Dhulobali

Dhulobali ধুলোবালি: সম্মিলিত সৃষ্টি
(2)

সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় পঁচিশ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। আমাদের এই প্রাণের ভাষা বলার অধিকার রক্ষার্থে প্রতিবেশী দেশে প্রাণ দিয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এ আমাদের গর্বের ভাষা। তা সত্ত্বেও পথে-ঘাটে, ফোন তুললে বিজ্ঞাপনী কলে, রেস্তোরাঁয় হিন্দি বা ইংরেজির আধিক্য। শেষ কবে “তেলের শিশি ভাঙলো বলে” র মত ছড়া লেখা হয়েছে? শেষ কবে বাঙালি মায়েরা “বেবি শার্কের” বদলে বাংলা ছড়া শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়েছেন বাচ্চাদের? শেষ কবে

বাংলা লেখা হয়েছে মাটির কাছাকাছি থাকা ভাষায়, মানুষের মুখের ভাষায়।

আমরা কি জানি এর কত শাখাপ্রশাখা বিস্তৃত হয়ে আছে বিভিন্ন জেলা জুড়ে? কথায় বলে, ভাষা বদলায় কয়েক ক্রোশ অন্তর। ভাষা না হোক, উপভাষা তো বদলায় বটেই। বাঁকুড়ার লোকের বাংলা আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাংলা এক নয়। উত্তরে কুচবিহারের বাংলা আর নদীয়ার বাংলাও এক নয়। কিন্তু সাহিত্য বলতে কেন আমরা মূলত শুধু একইরকম প্রমিত ভাষায় লেখা বাংলা বুঝি? কেন স্থানীয় ভাষায় লেখা কবিতা পড়ি না তত? উপন্যাস, নিদেনপক্ষে ছোটগল্প? বিশ্বজুড়ে আছি আমরা বাঙালিরা, অথচ আমরা কতজন জানি বিভিন্ন জেলার, এলাকার সংস্কৃতি, বিভিন্ন প্রথা, লুকিয়ে থাকা ইতিহাস, লোকাচার, রান্নাবান্না বা গল্প?

আমরা চাইছি বাংলার, বাংলার প্রত্যেক অঞ্চলের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে। আপনি, যিনি কখনো কলম ধরেন নি, অথচ জানেন কিভাবে স্থানীয় মা-দিদিমার শিখিয়ে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া পদটি রাঁধতে হয়, কলম ধরুন। আপনি, যিনি ভাবেন, জঙ্গলমহলের ভাষায় সাহিত্য লিখলে পড়বে কজন, কলম ধরুন। শুধু কলম নয়, কলম না ধরতে পারলে, মুখে বলুন আপনার গল্প। আমরা তাকে ছড়িয়ে দেব বিশ্বময়। আমরা সারা পৃথিবীর কাছে নিয়ে যাবো ই-বুক বা অডিওবুক ফর্ম্যাটে।



আমরা আসছি। ধুলোবালি। জীবনের গায়ে লেগে থাকা নিত্যদিনের ধুলোবালি ফেলনা নয়, অমূল্য। আমরা আপনার মত মাটির কাছাকাছি থাকা সব মানুষের জীবনের ধুলোবালি সরিয়ে দেখাবো তার মাঝের লুকিয়ে থাকা অরূপরতন। আমরা ধুলোবালি, এক সামান্য প্রচেষ্টা বাংলার হারিয়ে ফেলতে বসা ঐতিহ্য ডিজিটালি ধরে রাখার। পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দিয়ে যাওয়ার। আমাদের গর্বের ভাষাকে নতুন করে ভালোবাসার।

"এই মেয়ে শোন্,এই রাত এই ভোর,যতখানি পুরুষের ততক্ষমি তোর।"       -ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান।Farzana Wahid Shayan
08/24/2024

"এই মেয়ে শোন্,
এই রাত এই ভোর,
যতখানি পুরুষের ততক্ষমি তোর।"
-ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান।
Farzana Wahid Shayan

১৮ঐ আগস্ট, ২০২৪। ইতিহাসের পাতায় এইদিনটি স্বর্ণক্ষরে লেখা থাকবে, যেইদিন তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে হাজার হাজার ফুটবল প্রেম...
08/23/2024

১৮ঐ আগস্ট, ২০২৪। ইতিহাসের পাতায় এইদিনটি স্বর্ণক্ষরে লেখা থাকবে, যেইদিন তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে হাজার হাজার ফুটবল প্রেমী একত্রিত হয়েছিল রাজপথে, বুঝিয়ে দিয়েছিলো, "আবেগ আলাদা হলেও, দাবি একটাই। বিচার। বিচার। বিচার।"

08/22/2024

বিচার চাই...

