BSKS

BSKS We Respect Our Religion So we must abide our religion. We want to help People to know about our reli

27/10/2022

বোনরা ভালো থাক সব সময় কামনা করি, প্রতি বছর ভাই ফোটা আসলে মনে পড়ে যায়, আজ বোনরা কাছে তাকলে আমরা দুই ভাই ও ফোটা পেতাম,,,,। ফেইসবুকে শুধু দেখি ভাই ফোটার অনুষ্ঠান,,,,,,,,,,,। ঈশ্বর সবার মংগল করুক,,,৷৷

হিন্দু ধর্মে নারীর অধিকার কর্তব্য ও দায়িত্ব.....অনেকে অভিযোগ করেন, মনুসংহিতা সামগ্রিকরূপে একটি নারীবিরোধী শাস্ত্র। স্মরণ...
28/02/2022

হিন্দু ধর্মে নারীর অধিকার কর্তব্য ও দায়িত্ব.....

অনেকে অভিযোগ করেন, মনুসংহিতা সামগ্রিকরূপে একটি নারীবিরোধী শাস্ত্র। স্মরণ রাখা প্রয়োজন, পণ্ডিত ও বিদ্বান সমাজ একথা বহুবার স্বীকার করেছেন যে, মনুসংহিতা নামক স্মৃতিশাস্ত্রটিতে বহু প্রক্ষিপ্ত অংশ রয়েছে। এর মানে এই যে, জাতিগত বা সময়গত বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্যে এই পবিত্র গ্রন্থটিতে অনেক কাঁটাছেঁড়া করা হয়েছে। শ্লোক রচনার গঠন রীতির আধুনিকতা ও প্রাচীনতা বিবেচনা করে এই জাল শ্লোকগুলো আলাদা করা খুব কঠিন কিছু নয়। আদি মনুসংহিতা শাস্ত্রটি অধ্যয়ন করলে যে কেউ গর্বভরে দাবি করতে পারবেন যে, পৃথিবীতে নারীকে মর্যাদা দানে মহর্ষি মনুর মতো এতো চমৎকার সব বিধান আর কোন ধর্মনেতা কোন কালেই প্রদান করেননি। এমনকি মনুসংহিতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হলে অনেক ক্ষেত্রে আধুনিক নারীবাদীদের চিন্তাধারারও উন্নয়নের প্রয়োজন। এখানে অত্যন্ত সংক্ষেপে মনুস্মৃতির আলোকে বিষয়টা আলোচনা করা হলো।

আমরা এখন এমন একটি শ্লোক পড়ব যার অর্থ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করে যে নারীরাই হচ্ছে কোন উন্নত সমাজের ভিত্তিস্বরূপ। এটি মনুসংহিতার তৃতীয় অধ্যায়ের (ধর্মসংস্কার প্রকরণ) শ্লোকঃ

যত্র নার্য্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ।
যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ।। (মনুসংহিতা ৩/৫৬)

অর্থাৎ“যে সমাজে নারীদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা হয় সেই সমাজ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে। আর যারা নারীদের যোগ্য সম্মান করে না, তারা যতই মহৎ কর্ম করুক না কেন, তার সবই নিষ্ফল হয়ে যায়।”

এটি নারীদের প্রতি কোন চাটুকারিতা বা তোষামদি নয়। এটি এমন একটি সত্য যা নারীবিদ্বেষীদের কাছে বিষের মতো, আর নারীশক্তির মহিমা কীর্তনীয়াদের কাছে অমৃতস্বরূপ। প্রকৃতির এই নিয়ম পরিবার, সমাজ, ধর্মগোষ্ঠী, জাতি বা সমগ্র মানবতার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। যারা মনুস্মৃতিকে দোষারোপ করেন, তারা কখনোই এই শ্লোকের উদ্ধৃতি দেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কুৎসা প্রচারই তাদের একমাত্র কাজ। নিরপেক্ষ বিচার তাদের কাছে নেই। যেমন নিচের চমৎকার শ্লোকগুলোর কথা কোন হিন্দুধর্মের সমালোচক উল্লেখ করেন না:

“একজন পিতা, ভাই, পতি বা দেবর তাদের কন্যা, বোন, স্ত্রী বা ভ্রাতৃবধুকে মৃদুবাক্য, ভদ্র ব্যবহার ও উপহারাদি দ্বারা খুশি ও সন্তুষ্ট রাখবেন। যারা যথার্থ কল্যাণ ও উন্নতি চান, তারা নিশ্চিত করবেন যে, তাদের পরিবারের নারীরা যাতে সর্বদা খুশী থাকেন এবং কখনো দুর্দশা ভোগ না করেন”। (মনুসংহিতা ৩/৫৫)

“যে বংশে ভগিনী ও গৃহস্থের স্ত্রী (নারীকূল) পুরুষদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখিনী হয়, সেই বংশ অতি শীঘ্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আর যে বংশে স্ত্রীলোকেরা সন্তুষ্ট থাকে, সেই বংশ নিশ্চিতভাবেই শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে”। (মনুসংহিতা ৩/৫৭)

ভেবে দেখুন, পরিবারের সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য এর চেয়ে বড় কথা আর কি হতে পারে? এখানে পুরুষতান্ত্রিকতা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। নারীকে সর্বদা সুখী রাখতে হবে -এটাই মহর্ষি মনুর নির্দেশ।

“যে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখে না, সে তার সমগ্র পরিবারের জন্য দুর্দশা বয়ে আনে। আর যদি স্ত্রী পরিবারের প্রতি সুখী থাকেন, তবে সমগ্র পরিবার শোভাময় হয়ে থাকে।” (মনুসংহিতা ৩/৬২)

“যে বংশকে উদ্দেশ্য করে ভগিনী, পত্নী, পুত্রবধূ প্রভৃতি স্ত্রীলোকেরা অনাদৃত, অপমানিত বা বৈষম্যের শিকার হয়ে অভিশাপ দেন, সেই বংশ বিষপান করা ব্যক্তি ন্যায় ধন-পশু প্রভৃতির সাথে সর্বতোভাবে বিনাশপ্রাপ্ত হয়।” (মনুসংহিতা ৩/৫৮)

পুরুষতান্ত্রিক যে সমাজে নারীনির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, নারীকে যথেচ্ছা সম্ভোগ, প্রহার বা তাড়িয়ে দেওয়ার বিধানও যে সমাজ অনুমোদন করে, সেই সমাজ যে ক্রমেই বিনাশপ্রাপ্ত হবে -এটাই তো স্বাভাবিক। বিশ্বের প্রতিটি নারীর ব্যক্তিগত জীবনের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গলের লক্ষ্যে, নারীর অপমান ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহর্ষি মনু যে দৃপ্ত বাণী উচ্চারণ করেছেন, তাতে তো মনুকে বরং কট্টর নারীবাদী বলেই মনে হয়, তাই না?

“যারা ঐশ্বর্য কামনা করে, তারা স্ত্রীলোকদের সম্মান প্রদর্শন দ্বারা খুশী রাখবে এবং উত্তম অলংকার, পোশাক ও খাদ্যদ্বারা প্রীত রাখবে। স্ত্রীজাতিকে সর্বদা পবিত্র হিসেবে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করবে।” (মনুসংহিতা ৩/৫৯)

শ্লোকটিকে খুব নারীবাদী মনে হতে পারে, তবে মহর্ষি মনু মোটেও পুরুষতান্ত্রিক বা নারীবাদী কোনটাই নন, তিনি মানবতাবাদী। মনে রাখবেন ‘মনু’ শব্দ থেকেই ‘মানব’ ও ‘মানবতা’ শব্দের উৎপত্তি।

“স্ত্রী লোকেরা সন্তানাদি প্রসব ও পালন করে থাকে। তারা নতুন প্রজন্ম বা উত্তরসুরির জন্ম দেয়। তারা গৃহের দীপ্তি বা প্রকাশস্বরূপ। তারা সৌভাগ্য ও আশীর্বাদ বয়ে আনে। তারাই গৃহের শ্রী।” (মনুসংহিতা ৯/২৬)

আজও ভারতবর্ষে মহর্ষি মনুর এই শ্লোক থেকেই শিক্ষা নিয়ে মেয়েদের ‘ভাগ্যশ্রী’, ‘ঘরের লক্ষ্মী’ বা ‘গৃহলক্ষ্মী’ বলা হয়।

“প্রজন্ম থেকে প্রজন্মোন্তরে স্ত্রীরাই সকল সুখের মূল। কারণ, সন্তান উৎপাদন, ধর্ম পালন, পরিবারের পরিচর্যা, দাম্পত্য শান্তি এসব কাজ নারীদের দ্বারাই নিষ্পন্ন হয়ে থাকে।” (মনুসংহিতা ৯/২৮)

অন্যকথায়, মাতৃরূপে, কন্যারূপে, স্ত্রীরূপে, ভগ্নীরূপে কিংবা ধর্মকর্মে অংশীদাররূপে নারীরাই সকল কল্যাণের মূল উৎস বলে মহর্ষি মনু প্রতিপাদন করেছেন।

“পতি ও পত্নী মৃত্যু পর্যন্ত একসাথে থাকবেন। তারা অন্য কোন জীবনসঙ্গী গ্রহণ করবেন না বা ব্যাভিচার করবেন না। এই হলো নারী-পুরুষের পরম ধর্ম।” (মনুসংহিতা ৯/১০১)

