04/01/2024
চন্দ্রকুহেলি
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের অরণ্যঘেরা অঞ্চলের এক রহস্যাবৃত কিংবদন্তি থেকে এই কাহিনি দানা বেঁধেছে। স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর আদিবাসীদের বিশ্বাস, এই জঙ্গল-পাহাড়ের গভীরে নাকি ‘কাভু’ নামে প্রচলিত এমন একটা জায়গা আছে, যেখানে এমনিতে কেউ যেতে পারে না, এমনকি কেউ খুঁজেও পায় না। কখনও কারও সামনে দৈবাৎ সেই স্থানের উদয় হয়। অপার্থিব জ্যোৎস্নার মধ্যে সেই মায়াবী জায়গায় নাকি পরীরা নামে। তারপর সেই কাভুর উপর উঠে তারা আপনমনে নাচে, আর এই সময় কেউ যদি সেখানে গিয়ে পড়ে তাহলে তার আর ফেরা হয় না। পরীরাই হয়তো তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। একদল তরুণ তরুণী এই লোককথা শুনে এর সত্যতা সম্বন্ধে তাদের কৌতূহল নিরসন করতে অকুস্থলে যাওয়া স্থির করে। তারপর কী হয়? কুড়িয়ে পাওয়া নীল রঙের পালকটা কি আদৌ কোনও অচেনা পাখির? নীল শাড়ি পরা মহিলার সঙ্গে তার কীসের যোগসূত্র? এক পূর্ণিমায় শিকার উৎসবের রাতে কি সব রহস্যের জট খুলবে নাকি আরও কোনও ভয়াল অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবে তারা?
------------------------------------------------------------------
এই দেশের গ্রাম-গ্রামান্তরে সেই কবে থেকেই ভয় আর ভয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা তেনাদের গা-ছমছমে উপস্থিতি। লক্ষণীয় বিষয়, আমাদের দেশজ ভূতেরা, গ্রাম-গঞ্জের লৌকিক কাহিনিতে প্রাচীনকাল থেকে রয়ে যাওয়া অশরীরিদের জায়গা নিচ্ছে রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার থেকে নেকড়ে-মানব, জম্বিরা। এই মাটির ভূতেরা কোথায় গেল তবে? তেনাদের কথা বলবে কে? চেনা মাটির অচেনা ভয়দের সঙ্গে এবার পরিচয়ের পালা পাঠকদের।
ছ’টি কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘চেনা মাটির অচেনা ভয়’ লৌকিক ভয়ের কাহিনি সংকলন, লিখেছেন ছ’জন দক্ষ কাহিনিকার। এই দেশের নানান অঞ্চল থেকে উঠে আসা এই কাহিনিগুলি পাঠকের মনে আমাদের এই দেশের মাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ভয়ালরসের রোমাঞ্চকে পুনরায় সঞ্চারিত করবে, এমনটাই আমাদের বিশ্বাস। চেনা মাটিতে অচেনা ভয়ের আঁচড় দীর্ঘস্থায়ী হোক, এই আশা। বইমেলাতে প্রকাশিত হতে চলেছে ‘চেনা মাটির অচেনা ভয়’ গ্রন্থটি। শীঘ্রই বিস্তারিত জানানো হবে।