29/10/2024
সফল হতে চান ❓❓❓
২৭ বছর বয়সে যখন হন্যে হয়ে ব্যাংকে চাকরি খুঁজছেন,তখন আপনারই বয়েসি কেউ একজন সেই ব্যাংকেরই ম্যানেজার হয়ে বসে আছেন। আপনার ক্যারিয়ার যখন শুরুই হয়নি,তখন কেউ কেউ নিজের টাকায় কেনা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে আপনার সামনে দিয়েই চলে যাচ্ছে।
প্রথমেই আসে পরিশ্রমের ব্যাপারটা-
যারা আপনার চাইতে এগিয়ে,তারা আপনার চাইতে
বেশি পরিশ্রমী।এটা মেনে নিন। ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না।
শুধু পরিশ্রম করলেই সব হয় না।তা-ই যদি হত,তবে গাধা হত বনের রাজা।শুধু পরিশ্রম করা নয়,এর পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা।
only your results are rewarded,not your efforts!!!!
আপনি এক্সট্রা আওয়ার না খাটলে এক্সট্রা মাইল এগিয়ে থাকবেন কীভাবে?সবার দিনই তো ২৪ ঘণ্টায়।আমার বন্ধুকে দেখেছি,অন্যরা যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সে রাত জেগে আউটসোর্সিং করে।ও রাত জাগার সুবিধা তো পাবেই!
আপনি বাড়তি কী করলেন,সেটাই ঠিক করে দেবে,আপনি বাড়তি কী পাবেন।আপনি ভিন্ন কিছু করতে না পারলে ভিন্ন কিছু পাবেন না।বিল গেটস রাতারাতি বিল গেটস হননি।শুধু ইউনিভার্সিটি ড্রপআউট হলেই স্টিভ জবস কিংবা জুকারবার্গ হওয়া যায় না।
আউটলায়ার্স বইটি পড়ে দেখুন।বড় মানুষের বড় প্রস্তুতি থাকে।
নজরুলের প্রবন্ধ গুলো পড়লে বুঝতে পারবেন,উনি কতটা স্বশিক্ষিত ছিলেন।শুধু রুটির দোকানে চাকরিতেই নজরুল হওয়া যায় না।কিংবা স্কুল কলেজে না গেলেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাওয়া যাবে না।সবাই তো বই বাঁধাইয়ের দোকানে চাকরি করে মাইকেল ফ্যারাডে হতে পারে না,বেশিরভাগই তো সারাজীবন বই বাঁধাই করেই কাটিয়ে দেয়।
স্টুডেন্ট লাইফে কে কী বলল,সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। যে ছেলেটা প্রোগ্রামিং করতেই পারত না,সে এখন একটা সফটওয়্যার ফার্মের মালিক।যাকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি,সে এখন হাজার হাজার মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়।কেরিয়ার নিয়ে যার তেমন কোন ভাবনা ছিল না,সে সবার আগে পিএইচডি করতে আমেরিকায় গেছে।সব পরীক্ষায় মহা উৎসাহে ফেল করা ছেলেটি এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। আপনি কী পারেন,কী পারেন না,এটা অন্য কাউকে ঠিক করে দিতে দেবেন না।
সরকারী ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাননি? প্রাইভেটে পড়ছেন? সবাই বলছে,আপনার লাইফটা শেষ?আমি বলি,আরে!আপনার লাইফ তো এখনো শুরুই হয়নি।আপনি কতদূর যাবেন,এটা ঠিক করে দেয়ার অন্যরা কে?লাইফটা কি ওদের নাকি?
আপনাকে ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে কেন?যেখানেই পড়াশোনা করেন না কেন,আপনার এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে আপনার নিজের উপর।
শুধু 'ওহ শিট','সরি বেবি','চ্যাটিং ডেটিং' দিয়ে জীবন চলবেন না।আপনি যার উপর ডিপেনডেন্ট,তাকে বাদ দিয়ে নিজের অবস্থানটা কল্পনা করে দেখুন।যে গাড়িটা করে ইউনিভার্সিটিতে আসেন,ঘোরাঘুরি করেন,সেটি কি আপনার নিজের টাকায় কেনা?
একদিন আপনাকে পৃথিবীর পথে নামতে হবে।তখন আপনাকে যা যা করতে হবে,সেসব কাজ এখনই করা শুরু করুন। জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই পড়তে হয়,কিছু ভাল মুভি দেখতে হয়,কিছু ভাল মিউজিক শুনতে হয়,কিছু ভাল জায়গায় ঘুরতে হয়,কিছু ভাল মানুষের সাথে কথা বলতে হয়,কিছু ভাল কাজ করতে হয়।জীবনটা শুধু হাহাহিহি করে কাটিয়ে দেয়ার জন্য নয়।একদিন যখন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে,তখন দেখবেন,পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে,মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে। স্কিল ডেভেলাপমেন্টের জন্য সময় দিতে হয়। এসব একদিনে কিংবা রাতারাতি হয় না।"আপনার মত করে লিখতে হলে
আমাকে কী করতে হবে?আমি আপনার মত রেজাল্ট করতে চাই। আমাকে কী করতে হবে?"এটা আমি প্রায়ই শুনি।আমি
বলি,"অসম্ভব পরিশ্রম করতে হবে।নো শর্টকাটস্।সরি!"
রিপ্লাই আসে,"কিন্তু পড়তে যে ভাল লাগে না। কী করা যায়?"এর উত্তরটা একটু ভিন্ন ভাবে দিই।
আপনি যখন স্কুল কলেজে পড়তেন,তখন যে সময়ে আপনার ফার্স্ট বয় বন্ধুটি পড়ার টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকত,সে সময়ে আপনি তাকে দেখে হাসতেন।এখন সময় এসেছে, আপনি পড়ার টেবিলে বসে থাকবেন।
জীবনটাকে যে সময়ে চাবুক মারতে হয়,সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করলেন,যে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করার কথা,সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন না,এটাই স্বাভাবিক।এটা মেনে নিন।
মেনে নিতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ান।এখনই সময়!
কষ্ট করুন,লক্ষ্য ঠিক রাখুন,ব্যর্থ হবেন
কিন্তু থামবেন না,এগিয়ে যান--
১০০০ বার ব্যর্থ হলে তা থেকে ১০০০টা
শিক্ষা নিন,তারপর সফলতা পান।