“নারী ও পুরুষ একে ভিন্ন অপরে অসম্পূর্ণ। এজন্য বেদে বলা হয়েছে ধর্মকর্ম পত্নীর সাথে মিলিতভাবে কর্তব্য”। (মনুসংহিতা ৯/৯৬)

এই শ্লোকটির কথা একবার ভেবে দেখুন। নারী ছাড়া পুরুষ অসম্পূর্ণ একথা শুধুমাত্র হিন্দুধর্মই বলে থাকে। নারী ছাড়া পুরুষের ধর্মকর্ম সম্পূর্ণ হয় না। বৈদিক যজ্ঞ ও ধর্মপালন স্বামী-স্ত্রী যুগ্মভাবে করতে হয়, কেউ একাকী করতে পারেন না। একারণেই নারীকে বলা হয় পুরুষের ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ও ‘সহধর্মিনী’। উল্লেখ্য, মনুসংহিতাই একমাত্র ধর্মশাস্ত্র যেখানে এই বিখ্যাত কথা দুইটি অনুমোদন করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই হিন্দুধর্মে বিবাহবিচ্ছেদ এবং বহুবিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এবার নারীদের স্বাতন্ত্রের কথায় আসা যাক। স্মর্তব্য, স্বাধীনতা মানে উচ্ছৃঙ্খলা নয়, স্বাতন্ত্র্য মানেই ঔদ্ধত্য নয়।

“যে স্ত্রী দুঃশীলতা হেতু নিজে আত্মরক্ষায় যত্নবতী না হয়, তাকে পুরুষগণ ঘরে আটকে রাখলেও সে ‘অরক্ষিতা’ থাকে। কিন্তু যারা সর্বদা আপনা-আপনি আত্মরক্ষায় তৎপর, তাদের কেউ রক্ষা না করলেও তারা ‘সুরক্ষিতা’ হয়ে থাকে। তাই স্ত্রীলোকদের আটকে রাখা নিষ্ফল। স্ত্রীজাতির নিরাপত্তা প্রধানত তাদের নিজস্ব সামর্থ্য ও মনোভাবের উপর নির্ভরশীল।” (মনুসংহিতা ৯/১২)

এই শ্লোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, নিরাপত্তার নামে নারীকে ঘরে আটকে রাখা নিষ্ফল। বিপরীতক্রমে তাকে নিরাপদ রাখতে হলে তাকে অধিকার দিতে হবে এবং সঠিক শিক্ষা-দীক্ষা প্রদান করতে হবে। নারীর সামর্থ্য ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করতে হবে, মানবিক বিকাশ সাধনে তৎপর হতে হবে, যার ফলশ্রুতিতে তারা যেন আত্মরক্ষায় তৎপর থাকেন, নিজেদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। নারী জাতি সম্পর্কে এই হলো মহর্ষি মনুর মতাদর্শ।

“নারী অপহরণকারীদের মৃত্যুদণ্ড হবে।” (মনুসংহিতা ৮/৩২৩)

“যারা নারী, শিশু ও গুণবান পণ্ডিতদের হত্যা করে, তাদের কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে।” (মনুসংহিতা ৯/২৩২)

“যারা নারীদের ধর্ষণ করে বা উত্যক্ত করে বা তাদের ব্যাভিচারে প্ররোচিত করে তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে তা অন্যদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে এবং কেউ তা করতে আর সাহস না পায়।” (মনুসংহিতা ৮/৩৫২)

ইভটিজিং এখন প্রধান একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে, যার বিরুদ্ধে কঠোর কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ইভটিজিং, অপহরণ ও ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান কিন্তু সেই মনুর যুগ থেকেই প্রচলিত ছিল।

“যদি কেউ মা, স্ত্রী বা কন্যার নামে মিথ্যা দোষারোপ করে তবে তাকে শাস্তি দিতে হবে।” (মনুসংহিতা ৮/২৭৫)

অথচ নারীকে এই মিথ্যা দোষারোপ করেই প্রতিবছর হাজার হাজার নারীকে ‘অনার কিলিং’ করা হয়। অর্থাৎ হিন্দুধর্মের বিপরীত বিধানও অনেক সমাজে প্রচলিত আছে।

“যদি কেউ কোন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া মা, বাবা, স্ত্রী বা সন্তান ত্যাগ করে, তাকে কঠিন দণ্ড দিতে হবে।” (মনুসংহিতা ৮/৩৮৯)

“যদি কোন নারীকে সুরক্ষা দেবার জন্য পুত্র বা কোন পুরুষ পরিবারে না থাকে, অথবা যদি সে বিধবা হয়ে থাকে, যে অসুস্থ অথবা যার স্বামী বিদেশে গেছে, তাহলে রাজা তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। যদি তার সম্পত্তি তার কোন বন্ধু বা আত্মীয় হরণ করে, তাহলে রাজা দোষীদের কঠোর শাস্তি দেবেন এবং সম্পত্তি ঐ নারীকে ফেরত দেবেন।” (মনুসংহিতা ৮/২৮-২৯)

“নববিবাহিতা বধূ, কন্যা এবং গর্ভবতী মহিলাদের অতিথি ভোজনের পূর্বেই ভোজন প্রদান করতে হবে।” (মনুসংহিতা ৩/১১৪)

“বাহনে বা যানে আরোহী ব্যক্তির পক্ষে বয়স্ক ব্যক্তি, ক্লান্ত ব্যক্তি, ভারবাহী ব্যক্তি, বর, রাজা, স্নাতক এবং স্ত্রীলোকদের পথ ছেড়ে দেয়া কর্তব্য।” (মনুসংহিতা ২/১৩৮)

এই মানবিক ভদ্রতা জ্ঞানটুকু আর কোন শাস্ত্রে আছে? Ladies First তত্ত্বটা কিন্তু তাহলে বিদেশী নয়, বরং ভারতীয় রীতি বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

ভেবে দেখুন, পথে-ঘাটে যত অনাথ শিশু দেখেন, যত নিশিকন্যা দেখেন, যত পিতৃ-মাতৃতুল্য বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে হাত পেতে ভিক্ষা করতে দেখেন, তাদের মাঝে কতজনকে আপনি হিন্দু দেখেছেন? হিন্দুদের মানবিক মূল্যবোধ অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয় কি? নিজেই বিচার করুন।

বিয়ে করতে যাওয়া এক পুত্রকে তার পিতার উপদেশ মালা।বাবা বললেনঃ---১. নতুন বউকে পালকি করে কেন আনা হয় জানিস? তাকে তো গরুর গাড়ি...
10/01/2022

বিয়ে করতে যাওয়া এক পুত্রকে তার পিতার উপদেশ মালা।
বাবা বললেনঃ---
১. নতুন বউকে পালকি করে কেন আনা হয় জানিস? তাকে তো গরুর গাড়িতেও আনা যেত।
তা না করে পালকিতে আনা হয়, কারণ সে কত সম্মানিত তা বোঝানোর জন্য।
পালকিতে নামানোর পর এ সম্মান কমানো যাবে না। সারাজীবন পালকির সম্মানেই তাকে রাখতে হবে।
২. নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে জানিস?
কাঁদে। কেন কাঁদে?
শুধু ফেলে আসা স্বজনদের জন্য না।
নতুন জীবন কেমন হবে সে ভয়েও কাঁদে।
তোর চেষ্টা হবে পালকির কান্নাই যাতে তার শেষ কান্না হয়।
এরপর আর মাত্র দুটো উপলক্ষ্যে সে কাঁদবে।
একটি হলো মা হওয়ার আনন্দে, আরেকবার কাঁদবে তুই চলে যাওয়ার পর।
মাঝখানে যত শোক আসবে তুই তার চোখের জল মুছে দিবি।
৩. স্ত্রী সবচেয়ে কষ্ট পায় স্বামীর বদব্যবহারে,
দ্যাখ, আমি খুবই বদমেজাজি,
কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমি তোর মায়ের সামনে কোনোদিন উঁচু গলায় কথা বলেছি।
৪. বিয়ে মানে আরেকটি মেয়ের দায়িত্ব নেওয়া।
এটা ঠিকভাবে পালন না করলে ঈশ্বরের কাছে দায়ী থাকতে হয়।
৫. আরেকটি কথা, সব মেয়ের রান্নার হাত ভালো না, কিন্তু সবাই রান্না ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
তাই রান্না নিয়ে বউকে কখনো খোঁটা দিবি না।
৬. বউয়ের মা-বাবাকে কখনো 'আমার শ্বশুর, আমার শাশুড়ি' এগুলো ডাকবি না।
মা-বাবা ডাকবি।
আগের ডাকগুলো কোনো মেয়ে পছন্দ করে না, তুই ওগুলো ডাকলে বউও আমাদের ওই ডাকেই ডাকবে।
তুই ওনাদের সম্মান না করলে সে আমাদের সম্মান করবে না। এটাই নিয়ম।
ঈশ্বরের পাল্লা সমান, এক পাল্লায় তুই যা করবি, আরেক পাল্লায় তিনি তাই রেখে দুই পাল্লার ওজন ঠিক রাখেন।।

