Karulipi কারুলিপি

Karulipi কারুলিপি 'কারুলিপি' সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি বিষ?
(1)

শুরুর পথে...বই উদ্-যাপন!
18/01/2024

শুরুর পথে...বই উদ্-যাপন!

18/01/2024
18/01/2024
দেখা হচ্ছে।
18/01/2024

দেখা হচ্ছে।

'চারটি নাটক'কৌশিক রায়চৌধুরীদে'জ, দে বুক স্টোর ( দীপু), ধ্যানবিন্দু - তে পাওয়া যাচ্ছে।
17/07/2023

'চারটি নাটক'
কৌশিক রায়চৌধুরী

দে'জ, দে বুক স্টোর ( দীপু), ধ্যানবিন্দু - তে পাওয়া যাচ্ছে।

05/10/2022
27/09/2022

গল্প হলেও সত্যি
🎞🎞🎞🎞🎞

সালটা ১৯৮০।ছবি সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’। চরিত্র ‘চরণদাস’। চরিত্রটির মুখে ছিল একটি গান । বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী অমর পাল গানটি করেন।কিন্তু গানটি যথার্থ রূপ পেয়েছিল এক কালের বরেণ্য নায়কের ঠোঁটে। অবস্য তত দিনে হাঁপানির টানে সেই রবি প্রায় অস্তমিত।সত্যজিৎ বাবু,তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর দাড়ি না কাটতে। ওটাই তিনি মেকআপ দিয়ে করতে চাইছেন না। অমর পালের কণ্ঠে শীর্ণ, হতদরিদ্র চেহারা অথচ জ্বলজ্বলে চোখ দু’টি নিয়ে চরণদাসের সেই গান ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’ আজও কি ভোলা যায়?
অবস্য সেই শিল্পীর জীবনে রঙ্গ দেখার শুরুর সেই ১৯৪০ সালে। সে বারে স্কটিশ চার্চ-এ কলেজ সোশ্যালের ভার সদ্য পাশ-করা ছাত্রদের ওপর। তাদেরই এক জনের মাথায় খেলল, যদি প্রমথেশ বড়ুয়াকে নিয়ে আসা যায়!অন্য বন্ধুরা হেসেই অস্থির। তখনকার চলচ্চিত্র তারকা, যিনি কিনা সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই রাজকুমার আসবেন কিনা কলেজ সোশ্যালে! কিন্তু ছেলেটাও নাছোড়বান্দা। একশো টাকা বাজি ধরল বন্ধুদের সঙ্গে। পর দিন সকালে বড়ুয়াসাহেবের বাড়ি গিয়ে এমন ধরে বসল,যে তিনি বাধ্য হয়ে রাজি হলেন। কিন্তু বললেন, থাকবেন মাত্র দশ মিনিট। তাই সই। নির্দিষ্ট দিনে এলেন বরুয়া সাহেব এবং স্বাভাবিক ভাবেই বসলেন সকলের সামনের সারিতে। সেই জেদী ছেলেটা, সে দিন মঞ্চে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গেয়েছিল ‘শাওন রাতে যদি...’। মঞ্চ থেকে নামতেই তাঁকে ডেকে বরুয়া সাহেব বললেন, ‘‘বেশ ভাল গান গেয়েছ তুমি। গলাটিও তোমার ভারী মিষ্টি। তুমি এক বার কাল সকালে বাড়িতে এস। তোমার সঙ্গে দরকার আছে।’’ ছেলেটি তো তখন আত্মহারা। বড়ুয়াসাহেবের গুণমুগ্ধ সে। বড়ুয়া-কাফ জামা পরে, সঙ্গে দেবদাসের মতো মালকোঁচা দিয়ে ধুতি। তাঁর সামনে গিয়েই দাঁড়াতে হবে তাকে?সারা রাত তাঁর ঘুম হলো না।পরদিন সকাল সকাল সে গেল বড়ুয়াসাহেবের কাছে। এ কথা-সে কথা হল। আচমকাই বড়ুয়াসাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘সিনেমায় নামতে চাও?’ দ্বিধাগ্রস্থ হলো ছেলেটি। কি বলবে সে ? সামনেই ফাইনাল পরীক্ষা।ম্যাট্রিকুলেশনে তুখোড় ফল করা ছেলেটি চোখে তখন স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হবে। তার উপরে ব্রিটিশ রাজত্বে রেলে বড় চাকরি করা তার বাবা অত্যন্ত রাশভারী আর রক্ষণশীল মানুষ। বড়ুয়াসাহেব সব কথা শুনলেন তাঁর,খানিক ভাবলেন।ছেলেটির বাড়ির ঠিকানা চেয়ে রেখে দিলেন।তারপর পরীক্ষাশেষে ছেলেটির বাড়ির ঠিকানায় এল বড়ুয়াসাহেবের চিঠি। কলকাতায় ফিরে দেখা করার জরুরি তলব নিয়ে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বাবাকে পড়াশোনার অজুহাত দেখিয়ে ছেলেটি এল কলকাতায়।স্ক্রিন টেস্ট, ভয়েস টেস্ট হওয়ার পরে বড়ুয়াসাহেব ছবির প্রযোজক কে এস দরিয়ানির কাছে ছেলেটিকে নিয়ে এসে বললেন, ‘‘এই যে আপনার নতুন হিরো।’’ সেই ছবির নাম ‘শাপমুক্তি’।ছবিটি মুক্তি পেল ১৯৪০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর উত্তরা প্রেক্ষাগৃহে। আর সেদিনই,প্রিমিয়ার শোয়ে‌র পরেই তৎকালীন নামী হোটেল ‘‌ব্রডওয়ে’‌–‌তে এক আলোকজ্জ্বল পার্টির আয়োজন করেছিলেন পরিচালক প্রমথেশ বরুয়া।যাতে আমন্ত্রিত ছিলেন সে সময়ের কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ সব ‘‌সেলিব্রিটি’‌রা, চিত্রতারকা, সাংবাদিকরা। একজন নবাগত নায়কের পক্ষে এর থেকে বড় ‘‌ব্রেক’‌ আর কী হতে পারে। বাঙালির প্রথম পর্দা–‌আইডল স্বয়ং তাকে পরিচিতি দিচ্ছে ‘‌বুধমণ্ডলী’‌র সামনে। আলোকিত রাতে, রীতি মেনে বড়ুয়া স্যরের পরামর্শ মেনে মদিরার গ্লাসে প্রথম ঠোঁট রাখলেন ছেলেটা। উজ্জ্বল আলোর মধ্যে তার হাতটা তুলে ধরে প্রমথেশ তাকে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিল ‘‌আওয়ার নিউ সিংগিং স্টার’‌ বলে।