতে পারে!

প্রতিটা নারীর প্রেম হোক - তার সংসার।

প্রতিটা নারীর ভালোবাসা হোক- তার আপন প্রিয় স্বামী। প্রতিটা নারীর মায়ার বাঁধন হোক - তার বুকে আগলে রাখা ধন - প্রিয় সন্তান।

নারী তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস - তুমি সব সময় "তোমার সৌন্দর্য" তোমার সকল গুণ দিয়ে আগলে রাখবে।

নারীর সৌন্দর্য হোক -

নারীর অসাধ্য সাধনকারী -

গৃহময়ী হোক - নারীর নেতৃত্ব -

সক্রেটিস করেছিলেন দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রী জ্যানথিপি সুন্দরী ছিলেন বটে! কিন্তু মুখে ছিলো বিষ আর চোখে আগুন। সক্রেটিসের ঘরে ...
13/11/2024

সক্রেটিস করেছিলেন দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রী জ্যানথিপি সুন্দরী ছিলেন বটে! কিন্তু মুখে ছিলো বিষ আর চোখে আগুন। সক্রেটিসের ঘরে ঝগড়া লেগেই থাকতো।

সারাদিন জ্ঞান বিলায় লোকটা। বিনিময়ে একটি কড়িও নেন না। কোনো আয় উপার্জন নেই। ঘরে তিন সন্তান, এক স্ত্রী। এর উপর করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে, মির্টো নামের এক মেয়েকে! বাপের কিছু সম্পদ আছে তার। একে বাড়াবে দূরে থাক, গরিবদের দিয়েই শেষ করে চলছেন।
কতো আর সহ্য করবেন জ্যানথিপি?

একরাতে ঘরে নেই খাবার, ছেলে-মেয়ে কেঁদেকেটে ঘুমিয়েছে। সক্রেটিস ঘরে বসে ধ্যান করছেন। জ্যানথিপির সহ্য হলো না। শুরু করলেন বকাঝকা।
যেই সেই বকা নয়, ভয়াবহ কিছু!

সক্রেটিস নিরবে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। বাইরে এসে চাঁদের আলোয় শুরু করলেন বইপড়া।
জ্যানথিপি এটা দেখে তো আরো আগুন!
করলেন কী? ঘরে সারা দিনের জমানো ময়লাপানি ছিলো এক গামলায়। সেই গামলার পানি ঢেলে দিলেন সক্রেটিসের উপর!

সক্রেটিস রাগ করলেন না। বরং হেসে বললেন, এতো গুরুগম্ভীর মেঘের গর্জনের পরে এক পশলা বৃষ্টি না হলে কি আর শোভা পায় ?!

গ্রীষ্ম হোক আর শীত হোক, সক্রেটিসের গায়ে থাকতো একটাই কোট। সব ঋতুতে এটাই পরতেন। অন্য কোনো জামা ছিলো না তার। পায়ে ছিলনা কোনো জুতা। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, সুখের সুযোগ ত্যাগ করে এতো কষ্টের জীবন কেন বেছে নিলেন?

সক্রেটিস বললেন, এটা বেছে নিলাম, যাতে লোভের কুকুরগুলো বুঝে- সত্য, জ্ঞান ও স্বাধীনতা এমন এমন এক সুখ, যাকে ক্রয় করতে হয় কষ্ট ও কৃচ্ছ্রতার বিনিময়ে!

সেখান থেকেই আমরা পাই তাঁর বিখ্যাত উক্তি - "যদি তুমি ভালো বউ পাও তাহলে তুমি সুখি হবে, আর না পেলে তুমি দার্শনিক হবে"।

বিকৃত মস্তিষ্কের একজন নরখাদক কত হিংস্র হতে পারে তা এই বইটি না পড়লে জানাই হতো না। বইটির নাম শুনেই বুঝেছিলাম বইটি অন্য বই ...
13/11/2024

