বঙ্কু - BongQ

বঙ্কু - BongQ প্রথম বাঙালী Q***r ক্ষুদে পত্রিকা (Little Magazine)

Happy Father's Day from bongQ
19/06/2022

Happy Father's Day from bongQ

shuvo "Robi baar" sob bonkuder
09/05/2022

shuvo "Robi baar" sob bonkuder

HAPPY MOTHER'S  DAY
08/05/2022

HAPPY MOTHER'S DAY

Eid mubarak😄🌙
03/05/2022

Eid mubarak😄🌙

Gay New Year!! ...Gay = Happy!!
31/12/2021

Gay New Year!! ...Gay = Happy!!

30/12/2021

Sweet Christmas Gay commercial from Norway.----------------------------------------------------------------------------------------------Support my channel: ...

Wishing  you all Merry  and  ''Q***ry'' Christmas from বঙ্কু - BongQ
25/12/2021

Wishing you all Merry and ''Q***ry'' Christmas from বঙ্কু - BongQ

"গপ্পো: সৌরদীপ গুপ্ত"\\রূপকথা\\ (আগে বেরিয়েছিল স্বীকৃতি পত্রিকাতে । ধন্যবাদঃ সৌরদীপ গুপ্ত ও সুর্যদীপ্ত নাগকে )“অনেক অনেক...
24/08/2021

"গপ্পো: সৌরদীপ গুপ্ত"
\\রূপকথা\\
(আগে বেরিয়েছিল স্বীকৃতি পত্রিকাতে । ধন্যবাদঃ সৌরদীপ গুপ্ত ও সুর্যদীপ্ত নাগকে )

“অনেক অনেক দিন আগের কথা?” …

“কে জানে রূপকথা তো এভাবেই শুরু করতে হয়।”

“ধুর রূপকথা নাকি এটা?”

“কে জানে ?

এক যে ছিল কেশবতী রাজকন্যা। তার চুল একঢাল কালো ঝর্ণার মতো নেমে আসত, চারতলার ফ্ল্যাটের ব্যাল্কনি থেকে।”

“ফ্ল্যাটে? রূপকথার ফ্ল্যাট?”

“হ্যাঁ গো, মিনার-টিনার কি আজকাল আর চলে, বলে কিনা ফেলুদাও মোবাইল নিয়েছে।”

“ধুর, তোমার সব তাতে বদমাইশি। র‍্যাপুঞ্জেলের গল্প বলছ বুঝি?”

“এই তো ধরে ফেলেছে।”

“ধুর ও তো সবাই জানে। নতুন কিছু বল।”

“নতুনই তো। তখন বে থা হয়ে গেছে। কেশবতী রোজ ছেলেকে নিয়ে ইস্কুলে যায়। রাজপুত্র চাকরী করে, মাসমাইনের সাথে উপরি নিয়ে বাড়ি ঢোকে, ডাক্তারদের সকাল বিকেল গালিগালাজ করে, আর যেকোনো নতুন কিছুর সন্ধান পেলে ফেসবুকে ঝড় তোলে, গেলো গেলো রব করে।”

“যাঃ!!”

“চার্মিং স্ট্যাটাস ধরে রাখতে হবে না। তবে দুজনে দুজনকে এখনও খুব ভালোবাসে। এই গল্পে পরকীয়া নেই।”

“গল্পটা কই?”

“আসছি আসছি। তো ইস্কুলের মায়েদের সাথে কেশবতী বিউটিপার্লার যায়, পিকনিক করে, একদিন হঠাৎ তার মনে হল, ববছাঁট দিলে কেমন হয়?”

“যা ভাবা সেই কাজ, চুল ছেঁটে বিক্কিরি করে দিল র‍্যাপুঞ্জেল?”

“হ্যাঁ।”

“তারপর।”

“আর কি বিকেলে রাজপুত্র এসে দেখে খুব খুশী, রাতে সেদিন মোড়ের দোকানের চিলি চিকেন খাওয়া হল।”

“ধুস! এটা গল্প?”

“তারপর হয়েছে কি? সেই ডাইনি বুড়ি তো আজকাল একটা গ্রুমিং সালোঁ চালায়। চুলের গোছ হাত ঘুরতে ঘুরতে গেল সেই ডাইনি বুড়ির হাতে। ডাইনি বুড়ি দেখে খুব খুশী। চুল ঘাটল, চুল বাঁধল তারপর একটা উইগ বানিয়ে ডিসপ্লেতে রেখে দিল।”

“তারপর?”

“সেই উইগ কিনল একটি ছেলে, মনে মনে সে একটি রাজকন্যা। তারপর মাথায় পরে বসল আরেকটা ফ্ল্যাটবাড়ির আরেকটা চারতলার ব্যাল্কনিতে।”

“অ্যাঁ!!”

“হ্যাঁ, নিচে দিয়ে যাচ্ছিল এক রাখালবালক। হঠাৎ অন্ধকার করে তার ওপর একঢাল চুল এসে পড়ল। সে তো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দেখল, দেখল, দেখতেই থাকল। চুলের গুন কিনা কে জানে, ছেলেটিকে সে মন দিয়ে ফেলল। তারপর থেকে রোজদিন সে সেই পথে যায়, আর উপরের দিকে তাকিয়ে থাকে।

একদিন সাহস করে বলল, আসব?”

“ইশ !!”

“ছেলে রাজকন্যা তো অবাক। সবাই তাকে দুচ্ছাই করে এসেছে এতদিন। এ কেন তবে ঘরে আসতে চায়? সে ভয় পেল, লজ্জাও, কিন্তু বলে দিল, এসো!!”

“তারপর বুঝি তাদের বিয়ে হল?”

“নাহ! রাখাল উপরে গিয়ে দেখে ছেলে, কিন্তু কথা বলে তার বড় ভালো লাগল। ভাবল, আহারে মনটা তো ভালো। আর প্রেম তো থাকে মনে। কাজেই প্রেম বেড়ে গেলো তার। সে বলল, ‘মে আই’, বলে যেই হাতে একটা চুমু খেয়েছে, হটাৎ গেল গেল বলে মন্ত্রী সান্ত্রী সেপাই পেয়াদা সব দৌড়ে এল।”

“কেন?”

“কে জানে কেন? কাজি বিধান দিলেন রাখালের সাত দিনের জেল, আর দুবছরের ফাঁসী। আর সেই ছেলেটিকে রাখা হোক সেই ডাইনিবুড়ির মিনারে। রাজপুত্র খবর পড়ে বলল, ছিছি কি অনাচার। কেশবতী খবর পড়ে বলল, ম্যাগো!!”

“তারপর?”