আর বাংলা ছবির দর্শক পেলেন তাঁদের আগামী বেশ কয়েক বছরের ম্যাটিনি আইডল রবীন মজুমদারকে।যদিও তাঁর অভিনয়ে আসার কথা জানতে পেরে তাঁর বাবা অত্যন্ত রেগে যান এবং মাসোহারাও বছর খানেকের জন্য বন্ধ করে দেন।যদিও শাপমুক্তি’র পরে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তারপর ‘গরমিল’, ‘নন্দিতা’, ‘সমাধান’, ‘কবি’, ‘ভাঙাগড়া’, ‘না’, ‘টাকা আনা পাই’-এর মতো ছবি সফল হয়। বিশেষত ‘কবি’ ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয় সাড়া ফেলে দেয় চলচ্চিত্র জগতে। হিন্দিতেও ‘অ্যারাবিয়ান নাইটস’ ছবিতে কানন দেবীর বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন,গানও গেয়েছেন। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সুমিষ্ট কণ্ঠস্বরটিও মন জয় করে দর্শকের। ‘গরমিল’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘এই কি গো শেষ দান’ গানটি তখনকার সময়ে প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়। তার গাওয়া ‘বালুকাবেলায় মিছে কী গড়িস খেলাঘর’, ‘এই যে এলাম শঙ্খনদীর তীরে’, ‘কালো যদি মন্দ তবে’, ‘দেখা হল কোন লগনে’র মতো অনেক গান আজও মনকে নাড়া দিয়ে যায়।ব্যক্তিগত জীবনেও ভারী সাদাসিধে মানুষ ছিলেন তিনি।সরল মনের ছিলেন বলে মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলতেন বড় সহজেই। চিত্রজীবনে যখন মধ্যাহ্ন-সূর্যের দীপ্তি, তখন একদিন তিনি আউটডোর শুটিংয়ে। এক বন্ধুস্থানীয় মানুষের কথা অনুযায়ী একটি ছবির চুক্তিপত্রে সই করেন। অতি বিশ্বাসে পড়েও দেখেননি শর্তগুলো কী। তাতে ছিল, সামান্য মাসিক টাকার বিনিময়ে সেই কোম্পানি তাঁকে ‘এক্সক্লুসিভ আর্টিস্ট’ হিসেবে গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ চুক্তির মেয়াদকালে তিনি অন্য কোনও ছবিতে সই করতে পারবেন না।কিন্তু বিষয়টি তাঁর ভালো করে জানা না থাকায় তিনি এর পরেই অন্য এক প্রযোজকের এক ছবির জন্য সই করেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আসে উকিলের চিঠি। শুরু হয় মামলা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলে তা। সেই সময়ের মধ্যে যে ক’টি ছবিতে তিনি সই করেছেন, সব কিছুর উপরেই বসে স্থগিতাদেশ। হাতে আর কোনও ছবিও থাকে না। প্রচণ্ড আর্থিক কষ্ট। অবশেষে অবস্থা এমন দাঁড়াল, দু’বেলা খাওয়া জোটাই দুষ্কর হয়ে ওঠে।যদিও সেই মামলা জিতেছিলেন রবীন মজুমদার। কিন্তু ততদিনে কেটে গেছে পাঁচ পাঁচটি বছর পরে। আর ঘটনাচক্রে কোনও ক্ষতিপূরণও পেলেন না তিনি।ধীরে ধীরে শুরু হল মরফিন-এর নেশা। দ্রুত নামতে শুরু করল কেরিয়ারগ্রাফ। তারপর ১৯৫০-এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন,হয়তো একেবারেই চলচ্চিত্র জগৎ থেকে হারিয়ে যেতেন তিনি।তখন বিশিষ্ট সুরকার নচিকেতা ঘোষ অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।মেডিক্যাল বোর্ড বসান। বাবা ডাক্তার সনৎকুমার ঘোষের চিকিৎসায় এবং পুত্র নচিকেতা ঘোষ দীর্ঘ দিন নিজের কাছে রেখে চিকিৎসা ও সেবাশুশ্রুষা দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তুললেন। বিশ্বশ্রী মনতোষ রায়ের কাছে ব্যায়ামচর্চা করে ফিরে পেলেন স্বাস্থ্য। সুস্থ হয়ে ফেরার পরে তাঁর হাতে তখন পরপর ছবি।শুধু তা-ই নয়, তিনি অসিতবরণের সঙ্গে ‘জয়দেব’ ছবিতে পরাশরের চরিত্রে অসামান্য অভিনয় এবং গান করে সকলেরই মন জয় করেন। অত্যাচারী হীরকরাজের সামনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ চরনদাস রূপী রবীন মজুমদার অনায়াসে গেয়েছিলেন— ‘দেখো ভাল জনে রইল ভাঙা ঘরে, মন্দ যে সে সিংহাসনে চড়ে’। রবীন মজুমদারের মতো একজন গায়ক-নায়কের জীবনে কথাগুলি যেনো বড় বেশি প্রাসঙ্গিক। ‘হীরক রাজার দেশে’ মুক্তির তিন বছর পরে ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৩ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন মজুমদার। মৃত্যুর পর তাঁর শেষ চলচ্চিত্র ‘উৎসর্গ’ মুক্তি পায় একই বছরে।