বিকৃত মস্তিষ্কের একজন নরখাদক কত হিংস্র হতে পারে তা এই বইটি না পড়লে জানাই হতো না।
বইটির নাম শুনেই বুঝেছিলাম বইটি অন্য বই থেকে একেবারেই ভিন্ন ধরণের। বইটি জুড়ে সমাজের অন্তরালে ঘটে যাওয়া নৃশংস পাশবিক ঘটনার বর্ণনা। ঠান্ডা মাথায় ১৫ বছর ধরে ৪৯ জন মানুষের মাংস ভক্ষণ করা কার্ল ডেনকের বীভৎসতা পাঠকের মনে ভয়ের ও ঘৃণার উদ্বেগ ঘটাবে।

কার্ল ডেনকে (নরখাদক) বইটির শুরুতেই তার ছোটবেলার ইতিহাস বর্ণনা করেছে- পরিবার ও স্কুলে তাকে প্রায় প্রতিদিনই শাস্তি পেতে হতো। ছোটখাটো কাজ না পারার জন্য বাড়িতে তাকে শাস্তি পেতে হতো আর স্কুলে পেতে হতো লেখাপড়া না পারার জন্য।
নির্মম অত্যাচার সহ্য করা ডেনকে বলেন- 'আমি যা পারি না সেটা শাস্তি দিলেও পারব না।'
এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দেয় ; শিশুদের সাথে কখনোই নির্দয় আচরণ করা ঠিক না,এতে তাদের ক্ষতিই বেশি হয়। তারচেয়ে বরং বুঝিয়ে-সুজিয়ে তাদেরকে দিয়ে অনেক অসাধ্য সাধন করানো যায়।

ডেনকের পারিবারিক বন্ধন ভালো ছিলো না। ছোটবেলা থেকেই তার বাবা- মা, ভাই- বোন কেউই তাকে গুরুত্ব দেয়নি। ডেনকে স্বাধীনভাবে বাঁচার চেষ্টায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং মি. মার্ফি নামের এক ব্যক্তির কাছে আশ্রয় পায়। মি. মার্ফি বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত মানুষের চামড়া, হাড় এসব সংগ্রহ করে যা পরবর্তীতে ডেনকেকে ভিক্টিমদের চামড়া, হাড়সহ শরীরের নানান অংশ সংগ্রহ করতে উৎসহ প্রদান করে।

ছোটবেলা থেকে ডেনকের খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেশি ছিলো বিশেষ করে মাংসের প্রতি। পরিবারের অন্যরা যখন তার বেশি খাবার খাওয়া নিয়ে ব্যঙ্গ করতো তখন ডেনকে ভেতরে ভেতরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ইনট্রুভার্ট ডেনকে কাউকে কিছু না বলে সমস্ত রাগ নিজের উপর দেখাতো।
স্কুলে খেলাধুলায় হেরে গিয়ে নিজের বাহু কামড়ে মাংস খেয়ে রাগ মিটায় সে। ডেনকের ভাষায়- " আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারি না যে কিভাবে আমার বাম বাহুর একদলা গোশত ছিঁড়ে আসে আমার মুখে, আর আমি তা চিবিয়ে খেয়েও ফেলি যখন খেয়াল হলো তখন আমার বাহু থেকে রক্ত ঝরছে।"
নিজের গোশতই প্রথম তাকে নরমাংসের স্বাদ এনে দেয়।

বাড়ি থেকে পালানো ডেনকে যখন বাড়ি ফিরে আসে তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখে খুশি হয় না। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় ডেনকে তার পরিবারের কাছে গেলে তারা ডেনকের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে যার ফলে ডেনকে পরিবার থেকে পুরোপুরি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং জীবনে আর কখনো তাদের সাথে যোগাযোগ করে না।
যদি পরিবার ডেনকেকে আশ্রয় দিত তাহলে হয়ত সে এমন পাপ কাজে লিপ্ত হতে পারতো না। ইতিহাস স্বাক্ষী, পরিবার একটি মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। আপনজনরাই পারে মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে।

বইটিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া মারাত্নক দুর্ভিক্ষের তথ্য রয়েছে এবং সে সময় মানুষ হয়ে মানুষের গোশত খাওয়ার ভয়ংকর বর্ণনাও রয়েছে, যেমন- ১৮৪৫ থেকে ১৮৫২, এই সাত বছর আয়ারল্যান্ড মহাদুর্ভিক্ষের শিকার হয়। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।
'জন কনোলী' নামের এক ব্যক্তি অনাহারে মৃত ছেলেকে কফেনে না শুইয়ে তার গোশত খেয়ে নিজের প্রাণ বাঁচায়।
১৩১৫ সালে উওর ইউরোপে দুর্ভিক্ষ ছড়াতে শুরু করে। ক্ষুধার জ্বালায় বাবা- মা সন্তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। জেলের বন্দিরা তাদের সঙ্গীদের ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে।

বইটিতে জাদুচর্চা ও জাদুকরদের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। যেমন- জার্মানির ট্রায়ানে ১৫৮৩-৯৪ পর্যন্ত চলে ডাইনি বা জাদুকর নিধন। আনুমানিক ৩৬৮ জন মানুষকে মারা হয়েছিল সে সময়।
সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি স্কটল্যান্ডে শুরু হয়েছিল জাদুবিদ্যার সাথে জড়িতদের ধরপাকড়। এবং ৪৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

ডেনকে সমাজের চোখে ভালো মানুষ সেজে থাকে। এলাকার লোক তাকে ' ফাদার ডেনকে' বলে ডাকে। ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে ডেনকে একের পর এক মানুষ হত্যা করে নিজের লালসা পূরণ করে। আমাদের সমাজেও এমন মুখোশধারী ভালো মানুষের অভাব নেই, যাদের নারকীয় উল্লাসের শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত জীবন দিচ্ছে দুর্ভাগা মানুষগুলো।

ডেনকে সব সময় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম অথবা অন্য এলাকা থেকে আগত সাময়িক অসুবিধার মুখোমুখি মানুষদেরকে নিজের মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে বাড়িতে এনে শিকার করে।
সুতরাং এ ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় অপরিচিত অথবা অল্পপরিচিত কারো কথায় বিশ্বাস করে নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না।

ডেনকে একসময় ভবিষ্যৎ জানার চেষ্টা করে এবং এবিষয়ে পড়াশোনা করে।
চাঁদ এবং নদীগুলির উপর চাঁদের প্রভাব এবং একটি সাম্প্রদায়িক ক্যালেন্ডার সংগঠনের বিষয়গুলো রেকর্ড করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল।
ব্যাবিলন ও কালদিয়া অঞ্চলে এ বিদ্যা ব্যাপকভাবে শুরু হয় এবং সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।
ইউরোপে প্রকাশিত প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থটি ছিল "লাইবার প্লানেটিস এন্ড মুন্সি ক্লাইমাটিবাস।"
ভবিষ্যৎ দেখার জন্য যুগে যুগে নানা কৌশল ব্যবহার করা হয়,যেমন- হস্তরেখা দেখা, ক্রিস্টাল বল ব্যবহার, ধাতব পেয়ালা, রুপার পেয়ালা ব্যবহার করা ইত্যাদি।
তিব্বতীয় সাধকরা ক্রিস্টাল বল ব্যবহার করতেন।
ব্যাবিলনে উজ্জ্বল ধাতব ব্যবহার করা হতে।
ডেনকে নিজেও ক্রিস্টাল বল ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ জানার চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে সে সফলও হয়। ডেনকে পরবর্তী একসময় নিজের শেষ পরিনতি ক্রিস্টাল বল ব্যবহার করে দেখে নেয়। সে জানতো তার শেষ পরিনতি পুলিশের হাতে ধরা পড়া এবং সবার ঘৃণা ও অভিশাপ নিয়ে করুণ মৃত্যু বরণ করা। সুতরাং ডেনকে সকলের ঘৃণা ভরা চোখ দেখার আগেই আত্মহত্যা করে।