“রাখালের ফাঁসী হল। আর দেশবাসী শান্তিতে ঘর করতে লাগল।”

“ধুর, তুমি রূপকথা শেষ করতে পার না। আমি করছি। হয়েছে কি? এক শুকপাখী ছিল সে দেশে, সে খবর দিল বাকি পাখিদের। তারপর রাখালকে যেই ঝোলাল, অমনি তার পায়ের তলায় পাখিরা উড়তে শুরু করল। পাখীর গালিচা, তাকে নিয়ে চলে গেল সেই মিনারে। তারপর থেকে তারা মিনারেই থাকে। চারদিকের বন ঘন হয়ে উঠে রক্ষা করছে তাদের সেই থেকে।”

“আর?”

“রাজপুত্র আর কেশবতী এখন বুড়ো হয়েছে। ছোট্ট রাজপুত্র তাদের সাথে আর থাকে না। সে পক্ষীরাজে চড়ে বিদেশে গিয়ে সংসার পেতেছে। উজির নাজিররা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। আর হুই দূরে যেখানে রামধনু ওঠে, সেখানে বনদেবীর আশীর্বাদে রাখাল আর ছেলে রাজকন্যা সুখে আছে, তাদের বয়েস বাড়ে না।“

https://bongqthemagazine.wordpress.com/2021/01/05/%e0%a6%97%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8b-%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%aa/

রূপকথা            (আগে বেরিয়েছিল স্বীকৃতি পত্রিকাতে । ধন্যবাদঃ সৌরদীপ গুপ্ত ও সুর্যদীপ্ত নাগ ) “অনেক অনেক দিন আগের কথা...

আড্ডাখানাঃ এক ক্ষুদে বন্ধু ‘অভিলাষার’ সাথে আড্ডা-- Deb Baruaমামা দেব বড়ুয়ার  সাথে ভাগ্নি অভিলাষা রায়দেব বড়ুয়াকে সকলেই চে...
28/07/2021

আড্ডাখানাঃ এক ক্ষুদে বন্ধু ‘অভিলাষার’ সাথে আড্ডা-- Deb Barua
মামা দেব বড়ুয়ার সাথে ভাগ্নি অভিলাষা রায়

দেব বড়ুয়াকে সকলেই চেনে। শর্ট-ফিল্মমেকার, ফটোগ্রাফার, নাচ-গান আরও কত কি যে করে। কিন্তু সকলে জানে না ওর একটা চুলবুলি ভাগ্নি আছে …অভিলাষা রায়। বয়স ১০।ছোটোদের মনে ব্যাপারটা কতটা আপনে এসে যায় কতটা আমরা দানা বাঁধিয়ে দিই -জানতে চেয়েই আড্ডা দিলাম আমাদের এই ক্ষুদে বন্ধুটির সাথে।অনেক ধন্যবাদ অভিলাষাকে আর দেবকে এই আড্ডাটার জন্যে।

#তোমাদের বইতে কী আছে? জেন্ডার কয় প্রকার ও কিকি?
অভিলাষা: হ্যাঁ আছে। জেন্ডার চার প্রকার পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ, ক্লীবলিঙ্গ, উভলিঙ্গ।

#ঋতুপর্ন ঘোষকে জানো? ওনার কোনো সিনেমা দেখেছ? দেখলে কোনটা পছন্দ?
অভিলাষা: হ্যাঁ ঋতুপর্ন ঘোষকে জানি। ওনার সিনেমা দেখেছি। চোখের বালি।
#ওনার প্রোনাউন (pronoun) কি লিখবে He/Him নাকি She/Her ?
অভিলাষা: she/ her লিখবো।

#তোমার কোনও বন্ধু যদি এমন হয় তুমি কি তার সাথে বন্ধুত্ব রাখবে? লোকের সামনে ওর সাথে কথা বলতে কেমন কেমন লাগবেনা?
অভিলাষা: বন্ধুত্ব কেন রাখবো না নিশ্চয়ই রাখবো।
কেমন কেমন হয়তো একটু লাগতে পারে তবে সবার আগে সে আমার বন্ধু তাই কথা বলবো।

#ছেলেদের কাজ কি কি মেয়েদের কাজ কি কি … ছেলেরা বাইরের কাজ করবে মেয়েরা ঘরের কাজ -সেটা তুমি মানো?
অভিলাষা: একদম না । ছেলেরা যা কাজ করে তার সাথে মেয়েদের কাজও করতে পারে… আবার মেয়েরাও যা কাজ করে তার সাথে ছেলেদের কাজ গুলোও করতে পারে।

#ছেলেদের কাজ আর মেয়েদের কাজ কি আলাদা হওয়া উচিত?
অভিলাষা:একদমই না।

#ছেলে যদি নাচ করে মেয়ে যদি বাইক চালায় কেমন হবে?
অভিলাষা: আমার মতে ঠিকঠাকই থাকবে। কারণ ছেলেরা যদি নাচ করতে চায় করতেই পারে মেয়েরা বাইক চালাতে চাইলে চালাতে পারে। কোন অসুবিধে নেই। এটা আর পুরনো যুগ নয়।

#যদি কোনো ছেলে প্যান্ট শার্ট না প’রে মেয়েদের মতো পোশাক পরে বা কোনো মেয়ে শাড়ি না পরে ছেলেদের পোশাক পরতে চায় -তাহলে সেটা কি খারাপ?
অভিলাষা: যদি কোনো নাটক বা অভিনয়ের জন্যে ছেলেরা মেয়েদের পোশাক পরে তখন অতটা প্রবলেম হয়না …কিন্তু যদি এমনি রাস্তায় কোনও ছেলে শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ায় তখন একটু কেমন কেমন লাগে।
কিন্তু মেয়েরা ছেলেদের ড্রেস পরতেই পারে ততটা কেমন কেমন লাগেনা।

#ছেলেদের রঙ আর মেয়েদের রঙ কি কি ?
অভিলাষা: ছেলেদের রঙ হালকা রঙ যেমন হলুদ সাদা আর মেয়েদের যেমন পিংক।

#ছেলেদের খেলনা আর মেয়েদের খেলনা কি কি হয়?- এরকম কেন?
অভিলাষা: ছেলেদের খেলনা হল গাড়ি, ব্যাট-বল আর মেয়েদের পুতুল। এরকম কেন জানিনা তবে আমি দেখেছি ছেলেদের যদি তুমি পুতুল দাও তাহলে ওরা দূর করে দেবে কিন্তু গাড়ি দিলে সেটা চালাতে শুরু করে দেবে। আর মেয়েদের আবার গাড়ি দিলে মন পোষাবে না তারা পুতুল পেলে খুশী হয়।

#এরকম কেন হয়?
অভিলাষা: তা জানিনা তবে এরকমই হয়ে আসছে।

#কেউ যদি অন্য খেলনা বা রঙ …যদি উলটোটা কেউ পছন্দ করে? তোমার কি মত?
অভিলাষা: এটাতে আমি কিছু বলতে পারিনা। যে ছেলেটা বা যে মেয়েটা থাকবে তার নিজের মতটাই বেশী দরকার। তার যা ভালো লাগে তাই ভালো।

#ভাইরা বেশী বেশী চকলেট বেশী খাবার পাবে বোনেরা কম পাবে এমন হওয়া কি উচিত?
অভিলাষা: না একদম না ভাইরা কেন সবসময় বেশী বেশী পাবে? ভাইটাও মানুষ বোনটাও মানুষ দুজনেরই সমান পাওয়া উচিত।

