Bahuswar

Bahuswar বহুস্বর প্রকাশনী। একটি আর বি পাবলিশিং হাউস-এর উদ্যোগ। মার্কসবাদী এবং প্রগতিশীল পুস্তক প্রকাশক।

প্রকাশিত হল সত্যপ্রিয় ঘোষের প্রবন্ধসংকলন। সম্পাদক: অভ্র ঘোষ প্রচ্ছদ: সুব্রত মাজিমূল্য: ৯০০/-প্রাপ্তিস্থান: কলেজ স্ট্রিটে...
17/09/2024

প্রকাশিত হল সত্যপ্রিয় ঘোষের প্রবন্ধসংকলন।

সম্পাদক: অভ্র ঘোষ
প্রচ্ছদ: সুব্রত মাজি
মূল্য: ৯০০/-

প্রাপ্তিস্থান: কলেজ স্ট্রিটের দে বুক স্টোর (দীপু দে), ধ্যানবিন্দু, লালন এবং প্রতিক্ষণ বই চা ঘর।

অনলাইনে পেতে হলে:

https://boierhaat.com/product/prabandha-sankalan-satyapriya-ghosh

https://boighar.in/product-tag/bahuswar/

১৯২৪-এর ১২ সেপ্টেম্বর, পূর্ববঙ্গের চাঁদপুরে (বর্তমান বাংলাদেশ) সত্যপ্রিয় ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বরিশাল...
12/09/2024

১৯২৪-এর ১২ সেপ্টেম্বর, পূর্ববঙ্গের চাঁদপুরে (বর্তমান বাংলাদেশ) সত্যপ্রিয় ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বরিশালের বাণারিপাড়া গ্রামে। ১৯৪৮ সালে 'পূর্বাশা' পত্রিকায় গল্প লিখে সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁর প্রাথমিক প্রতিষ্ঠালাভ হলেও, ছাত্রজীবনেই — ১৯৪১-৪২ সাল থেকে তিনি লেখালিখি শুরু করেছিলেন। কলকাতায় আসার পর 'অগ্রণী', 'ক্রান্তি', 'গণবার্তা', 'পরিচয়', 'নতুন পরিবেশ' ইত্যাদি আরও অসংখ্য পত্রিকায় গল্প-উপন্যাস-সহ প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখতে শুরু করেন। ১৯৫০-এর যুগে প্রগতিবাদী সাহিত্যিকদের দ্বারা যে সংস্কৃতি পরিষদ গড়ে ওঠে, সত্যপ্রিয় ঘোষ ছিলেন তার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। তাঁর প্রিয় কথা-সাহিত্যিকদের অন্যতম ছিলেন গোর্কি। অন্যদের শেখাবার আগে নিজেকে শিক্ষিত ও সচেতন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ — গোর্কি-র এই পরামর্শ সত্যপ্রিয় ঘোষকে বিশেষ অনুপ্রাণিত করেছিল। সত্যপ্রিয় ঘোষের প্রবন্ধরাজি পড়লে পাঠক ঐ অমোঘ সত্যের পরিচয় পাবেন। গোর্কি বিষয়ে তাঁর দীর্ঘ রচনা একালের বাংলা-সাহিত্যে এক বিশেষ ঘটনা। আলেকজান্দর সলঝেনিতসিন-কেও তিনিই প্রথম বাঙালি পাঠকদের সামনে নিয়ে এসেছেন। গিওর্গি লুকাচ বিষয়েও তাঁর নিবন্ধ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। মানিক-সাহিত্যে ছিল তাঁর প্রবল আগ্রহ। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, নজরুল, তারাশঙ্কর থেকে শুরু করে একালের কথা-সাহিত্যিকদের রচনা বিষয়ে সত্যপ্রিয় ঘোষের নিরন্তর চর্চা বিস্ময়কর। বিস্ময়কর এই কারণে যে, তিনি ছিলেন মূলত কথা-সাহিত্যিক। জ্যোতির্ময়ী দেবী, রমেশচন্দ্র সেন, সঞ্জয় ভট্টাচার্য বিষয়ে তাঁর অন্তর্ভেদী বিশ্লেষণ পাঠককে চমকিত করবে।
এমনই-সব বিষয়ে লিখিত সত্তরটিরও বেশি মননশীল প্রবন্ধ নিয়ে, সত্যপ্রিয় ঘোষের জন্মশতবর্ষে প্রকাশিত হচ্ছে 'প্রবন্ধসংকলন'। এই সংকলনে পাঠক পাবেন সত্যপ্রিয় ঘোষের সাহিত্য-বিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ এবং মঞ্চায়িত দুটো নাটকের সমালোচনা। আছে সংস্কৃতি পরিষদ-এর কার্যকলাপের ইতিহাসও। আর আছে একটি সাক্ষাৎকার।

সম্পাদক: অভ্র ঘোষ
প্রচ্ছদ: সুব্রত মাজি

মূল্য: ৯০০/-


বিঃ দ্রঃ আগামী শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, সন্ধে ৬:৩০-এ রামমোহন লাইব্রেরি-র রায়া দেবনাথ হল-এ বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ। প্রবেশ অবাধ।

17/08/2024

আমাদের প্রকাশিত সুশান্ত ঘোষের বই বিক্রি করা বন্ধ হল।

আজকের 'গণশক্তি' পত্রিকায় প্রকাশিত হল 'আলেকজান্দ্রা কোলনতাই-এর চিন্তায় নারীমুক্তি ও সমাজতন্ত্র'-এর পাঠপ্রতিক্রিয়া। ধন্যবা...
30/03/2024