শাস্তির খুব নিকৃষ্ট ধরণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় নরখাদকের ডায়েরি বইটিতে।
সর্বপ্রথম প্রাচীন গ্রীসে একটা পদ্ধতি চালু হয়। যার নাম র‍্যাগ। এ পদ্ধতিতে প্রচন্ড যন্ত্রণা দিয়ে কপিকলের মাধ্যমে অপরাধীকে মারা হতো।
প্রাচীন ইউরোপে ভিক্টিমের পা থেকে মাথা পর্যন্ত চামড়া ছিলে নেওয়া হতো, এতে রক্তক্ষরণে অপরাধীর মৃত্যু হতো।
প্রাচীন চীনে লিং পদ্ধতিতে জল্লাদ ছুরি দিয়ে বুকের বামপাশ কেটে নিত তারপর বিরতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাংস কেটে নিত ফলে রক্তক্ষরণে অপরাধীর মৃত্যু হতো।
গ্রিসে পিতলের তৈরি ষাঁড়ের ফাঁকা পেটের ভেতর আসামি ঢুকিয়ে নিচে আগুন জ্বেলে দেয়া হতো। আসামি আগুনের প্রচন্ড তাপে সিদ্ধ হয়ে মারা যেত।

ডেনকে তার ভিকটিমদের চামড়া দিয়ে বই/ ডায়েরির মলাট, জুতার ফিতা, সাসপেন্ডার, মানিব্যাগ,জ্যাকেট তৈরি করতো। দাঁতগুলো দিয়ে বোতাম, আংটি, লকেট তৈরি করতো।

চুলগুলো দিয়ে রশি তৈরি করতো। ডেনকের মৃত্যুর পর পুলিশ তার ঘর তল্লাশি করে এসব পায়।

ডেনকের মানুষ মারা এবং কেটেকুটে খাওয়ার অংশটা প্রচন্ড বিভৎস, তাই এসম্পর্কে কিছু লিখতে চাই না। পড়তে গিয়ে গা গুলিয়ে উঠেছে।
দুর্বল চিত্তের পাঠকদের অনুরোধ করবো বইটি এড়িয়ে যেতে।

নরখাদকের ডায়েরি বইটিতে আধিভৌতিক কিছু ঘটনার বর্ণনা আছে। ডেনকের মতো হৃদয়হীন নিষ্ঠুর মানুষের মনেও ভৌতিক ঘটনাগুলো ভয়ের সঞ্চয় করেছে। ডেনকের ভাষায়-' অদৃশ্য কেউ একজন আমার হাত ধরে বসল! আর আমার হাত থেকে (মাংস) তা নিয়েও নিল।
তারপর সেই লবণাক্ত টুকরো শূন্যে বাসতে লাগলো।"
নরখাদক ডেনকে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ সে সমাজের ঘৃণিত দৃষ্টি ভয় পেয়েছিল। সবাই তার জঘন্য অপরাধ জানার পর কি হবে সে তা অনুমান করতে পারে এবং আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
ডেনকের ভাষায়- ' হাকিম সাহেব ভয়ানক কোন মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেবে।
আমি আর ভাবতে পারছি না। আমি এমন সময়ের মুখোমুখি হতে পারবো না। তার আগেই আমার মরে যাওয়া ভালো। "
উপন্যাসটি সবাইকে এই বার্তা দেয় যে, অত্যাচারির পরিণতি কখনো ভালো হয় না। অন্যায় করলে একদিন তার শাস্তি পেতেই হবে।

লেখনির শুরুতে বলেছিলাম 'নরখাদকের ডায়েরি' বইটি হাতে নিয়ে উল্টে-পাল্টে দেখেছি বেশ কিছুক্ষণ কারণ বইটির বাঁধাই, ছাপাসহ বিন্যাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। এজন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই 'অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনকে'। বইটি পড়তে গিয়ে যেমন লেখক সম্পর্কে উন্নত ধারণা হয়েছে তেমনি প্রকাশনীর উপর আস্থা বেড়েছে।

সর্বশেষ বলবো, 'নরখাদকের ডায়েরি' 'আহমাদ স্বাধীনের' এক উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। প্রিয় লেখকের এমন তথ্য ভিত্তিক বই আরও পড়তে চাই।
দেড়শো বছর আগের এক নরখাদকের ব্যক্তিগত রচনার সাথে লেখকের কল্পনার মিশ্রণ, হরর প্রিয় পাঠকদের কাছে উপন্যাসের নতুন স্বাদ এনে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।