©সংগৃহীত

27/09/2022

#মহিষাসুরমর্দিনী হল আকাশবাণী থেকে সম্প্রচারিত একটি জনপ্রিয় বাংলা বেতার অনুষ্ঠান।

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ থেকে আজও সম্প্রচারিত হওয়া দীর্ঘতম অনুষ্ঠান। প্রথমে সরাসরি সম্প্রচার করা হত মহিষাসুরমর্দিনী। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই ১৯৬৬ সালের সংগৃহীত রেকর্ডটাই এখন বাজানো হয়। এত বছরেরও অনুষ্ঠানটি বিন্দুমাত্র মর্যাদা হারায়নি।

আসুন স্মৃতির সরণি বেয়ে স্মরণ করি মহিষাসুরমর্দিনীর সেই তিন প্রধান রূপকারকে - বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বানীকুমার এবং পঙ্কজকুমার মল্লিক !! আর জেনে নেই মহিষাসুরমর্দিনী সম্পর্কিত বেশ কিছু অজানা কাহিনী -----

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট মুম্বই-এর ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি নামে একটি বেসরকারি সংস্থা ১নং গার্স্টিন প্লেসে একটি ভাড়া বাড়িতে রেডিও স্টেশন স্থাপন করে। সংস্থার অধিকর্তা ছিলেন এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা - নাম স্টেপলটন । প্রতিভার সমাবেশ ঘটেছিল শুরুর দিন থেকেই। পরিকল্পনা হয় ‘ভারতীয়’ ও ‘ইউরোপিয়ান’ এই দুই ভাগে হবে অনুষ্ঠান। ভারতীয় প্রোগ্রামের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিলেন নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার। কিছু দিনের মধ্যেই এলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ও বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য (বাণীকুমার)। যোগ দিলেন রাইচাঁদ বড়াল, হীরেন বসু। ঘোষক ও সংবাদ-পাঠক হিসেবে মোহনবাগানের ১৯১১ সালের ঐতিহাসিক শিল্ডজয়ী দলের হাফব্যাক রাজেন সেনগুপ্ত আগেই এসেছিলেন। ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। বেতারকেন্দ্র থেকে একটি নিজস্ব মুখপত্র প্রকাশিত হবে, সম্পাদনার জন্য এলেন প্রেমাঙ্কুর আতর্থী। ‘বেতার জগৎ’ প্রথম প্রকাশিত হল ১৯২৯-এর সেপ্টেম্বর মাসে।

প্রেমাঙ্কুর আতর্থী একদিন বললেন, যা যা অনুষ্ঠান চলছে, তার পাশাপাশি কিছু অভিনবত্ব আনাও দরকার। লেখালেখির জন্য বাণী রয়েছে, রাই সুর দিক, বীরেন শ্লোক আওড়াক্‌…ভোরবেলায় লাগিয়ে দাও, লোকজন ভালোই নেবে। কথাটা নৃপেন মজুমদারের মনে ধরল। বাণীকুমার ভাবতে বসে গেলেন। একমাস বাদে দুর্গাপুজো। বীরেন ভদ্র বললেন, যদি পুজোকে কেন্দ্র করেই কিছু করা হয় তাতে চণ্ডীপাঠ অবশ্যই থাকবে। কেবল একটা ব্যাপারে একটু কিন্তু রয়ে গেল। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ তো কায়স্থ, তিনি চণ্ডীপাঠ করলে, সবাই মেনে নেবেন তো? সেই সময় এই দ্বিধাগ্রস্ততা অস্বাভাবিক নয়। নৃপেনবাবু বললেন, একটা প্রোগ্রাম হবে তার আবার বামুন কায়েত কি? আমরা কি হিন্দুর মন্দিরে গিয়ে পুজো করছি? এই প্রোগ্রামে যারা বাজাবে তারা তো অর্ধেক মুসলমান, খুশী মহম্মদ, আলি, মুনশি – সবাই তো বাজাবে, তা হলে তাদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণদের ডেকে আনতে হয়। বাণীকুমার তখন হেসে উঠে বলেছিলেন যে, যাই হোক না কেন, তিনি বীরেনবাবু ছাড়া আর কাউকে এ কাজের জন্যে ভাববেনই না। বীরেনবাবু বাংলার সঙ্গে সংস্কৃত ভাষ্যকেও সুর বলে বাজনার সুরের সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন। এক অন্য রূপ পেল স্তোত্রপাঠ, যা আমরা আজও শুনি। উস্তাদি যন্ত্রসঙ্গীতের সুরের সঙ্গে মিলে গেল চণ্ডীপাঠের সুর – এক অপূর্ব ধর্মীয় মেলবন্ধন।