10/01/2022

"ধনীদের উচিত দুঃস্থদের দান করা,তাদের দুরদৃষ্টিসম্পন্ন হওয়া উচিত কেননা ধনসম্পদ হল রথের চাকার মত,এখন যা এখানে পরমূহুর্তেই তা অন্যখানে গতিশীল হয়।"
(ঋগ্বেদ ১০.১১৭.৫)

19/09/2021
19/09/2021
 #পৃথিবীর_প্রথম_সার্জন_ও_প্লাস্টিক_সার্জারির_জনক:সুশ্রুতমহাঋষি সুশ্রুত প্রাচীন ভারতে এবং মানব ইতিহাসের প্রথম সার্জন বা শ...
12/05/2021

#পৃথিবীর_প্রথম_সার্জন_ও_প্লাস্টিক_সার্জারির_জনক:
সুশ্রুত

মহাঋষি সুশ্রুত প্রাচীন ভারতে এবং মানব ইতিহাসের প্রথম সার্জন বা শল্যচিকিৎসক।

ঋষি বিশ্বামিত্রের পুত্র ছিলেন সুশ্রুত। অনেকে বলেন ধন্বন্তরীর (ধন্বন্তরী ছিলেন কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) কাছেই সুশ্রুতের শিক্ষা। ছোটবেলা থেকেই রোগ নিরাময়ের বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন তিনি।

সুশ্রুত বিশ্বাস করতেন, একজন ভালো চিকিৎসক হতে হলে অবশ্যই একজন ছাত্রের মেডিসিন আর সার্জারি উভয় বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। তা না হলে সে হয়ে যাবে এমন একটি পাখির মতো যার কেবল একটি ডানা।

মহাঋষি সুশ্রুত ‘সুশ্রুত সংহিতা’ নামক একটি সংস্কৃত বই লেখেন,যা সার্জারির আদিপুস্তক। বহুদেশের নানা ভাষায় বইটি অনুবাদ করা হয়।

প্রথম অনুবাদ হয় আরবি ভাষায়। সময়টা ছিল আট শতক। বইটির নাম হয়েছিল ‘কিতাব-ই-সুসরুদ’। উনিশ শতকে এই বইটি লাতিন, জার্মান, ইংরেজি সহ আরও নানা ইউরোপিয় ভাষায় লেখা হয়েছিল। ১৯০৭ এর দিকে প্রথমবার কবিরাজ কুঞ্জলাল ভীষগরত্ন তিনখণ্ডে বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেন।

এই বইটিতে ১৮৪ টি অধ্যায় আছে, যেখানে ১১২০ টি রোগের বর্ণনা,৭০০ ভেষজ উদ্ভিদের কথা,৬৪ টি রাসায়নিক মিশ্রনের বর্ণনা যা বিভিন্ন খনিজ থেকে তৈরি হয় এবং আছে আরও ৫৭ টি মিশ্রনের বিবরণ যা প্রাণীজ উপাদান থেকে প্রস্তুত করা হত। আর মূল লেখাটি ছিল, তালপাতার ওপর সংস্কৃত ভাষায়।

এই পাণ্ডুলিপিটিতে ১২০ রকমের সার্জারির যন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে,রয়েছে তার ৫৬টির বিশদ বর্ণনা। আধুনিক বিজ্ঞান এই সব পদ্ধতির পুনরাবিষ্কার করেছিল উনিশ শতকে। প্রাচীন এই পাণ্ডুলিপির ঐতিহাসিক মূল্য ও গুরুত্ব বিবেচনায় এনে ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এছাড়াও অস্ত্রোপচার করার জন্য ১২১টি বিভিন্ন যন্ত্রপাতির উল্লেখ রয়েছে এই বইয়ে। যন্ত্রগুলিকে সুশ্রুত দুভাগে ভাগ করেছিলেন। যেগুলো ভোঁতা, নাম দিলেন যন্ত্র। আর যেগুলো সরু ও ধারালো, তার নাম দিলেন শস্ত্র। যন্ত্র ছিল ১০১ রকম। শস্ত্র ছিল বাকি ২০ রকম। কামারদের কাছ থেকে কী করে অতি সূক্ষ সেসব যন্ত্র বানিয়ে নিতে হবে, তারও উপদেশ রয়েছে তার বইয়ে।

সুশ্রুতের দেওয়া যন্ত্রগুলোর নাম হল: মণ্ডলাগ্র ছুরিকা, করপত্র ব্রীহিমুখ, বৃদ্ধিপত্র, নখ

এবার আমার বক্তব্যের সমর্থনে ১৭৯৩ সালের একটি গল্প তুলে ধরবো। জনৈক ডা: স্কট নামে একজন চিকিৎসক ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাপ্টেন আরভানের কাছ থেকে একটি ঘটনা শুনলেন। তখন দেশে ডাকাতি,লুটপাট, চুরি ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে অপরাধীদের নাক কেটে দেওয়া খুব প্রচলিত শাস্তি ছিল। ফলে ভুক্তভোগীকে আজীবন এই লজ্জা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হতো।

কিন্তু ক্যাপ্টেন আরভাইন জানালেন, পুনের ‘কুমার’ সম্প্রদায়ে এমন কিছু মানুষ আছে যারা নিখুঁতভাবে কাটা নাক সারিয়ে দিতে পারে। তবে তাদের নিজেদের উদ্ভাবন নয় এই অস্ত্রোপচার। বহু বছর ধরে বংশপরম্পরায় অর্জন করেছে এই জ্ঞান। কবে কে উদ্ভাবন করেছিলেন এই পদ্ধতি, তারা নিজেরাও জানেন না!

এমন গল্প শুনে ভ্রু কুঁচকে ফেললেন ডাক্তার স্কট। কাটা নাক সারিয়ে ফেলা মানে? এটা কীভাবে সম্ভব হবে! ডাক্তার স্কট নিজে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু তার পক্ষে নিজে উপস্থিত হওয়া সম্ভব ছিলো না। অগত্যা তিনি পুনেতে কর্মরত সার্জন ডাক্তার ফিনলে এবং ডাক্তার ক্রুসো নামক দুজনের উপর দায়িত্ব দিলেন, তারা যেন এ ব্যাপারে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দেয়।

অনেক অপেক্ষার পর সুযোগ মিলল। দুজন ডাক্তার সরেজমিনে কাহিনীর সত্যতা যাচাই করতে গেলেন। তাদের বিস্মিত চোখের সামনে ‘কুমার’ সম্প্রদায়ের কিছু নিরক্ষর মানুষ নিখুঁতভাবে তাদের কাজ সমাধা করে ফেললো!

তারা তাদের নিজেদের হাতে তৈরি একটি ধারালো ক্ষুর জাতীয় অস্ত্র দিয়ে প্রয়োজনীয় মাপের চামড়া রোগীর কপাল থেকে কেটে নিলেন। তারপর তা স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত আঠাজাতীয় পদার্থের সাহায্যে জুড়ে দিকেন ক্ষতস্থানে- নিখুঁতভাবে! সমগ্র প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে গেলো অতি দ্রুততার সাথে।

অতঃপর ডাক্তার-দুজন রোগীটিকে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখলেন। অবাক করার বিষয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ‘গ্রাফট টিস্যু’ জোড়া লেগে গেলো সঠিকভাবে! শুধুমাত্র হালকা একটি কাটা দাগ থেকে গেলো, সেখানে যে কোনো অপারেশন হয়েছিলো তার সাক্ষ্য দিতে।

১৭৯৪ সালের পয়লা জানুয়ারিতে ডাক্তার ক্রসো এবং ফিনলের পাঠানো রিপোর্টটি সেই বছরেই লন্ডনের ‘জেন্টলম্যানস ম্যাগাজিন’ এ ছাপা হয়। সেটি আবার নজরে পড়ে ডাক্তার জে সি কাপ্রুর। তিনি অপারেশনের উপর বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ করে নিজে সেটি পরীক্ষা করে দেখেন! বলা বাহুল্য, সে অপারশন সফলতার মুখ দেখেছিলো।

১৮১৬ সালে প্রকাশিত ‘An account of two successful operations for restoring a lost nose from the integuments of the forehead’ বইতে তুলে ধরেন এই কাহিনী। ফলে সারা বিশ্ব জানতে পারে এক হারানো জ্ঞানের কথা, যা লুকিয়ে ছিলো কিছু নিরক্ষর গ্রাম্য মানুষের মাঝে।

কোথা থেকে এলো এই জ্ঞান?
এই জটিল ও নিখুঁত অস্ত্রোপচার পদ্ধতি পুনের কুমার সম্প্রদায়ের মানুষ কীভাবে অর্জন করলো, তা জানতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে আরো ২৬০০ বছর পূর্বে। এই সময়ে সংকলিত হয় একটি বিখ্যাত গ্রন্থ- সুশ্রুত সংহিতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন পূর্ণাঙ্গগ্রন্থ আগে রচিত হয়নি। গ্রন্থটি রচনা করেন চিকিৎসক ও দার্শনিক মহর্ষি সুশ্রুত।