নৃশংস পাশবিক ঘটনার স্বাক্ষী : নরখাদকের ডায়েরি
বই : নরখাদকের ডায়েরি
লেখক : আহমাদ স্বাধীন
প্রচ্ছদ : হিমেল হক।
প্রকাশনী : অক্ষরবৃত্ত
মূল্য : ২০০ টাকা
---
আলোচনা: Monira Mita

12/11/2024

❤️❤️❤️❤️

এইদিকে এলাকার ঐ অসভ্য ছেলেটা পিছু নেওয়া শুরু করলো বিরক্তির পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছোটবেলা থেকেই সুন্দর হওয়ার কারনে ...
09/11/2024

এইদিকে এলাকার ঐ অসভ্য ছেলেটা পিছু নেওয়া শুরু করলো বিরক্তির পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছোটবেলা থেকেই সুন্দর হওয়ার কারনে মা আমাকে সব সময় বোরকা পরিয়ে রাখতো, মুখও ঢেকে রাখতাম আমি । তারপরও আমার পিছু পিছু হাঁটতো আর গান গাইতো-
"বোরকা পরা মেয়ে পাগল করেছে..."
প্রচন্ড বিরক্ত লাগতো। মনে মনে গালাগাল করতাম। অসভ্য, ইতর...

বান্ধবীরা বলতো পাশের বিল্ডিং-এ এক বড় ভাই আছে যিনি খুবই ভালো আর পাওয়ারফুল। তুই উনাকে বললে ঐ ছেলে তোকে আর বিরক্ত করবে না। আমি কথাটা তেমন গায়ে মাখিনি। কারন ঐ বড় ভাই লোকটাকে আমার ভালো লাগতো না। প্রায়ই দেখতাম স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, যদিও ওটা ওদের বাড়ি, ওখানে দাঁড়ানোটাই স্বাভাবিক। হোস্টেলের সব মেয়েদের সাথে তার খুব খাতির। করন উনার বাড়ি হোস্টেলের পাশের বিল্ডিং এ হওয়ায় যে কোন সমস্যা হলে মেয়েরা তাকে বলতো। তিনিও যথাসাধ্য হেল্প করতেন। তাছাড়া মেয়েরা ফোন চার্জ দিতো, ফোন লুকিয়েও রাখতো সেখানে।

প্রায়ইই হোস্টেলের বড় আপু ছোট আপু সবাই ঐ বড় ভাইয়ের খুব প্রশংসা করতো, একদিন তাই আমি সিমরান আপুকে বললাম -
: আপু তুমি ঐ বড় ভাইকে একটু বইলো ঐ অসভ্য ছেলেটার কথা।
আপু বললো -
: তোর সমস্যা তুইই বলিস।
আমি বললাম -
: আমাকে তো চিনে না, তাহলে আমার কথা কেন শুনবে?
: আরে আমার কি পরিচিত ছিলো? ছিলো না, সমস্যায় পরে পরিচিত হয়েছি, তোর আজ এই সমস্যা কাল অন্য কোন সমস্যা হতে পারে, তাই বলি তোর সমস্যা তুইই বল। এ সুযোগে পরিচয়টাও হয়ে যাবে।

একটু ভেবে আমি ম্লান গলায় বললাম-
: ঠিক আছে, তার সাথে তাহলে একটু কথা বলিয়ে দিও।

আপু আমাকে বলেছিলো রাতে যখন খেতে যাবি জলদি আসবি। কথা বলায়ে দিবো নি।
আমি মাথা নেড়ে বললাম- আচ্ছা

সেদিন প্রথম কথা হলো সেই বড় ভাইয়ের সাথে। আমি সালাম দিয়ে তাকে বলেছিলাম ঐ ছেলেটার কথা। তাকে যেমন ভেবেছিলাম লোকটা ঠিক তার উল্টো। খুবি মুডি একটা লোক। আমি এতগুলো কথা বললাম আর উনি শুধু বললো
: আচ্ছা আমি বলে দিবো,
তার কণ্ঠস্বরটা আমার হৃদয়ে ধাক্কা দিলো যেন। একেবারে বিশ্বাসই হচ্ছিল না উনি কথা বলছেন। ধাতস্ত হয়ে
আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ফোন রাখতে গেলেই তিনি বললেন –
: কোন সমস্যা হলে আমাকে জানায়ো।
আমি বললাম -
: ঠিক আছে বলবো...