গীতিআলেখ্য ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ প্রথম প্রচারিত হয় ১৯৩২ সালে ষষ্ঠীর দিন। তবে তার আগের বছর, বাণীকুমার (বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য) ‘শ্রীশ্রীচণ্ডী’-র বিষয়বস্তু নিয়ে ‘বসন্তেশ্বরী’ নামে একটি কাব্য রচনা করেছিলেন। সে বছরই চৈত্র মাসে বাসন্তীপুজোর সময়ে ‘বসন্তেশ্বরী’ প্রচারিত হয়। তাতে সুর দিয়েছিলেন পণ্ডিত হরিশচন্দ্র বালী। অংশ নিয়েছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ও বাণীকুমারও। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল। এমনই এক সময় সকলে মিলে ঠিক করলেন দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর সকালে এমন একটা অনুষ্ঠান করলে কেমন হয়? সেই শুরু। ১৯৩২ সালে প্রথম প্রচারিত হয় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। বাণীকুমার এই রচনায় সহায়তা পেয়েছিলেন পণ্ডিত অশোকনাথ শাস্ত্রীর। কয়েকটি গানে সুর দিয়েছিলেন পণ্ডিত হরিশচন্দ্র বালী ও রাইচাঁদ বড়াল। তবে বেশির ভাগ গানে সুর দিয়েছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক।

১৯৩২ সালে মহাষষ্ঠীর সকালে ‘প্রত্যুষ প্রোগ্রাম’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠান প্রথম সম্প্রচারিত হয়। পরের বছর হয় ‘প্রভাতী অনুষ্ঠান’ নামে, ১৯৩৬-এ ‘মহিষাসুর বধ’, ১৯৩৭ সালে শিরোনাম হয় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। তবে প্রথম দু’বছর মানে ১৯৩২ ও ১৯৩৩ সালে অনুষ্ঠানটি মহাষষ্ঠীর ভোরে সম্প্রচারিত হয়ে, ১৯৩৪ সাল থেকে মহালয়া-র ভোরে সম্প্রচারিত হতে থাকে। মাঝে কয়েক বার আবার অদলবদল হলেও অবশেষে মহালয়ার ভোরেই সম্প্রচার স্থায়ী হয়।

প্রথম কয়েক বছর সঙ্গীত পরিচালনায় পঙ্কজ মল্লিকের সঙ্গে ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল। এ ছাড়াও ছিলেন পণ্ডিত হরিশ্চন্দ্র বালী, সাগির খাঁ প্রমুখ। যদিও অধিকাংশ গানের সুরারোপ পঙ্কজবাবুর। যেমন ‘বিমানে বিমানে আলোকের গানে…’ পণ্ডিত হরিশ্চন্দ্র বালী, ‘শান্তি দিলে ভরি…’ উস্তাদ সাগির খাঁ এবং ‘নিখিল আজি সকল ভোলে …’ গানটিতে রাইচাঁদ বড়াল প্রমুখ সুর প্রয়োগ করেন। প্রথম দিকে এক ঘণ্টার হিসেবে অনুষ্ঠান শুরু হলেও কোনো কোনো বছর দু’ ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। পরে দেড় ঘণ্টায় স্থায়ী হয়। ১৯৭২ সালে স্থায়ী ভাবে রেকর্ড হওয়ার আগে পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের রূপকল্পের ক্ষেত্রে বহু পরিবর্তন ঘটেছে। এমনকি ১৯৪৪ ও ১৯৪৫ বছর দু’টিতে সঙ্গীত পরিচালক পঙ্কজ মল্লিকের সঙ্গে বেতার-কর্তৃপক্ষের মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। সে বার সঙ্গীত পরিচালনার কাজ সামলেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য গানের সুর এক রেখেছিলেন। কিন্তু ১৯৪৫ সালে সম্পূর্ণ নতুন একটি অনুষ্ঠান হয়। সেটির যৌথ সঙ্গীতপরিচালক ছিলেন বিজনবালা ঘোষদস্তিদার ও শচীন দাশ মতিলাল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান একেবারেই জনপ্রিয় হয়নি। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ও পঙ্কজকুমার মল্লিক-এর একই সঙ্গে প্রত্যাবর্তন ঘটে ১৯৪৬ সালে, একই সঙ্গে ১৯৩২ থেকে যে লাইভ সম্প্রচার চলছিল তা প্রথম বারের মতো ছেদ পড়ে কারণ, ওই বছর ১৬ অগস্ট থেকে কলকাতায় ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়, বেতার কর্তৃপক্ষ অত রাতে শিল্পীদের নিয়ে আসার ঝুঁকি নেননি ৷ ওই একটি বছর বাদ দিলে লাইভ সম্প্রচার একটানা চলে ১৯৬২ অবধি। এর পর রেকর্ডিং করা অনুষ্ঠান শোনানো হলেও, রেকর্ডারের অনুন্নত মানের জন্য ২-৩ বছর অন্তর নতুন করে রিহার্সাল দিয়ে রেকর্ডিং করা হত, তবে শেষবার স্থায়ী রেকর্ডিং হয় ১৯৭২ সালে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭২ এই কয়েকবছরের মধ্যে ৬ বার মোট রেকর্ডিং করা হয়, এবং ১৯৬৬ সালের রেকর্ডিং HMV কে দেওয়া হয়, যেটা আমরা বিভিন্ন জায়গায় শুনতে পাই |