#যদি রূপকথার গল্পে রাজপুত্র কোনো রাজকন্যাকে বিয়ে না ক’রে আরেকজন রাজপুত্রকে বিয়ে করতে চাইত -কেমন হতো?
অভিলাষা: আমার পক্ষে একটু খানি আজব হতো। কিন্তু তার ইচ্ছা যে যা চাইবে তাই হবে তাই ভালো।
————-
#মামাকে কতটা ভালোবাসো মামা তোমায় কতটা ভালোবাসে?
অভিলাষা: আমি মামাকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি। আর মামা তো আমাকে অনেক ভালোবাসে। এই জন্যেই তো আমাকে নিয়ে এরকম বিভিন্ন চ্যানেলে কাজ করে।

#মামার কোন ব্যাপারটা স্পেশাল বলে মনে হয়?
অভিলাষা: এই যে মামা নাচ তার সঙ্গে গান অভিনয় এতো কিছু করে এগুলো আমার খুব ভালো লাগে।

#তোমার মামা কি অন্যদের মামা বা কাকুদের থেকে একটু আলাদা?
অভিলাষা: হ্যাঁ একটু আলাদা তো হবেই। অন্যদের মামা বা কাকুরা এতো স্পেশাল বা এতো ফেমাস নয় আমার মামা যেমন স্পেশাল।

#তোমার মামা না হয়ে অন্য কোনো লোক যদি ‘এরকম’ হতো তাকেও কি সম্মান করবে? নাকি পাগল ভাববে?
অভিলাষা: কেন করবো না! … আমি আমার মামাকে খুব সম্মান করি …অন্য কেউ যদি মামার মতো হতো তাকেও সম্মান করতাম।
পাগল ভাববো কেন? আমি কি আমার মামাকে পাগল ভাবি যে ঐ অন্য মানুষটাকে পাগল ভাববো ?

#মামার জন্যে স্কুলে বা অন্য কোথাও কেউ তোমাকে খেপিয়েছে বা বাজে কথা শুনতে হয়েছে?
অভিলাষা: একদমই না।

#ফ্যামিলিতে মামাকে নিয়ে কোনো খারাপ কথা কেউ বলেছে কখনো? মামাকে কেউ বকেছে?
অভিলাষা: কখনই কেউ এরকম খারাপ কথা আমার ফ্যামিলিতে কেউ বলতে পারে না। ফ্যামিলি বলতে আমি আমার বাবামাকে বলছি কারণ বাকি সবার কথা আমি জানিনা…আমার বাবামা বরং সাপোর্ট করে এই নিয়ে কেউ খেপায়না।

#মামা ছাড়া এরকম লোক আর কাউকে চেনো?
অভিলাষা: না সেরকম কাউকে তো চিনিনা।

#আচ্ছা অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
অভিলাষা: থ্যাংক ইউ।

https://bongqthemagazine.wordpress.com/2021/07/27/%e0%a6%86%e0%a6%a1%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%83-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d/

মামা দেব বড়ুয়ার সাথে ভাগ্নি অভিলাষা রায় দেব বড়ুয়াকে সকলেই চেনে। শর্ট-ফিল্মমেকার, ফটোগ্রাফার, নাচ-গান আরও কত কি যে .....

সিনেভিউ: অরিজিত/ In a heart beat (2017)//দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি//দিল, ‘ইন আ হার্টবিট’ মানেই হল মন যা বলে তাই। মানে যা সহ...
15/06/2021

সিনেভিউ: অরিজিত/ In a heart beat (2017)
//দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি//

দিল, ‘ইন আ হার্টবিট’ মানেই হল মন যা বলে তাই। মানে যা সহজাত। মাথার কাজ হল বিচার করে বুদ্ধি দিয়ে এগোনো আর মন? মন কি সে কথা শোনে? মন মনের মতো চলে। যার যেথা মজে মন কিবা হাড়ি কিবা ডোম। কিবা ছেলে কিবা মেয়ে।
বুদ্ধি দিয়ে অনেক কিছুই আটকে রাখা যায়। যে কাজ করতে মন নেই, যা বলতে চাইনা – এরকম অনেক কিছুই আটকে রেখে ‘তবুও করতে হবে’ করে করা যায়। কিন্তু ভালবাসা? সেতো মনের খেলা। সেখানে বুদ্ধি করে নিজেকে দিয়ে ভালো বাসানো যায় না। সাহস করে এগতে হয়। মাথাকে মনের হেল্প করে দিতে হয়। মনের পথে বাধা বিপত্তি যা আসবে মাথা সেটাকে এড়িয়ে চলার বুদ্ধি জোগাবে এটাই কথা।

এই ছোট্ট গল্পটার কিছু ব্যাখ্যা করার দরকার নেই। সোজা সাপ্টা, মুখে হালকা আনন্দ, তবুও কাঁদিয়ে ছাড়ে। চোখ থেকে টসটস ঝরবেই। চলন, রঙ আর সুর মিলিয়ে এমন একটা আবেগ তৈরি করে।

ইসকুলে পরা একটা ছেলে প্রোটাগনিস্ট। আরেকটা ছেলেকে তার ভালো লাগে কিন্তু বলতে পারেনা। মনটা ধুকপুক করতে করতে সেই ছেলেটার কাছে গিয়ে সেকথা বলে ফেলে। কিন্তু এই পৃথিবীতে কোনো কিছুই এতো সহজ নয়। লোকের চোখ রাঙ্গানি, বাজে ভাবে তাকানো এসব চলে আসে বাধা হয়ে, লজ্জা হয়ে। ছেলে হয়ে ছেলেকে ভালোবাসা? সমাজ কি বলবে? ছিঃ! কিন্তু রাক্ষস তো প্রেমের গল্পে থাকবেই। তবে দুজন যদি একে-অপরের পাশে থাকে আর কোনো কিছুর পরোয়া করার দরকার আছে কি? দুজনে মিলে সবার সাথে যুঝে নেওয়া যাবে।

ফিল্মটা সবদিক থেকেই অন্য রকমের, ‘জরা হাটকে’। ‘রিংলিং’ কলেজ থেকে দুজন পড়ুয়া ‘এস্তাবান ব্রাভো’ আর ‘বেথ ডেভিড’ তাদের ফাইনাল গ্র্যাজুয়েশন প্রজেক্ট হিসেবে বানিয়েছে এই ফিল্ম। এই দিক থেকে একরকম ‘জরা হাটকেই’ বটে। আবার ইউটিউবে দেওয়ার সাথে সাথে ২০,০০০,০০০ থেকে ৩০,০০০,০০০ হিট ছুঁয়ে ফেলেছে এই ফিল্ম। এটা বলতেই হবে আরেকটা ‘জরা হাটকে’। যে পরিমান পপুলার হয়েছে আর যে দুর্দান্ত কোয়ালিটি ওরা ইউস করেছে তারপরেও অস্কারে গেলনা ফিল্মটা এটাই দুঃখের। আর সাবজেক্ট? সমপ্রেম নিয়ে বাচ্চাদের মতো করে মিষ্টি একটা ছবি, মন দেওয়া নেওয়া নিয়ে এতো সুন্দর কনসেপ্ট, মন ভরে যায়। আসলে যেকোনো প্রেমই তো বাচ্চাদের মতো নিষ্পাপ আর পবিত্র তা নয় কি?