শাস্তি চাইবিচার চাই।।
08/19/2024

শাস্তি চাই
বিচার চাই।।

শ্রী অরবিন্দমহাবিপ্লবী,কর্মযোগী নাকি পলাতক?তাঁর জীবন ও কর্মধারা নিয়ে বারবার এমন অবাঞ্ছিত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তার একমাত্র...
08/15/2024

শ্রী অরবিন্দ
মহাবিপ্লবী,কর্মযোগী নাকি পলাতক?তাঁর জীবন ও কর্মধারা নিয়ে বারবার এমন অবাঞ্ছিত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তার একমাত্র কারণ তাঁর জীবনের রূপসাগরে ডুব দেওয়ার যোগ্যতা তেমন কেউ অর্জন করতে পারেনি।তিনিই ঋষি – কবি ,অগ্নিযুগের মহানায়ক ও সিদ্ধযোগী অরবিন্দ অ্যাক্রয়েড ঘোষ।অর্থাৎ শ্রী অরবিন্দ।বরোদা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন বহু বছর।এরপর ক্রমে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন।বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সামিল হন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।ব্রিটিশ বিরোধী প্রচার চালাতে থাকেন পুরোদমে। ১৯০৮ এ আলিপুর বোমা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি।জেল থেকে বেরিয়ে কর্মযোগ এবং ধর্ম নামে বাংলা ভাষায় দুটি পত্রিকা চালু করেন।কারাগারে থাকার সময় তাঁর অপরিমেয় আধ্যাত্মিক উপলব্ধি ঘটে।তার কথায়, কারাগারের মধ্যে তিনি অন্তরাত্মার ডাক শুনেছিলেন।তিনি বুঝেছিলেন সংগ্রাম তার জন্য না।তাকে খুঁজতে হবে অন্য মার্গ। পন্ডিচেরিতে তিনি আধ্যাত্মিক অন্বেষণকারীদের একটি সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন,যা শ্রী অরবিন্দ আশ্রম নামে পরিচিত।ঋষি অরবিন্দ তাঁর জীবনের ৪০ বছর এখানেই অতিবাহিত করেন।১৯৫০ খ্রীস্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর ঋষি অরবিন্দের মৃত্যু হয় ।প্রকৃত ই ,দেশমাতৃকার জন্য নিবেদিত প্রাণ, ত্যাগস্বীকারে বাংলার যুবসমাজকে ঋষি অরবিন্দ যে ভাবে অনুপ্রানিত করেছিলেন, তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়।

স্বাধীনতা দিবসরবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘দেশের যথার্থ স্বাধীনতা হচ্ছে তাই, যাতে তার সমস্ত অবরুদ্ধ শক্তি মুক্তি লাভ করে।‘স্বা...
08/15/2024

স্বাধীনতা দিবস
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘দেশের যথার্থ স্বাধীনতা হচ্ছে তাই, যাতে তার সমস্ত অবরুদ্ধ শক্তি মুক্তি লাভ করে।‘স্বাধীনতা মানে কি হানাহানি! ধর্ষণ! গনহত্যা! না।স্বাধীনতা মানে মুক্তি।নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার সমান অধিকার।অনেক ত্যাগ, অনেক রক্তপাত, অনেক মৃত্যুর নাম স্বাধীনতা।প্রকৃত শিক্ষিত না হয়ে স্বাধীনতা পাওয়া যে কত ক্ষতি,সেটা বর্তমান মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।আজ আবার লাল কেল্লায় উঠল জাতীয় পতাকা, রাজধানী থেকে শুরু করে গোটা দেশে চলল কুচকাওয়াজ, দেশাত্মবোধক গান। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। শোনালেন বীর শহিদদের ইতিহাস।কিন্তু তার মধ্যেও হয়তো কোথাও কোনো মায়ের কোল খালি করে তার একমাত্র মেয়ে চলে গেল,কোথাও কোনো ছেলেকে ট্রেনের মহিলা কামরায় ওঠার জন্য ধাক্কা মেরে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হল।একটি মেয়েকে আস্যিড আক্রান্ত হতে হল,একটি ছেলে হয়তো চাকরি না পাওয়ার অবসাদে গলায় দড়ি দিল।রাস্তায় বাচ্ছারা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বলছে-“একটা নিন না”।আর গাড়িবাবুরা মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে।মুখে তাদের মাতৃভাষা না,বিদেশি ভাষায় তারা তথাকথিত শিক্ষিত।এই তো আমাদের স্বাধীনতা।তাহলে এবার বলুন তো,আমরা কি সত্যিই স্বাধীন!!

