Babor

Babor পাঠকের চাহিদা পূরণে একটি বিশ্বস্ত নাম
(2)

 নিস্তব্ধ গভীর রাত। গোটা দুনিয়া ডুবে আছে এক নিশ্চুপ, নিরুপদ্রব নীরবতায়। চারপাশে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। এমন সময় আপনার ঘুম ...
25/11/2023



নিস্তব্ধ গভীর রাত। গোটা দুনিয়া ডুবে আছে এক নিশ্চুপ, নিরুপদ্রব নীরবতায়। চারপাশে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। এমন সময় আপনার ঘুম ভাঙলো। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে রাত তার শেষ প্রহরে উপনীত। চাইলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। চাইলেই বেজে উঠা অ্যালার্মটাকে বন্ধ করে বালিশ-চাপা দিয়ে শুয়ে পড়া যায়। আরেকটু ঘুমোলে, আরামের বিছানায় আর একপ্রহর বাড়তি কাটালে দুনিয়ার কে আপনাকে দোষারোপ করবে?

কিন্তু, আপনি ঘুমোলেন না। উঠে বসে গেলেন বিছানায়। ঘুমে প্রায় জড়িয়ে আসা চোখ দুটোকে সজাগ রাখার আপনার সে কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা!

আপনি ঘুমোচ্ছেন না, কারণ শেষ রাতে আপনার একটা অ্যাপয়েন্ট নেওয়া আছে। জায়নামায বিছিয়ে আপনাকে দাঁড়াতে হবে আসমান আর যমিনের রবের সম্মুখে। কতো কথা যে তাঁকে বলবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তার ইয়ত্তা নেই! মধুর প্রার্থনায় ডুবে যেতে যেতে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ বলে যখন শ্বাস নেবেন, তখন টপটপ করে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে জায়নামাযে। সে পরম অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা!

কী সুন্দর এই অভিজ্ঞতা, তাই না? প্রতিটি রাতের শেষ প্রহরে, এমন মধুর অভিজ্ঞতায় সিক্ত হতে আমাদের কার না মন চায়, বলুন! কিন্তু, প্রবৃত্তির শেকল ভেঙে সেই অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ আমাদের খুব কমই ভাগ্যে জোটে। অথচ, রাতের সাথে প্রার্থনার এই গভীর মিতালিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুষঙ্গ। আমাদের বড়রা, অর্থাৎ সালাফে-সালেহিনদের জীবনে গভীর রাত মানেই ছিলো জায়নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নৈকট্য লাভে মশগুল হয়ে যাওয়া। তাহাজ্জুদ ছিলো তাদের জীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা—খাওয়া আর ঘুমোনোর মতোই।

বড়দের সেই গল্পগুলো হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। কতো ওতপ্রোতভাবে তাহাজ্জুদ তাদের জীবনে জড়িয়ে ছিলো, কতোটা চাতক পাখির মতো তারা রাত্রির অপেক্ষা করতো তাহাজ্জুদে দাঁড়ানোর জন্যে, তাদের কী গভীর মিতালি ছিলো রাতের সাথে—সেসব ঘটনাকে প্রখ্যাত দাঈ ড. সাইয়্যেদ হুসাইন আল আফফানি হাফিজাহুল্লাহ একটা মলাটে একত্র করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উত্তম বদলা দিন শাইখকে।

নবিদের তাহাজ্জুদ, সাহাবিদের তাহাজ্জুদ, উম্মুল মুমি’নীনদের তাহাজ্জুদ, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীদের তাহাজ্জুদের ঘটনা দিয়ে সাজানো এই বইটি ইন শা আল্লাহ আমাদের জীবনে ভীষণভাবে পরিবর্তন আনবে এবং গভীর রাতে জায়নামাযে দাঁড়াতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইনশা আল্লাহ।

সুকুন পাবলিশিং ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ নামে বইটিকে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আমাদের জন্য সহজ করেন, আমাদের পক্ষ থেকে কাজটি কবুল করেন এবং ভুলত্রুটিগুলো মাফ করে অফুরান বারাকাহ দান করেন। আমীন।

হিদায়াত এমন কোনো বিষয় নয় যে নিলামে বসে কিছু বছরের জন্য কিনে নিলে! হিদায়াতের উপর টিকে থাকাকে তোমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত...
21/11/2023

হিদায়াত এমন কোনো বিষয় নয় যে নিলামে বসে কিছু বছরের জন্য কিনে নিলে! হিদায়াতের উপর টিকে থাকাকে তোমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি মনে করো না যে, পিতা মারা গেলেও আইন অনুযায়ী তুমি তার মালিক হয়ে যাবে।
হিদায়াত এমন বিষয়। এটা চিরকাল তোমার থাকবে এমন কোনো কথা নেই। এটা ধৈর্য্য আর তাকওয়ার জিনিস। এখানে দাঁতে দাঁত চেপে আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর শক্ত হয়ে জমে থাকা চাই। এখানে এমন সময় আসবে কোনো কিছু তোমার পক্ষে থাকবে না,কেউ তোমার পাশে এসে দাঁড়াবে না,কেউ তোমাকে রক্ষা করবে না।তুমি অবিচল থেকো। বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য রয়েছে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি।

যে জীবন ফড়িঙের যে জীবন জোনাকির বই হতে🌸
লেখক : সাজিদ ইসলাম

#বাবর

জীবনকে সফল করার বহু মোটিভেশন তো শোনা হলো ।লাইফ কোচিং, কাউন্সেলিং কোনোটার কমতি হয়নি। তবুও কেন যেন মনে হচ্ছে জীবনকে ঠিকঠাক...
20/11/2023

জীবনকে সফল করার বহু মোটিভেশন তো শোনা হলো ।

লাইফ কোচিং, কাউন্সেলিং কোনোটার কমতি হয়নি। তবুও কেন যেন মনে হচ্ছে জীবনকে ঠিকঠাক চেনা যায়নি।

চিনবো কীভাবে ? জীবনের পাঠ খুঁজেছি এমন জায়গায় যেখানে বহু তত্ত্ব কপচিয়েছে ঠিকই, কিন্তু চেনায়নি জীবন, জীবনের উদ্দেশ্য। অথচ জীবনিশক্তি দিয়েছেন যেই রব, তিনি জানিয়েছেন কুরআনে রয়েছে আমাদের জীবনের রসদ। কুরআনের আলোতেই চিনতে হবে জীবনকে।

বাংলাভাষার তুমুল জনপ্রিয় বই " কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ" কুরআনের আলোতে আমাদেরকে চেনাবে জীবন।

চমৎকার এই বইটি লিখেছেন স্যার আরিফ আজাদ।
যার লেখায় লুকিয়ে থাকে হাজারো মানুষের প্রেরনা আর অন্তরের খোরাক।
বইটি প্রকাশ করেছে সত্যায়ন প্রকাশন


চার.চোখের সামনে দিয়ে একটা মানবজীবন এমন ব্যর্থতায় কেটে যাবে, তা কি দেখে সহ্য করা যায়? দুনিয়ায় এই একটাই আমাদের সুযোগ।...
19/11/2023

চার.