খন্ডিতাংশ #নিয়তি

'পতি''তা'লয়ে গিয়ে ছিলাম নিজের দৈহিক চাহিদা মেটানোর জন‍্যে। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়েটি জানালার পাশে বসে কান্না করতেছে।'জিঙ্গ...
03/11/2024

'পতি''তা'লয়ে গিয়ে ছিলাম নিজের দৈহিক চাহিদা মেটানোর জন‍্যে। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়েটি জানালার পাশে বসে কান্না করতেছে।

'জিঙ্গেস করলাম 'কি ব‍্যপার তুমি কান্না,
করতেছো কেনো।

'এমনি কান্না করতেছি।
আচ্ছা ওয়েট করুন আমি পোশাক খুলতেছি।

'কেনো জানি মেয়েটার প্রতি আমার একটু
মহব্বোত হলো। আবার জিঙ্গেস করলাম প্লিজজ বলুন
আপনার কি হয়েছে।

'আপনি জেনে কি করবেন।
এর থেকে না জানাই ভালো?

'প্লিজজ বলুন।

'বাড়ির কথা অনেক মনে পরতেছে।
খুব ইচ্ছে করতেছে বাড়ি যেতে।

'কাজ থেকে ছুটি নিয়ে গেলেই তো হয়।
পরে আবার এসে কাজ করবে।

'সম্ভব হলে সেটাই করতাম।

'কেনো সম্ভব না কেনো?

'আসলে আমার Boyfriend আমাকে এখনে বিক্রি করে দিয়েছে আমি চাইলেও যেতে পারবো না।
এখন এটাই আমার বাড়ি ঘর।

'boyfriend বিক্রি করে দিয়েছে মানে।
কি বলো এই সব।

'হ‍্যাঁ।

'প্লিজ যদি একটু খুলে বলতে আমাকে।

'থাকনা অজানা।

'প্লিজজজজজজজজজ?

'আস থেকে ৯মাস আগে একটি ছেলেকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। একদিন ছেলেটি আমাকে বললো
জান চলো পালিয়ে বিয়ে করি।
তার কথাতে রাজি হয়ে গেলাম এবং পালিয়ে
আসলাম ঢাকায়।
তো ঢাকায় এসে দুইদিন এক সঙ্গে থাকার পরে সে আমাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে চলে যায়।

'এই সব কি সত্যি।

'হ‍্যাঁ।

'মেয়েটির কথা শোনার পরে বেশ কিছুক্ষন
নিশ্চুপ থাকলাম।
তখন মেয়েটি আবার বলে উঠলো।

'কি হলো কাজ করবেন না।

'তখন সোজা মেয়েটিকে বললাম।
আমি তোমাকে বিয়ে করে চাই! তোমার সঙ্গে চিরকাল থাকতে চাই।

'মানে।

'মানেটা হচ্ছে আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
তোমার সঙ্গে থাকবো।

'আপনার মাথা ঠিক আছে।
আমি একজন পতিতা।

'সমস‍্যা নেই আমি মানিয়ে নিবো।
তুমি নাহয় তোমার অতিত ভুলে গিয়ে নতুন করে বাচবে

'এটা কি সম্ভব।

'তুমি চাইলেই সম্ভব।

'আমি তো আপনাকে চিনিনা জানিনা।
এছাড়া আপনিও আমাকে চিনেন না জানেন না।

'বিয়ের পরে দুজন দুজনকে চিনবো জানবো।

'আপনার পরিবারের লোক মানবে আমাকে।

'আমার পরিবারে কেউ নেই।
আমি একাই।

'ওহ।
কিন্তু আমাকে এখান থেকে বের করবেন কিভাবে।

'সেটা আমার চিন্তা।
তুমি কি আমাকে বিয়ে করবা।

'বুজতছি না কি বলবো।
কারন একজনকে বিশ্বাস করে ঠগেছি।

'প্লিজজ একটা সুযোগ দাও আমাকে।
আমি ঠগাবো না।

'কিন্তু আপনি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন কেনো।
সেটা আগে বলুন।