প্রেম আর মন দেওয়া নেওয়া বোঝাতে গিয়ে ‘এস্তাবান আর বেথ’ একটা সত্যি ‘মন’ এঁকেছে আক্ষরিক অর্থেই মন। আর পাঁচজনের মতো প্রথম প্রেমে সেই ছেলেটাও কন্ট্রোল করতে পারেনা। তার হৃদয় বুক থেকে বেড়িয়ে ভেসে চলে যায় ঐ আরেকটা ছেলের দিকে। আমার তো হিংসে হয় এই ইয়ং গ্র্যাজুয়েট ছাত্র দুটো এই ফিল্মটা বানাল কি করে। কি অসাধারন আইডিয়া। তাদের থেকে আগামীতে আরো পাবার আশা বেড়ে গেলো।

https://bongqthemagazine.wordpress.com/2021/01/05/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4/

In a heart beat //দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি// দিল, ‘ইন আ হার্টবিট’ মানেই হল মন যা বলে তাই। মানে যা সহজাত। মাথার কাজ হল বিচার করে বুদ....

"গপ্পো: লকডাউন" --বাবুপর্ব ১ :-ওরলির রানওয়ে ছেড়ে প্লেনটা ভারতের আকাশ পথ ধরলো। এর কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে ঋক সিটবেল্ট খুলে ল্...
11/06/2021

"গপ্পো: লকডাউন"
--বাবু

পর্ব ১ :-

ওরলির রানওয়ে ছেড়ে প্লেনটা ভারতের আকাশ পথ ধরলো। এর কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে ঋক সিটবেল্ট খুলে ল্যাপটপটা খুলে বসলো। ককপিট থেকে পাইলট তখন নিজের ও কো-পাইলটের পরিচয় দিয়ে প্যারিসের আবহাওয়ার বর্ননা করছে এবং সবশেষে গন্তব্যস্থল ভারতের পরিচয় দিয়ে ঘোষণা শেষ করলো। দীর্ঘ চার বছর পর ঋক আবার দেশে ফিরছে।এই কয় বছরে দেশের সাথে বাড়ির সাথে সম্পর্ক বলতে ছিলো বোন আর লতাপিসির ফোন। মা-বাবা যেন ওকে এক রকম ভুলেই গেছে। অবশ্য ওদেরও দোষ দেওয়া যায়না, ও তো এই মানুষ দুজনকে কম দুঃখ দেয়নি। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ও ল্যাপটপে চলা সিনেমাটায় মন দিলো।

কয়দিন ধরেই ও শুনছিল করোনা ভাইরাস কিভাবে চীন থেকে ক্রমশ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, কব্জা করে নিচ্ছে গোটা পৃথিবীকে। বাঁচার একমাত্র উপায় মানুষে মানুষে ছোঁয়া বাঁচিয়ে চলা। তাই প্রত্যেকটি দেশ পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে।প্যারিসেও আর কয়েক দিনের মধ্যে লকডাউন শুরু হয়ে যাবে।এই দেশে ওর একমাত্র বাঙালি বন্ধু ছিল দিব্য। ওই বলেছিলো সময় থাকতে দেশে ফেরার কথা। কিন্তু ঋক এদেশে থাকাই স্থির করেছিলো। এরপর হঠাৎই বোনের ফোন আসে, সবাই ওর জন্য টেনশন করছে।এ কথা সে কথার পর বোন ওকে বলেছিলো–’দাদা এইবার বাড়ি আয়রে। মানুষ দুটো বুড়ো হয়েছে,ওরা আর আগের মতো নেই।সব ভুলে এইবার বাড়ি ফিরে আয়’। বোনের কথাটা ও আর ফেলতে পারেনি।

এই প্লেনে আজ দুজন বিখ্যাত ব্যক্তি সফর করছে তারই ঘোষণা চলছে।এদের মধ্যে একজন জনপ্রিয় বলিউড তারকা এবং ওপরজন পৃথিবী বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ঋকরাজ চ্যাটার্জী অর্থাৎ ও নিজে।ঋক উঠে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করে সবাইকে নমস্কার করলো।ওর ক্লদিং লাইন ‘দ্য আউট লুক’ আজ পৃথিবীর নামজাদা ব্র্যান্ডগুলোর সাথে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। টাকা-পয়সা, সাফল্য সবই আজ ওর হাতে ধরা দিয়েছে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও ওর মনে শান্তি নেই।ওর নিজেকে স্বার্থপর মনেহয়।ওর নিজের পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে ও মা-বাবার কথা মনেই রাখেনি। তাই আজ এতো সাফল্য সন্মান পাওয়ার পরও ওর নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। হঠাৎ এই করোনা মহামারী,লকডাউন না আসলে আজও ও এদেশেই থেকে যেত। দীর্ঘ সময় যেন কয়েকটা যুগ বয়ে গেছে ওর জীবনে। সামনের ল্যাপটপের স্ক্রিনে চলা সিনেমা ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসে, তার বদলে একটু একটু করে ফুটে ওঠে ওর ফেলে আসা অতীত।

পর্ব ২ :-

ঋকরা থাকতো মধ্য কলকাতায়। জ্যাঠতুতো খুড়তুতো মিলে ওদের জমজমাট একান্নবর্তী পরিবার ছিলো। পেশায় সরকারি কর্মী বাবা ছিলেন এই পরিবারের চতুর্থ ভাই। আর মা ইংরেজির প্রফেসর, নামকরা কলেজে পড়াতেন। ওরা দুই ভাইবোন মা-বাবাকে প্রায় পেতোই না। ঋকরা বড়ো হয়েছে লতাপিসির কাছে। পিসি বাবাদের দূর সম্পর্কের বোন হয়। এই সংসারে পিসির আপন বলতে ছিলো ওরাই। বাড়ির ছোটদের সব দায়িত্ব ছিলো পিসির ওপর,আর সেই দায়িত্ব পিসি হাসিমুখেই সামলাতো।