আজকের 'গণশক্তি' পত্রিকায় প্রকাশিত হল 'আলেকজান্দ্রা কোলনতাই-এর চিন্তায় নারীমুক্তি ও সমাজতন্ত্র'-এর পাঠপ্রতিক্রিয়া। ধন্যবাদ 'গণশক্তি' এবং ঈশিতা মুখার্জিকে।

ভাষাশহিদদের স্মরণে এবং 'কমিউনিস্ট ইস্তেহার' প্রকাশের ১৭৫-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (প্রেসিডেন্সী বিশ...
20/02/2024

ভাষাশহিদদের স্মরণে এবং 'কমিউনিস্ট ইস্তেহার' প্রকাশের ১৭৫-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট) আয়োজিত দুদিনব্যাপী (২০-২১ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় আমরা থাকছি। সবাই আসুন।

বইমেলা শেষ।বইমেলায় প্রকাশিত আমাদের বইগুলি পাওয়া যাচ্ছে:কলেজ স্ট্রিটের মনীষা গ্রন্থালয়, ধ্যানবিন্দু, আখর এবং দে বুক স্টোর...
17/02/2024

বইমেলা শেষ।
বইমেলায় প্রকাশিত আমাদের বইগুলি পাওয়া যাচ্ছে:
কলেজ স্ট্রিটের মনীষা গ্রন্থালয়, ধ্যানবিন্দু, আখর এবং দে বুক স্টোর-এ। এছাড়া মেদিনীপুরের ভুর্জপত্র এবং শিলিগুড়ির ন্যাশনাল বুক স্টোর-এ পাওয়া যাচ্ছে আমাদের বইগুলি।

অনলাইনে পেতে হলে:
https://www.haritbooks.com/product-brands/bahuswar-prokashoni/

জরাজীর্ণ, দুর্ভিক্ষপীড়িত রাশিয়ায় ১৯১৭-উত্তর পর্যায়ে লেনিনের নেতৃত্বে যে বিকল্প সমাজব্যবস্থা-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল,...
27/01/2024

জরাজীর্ণ, দুর্ভিক্ষপীড়িত রাশিয়ায় ১৯১৭-উত্তর পর্যায়ে লেনিনের নেতৃত্বে যে বিকল্প সমাজব্যবস্থা-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, পরবর্তীকালে লেনিনের মৃত্যুর পর, তাতে যোগ্য নেতৃত্বদান করেন কমরেড স্ট্যালিন। তাঁর নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন একদিকে যখন উন্নততর মানবসম্পদ গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে কৃষি-শিল্প-উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করছে তখন অন্যদিকে তাকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিদেশি মদতপুষ্ট একের-পর-এক অন্তর্ঘাত, গৃহযুদ্ধ এবং সর্বোপরি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে। সীমিত সামর্থ্য, প্রবল সংগ্রামী চেতনা এবং আপসহীন মার্কসবাদী দীক্ষার উপর ভর করে সে আমাদের উপহার দিয়েছে ফাশিস্ট-মুক্ত এক পৃথিবী!
কিন্তু 'অমৃতকাল'-বাসী আমাদের কাছে যে-প্রশ্নটি অস্বস্তিদায়ক হয়, তা হল এই এতকিছু একসঙ্গে মাত্র কুড়ি বছরে কী করে সম্ভব হল? এখানেই আসলে স্ট্যালিনের অপরিহার্যতা। দেশগঠন থেকে ফাশিস্ট মোকাবিলা --- সবেতেই তাঁর সম্বল ছিল সোভিয়েত জনগণ। অন্যদিকে সোভিয়েত জনগণ সার্বিক সুনিশ্চিতি পেয়েছিল, তাদের নেতা কমরেড স্ট্যালিনের কাছ থেকে। অর্থাৎ ব্যাপারটা ছিল উভয়ত। এই ছিল স্ট্যালিনের শিক্ষা। বর্তমানে বিশ্বজনীন সংকটে ভারত তথা বিশ্বের বেশকিছু দেশে যখন 'রামরাজত্ব' জাঁকিয়ে বসেছে, তখন স্ট্যালিনের শিক্ষা আমাদের বিশেষ কোনো দিকনির্দেশ করলেও করতে পারে, এই প্রত্যয়ে 'স্ট্যালিন প্রসঙ্গে' প্রকাশ করা হল।

প্রকাশিত হল: 'স্ট্যালিন প্রসঙ্গে'
সম্পাদনা: বদরুদ্দীন উমর

প্রকাশক: বহুস্বর

মূল্য: ৩৭৫/-

আগামীকাল থেকে বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নে 'সময়ের ঘড়ি'-র টেবলে (টেবল সংখ্যা ১১৩) পাওয়া যাবে।

সমাজবদলের সংগ্রামে অগ্রগণ্য শক্তি হল শ্রমজীবীশ্রেণি --- আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে রচিত 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো'-এ একথার ...
26/01/2024