08/10/2024

"আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে..."
কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ধুলোবালি Audio Live Tune In এর বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য, "শ্রাবনের ধারার মতো..."। সঙ্গে সায়ন্তনী।

ক্ষুদিরাম বোস“হাসি হাসি পড়বো ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী/একবার বিদায় দে মা,ঘুরে আসি।“যে বয়সে যৌবন ফুটতে শুরু করে, আপনি কি ভাবত...
08/10/2024

ক্ষুদিরাম বোস
“হাসি হাসি পড়বো ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী/একবার বিদায় দে মা,ঘুরে আসি।“
যে বয়সে যৌবন ফুটতে শুরু করে, আপনি কি ভাবতে পারেন দেশের স্বাধীনতার জন্য কেউ জীবন বিসর্জন দেবেন? ১৮ বছর বয়সে একজন ব্যক্তি তার মাতৃভূমিকে ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব নেন।ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস।১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গের সময় ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম। মাত্র ১৫ বছরে বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করেন তিনি। সুগভীর আগ্রহ ও দক্ষতার কারণে এক বছরের মধ্যেই বোমা রাখা ও বোমা তৈরির কৌশল আয়ত্ত করেন ক্ষুদিরাম।১৯০৮-এ তাঁর কাঁধে দেওয়া হয় বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব। সেই কাজে তাঁর সঙ্গী বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকী। মুজফ্ফরপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় তাঁদের ওপর।সেই উদ্দেশ্যে গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়েন তারা।কিন্তু ভুলবশত বোমা গিয়ে যেই গাড়িতে পড়েছিল সেই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না,ছিলেন মিসেস কেনেডি এবং তার কন্যা।দুজনেই মারা যান।প্রফুল্ল চাকী গ্রেফতারের খবর জানতে পেরে আত্মহত্যা করেন।কিন্তু ক্ষুদিরাম পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এবং বিচারে তার ফাঁসির আদেশ।“১৮ বছর বয়স কী দুঃসহ” সুকান্তের কবিতাটি যেন তাঁর জন্যই লেখা হয়েছিল।এই দুঃসাহসিক বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে জানাই ধুলোবালির শ্রদ্ধার্ঘ্য।

08/09/2024

সাদা ধবধবে পাঞ্জাবীটা আজও ধবধবে সাদা...

বের্টোল্ট ব্রেখ্ট -লেখাপড়ার জয়গান (কবিতার একটি অংশ)প্রশ্ন করতে ভয় পেয়ো না, ভাইঅন্যের কথা নিয়ো না মেনেনিজেকেই দেখতে হবে ...
08/08/2024

বের্টোল্ট ব্রেখ্ট -
লেখাপড়ার জয়গান (কবিতার একটি অংশ)

প্রশ্ন করতে ভয় পেয়ো না, ভাই
অন্যের কথা নিয়ো না মেনে
নিজেকেই দেখতে হবে সব
নিজে যা জানো না
তা তুমি জানই না
যোগ করো হিসাব নিকাশ
তোমাকেই দিতে হবে দাম
আঙুল বসাও সব কিছুতেই --

প্রশ্ন করো, কি করেই বা এল এটা ?
নেতৃত্ব নিতে হবে তোমাকেই |
- বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য

"আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে..."কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ধুলোবালি Audio Live Tune In এর বিশেষ শ্রদ্ধ...
08/08/2024

"আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে..."
কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ধুলোবালি Audio Live Tune In এর বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য, "শ্রাবনের ধারার মতো..." এই শনিবার, ১০আগস্ট রাত ৯টা।

"ছোটবেলায় যেটা আমরা আমাদের বলে জানি, মেয়েদের বিয়ের পর কি সেটা আর থাকে ? তাদের তো নিজেদের বাড়িটাই আর থাকেনা, যেতে হয় পরের...
08/07/2024

"ছোটবেলায় যেটা আমরা আমাদের বলে জানি, মেয়েদের বিয়ের পর কি সেটা আর থাকে ? তাদের তো নিজেদের বাড়িটাই আর থাকেনা, যেতে হয় পরের ঘরে।"

শ্রেষ্ঠ গল্পকার, আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ছোট গল্প, "অনাগত" নিয়ে আসছি এই রবিবার, ঠিক দুপুর ২:৩০মিনিটে।
চোখ রাখুন, ধুলোবালির youtube চ্যানেল এ।