চোখের সামনে দিয়ে একটা মানবজীবন এমন ব্যর্থতায় কেটে যাবে, তা কি দেখে সহ্য করা যায়? দুনিয়ায় এই একটাই আমাদের সুযোগ। আর কোনো দ্বিতীয়, তৃতীয় সুযোগের ব্যবস্থা নেই। এই জীবনটা যেনতেনভাবে কাটিয়ে দিয়ে, পরের জীবনটায় খুব গোছানো হয়ে যাব, অনেক কর্মমুখর থাকব—এমন চিন্তার জায়গা এখানে নেই। এটাই প্রথম এবং এটাই সর্বশেষ। কাজে লাগাতে হলে এটাকেই লাগাতে হবে, আর যদি অপচয়ের ইচ্ছে অটুট থাকে মনে, এই জীবনটাই কেবল বরাদ্দ।

অনেক তো ঘোর লাগা সময় পার করা হলো। অহেতুক কাজ আর ভাবনায়, অনর্থ কোলাহলে আর অদরকারি আড্ডায়। জীবনের বাকি মুহূর্তগুলো নিয়ে আমরা কি একটু নতুনভাবে ভাবতে পারি না? পারি না আগামীকাল থেকে একটা নতুন ভোরের সাক্ষী হতে, যেখানে থাকবে না আল্লাহর অবাধ্যতা? যেখানে আমাদের জীবনকে রাঙিয়ে তুলবো আল্লাহর রঙে? আমরা ছেড়ে আসবো সমস্ত অন্ধকার। হৃদয়ে জমে থাকা সকল কালিমা দূর করে আমরা ছুটবো হেরার আলোর পানে। আমরা ধরবো তাদের পথ, যারা আমাদের আগে আগে চলে গেছেন সিরাতুল মুস্তাকিমের রাস্তা ধরে। আমরা ত্যাগ করবো সমস্ত পিছুটান। ছুঁড়ে ফেলবো সমস্ত জঞ্জাল। জীবনের পরবর্তী সূর্যোদয়টা হবে আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন অধ্যায়।

এবার ভিন্ন কিছু হোক

জাগরণের এই জাগ্রত জোয়ারে

এবার নতুন করে লেখা হোক জীবনের জ্যামিতি।

#আরিফআজাদ
#এবারভিন্নকিছুহোক

18/11/2023

হে আমার রব, তাদের প্রতি সেভাবে দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন।

কেউ একজন যেন পাহাড়ের শরীর থেকে আচমকা ষাঁড়ের মতো বেরিয়ে আসতে লাগল । আবছা আলোয় কালো আলখাল্লা পরা লোকটার ছায়ামূর্তি দে...
17/11/2023

কেউ একজন যেন পাহাড়ের শরীর থেকে আচমকা ষাঁড়ের মতো বেরিয়ে আসতে লাগল । আবছা আলোয় কালো আলখাল্লা পরা লোকটার ছায়ামূর্তি দেখে আতাউর রহমানের বুক কেঁপে উঠল। কী করবেন তিনি? কিছু করার সুযোগ অবশ্য পেলেন না। তার আগেই ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত চিটচিটে এক বস্তায় ছায়ামূর্তিটি তার মুখ ঢেকে ফেলল। তারপর চেপে ধরল পাহাড়ের সঙ্গে। আতাউর রহমান শ্বাস নিতে পারছেন না। তার গলা হাঁসফাঁস করছে। অসহায়ের মতো শূন্যে হাত-পা ছুঁড়তে লাগলেন তিনি। লোকটা প্রথম আঘাতটা করল ঠিক তখনি। আতাউর রহমানের ডান কাঁধ বরাবার ধারালো কিছুর আঘাত। তীব্র যন্ত্রণায় গুঙিয়ে উঠলেন তিনি। সাদা শার্টটা রক্তে লাল হয়ে যেতে লাগল। ছুরির ফলাটা বসে গেছে মাংসের গভীরে। ছায়ামূর্তি চুরিটা টেনে বের করল। সম্ভবত আবারো আঘাত করবে। কিন্তু আতাউর রহমান আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না। ভারসাম্য হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। এই পতন অবশ্য তাকে বাঁচিয়েও দিলো। সরু রাস্তার খাড়া ঢাল বেয়ে গড়িয়ে নিচের কবরস্থানে গিয়ে পড়লেন তিনি। একটা ভাঙা কবরের ভেতর তার শরীরের অর্ধেকটা সেঁধিয়ে গেল । ভয়ানক এক আতঙ্ক অবশ করে রাখল তাকে..............

#শেষঅধ্যায়নেই #সাদাতহোসাইন

16/11/2023

হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। তাহলে তিনি তোমাদের আমল-আচরণ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে।

->সূরা আহযাব, আয়াত : ৭০-৭১

রেজা সিরিজের প্রথম বই লেখার সময়ও আমি ভাবিনি যে, সত্যি সত্যিই এটা চালিয়ে যাব। এর অবশ্য কারণও আছে। থ্রিলার লেখা আমার কাছ...
15/11/2023

রেজা সিরিজের প্রথম বই লেখার সময়ও আমি ভাবিনি যে, সত্যি সত্যিই এটা চালিয়ে যাব। এর অবশ্য কারণও আছে। থ্রিলার লেখা আমার কাছে সবসময়ই ভীষণ কঠিন কাজ বলে মনে হয়। তারপরও এই দুঃসাহসী চেষ্টার পেছনে মূল কারণ ছিল কৌতূহল। আমি দেখতে চেয়েছিলাম, পাঠক আমার এই অনভ্যস্ত নতুন পরিসরে বিচরণকে ঠিক কীভাবে গ্রহণ করেন?

মজার ব্যাপার হচ্ছে, পাঠক আমাকে চমকে দিয়েছেন। রেজা সিরিজের প্রথম দুটি বই নিয়েই তাদের সাড়া ছিল অভাবিত। মাঝখানে খানিক বিরতি নিতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, তাদের আগ্রহের সেই পারদ ক্রমশই চড়েছে। সম্ভবত এটিই আমাকে রেজা সিরিজের আরো একটি উপন্যাস লিখতে সবচেয়ে বেশি উদ্দীপ্ত করেছে।

আজকাল আমার নিজের সঙ্গে দারুণ একটি ব্যাপার ঘটে। পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন সংবাদে দেখা নানা ঘটনা হুটহাট মাথায় গেঁথে যায়। এমন নয় যে, ওই ঘটনাগুলোকে আমি খুব সচেতনভাবেই মন ও মগজে সেঁটে নেই। বরং এটি ঘটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। এবং আমার অজান্তেই তার কিছু কিছু ক্রমশই ডালপালা ছড়াতে থাকে। তারপর হয়ে উঠতে থাকে কল্পিত মহীরুহ। এই প্রক্রিয়াটি আমি খুবই উপভোগ করি। ‘সত্যটা মিথ্যা' আমার কল্পনার জগতের সঙ্গে বাস্তব ঘটনার সংযোগে তৈরি তেমনই এক গল্প ।

#সাদাতহোসাইন

সাদাত হোসাইননিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগৎ, মন ও মানুষ সবই গল্প । গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একে...
14/11/2023

সাদাত হোসাইন

নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগৎ, মন ও মানুষ সবই গল্প । গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন—তুমুল জনপ্রিয় সব উপন্যাস। নির্মাণ করেছেন, স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, টিভি ফিকশন। নিজের অভ্যন্ত পরিসরের পাশাপাশি শুরু করেছেন, মৌলিক থ্রিলার রেজা সিরিজ, কিশোর উপন্যাস, শিশুদের জন্য বই ইত্যাদি।

জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপি- আরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, ভারতের চোখ সাহিত্য পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা।

২০১৯-এ জিতেছেন এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার।

২০২১-এ পেয়েছেন অন্যদিন সম্ভাবনার বাংলাদেশ (কথাসাহিত্য) সম্মাননা Marvel of Tomorrow Influencers Award.

জিতেছেন আইএফআইসি ব্যাংক-কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার ২০২১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সাদাত হোসাইনের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

13/11/2023

নিশ্চই আল্লাহ
ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
সূরা আনাফাল, ৪৬

প্রশ্ন : সমুদ্রের পানি নীল হয় কেন?উত্তর : পানি বর্ণহীন, এর নির্দিষ্ট কোনো রং নেই । আমরা জানি, সূর্যের আলো সাত রংয়ের সম...
14/10/2023

প্রশ্ন : সমুদ্রের পানি নীল হয় কেন?