'সত‍্যি বলতে তোমার কথা গুলা শোনার পরে তোমার প্রতি অন‍্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করতেছে।
মনে হয় এটা ভালোবাসা।

'২মিনেটের পরিচয়ে ভালোবেসে ফেল্লেন।
মনে হচ্ছে এটা আবেগ।

'আবেগ না।
দুই মিনিটের কথায় না এক সেকেন্ডের দেখাতেও
ভালোবাসা যায়।

'হ‍্যাঁ যায়।

'শোন আমি তোমাকে এখান থেকে বের করার
ব‍্যবস্থা করতেছি।
আজকেই আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।

'ঠিক আছে।

'কতো কথা বললম অথচ কেউ কারো নামেই
জানলাম না আমার নাম হাসিব তোমার।

'আমার নাম আয়েশা।

'ঠিক আছে আয়েশা আমি আসতেছি সব কিছুর
একটা ব‍্যবস্থা করে।

'এর পরে হাসিব পতিতালয়ের লোকদের সঙ্গে কথা বলে ৪লক্ষ টাকার বিনিময়ে আশেয়াকে ওখান থেকে বের করে নিয়ে আসে।

'আয়েশাকে বের করার পরে হাসিব সোজা কাজি অফিসে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।

'আজ বিয়ের ১০ বছর পরে আয়েশা একটি
সাক্ষাত কারে বলে 'জানেন আমার স্বামির সঙ্গে এই দশ বছরে তুই কথা হয়নি।
আমি রাগ বা অভিমান করলে সে আমার রাগ ভাঙ্গায় আমি ভূল করলে আমার ভুল বুজিয়ে দেয়।
সে আমাকে কখনো আমার অতিত নিয়ে খোটা দেয়নি।
জানেন এই পৃথিবীতে যদি বতর্মান কোন সুখি নারী থেকে - থাকে তাহলে সেটা হবো আমি।

'সত‍্যি পুরুষ তার শখের নারীকে অসম্ভব ভালোবাসে।
সেটা আমার স্বামী হাসিবকে দেখেই বুজেছি।

'সবাই দোয়া করবেন আমি যেনো এভাবে চিরকাল সুখে থাকতে পারি আমি স্বামীর সঙ্গে।

'সত‍্যিই কার কপালে কখন সুখ আসে বোঝা বড় দায়।
আর ভালো লাগা ভালোবাসা,
মন থেকেই হয়।

অনুগল্প: #সুখে_আছি।

কাহিনী ও লেখনীতে: মি_হাসিব

এমন সুন্দর সুন্দর গল্পো পরতে চাইলে অবশ্যই পেজটি ফলো করুন : কথা কাব্য

"প্রায় ৬ মাস আগে আমার সামনের ফ্ল্যাটের নতুন প্রতিবেশী ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড চাইলো। দিয়েও দিলাম, কারণ আমার তো আর অতিরিক্ত খর...
29/10/2024

"প্রায় ৬ মাস আগে আমার সামনের ফ্ল্যাটের নতুন প্রতিবেশী ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড চাইলো। দিয়েও দিলাম, কারণ আমার তো আর অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে না; এছাড়া নতুন প্রতিবেশীর সাথে একটু খাতিরও হলো।

গতকাল বাসায় ফিরছিলাম। উনাকে দরজার সামনে দেখে কুশল বিনিময় ও হাল্কা আলাপের মাঝে জানালেন যে সম্প্রতি উনি নেটফ্লিক্স এ সাবস্ক্রাইব করেছেন এবং নতুন নতুন ম্যুভি দেখে সময়টা ভালোই কাটছে। মজা করে বললাম -" ভাই সারাদিন এতো ব্যস্ত থাকি যে টিভি দেখার সময়ই পাই না। আপনার নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ডটা দিলে আমিও মাঝে মাঝে দুই-একটা সিরিয়াল দেখতাম।"

উনার ঘরের দরজা খোলা ছিল। ভিতর থেকে উনার গিন্নি প্রায় বেশ জোরে বলে উঠলেন-"পাসওয়ার্ড দিতে পারবো না। আমরা পয়সা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করেছি, পাসওয়ার্ড কেনো দিবো?"