ঋক ছোট থেকেই মুখচোরা শান্ত প্রকৃতির ছেলে। বাকি ভাইবোনদের সাথে খেলাধুলা বা হইচই করার থেকে গল্পেরবই পড়তে বা ছবি আঁকতে ও বেশি ভালোবাসতো। এর জন্য ওকে বাবা প্রায় বকুনি দিয়ে বলতেন–’ছেলে হয়েছিস কোথায় দাপিয়ে খেলাধুলা করবি, তা না মেয়েদের মতো ঘরে বসে থাকিস’।আর বোনকে বকা খেতে হতো ঠিক এর উল্টো কারণে। মেয়েদের নাকি ওতো হট্টোগোল করা উচিৎ নয়, সংসারে অলক্ষ্মী আসে। ও বুঝে পেতনা শুধু ছেলে বলেই কেন ওকে খেলতে হবে আর মেয়ে বলে বোনকে শান্ত হতে হবে। ঋকের খুব ভালো লাগতো পিসির পাশে বসে সেলাই-ফোড়াই বা উলবোনা দেখতে। ও পিসির কাছে বায়না করতো ওকেও শিখিয়ে দেওয়ার জন্য। পিসি ওকে অল্প বকুনি দিয়ে বলতো–’ধুর, বোকা ছেলে তুই কি শেষে মেয়ে মানুষের মতো ঘরে বসে সেলাই ফোড়াই করবি’। কিন্তু ঋকের নাছোড় বায়নার কাছে তাকে শেষ পর্যন্ত হার মানতেই হতো। আর ও যখন পিসির কাছে সেলাই অথবা উলকাঁটার কাজ শিখতো ,তখন ওর বোন রুমি ওদের বাড়ির পাশের মাঠে পাড়ার বাকি ছেলেদের সাথে ব্যাটে বলে ছক্কা মারতো। অবশ্য পিসি জানতো রুমি ঘুমিয়ে আছে।

সব ঠিক চলছিলো গোল বাঁধলো ওর জয়েন্টের ফল বেরানোর পর। ঋকের বাবার বরাবরের ইচ্ছা ছিলো ছেলেকে ডাক্তার বানানোর। বাবার চাপে ও সায়েন্স নিয়ে পড়াও চালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু তারপরই ও এন.আই.এফ.টির ফ্যাশান কোর্সের কথা জানতে পারে।ওর ইচ্ছা এই কোর্স করার।ও বড়ো ফ্যাশান ডিজাইনার হতে চায়। ও ভেবেছিলো ডাক্তারীতে ওর নাম উঠবেই না, কিন্তু ওকে ভুল প্রমান করে নামটা লিস্টে উঠে গেছিলো।ওই দিকে ফ্যাশন কোর্সের এ্যডমিশান টেস্টটা ও লুকিয়েই দিয়েছিলো, সেই লিস্টের প্রথম নামটাই ছিলো ওর। প্রথম কয়দিন ও কি করে বাড়িতে ওর ইচ্ছার কথাটা বলবে বুঝতে পারছিলো না। তারপর একদিন সাহস করে রাতে খাওয়ার টেবিলে ওর মনের কথাটা বলে ফেল্ল। প্রথমে সবাই ওর কথায় হতোভম্ব হয়ে গেছিলো, ভাবছিলো ও মজা করছে। কিন্তু যখন ভুল ভাঙ্গলো তখন বাবা রাগে ফেটে পড়েছিল। রাগের বশে ওকে সেদিন ওনেক কথা শুনতে হয়েছিলো। কথাগুলি আজও ঋকের মনে পড়ে। বাবা বলেছিলো —’চ্যাটার্জী বংশের কলঙ্ক তুই।তোর বাকি ভাইবোনরা যখন সন্মানের সাথে রোজগার করবে বিদেশে পাড়ি দেবে তুই তখন দর্জির দোকান খুলে বসবি। পুরুষ মানুষ হয়ে কুলাঙ্গারের মতো মেয়েদের কাপড়ের মাপ নিবি আর মেয়েলীপনা করে বেরাবি’ ইত্যাদি। ও মুখ নীচু করে সেদিন সব শুনেছিলো, শুধু দাঁত চেপে নিজের জেদ বজায় রাখতে।

অনেক রাতে মা ওর ঘরে এসে বলেছিলো— ‘বাবার ওপর রাগ করিস না। আসলে ওর মতে ওর নিজের ছেলে ডাক্তারীতে চান্স পেয়েও শেষে দর্জি হতে চায়। এটা মানতেই পারছে না। তুই তো জানিস ওর স্বপ্ন ছিলো তোকে বড়ো ডাক্তার বানানোর’।ঋক চোখের জল মুছে শুধু্ ওর মাকে বলেছিলো—’এই দর্জি হওয়াটাই আমার স্বপ্ন। তাতে আমায় পাড়ার মোড়ে দোকান দিতে হলে তাই দেবো’। এরপর হয়তো মাই বাবাকে বুঝিয়ে ছিলো। যাইহোক ও শেষমেশ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হয়ে গেছিলো। শুধু ভর্তির ফর্মে অভিভাবকের জায়গায় বাবার বদলে মার সাইন ছিলো। এরপর থেকে বাবা ওর সাথে কথা বলাও অনেক কমিয়ে দেয়। ঋক মনে মনে দুঃখ পেলেও ওর লক্ষ্য তখন নামকরা ডিজাইনার হওয়ার। তাই সব ভুলে ও ওর কেরিয়ারে মন দিয়েছিলো।

পর্ব ৩ :-

‘এক্সকিউস মি স্যার, ডু ইউ নিড এনিথিং?’ অতীতের স্মৃতি চারণ করতে করতে ঋকের চোখটা লেগে গেছিলো। এয়ারহোস্টেস গলার আওয়াজে ও চোখ খুলে ‘নো থ্যা্ংস’বলে উত্তর দিলো। হোস্টেস মেয়েটি অল্প হেসে চলে গেলে ও আবার চোখ বুজলো।

মনে আছে, ওর তখন ফ্যাশন কোর্সের সেকেন্ড ইয়ার চলছে। একদিন হঠাৎ ক্লাস অফ্ হয়ে যাওয়ায় ও প্রায় দুপুর দুপুর বাড়ি ফিরছিলো।এমন সময় অজিতদা পিছন থেকে ডেকে ওকে দাঁড়াতে বলে,ওর সাথে খুব জরুরি কথা আছে। অজিতদা হলো ওদের পাড়ার তরুণ দল ক্লাবের ক্রিকেট কোচ, আগে স্টেট লেভেলে খেলতো। কিন্তু পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এখন ওর একটাই কাজ খুদে ক্রিকেট প্রতিভাদের বড়ো করে তোলা।