উত্তর : পানি বর্ণহীন, এর নির্দিষ্ট কোনো রং নেই । আমরা জানি, সূর্যের আলো সাত রংয়ের সমষ্টি। সাত রং এর আলোর সাতটি ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকে। সূর্যের আলো যখন কোনো বস্তুর ওপর পড়ে, বস্তুটি সূর্যের আলোর সবগুলো রং শোষণ করে যেকোনো একটি রং বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো প্রতিফলন করে এবং আমাদের চোখে এসে পৌঁছালে আমরা বস্তুটিকে ঐ নির্দিষ্ট রং এ দেখতে পাই । কোনো বস্তু যত স্বচ্ছ সেটি তত বেশি আলো শোষণ করে। সমুদ্রের পানি যেহেতু অনেক স্বচ্ছ হয়ে থাকে তাই এটি প্রায় সকল বর্ণের আলোই শোষণ করে নেয় । অন্যান্য দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করলেও ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট নীল আলোকে সম্পূর্ণ শোষণ করতে পারে না, ফলে কিছু অংশ প্রতিফলিত হয়। পানির এ বিশেষ শোষণ প্রক্রিয়াকে সিলেক্টিভ এবজর্বশন বলে এ প্রতিফলনের হার পানির পরিমাণ বা উচ্চতার ওপর নির্ভর করে। তাই সমুদ্রের পানি নীল হয়।

জীবনের এই ইঁদুর দৌড়ে ‘আত্মার যত্ন’ থেকে যায় অবহেলায়। সবকিছু হ্যান্ডেল করতে গিয়ে ‘ সেলফ কেয়ার’ তথা নিজের বা নিজের মনের যত...
31/08/2023

জীবনের এই ইঁদুর দৌড়ে ‘আত্মার যত্ন’ থেকে যায় অবহেলায়। সবকিছু হ্যান্ডেল করতে গিয়ে ‘ সেলফ কেয়ার’ তথা নিজের বা নিজের মনের যত্ন নেওয়াই হয়ে ওঠেনা। ফলে বাড়ে অবসাদ, বাড়ে মানসিক অস্থিরতা। তবে বই পড়ার অভ্যাস এক্ষেত্রে হতে পারে ভালো সমাধান। বই পড়ার চর্চা ‘সেলফ কেয়ার’- এর এমন এক বিশেষ পদ্ধতি যা আপনার জ্ঞানবৃদ্ধির পাশাপাশি মন এবং আত্মাকেও সমৃদ্ধ করে। সস্তা বিনোদনে সময় না দিয়ে বই পড়লে আত্মার খোড়াক মেটে। আত্মারও ক্ষুধা আছে। কেবলই স্বস্তা বিনোদনের জাঙ্কফুডে মন হয় আরো অসুস্থ-ক্লান্ত। মানসিক সুস্থতার জন্য চাই মনের সঠিক খোড়াক।

আপনি যতক্ষন একটি বই পড়েন, ততক্ষণ একটি ধ্যানের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে থাকেন। যা একে একে আপনার মানসিক চাপ কমায়, মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মনের সুস্থতা বাড়ায়। বই পড়াকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার রুটিনে পরিণত করুন। আর দেখুন এটি আপনার জীবনকে কিভাবে পরিবর্তন করে দেয়। মনে রাখবেন- বই পড়ার চর্চা কেবল আপনাকে বিনোদনই দিবেনা। বরং এটি আপনার ব্যাক্তিগত উন্নয়ন, রুচিবোধ তৈরি, জ্ঞানার্জনে দারুন কাজে লাগবে। আর ইসলামী বই আপনাকে আরো ভালো মুমিন হতে শেখাবে, জীবনের এই সফরের আরো স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরবে। পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় দিবে ঈমানের স্বাদ, জান্নাতে যাবার অনুপ্রেরণা।

বই পড়ার এই একটি মাত্র অভ্যাস যদি এতকিছু অর্জনে সাহায্য করে তবে কেন আপনি বই পড়বেন না? মাইলের পর মাইল অনলাইন স্ক্রল করে করে ব্রেইনকে ক্লান্ত করার চাইতে, বই পড়া কি আপনার জন্য আরো বেশি স্বস্তিদায়ক নয়?

- -
.স্বপ্ন ছড়াই বই নিয়ে.


ার_অভ্যাস

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার এক নাম হলো ‘আল হাদী’ তথা পথ প্রদর্শনকারী। তিনি আপনাকে নানান উপায়ে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে যান...
31/08/2023

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার এক নাম হলো ‘আল হাদী’ তথা পথ প্রদর্শনকারী। তিনি আপনাকে নানান উপায়ে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে যান।

বেশ অনেক বছর পরে যখন আপনি সন্তান লাভ করেন, আপনার মন আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় নুইয়ে আসে এবং তাঁর প্রতি আপনার বিশ্বাস আরো পোক্ত হয়। আপনি আরো গভীরভাবে তাঁর ইবাদাতে মগ্ন হোন৷

সন্তান দানের মাধ্যমে তিনি আপনাকে তাঁর আরো নিকটে টেনে নেন। আপনাকে দেখান সিরাতুল মুস্তাকীমের পথ, আপনার হৃদয়কে আমল আর ইবাদাতের জন্য করে দেন আরো প্রশস্ত। কারণ— তিনি হলেন আল হাদী। তিনি সন্ধান দেন পথের।

মাঝে মাঝে প্রিয়জনের মৃত্যু আপনাকে ভীষণভাবে ধাক্কা দিয়ে যায়। জীবন আর মৃত্যুর রহস্য নিয়ে আপনি ভাবাতুর হয়ে পড়েন। দুনিয়ার জীবন যে একটা সংক্ষিপ্ত সফর বৈ কিছু নয়—সেই বোধ আপনার মনে তৈরি হয়৷ আপনি তৎপর হয়ে উঠেন আখিরাতের বিষয়ে৷

অন্যজনের মৃত্যুর মাধ্যমে তিনি আপনাকে মুক্তির পথে টেনে নিয়ে আসেন৷ বদলে দেন আপনার চিন্তার জগত, পাল্টে দেন আপনার গতানুগতিক জীবনধারা৷ কারণ—তিনি হলেন আল হাদী। তিনি এভাবেও আপনাকে পথ দেখান।
©@আরিফ আজাদ

04/05/2023

বই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ
শোপিস

30/04/2023

আপনি শেষবার যখন পড়তে বসেছিলেন তখন দেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছিল!