কয়েক মুহূর্তের নিরবতা ভদ্রলোক ভাংলেন অপ্রস্তুত হাসি আর টুকটাক আলাপ শুরু করে। আমিও পালটা হাসি দিয়ে- "আরে কোন সমস্যা না" বলে নিজের বাসায় ঢুকে গেলাম।

কিছুক্ষন পর ভদ্রলোক আর তার গিন্নি হন্তদন্ত হয়ে বেল বাজালেন- দরজা খুলতেই জানালেন যে ওয়াইফাই কাজ করছে না, পাসওয়ার্ডও নিচ্ছে না, আর নেটফ্লিক্সও চালাতে পারছেন না।

এবার মুচকি হাসি দিয়ে বললাম- জি, পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে দিয়েছি। ইন্টারনেট বিলটা যেহেতু আমিই দিচ্ছি তাই পাসওয়ার্ড শেয়ার করবোনা ঠিক করেছি। মুখ শুকনা করে তারা ফিরে গেলেন। এর পর আর তাদের সাথে আন্তরিকতার দেখানোর প্রয়োজন অনুভব করিনি।"

লেখাটি একটা ইংরেজি লেখার অনুবাদ। তবে এর থেকে কিছু শিক্ষা অবশ্যই নেওয়া যায়-

বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা, আন্তরিকতা, সন্মান এই সব কিছুই হওয়া উচিৎ পারস্পরিক।

নিরবতার বদলে নিরবতা, শুন্যতার বদলে শুন্যতা, মায়ার বদলে মায়া, অনুভূতির বদলে অনুভূতি, আনুগত্যর বদলে আনুগত্য, সন্মানের বদলে সন্মান- এভাবে চলতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান খুব সহজেই সম্ভব। জীবনটা অনেক অনেক শান্তিময় হবে এতে।

লেখাঃ সংগৃহীত

26/10/2024

তুমি আসো না,
রাত শেষে দিন আসে, মেঘের পরে রোদ হাসে।
শীতের পরে গরম , সুখের পর দুঃখ আসে।
নিয়ম করে সবই আসে কিন্তু তুমি আসো না,

আমি জানি তুমি এই সব নিয়মের তোয়াক্কা করো না।
আচ্ছা তুমি কি এই সব চক্রের বিপরীত.?

তুমি আসলে কি দিন আসতো না.? ঘোর অন্ধকারে পৃথিবী কাটাতো, যেন মনে হতো পুরো পৃথিবীটা হলো জীবন্ত মানুষের কবর।

তুমি আসলে কি রোদ আসতো না.? কালো মেঘে গুট গুটে অন্ধকারে ছেয়ে যেতো পুরো শহর। কৃষক তখন দিশেহারা হয়ে পরতো তার ফসল নিয়ে।

তুমি আসলে বোধহয় গরম আসতো না, তখন প্রচণ্ড শীতে তুষার বইতো , পুরো শহর বরফে ঢেকে যেত, বৃদ্ধরা পরতো মহাবিপদে।

তুমি আসলে দুঃখ আসতো না, আমি থাকতাম আজীবন সুখে। কালো না থাকলে যেমন সাদার মূল্য থাকতো না, তেমনি দুঃখ না থাকায় সুখের মর্মতা বুঝতাম না। বিষাদ এর যন্ত্রণা কাকে বলে, দীর্ঘশ্বাস কাকে বলে।

সব কিছু ঝাপিয়ে তুমি আসোনি,
নিয়ম করে সব আসে তুমি আসো না।
তুমি আসলে অনেক ক্ষতি হয়ে যেতো,
পৃথিবী পরে যেতো মহাবিপদে..মহাবিপদে.!

- ফাহমিদ হাসান

Address

Dhaka
1361

Telephone

+8801753551730

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মূর্খ? posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মূর্খ?:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Dhaka

Show All