অজিতদা এগিয়ে এসে ওর কাঁধে হাত রেখে বলেছিলো ‘তোদের ঘরে প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে, আমার ওকে চাই, তুই ব্যবস্থা করে দে।’ ঋক কথাটা শুনে প্রথমে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো কার কথা বলছো। উত্তরে অজিতদাই বলেছিলো রুমির মধ্যে নামকরা ক্রিকেটার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ও শুনেই না করে দিয়েছিলো।ওর এই ফ্যাশন কোর্সের জন্য বাড়িতে কত ঝামেলা হয়েছে। তারপর ওদের বাড়ির মেয়ে হয়ে রুমি মাঠে খেলতে নামবে এতো অসম্ভব কথা। সেদিন অজিতদাই ওকে বুঝিয়ে বলেছিলো— ‘দ্যাখ মেয়েরা এখন ওনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের জাতীয় মহিলা দলের মেয়েরাও তো কারোর ঘরের মেয়ে। আমাদের যেমন সৌরভ গাঙ্গুলি আছে তেমনি ঝুলন গোস্বামীও তো আছে। আমারতো ক্রিকেটটা হলো না আমি রুমির মধ্যে দিয়ে আমার স্বপ্নটা পূরণ করতে চাই। শুধু মেয়ে বলে ওর প্রতিভাটা নষ্ট হতে দিস না’। ঋক সেদিন দেখছি বলে বাড়ি চলে এসেছিলো। রাতে ও রুমিকে জিজ্ঞেস করেছিলো —’তুই যে ক্রিকেট নিয়ে এতোদূর এগিয়ে গেছিস, জানাসনি কেন?’। ও উত্তরে বলেছিলো—’ভয় পেয়েছি রে, চোখের সামনে তোর ফ্যাশন নিয়ে পড়ার জন্য ঝামেলা হতে দেখে আর বলতে পারি নি। তার উপর আমি মেয়ে বলে হয়তো খেলাটাই বন্ধ হয়ে যেতো।’ ঋক বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলো — ‘সামনে কিন্তু অনেক বাধা আসবে, তুই পারবি তো সব সামলাতে?’। রুমি মাথা দুলিয়ে শুধু হ্যাঁ বলেছিলো। এরপর থেকে রুমি কি করে সব সামলে খেলা চালিয়ে গেছে তা শুধু ও জানে।আজ মহিলা ক্রিকেটে জগতে রম্যানী চ্যাটার্জী উজ্জ্বল নাম।
ঋক চাকরি নিয়ে মুম্বাই আসার এক বছরের মধ্যে ছাপার অক্ষরে ক্রীড়া জগতে উঠতি প্রতিভা রম্যানী চ্যাটার্জীর নাম ও ছবি ছাপার অক্ষরে সবার সামনে চলে আসে। বোনকে নিয়ে ফের নতুন করে ঝামেলা শুরু হয়,ও তখন মুম্বাই এ।রোজ রাতে লতাপিসি ওকে ফোনে জানাতো রুমি কি কি সহ্য করছে। এমনই এক দিন হঠাৎ রুমি ওকে ফোনে বলে—’দাদা, বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে কিন্তু আর কয়দিন পর আমার জাতীয় দলের সিলেকশন টেস্ট। এইবারটা তুই আমায় বাঁচাতে পারবি?’। ও সেদিনই কলকাতায় রওনা দেয়। ওর বাবা-মা,জ্যাঠা-কাকা থেকে শুরু করে জ্যাঠতুতো খুড়তুতো ভাইবোন সকলের বিরুদ্ধে গিয়ে ও পাত্র পক্ষকে জানিয়ে ছিলো পাত্রীর এই বিয়েতে মত নেই। চলে আসার আগে ওর মা ওকে বলেছিলো-‘তুই নিজে যা হতে চেয়েছিলি আমি তাতে কখনোই বাধা দিই নি। কিন্তু রুমি মেয়ে হয়ে ঘরের মান সম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে মাঠে ঘাটে খেলে বেড়াবে আর তুই দাদা হয়ে ওকে প্রশ্রয় দিবি এমনটা আশা করিনি। তোর বাবা ঠিকই বলে, তুই এই বংশের কুলাঙ্গার অপদার্থ ছেলে। তোর এ বাড়িতে থাকারও যোগ্যতা নেই।’ মার বলা কথা কটা ওকে বড়ো আঘাত করেছিলো। এরপর ও আর কখনো বাড়ি যায়নি।
আজ প্রায় দশ বছর হলো ঋকদের একান্নবর্তী পরিবারটা ভেঙ্গে গেছে।সবাই যে যার মতো অন্যত্র উঠে গেছে। ওর বাবা সল্টলেকে বাড়ি বানিয়ে চলে এসেছে। লতা পিসি ওদের সঙ্গেই থাকে। রুমি এখন জাতীয় মহিলা দলের নামকরা খেলোয়াড়। মা বাবা শেষ পর্যন্ত ওর খেলাটা মেনে নিয়েছে। ঋক এই ভেবে শান্তি পায় যে ও না হোক অন্তত ওর বোনটা মা বাবার কাছে থাকে।

পর্ব ৪:-

দমদম এয়ারপোর্ট থেকে বেড়াতে ওর প্রায় রাত নটা বেজে গেলো। বাইরে এসে ও রুমিকে দেখতে পায়। দাদাকে দেখে রুমি ছুটে জড়িয়ে ধরতে আসলে ও মনে করিয়ে দেয় করোনার ফলে এখন চোদ্দো দিনের জন্যে ওর ছোঁয়া বাঁচিয়ে চলতে হবে সবাইকে।

ঋক গাড়ির জানালা দিয়ে ফেলে যাওয়া শহরটা দেখছিলো।কত বদলে গেছে ওর শহরটা, যেন কোনো নতুন শহরে চলে এসেছে ও। রুমি গাড়ি চালাতে চালাতে বলছিলো বাড়ির সবাই ওর জন্য কতটা চিন্তিত ছিলো সেই সব কথা ।ঋক ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলো- ‘হ্যাঁরে করোনা না এলে কি মা বাবা আজও আমার কথা চিন্তা করতো না?’ রুমি ওর প্রশ্নটা এড়িয়ে শুধু বলেছিলো-‘দাদা সব মান অভিমান একদিন শেষ হয়, এইবার হয়তো আমাদেরটাও হবে।’

বাড়ি পৌছাতে পৌছাতে ওদের প্রায় দশটা বেজে গেলো। এতদিন এই বাড়িটার ছবিই দেখেছে ও। প্রথমে ওর কেমন বাঁধো বাঁধো লাগছিলো। কিন্তু দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা মা আর লতা পিসিকে দেখে ওর সব দ্বিধা দ্বন্দ কেটে চোখ ছাপিয়ে জল চলে এলো। ইচ্ছা হলো ছুটে গিয়ে মা আর পিসিকে জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু পরক্ষনে ও ইচ্ছাটা সংবরন করে নেয়, এই মুহূর্তে ও যে কারোকে স্পর্শ করতে পারবে না। তাই দূর থেকেই ও মা আর লতা পিসিকে প্রণাম করে। মা-ই ওকে বাবার কাছে নিয়ে যায়। আজ দুই বছর হলো ওর বাবা রিটায়ার্ড করেছে। ঋক দেখে সেই ঝকঝকে লম্বা মানুষটার ওপর কেমন যেন বার্ধক্যের ছাপ পড়েছে। ও বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ওর বাবা খাটে আধশোয়া হয়ে পেপার পড়ছিল ওকে দেখে উঠে বসে। ঋক কিছুটা ইতস্তত করে অল্প দূরত্ব রেখে বাবাকে প্রণাম জানায়, বাবাও হাতটা তুলে ওকে আশীর্বাদ করে। ওর খুব ইচ্ছা করে বাবাকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু ও আজ নিরূপায়।
রাতে খাওয়ার টেবিলে অনেক দিন পর ঋক সবার সাথে খেতে বসলো।সব ওর পছন্দের খাবার, মা আর পিসি মিলে রেঁধেছে। খেতে খেতে সবটা ওর কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছিল।