আচ্ছা ঐ বইটার নাম কি ছিল

॥ সফ্ট রিমাইন্ডার ॥শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোজা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।বছর ঘুরে শুধু একবার শাওয়ালের এই নফল রোজার সুযোগ পাওয়া য...
29/04/2023

॥ সফ্ট রিমাইন্ডার ॥
শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোজা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
বছর ঘুরে শুধু একবার শাওয়ালের এই নফল রোজার সুযোগ পাওয়া যায়।

চাইলে ছয়টি রোজা একসাথেও রাখতে পারেন, আবার সুবিধামত গেপ দিয়েও রাখতে পারেন। তাই, যারা এখনো শুরু করেননি, দ্রুত শুরু করে দিন। বিত্তাওফিক ইন শা আল্লাহ।

‘ইজরাইল অনেকটা আঙুর গাছের মতো; তার শাখা-প্রশাখা যতই কাটা হোক না কেন, তা আবারও গজাবে। কারণ, তার শেকড় রয়েছে মাটির অনেক গভী...
29/04/2023

‘ইজরাইল অনেকটা আঙুর গাছের মতো; তার শাখা-প্রশাখা যতই কাটা হোক না কেন, তা আবারও গজাবে। কারণ, তার শেকড় রয়েছে মাটির অনেক গভীরে। ’

পড়ছি......
সিক্রেটস অব জায়োনিজম ❤️

বইটা হাতে নিয়ে ভেবেছিলাম কঠিন কঠিন বিষয়ে হয়তো আলোচনা হয়েছে৷ পড়ার মতো ধৈর্য্য পাব কিনা জানিনা।
অথচ পড়তে গিয়ে দেখলাম একটু ও বিরক্ত লাগছে না। সত্যি বলতে নতুন কিছু জানার মজাই আলাদা।❤️

_পাঠকের মন্তব্য
#সিক্রেটস_অব_জায়োনিজম

পাঠকের মন্তব্য_বেলা ফুরাবার আগে আমার পড়া অনন্য এক আত্মোন্নয়নমূলক বই। মুসলিম- জীবনের নিয়মতান্ত্রিক টিপসগুলো এত সুন্দর ...
28/04/2023

পাঠকের মন্তব্য_

বেলা ফুরাবার আগে আমার পড়া অনন্য এক আত্মোন্নয়নমূলক বই। মুসলিম- জীবনের নিয়মতান্ত্রিক টিপসগুলো এত সুন্দর উপস্থাপনায় আমি ইতোপূর্বে কখনো পড়িনি। জীবনমুখী বিষয়গুলো পড়তে গিয়ে বইয়ের পাতা থেকে আমি ইতিহাসেরও শিক্ষা নিয়েছি দারুণভাবে। পশ্চিমের আধুনিক জীবনের বিপরীতে কীভাবে জীবনটাকে প্র্যাক্টিসিং-জীবন হিসেবে সাজানো যায়, তার দারুণ অনুপ্রেরণা রয়েছে এই বইয়ে। আমাদের দুটো জীবন—এক. দুনিয়ার জীবন, দুই. আখিরাতের জীবন। দুনিয়ার জীবনপদ্ধতি হচ্ছে আখিরাতের জীবনের ইনভেস্টমেন্ট। মৃত্যুপরবর্তী জীবনের ইনভেস্টমেন্টের সিকিউরিটি নিশ্চিত করে কীভাবে দুনিয়ার জীবনকে উপভোগ্য এবং উপজীব্য করে অতিবাহিত করা যায়, সে বিষয়েরই প্রতিপাদ্য চিত্র বেলা ফুরাবার আগে৷ উদভ্রান্ত, উদাসীন সময়ের পাটাতন থেকে মানুষেরা ফিরছে জীবনের নতুন অনুচ্ছেদে। মুক্তির শীতল পরশে নতুন পৃথিবীর বার্তা বইছে। ভীষণ বেপরোয়া স্রোত এবার বাঁক নিয়েছে। জীবনের এই বেপরোয়া স্রোতকে আমরা নতুন জাগরণে উত্তাল করবো। আসুক তবে আদর্শের সেই কাঙ্ক্ষিত ঢেউ, আমরা তাতে হবো লীন।

—কাজী শাখাওয়াত হোসাইন

©📷

27/04/2023

এই রমাদানে কোন বইটি সবচেয়ে বেশি পড়েছেন?

"বেলা ফুরাবার আগে " বই নিয়ে এক বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ত বা  পাঠকের মন্তব্য _[এক] বেলা ফুরাবার আগে আমার পড়া অনন্য এক আত্মোন্ন...
17/04/2023

"বেলা ফুরাবার আগে " বই নিয়ে এক বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ত বা পাঠকের মন্তব্য _

[এক] বেলা ফুরাবার আগে আমার পড়া অনন্য এক আত্মোন্নয়নমূলক বই। মুসলিম- জীবনের নিয়মতান্ত্রিক টিপসগুলো এত সুন্দর উপস্থাপনায় আমি ইতোপূর্বে কখনো পড়িনি। জীবনমুখী বিষয়গুলো পড়তে গিয়ে বইয়ের পাতা থেকে আমি ইতিহাসেরও শিক্ষা নিয়েছি দারুণভাবে। পশ্চিমের আধুনিক জীবনের বিপরীতে কীভাবে জীবনটাকে প্র্যাক্টিসিং-জীবন হিসেবে সাজানো যায়, তার দারুণ অনুপ্রেরণা রয়েছে এই বইয়ে। আমাদের দুটো জীবন—এক. দুনিয়ার জীবন, দুই. আখিরাতের জীবন। দুনিয়ার জীবনপদ্ধতি হচ্ছে আখিরাতের জীবনের ইনভেস্টমেন্ট। মৃত্যুপরবর্তী জীবনের ইনভেস্টমেন্টের সিকিউরিটি নিশ্চিত করে কীভাবে দুনিয়ার জীবনকে উপভোগ্য এবং উপজীব্য করে অতিবাহিত করা যায়, সে বিষয়েরই প্রতিপাদ্য চিত্র বেলা ফুরাবার আগে৷ উদভ্রান্ত, উদাসীন সময়ের পাটাতন থেকে মানুষেরা ফিরছে জীবনের নতুন অনুচ্ছেদে। মুক্তির শীতল পরশে নতুন পৃথিবীর বার্তা বইছে। ভীষণ বেপরোয়া স্রোত এবার বাঁক নিয়েছে। জীবনের এই বেপরোয়া স্রোতকে আমরা নতুন জাগরণে উত্তাল করবো। আসুক তবে আদর্শের সেই কাঙ্ক্ষিত ঢেউ, আমরা তাতে হবো লীন।

—কাজী শাখাওয়াত হোসাইন

মূল্য: বেলা ফুরাবার আগে
লেখক: আরিফ আজাদ
মুদ্রিত মূল্য : ৩৩৫ টাকা
ছাড় মূল্য: ২৫২ টাকা।

রমাদানে দান ও সৎকাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বভাবতই অনেক বেশি দানশীল ছিলেন। তার ...
13/04/2023

রমাদানে দান ও সৎকাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বভাবতই অনেক বেশি দানশীল ছিলেন। তার হৃদয় ছিল দয়া ও মহানুভবতায় পূর্ণ। কখনো কাউকে তিনি শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতেন না। কিন্তু রমাদান মাস আগমন করলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দান এবং ইবাদতের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতেন।

📖 মুমিনের জীবনে রামাদান
লেখক : শাইখ মুহাম্মদ ইবনে হাসান আশ-শারিফ
প্রকাশনী : হাসানাহ পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্য : ২০৭/-
পৃষ্ঠা : ১৪৮

12/04/2023

অসংখ্য ধর্মীয় বক্তা কিয়ামতের আলামতসংক্রান্ত হাদিসসমূহকে উপস্থাপন করে মানুষের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করে। সামাজিক অনাচার ও বিপর্যয়কে সংশোধনের আহ্বান না জানিয়ে তা থেকে পলায়নের পরামর্শ দেয়। ফলে সমাজের একটি বিশাল অংশ সমাজ সংশোধনের কাজ থেকে দূরে সরে গিয়ে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। তাদের আপনি যদি সামাজিক সংশোধনের দিকে আহ্বান করেন, তারা আপনার দিকে ফিতানসংক্রান্ত হাদিসসমূহকে ছুড়ে দেবে।

ফিতনাসংক্রান্ত হাদিসগুলোর মাধ্যমে রাসূল (সা.) কখনোই শত্রুর মোকাবিলায় পিছু হটার কথা বলেননি। সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে তাসবিহ নিয়ে দিনগুজার করতে বলেননি। সেগুলোর মাধ্যমে তিনি বরং মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল সম্প্রদায়ের ষড়ন্ত্রকে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। আমরা যেন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি। হাদিসগুলোর মাধ্যমে আমাদের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতাসমূহকে দেখিয়ে দিয়েছেন। আমরা যেন সে দুর্বলতাসমূহকে কাটিয়ে পুনরায় শক্তিতে বলীয়ান হতে পারি। হাদিসগুলো থেকে আমরা যেন মুসলিম সমাজের রোগ নির্ণয় করতে পারি। আর রোগ নির্ণয় হচ্ছে কার্যকর চিকিৎসার প্রথম ধাপ।