প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, দেশে তখন জরুরি অবস্থা চলছে, মহালয়ার ভোরবেলা আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে বেজে উঠল না চিরাচরিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। তার জায়গায় নতুন অনুষ্ঠান ‘দেবীং দুর্গতিহারিণীম্’। বাণীকুমার, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, পঙ্কজ কুমার মল্লিক সবাই বাদ। পরিবর্তে ধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তীর লেখা আলেখ্য, শ্যামল গুপ্ত-র লেখা গান, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুর আর প্রধান ভাষ্যপাঠক উত্তমকুমার। কিন্তু পত্র-পত্রিকায় সমালোচনার ঝড়, জনরোষ, চার পাশের প্রবল চাপে জনসাধারণের চাহিদাকে মর্যাদা দিতে সেই বছরই ষষ্ঠীর দিনই সম্প্রচারিত হয় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’।

‘মহিষাসুরমর্দিনী’ শুরু থেকে স্থায়ী ভাবে রেকর্ড করে রাখার আগে পর্যন্ত বহু খ্যাতনামা শিল্পীরা গান গেয়েছিলেন, যেমন জগন্ময় মিত্র, রাধারানি দেবী, সাবিত্রী ঘোষ, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, পান্নালাল ভট্টাচার্য, শচীন গুন্ত, বাঁশরী লাহিড়ি, শৈলেন মুখোপাধ্যায়, কল্যাণী মজুমদার, অখিলবন্ধু ঘোষ প্রমুখ। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-তে প্রতিভাবান যন্ত্রশিল্পী-সমাবেশও ঘটেছিল। বাজাতেন মুনশি (সারেঙ্গি), আলি (চেলো), খুশী মহম্মদ (হারমোনিয়াম), তারকনাথ দে (বেহালা), সুরেন পাল (ম্যান্ডোলিন), সুজিত নাথ (গিটার), দক্ষিণামোহন ঠাকুর (এসরাজ), শান্তি ঘোষ (ডবল বাস্), অবনী মুখোপাধ্যায় (বেহালা), রাইচাঁদ বড়াল (পিয়ানো)। সঙ্গীত-আয়োজনের কাজ করেছেন সুরেন্দ্রলাল দাসের পরিচালিত ‘যন্ত্রীসংঘ’, পরবর্তীকালে দায়িত্ব সামলেছেন ভি. বালসারা।

আকাশবাণী বেতার কেন্দ্রের এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক জনপ্রিয় কালজয়ী গীতিআলেখ্য এই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’,যা যুগে যুগে শ্রোতাদের প্রশংসা ধন‍্য ।

20/09/2022

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমা করতে পারেননি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে। অথচ একসময় এই শরৎচন্দ্রকেই ঈশ্বরের মতো শ্রদ্ধা করতেন শিবরাম..🌿

নিজের একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপিও নিয়ে গেছিলেন শরৎবাবুর কাছে। ‘ যদি দুটো লাইন লিখে দেন ভূমিকায় তাহলে একটা প্রকাশক জোটে ’ এই আশায়। লিখেও দিয়েছিলেন কথাশিল্পী। সেই সম্পর্কই এক ঘটনায় চুরমার হয়ে গেল।

‘দেনাপাওনা’ উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন শিবরাম। নাম হয়েছিল ‘ষোড়শী’। সকলেই জানে সে কথা। স্বয়ং লেখকও জানেন। অথচ সেই নাটক যখন ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশ পেল সেখানে নাট্যকারের নাম বদলে শরৎচন্দ্রের নাম!

শিবরামের বদলে শরৎবাবুর নাম দিলে পত্রিকা বিক্রি হবে বেশি। সম্পাদকের যুক্তিতে চুপ থাকলেন শিবরাম। নাটক নিয়ে গেলেন শিশিরকুমার ভাদুড়ীর কাছে। নাটক পড়ে উচ্ছ্বসিত নাট্যাচার্য।

‘‘অসাধারণ নাট্যরূপ দিয়েছেন! আমি করব।’’

শুরু হল শো। প্রায় প্রতিদিনই হাউসফুল। এদিকে তখন দেনার দায় জর্জরিত খোদ নাট্যকার শিবরাম।
নাট্যাচার্যকে বললেন, ‘‘ শিশিরবাবু, কিছু টাকা পেলে ভাল হয়। নাটকে আমার লভ্যাংশ থেকে যদি কিছু দিতেন। ’’

নাটকের বেনিফিট শোয়ের দিন শিবরামকে আসতে বললেন শিশির কুমার।
শো শেষে সাজঘরে গিয়ে হাত পাততেই শিশিরকুমার বললেন, ‘‘দেরি করে ফেললেন। আজ টিকিট বিক্রির সব টাকা একটি থলেতে ভরা ছিল, শো শেষ হতেই শরৎবাবু সাজঘরে এসে সব টাকা নিয়ে চলে গেলেন।’’