আজ যাঁকে আমরা স্মরণ করছি, তিনি ছিলেন চিত্রকলায় নূতন পদ্ধতির জনক।শুধু তাই নয় তিনি গাছের আঁকাবাঁকা ডাল কেটে কাটুম কুটুম ন...
08/07/2024

আজ যাঁকে আমরা স্মরণ করছি, তিনি ছিলেন চিত্রকলায় নূতন পদ্ধতির জনক।শুধু তাই নয় তিনি গাছের আঁকাবাঁকা ডাল কেটে কাটুম কুটুম নাম দিয়ে অদ্ভুত মূর্তি গড়তেন।অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর নূতন চিত্রকলা আর নূতন সাহিত্যের স্রষ্টা।তিনি একজন বিপ্লবী শিল্পী যার লক্ষ্য ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় শিল্পকলাকে পুনরুজ্জীবিত করা। দ্য পাসিং অফ শাহজাহান , ভারত মাতা, রাধা কৃষ্ণ এবং ওমর খৈয়ামের মতো চিত্রকর্মগুলি ছিল কিংবদন্তি শিল্পকর্ম যা আন্তর্জাতিক দর্শকদেরও আকর্ষণ করেছিল।1900-এর দশকে, জাপানি শিল্পী ওকাকুরা কাকোজোর নির্দেশনায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপানি ধোয়ার কৌশল শিখেছিলেন এবং একটি নতুন কৌশল তৈরি করেছিলেন যা টেম্পেরা এবং জাপানি ধোয়ার কৌশল উভয়ের সংমিশ্রণ। তাঁর চিত্রকর্মের বিষয়বস্তু প্রধানত সংস্কৃত মহাকাব্য এবং পুরাণ জড়িত।তিনি একদিকে যেমন একজন শিল্পী ছিলেন তেমন সঙ্গীত ও সাহিত্যের মতো অন্যান্য ক্ষেত্রেও ছিলেন দক্ষ। সেতার, বীণা, এসরাজের মতো যন্ত্রে তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী।এছাড়াও তিনি অনেক শিশুতোষ গল্প লিখেছিলেন।যার মধ্যে ক্ষীরের পুতুল, রাজ কাহানি, বুড়ো-আংলা, শকুন্তলা অন্যতম।এই অনন্য শিল্পীর জন্মদিনে জানাই তাকে ধূলোবালির কুর্নিশ।

"সত্যেরে সে পায়আপন আলোকে ধৌত অন্তরে অন্তরে।"                               মৃত্যু তাঁর কাছে গীতসুধারসে আসেনি।আজ ২২ শে শ...
08/07/2024

"সত্যেরে সে পায়
আপন আলোকে ধৌত অন্তরে অন্তরে।"
মৃত্যু তাঁর কাছে গীতসুধারসে আসেনি।আজ ২২ শে শ্রাবণ।অঝোর বৃষ্টিস্নাত দিনটি মনে করায় বিচ্ছেদের কাহন। এই মৌসুমি মাসই কবিগুরুর প্রিয়তম সময় ছিল।তাই এই ঋতুকেই ভাগ্য হয়েতো বেছে নিয়েছিল কবির অমৃতলোক যাত্রার সময় হিসাবে। অঝোর বৃষ্টি আর একরাশ বিরহের অশ্রুধারা মিলে মিশে গিয়েছিল এই দিনেই।১৯৩৭ সালে কিডনির সমস্যা দেখা দেয় কবির।ঠাকুর বাড়িতেই তাঁর অস্ত্রপচার হয়।সকলেই ভেবেছিলেন অপারেশনের পর তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। কিন্তু, ভাবনার মত হলনা কিছুই।বেলা দ্বিপ্রহর।ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় বারোটা দশ মিনিট।স্তব্ধ হয়ে গেল হৃদস্পন্দন।আকাশে তখন প্রখর দীপ্তিমান সূর্য। গগনের রবির সঙ্গে মর্ত্যের রবির ঘটে গেল মহামিলন।কবি ঈশ্বরের কাছ থেকে হয়তো অর্জন করেছেন শান্তির অক্ষয় অধিকার।
"অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে/সে পায় তোমার হাতে/শান্তির অক্ষয় অধিকার"…
#২২শেশ্রাবণ

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র✅“আশ্বিনের শারদপ্রাতেবেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির”এই আগমনী বার্তা যার মনোমুগ্ধকর কন্ঠে ভর করে ভেসে আসে, যার ...
08/04/2024

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র✅

“আশ্বিনের শারদপ্রাতে
বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির”

