কুমিল্লা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি মহানগর। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর পর বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর।এটির মেট্রোপলিটন এলাকার আয়তন ১৫৩ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৩ লাখ।এটি চট্টগ্রাম বিভাগ এ অবস্থিত কুমিল্লা জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু।
কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়| বৃহত্তর নোয়াখালী,লক্ষীপুর এবং ফেনী একসময় কুমিল্লার অংশ ছিল।
কুমিল্লার যেসব স্থান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের গণহত্যার চিহ্ন বহন করে চলেছে সেগুলো হলঃ লাকসাম, কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট, হোমনা, বেলতলী ও রসুলপুর। এছাড়াও বেতিয়ারা, মোজাফফরগঞ্জ, নাগারিপাড়া, ক্যান্টনমেন্ট, কৃষ্ণপুর, ধনাঞ্জয়, দিলাবাদ ও লাকসাম বিডি ফ্যাক্টরি এলাকায় গণকবর পাওয়া গেছে।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, বেতিয়ারা, পুলিশ লাইন, ক্যান্টনমেন্ট, লাকসাম, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউশন এবং হারাতলীতে শহীদদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিসৌধ রয়েছে।
১৭৬৪ সালে ত্রিপুরার রাজার বিরুদ্ধে শমসের গাজীর নেতৃত্বে পরিচালিত কৃষক আন্দোলন এ অঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও শমসের গাজী সম্পূর্ণ চাকলা রওশানাবাদ অঞ্চলের শাসক হয়েছিলেন, যা পরবর্তীকালে দক্ষিণ কুমিল্লা থেকে উত্তর নোয়াখালী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এক সময় তিনি সমগ্র কুমিল্লাকে তার শাসনাধীনে নিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি নিজামপুর পরগনা জয় করেন। এভাবে, তিনি মেঘনা, মুহুরি ও মনুগঙ্গা নদীসমূহের মধ্যবর্তী বিশাল জনপদের মুকুটবিহীন রাজায় পরিণত হন।
শমসের গাজী ১৭১২ সালে উত্তর চট্টগ্রামের দক্ষিণ শিক পরগনার কুঙ্গুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, যা পরবর্তীকালে ত্রিপুরার মানিক রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। স্থানীয় জমিদার নাসির মোহাম্মদের অফিসে তেহশিলদার হিসেবে কাজ করার সময় তিনি একজন স্বর্গীয় পীরের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
জলবায়ু
কুমিল্লা শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ মিটার/১৯ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
জনসংখ্যা
কুমিল্লার মোট জনসংখ্যা হল ২৩ লক্ষ জন।এটি বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম শহর।এর প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৫,০০০ জন। যা বাংলাদেশের একটি অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।
প্রশাসন
অন্যান্য জেলাসমূহের মত, কুমিল্লা জেলাতেও একজন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) বা জেলা প্রশাসক আছেন, যিনি জেলার সকল প্রশাসনিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় শহরের ধর্মসাগরের পূর্বদিকে ফৌজদারী এলাকায় অবস্থিত। কুমিল্লা মূল শহরটি আদর্শ সদর থানার অন্তর্ভুক। কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ভারতীয় আর্মি ব্যাপকভাবে ক্যান্টনম্যান্টটিকে ব্যবহার করত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর এখানে রয়েছে।
যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
কুমিল্লার যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নতমানের। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সড়ক 'গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড' কুমিল্লা শহরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। বর্তমানে, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব ৯৭ কিলোমিটার। সড়ক অথবা রেলপথের মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। তবে রেলপথে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতে মোট ১৯৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। স্থানীয় প্রশাসন আরএইচডি, এলজিইডি ও সিটি কর্পোরেশন সকল রাস্তা তদারকি করে থাকে। কুমিল্লাতে আরএইচডি এবং এলজিইডি'র আঞ্চলিক সদর দপ্তর রয়েছে। কুমিল্লায় একটি অব্যবহৃত বিমানবন্দর রয়েছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা যুদ্ধবিমান উঠা-নামা করার জন্য বানিয়েছিল।