‘‘সে কী! আপনি বললেন না আমার কথা!’’ হতবাক শিবরাম।
‘‘বলেছিলাম। শরৎবাবু উত্তরে আমায় বললেন,
‘ শিবরাম টাকা দিয়ে কী করবে? বিয়ে-থা করেনি, কিচ্ছু না। ছেলেপুলে নেই, ঘর-সংসার নেই, টাকার তার কীসের দরকার?’
আমি বললাম তবু কিছু দিন অনুগ্রহ করে...। খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে ও। আজ আসবে ও কিছু টাকার আশায়। শুনে বললেন, ‘না না। এই বেনিফিট নাইটের বখরা ওকে দিতে যাব কেন? এ রাত্তিরে টিকিট বিক্রি হয়েছে আমার নামে। এর মধ্যে শিবরাম আসছে কোথা থেকে!’ বলে টাকার থলে নিয়ে একটু বেশিই তাড়াতাড়ি চলে গেলেন শরৎবাবু। হয়তো আপনার মুখোমুখি যাতে না হতে হয় সেই জন্যই।’’

শিশিরকুমারের কাছে এই কথা শুনে চুপ শিবরাম। কী বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না! মাথা নিচু করে ফিরে আসছেন।

পিছন থেকে ডাক দিলেন শিশিরকুমার, ‘‘দাঁড়ান একটু।’’ বলে একজনকে বললেন, ‘‘আমার চেকবইটা নিয়ে আয় তো।’’
চেকবই এল।
‘‘আমার অ্যাকাউন্টে কত আছে জানিস?’’
‘‘একশো কুড়ি টাকা।’’
‘‘শিবরামবাবু, আপনার নামের বানান বলুন।’’
‘‘আমার তো কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই।’’
‘‘বেশ তাহলে এই একশো কুড়ি টাকারই একটা সেলফ চেক কেটে দিলাম। আমার আর কিছু নেই, বিশ্বাস করুন, থাকলে সেটুকুও দিতাম। কিছু মনে করবেন না।’’

সেই চেক হাতে নিয়ে ক্ষতবিক্ষত মনে ফিরে এসেছিলেন শিবরাম। কথাশিল্পীর প্রতি জমে ওঠা এত দিনের শ্রদ্ধা যেন চোখের সামনে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল। যে শিবরাম কখনও কারও নিন্দা করেননি, সেই তিনিও ‘দরদি’ কথাশিল্পীর অমন আঘাত ভুলতে পারেননি শেষ দিন পর্যন্ত..🌸

♦️ ঋণস্বীকার ~ ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা, ভালবাসা পৃথিবী ঈশ্বর (শিবরাম চক্রবর্তী)🌿

♦️ তথ্যসূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা [ https://www.anandabazar.com/patrika/chakraborty-real-life-stories-on-shibram-chakraborty-1.430399 ]

© এক যে ছিলো নেতা

| ে_ছিলো_নেতা |

14/09/2022

ছয়ের দশকে কোনও সরকারি অভয়ারণ্যের প্রত্যাশা না করেই, পুরস্কার ও কলমচিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে তিনি রেখে গেলেন সৃষ্টির .....

13/09/2022

গোদার নেই?😢

13/09/2022

অনেক পুরোনো দিনের কথা | বিএ পাশ করে হরিণাভির একটি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন এক তরুণ | একদিন ক্লাসের ফাঁকে স্টাফরুমে বসে আছেন, হঠাৎ একটি অল্পবয়সি ছেলে এসে বলল, চলুন,আমরা দু’জনে মিলে একটা বই লিখি।

সেই তরুণ শিক্ষক মনে মনে হাসলেন | ভাবলেন বই তো দূর অস্ত, কোনও দিন কোনও গল্প, প্রবন্ধ লেখার কথাও তাঁর মাথায় আসেনি | এই ভেবে ওই অল্পবয়সি ছেলেটিকে বারণ করে দিলেন তিনি |

সেই ছেলেটিও ছাড়ার পাত্র নয় | পরের দিন স্কুলে পৌঁছে সেই শিক্ষক দেখেন, যেখানে-সেখানে সাঁটা বিজ্ঞাপন |‘‘শীঘ্র প্রকাশিত হইতেছে....শীঘ্র প্রকাশিত হইতেছে উপন্যাস।’’ সেই শিক্ষকের বুঝতে বাকি রইল না এটা কার কাজ ! মনে মনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি | একবার হাতে পেলে হয় সেই ছেলেকে | অন্যদিকে সহকর্মীদেরও চোখে পড়ল সেই বিজ্ঞাপন | অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, বাঃ, মশাই! আপনি তো বেশ গোপন রসিক দেখছি। তা কবে বেরোচ্ছে উপন্যাস?

কিছুক্ষণ পরেই সেই শিক্ষকের সাথে হঠাৎ দেখা সেই ছেলেটির | ছেলেটাকে কার্যত কলার চেপে বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে এইসব রসিকতার মানে কি ? কোন প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছেয় সে এ সব করল ! তাতে ছেলেটি একটুও উত্তেজিত না হয়ে বলেছিল, ভেবেছিলাম দু’জনে মিলে লিখে ফেলব, আর উপন্যাসের নামও ঠিক করে ফেলেছি - ‘চঞ্চলা’ | তার এই ভাবলেশহীন উত্তরে আর কিছু বলতে পারেননি শিক্ষক মশাই |

এদিকে রোজই রাস্তায়, বাজারে, স্কুলে, সকলের একই প্রশ্ন— কবে বেরোচ্ছে উপন্যাস ? কাউকে বলতে পারছেন না যে উপন্যাস তো দূর অস্ত, এমনকী তিনি যে আদৌ লেখক নন, বিজ্ঞাপনটা পুরো মিথ্যে |
একদিন ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেল শিক্ষকের | রাতে রাগের চোটে কাগজ-কলম নিয়ে বসে একটি ছোট গল্প লিখলেন। পাঠিয়ে দিলেন কলকাতার একটি মাসিক পত্রিকায় | পত্রিকার নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে একটি ঠিকানা লেখা খাম স্ট্যাম্প সেঁটে পাঠালেন |