সমাজবদলের সংগ্রামে অগ্রগণ্য শক্তি হল শ্রমজীবীশ্রেণি --- আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে রচিত 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো'-এ একথার উল্লেখ করেছিলেন মার্কস ও এঙ্গেলস। একই সঙ্গে তাঁরা এ-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, শ্রমজীবীশ্রেণির সঙ্গে বুর্জোয়াশ্রেণির সম্পর্ক হল বৈর বিরোধের। তাই বুর্জোয়াশ্রেণির অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রয়োজন শ্রমজীবীর সার্বিক ঐক্য। অথচ বর্তমানে বৈষম্যদীর্ণ ভারতে বিপর্যস্ত শ্রমজীবীশ্রেণি এবং শ্রমিকশ্রেণির মতাদর্শে বিশ্বাসী দলগুলির অসহায়ত্ব সর্বব্যাপী করে তুলেছে ফাশিবাদী আগ্রাসনকে। এই পরিস্থিতিতে 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো'-র অমোঘ উচ্চারণ --- 'দুনিয়ার মজদুর এক হও' --- অতিপ্রয়োজনীয় বার্তাবহন করছে, যাতে নিহিত রয়েছে মার্কসবাদের নিবিড় পুনঃপাঠ এবং অর্থনীতি ও রাজনীতির করণীয় সিদ্ধান্তগ্রহণে তার যথাযথ প্রতিফলন। এইসব বিবেচনা করেই আমাদের 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো পাঠ' রচনা ও তা প্রকাশের প্রয়াস।

প্রকাশিত হল: 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো পাঠ'
লেখক: ভানুদেব দত্ত
প্রচ্ছদ: মনীষ দেব
মূল্য: ২৩০/-

পাওয়া যাচ্ছে কলকাতা বইমেলায়, লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের 'সময়ের ঘড়ি'-র টেবলে। টেবল সংখ্যা ১১৩।

বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত ইউনিয়নে যে অভূতপূর্ব সমানাধিকার-ভিত্তিক এক মানবসমাজ-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, আলেকজান্দ্রা কোলনতা...
25/01/2024

বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত ইউনিয়নে যে অভূতপূর্ব সমানাধিকার-ভিত্তিক এক মানবসমাজ-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, আলেকজান্দ্রা কোলনতাই ছিলেন তার অন্যতম দিশারি। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই নির্বিকল্প মানবসমাজ-গঠনের প্রয়োজনে লিঙ্গভিত্তিক সমতা জরুরি। তবে তা কখনই শ্রেণি-নির্বিশেষ হতে পারে না, অর্থাৎ নারীমুক্তির সংগ্রাম কার্যত শ্রেণিসংগ্রামেরই অংশ। কিন্তু শুধু বিশ্বাসেই থেমে থাকেননি কোলনতাই, বরং তাঁর জীবনে ও কাজে অবিরাম দার্পনিক প্রকাশ ঘটেছে সে-তত্ত্বের। সারা জীবন ধরেই আপসহীন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে, বলতে হয়েছে তাঁর 'রেড লাভ' আসলে সমাজতান্ত্রিক কাঠামোয় নারী-পুরুষের সম্পর্কের একটি দলিল, যা বুর্জোয়া মুক্ত প্রেমের থেকে মূলগত স্বতন্ত্র --- সেখানে নারী-পুরুষের অবস্থান কখনই লিঙ্গভিত্তিক হবে না। তাই দেড়শো বছর অতিক্রম করে, আজ ফাশিবাদ-আক্রান্ত ভারতে, আলেকজান্দ্রা কোলনতাই-এর কাজ সমধিক প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, যা এদেশের সমাজতন্ত্রী আন্দোলনের কর্মীদের কাছে নতুন ভাবনার হদিস দিতে পারে।

প্রকাশিত হল:

'আলেকজান্দ্রা কোলনতাই-এর চিন্তায় নারীমুক্তি ও সমাজতন্ত্র: একটি প্রবন্ধসংকলন'

সম্পাদনা: মালিনী ভট্টাচার্য ও হিমানী বন্দ্যোপাধ্যায়

লিখেছেন: অর্কপ্রভ সেনগুপ্ত, উর্বা চৌধুরী, টিংকু খান্না এবং সঞ্চিতা সান্যাল।

মূল্য: ২৫০/-

প্রাপ্তিস্থান: কলকাতা বইমেলা, লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের 'সময়ের ঘড়ি'-র টেবলে (টেবল নং: ১১৩)

জরাজীর্ণ, দুর্ভিক্ষপীড়িত রাশিয়ায় ১৯১৭-উত্তর পর্যায়ে লেনিনের নেতৃত্বে যে বিকল্প সমাজব্যবস্থা-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল,...
23/01/2024

জরাজীর্ণ, দুর্ভিক্ষপীড়িত রাশিয়ায় ১৯১৭-উত্তর পর্যায়ে লেনিনের নেতৃত্বে যে বিকল্প সমাজব্যবস্থা-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, পরবর্তীকালে লেনিনের মৃত্যুর পর, তাতে যোগ্য নেতৃত্বদান করেন কমরেড স্ট্যালিন। তাঁর নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন একদিকে যখন উন্নততর মানবসম্পদ গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে কৃষি-শিল্প-উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করছে তখন অন্যদিকে তাকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিদেশি মদতপুষ্ট একের-পর-এক অন্তর্ঘাত, গৃহযুদ্ধ এবং সর্বোপরি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে। সীমিত সামর্থ্য, প্রবল সংগ্রামী চেতনা এবং আপসহীন মার্কসবাদী দীক্ষার উপর ভর করে সে আমাদের উপহার দিয়েছে ফাশিস্ট-মুক্ত এক পৃথিবী!
কিন্তু 'অমৃতকাল'-বাসী আমাদের কাছে যে-প্রশ্নটি অস্বস্তিদায়ক হয়, তা হল এই এতকিছু একসঙ্গে মাত্র কুড়ি বছরে কী করে সম্ভব হল? এখানেই আসলে স্ট্যালিনের অপরিহার্যতা। দেশগঠন থেকে ফাশিস্ট মোকাবিলা --- সবেতেই তাঁর সম্বল ছিল সোভিয়েত জনগণ। অন্যদিকে সোভিয়েত জনগণ সার্বিক সুনিশ্চিতি পেয়েছিল, তাদের নেতা কমরেড স্ট্যালিনের কাছ থেকে। অর্থাৎ ব্যাপারটা ছিল উভয়ত। এই ছিল স্ট্যালিনের শিক্ষা। বর্তমানে বিশ্বজনীন সংকটে ভারত তথা বিশ্বের বেশকিছু দেশে যখন 'রামরাজত্ব' জাঁকিয়ে বসেছে, তখন স্ট্যালিনের শিক্ষা আমাদের বিশেষ কোনো দিকনির্দেশ করলেও করতে পারে, এই প্রত্যয়ে 'স্ট্যালিন প্রসঙ্গে' প্রকাশ করা হল।