আমাদের আলেমদের উচিত, হতাশাপূর্ণ ও অনুৎসাহমূলক বক্তব্যের বিপরীতে ইতিবাচক ও সুসংবাদপূর্ণ হাদিসগুলোকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। এতে করে আমাদের অন্তরসমূহ সজিব হবে। স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে নতুন করে। আশা-আকাঙ্ক্ষা ও হিম্মতের সমন্বয়ে আমরা পুনরুজ্জীবিত হতে পারব।

নিম্নলিখিত হাদিসসমূহ মুসলিম উম্মাহকে আশাব্যঞ্জক এবং প্রেরণা জোগাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

এক. ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.) তাঁর সহিহ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, নবি করিম (সা.) বলেন—‘অবশ্যই এ দ্বীন একদিন পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাবে। যেখানেই রাত-দিনের পরিক্রমা দেখা যাবে, সবখানেই। আল্লাহ প্রতিটি ঘরে ঘরে—সেটি মাটির হোক কিংবা অন্যান্য সাময়িক আবাস্থল হোক না কেন—তাঁর দ্বীনকে প্রবেশ করিয়ে দেবেন। এর মাধ্যমে একদলকে ইসলাম গ্রহণের কারণে সম্মানিত করবেন। আরেক দলকে কুফরির ওপর অটল থাকার কারণে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসনাদুশ শামিয়্যিন : ১৬৯৫৭)

দুই. ইমাম আহমদ (রহ.), মুসলিম (রহ.), আবু দাউদ (রহ.), তিরমিজি (রহ.) এবং ইবনে মাজাহ (রহ.) ছাউবান (রা.) থেকে মারফু সনদে বর্ণনা করেন, নবি করিম (সা.) বলেন—

‘আল্লাহ তায়ালা এ বিশাল জমিনকে মুষ্টিবদ্ধ করে আমার সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। আমি এর পূর্ব থেকে শুরু করে পশ্চিম পর্যন্ত সবকিছুই দেখেছি। আমি আমার উম্মতকে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে রাজত্ব করতে দেখেছি।’ (মুসলিম, কিতাবুল ফিতান ওয়া আশরাতিস সাআহ : ২৮৮৯ আবু দাউদ, আওয়ালু কিতাবিল ফিতানি ওয়াল মালাহিম : ৪২৫২, তিরমিজি, আবওয়াবুল ফিতানি আন রাসূলিল্লাহ : ২১৭৬ ইবনে মাজাহ, কিতাবুল ফিতান : ৩৯৫২ মুসনাদে আহমদ, মুসনাদুশ-শামিয়্যিন : ১৭১১৫)

তিন. হাদিসটি ইমাম আহমদ (রহ.), দারেমি (রহ.), ইবনু আবি শায়বা (রহ.) এবং হাকিম (রহ.) বর্ণনা করেছেন। মুহাদ্দিসগণ একে সহিহ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। আবু কুবাইল (রহ.) বলেন—

‘আমরা একদা আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.)-এর মজলিশে উপস্থিত ছিলাম। আমাদের একজন তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কনস্ট্যান্টিনোপল ও রোম—এ দুটি শহরের মধ্যে কোনটি সর্বপ্রথম ইসলামের পতাকাতলে আসবে? আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) তাঁর একটি বাক্সকে উপস্থিত করলেন, যা বন্ধ ছিল। এরপর সে বাক্স থেকে একটি বই বের করলেন এবং বললেন, আমরা একদিন নবিজির মজলিশে বসে লিখছিলাম। এক সাহাবি তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, কনস্ট্যান্টিনোপল ও রোমের মধ্যে কোন শহরটি আগে বিজিত হবে? তখন নবিজি বলেছিলেন, হিরাক্লিয়াসের শহর অর্থাৎ কনস্ট্যান্টিনোপল সর্বপ্রথম বিজিত হবে।’ (সুনানে দারেমি, আল-মুকাদ্দিমাহ : ৫০৩ মুসনাদে আহমদ, মুসনাদে আবদুল্লাহ ইবনে আমর : ৬৬৪৫)

হাদিসে رُوْمِيَّةٍ দ্বারা ইতালির রাজধানী রোমকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। বিখ্যাত গ্রন্থ মুজামুল বুলদান-এ শব্দটিকে এ অর্থেই নেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের প্রথম বিজয়টি অর্জিত হয়েছে। কিন্তু রোম বিজয়ের সুসংবাদটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আর বিশ্বনবির (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী কখনোই মিথ্যা সাব্যস্ত হয় না।

চার. হাদিসটি ইমাম আবু দাউদ ও হাকিম (রহ.) বর্ণনা করেছেন। ইমাম হাকিম (রহ.) একে সহিহ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। এ ছাড়াও ইমাম বায়হাকি (রহ.) মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার গ্রন্থে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে মারফু সনদে উল্লেখ করেছেন। রাসূল (সা.) বলেন—
‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক শতাব্দীর শুরুতে এই উম্মাহর কল্যাণের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করেন; যিনি এসে দ্বীনকে পুনরায় সংস্কার করে থাকেন।’ (আবু দাউদ, আওওয়ালু কিতাবিল মালাহিম : ৪২৯১)
হাফিজ আল ইরাকি (রহ.)সহ অন্যরা হাদিসটির সনদকে সহিহ বলেছেন। ইমাম আল সুয়ুতি (রহ.) তাঁর আল জামিউস সগির গ্রন্থে একে সহিহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

পাঁচ. হাদিসটি ইমাম আহমদ ও তিরমিজি (রহ.) আনাস (রা.) থেকে, ইমাম আহমদ (রহ.) আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) থেকে, ইমাম আবদুর রাজ্জাক (রহ.) আলি (রা.) থেকে এবং ইমাম তাবরানি (রহ.) আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে মারফু সনদে বর্ণনা করেছেন। নবি করিম (সা.) বলেন—

‘আমার উম্মতের লোকেরা হচ্ছে বৃষ্টির মতো। কেউ জানে না তার প্রথমাংশে নাকি শেষাংশে কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (তিরমিজি, আবওয়াবুল আমছালি আন রাসূলিল্লাহ : ২৮৬৯ মুসনাদে আহমদ, মুসনাদে আনাস ইবনে মালিক : ১২৩২৭)

হাদিসের মর্মার্থ হচ্ছে, বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা পানির মধ্যে যেমন জীবনীশক্তি নিহিত রয়েছে, মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি প্রজন্মের মাঝে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যার মাধ্যমে তাঁরা সামাজিক পুনর্জাগরণের কাজ করে।

ছয়. হাদিসটি ইমাম আহমদ (রহ.) ও বাজ্জার (রহ.) হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) হতে মারফু সনদে বর্ণনা করেছেন। নবি করিম (সা.) বলেন—‘তোমাদের মাঝে নবুয়তের এ শাসনব্যবস্থা আল্লাহর সিদ্ধান্ত যতদিন, ততদিন চলতে থাকবে। নবুয়তি শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে নবুয়তের আদলে খিলাফতব্যবস্থা কায়েম হবে। আল্লাহ যতদিন চাইবেন—
খিলাফতের শাসন চলবে। খেলাফতের পরিসমাপ্তি হলে জুলুমের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহ যতদিন চাইবেন, জুলুমের এ রাজত্ব চলতে থাকবে। এ শাসনব্যবস্থার পতন ঘটলে জবরদস্তিমূলক শাসনব্যবস্থার আবির্ভাব হবে। আল্লাহ যতদিন চাইবেন, এ শাসন চলতে থাকবে। এ শাসনের পরিসমাপ্তির পর পুনরায় নবুয়তের আদলে খিলাফতব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। এরপর নবিজি চুপ থাকলেন।’ (মুসনাদ আহমদ, আওওয়ালু মুসনাদিল কুফিয়্যিন, হাদিস নং- ১৮৪০৬)