তিন দিন পর থেকেই অপেক্ষা। দুরু দুরু বুকে স্কুলে বসে ভাবছেন এই বুঝি খাম ভর্তি অমনোনীত গল্প ফেরত এল | প্রায় সপ্তাহ তিনেক পর সেই খাম এল | দেখামাত্র তিনি খামটা পকেটে চালান করে দিলেন | রাতে বাড়ি ফিরে খুললেন সেই খাম | পেলেন একটি চিঠি | সম্পাদক মশাই লিখেছেন, “আপনার রচনা মনোনীত হয়েছে, শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।”

১৩২৮, মাঘ মাসের ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় সেই গল্প | সেটি ছিল তাঁর প্রথম গল্প | নাম ‘উপেক্ষিতা’। এই গল্পটি সেই বছর শ্রেষ্ঠ গল্পের পুরস্কারও ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তীকালে সেই শিক্ষক তাঁর এক বন্ধুকে বলেছিলেন, ছেলেটি (সেই ছেলেটির আসল নাম ছিল যতীন্দ্রমোহন রায়) বোধহয় ঈশ্বরের দূত হয়ে সে দিন তাঁর কাছে এসেছিল। ওই বিজ্ঞাপন কাণ্ডটি না ঘটলে তিনি কোনও দিন লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না |

চিনতে পারলেন সেই শিক্ষককে ?
পরবর্তীতে তিনিই লিখেছিলেন পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ‍্যক, ইছামতী, অশনি সংকেত, চাঁদের পাহাড়, সুন্দরবনে সাতবছর, মেঘমল্লার প্রভৃতি বিভিন্ন কালজয়ী গ্রন্থ |

তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | বাংলার সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক | জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য |

তথ্য : অচেনা বিভূতি (আনন্দবাজার পত্রিকা)
ছবি - সহধর্মিণী রমা দেবীর সঙ্গে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রকাশিত হল-'মন ভালো রাখতে কাউন্সেলিং'লেখক- ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার ।
05/08/2022

প্রকাশিত হল-

'মন ভালো রাখতে কাউন্সেলিং'

লেখক- ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার ।

প্রকাশিত হল -'ষাট ও সত্তর দশকের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলা কথাসাহিত্য'লেখক- অরূপকুমার দাস বইটি পাওয়া যাবে -কলেজ স্ট্রিটে...
05/08/2022

প্রকাশিত হল -

'ষাট ও সত্তর দশকের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলা কথাসাহিত্য'
লেখক- অরূপকুমার দাস

বইটি পাওয়া যাবে -কলেজ স্ট্রিটের দে বুক স্টোর(দীপুদা) ও ধ্যানবিন্দু'তে ।

02/08/2022

WhatsApp Group Invite

24/07/2022

Sahitya Akademi's Webline Literature Series under Ek Bharat Shreshtha Bharat organises "Poets Meet : Tamil-Marathi Poetry Reading" on 27 July 2022 at 10AM.

Amrit Mahotsav, Kishan Reddy Gangapuram, Arjun Ram Meghwal, Meenakshi Lekhi, Ministry of Culture, Government of India, Sreenivasarao Kruthiventi, Press Information Bureau - PIB, Government of India, Ministry of Information & Broadcasting, Government of India, Doordarshan National (DD1)

20/07/2022
19/07/2022

#আজ থেকে আমাদের এবছরের সংখ্যার জন্য লেখা নেওয়া শুরু হলো এবং তা নেওয়া হবে আগামী এক মাস ধরে অর্থাৎ 10th AUGUST 2022 পর্যন্ত l লেখার বিষয়বস্তু, বৈশিষ্ট্য, ধরন নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই তবে, মাথায় রাখবেন আপনার লেখা যেন আমাদের কাছেও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে আর সেটা যেন ওই তথাকথিত ধরন ছেড়ে একটা নতুন কিছু সৃষ্টি করার বা একটা অভ্যাসগত বেড়ি ভাঙ্গার ক্ষমতা রাখে l প্রতি বছরই গল্প, অনুগল্প, কবিতা, নাটক, ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদির পাশাপাশি আমরা কিছু নতুন ধরনের লেখাও পেয়ে থাকি যেমন- ডায়েরী, খোলাচিঠি, প্রতিবেদন, স্থানীয় ইতিহাস, গবেষণামূলক প্রবন্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি l আশা করি, এই বছরও এই বিষয়গত-আঙ্গিকগত বৈচিত্র্যের সংখ্যা আরো বাড়বে l

*লেখা জমা দিতে হবে বাংলা টাইপ করে মেল বডিতে বা Messageবডিতে বা টাইপ করার পর পিডিএফ করে বা ওয়ার্ড ডকুমেন্টে। হাতে লিখে , ছবি তুলে পাঠানো বা লেখা গ্রহণযোগ্য হবে না। শিল্পীরা প্রথমে বিষয়গত নাম, তারপর নিজের নাম, নিজের ঠিকানা, ফোন নাম্বার লিখবেন। এরপর আপনার মূল লেখাটি লিখবেন।

