15/09/2022
আসুন জেনে নেই কে কাকে কখন রক্ত দিতে পারবেন_?
আসুন জেনে নেই কে কাকে কখন রক্ত দিতে পারবেন_?
রক্ত এক ধরনের যোজক কলা।রক্ত প্রধানত অস্থি মজ্জায় উৎপন্ন হয়। একজন পুর্ন বয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার
রক্ত থাকে। রক্তের প্রধান দুটি উপাদান থাকে -
১) রক্ত রস বা প্লাজমা- রক্তের হাল্কা হলুদ বর্নের তরল পদার্থ কে প্লাজমা বলা হয়।প্লাজমা তে রক্ত কনিকা ভাসমান থাকে রক্ত রস বা
প্লাজমাতে শতকরা ৯২ ভাগ পানি থাকে।এছাড়াও থাকে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল, খনিজ লবন, হরমোন,
ভিটামিন, ইউরিয়া, এন্টিবডি, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, ও অন্যান্য বর্জ।
২)রক্ত কণিকা- রক্ত কণিকা রক্ত রসের মধ্যে ছড়ানো থাকে। রক্তে শতকরা ৪৫ ভাগ রক্ত কণিকা থাকে। আমাদের রক্তে তিন ধরনের
রক্ত কণিকা রয়েছে- লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কনিকা ও অণুচক্রিকা।
রক্তের কাজ -
*রক্ত সারা দেহের পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে।
*লোহিত রক্ত কনিকা হিমোগ্লোবিনের সাহায্যে ফুস ফুস থেকে কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে।
*শ্বেত রক্ত কণিকা রোগ জীবাণু ধ্বংস করে আমাদের দেহ কে সুস্থ রাখে।
* দেহের কোন স্থানে কেটে গেলে অণুচক্রিকা রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে ফলে ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়।
* রক্ত রসের মাধ্যমে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড,কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন স্থানে পরিবাহিত হয়।
রক্তের গ্রুপ-
আমরা জানি মানুষ ভেদে রক্তের গ্রুপের পার্থক্য হয়। সাধারণত A+, A-, B+, B-, AB+, AB-, O+, O- গ্রুপের রক্ত থাকে । এর মধ্যে পৃথিবী তে সবচেয়ে O+ গ্রুপের মানুষের সংখ্যা বেশী। নিচে এশিয়ান দের রক্তের গ্রুপের শতকরা হার দেয়া হল
O+ =39%
O- =1%
A+=27%
A- =0.5%
B+ =25%
B- =0.4%
AB+ =7%
AB- = 0.1%
কে রক্ত দিতে পারবে- প্রাপ্ত বয়স্ক যেকোন সুস্থ মানুষ অন্যকে রক্ত দিতে পারে।
রক্ত দেয়ার জন্য উপযুক্ত- মহিলা ও পুরুষ যাদের বয়স ১৮- ৪৫ বছর। পুরুষদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ৪৭ কেজি বা তার উর্ধে হতে হবে
এবং মহিলা দের ক্ষেত্রে ৪৫ কেজি বা তার উর্ধে হতে হবে।
যারা রক্ত দিবেন না- যাদের ৩ বছরের মধ্যে জন্ডিস হয়েছে, যাদের রক্ত বাহিত জটিল রোগ রয়েছে। ৪মাসের মধ্যে যারা রক্ত দিয়েছে।
যারা ৬ মাসের মধ্যে বড় কোন অস্ত্রোপাচার করিয়েছেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা গর্ভবতী অথবা যাদের মাসিক বা ঋতু স্রাব চলছে।
রক্ত দানের সাধারন তথ্য - ১) এক ব্যাগ রক্ত দিলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না। ২) রক্ত দানের ৫- ২১ দিনের মধ্যে ঘাটতি পূরণ হয়ে
যায়। ৩) রক্ত দিলে হাড়ের বোনম্যারোতে নতুন রক্ত কণিকা তৈরিতে উদ্দীপনা আসে।৪) রক্ত দানের পর প্রয়োজন মত পানি খেয়ে নিলে
জলীয় অংশের ঘাটতি পূরণ হয়।
রক্ত দানে সাবধানতা-
১) ব্যবহৃত সূচ সিরিঞ্জ জীবাণু মুক্ত কি না জেনে নিন।
২) খালি পেটে রক্ত দিবেন না।
৩) রক্ত দানের পুর্বে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে নিন।
৪) পরিচিত ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে রক্ত দিন।
নিচের সারণী থেকে আমরা সহজেই দেখে নিতে পারি কে কাকে রক্ত দিতে পারে বা কে কার কাছ থেকে রক্ত নিতে পারে-
রক্তের গ্রুপ
যাদের দিতে পারবে
যাদের কাছ থেকে নিতে পারবেন।
এই সারণী থেকে আমরা দেখতে পাই O নেগেটিভ হল সর্বজন দাতা এবং AB পজেটিভ হল সর্বজন গ্রহীতা।
স্বেচ্ছায় রক্ত দিন _🩸🩸
Alif_Lam_mim voluntary social organisations
আলিফ>লাম>মিম সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন
আলিফ_লাম_মীম ব্লাড ব্যাংক⛑️🩸