বিশ্বনবির (সা.) ভবিষ্যদ্বাণীর প্রথম তিনটি ধাপ অর্থাৎ খুলাফায়ে রাশেদা, জুলুমবাজ শাসন এবং জবরদস্তিমূলক শাসনব্যবস্থা অতিবাহিত হতে চলেছে। বহুল প্রত্যাশিত নবুয়তি মানহাজের ওপর প্রতিষ্ঠিত খিলাফতব্যবস্থা এখনও বাকি আছে, মুসলিম উম্মাহ অধীর আগ্রহে যার অপেক্ষমাণ রয়েছে। তবে খিলাফতের প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের জন্য উম্মাহকে কাজ করে যেতে হবে। মুমিনদের প্রচেষ্টা ও শ্রমের বিনিময়েই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জাতির মধ্যে পরিবর্তন আনয়ন করেন।
এ ছাড়াও অসংখ্য হাদিস এ বিষয়টিকে সাব্যস্ত করে।

সাত. রাসূল (সা.) বলেন—‘আমার উম্মতের মধ্য হতে একটি দল সর্বাবস্থায় আল্লাহর দ্বীনের ওপর দণ্ডায়মান থাকবে। শত বাধা-বিপত্তি ও বিরোধিতা তাঁদের সত্যের পথযাত্রী হওয়া থেকে দমাতে পারবে না। অতঃপর আল্লাহর সিদ্ধান্তক্রমে একদিন তাঁরা সকলের ওপরে বিজয় লাভ করবে।’ (বুখারি, কিতাবুল মানাকিব : ৩৬৪১)

আট. রাসূল (সা.) বলেন—‘কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসলাম পৃথিবীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যার জন্য সর্বাবস্থায় মুসলমানদের মধ্য হতে একটি দল লড়াই করে যাবে।’ (মুসলিম, কিতাবুল ইমারাহ : ১৯২২)

নয়. রাসূল (সা.) বলেন—‘আমার উম্মতের মধ্য হতে একটি দল সর্বাবস্থায় সত্যের পথে সংগ্রাম করে যাবে। শত্রুর মোকাবিলায় তাঁরা জয়ী হবে এবং তাঁদের সর্বশেষ দলটি কিয়ামতের পূর্বক্ষণে দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’ (আবু দাউদ, কিতাবুল জিহাদ : ২৪৮৪ )

দশ. রাসূল (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন—‘ঈসা (আ.) দুনিয়াতে এসে এমন কিছু সত্যনিষ্ঠ জনগোষ্ঠীকে পাবেন, যারা হবে ঠিক তোমাদের মতোই অথবা শ্রেষ্ঠ তিন প্রজন্মের মতো। আল্লাহ তায়ালা কখনোই এমন একটি উম্মাহকে লাঞ্ছিত করবেন না, যার শুরু হয়েছে আমাকে দিয়ে এবং পরিসমাপ্তি ঘটবে মাসিহ ঈসা (আ.)-এর মাধ্যমে।’ (হাদিসটি ইবনু আবি শাইবা (রহ.) বর্ণনা করেছেন)

এগারো. রাসূল (সা.) বলেন—‘আমার উম্মতকে দ্বীনের বিজয় এবং বিকাশতার, উচ্চ মর্যাদা এবং পৃথিবীকে নেতৃত্ব দানের ব্যাপারে সুসংবাদ দাও।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসনাদুল আনসার : ২১২২০)

বারো. রাসূল (সা.) বলেন—‘ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না পৃথিবীতে সম্পদের প্রাচুর্যতা ঘটবে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, মানুষ জাকাতের সম্পদ নিয়ে ঘুরতে থাকবে, কিন্তু গ্রহণ করার মতো কাউকে খুঁজে পাবে না। এ ছাড়াও ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না, যতক্ষণ না আরবের মরু অঞ্চল পুনরায় সবুজ-শ্যামল এবং নদী-নালায় পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।’ (মুসলিম, কিতাবুজ জাকাত : ১৫৭)

তেরো. রাসূল (সা.) বলেন—‘ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ইহুদিদের সাথে তোমাদের এক চূড়ান্ত যুদ্ধ হবে। সে যুদ্ধে ইহুদিরা পলায়ন করে পাথরের আড়ালে লুকোতে চাইবে। তখন পাথর বলবে, ওহে আল্লাহর বান্দা বা ওহে মুসলিম! আমার আড়ালে ইহুদি লুকিয়ে আছে, তাকে হত্যা করো।’ (বুখারি, কিতাবুল জিহাদ ওয়াস সিয়ার : ২৯২৬)

চৌদ্দ. রাসূল (সা.) বলেন—‘দুনিয়ার সময়কালের মধ্য হতে একটি দিনও যদি অবশিষ্ট থাকে, সে দিনটিকে মহান আল্লাহ টেনে দীর্ঘায়িত করবেন। অতঃপর সে দিনটিতে আমার বংশের মধ্য হতে একজনকে পাঠানো হবে। তিনি পুরো পৃথিবীকে ন্যায়-নীতির মানদণ্ডে সাজিয়ে নেবেন, যেমনিভাবে পৃথিবীটা আজ জুলুম ও নিপীড়ন দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে আছে।’ (আবু দাউদ, কিতাবুল মাহদি : ৪২৮২)

প্রচেষ্টা ও কর্মতৎপরতার ওপর এত অধিক সংখ্যক হাদিস অধ্যয়নের পর কোনো ব্যক্তি দুয়েকটি বিশেষ প্রেক্ষাপটের হাদিসকে দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে ঘরে বসে থাকতে পারে না।

আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারজাভির ‘দাঈদের জ্ঞানচর্চ্চা’ বই থেকে...

📖"কুরআনের সাথে  হৃদয়ের কথা"▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂আমার কাছে ভাল সময় কাটানো মানে, একটা ভাল বইয়ের পাতায় ডুব দেয়া। ভাল বই ...
11/04/2023