এই আগমনী বার্তা যার মনোমুগ্ধকর কন্ঠে ভর করে ভেসে আসে, যার কন্ঠের আহ্বান পেয়ে শিউলি ফুল ঝড়ে পরে আনন্দে, তাঁরই কণ্ঠে প্রকৃতি সেজে ওঠে নতুন রূপে। যুগ যুগ ধরে বাঙালির চিন্তা, চেতনা ও মননে মিশে থাকা সেই চণ্ডীপাঠের নেপথ্যের নায়কের নাম বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। পরনে পরিষ্কার সাদা ধবধবে ধুতি-পাঞ্জাবি, কাঁধে একটা উড়নি, চোখে চশমা আর হাতে খুব ছোট্ট একটা থলি, পাঞ্জাবির দুই পকেটে দুই রকম রুমাল-একটি নস্যিরঞ্জিত, আর একটি পরিষ্কার, এই ছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। ছোট থেকেই পাতার পর পাতা কবিতা মুখস্থ করে অনায়াসেই আবৃত্তি করতে পারতেন তিনি। মহিষাসুরমর্দিনী তাঁর গলায় শুনতে আমরা অভ্যস্ত হলেও তাতে রদবদল ঘটানো হয়েছিল সত্তরের দশকে। আকাশবাণীর গোপন সভায় তাঁকে বাদ দিয়ে মহানায়কের গলায় সেই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় আকাশবাণী। তবে তা চূড়ান্ত ফ্লপ হয় কারণ, জনগন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, যে মহালয়ার সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনী কোনো অনুষ্ঠান নয়, বাঙালির কাছে সেটা তাঁদের রীতি। পরে আবারও সেই দৃপ্ত কণ্ঠধারী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় তা সম্প্রচার করা হয় সেই বছরের দুর্গা ষষ্ঠীতে। শোনা যায় তিনি নাকি স্তোত্রপাঠ করার সময় স্নান সেরে পট্টবস্ত্র পরে ধুপ দীপ জেলে তবেই বসতেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেজে উঠত শঙ্খধ্বনি। মহালয়া ও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র এক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এই “রেডিও পুরুষ”কে জানাই জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বিখ্যাত গল্প "ক্যানভাসার কৃষ্ণলাল" থাকছেবেই রবিবার দুপুর ২টো, শুধুমাত্র আমাদের অফিসিয়াল...
08/03/2024

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বিখ্যাত গল্প "ক্যানভাসার কৃষ্ণলাল" থাকছেবেই রবিবার দুপুর ২টো, শুধুমাত্র আমাদের অফিসিয়াল youtube চ্যানেলে।

সুনীল ছেত্রী✅ছোট্ট খাট্ট ছেলেটি যখন ভারতীয় ফুটবলে যোগ দিয়েছিল, তাও আবার স্ট্রাইকার হিসেবে, প্রতিটি মানুষ নাক সিটকেছিল। ক...
08/03/2024

সুনীল ছেত্রী✅

ছোট্ট খাট্ট ছেলেটি যখন ভারতীয় ফুটবলে যোগ দিয়েছিল, তাও আবার স্ট্রাইকার হিসেবে, প্রতিটি মানুষ নাক সিটকেছিল। কারন, সবাই একটা বাঁধাধরা কথাই জেনে এসেছিলো যে, ফুটবলে তো উচ্চতাই আসল। কিন্তু সেই ছেলেটি প্রমান করেছিল প্রতিভা থাকলে উচ্চতা কোন প্রতিবন্ধকতা হতে পারেনা। সেই ছোট্ট ছেলেটি আর কেউ নন, আমাদের বাংলার জামাই, সুনীল ছেত্রী, যিনি দেশের জার্সিতে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার নজির গড়েছেন। ভাইচুং ভুটিয়ার পরে, দেশের ফুটবলের পতাকা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে প্রমাণ করছেন তিনি নিজেই একটা প্রতিভা। বর্তমানে যতজন সক্রিয়া ফুটবলার রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক গোলের মালিক সুনীল। তার ঠিক আগেই রয়েছেন মেসি ও রোনাল্ডো। তিনি একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার যিনি খেলরত্ন পুরষ্কার পেয়েছেন। সুনীলের নামের পাশে রয়েছে পর পর তিনটি নেহরু কাপ জয়। ৭ বার তিনি AIFF “প্লেয়ার অফ দ্য অ্যাওয়ার্ড” সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। ভারতীয় ফুটবলারদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা সুনীল ছেত্রী। এই “ক্যাপ্টেন”,”লিডার”,”লেজেন্ড” ফুটবলারকে জানাই ধুলোবালির কুর্ণিশ।

পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ামানচিত্রের বাইরে যেকোনো দেশের প্রথম পরিচিতি হল সেই দেশের জাতীয় পতাকা।আর ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে রয়েছে ...
08/02/2024

পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া
মানচিত্রের বাইরে যেকোনো দেশের প্রথম পরিচিতি হল সেই দেশের জাতীয় পতাকা।আর ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে রয়েছে নানা অজানা গল্প।সেই পতাকা কীরকম হবে তা নিয়ে ছিল হাজারো মতপার্থক্য।শেষ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতের তিরঙ্গা নকশা তৈরী করেছিলেন ভারতের এক বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া।তিনি দক্ষিন আফ্রিকার বোয়ের যুদ্ধে যোগদান করে দেখেছিলেন সেনায় কাজ করা ভারতীয়দের ব্রিটিশ ইউনিয়ক জ্যাকে স্যালুট ঠুকতে হয়।তখনই ভারতীয়দের জন্য পতাকার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন তিনি।পতাকার ২৫টি নকশা তৈরি করেছিলেন পিঙ্গালি।পরে গান্ধী তাঁকে একটি নকশা জমা দেওয়ার জন্য বলেন সে সময় ভেঙ্কাইয়া যে পতাকার নকশা জমা দিয়েছিলেন তাতে ছিল ২টি রং।লাল ও সবুজ।গান্ধীজি সাদা রঙের একটি স্তর যোগ করতে অনুরোধ করেন তাকে।সেই মতো মধ্যে সাদা রেখে দুপাশে লাল ও সবুজ রং দিয়ে নকশা তৈরী করা হয় পতাকার। এর মধ্যে ছিল চরকার প্রতীক।১৯৪৭ সালে এই পতাকাতেই কিছুটা পরিবর্তন এনে তৈরি হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। লালের বদলে রঙ হয় গেরুয়া এবং সাদার মধ্যে অশোকচক্র ঠাঁই পায় ভারতের পতাকায়।আজন্ম গান্ধীবাদী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াকে জানাই ধূলোবালির কুর্ণিশ।

“স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার এবং আমরা তা অর্জন করবই।“তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম নেতা। ব্রিটিশরা তাঁকে ড...
08/01/2024

“স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার এবং আমরা তা অর্জন করবই।“
তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম নেতা। ব্রিটিশরা তাঁকে ডাকতেন “The Father Of the Indian Unrest” বলে। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর বলিষ্ট কন্ঠের ঘোষনা উদ্বুদ্ধ করেছিল লক্ষ লক্ষ মানুষকে।তিনি হলেন ‘স্বরাজের জনক’ বাল গঙ্গাধর তিলক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ব্রিটিশরা তাকে জেলে বন্দি করে দেয়, কিন্তু তাঁর দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধা এবং দেশ স্বাধীন ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশ স্বাধীন করার অঙ্গীকারকে কোনোভাবেই দমিয়ে দিতে পারেনি। জেলে বসেই তিনি লেখেন “গীতা রহস্য” নামে একটি বই। তিনি মারাঠি ভাষায় “Kesari” এবং ইংরাজীতে ‘দ্য মাহরাত্তা’ নামে নিজস্ব পত্রিকা প্রকাশ করেন যা মানুষকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। বাল গঙ্গাধর তিলক ১৮৯৩ সালে ‘গণেশ’ এবং ১৮৯৫ সালে ‘শিবাজী’ নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব আয়োজন করেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রথম হিন্দু শাসক যিনি মুসলিম শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। ভারত এবং সপ্তদশ শতকে মারাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে, তিনি “The Arctic Home in the Vedas” প্রকাশ করেন, যা আর্যদের উৎপত্তি এবং "শ্রীমদ্ভাগবত গীতা রহস্য" এর প্রতিনিধিত্ব করে। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের “লোকমান্য তিলক”-কে জানাই ধুলোবালির শ্রদ্ধার্ঘ্য।

নির্মলা মিশ্রভুবনায়নের মোহমদ তখনও এ-বাংলার মাটিকে তেমন নেশাতুর করে তোলেনি। সেই বাংলার মাটিতে কান পাতলে শোনা যেত এক অপূর্...
07/31/2024