সকালে ফোনের আওয়াজে ঋকের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা থেকে ওদের দুই ভাইবোনসহ পুরো পরিবারের এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ চায়। ও প্রথমে না-ই বলে দিয়েছিলো। কিন্তু উল্টোপ্রান্ত থেকে মহিলা রিপোর্টারের নাছোড় অনুরোধে শেষে বাধ্য হয়েই রাজি হতে হলো। ঠিক হলো তিনটের সময় রিপোর্টার আসবে। ফোনটা রেখে ও রুমিকে ইন্টারভিউয়ের কথা জানালে ও বলে ওর কাছে আগেই ফোনটা এসেছে। ঋক রুমিকে জিজ্ঞেস করে মা বাবা কি ইন্টারভিউয়ের জন্য রাজি হবে। রুমি মুচকি হেসে উত্তর দেয়-‘হুমম্ হবে, বলেছিলাম তো ওরা আর আগের মতো নেই।ও নিয়ে চিন্তা করিস না, আমি ম্যানেজ করে নিয়েছি। তুই শুধু টাইমে তৈরি হয়ে নিস’।

পর্ব ৫:—

তিনটের একটু আগেই সেই রিপোর্টার ও তার সাথে এক ফটোগ্রাফার চলে এলো। প্রথমেই ওদের সকলের একপ্রস্থ ফটোশুট হলো। তারপর কাঁটায় কাঁটায় তিনটের সময় চা আর স্ন্যাকস নিয়ে সকলে ড্রইং রুমে এসে বসলো। রিপোর্টার মেয়েটির নাম সৃজা মিত্র। ঋক রুমির কাছে আগেই শুনেছে রিপোর্টার হিসেবে এর বেশ নামডাক আছে।

সৃজা চায়ের কাপে ছোট্ট করে চুমুক দিয়ে টেপ রেকর্ডারটা চালিয়ে দিলো। তারপর ঋকের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো–’আচ্ছা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে এমন পেশায় আসতে কোনো বাধা পাননি ?’।ঋক একটু চুপ করে থেকে উত্তর দিলো-‘না পাইনি।আমি আমার পরিবারকে সাপোর্টারের মতো সবসময় পাশে পেয়েছি।’ আচ্ছা তাহলে তো আপনি খুবই ভাগ্যবান, সৃজার কথায় ঋক সায় দিয়ে হ্যাঁ বলল। পরের প্রশ্ন রম্যানীকে -‘আজ আপনি ক্রিকেট জগতের একজন জনপ্রিয় নাম। কিন্তু শুরুর সময়ে মেয়ে বলে কোনো বাধা আসেনি,মাঠ বা মাঠের বাইরে ?’ রুমি প্রশ্নটা শুনে প্রথমে ওর বাবার দিকে তাকিয়ে দেখলো, বাবার মুখটা থমথম করছে। ও ঋকের সাথে একবার চোখাচুখি করে উত্তর দিলো-‘না, আমিও এই দিক দিয়ে ভাগ্যবান’। সৃজা বললো সত্যিই তাই, না হলে ছেলে বা মেয়ে বলে বাঁধাধরা নিয়মের বাইরে গিয়ে এমন পেশায় সফল হওয়া, পরিবারকে সবসময় পাশে পাওয়া, আজও এতো আধুনিক হয়েও কয়জন মা বাবা তাদের সন্তানদের এতটা সাপোর্ট করতে পারে। আপনারা কিন্তু এই দিক দিয়ে উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম।

হঠাৎ ওদের বাবা গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন -‘ওদের কথায় সত্যি নেই, সত্যিটা হলো ওরা আজ যে নাম সাফল্য পেয়েছে তার সবটাই ওদের চেষ্টায়। আমরা বিশেষ করে আমি ওদের পছন্দ অপছন্দকে কখনোই বুঝতে চাইনি।’ ঋক ওর বাবাকে থামাতে গেলে তিনি ওকে মৃদু ধমক দিয়ে বললেন -‘আমাক বলতে দাও, আমি চাই না,আমি যে ভুল তোমাদের সাথে করেছি, অন্তত অন্য মা-বাবারা সেই ভুল আর না করেন।’ এই বলে তিনি অতীতের সব কথা বলতে শুরু করলেন। সবশেষে তিনি বললেন-‘আমাদের সব থেকে বড়ো ভুল আমরা গতেবাধা ধারণার বাইরে আর কিছু ভাবতেই পারি না, আমরা ভাবি মেয়ে মানে ও সাজগোজ করবে, রান্না করবে আর বয়স হলে বিয়ে দিতে হবে।আর ছেলে মানে ওকে ভালো চাকরি করতেই হবে, ক্রিকেট ফুটবল নিয়ে মেতে থাকতে হবে। এর বাইরে কিছু দেখতে আমরা অভ্যস্থ নই, আর কিছু নতুন দেখলে আমরা তার বিরুদ্ধে চলে যাই।আজ আমি সবাইকে এইটুকু বলতে চাই শুধু ছেলে বা মেয়ে বলে সন্তানদের পছন্দ অপছন্দের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেন না। ওদের নিজেদের মতো করে বড়ো হতে দিন, সেটাই আপনার সবচে বড়ো কতর্ব্য’। এই বলে তিনি একটু থামলেন। তারপর ধরা গলায় ঋক রুমির দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন-‘আমি তোদের অপরাধী বাবা তোরা আমায় ক্ষমা করে দে।’ ওদের দুই ভাইবোনের চোখ থেকে তখন জলের ধারা বইছে।

অনেক দিন পর রাতে খাওয়া দাওয়ার শেষে সকলে মিলে আড্ডা দিতে বসলো ঋকদের পরিবারে পাথরের মতো চেপে বসে থাকা রাগ দুঃখ অভিমান গুলো আজ সব গলে জল হয়ে গেছে। হাসি ঠাট্টার মাঝেই ওদের মা গান ধরলেন। ওদের বাবা ফিসফিস করে ওদের বললেন -‘তোদের মার সংসারটা আবার আজ জোড়া লেগে গেছে দ্যাখ কেমন গলায় গান এসেছে, আজ আমি বড়ো শান্তি পেয়েছি রে।’