মহর্ষি সুশ্রুতের জন্মকাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের ভেতরে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। হরিদ্বারের ‘পতঞ্জলি যোগপীঠ’ এ মহর্ষি সুশ্রুতের একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। সেখানে তার জীবনকাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে তিনি জীবিত ছিলেন। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে তার জীবনকাল অতিবাহিত হয়েছিলো খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সাল থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ সালের ভেতরে কোনো এক সময়ে।

টাকলামাকান মরুভূমির প্রাচীন এক বৌদ্ধবিহার থেকে পাওয়া গুপ্তযুগের বাওয়ার লিপিতে উল্লেখ পাওয়া যায় মহর্ষি সুশ্রুতের। ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা এই পান্ডুলিপিতে তাকে হিমালয়ে বসবাসরত দশজন মহান ঋষির একজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গঙ্গানদীর তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন নগরী বেনারসে ধর্ম ও জ্ঞানের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে। আদি থেকে এটি হিন্দুদের অতি পবিত্রস্থান হিসেবে খ্যাত। পরবর্তীতে এই নগরী হয়ে উঠেছিলো বৌদ্ধধর্ম এবং আয়ুর্বেদের পীঠস্থান। মহর্ষি সুশ্রুত বেড়ে উঠেছিলেন এই প্রাচীন বেনারস শহরে। সেখানেই বিকশিত হয়েছিলো তাঁর প্রতিভা। চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এখানে তাঁর ছাত্রদের শিক্ষা দিতেন। তার অনুসারীদের বলা হতো সৌশ্রুত।

সমস্ত সৌশ্রুতদেরকে ছয়বছর ধরে শিক্ষাগ্রহণ করতে হতো। শিক্ষাগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরেই তাদের একটি শপথ নিতে হতো। আধুনিক যুগে আমরা যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিসেবে জানি, সেই হিপোক্রেটিসের জন্মেরও আগের ঘটনা এটি।

নিজের সময় থেকে অনেক অগ্রসর ছিলেন এই মহান চিকিৎসক। তার প্রজ্ঞার পরিচয় পাওয়া যায় তার রচিত গ্রন্থে। এই গ্রন্থে রচিত বহু বিষয় আজও প্রাসঙ্গিক। সুশ্রুত মূলত শল্যচিকিৎসায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তবে মেডিসিনেও তার অগাধ ব্যুৎপত্তি ছিলো। তিনি মনে করতেন, পরিপূর্ণ চিকিৎসক হতে গেলে শল্যবিদ্যার পাশাপাশি মেডিসিনের জ্ঞানও আবশ্যক। সুশ্রুত সংহিতায় তিনি শল্যচিকিৎসার পদ্ধতির পাশাপাশি প্রসূতিবিদ্যার নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। মৃত মানুষের অঙ্গ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে মানবদেহের খুটিনাটি জ্ঞান আহরণের প্রয়োজনীয়তা তিনি তুলে ধরেন এতে।

সার্জারির সংস্কৃত প্রতিশব্দ শল্যচিকিৎসা। ‘শল্য’ শব্দটির অর্থ তীর। সেই সময়ে অধিকাংশ আঘাতের কারণ ছিলো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাওয়া তীরের আঘাত। সেখান থেকেই এই নামের অবতারণা। খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ অব্দে ভারতবর্ষে শল্যচিকিৎসার প্রভূত উন্নতি হয়। সাধারণ কাটাছেঁড়া তো স্বাভাবিক ব্যাপার ছিলো, ভারতীয় শল্যচিকিৎসকবিদগণ নাকের অস্ত্রোপচার (যা আজ আমরা Rhinoplasty হিসেবে জানি) এবং ছানি অপারেশন (ক্যাটার‍্যাক্ট অপারেশন) এ সিদ্ধহস্ত ছিলেন। আর এ কাজে কিংবদন্তিসম দক্ষতা অর্জন করেছিলেন মহর্ষি সুশ্রুত। বলা হয়ে থাকে, তিনিই উদ্ভাবন করেছিলেন এই পদ্ধতি।

তথ্যসূত্র: গুগোল এবং কিছু ঐতিহাসিক রেফারেন্স

বাংলাদেশ সনাতন কল্যান সোসাইটির সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ডাঃ বনদীপ লাল দাস মহোদয়ের মাতা আজ সকাল আনুমানিক ৮.৩০ মিঃ সময় নিজ বাস...
26/11/2020

বাংলাদেশ সনাতন কল্যান সোসাইটির সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ডাঃ বনদীপ লাল দাস মহোদয়ের মাতা আজ সকাল আনুমানিক ৮.৩০ মিঃ সময় নিজ বাসভবনে ইহলোক ত্যাগ করিয়া পরলোক গমন করেন বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোক সংতপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি,, দিব্যান লোকানো স্ব গচ্ছতুঃ

03/07/2020

আরকতটি সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়ে নির্যাতিত ধর্ষণ হত্যা গুম ধর্মান্তর হলে হিন্দু সমাজ জাগ্রত হবে ? বিগত ২৭ শে জুন ,২০ ব.....

03/07/2020

বিখ্যাত লেখক স্যার অরিয়েল ষ্টেইন(১৮৬২-১৯৪৩) বলছেন- পূতঃসলিলা সরস্বতী নদীর উৎপত্তি ছিল হিমালয় থেকে, এবং এটা ছিল অনন...

29/06/2020

পানছড়ি প্রতিনিধি: অভাবের সঙ্গে বড় হয়েছেন তিনি। স্বপ্ন ছিল নতুন কিছু করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ....

https://m.indiarag.in/article/julius-robert-oppenheimer-on-india/82688
26/06/2020

https://m.indiarag.in/article/julius-robert-oppenheimer-on-india/82688

ভারত দেশ নিজের প্রাচীন সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জন্য বিশ্বে সবথেকে বড়ো স্থানের অধিকারি। ভারতের

" জয় সনাতনের জয় হিন্দু জাতির " https://www.shuddhobarta24.com/archives/28789
21/06/2020

" জয় সনাতনের জয় হিন্দু জাতির "
https://www.shuddhobarta24.com/archives/28789

প্রতিবেদন : সার্বজনীন জীব জগৎতে নীতি আদর্শের প্রশ্নে বেদ ও শ্রীগীতা দুইটি গ্রন্থই সর্ব শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ তার উদাহরণ...

https://m.facebook.com/JagoHinduworld/photos/a.377145059111530/660546494104717/?type=3
25/05/2020

https://m.facebook.com/JagoHinduworld/photos/a.377145059111530/660546494104717/?type=3

ধর্মান্তরিত হওয়া সচিবের সুন্দরী মডেল কন্যা শ্রাবন্তী দও তিন্নি, তার দ্বিত্বীয় স্বামী বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ!
ধর্মান্তরিত হওয়ার ফল......
স্বামী আদনান হুদা সাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট লিখে এ অভিযোগ জানান তিনি। পোস্টটির সঙ্গে নিজের মেয়ের একটি ছবিও দিয়েছেন তিন্নি।

ফেসবুক পোস্টে তিন্নি দাবি করেন, সাদ একজন প্রতারক ও অসুস্থ। তিন্নি অভিযোগ করে বলেন, তাঁর স্বামী তাঁকে বোকা
বানিয়েছেন এবং অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এরপর তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিন্নি।
২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদনান হুদা সাদকে বিয়ে করেন তিন্নি। তাঁদের আরিশা নামের একটি মেয়ে রয়েছে। এটা
তিন্নির দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগে ২০০৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে ভালোবেসে
বিয়ে করেছিলেন তিন্নি। তাঁদের ওয়ারিশা নামের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। ২০১২ সালে হিল্লোলের সঙ্গে
বিচ্ছেদ হয় তিন্নির।।

যা'ই হোক- শারীরিক সম্পর্কের এই চুক্তি যে কেন আদনান করবে এটাই স্বাভাবিক; তবে এটা অস্বাভাবিক কি মোহে একজন উচ্চপদস্থ সচিবের মেয়ে এহেন কাজ করতে পারে। তার ঘরে কি তার মা' ও ছিল না? যে এই পাপের হাত থেকে বাঁচাতে পারত।

23/05/2020

সত্য ধর্ম ও সমাজের কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্য পরাক্রম জ্ঞান,মেধা,শক্তি ব্যয় করা হয় না এবং কেবল মাত্র স্ব কাজেই ব্যবহৃত হয়,সেই সকল অর্জন স্ব বিপদেও সংঙ্গ দেয়না- সূত্র: কর্ণ!

23/05/2020

www.shuddhobarta24.com -এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে স্বাগতম। লেটেস্ট সব নিউজ পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

হে মানবজাতি ! তোমরা সম্মিলিতভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হও । পারস্পরিক মমতা ও শুভেচ্ছা নিয়ে একত্রে পরিশ্রম করো । জীবনের...
19/05/2020

হে মানবজাতি ! তোমরা সম্মিলিতভাবে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হও । পারস্পরিক মমতা ও শুভেচ্ছা নিয়ে একত্রে পরিশ্রম করো । জীবনের আনন্দে সম-অংশীদার হও । [অথর্ববেদ-৩.৩০.৭]

https://youtu.be/6SP0mIcb74w
16/05/2020

https://youtu.be/6SP0mIcb74w

ভগবান কোথায় থাকে ? ভগবান কি খায় ? ভগবান কখন হাসে ? ভগবানের কাজ কি ? Channel About Us : - In this channel, you will find Indian devotion Lila Kirton Songs o...