নির্মলা মিশ্র

ভুবনায়নের মোহমদ তখনও এ-বাংলার মাটিকে তেমন নেশাতুর করে তোলেনি। সেই বাংলার মাটিতে কান পাতলে শোনা যেত এক অপূর্ব আকুতি- ‘এই বাংলার মাটিতে মা গো জন্ম আমায় দিও’। যার কথার গুনে বা সুরের মূর্ছনায় শুধু নয়, শ্রোতাগণ মন্ত্রমুগ্ধ হতেন ওই গায়কির মায়াবী জাদুতে, তিনি নির্মলা মিশ্র। যে গান শুনে আপামোর শ্রোতা সুরের জাদুতে হারিয়ে যেতেন সেই ভুবন ভোলানো গান 'এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না’গানটি গাইতে প্রথমে রাজি ছিলেন না নির্মলা দেবী। জানা যায়, এই গানটি প্রথমে নির্মলা দেবী গাইতে রাজি ছিলেন না, কারণ স্লো রিদিমের গান পছন্দ করতেন না তিনি, শেষমেশ একান্ত বাধ্য হয়েই গানটি বেছে নিতে হয়েছিল নির্মলা দেবীকে এবং তারপরে এই গানটি ইতিহাসের পাতায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সবাই গান গাওয়ার আগে গলার যত্ন নেন, গরম জল খান কিন্তু নির্মলা দেবী, অনুষ্ঠানের সময় স্টেজে ওঠার আগে তিনি তিনটে করে আইসক্রিম খেতেন, ফুচকা খেতেন, টক জাতীয় কিছু খেতেন খেতেন। ভাবুন এমনই বিপরীত ধারার মানুষ ছিলেন তিনি।যে কণ্ঠে স্বয়ং সরস্বতীর বাস, সেই কণ্ঠ কি আর কোনো কিছুতে খারাপ হতে পারে ? বয়সের ভারে ঝুঁকে যাওয়ার মহিলা তিনি ছিলেন না। সাজগোজ তার বড়ই পছন্দের ছিল।শিশুর মতো সরল শিল্পী বলেই তিনি ভরপুর ঠকেছেন গানের জগতে। কত গান তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে বারংবার। তবুও বাঙালির মনে বাঙালির গানে চিরদিন তিনি বেঁচে থাকবেন। গানের জগতের নক্ষত্র নির্মলা মিশ্রকে জানাই ধূলোবালির শ্রদ্ধার্ঘ্য।

যিনি আমাদের অক্ষর, বর্ণ চিনতে সাহায্য করেছেন, আমাদের শিক্ষিত করতে সাহায্য করেছেন, যাঁর জন্য আমরা আজ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্...
07/29/2024

যিনি আমাদের অক্ষর, বর্ণ চিনতে সাহায্য করেছেন, আমাদের শিক্ষিত করতে সাহায্য করেছেন, যাঁর জন্য আমরা আজ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি, শৈশবে হাতেখড়ির পর যাঁর হাত ধরে বাংলা বর্ণমালার সঙ্গে পরিচয় ঘটে তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি 'বিদ্যাসাগর' উপাধি লাভ করেন।বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকারছিলেন তিনি।বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণে তাঁর সংগ্রাম আজও স্মরণীয়।বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব 'দয়ার সাগর' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।।

আজকের দিনে..
07/25/2024

আজকের দিনে..

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাত ধরে  বাংলা গদ্যের যে সাধুরূপ গড়ে ওঠেছিল, তা অনুকরণ না করে বাংলা গদ্যের ধারায় এক অভিনব প্রবর...
07/24/2024

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাত ধরে বাংলা গদ্যের যে সাধুরূপ গড়ে ওঠেছিল, তা অনুকরণ না করে বাংলা গদ্যের ধারায় এক অভিনব প্রবর্তন করেন সেই ব্যক্তিত্ব। বিদ্যাসাগরের ভাষার পদবিন্যাসে যে মন্থরতা ছিল, এবং সংস্কৃতির অতিপ্রাধান্যের ফলে সাধারণ পাঠকের পক্ষে যা বোধগম্য হওয়া দুষ্কর ছিল,সৃষ্ট গাম্ভীর্য ভাষার তিনি কিছুটা সমাধান করে প্রথমবারের মত তাঁর উপন্যাসে বাংলা সাহিত্যের প্রচলিত গদ্যরীতির নিয়ম ভেঙ্গে চলিত ভাষারীতি প্রয়োগ করেন যিনি,তিনি প্যারীচাঁদ মিত্র। ধুলোবালির পক্ষ থেকে এই মহান স্রষ্টাকে জানাই জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য...