প্রকাশিত হচ্ছে: 'স্ট্যালিন প্রসঙ্গে'
সম্পাদনা: বদরুদ্দীন উমর

মূল্য: ৩৭৫/-

সমাজবদলের সংগ্রামে অগ্রগণ্য শক্তি হল শ্রমজীবীশ্রেণি --- আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে রচিত 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো'-এ একথার ...
19/01/2024

সমাজবদলের সংগ্রামে অগ্রগণ্য শক্তি হল শ্রমজীবীশ্রেণি --- আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে রচিত 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো'-এ একথার উল্লেখ করেছিলেন মার্কস ও এঙ্গেলস। একই সঙ্গে তাঁরা এ-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, শ্রমজীবীশ্রেণির সঙ্গে বুর্জোয়াশ্রেণির সম্পর্ক হল বৈর বিরোধের। তাই বুর্জোয়াশ্রেণির অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রয়োজন শ্রমজীবীর সার্বিক ঐক্য। অথচ বর্তমানে বৈষম্যদীর্ণ ভারতে বিপর্যস্ত শ্রমজীবীশ্রেণি এবং শ্রমিকশ্রেণির মতাদর্শে বিশ্বাসী দলগুলির অসহায়ত্ব সর্বব্যাপী করে তুলেছে ফাশিবাদী আগ্রাসনকে। এই পরিস্থিতিতে 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো'-র অমোঘ উচ্চারণ --- 'দুনিয়ার মজদুর এক হও' --- অতিপ্রয়োজনীয় বার্তাবহন করছে, যাতে নিহিত রয়েছে মার্কসবাদের নিবিড় পুনঃপাঠ এবং অর্থনীতি ও রাজনীতির করণীয় সিদ্ধান্তগ্রহণে তার যথাযথ প্রতিফলন। এইসব বিবেচনা করেই আমাদের 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো পাঠ' রচনা ও তা প্রকাশের প্রয়াস।

প্রকাশিত হচ্ছে: 'কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো পাঠ'
লেখক: ভানুদেব দত্ত
প্রকাশক: বহুস্বর
প্রচ্ছদ: মনীষ দেব
মূল্য: ২৩০/-

বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত ইউনিয়নে যে অভূতপূর্ব সমানাধিকার-ভিত্তিক এক মানবসমাজ-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, আলেকজান্দ্রা কোলনতা...
15/01/2024

বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত ইউনিয়নে যে অভূতপূর্ব সমানাধিকার-ভিত্তিক এক মানবসমাজ-গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, আলেকজান্দ্রা কোলনতাই ছিলেন তার অন্যতম দিশারি। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই নির্বিকল্প মানবসমাজ-গঠনের প্রয়োজনে লিঙ্গভিত্তিক সমতা জরুরি। তবে তা কখনই শ্রেণি-নির্বিশেষ হতে পারে না, অর্থাৎ নারীমুক্তির সংগ্রাম কার্যত শ্রেণিসংগ্রামেরই অংশ। কিন্তু শুধু বিশ্বাসেই থেমে থাকেননি কোলনতাই, বরং তাঁর জীবনে ও কাজে অবিরাম দার্পনিক প্রকাশ ঘটেছে সে-তত্ত্বের। সারা জীবন ধরেই আপসহীন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে, বলতে হয়েছে তাঁর 'রেড লাভ' আসলে সমাজতান্ত্রিক কাঠামোয় নারী-পুরুষের সম্পর্কের একটি দলিল, যা বুর্জোয়া মুক্ত প্রেমের থেকে মূলগত স্বতন্ত্র --- সেখানে নারী-পুরুষের অবস্থান কখনই লিঙ্গভিত্তিক হবে না। তাই দেড়শো বছর অতিক্রম করে, আজ ফাশিবাদ-আক্রান্ত ভারতে, আলেকজান্দ্রা কোলনতাই-এর কাজ সমধিক প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, যা এদেশের সমাজতন্ত্রী আন্দোলনের কর্মীদের কাছে নতুন ভাবনার হদিস দিতে পারে।

প্রকাশিত হচ্ছে:

'আলেকজান্দ্রা কোলনতাই-এর চিন্তায় নারীমুক্তি ও সমাজতন্ত্র: একটি প্রবন্ধসংকলন'

সম্পাদনা: মালিনী ভট্টাচার্য ও হিমানী বন্দ্যোপাধ্যায়

লিখেছেন: অর্কপ্রভ সেনগুপ্ত, উর্বা চৌধুরী, টিংকু খান্না এবং সঞ্চিতা সান্যাল।

মূল্য: ২৫০/-

ভারতে ১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতিবাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার পর এদেশের অর্থনীতিতে একটি অভূতপূর্ব বাঁকবদল ঘটে, যেখানে ‘পুঁজি’-...
11/10/2023