ত্রান কার্যক্রম,,,,,,
15/05/2020

ত্রান কার্যক্রম,,,,,,

বিএসকেএস বিমানবন্দর থানা শাখার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ত্রান বিতরণঃবাংলাদেশ সনাতন কল্যান সোসাইটি বিমান বন্দর থানা শাখার পক্ষ থেকে সিলেটে আয়োজিত ''করোনা ভাইরাস '' এর দূর্যোগ পূ...
13/05/2020

ত্রান বিতরণঃ
বাংলাদেশ সনাতন কল্যান সোসাইটি বিমান বন্দর থানা শাখার পক্ষ থেকে সিলেটে আয়োজিত ''করোনা ভাইরাস '' এর দূর্যোগ পূর্ণ সময়ে অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে বিএসকেএস পরিবার,,,,,৷৷

ত্রান বিতরণঃবাংলাদেশ সনাতন কল্যান সোসাইটি বিমান বন্দর থানা শাখার পক্ষ থেকে সিলেটে আয়োজিত ''করোনা ভাইরাস '' এর দূর্যোগ পূ...
13/05/2020

ত্রান বিতরণঃ
বাংলাদেশ সনাতন কল্যান সোসাইটি বিমান বন্দর থানা শাখার পক্ষ থেকে সিলেটে আয়োজিত ''করোনা ভাইরাস '' এর দূর্যোগ পূর্ণ সময়ে অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে বিএসকেএস পরিবার,,,,,৷৷

স্ত্রী থেকে নিচু জাত সবার জন্য উপনয়ন (পৈতা) ব্যবস্থা শাস্ত্রের প্রমাণসনাতন শাস্ত্র এর অফুরন্ত জ্ঞান ভান্ডার এখানে রয়েছ...
05/05/2020

স্ত্রী থেকে নিচু জাত সবার জন্য উপনয়ন (পৈতা) ব্যবস্থা শাস্ত্রের প্রমাণ

সনাতন শাস্ত্র এর অফুরন্ত জ্ঞান ভান্ডার এখানে রয়েছে হাজার হাজার মনি ঋষিদের দেয়া বিধান ও কর্ম ব্যবস্থা।হিন্দু সংস্কৃতিতে বিভিন্ন গ্রন্থের উল্লেখ আছে তার ভেতরে প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদ। উপনয়ন হল একটি সংস্কার মাত্র।উপনয়ন কথাটির অর্থ হল উপরের চক্ষু খুলে যাওয়া বা জ্ঞানচক্ষু উদয় হওয়া যাকে সহজ ভাষায় পৈতা নেয়া বলা হয়ে থাকে। হিন্দুধর্মে কর্মের জন্য ৪ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈষ্য, শূদ্র। চার শ্রেণিকে চার ভাগে ভাগ করার মূল কারণ হল সমাজের সঠিক ভাবে সবার কর্ম বন্টন করা। তাই এর মানে নয় যে উঁচু কিংবা নিচু জাত।আমরা যদি চৈতন্য মহাপ্রভুর বৈষ্ণব দর্শন কে ফলো করি তাহলে সেখানে দেখা যাবে শূদ্র ও গুরুর আসনে বসতে পেরেছে। এটা দ্বারা ভগবান চৈতন্য মহাপ্রভু প্রমাণ করেছে কর্মগুনে ধর্ম। ব্রাহ্মণের ছেলে ব্রাহ্মণ হবে এরকম কথা কোথাও বলা নেই তবে দ্বিজত্ব লাভ করাটাই হলো মূল কর্ম। মনুসংহিতা গ্রন্থ যদিও বলা হয়েছে তিন শ্রেণীর ব্যক্তি দ্বিজ বলে খ্যাত তারা হল ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈষ্য। মনুসংহিতা গ্রন্থ দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩৭ নাম্বার শ্লোকে বলা হয়েছে যে ব্রাহ্মণের উপনয়ন পাঁচ বছরের ভিতরে নিতে হবে ক্ষত্রিয়ের উপনয়ন ৬ বছরের ভিতরে নিতে হবে এবং উপনয়ন ৮ বছরের ভিতরে নিতে হবে। যদিও এখানে শূদ্রের উপনয়ন সম্বন্ধে আলোচনা নেই। যদি এরা এই সময়ের ভিতর উপনয়ন নিতে না পারে তবে ব্রাহ্মণকে ১৬ বছর ক্ষত্রিয় কে ২২ বছর এবং বৈশ্য কে অবশ্যই ২৪ বছরের ভিতর উপনয়ন নিতে হবেই হবে।যদি এই সময়ে অতিক্রম হয় তাহলে প্রায়শ্চিত্ত করে উপনয়ন নেয়ার বিধান দেয়া হয়েছে মনুসংহিতা গ্রন্থের ৩৮ নম্বর দ্বিতীয় অধ্যায়ের। যদিও এখানে স্ত্রীলোক ও শূদ্র সম্বন্ধে উপনয়নের কোনো আলোচনা নেই তবুও। চৈতন্য মহাপ্রভু কর্তৃক প্রবর্তিত বৈষ্ণব মতবাদে শূদ্রের উপনয়ন সংস্কার হবে।তাছাড়া হিন্দু সংস্কৃতিতে প্রাচীনকালে নারীদের উপনয়ন সংস্কার এর অনেক আলোচনা রয়েছে আমাদের বিভিন্ন গ্রন্থে। বর্তমান সমাজে উচ্চমার্গের জাতিভেদের কারণে নারীজাতিকে অবনত ও শূদ্র জাতি কে পা বলে আখ্যায়িত করার কারণে আজকে হিন্দু সমাজে ভেদাভেদের জন্ম হয়েছে। ব্রহ্মসংহিতা ,তাপোল গোপাল উপনিষদ ,চৈতন্য ভাগবত এ সবার জন্য উপনয়নের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।যদি নিচু জাতির জন্য উপনয়ন ব্যবস্থা না থাকতো তাহলে যবন হরিদাস নামে চৈতন্য মহাপ্রভুর পার্ষদ মুসলিম হওয়ার কারণে তাকে উপনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হতো। কিন্তু তা করা হয়নি। প্রাচীন ভারতে হিন্দু মহিলাদের বেদ পাঠে অধিকার ছিল। এবং বর্তমান যুগের নারীদের থেকে তারা অনেক জাগ্রত ও সমাজ সংস্কারক ছিল। আরো প্রমাণস্বরূপ দেখা যায় ১৪৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী এর হাতে গঠিত আর্য সমাজ। বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।হিন্দু সংস্কৃতির মূলধারা কে লক্ষ্য করে তারা সবার জন্য উপনয়ন সংস্কার এর ব্যবস্থা করে এমনকি মহিলাদের পর্যন্ত উপনয়ন ব্যবস্থা তারা করে থাকে কারণ তাদের মতে মনুষ্য জগতে সবার ভগবানের প্রতি টান রয়েছে। আর্য সমাজের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে উপনয়ন সংস্কার এর আয়োজন করা হয় এখানে সবার জন্য উন্মুক্ত ভাবে উপনয়ন দেয়ার ব্যবস্থা করে আর্য সমাজ কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজ এর গৌড়ীয় মঠ, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) তারাও হিন্দু সংস্কৃতি রক্ষায় আপ্রাণ কাজ করে যাচ্ছে এবং ভগবান প্রদত্ত বিধান প্রচার এর জন্য কাজ করছে। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পাশ্চাত্য দেশ বিদেশে এখন অনেক অন্য জাতির ও অন্য ধর্মের মানুষ হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করছে এবং তারা উপনয়ন সংস্কার এর মাধ্যমে তারা ভগবানের সাথে যুক্ত হচ্ছে। এভাবে হাজার প্রমাণ রয়েছে। তাই বলা যায় সনাতন সংস্কৃতিতে উপনয়ন (পৈতা) ব্যবস্থাটি সবার জন্য। আপনাদের আরও বুঝবার স্বার্থে বলে রাখি পুরোহিত ও ব্রাহ্মণ কথাটি অনেক পার্থক্য রয়েছে। ব্রাহ্মণ বলতে তাকে বোঝানো যায় যে ব্রহ্মকে জেনেছে এভাবে বলতে গেলে জানা যায় বা দেখা যায় উদাহরণ স্বরূপ ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। পুরোহিত কথাটির অর্থ হলো অপরের যে হিত কামনায় মঙ্গল প্রার্থনা করে থাকে ঈশ্বরের কাছে তাকে পুরোহিত বলা হয়।হিন্দু সংস্কৃতি মূল ধারায় যদি আমরা ফিরে যেতে পারি তাহলে হিন্দুত্ববাদ জাগ্রত হবে এবং ভগবান চৈতন্য মহাপ্রভু ও জগৎগুরু শঙ্করাচার্য এবং স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী এর আন্দোলন সার্থক হবে।

 #অবশেষে বর্ণবাদীদের মুখে ঝামা ঘষে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বহুল আলোচিত এই জুটি...!!! সনাতনী সমাজকে জাতপাতের কুসংস্ক...
05/05/2020

#অবশেষে বর্ণবাদীদের মুখে ঝামা ঘষে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বহুল আলোচিত এই জুটি...!!! সনাতনী সমাজকে জাতপাতের কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে এভাবেই নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসা উচিত। আমি ভগবানের কাছে তাদের সার্বিক মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করছি। তোমরাই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আশার আলো জ্বালিয়ে পথ প্রদর্শক হয়ে থাকবে এই সমাজের বুকে!