এর মধ্যেই আমরা উড়ো চিঠির অনেকগুলো পর্ব পার করে ফেলেছি এবং পাশাপাশি আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন মানুষের বিভি...
07/24/2024

এর মধ্যেই আমরা উড়ো চিঠির অনেকগুলো পর্ব পার করে ফেলেছি এবং পাশাপাশি আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের মনের ভাব চিঠির আকারে! আমরা আপ্লুত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছি প্রতি মাসেই।
আপনিও পাঠিয়ে দিন আমাদের, আপনার কোনো না বলা কথা আমাদের কাছে... আমরা সেটা পৌঁছে দেবো আপনার কাছে।

চিঠি পাঠানোর নিয়মাবলী:
১। চিঠি পাঠাতে হবে আমাদের official email id তে: [email protected]

২। চিঠি email করার সময় অবশ্যই লিখে দেবেন
- নিজের নাম (যদি নাম প্রকাশে
অনিচ্ছা না থাকে তবেই)
- নিজের ঠিকানা
- নিজের ফোন নম্বর/whatsapp
নম্বর।

৩। আর হ্যাঁ, চিঠি পাঠানোর সময়সীমা কিনে, ৩০জুলাই রাত ১২টা অব্দি।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়অজানিত সখা ওগো তব প্রেমে মধুময়মরম মথিত মম অতীত করিয়া লয়টেনে লও ব্যাথিতেরে ধরণীর ঘৃণিতেরেধরা হতে ...
07/23/2024

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
অজানিত সখা ওগো তব প্রেমে মধুময়
মরম মথিত মম অতীত করিয়া লয়
টেনে লও ব্যাথিতেরে ধরণীর ঘৃণিতেরে
ধরা হতে মুছে দিয়ে সব স্মৃতি তার ||
কালের পরিক্রমায় তিনি দেখেছেন পালাবদল।মেয়ের অসুখে যেমন পাওনা টাকা না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলেছিলেন একজন স্নেহশীল বাবা তেমনি দায়িত্ববান স্বামীর কর্তব্য করেও আকাশ ছুঁয়েছিল তার লেখা।তিনি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।রবীন্দ্রোত্তর পরের একজন যথার্থ শিল্পী ছিলেন তিনি।প্রায় ৪৫ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যের জগতে তিনি বিরাজমান ছিলেন।১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই বীরভূমের লাভপুরে তিনি জন্মগ্রহন করেন।শৈশবে দেবতার কাছে মানত করার দরুন তারাশঙ্করের মাথায় লম্বা চুল ছিল,তাই বন্ধুরা মজা করে তাকে ডাকত তারাশঙ্করী নামে।প্রাথমিক পরীক্ষা শেষ হবার পর তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে কলেজে ভর্তি হলেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।কারন ঠিক এইসময় তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হন এরফলে তিনি ১৯৩০ সালে গ্রেপ্তার হলেও পরে মুক্তি পেয়ে যান।জেল থেকে বেরিয়ে তিনি আত্মনিয়োগ করলেন ছোটগল্প, উপন্যাস ও নাটক লেখার কাজে।তার মোট উপন্যাসের সংখ্যা ৬০টি।বাংলা উপন্যাসের শ্রেষ্ঠ শিল্পী হিসেবে মনে করা হয় তাকে।তার লেখায় গ্রামবাংলা অর্থাৎ আঞ্চলিকতার প্রভাব থাকায় তিনি আরো বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।শুধু যে নাটক,ছোটোগল্প লিখেছিলেন তিনি তা নয়,তিনি বেশ কিছু নাটক রচনাও করেছিলেন। যদিওবা বাকিগুলোতে ওনার যতটা প্রভাব বিস্তার হয়েছিল,নাট্যকার হিসেবে ততটা হয়নি।এমন মহাপুরুষের মুকুটে কোন পালক থাকবেনা তা কি হয়? ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে “রবীন্দ্র পুরস্কার”লাভ করেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে “সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তারাশঙ্কর ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন।১৯৭১ সালে তাঁর নাম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হলেও সে বছর সাহিত্যে নোবেল পান চিলির বিখ্যাত কবি পাবলো নেরুদা।তারাশঙ্কর ছিলেন বাংলা সাহিত্য জগতে লুব্ধক নক্ষত্রের মতন। পৃথিবীর আকাশে যেমন লুব্ধক নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা সবচাইতে বেশি, সেই রকম তারাশঙ্করের সৃষ্টির জ্যোতি অন্য সকল লেখক লেখিকার সৃষ্টিকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।এই মহান স্রষ্টাকে জানাই ১২৬ তম শুভ জন্মদিন।তিনি আমাদের অন্তরে আজীবন বিরাজমান।

আজকের দিনে .....
07/22/2024

আজকের দিনে .....

Address

Charlotte, NC

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dhulobali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dhulobali:

Videos

Share