ভারতে ১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতিবাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার পর এদেশের অর্থনীতিতে একটি অভূতপূর্ব বাঁকবদল ঘটে, যেখানে ‘পুঁজি’-ই হয়ে ওঠে সর্বময় নিয়ন্ত্রক। ধীরে-ধীরে ধ্বংস করা হতে থাকে প্রাক-নব্বই পর্বের রাষ্ট্রয়ত্ত ক্ষেত্রভিত্তিক জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র-কাঠামোকে, ২০১৪-র পর যা নিঃসন্দেহে বেলাগাম হয়। একইসঙ্গে চলে ব্যক্তি-মানসে তার ন্যায্যতা নির্মাণের কাজও। সামষ্টিক নয়, বরং ব্যক্তির শ্রীবৃদ্ধিই পরোক্ষে দেশে বিকাশ আনবে --- এই প্রবল আত্মকেন্দ্রিক ভোগবাদী দর্শনকেই নির্বিচারে চারিয়ে দেওয়া হতে থাকে মানবমনে। ফলে পুঁজি হয়ে উঠেছে সর্বগ্রাসী ও নৃশংস, যার দাপটে এদেশের তামাম শ্রমজীবী মানুষ আজ বিধ্বস্ত। তবু তার মধ্যেই তাঁরা গড়ে তুলছেন বিভিন্ন গণআন্দোলন। কিন্তু রাষ্ট্র কর্পোরেট পুঁজির সহায়ক শক্তি হিসাবে এগিয়ে এসেছে এই আন্দোলনগুলির নিষ্ঠুর-দমনে। একদিকে শ্রমজীবীদের মধ্যেই ধর্ম-জাতপাতের ভিত্তিতে বিভাজন ঘটানো হয়েছে, অন্যদিকে ভোগবাদী সংস্কৃতির উৎকট দাপটে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের স্বাভাবিক যুক্তিবোধকেই। এভাবেই নয়া উদারনীতিবাদের চরমতম অভিঘাত --- ফাশিবাদ আজ পূর্ণতালাভ করেছে। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে আনা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্প-অনুদানের রাজনীতি, এবং তার আড়ালে চাপা দেওয়া হচ্ছে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি-সহ প্রকৃত উৎপাদনশীলতার মৌলিক প্রশ্নগুলিকেই। ফলে শ্রমজীবী জনগণ হয়ে পড়ছেন দিশাহীন, শাসকদলের মুখাপেক্ষী। অর্থাৎ নয়া উদারনীতিবাদ এদেশে যুগপৎ শোষণ ও অনুদান, বঞ্চনা ও প্রকল্পের এক আজব সমাবেশ ঘটিয়েছে, যা ইতিপূর্বে আর কখনও ঘটেনি। এ থেকে মুক্তিলাভ করা সম্ভব কেবল বিকল্পের সন্ধানে কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই।

প্রকাশিত হল:

'নয়া উদারনীতিবাদের অভিঘাত ও বর্তমান ভারত'
সম্পাদনা: শোভনলাল দত্তগুপ্ত

লিখেছেন: সৌরীন ভট্টাচার্য, প্রভাত পট্টনায়েক, রতন খাসনবিশ, জয়তী ঘোষ, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, পার্থিব বসু, প্রদ্যৎ কুমার শূর, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়, শুভনীল চৌধুরী, দেবী চ্যাটার্জী, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, আলোক মুখার্জি এবং তপোধীর ভট্টাচার্য

প্রকাশক: বহুস্বর প্রকাশনী

প্রচ্ছদ: শুভেন্দু সরকার
মূল্য: ৩৫০/-

প্রাপ্তিস্থান:

ন্যাশনাল বুক এজেন্সি, মনীষা গ্রন্থালয়, ধ্যানবিন্দু, দে বুক স্টোর(দীপু), লালন, আখর এবং প্রতিক্ষণ বই-চা-ঘর।

'ভারতের মানুষের কাছে এই বিশ্বায়িত নয়া উদারনীতিবাদী ব্যবস্থা একটি সম্পূর্ণ ভিন্নগোত্রীয় আর্থ-সামাজিক তথা সাংস্কৃতিক ব্যবস...
05/10/2023

'ভারতের মানুষের কাছে এই বিশ্বায়িত নয়া উদারনীতিবাদী ব্যবস্থা একটি সম্পূর্ণ ভিন্নগোত্রীয় আর্থ-সামাজিক তথা সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার দ্যোতক, যার কেন্দ্রে রয়েছে এক চূড়ান্ত আত্মকেন্দ্রিক, ভোগবাদী দর্শনের ভাবনা, যেখানে সামাজিক স্বার্থ বা সমাজভাবনা কথাগুলি অর্থহীন। নয়া উদারনীতিবাদী পৃথিবীতে মানুষ তাই নতুন ভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে, যার মন ও মস্তিষ্কের দখল নিয়েছে পুঁজি। বদলে যাচ্ছে নৈতিকতা-অনৈতিকতার ধারণা। সংস্কৃতি রূপান্তরিত হচ্ছে বিনোদনে। গণমাধ্যম, সংবাদপত্রের নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়াচ্ছে কর্পোরেট পুঁজি। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণের চেহারাটা এতটাই সূক্ষ্ম যে, সমাজের এক বড়ো অংশের মানুষ এই বিপদ সম্পর্কে অবহিত নন। অপরদিকে সমাজের খেটে-খাওয়া মানুষ, প্রান্তিক মানুষ পুঁজির লালসার শিকার হয়ে প্রবল নিরাপত্তাহীনতার ধাক্কায় সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। পুঁজির এই অবাধ ও অর্গলমুক্ত বিচরণকে আরও বেশি প্রতাপশালী করেছে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, যার নিয়ন্ত্রকও কর্পোরেট পুঁজি।'