প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার হরিশ্চন্দ্র পুরের রবীন্দ্রনাথ রায়ের মাষ্টার্স পড়ুয়া মেয়ে বিউটি রানী রায় ও কাহারোল শহরের দীনেশ চন্দ্র বিশ্বাস এর ছেলে ডালিম কুমার বিশ্বাস এর সাথে সনাতন ধর্মীয় রীতিতে শুভ বিবাহ সুসম্পন্ন হলো।

"যত মত তত পথ হিন্দু স্বার্থে এক মত"

20/04/2020

করোনা ভাইরাস থেকে পৃথিবীর সকল মানুষের মুুক্তি কামনা করি।

 #পশুদের_রক্ষা_কর_পবিত্র_বেদবেদ মানব সভ্যতার সর্বোচ্চ গ্রন্থ। মনুষ্য জীবনের প্রতিটি কার্যকলাপের সঠিক দিক নির্দেশনা সম্বল...
17/04/2020

#পশুদের_রক্ষা_কর_পবিত্র_বেদ

বেদ মানব সভ্যতার সর্বোচ্চ গ্রন্থ। মনুষ্য জীবনের প্রতিটি কার্যকলাপের সঠিক দিক নির্দেশনা সম্বলিত এক পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। অহিংসা,সত্য, উদার এবং মহত্বে অধিষ্ঠিত হওয়ার উপদেশ বেদ আমাদের দিয়েছে। কিন্তু একটি নিরীহ নির্দোষ প্রাণী হত্যার দ্বারা কি কখনো মহত্বে অধিষ্ঠিত হওয়া যেতে পারে? বেদ কি আদৌ আমাদের নির্দোষ প্রাণীদের হত্যা করার শিক্ষা দেয়?

কখনোই না। কারন বেদেই স্পষ্ট আছে - ["অনাগো হত্যা বৈ ভীমা কৃত্যে"(অথর্ববেদ ১০।১।২৯) অর্থাৎ হে হিংসক্রিয়ে, নিরপরাধ এর হত্যা নিশ্চিতভাবে ভয়ংকরপ্রদ] অতএব নিরাপরাধ পশুদের নিরন্তর রক্ষা করো।
যজুর্বেদ ১৩ অধ্যায়ের ৪৭ - ৫০ নং মন্ত্রগুলোতে ইহা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে-
=>>যজুর্বেদ ১৩।৪৭
হে হাজারো প্রকার দৃষ্টিযুক্ত রাজন! তুমি সুখ প্রাপ্ত করার জন্য নিরন্তন বৃদ্ধি হয়ে এই দ্বিপদী মনুষ্য এবং চতুষ্পদী পশুকে মেরো না। হে জ্ঞানবান! তুমি পবিত্র অন্ন উৎপন্ন কারী বন্য পশুকে প্রেম করো, তাদের বৃদ্ধি প্রার্থনা করো। এবং তাদের বৃদ্ধি দ্বারা নিজ সম্পদ বৃদ্ধি হয়ে নিজ শরীর মধ্যে হৃষ্ট পুষ্ট হয়ে স্থির হও। তোমার সন্তাপকারী ক্রোধ বা তোমার পীড়া, হিংসক বন্য পশুর প্রাপ্ত হোক। এবং যাদের আমরা প্রীতি করি না, তাদের তোমার সন্তাপকারী ক্রোধ বা পীড়া প্রাপ্ত হোক।
(অনুবাদঃ জয়দেব শর্মা)
=>> যজুর্বেদ ১৩।৪৮
হে পুরুষ! এই হর্ষ ধ্বনি কারী , যা সব প্রকার কষ্ট সহনের সামর্থ্য এক ক্ষুরযুক্ত বেগবান,যা সংগ্রামপযোগী পশুদের মধ্যে সবচেয়ে অধিক বেগবান অশ্ব, গাধা,খচ্চর আদি পশুকে মেরো না। জঙ্গলে গৌর নামক পশু কে লক্ষ্য করে তোমাকে আমি এই উপদেশ করছি যে, তাদের বৃদ্ধিতে তুমি নিজেকেও বৃদ্ধি করে নিজ শরীর কে রক্ষা করো। তোমার শোক, সন্তাপ বা ক্রোধ সেই গৌর নামক ক্ষেতের হানিকারক মৃগের প্রাপ্ত হোক।যাদের প্রতি আমাদের প্রীতি নেই, তোমার শোক সন্তাপ বা ক্রোধ তাদের প্রাপ্ত হোক।
(অনুবাদঃ জয়দেব শর্মা)
=>>যজুর্বেদ ১৩।৪৯
আকাশ অন্তরীক্ষের মধ্যে বিবিধ প্রকারে বিস্তার কারী শত ধারা বর্ষনকারী আশ্রয়, সোমরূপ মেঘের সমান লোক মধ্যে বিদ্যমান শতজনের ধারক পোষক এবং হাজারো সুখপ্রদ পদার্থের উৎপাদক এই বৃষ কে এবং মনুষ্যের হিতের জন্য ঘী, দুগ্ধ, অন্ন আদি পুষ্টিকারক পদার্থ প্রদানকারী অহিংসনীয়, পৃথিবী সমান গাভী কে, হে রাজন! আপন সর্বোৎকৃষ্ট স্থান মধ্যে বা আপন রক্ষন কার্যের মধ্যে তৎপর হয়ে মেরো না। তোমাকে আমি বন্য পশু গবয় এর উপদেশ করি। উহা দ্বারা নিজ ঐশ্বর্য কে বৃদ্ধি করে নিজ শরীরকে স্থির করো। তোমার শোক সন্তাপ বা ক্রোধ "গবয়" নামক পশুর প্রাপ্ত হোক। এবং যেই শত্রুকে আমরা দ্বেষ করি, তোমার সন্তাপ এবং পীড়াদায়ক ক্রোধ তাহার প্রাপ্ত হোক।
(অনুবাদঃ জয়দেব শর্মা)
=>>যজুর্বেদ ১৩।৫০
হে রাজন! তুমি পরম সর্বোচ্চ "ব্যোম" অর্থাৎ বিবিধ প্রাণীদের রক্ষাধিকারে নিযুক্ত হয়ে সর্ব জগতের রচয়িতা পরমেশ্বর কে প্রজাদের সবার উত্তম বা সবার সবার আদি উৎপাদক কারণ, মেঘের সমান সুখের উৎপাদক, বরুন অর্থাৎ বরণ করার যোগ্য সুখের মূল কারণ দ্বিপদী এবং চতুষ্পদী পশুদের মধ্যে শরীরকে লোম আদি দ্বারা আবৃতযুক্ত এই " ঊর্নায়ু " উল প্রদানকারী মেষ আদি জীবকে মেরো না। তোমাকে আমি বন্য উট এর উপদেশ করি। উহা দ্বারা সমৃদ্ধ হয়ে শরীরের সুখকে প্রাপ্ত করো। তোমার পীড়াজনক প্রবৃত্তি, দাহকারী পীড়দায়ক জীবের প্রাপ্ত হোক।এবং তোমার দুঃখদায়ী ক্রোধ তাহার প্রাপ্ত যাদের আমরা দ্বেষ করি।
(অনুবাদঃ জয়দেব শর্মা)
উপরিউক্ত মন্ত্রগুলি দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, বেদ কোন নির্দোষ পশু কে হত্যার উপদেশ করে নি।বরং উপদেশ করেছে, পশুস্ত্রাঁয়েথাঙ (যজুর্বেদ ৬।১১) অর্থাৎ পশুদের রক্ষা করো এবং তাদের বর্ধিত করো।কারন বেদ সর্বদাই কল্যাণময়।
নমস্তে

ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?by Tudo on 10:33হিন্দুধর্ম মতে- সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?বহু দেব-দেবী এবং বহ...
15/04/2020

ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?

by Tudo on 10:33

হিন্দুধর্ম মতে- সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?