*প্রত্যেক লেখক/লেখিকা যতিচিহ্ন, বানান ও বিশেষত ব্যাকরণের দিকে বিশেষভাবে নজর দেবেন , বাকিটা আমরা দায়িত্ব সহকারে পালন করার চেষ্টা করব ।

*লেখা পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই মনোনীত লেখক-লেখিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

*আর হ্যাঁ, প্রতিবছরই যেটা হয় - যেমন, লেখা নেওয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও অনেকে দিয়ে থাকেন এবং আমরা অনেকক্ষেত্রে নিয়ে থাকি, তাদের নিরাশ করিনা কিন্তু এবছর যথাযথ সময়ের মধ্যে না দিলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে l তাই আর দেরি না করে আপনার লেখাটি সঠিক পদ্ধতিতে উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিন এবং কোনোরকম প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন l

1. রাহুল - 8617719846
2. অনির্বাণ- 9038488990, 8617227956

#আগের বছরের মতন এবছরও থাকছে চমক l সেগুলো সময় মতো ক্রমশ প্রকাশ্য l লেখা জমা দিন এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে - 8961137783 (রাহুল পাত্র) l আবারও বলছি, দেরি করবেন না l লেখা জমা নেওয়ার সময়সীমা কিন্তু 10 AUGUST 2022, রাত বারোটা পর্যন্ত l আরেকটি বিষয় হল, এটি কোনো অনলাইন বা পিডিএফ সংস্করণ নয়. মুদ্রিত সংখ্যা হিসেবেই প্রকাশিত হবে l

*লেখাটি নির্বাচিত হলে পত্রিকা মূল্য বাবদ 60 টাকা আমাদের অগ্রিম দিয়ে দিতে হবে অনলাইনে। কোন একাউন্টে দিতে হবে, কিভাবে দিতে হবে, যাবতীয় তথ্য দিয়ে দেওয়া হবে সময়মত। এটা আমরা করতাম না কিন্তু বাধ্য হলাম কারণ গত সাতবছর ধরে পত্রিকা করতে গিয়ে দেখেছি লেখা সিলেকশন হয়ে, ছাপা হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই পত্রিকার আর কোনো খোঁজখবরই নেন না । সুতরাং ,এবার থেকে আমরা এই পদ্ধতিই অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । আর বিষয়টি ভালো করে বুঝে নিয়েই আমাদের লেখা পাঠাবেন, কোনোরকম অসুবিধা থাকলে যোগাযোগ করতেই পারেন ।পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো প্রান্ত থেকে বইটি সংগ্রহ করতে হলে অতি অল্প টাকায় কুরিয়ার চার্জ দিয়ে লেখক/লেখিকাকে তার কপি সংগ্রহ করে নিতে হবে।

*আশা করি, বোঝাতে পেরেছি. এছাড়াও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই ফোন করতে পারেন। রাহুল পাত্র- 8617719846.

'সিন্ধুর স্বাদ ও সন্ধান  বাংলা ছোটগল্প' লেখক- অরূপকুমার দাসদাম-৩২০ টাকাব‌ইটি পাওয়া যাচ্ছে- দে বুকস্টোর ( দীপু),ধ্যানবিন...
23/04/2022

'সিন্ধুর স্বাদ ও সন্ধান
বাংলা ছোটগল্প'
লেখক- অরূপকুমার দাস

দাম-৩২০ টাকা

ব‌ইটি পাওয়া যাচ্ছে- দে বুকস্টোর ( দীপু),ধ্যানবিন্দু, ইতিকথা ব‌ইঘর, পাতাবাহার (ব‌ইদেশিক) এই বুকস্টল গুলিতে
‌‌
প্রয়োজনে- ৮০১৬১০০৯৮৫/৮৩৩৪৯২৭৮৯১

সুচন্দ্রা পালের রুদ্ধশ্বাস শিহরণ-জাগানো রোমাঞ্চকর ভৌতিক গল্প-সঙ্কলন "আতঙ্কের দশকাহন" পাওয়া যাচ্ছে কলকাতা বইমেলায়!আজই শেষ...
13/03/2022

সুচন্দ্রা পালের রুদ্ধশ্বাস শিহরণ-জাগানো রোমাঞ্চকর ভৌতিক গল্প-সঙ্কলন "আতঙ্কের দশকাহন" পাওয়া যাচ্ছে কলকাতা বইমেলায়!

আজই শেষ দিন সংগ্রহ করার: পাতাবাহার (স্টল-৫১৮)

বাড়িতে বসে কোনো ডেলিভারি ও শিপিং চার্জ ছাড়াই পেতে ক্লিক করুন: https://www.karulipi.com/our-books

কলকাতা বইমেলা ২০২২ এ প্রকাশিত হল সুচন্দ্রা পালের একক ভৌতিক গল্পের সংকলন "আতঙ্কের দশকাহন"।"Aatonker Doshkahon" a horror-stores collection by Suchandra Pa...

এপারের কবি ও অধ্যাপকের ভাবনায় ওপারের কবির মূল্যায়ন―এক অন্য ও অনন্য পাঠান্তর! #কবি_নির্মলেন্দু_গুণ
24/02/2022

এপারের কবি ও অধ্যাপকের ভাবনায় ওপারের কবির মূল্যায়ন―এক অন্য ও অনন্য পাঠান্তর!
#কবি_নির্মলেন্দু_গুণ

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Karulipi কারুলিপি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Karulipi কারুলিপি:

Videos

Share

Category



You may also like