প্রকাশিত হচ্ছে:

'নয়া উদারনীতিবাদের অভিঘাত ও বর্তমান ভারত'

সম্পাদনা: অধ্যাপক শোভনলাল দত্তগুপ্ত

মোট ১৫টি প্রবন্ধের এ-সংকলনে ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নয়া উদারনীতিবাদের অভূতপূর্ব প্রভাব নিয়ে লিখেছেন: সৌরীন ভট্টাচার্য, প্রভাত পট্টনায়েক, জয়তী ঘোষ, রতন খাসনবিশ, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, পার্থিব বসু, প্রদ্যৎ কুমার শূর, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়, শুভনীল চৌধুরী, দেবী চ্যাটার্জী, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, আলোক মুখার্জি এবং তপোধীর ভট্টাচার্য।

প্রচ্ছদ: শুভেন্দু সরকার
মূল্য: ৩৫০/-

“বিদ্যাসাগর রাজনীতির লোক ছিলেন না, কিন্তু পরিবর্তনের পক্ষে ছিলেন। তাই যত পরিবর্তন পরবর্তীকালে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্...
26/09/2023

“বিদ্যাসাগর রাজনীতির লোক ছিলেন না, কিন্তু পরিবর্তনের পক্ষে ছিলেন। তাই যত পরিবর্তন পরবর্তীকালে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে ঘটেছে সেগুলির পেছনে কাজ করেছে সেই ঘোষণা: দেশাচার, লোকাচার অপরিবর্তনীয় নয়। তারও পরিবর্তন হয়, আর পরিবর্তন হওয়াই দরকার।” দ্বন্দ্বতত্ত্বর প্রধান সূত্র, এই অমোঘ সত্যটি বিদ্যাসাগর বুঝতেন।
যেমন বুঝতেন অক্ষয় কুমার দত্ত: পরিশ্রম=শস্য, পরিশ্রম + প্রার্থনা =শস্য। অতএব, প্রার্থনা=০। এই এক সমীকরণ দিয়ে সেকালে প্রার্থনার অসারতা খুলে ধরে অক্ষয়কুমার দত্ত যুক্তিবাদী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। প্রামাণিক সংস্করণ প্রকাশের অনেক আগেই অক্ষয়কুমার দেখান: চরিত্রগুলির ওপর মহিমা আরোপের উদ্দেশ্যেই উত্তরোত্তর প্রক্ষেপ্ দেখা গিয়েছে আমাদের দুটি মহাকাব্যয়। “... যে-চোখে তিনি রামায়ণ-এর ও মহাভারত-এর বিচার করেছিলেন, তার মূল্য এখনও কমে নি।”

লিখেছেন অধ্যাপক রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য

প্রকাশিত হল:
'দ্বিশতবর্ষ পেরিয়ে দুই বাঙালি: বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্ত'

প্রকাশক: বহুস্বর
মূল্য: ২৭৫/-

প্রাপ্তিস্থান: মনীষা গ্রন্থালয়, ধ্যানবিন্দু, আখর, লালন এবং দে বুক স্টোর(দীপু)

ভারত ছিল কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শ্রমসম্পদের অধিকাংশই ছিল কৃষি-নির্ভর। ইতিহাসগত ভাবে এই শ্রমসম্পদকে শিল্পক্ষেত্রে টেনে আন...
11/08/2023

ভারত ছিল কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শ্রমসম্পদের অধিকাংশই ছিল কৃষি-নির্ভর। ইতিহাসগত ভাবে এই শ্রমসম্পদকে শিল্পক্ষেত্রে টেনে আনার কথা ছিল সমাজের পুঁজিবাদী রূপান্তরের মাধ্যমে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, এদেশের জাতীয় আয়ে কৃষির গুরুত্বহ্রাস ঘটা সত্ত্বেও তা সেভাবে হয়নি। কারণ এদেশের বুর্জোয়ার স্বাধীন বিকাশের অভাব। এখন প্রশ্ন হল, এই কৃষি-বিযুক্ত শ্রমসম্পদের অধিকাংশ, যা সংগঠিত শিল্পক্ষেত্র টেনে নিতে অক্ষম, সেটা গেল কোথায়? সেটা স্থান পেল অসংগঠিত ক্ষেত্রে। তৈরি হল এক বিপুল শ্রমিকের মজুতবাহিনী, যাদের শোষণ করেই এদেশে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে নয়া উদারবাদ। বিগত দশ বছরে এই শোষণ সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বে-লাগাম আয়বৈষম্য, দারিদ্র এবং অপুষ্ট মানবসম্পদ ভারতকে আজ এক নজিরবিহীন সংকটের সম্মুখীন করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিসরে এর ন্যায্যতা নির্মাণ সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদীর শাসনকাল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেই নির্মাণ করতে চাইছে এর সামাজিক ন্যায্যতা। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এই প্রেক্ষাপটেই রচিত হচ্ছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর নিষ্ঠুর রূপকথা, যে-রূপকথার তলায় লুকিয়ে থাকে মহাকাশবিজ্ঞানীর চন্দ্রযান উৎক্ষেপনের সাফল্যলাভের আশায় তিরুপতি মন্দিরে পুজোদান, বা ধর্ষিতা কুকি মহিলাদের বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘোরানোর মতো দগদগে ঘা। এই ক্ষত নিরাময়ের উদ্দেশ্যেই আমাদের এ-বইয়ের প্রকাশ।
ভারত ছিল কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শ্রমসম্পদের অধিকাংশই ছিল কৃষি-নির্ভর। ইতিহাসগত ভাবে এই শ্রমসম্পদকে শিল্পক্ষেত্রে টেনে আনার কথা ছিল সমাজের পুঁজিবাদী রূপান্তরের মাধ্যমে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, এদেশের জাতীয় আয়ে কৃষির গুরুত্বহ্রাস ঘটা সত্ত্বেও তা সেভাবে হয়নি। কারণ এদেশের বুর্জোয়ার স্বাধীন বিকাশের অভাব। এখন প্রশ্ন হল, এই কৃষি-বিযুক্ত শ্রমসম্পদের অধিকাংশ, যা সংগঠিত শিল্পক্ষেত্র টেনে নিতে অক্ষম, সেটা গেল কোথায়? সেটা স্থান পেল অসংগঠিত ক্ষেত্রে। তৈরি হল এক বিপুল শ্রমিকের মজুতবাহিনী, যাদের শোষণ করেই এদেশে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে নয়া উদারবাদ। বিগত দশ বছরে এই শোষণ সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বে-লাগাম আয়বৈষম্য, দারিদ্র এবং অপুষ্ট মানবসম্পদ ভারতকে আজ এক নজিরবিহীন সংকটের সম্মুখীন করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিসরে এর ন্যায্যতা নির্মাণ সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদীর শাসনকাল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেই নির্মাণ করতে চাইছে এর সামাজিক ন্যায্যতা। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এই প্রেক্ষাপটেই রচিত হচ্ছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর নিষ্ঠুর রূপকথা, যে-রূপকথার তলায় লুকিয়ে থাকে মহাকাশবিজ্ঞানীর চন্দ্রযান উৎক্ষেপনের সাফল্যলাভের আশায় তিরুপতি মন্দিরে পুজোদান, বা ধর্ষিতা কুকি মহিলাদের বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘোরানোর মতো দগদগে ঘা। এই ক্ষত নিরাময়ের উদ্দেশ্যেই আমাদের এ-বইয়ের প্রকাশ।