বহু দেব-দেবী এবং বহু ভগবানের চাপে পড়ে প্রায় সব হিন্দুই এই অস্পষ্টতায় ভুগে যে, আসলে তাদের সৃষ্টিকর্তা কে ? এই অস্পষ্টতা থেকে অনেক হিন্দুর মনে হীনম্মন্যতারও সৃষ্টি হয়, তাদের মনে হতে থাকে হিন্দু ধর্ম ভূয়া এবং এক পর্যায়ে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে বা যাকাতের টাকার লোভে পড়ে বা খ্রিষ্টান মিশনারীদের হাতে পড়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করাও তাদের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। এজন্য, এই ধর্মান্তরের চক্র থেকে বাঁচতে, প্রতিটি হিন্দুর, হিন্দুধর্ম সম্পর্কে আপ টু বটম একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার, আসলে তার ধর্ম কী ও কেনো ? ধর্ম সম্পর্কে এই স্বচ্ছ ধারণা থাকলেই, হিন্দুরা তাদের ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করবে, হীনম্মন্যতায় না ভুগে বরং আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগবে এবং কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ধর্ম ত্যাগ করবে না, উল্টো, অন্যদেরকেই হিন্দু বানানোর চেষ্টা করবে।

আপাদমস্তক ইসলাম একটি মিথ্যা ও বোগাস ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও, সিনিয়র ধান্ধাবাজ মুসলমানরা, ইসলাম সম্পর্কে মুসলমানদের আত্মতৃপ্তিকে ধরে রাখার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে এবং মাঝে মাঝেই কিছু মিথ্যা গল্প ও থিয়োরি বাজারে ছাড়ে। যেমন- “কোরান রিসার্চ করেই বিজ্ঞানীরা সব আবিষ্কার করে”, আর এটা শুনে মুসলমানরা এই আত্মতৃপ্তিতে ভুগে যে, আমরা মুসলমানরা কোনো কিছু আবিষ্কার করতে না পারলেও আমাদের কোরান রিসার্চ করেই তো বিজ্ঞানীরা সব আবিষ্কার করে, সুতরাং আমাদের ধর্মই গ্রেট! তারপর, চাঁদে গিয়ে নীল আর্মস্ট্রং আযান শুনতে পেয়েছে এবং নবী যে আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলো, তারপর জোড়া লাগিয়েছিলো, জোড়ার সেই দাগ দেখতে পেয়ে ইসলামকে সত্য ধর্ম মনে করে পৃথিবীতে এসে ইসলাম গ্রহন করেছে। একই ভাবে সুনীতা উইলিয়ামস মহাকাশে গিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখে শুধুমাত্র দু্টি জায়গা মহাকাশ থেকে দেখা যাচ্ছে এবং সেই দুটি জায়গা হলো মক্কা ও মদীনা, এরপর সে পৃথিবীতে এসে ইসলাম গ্রহন করেছে। এরকম মিথ্যা গল্পের শেষ নেই, এসব ই মূর্খ মুসলমানদেরকে ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট রাখার অপকৌশল মাত্র।

কিন্তু হিন্দুধর্ম বিষয়ে কোনো হিন্দুকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য কোনো মিথ্যাচারের প্রয়োজন নেই, হিন্দুধর্মের প্রকৃত বিষয়গুলো প্রকৃতভাবে জানলে বা জানালেই যে কোনো হিন্দু আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে বাধ্য, যে চেষ্টাটা আমি করে যাচ্ছি। মনে রাখবেন, যখন কোনো মুসলমান প্রকৃত ইসলামকে জানবে, তখন হয় সে ইসলাম ত্যাগ করে মানুষ হবে, না হয় জঙ্গী হয়ে আত্মঘাতি বোমা ফাটিয়ে মরবে; কিন্তু যখন কোনো হিন্দু, হিন্দুধর্মের প্রকৃত সত্য বা তত্ত্বকে জানবে, তখন সে নাস্তিকতা বা অন্যধর্মে কনভার্ট হওয়ার চিন্তা ছেড়ে আরও শক্তভাবে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরবে, যার প্রমান আমি নিজে; তার কারণ, হিন্দু ধর্ম নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমি আজ পর্যন্ত এমন একটা বিষয় পাই নি, যেটা নিয়ে কারো কাছে লজ্জা পেতে হবে বা তার কোনো কিছু অমানবিক এবং বিশ্বসভ্যতা ও মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ, তাহলে হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমাকে হীনম্মন্যতায় ভুগতে হবে কেনো ? বরং হিন্দু হিসেবে যে আমার জন্ম হয়েছে, এটা নিয়ে এখন আমি প্রাউড ফিল করি এবং গত কয়েক বছরে অন্তত কয়েক লক্ষ হিন্দুর মধ্যে আমি এই গর্ববোধকে সঞ্চার করতে পেরেছি।

যা হোক, ফিরে যাই আজকের আলোচনায়- হিন্দুধর্ম মতে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?

হিন্দু শাস্ত্রের প্রধান দুটি শব্দ হলো- ঈশ্বর এবং ভগবান। আমরা প্রায় কোনো হিন্দু, ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্য জানতাম না বা এখনও জানি না বলে সৃষ্টিকর্তা কে, এই প্রশ্নের উত্তরে অস্পষ্টতায় ভুগতাম বা এখনও ভুগি। কারণ, হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগবান অনেক বা বহু, কিন্তু বহু ভগবান তো আর সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না, সৃষ্টিকর্তা মাত্র একজন। আবার, ঈশ্বর ও ভগবান, এই দুটো শব্দের পার্থক্য অনেক হিন্দুই জানে না বলে বা দুটো শব্দের অর্থ একই মনে করেও অনেকে ঝামেলার মধ্যে পড়ে; কারণ, ভগবান যেহেতু বহু, সেহেতু তখন ঈশ্বরও বহু হয়ে যায়, কিন্তু ঈশ্বর তো আর বহু নয়, ঈশ্বর একজন বা এক।

তাহলে ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?

যশ, বীর্য, ঐশ্বর্য, শ্রী, জ্ঞান, বৈরাগ্য- এই ছয়টি গুন যার মধ্যে থাকে, তাকে বলা হয় ভগবান; আর সকল গুন যার মধ্যে থাকে তাকে বলে ঈশ্বর। কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষে এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব নয়, শুধু অবতার রূপে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষেই কেবল এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব; এছাড়াও প্রায় সব দেবতা এই ছয়টি গুনের অধিকারী, এই জন্যই বলা হয়- ভগবান রামচন্দ্র, ভগবান পরশুরাম, ভগবান ইন্দ্র, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব, ভগবান ব্রহ্মা, ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ এবং আরো অনেককে। কিন্তু পরমেশ্বর বা ঈশ্বর বলা হয় শুধু মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ এবং পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মকে। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ভগবান উপাধির অধিকারী শুধু অবতারগন এবং দেবতারা; তাহলে শ্রীকৃষ্ণকে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর বলা হচ্ছে কেনো ? হিসাবটা খুব সহজ, অন্যান্য সব অবতার ছিলো বিষ্ণুর আংশিক অবতার, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ছিলো পূর্ণ অবতার। তাই কৃষ্ণের মধ্যে সকল গুন ছিলো বলেই সে ঈশ্বর এবং যার মধ্যে সকল গুন থাকে, তার মধ্যে তো ছয়টি গুন থাকবেই, তাই সে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর। ব্যাপারটি এমন- সকল ক্ষমতার যিনি অধিকারী, তিনি প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু যারা আংশিক ক্ষমতার অধিকারী তারা মন্ত্রী। তাহলে বিষয়টি দাঁড়ালো- সকল মন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রী নয়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মাত্রই যেকোনো মন্ত্রী। ঠিক তেমন, সকল ভগবান ঈশ্বর নয়, কিন্তু ঈশ্বর মাত্রই ভগবান।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হলেও শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী ঈশ্বর হয়, বিষ্ণু তো পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মের তিনটি রূপ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর- এর একটি রূপ মাত্র ?

এই ধারণা ই হিন্দুধর্মের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত ধারণার সকল জটিলতার মূল। আমরা ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে একেকটি ভাগে এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতাকে বন্টন করে দিয়েছি এবং নানা আজগুবি গল্পের পুরাণ কাহিনী লিখে, সেই তিনজনের মধ্যে নানা ঝগড়া বিবাদও লাগিয়ে দিয়েছি, ফলে তারা তিনজন সম্পূর্ণভাবে আলাদা তিনটি সত্ত্বাতে পরিণত হয়েছে, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়।

ব্রহ্ম বা ঈশ্বর যখন সৃষ্টি করেন, তখন তারই নাম ব্রহ্মা, যখন পালন করেন, তখন তারই নাম বিষ্ণু এবং যখন ধ্বংস করেন, তখনই তার নাম শিব বা মহেশ্বর। এই তিনটি নাম, তিনটি আলাদা আলাদা সত্ত্বা নয়, একই ঈশ্বরের আলাদা তিনটি নাম মাত্র। এর প্রমান আছে গীতার অনেক শ্লোকে, যেগুলো আপনারা কিছু পরেই জানতে পারবেন; তার আগে দেখাই- অনেকের ধারণা মতে, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতার অধিকারী বিষ্ণুর অবতার হলেও- শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর ?

একটু আগেই বলেছি, ব্রহ্মকে যদি আমরা ‘ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর’ এই তিনভাগে ভাগ করি, তাহলেই আমরা ঝামেলায় পড়বো এবং এই অংক কোনোদিনই মেলাতে পারবো না। আবার এটাও বলেছি, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, আলাদা আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়, তারা এই ব্রহ্মের তিনটি আলাদা নাম মাত্র। এখন আমি যে সূত্রের কথা বলছি, সেই সূত্র দ্বারা অংকটাকে সমাধান করার চেষ্টা করুন, দেখুন অংকটা মিলে কি না ?