📖"কুরআনের সাথে হৃদয়ের কথা"
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
আমার কাছে ভাল সময় কাটানো মানে, একটা ভাল বইয়ের পাতায় ডুব দেয়া। ভাল বই বলতে আসলে কি! অবশ্যই সেটা "কুরআন"। সেই লিস্টে কুরআনই থাকবে প্রথমে। পাশাপাশি কুরআনকে কেন্দ্র করেও লেখা হয়েছে আরো লক্ষ লক্ষ বই। যেগুলোর মাধ্যমে কুরআনকে আরো বেশি উপলব্ধি করা যায়, কুরআনের দিকে ছুটে যেতে আরো অনুপ্রেরনা যোগায়, কুরআনের সাথে হৃদয়ের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। তেমনই একটা বই "কুরআনের সাথে হৃদয়ের কথা" !
-
কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান বের করার প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে এই বইটিতে। বইটি লিখেছেন--শাইখ ইবরাহীম আস-সাকরান। অনুবাদ করেছে - আব্দুল্লাহ মজুমদার। তার অনুবাদের হাত বরাবরই প্রশংসনীয়, সাবলীল এবং প্রাঞ্জল। বইটি সম্পাদনা করেছেন -- আকরাম হোসাইন।
-
বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর করা উচিত, কুরআনের কথা থেকে কিভাবে শিক্ষা নেয়া উচিত। বইটিতে লেখক তার চিন্তা গবেষনার সার নির্যাস তুলে ধরেছেন।
-
ঈমানের অর্থ, আখিরাতের স্মরণ, আল্লাহর ভয়, হৃদয়ের কাঠিন্য, পার্থিব পেশা, ফজরের সালাতের গুরুত্ব, সালাতকে জীবনে প্রতিষ্ঠা, তাহাজ্জুদ নিয়ে হৃদয় বিগলিত আলোচনা, নিফাকের পরিচয়, আল্লাহর পরিচয়, তাওয়াক্কুলের গুরুত্ব, শক্তিমান বান্দা হওয়ার উপায়, ঈমানের সর্বোচ্চ স্তরে আরোহণের উপায় ও সবশেষে অন্যের গুনাহের দায়ভার গ্রহনের কারণ সম্পর্কে হৃদয়গ্রাহী সব আলোচনা করা হয়েছে।
-
বইটি পাঠকের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে; কুরআনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।
-
বইটির ভাষাগত দিক খুবই চমৎকার হয়েছে। পড়তে গিয়ে অন্তরে একটা নূর অনুভব করেছি। হৃদয়ে সঞ্চারিত করেছে ভরসার স্পর্শ।
বইটি দ্বীন পালনে উদাসীনতা ভাঙতে সাহায্য করবে। আমলের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করবে এবং কুরআনহীন মরুভূমির মতো হৃদয়ে এনে দেবে এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়া।
বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দুআ রইল।..
বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬৬ ।
রিভিউ লিখেছেন : M. Hasan Sifat
বই : কুরআনের সাথে হৃদয়ের কথা
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন ।
মুদ্রিত মূল্য : ২৬০ টাকা

চোখের সামনে দিয়ে একটা মানবজীবন এমন ব্যর্থতায় কেটে যাবে, তা কি দেখে সহ্য করা যায়? দুনিয়ায় এই একটাই আমাদের সুযোগ। আর ...
10/04/2023

চোখের সামনে দিয়ে একটা মানবজীবন এমন ব্যর্থতায় কেটে যাবে, তা কি দেখে সহ্য করা যায়? দুনিয়ায় এই একটাই আমাদের সুযোগ। আর কোনো দ্বিতীয়, তৃতীয় সুযোগের ব্যবস্থা নেই। এই জীবনটা যেনতেনভাবে কাটিয়ে দিয়ে, পরের জীবনটায় খুব গোছানো হয়ে যাব, অনেক কর্মমুখর থাকব—এমন চিন্তার জায়গা এখানে নেই। এটাই প্রথম এবং এটাই সর্বশেষ। কাজে লাগাতে হলে এটাকেই লাগাতে হবে, আর যদি অপচয়ের ইচ্ছে অটুট থাকে মনে, এই জীবনটাই কেবল বরাদ্দ।

অনেক তো ঘোর লাগা সময় পার করা হলো। অহেতুক কাজ আর ভাবনায়, অনর্থ কোলাহলে আর অদরকারি আড্ডায়। জীবনের বাকি মুহূর্তগুলো নিয়ে আমরা কি একটু নতুনভাবে ভাবতে পারি না? পারি না আগামীকাল থেকে একটা নতুন ভোরের সাক্ষী হতে, যেখানে থাকবে না আল্লাহর অবাধ্যতা? যেখানে আমাদের জীবনকে রাঙিয়ে তুলবো আল্লাহর রঙে? আমরা ছেড়ে আসবো সমস্ত অন্ধকার। হৃদয়ে জমে থাকা সকল কালিমা দূর করে আমরা ছুটবো হেরার আলোর পানে। আমরা ধরবো তাদের পথ, যারা আমাদের আগে আগে চলে গেছেন সিরাতুল মুস্তাকিমের রাস্তা ধরে। আমরা ত্যাগ করবো সমস্ত পিছুটান। ছুঁড়ে ফেলবো সমস্ত জঞ্জাল। জীবনের পরবর্তী সূর্যোদয়টা হবে আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন অধ্যায়।

এবার ভিন্ন কিছু হোক

জাগরণের এই জাগ্রত জোয়ারে এবার নতুন করে লেখা হোক জীবনের জ্যামিতি।

বই: এবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক: আরিফ আজাদ

ধরা যাক, আপনি দিনে চার ঘণ্টা ফেইসবুক ব্যবহার করেন সব মিলিয়ে। যদি তা-ই হয়, তাহলে একবছরে আপনার ফেইসবুক ব্যবহারের পরিমাণ ...
06/04/2023

ধরা যাক, আপনি দিনে চার ঘণ্টা ফেইসবুক ব্যবহার করেন সব মিলিয়ে। যদি তা-ই হয়, তাহলে একবছরে আপনার ফেইসবুক ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৬০ ঘণ্টা। বাংলাদেশে একজন মানুষের গড় আয়ু ৬০ বছরের কাছাকাছি। যদি ধরে নেওয়া হয়। যে, আপনি ৬০ বছর বাঁচবেন, তাহলে ৬০ বছরে আপনি মোট ৮৭,৬০০ ঘণ্টা ফেইসবুকে কাটান!

তবে জন্মের পর থেকেই তো কেউ ফেইসবুক চালায় না। যদি ধরা হয় যে, পনেরো বছর বয়সে আপনার হাতে স্মার্টফোন এলো এবং পঞ্চাশ বছর বয়স অবধি আপনি ফেইসবুকে সক্রিয় থাকলেন, তাহলে বাকি থাকে পঁয়ত্রিশ বছর। বছরে যদি আপনি ১৪৬০ ঘণ্টা ফেইসবুক চালান, পঁয়ত্রিশ বছরে এই ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫১,১০০ ঘণ্টা!

৮৭৬০ ঘণ্টায় যদি ১ বছর হয়, ৫১,১০০ ঘণ্টা মানে প্রায় ৬ বছরের কাছাকাছি। অর্থাৎ, ৩৫ বছরের স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়কালে জীবন থেকে ছয়টা বছর আপনি হারিয়ে ফেলবেন শুধু ফেইসবুক স্ক্রল করতে করতে! ভাবা যায় কী এক ভয়াবহ ব্যাপার এটা?

এটা কেবল যারা দিনে চার ঘণ্টা ফেইসবুক ব্যবহার করে তাদের হিশেবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এমন বহু মানুষকে চিনি, যারা প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ ঘণ্টা ফেইসবুক ব্যবহার করে। আমি এমন লোকও পেয়েছি, যারা দিনে ১৫-১৮ ঘণ্টা ফেইসবুকে কাটায় এবং তা কোনো কারণ ছাড়াই। এদের ক্ষেত্রে হিশেবটা তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

©বই : এবার ভিন্ন কিছু হোক

সভ্যতার সংঘাত শুরু হয়ে গেছে, যা নব্বইয়ের দশক থেকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছিলেন। পশ্চিমা সভ্যতা আর ইসলামের মাঝে সভ্যতার...
04/04/2023