প্রকাশিত হচ্ছে: 'স্বাধীনতার অমৃতকাল: ভারতের ক্ষুধা, বৈষম্য এবং দারিদ্র'
লেখক: রতন খাসনবিশ
মূল্য: ২৫০/-

প্রকাশিত হলএকুশ শতকের বামপন্থা-র পরিবর্ধিত তৃতীয় সংস্করণ।লেখক: রতন খাসনবিশমূল্য: ২২০/-
03/02/2023

প্রকাশিত হল
একুশ শতকের বামপন্থা-র পরিবর্ধিত তৃতীয় সংস্করণ।

লেখক: রতন খাসনবিশ
মূল্য: ২২০/-

'আজকের বিশ্বের সমাজব্যবস্থাগত এবং রাষ্ট্রগত চারিত্রিক পরিবর্তন যতই ঘটে থাকুক না কেন, বিশ্ব-বিপ্লবের প্রক্রিয়া, তার গতিবে...
01/02/2023

'আজকের বিশ্বের সমাজব্যবস্থাগত এবং রাষ্ট্রগত চারিত্রিক পরিবর্তন যতই ঘটে থাকুক না কেন, বিশ্ব-বিপ্লবের প্রক্রিয়া, তার গতিবেগ এবং প্রভাব যতই অকিঞ্চিৎকর হয়ে পড়ুক না কেন, এখনও যে তা প্রবহমান, এটা অস্বীকার করা যায় না; আর সেই কর্মকান্ডে কিউবায় সমাজতন্ত্রের এখনও পর্যন্ত অব্যাহত গতি এবং প্রতিক্রিয়ার সান্নিধ্য-দূরত্ব-এ তার অটুট অবস্থানের এক প্রচন্ড গুরুত্ব রয়েছে। কিউবা বিপ্লবের সাফল্য এবং বিপ্লব পরবর্তীকালে তার ধারাবাহিক কর্মপ্রয়াসের পিছনে কিউবাবাসীর যে অমিতবিক্রম তেজ ও অধ্যাবসায় রয়েছে, তা গড়ে উঠেছে তার সমৃদ্ধশীল অতীত ঐতিহ্যর মধ্যে দিয়ে। ঐতিহ্যমন্ডিত এই ইতিহাসই হল কিউবা বিপ্লবের ইতিহাস।'

লিখেছেন ভানুদেব দত্ত।
প্রকাশিত হল: সংগ্রামী কিউবা।

মূল্য: ৩৫০/-

বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নে টেবল নং ১৯০ (সময়ের ঘড়ি) এবং ১৯৩ (মতাদর্শে অগ্রণী)-তে পাওয়া যাবে।

'ব্যাপক অর্থে বুদ্ধিজাত ফসলের বিনিময়ে জীবিকা যে অর্জন করে সে বুদ্ধিজীবী। অভিজ্ঞতা বলে এহেন বুদ্ধিজীবীরা কাছ থেকে খুব বেশ...
01/01/2023

'ব্যাপক অর্থে বুদ্ধিজাত ফসলের বিনিময়ে জীবিকা যে অর্জন করে সে বুদ্ধিজীবী। অভিজ্ঞতা বলে এহেন বুদ্ধিজীবীরা কাছ থেকে খুব বেশি ফলপ্রসূ ভূমিকা আশা করা যায় না যাতে প্রগতির সংকটে সমাজকে এরা তরিয়ে দিতে পারেন। এই পেশাদার বুদ্ধিজীবীদের কাজ পণ্য হিসাবেই গণ্য হয়, যদিও সমাজে একটা কৃত্রিম পূজ্যপদে এদেরকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়, যা মুখ্যত অলীক স্তোকমূলক আয়োজনমাত্র। বুদ্ধিজীবীরা তৈল-তণ্ডুলের প্রশ্নটা বাতুল চিন্তা নয়, তবে নিছক তৈল-তণ্ডল-মনস্কতা বা তার জন্য আত্মবিস্মৃতি ও আত্মবিক্রয়টাও কাজের কথা নয়। নির্বিকল্প ছাপোষা গৃহপালিত মনবৃত্তি এবং তৎপ্রসাদাৎ শান্তির ললিত বাণীর সহজিয়া বিলাসিতায় এরা অপরিহার্য বস্তু সত্যের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন।'