ব্রহ্মের শক্তি ১০০%, ব্রহ্ম যখন সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কাজ করেন, তখন তার নাম হয় ব্রহ্মা; আমি যেহেতু বলেছি- ব্রহ্মা, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ নয়, ব্রহ্মা, ব্রহ্মেরই অপর নাম; সেহেতু ব্রহ্মের ১০০% শক্তি চলে এলো ব্রহ্মার কাছে। একইভাবে ১০০% শক্তি যাবে ব্রহ্মের পালনকারী রূপ বিষ্ণু এবং ধ্বংসকারী রূপ শিবের কাছে। তার মানে ব্রহ্মা, বিষ্ণু বা মহেশ্বর, যে নামই বলি না কেনো প্রত্যেকেই ব্রহ্ম এবং সবার শক্তি ১০০%, এই সূত্রে বিষ্ণুর শক্তিও ১০০%, যা পূর্ণ শক্তি। এখন এই বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হিসেবে কৃষ্ণের মধ্যেও থাকবে ১০০% শক্তি, এই সূত্রেই কৃষ্ণ, পূর্ণব্রহ্ম বা পরমেশ্বর।

অংকের মাধ্যমে উপরে যা বললাম, এখন দেখুন গীতার মধ্যে সেই কথাগুলোর সমর্থন আছে কি না ? খুব বেশি কিছু না বুঝলেও, শুধু যদি কৃষ্ণের বিশ্বরূপের থিয়োরিটা ভালো করে বোঝা যায়, তাহলেই কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, কৃষ্ণই সবকিছু এবং সবকিছুর আশ্রয় কৃষ্ণের মধ্যেই; কৃষ্ণের বিশ্বরূপের মধ্যে যা কিছু নাই, তার পূজা প্রার্থনা ও আরাধনা করার কোনো প্রয়োজন নেই।

কিন্তু আমরা এই মূল থিয়োরি না বুঝে, শুধু বহু দেবতার ই নয়, নির্বোধের মতো- যারা অবতার নয়, অবতার বলে শাস্ত্রে যাদের স্বীকৃতিও নেই, সেইরকম- বহু ব্যক্তিরও পূজা করে চলেছি । একটা কথা মনে রাখবেন, শাস্ত্রের অবতারিক স্বীকৃতির বাইরে সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠা ব্যক্তিগন আপনার গুরু হতে পারে, আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে, আপনার শ্রদ্বার পাত্র হতে পারে, সম্মানের পাত্র হতে পারে, কিন্তু দেবতার স্থানে বসিয়ে সে পূজার যোগ্য নয়। যে সব ব্যক্তি দেবতার মতো বসে পূজা নেন এবং যারা তার পূজা করেন, তারা উভয়েই চরম অপরাধ করে চলেছে এবং তারা উভয়েই পাপী।

চৈতন্যদেব, লোকনাথ, রামকৃষ্ণ, প্রণবানন্দ, অনুকূল চন্দ্র, হরিচাঁদ, প্রভুপাদ এবং আরও যারা ছোট খা্টো নাম না জানা আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতাগন- সবাই এই থিয়োরির অন্তর্ভূক্ত; এরা সবাই মানুষকে ধোকা দিয়ে, বিভ্রান্ত করে, পৃথিবীতে নিজেদের অমর হওয়ার পথ তৈরি করেছে মাত্র। পূজা পাওয়ার যোগ্য শুধু মাত্র অবতার এবং দেবতাগন; কারণ, এরা আপনাকে মুক্তি দিতে পারে বা মোক্ষ লাভ করাতে পারে। যে মানুষ নিজেই মুক্তিপ্রার্থী, যার নিজের মুক্তিলাভ ই নিশ্চিত নয়, সে কিভাবে আপনাকে মুক্তি দেবে ? কোনো উকিল, ব্যারিস্টার, জজ কি আইনের বাইরে গিয়ে আপনার ফাঁসির দণ্ড থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ? তারা তো শুধু আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে; আপনাকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সেই রাষ্ট্রপতির ই আধ্যাত্মিক রূপ হলো ঈশ্বররূপ শ্রীকৃষ্ণ, আপনি তার পূজা করেন, তার আদর্শকে ধারণ করেন, আপনি অন্য কারো পূজা করতে যাবেন কেনো ? আর তাদের পূজা করলে কি আপনি মুক্তি পাবেন ? থিয়োরি এবং বাস্তবতা কি তাই বলে ?

উপরের আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রীকে একবার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, পরে আবার রাষ্ট্রপতিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী বললাম। আসলে বাংলাদেশ-ভারতের ভেজাল গনতন্ত্রের কারণে উদাহরণের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে এরকম বলতে হলো। আমেরিকান গনতন্ত্র হলে শুলু রাষ্ট্রপতি বললেই হতো। বাংলাদেশ ভারতের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কিছু কিছু কাজ আবার প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন না, করেন রাষ্ট্রপতি, সেটাও আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে, মারার জন্য হাতে তরোয়াল তুলে দিয়ে বলেছে, আমি অর্ডার না দিলে মারবি না, বোঝেন অবস্থা ! তুই যদি নিজের হাতেই মারবি, তাহলে তরোয়ালটাও নিজের হাতে রাখ না! এজন্যই বললাম ভেজাল গনতন্ত্র।

যা হোক, ঈশ্বর হিসেবে কৃষ্ণই যে সব কিছু, এবার সেই প্রমানগুলো তুলে ধরছি গীতার আলোকে-

গীতার ১০/৬ নং শ্লোকে বলা হয়েছে,

“মহর্ষয়ঃ সপ্ত পূর্বে চত্বারো মনবস্তথা।
মদভাবা মানসা জাতা যেষাং লোক ইমাঃ প্রজাঃ।।”

এর অর্থ – সপ্ত মহর্ষি, তাদের পূর্বজাত সনকাদি চার কুমার ও চতুর্দশ মনু, সকলেই আমার মন থেকে উৎপন্ন হয়ে আমা হতে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এই জগতের স্থাবর জঙ্গম আদি সমস্ত প্রজা তাঁরাই সৃষ্টি করেছেন।

আমরা জানি যে, ব্রহ্মার মন থেকে উৎপন্নদের মনু বলা হয়, কিন্তু এখানে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, চতুর্দশ মনু তার মন থেকেই উৎপন্ন, তার মানে ব্রহ্মাই শ্রীকৃষ্ণ।

আবার দেখুন, অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তার দেহে কাকে ধারণ করেছিলেন-

গীতার ১১/১৫ নং শ্লোকের মধ্যে বলা আছে,

“ব্রহ্মাণমীশং কমলাসনস্থনম”

অর্থাৎ, অর্জুন, শ্রীকৃষ্ণের দেহে কমলাসনে স্থিত ব্রহ্মাকে দেখতে পাচ্ছেন।

আবার, ১০/২৩ এর প্রথম শ্লোকে বলা আছে,

“রুদ্রানাং শঙ্করশ্চাস্মি”

এর মান হলো- রূদ্রদের মধ্যে আমি শিব।

অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণই যে শিব এখানে তা প্রমানিত।

এছাড়াও দেখুন, শ্রীকৃষ্ণই যে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তার প্রমান,

গীতার ১৩/১৭ নং শ্লোকে বলা আছে,

“অবিভক্তং চ ভূতেষু বিভক্তমিব চ স্থিতম।
ভূতভর্তৃ চ তজজ্ঞেয়ং গ্রসিষ্ণু প্রভবিষ্ণু চ।।”

এর অর্থ- পরমাত্মাকে যদিও সমস্ত ভূতে বিভক্তরূপে বোধ হয়, কিন্তু তিনি অবিভক্ত। যদিও তিনি সর্বভূতের পালক (বিষ্ণু), তবু তাকে সংহার কর্তা ( শিব) ও সৃষ্টিকর্তা (ব্রহ্মা) বলে জানবে।

শুধু তাই নয়, শ্রীকৃষ্ণই যে ব্রহ্ম, সেই কথা বলা আছে গীতার ১৪/২৭ নং শ্লোকে,

“ব্রহ্মণো হি প্রতিষ্ঠাহমমৃতস্যাব্যয়স্য চ।
শাশ্বতস্য চ ধর্মস্য সুখস্যৈকান্তিকস্য চ।।”

এর অর্থ- আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়। অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।

এছাড়াও গীতার ১০/৩১ নং শ্লোকে বলা আছে,

“রামঃ শস্ত্রভৃতামহম্”

এর অর্থ- আমিই রাম।

এবং গীতার ১০/২৪ নং শ্লোকে বলা আছে

“সেনানীনামহং স্কন্দঃ”

এর অর্থ- সেনাপতিদের মধ্যে আমি কার্তিক।

এসব ছাড়াও সকল দেবতার পূজার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তিনি গীতার ৯/২৩ নং শ্লোকে বলেছেন,

“যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।
তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধিপূর্বকম।।”

এর অর্থ- হে কৌন্তেয়, যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধিপূর্বক আমারই পূজা করে।

উপরের এই আলোচনা থেকে পাঠক বন্ধুদেরকে নিশ্চয় এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, বহু দেবতার পূজা করলেও, আমরা আসলে এক ঈশ্বররেই পূজা করি, সেই ঈশ্বর হলেন মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ, আধ্যাত্মিকভাবে যিনিই পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্ম। সুতরাং হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই বিশ্বজগতের সকল কিছুর স্রষ্টা পরম ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর, মানবরূপে যিনি শ্রীকৃষ্ণ।

Address

Valletta

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BSKS posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BSKS:

Share

Nearby media companies


Other Social Media Agencies in Valletta

Show All

You may also like