24/05/2021
ক্রিকেট ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ২ জন ব্যাটসম্যান🔥
সারা বিশ্বে ক্রিকেট অতি জনপ্রিয় এক খেলা। ক্রিকেট জগতে ব্যাটিং ও বোলিং বেশি জনপ্রিয়। তারও বেশি জনপ্রিয় বোলারের চেয়ে ব্যাটসম্যানের। বিশ্বের ক্রিকেট জগতে কয়েকজন ব্যাটসম্যান তাদের মহান ক্রিয়াকাণ্ডের দ্বারা ইতিহাসের পাতায় এখনও বেঁচে আছেন। তাদের মধ্যে থেকে সব সময় শীর্ষ ২ জন শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানের নাম নিন্মে উল্লেখ করা হল-
১. ডন ব্র্যাডম্যান 🔥
স্যার ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান, (২৭ আগস্ট ১৯০৮ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০১) যিনি প্রায়শই দ্য ডন নামে অভিহিত, ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। ডন ব্র্যাডম্যানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান বলে অভিহিত করা হয়। টেস্ট ক্রিকেটে ব্র্যাডম্যানের ৯৯.৯৪ ব্যাটিং গড়কে বড় ধরণের যে কোন খেলাধুলার সব থেকে বড় অর্জন বলে অভিহিত করা হয়।২৩৪ ফার্স্টক্লাস ম্যাচে ৯৫.১৪ গড়ে ২৮০৬৭ রান এবং ৫২ টেস্ট ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৬৯৯৬ রান। গড় ৯৯.৯৪।২৭ আগষ্ট, ১৯০৮ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের বাউরালে জন্ম তার।
১৯ বছর বয়েসে ফার্স্টক্লাস অভিষেকের পর নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে ব্যাট হাতে ম্যাচের পর ম্যাচ পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন 'বাউরালের বিস্ময়-বালক', অবশেষে সুযোগ এলো জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার। ডাক পেলেন ২৮-২৯ মৌসুমের সফরকারী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দলে। ব্রিসবেনের সে টেস্টে অস্ট্রেলিয়া পরাজিত হলো ৬৭৫ রানে। ডন করলেন দু ইনিংসে ১৮ এবং ১। বাদ পড়লেন দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে- সেই প্রথম এবং সেই শেষ। তৃতীয় টেস্টের দলে ডাক পেয়ে করলেন ৭৯ এবং ১১২।
৯২ বছর বয়সে জীবনের সেঞ্চুরি পুরোবার আগেই ব্রাডম্যান মারা যান ২৫ ফেব্রুয়ারী,২০০১। তার আগে ১৯৪৯ সালে অর্জন করলেন সম্মানসুচক 'নাইটহুড'।
২. স্যার শচীন রমেশ টেন্ডুলকার (জন্ম এপ্রিল ২৪, ১৯৭৩)
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার, ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শচীনের মাত্র ষোলো বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় এবং এরপর থেকে প্রায় চব্বিশ বছর তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেট ওএকদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শতকের মালিকসহ বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ড ধারণ করে আছেন। তিনি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ও টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ মিলিয়ে শততম শতক করেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালের এশিয়া কাপ চারদেশীয় ক্রিকেট ম্যাচে তিনি এই রেকর্ড করেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ইতিহাসে প্রথম দ্বিশতরানের মালিক তিনি। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই অক্টোবর, তিনি সমস্ত ধরণের স্বীকৃত ক্রিকেট খেলায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে মোট ৫০,০০০ রানের মালিক হন।২০০২ সালের উইসডেন এর একটি নিবন্ধে তাকে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা টেস্ট ক্রিকেটার এবং ভিভ রিচার্ডসের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা একদিনের ক্রিকেটার বলে অভিহিত করা হয়েছে। তিনি ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলেরসদস্য ছিলেন। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে উইসডেনের দেড়শ বছর উপলক্ষ্যে সর্বকালীন সেরা বিশ্ব টেস্ট একাদশের দলে এক্মাত্র ভারতীয় হিসেবে তাঁর স্থান হয়।তিনি ১৯৯৭ - ১৯৯৮ সালের জন্য ভারতের খেলাধুলার সর্বোচ্চ পুরস্কার রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার এবং ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার পদ্মভূষণ প্রদান করা হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে আইসিসির পক্ষ থেকে শচীনকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি প্রদান করে।২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। শচীন প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যাকে ভারতীয় বিমানবাহিনী মর্যাদাসূচক ক্যাপ্টেন পদ প্রদান করে।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে ডিসেম্বর শচীন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এবং ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর মুম্বই শহরের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০তম টেস্ট ম্যাচ জয়লাভ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই ভারত সরকার শচীনকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার ভারতরত্ন প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা করেন।ম্যাচ জয়লাভ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই ভারত সরকার শচীনকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার ভারতরত্ন প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা করেন।