শিক্ষা
আগে কুমিল্লাকে বলা হতো শিক্ষানগরী। কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা শহরে অবস্থিত। কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা এই বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। আগে সম্পূর্ণ চট্টগ্রাম বিভাগ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ছিল। সাম্প্রতিককালে, আলাদাভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেট শিক্ষা বোর্ড গঠিত হয়েছে। বর্তমানে কুমিল্লায় শিক্ষার হার ৬০.০২% (২০১১ সালের শিক্ষা জরিপ)।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ
কুমিল্লাতে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ আর্মি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
ময়নামতি মেডিকেল কলেজ
আর্মি মেডিকেল কলেজ
ইস্টার্ণ মেডিকেল কলেজ
সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
সোনার বাংলা কলেজ
ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা
কুমিল্লা সরকারি কলেজ
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ
কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ
কুমিল্লা মডেল কলেজ
কুমিল্লা অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়
রূপসী বাংলা কলেজ
কুমিল্লা বিজ্ঞান কলেজ
কুমিল্লা সিটি কলেজ
কুমিল্লা কমার্স কলেজ
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি কলেজ
ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ
কুমিল্লা রেসিডেনশিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস
কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়
বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিউট
কুমিল্লা জিলা স্কুল
নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস স্কুল
কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ
কুমিল্লা হাই স্কুল
কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল
ফরিদা বিদ্যায়তন
ঈশ্বর পাঠশালা
কুমিল্লা পাইলট হাইস্কুল
ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা
ময়নামতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল
দিদার উচ্চবিদ্যালয়
হাউজিং এস্টেট উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ
হলি ক্রিসেন্ট হাই স্কুল
রেলওয়ে পাবলিক স্কুল, কুমিল্লা
বেপজা পাবলিক স্কুল, কুমিল্লা
হাজী আকরামউদ্দীন উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ
শাকতলা উচ্চবিদ্যালয়
পুলিশ লাইন হাইস্কুল, কুমিল্লা
কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
মনোহরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়
নোয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয়
গোমতি মডেল একাডেমি
আছিয়া গণি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মর্ডাণ হাইস্কুল
কুমিল্লা আলিয়া মাদ্রাসা
আফতাবউদ্দিন মাদ্রাসা
ইকরা ক্যাডেট মাদ্রাসা
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
জেনেটিক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
কুমিল্লা নার্সিং কলেজ
কুমিল্লা আইন কলেজ
বঙ্গবন্ধু আইন কলেজ
কুমিল্লা মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল
শেখ রাসেল টেকনিক্যাল কলেজ
এথনিকা স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম)
কুমিল্লা গ্রামার স্কুল
ময়নামতি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
পর্যটন