লিখেছেন লতিকা মুখোপাধ্যায়(গুহ)।

প্রকাশিত হল: 'বুদ্ধিজীবী ও নানা প্রশ্ন'।
সম্পাদনায়: লতিকা মুখোপাধ্যায়(গুহ)।
লিখেছেন: রণেশ দাশগুপ্ত, বিশ্বরঞ্জন সেনগুপ্ত, নারায়ণ চৌধুরী, বিনয় ঘোষ, অমিতাভ দাশগুপ্ত, আতাউর রহমান, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, নিত্যপ্রিয় ঘোষ এবং সমর সেন।

মূল্য: ২৩০/-।

অনলাইনে পেতে হলে:
https://www.haritbooks.com/product/buddhijibi-o-nana-prosno/

বিপ্লবের কথা --- নিত্যপ্রিয় ঘোষের প্রথম বই --- প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। এই বইতে পৃথিবীর বুকে যে-সকল বিপ্লব ঘটে গেছে --- প্...
30/12/2022

বিপ্লবের কথা --- নিত্যপ্রিয় ঘোষের প্রথম বই --- প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। এই বইতে পৃথিবীর বুকে যে-সকল বিপ্লব ঘটে গেছে --- প্রাচীন রোমে স্পার্তাকাসের কাহিনী থেকে শুরু করে নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স, ভারতবর্ষ, রাশিয়া, চীন, কিউবা, ভিয়েতনাম --- তাদের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত রচনা করেছেন লেখক। চেষ্টা করেছেন, বইয়ের গোড়াতেই, ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার নিরিখে 'বিপ্লব' শব্দটির রাজনৈতিক তাৎপর্য খোঁজার।

বিপ্লবের সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি লিখছেন: ' এটা ঠিক যে, অর্থনৈতিক দিক থেকে, এক শ্রেণি দ্বারা অপর শ্রেণি নিপীড়িত হতে থাকলে, বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে নিপীড়িতশ্রেণি বিপ্লব করে। তবে একথা ঠিক নয় যে, কেবল নির্যাতিত হলেই নিপীড়িতশ্রেণি বিপ্লব করবে। বিপ্লবের জন্ম হতাশা থেকে নয়, আশা থেকে। শুধু পড়ে পড়ে মার খেলেই জনসাধারণ ক্রুদ্ধ হয়ে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তা নয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় ভবিষ্যৎ দিনের আশা, স্বপ্ন। হতাশায় মানুষ মুষড়ে পড়ে, আশায় উদ্দীপ্ত হয়। তাই দেখা গেছে, বিপ্লবের সময় নিপীড়িতশ্রেণির অধিকাংশই ক্লিষ্ট-ক্লিন্ন বোধ করে, আর সেই শ্রেণিরই অগ্রসর অংশ ভবিষ্যতের কথা বলে তাদের উদ্দীপ্ত করে।' আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের এই উচ্চারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিন্নতর উদ্যোগের দাবি করে যা, সমাজের সচেতন অংশের কাছে যথার্থই 'আশা'-র আলো হয়ে উঠতে পারে।

প্রকাশিত হল: 'বিপ্লবের কথা'
মূল্য: ২২০/-
প্রাপ্তিস্থান: দে বুক স্টোর এবং লালন
অনলাইনে পেতে হলে:

https://www.haritbooks.com/product/biplober-kotha/

'আমার সকল কাজ সকল ক্ষেত্রে চিরদিনই গতিপন্থী। যাহারা থামিয়া নাই, চিরদিন আমি তাহাদেরই জন্য লিখিয়াছি। আমি নিজে কোনোদিন থামি...
28/09/2022

'আমার সকল কাজ সকল ক্ষেত্রে চিরদিনই গতিপন্থী। যাহারা থামিয়া নাই, চিরদিন আমি তাহাদেরই জন্য লিখিয়াছি। আমি নিজে কোনোদিন থামি নাই। আশা করি যতদিন বাঁচিব থামিব না। জীবন যদি সম্মুখপানে চিরচলমান না হয়, তবে আমার কাছে জীবন অর্থহীন। তাই যে-সকল জাতি ও শ্রেণি পথ কাটিয়া চলিয়াছে মহামানবের সমুদ্রপানে, আমি আছি তাহাদের সঙ্গে। সংঘবদ্ধ শ্রমজীবী সাধারণের এবং সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত গণতন্ত্র সংঘের সহযাত্রী আমি। ঐতিহাসিক বিবর্তনের অপ্রতিরোধ্য উত্তাল তরঙ্গ তাহাদের বহন করিয়া চলিয়াছে। তাহাদের ভবিতব্যই আমার ভবিতব্য।'

প্রকাশিত হল: শিল্পীর নবজন্ম
লেখক: রমা রল্যা
অনুবাদ: সরোজ দত্ত

মূল্য: ৩২৫/-

Address

1/16, C. R. Colony
Kolkata
700032

Telephone

+91 9051709632

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bahuswar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bahuswar:

Share

Category