সভ্যতার সংঘাত শুরু হয়ে গেছে, যা নব্বইয়ের দশক থেকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছিলেন। পশ্চিমা সভ্যতা আর ইসলামের মাঝে সভ্যতার সংঘাত।
"খেয়াল করলে দেখবেন, একদিকে প্র্যাকটিসিং মুসলিমের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, আবার নাস্তিক-মুরতাদ- নারীবাদীর সংখ্যাও বাড়ছে। "
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪০০ বছর আগে জানিয়েছিলেন : শেষ যুগে ঈমান ও কুফরের তাঁবু একেবারে আলাদা হয়ে যাবে। মানুষ দুই তাঁবুতে আশ্রয় নেবে। যারা ঈমানের তাঁবুতে যাবে, তাদের মাঝে কোনো নিফাক-কুফর থাকবে না, অনুরূপ যারা নিফাক-কুফরের তাঁবুতে যাবে, তাদের মাঝে ঈমানের লেশমাত্র থাকবে না।[১]
মানে হলো মাঝখানের এই ৯০% উদাসীন মানুষের মাঝে চিন্তার মেরুকরণ ঘটছে। উদাসীনতা থেকে বেরিয়ে দুই তাঁবুতে ভাগ হচ্ছে মানুষ। আমাদের লক্ষ্য হলো সভ্যতার এই সংঘাতে যত বেশিসংখ্যক মানুষকে আপনি ঈমানের তাঁবুতে আনতে পারেন, ইসলামের চশমা পরিয়ে দিতে পারেন— সেই চেষ্টা করা। নাস্তিকদের পেছনে সময় না দিয়ে এই বিশাল মধ্যবর্তী অংশের পেছনে সময় দেন।

রেফারেন্স :
[১] সুনানু আবি দাউদ : ৪২৪২; মুসনাদু আহমাদ : ৬১৬৮; মুসতাদরাকুল হাকিম : ৮৪৪১; শারহুস সুন্নাহ, বাগাবি : ৪২২৬; মুসনাদুশ শামিয়্যিন : ২৫৫১; আল-ফিতান, নুআইম ইবনু হাম্মাদ : ১৩; হিলইয়াতুল আউলিয়া : খন্ড ৫; পৃষ্ঠা : ১৫৮ -হাদিসটির সনদ সহিহ

31/03/2023

এই মার্চ মাসে কয়টি বই পড়ে শেষ করলেন?

ভোরের শিশির, শীতের কুয়াশা, রাতের নিস্তব্ধতা, পাখিদের কলরব, নদীর অবিরাম বয়ে চলা, সাগরের বুকে উথাল-পাতাল ঢেউ – সবখানে সব...
26/03/2023

ভোরের শিশির, শীতের কুয়াশা, রাতের নিস্তব্ধতা, পাখিদের কলরব, নদীর অবিরাম বয়ে চলা, সাগরের বুকে উথাল-পাতাল ঢেউ – সবখানে সবকিছু ঠিকঠাক, কেবল আমাদের জীবনের কোথাও যেন এক নীরব ছন্দপতন৷ সেখানে সুর, তাল আর লয়ের কোনো হিশেব মিলছে না৷ প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। মাঝে মাঝে হাপিত্যেশ লাগে—এভাবে একটা জীবন চলতে পারে? কী পাওয়ার বদলে কী হারাচ্ছি জীবন থেকে? এভাবেই কি ক্ষয়ে যাওয়ার কথা আস্ত একটা জীবন?

প্রশ্নগুলো অনেকের, কিন্তু উত্তরগুলো যেন কোথাও বিন্যস্ত করা নেই। জীবনে একটা বদল প্রয়োজন, একটা পরিবর্তন ভীষণ জরুরি—তা আমরা জানি৷ কিন্তু কীভাবে শুরু করবো? ঠিক কোথা থেকে যাত্রা করবো নতুন এক দিনের? এইসব প্রশ্নের উত্তর আর জীবনের এক নতুন উপাখ্যান রচনায় ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক” বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সাথি।

22/03/2023
কেউ একজন যেন পাহাড়ের শরীর থেকে আচমকা ষাঁড়ের মতো বেরিয়ে আসতে লাগল । আবছা আলোয় কালো আলখাল্লা পরা লোকটার ছায়ামূর্তি দে...
16/03/2023

কেউ একজন যেন পাহাড়ের শরীর থেকে আচমকা ষাঁড়ের মতো বেরিয়ে আসতে লাগল । আবছা আলোয় কালো আলখাল্লা পরা লোকটার ছায়ামূর্তি দেখে আতাউর রহমানের বুক কেঁপে উঠল। কী করবেন তিনি? কিছু করার সুযোগ অবশ্য পেলেন না। তার আগেই ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত চিটচিটে এক বস্তায় ছায়ামূর্তিটি তার মুখ ঢেকে ফেলল। তারপর চেপে ধরল পাহাড়ের সঙ্গে। আতাউর রহমান শ্বাস নিতে পারছেন না। তার গলা হাঁসফাঁস করছে। অসহায়ের মতো শূন্যে হাত-পা ছুঁড়তে লাগলেন তিনি। লোকটা প্রথম আঘাতটা করল ঠিক তখনি। আতাউর রহমানের ডান কাঁধ বরাবার ধারালো কিছুর আঘাত। তীব্র যন্ত্রণায় গুঙিয়ে উঠলেন তিনি। সাদা শার্টটা রক্তে লাল হয়ে যেতে লাগল। ছুরির ফলাটা বসে গেছে মাংসের গভীরে। ছায়ামূর্তি চুরিটা টেনে বের করল। সম্ভবত আবারো আঘাত করবে। কিন্তু আতাউর রহমান আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না। ভারসাম্য হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। এই পতন অবশ্য তাকে বাঁচিয়েও দিলো। সরু রাস্তার খাড়া ঢাল বেয়ে গড়িয়ে নিচের কবরস্থানে গিয়ে পড়লেন তিনি। একটা ভাঙা কবরের ভেতর তার শরীরের অর্ধেকটা সেঁধিয়ে গেল । ভয়ানক এক আতঙ্ক অবশ করে রাখল তাকে।

আপনি কি কাউকে সন্দেহ করছেন?' গোঁফে হাত বোলাতে বোলাতে জিজ্ঞেস

করলেন রেজা।

'নাহ।'

'নাহ।'

‘এর আগে এমন কিছু ঘটেছে?'

'জি।'

*কিন্তু একটু আগেই যে বললেন প্রায়ই মনে হতো আপনাকে কেউ অনুসরণ করছে?

"তাহলে সেসময় কেন পুলিশকে কিছু জানাননি?' “আসলে আমি বুঝতে পারছিলাম না।'

কি ওটা আমার মনের

স্বপ্ন-ষড়যন্ত্র-দাসত্ব-দুর্ভিক্ষ-রাজত্ব— কী দারুণ এক ইন্সপায়ারিং আখ্যান! বাধা-বিপত্তির দেয়াল পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছার এই অস...
20/02/2023

স্বপ্ন-ষড়যন্ত্র-দাসত্ব-দুর্ভিক্ষ-রাজত্ব— কী দারুণ এক ইন্সপায়ারিং আখ্যান! বাধা-বিপত্তির দেয়াল পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছার এই অসাধারণ গল্প কোটি হৃদয়কে উজ্জীবিত করছে শত সহস্র বছর ধরে। হতাশার পাহাড় মাড়িয়ে আশার আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার এ গল্প আজকের প্রজন্মকেও স্পর্শ করে খুব। লালসার সমুদ্রে এ যেন পবিত্র একফোঁটা স্বচ্ছ জলবিন্দু! ইউসুফ আলাইহিস সালাম আমাদের বিজয়ী মহানায়ক, বিশ্বাসীদের নকিব। সূরা ইউসুফ আমাদের প্রত্যাশিত জীবনের এক অনন্য রিফ্লেকশন।

আলহামদুলিল্লাহ, একুশে বইমেলা ২০২৩-এ আমার তৃতীয় বই ‘রিফ্লেকশন ফ্রম সূরা ইউসুফ’ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। কালামুল্লাহ মাজিদের একটি অনন্য সূরার ওপর কিছু কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

Address

Mohakhali, Wairless Gate
Dhaka
1212

Telephone

+8801827003801

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Babor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Babor:

Videos

Share


Other Book & Magazine Distributors in Dhaka

Show All

You may also like