কুমিল্লাতে বহুসংখ্যক পর্যটন আকর্ষন রয়েছে। কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। এসব বিহার, মুড়া ও প্রাসাদ থেকে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে যা ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। ময়নামতি একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। ময়নামতি জাদুঘরটি একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯২১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ভারতের নেতা মহাত্মা গান্ধী কুমিল্লায় এসেছিলেন। কুমিল্লাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর ও ওয়ার সেমেট্রি রয়েছে। বতর্মানে রাজশে পুর ইকোপার্ক এবং তদসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শাল বন পর্যটন স্পট হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহামমদ গোলাম রাববানী সরকার। চরবাকর, দেবিদদার, কুমিল্লা ।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮৬-১৯৭১) - সাবেক আইনমন্ত্রী, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ।
আকবর হুসাইন (১৯৪২-২০০৬) - মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক খনিজ সম্পদ মন্ত্রী (১৯৭৮), সাবেক বন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (১৯৯১) এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রী (২০০১)।
মমতাজ বেগম - মহিলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর সদস্য।
শিব নারায়ণ দাস - মুজিব বাহিনীর সদস্য।
মমতাজ উদ্দিন - মুক্তিবাহিনীর সদস্য।
রাজনীতিবিদঃ
নবাব মুশারফ হুসেইন (১৮৭১-১৯৬৬) - সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
কামিনী কুমার দত্ত (১৮৭৮-১৯৫৮) - সাবেক মন্ত্রী।
খন্দকার মোশতাক আহমেদ (১৯১৮-১৯৯৬) - বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক মন্ত্রী ও মুজিবনগরে গঠিত প্রথম মন্ত্রীসভার সদস্য।
সমাজসেবকঃ
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী - বাংলাদেশের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী (১৮৩৪-১৯০৪) - লেখিকা, নারী শিক্ষার অগ্রদূত, উপমহাদেশের এক মাত্র মহিলা নবাব, ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য (১৮৫৪-১৯৪৪)
শিক্ষাবিদ ও গবেষকঃ
মহাস্থবির শীলভদ্র (৫২৯-৬৫৪) - নালন্দা বিহারের প্রধান।
ডক্টর ফজলুল হালিম চৌধুরী - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর।
ডক্টর শামসুল হক - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর।
সাহিত্যিকঃ
বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪) - বিখ্যাত বাংলা কবি, ঔপন্যাসিক, অনুবাদক ও সম্পাদক।
আব্দুল কাদির (১৯০৬-১৯৮৪) - গবেষক, কবি ও সম্পাদক।
সঙ্গীতঃ
শচীন দেব বর্মণ (১৯০৬-১৯৭৫) - এস ডি বর্মণ নামে পরিচিত, গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
জান-এ-আলম চৌধুরী (১৮৮৪-১৯৬৭) - তবলাবাদক।
ওস্তাদ মোহাম্মদ হুসাইন খসরু (১৯০৩-১৯৫৯) - ক্লাসিকাল সঙ্গীতের গায়ক ও সুরকার।
হিমাংশু কুমার দত্ত (১৯০৮-১৯৪৪) - সুরকার ও গায়ক।
রাহুল দেব বর্মণ - আর ডি বর্মণ নামে পরিচিত, এস ডি বর্মণের ছেলে, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
সুরেন্দ্র নারায়ণ দাশ
সুধীন দাশ
ব্রজলাল অধিকারী - গণসংগীত শিল্পী ও শহীদ।
অলকা দাশ
শিল্পি আসিফ আকবর।
অন্যান্যঃ
মেজর আব্দুল গণি - ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা।
কৈলাশচন্দ্র সিনহা (১৮৫১-১৯১৪) - ঐতিহাসিক, রাজমালা বই এবং বহু ইতিহাস সম্পর্কিত প্রকাশনার গ্রন্থকার।
এয়ার ভাইস মার্শাল জামালউদ্দীন আহমেদ - বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক চিফ এয়ার স্টাফ।
অধ্যাপক মোজাফফর মজিবনগর সরকারের একজন উপদেষ্টা,ও স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত।
গণমাধ্যম
কুমিল্লায় স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও অনলাইন পত্রিকা রয়েছে রয়েছে। প্রচিনতম পত্রিকার মধ্যে আমোদ, দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় দৈনিক কুমিল্লার কাগজ Comillarkagoj.com, অনললাইন ভির্তীক জাতীয় পত্রিকা- eHarkara News Network দৈনিক শিরোনাম এছাড়া কুমিল্লার বার্তা অনলাইন, দৈনিক রূপসী বাংলা, দৈনিক আমাদের কুমিল্লা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক আমোদ, মেগোতী, কথক, কুমিল্লা সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা, সময়ের পথ উল্লেখযোগ্য। কিছু মাসিক পত্রিকাও এখানে রয়েছে। এছাড়াও দেশের প্রতিষ্ঠিত প্রথম সারির সব সংবাদপত্রই এখানে পাওয়া যায়। কুমিল্লাতে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনও রয়েছে।
তথ্যসূত্র: eHarkara News Network