পুনশ্চ :-

ওদের গান গল্পের মাঝেই রুমির ফোনটা বেজে উঠলো। ও পাশের ঘরে উঠে গিয়ে কলটা ধরলো।ও প্রান্ত থেকে সৃজার গলা ভেসে এলো-‘হ্যাঁরে তোর ঘরের কি অবস্থা?’। রুমি উত্তর দিলো-‘সব ঠিক হয়ে গেছে।সবাই পাশের ঘরে বসে গল্প করছে। তুই বল তোর কাজ হলো?’। সৃজা খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে উত্তর দিলো-‘কাজ হলো কিরে, বস্ তো অলরেডি হেব্বি খুশি ইন্টারভিউটা শুনে।বলেছে এক্সক্লুসিভ কভারেজ হবে’। রুমি একটু হেসে বললো-‘হ্যাঁ,এতটা যে হতে পারে তা আমিও ভাবিনি। যাক সব ভালোয় ভালোয় মিটে গেছে।এখন রাখলাম রে, পরে কথা বলছি।’ এই বলে ও ফোনটা কেটে দিলো।
আজ অনেক দিন পর রুমিও শান্তিতে ঘুমাবে। ওর সবসময় নিজেকে অপরাধী মনে হতো এই ভেবে যে ওদের পরিবারটা এই ভাবে ভেঙ্গে যাওয়া, দাদার এতোটা দূরে চলে যাওয়া সব কিছুর জন্যে দায়ী ও নিজে। আজ ওর মনের সেই অপরাধবোধের অবসান হলো। লক ডাউনের এই কঠিন সময়ে ওদের পরিবারটা আবার এক হয়ে গেছে। সব খারাপেরই কিছু হয়তো ভালো দিক থাকে, লক ডাউনটারও নিশ্চয় আছে।

bongqthemagazine.wordpress.com/2021/01/06/%e0%a6%97%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8b-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6

লকডাউন পর্ব ১ :- ওরলির রানওয়ে ছেড়ে প্লেনটা ভারতের আকাশ পথ ধরলো। এর কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে ঋক সিটবেল্ট খুলে ল্যাপটপটা ...

|| ছন্দ ||@দোসর (রক্তিম)-মা আমাকেও একটা নুপুর বানিয়ে দেবে?-নুপুর কী করবি?-পরবো-ধুর পাগল, ছেলেরা নুপুর পরে নাকি?-কেন পরেন...
09/06/2021

|| ছন্দ ||
@দোসর (রক্তিম)

-মা আমাকেও একটা নুপুর বানিয়ে দেবে?
-নুপুর কী করবি?
-পরবো
-ধুর পাগল, ছেলেরা নুপুর পরে নাকি?
-কেন পরেনা? দিদি কেন পরবে?
-দিদি মেয়ে তাই, বুঝলি?
-নুপুরের কী সুন্দর শব্দ, আমার ভালো লাগে, আমি পরবো।
-ওরকম করেনা, বাবা, তুমি নুপুর পড়লে বাকি লোকেরা হাসবে, আমার ভালো লাগবে না।
-তুমি এখনও বড়ো হও নি। তাই এসব বুঝবে না।

(দশ বছর পর)

-কিরে? পছন্দ হয়েছে?
-হ্যাঁ মা খুব…… (গলা জড়িয়ে মাকে চুমু খেয়ে) আমার জন্মদিনের সবচেয়ে প্রিয় উপহার।
-বেশ পায়ে পরে, সন্ধ্যেতে আমাকে ঐ নাচটা দেখাবি।
-কোনটা?
-আরে সেইটা, যেটা National Champion-এর Final-এ করে winner হয়েছিলি, আমার দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়েছিল আর পরের দিন পাড়ার লোকেরা গর্বের হাসি হেসেছিল।

ছন্দ -মা আমাকেও একটা নুপুর বানিয়ে দেবে?-নুপুর কী করবি?-পরবো-ধুর পাগল, ছেলেরা নুপুর পরে নাকি?-কেন পরেনা? দিদি কেন পরবে?-....

রাঙা বৌ এল যে Ditu Baraiরাজস্থান থেকে ছোট্ট মিষ্টি কিনে এনেছিল ছেলে মেয়ে রাজস্থানী পুতুল।আজ তাদের বিয়ে , গোধুলি লগ্নে …....
19/05/2021

রাঙা বৌ এল যে
Ditu Barai

রাজস্থান থেকে ছোট্ট মিষ্টি কিনে এনেছিল ছেলে মেয়ে রাজস্থানী পুতুল।আজ তাদের বিয়ে , গোধুলি লগ্নে ….
সক্কাল থেকে তাই মিষ্টির ব্যাস্ততার শেষ নেই।
হাজার হোক কনের মা বলে কথা।
সকালে হল দধিমঙ্গল , গায়েহলুদ তারপর মিষ্টির মা জোর করে টেনে ধরে মিষ্টিকে খাইয়ে দিলেন।
সে কি আজ আর মায়ের কথা শোনে? আজ সে শাশুড়ি হতে যাচ্ছে।বিকেল হতেই মিষ্টির মা মিষ্টিকে আগের বছর সরস্বতী পুজোয় কেনা সুন্দর ছোট্ট লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দিল।
হাজার হোক মেয়ে জামাই বরন করবে তার তো শাশুড়ি সুলভ সাজ হওয়া দরকার।
মিষ্টির মেয়ে ততক্ষনে তৈরী …
লাল বেনারসী , মাথায় ফুলের মালা , টিকলি , গলায় হার , হাতে চুড়ি আরো কত কি ….
এমন সময় শোনা গেল এই বর এসে গেছে।
বরন ডালা নিয়ে বরন করার সময় ঘটল বিপত্তি …
ছোট্ট মিষ্টির বরন ডালার প্রদীপ এর আগুন ছড়িয়ে পড়ল তার জামাই এর পোষাক-এ এবং তারপর পুড়ে গেল।
এদিকে তো তখন কান্নার রোল , কি হবে তবে কি মেয়ে হবে লগ্নভ্রষ্টা ??
মিষ্টির কান্না আর থামে না ….
তখন মিষ্টির পিসি রাখী এসে বলল ,
– ” আমার কাছে একটা মেয়ে পুতুল আছে তো, তুই কাঁদিস না সোনা , ওর সাথে তোর মেয়ের বিয়ে দে। “
– ” তোমার তো মেয়ে পুতুল পিপি, মেয়ের সাথে মেয়ে পুতুল এর বিয়ে হবে কি করে ?? ছেলে পুতুল চাই তো ” …
– ” কেন হবে না সোনা ?? বিয়ে কি ছেলে মেয়ে দেখে হয়? বিয়ে হয় মানুষ এ মানুষ এ …আমরা ছেলে মেয়ে এই রকম করে নিয়ম করে নিয়েছি কিন্তু সবরকমই বিয়ে হয় । তেমন পুতুল পুতুল এরও বিয়ে হবে,এতে ছেলে মেয়ের কিচ্ছু নেই ” …
– ” তাইইইইই ” ….
পিপি র গলা জড়িয়ে ধরে হেসে উঠল মিষ্টি ।
আর বাড়ির সব্বাই আবার মেয়ে পুতুলটাকে সাজাতে বসে গেল ।
আহা সে কি দৃশ্য …
গোধুলী লগ্ন , বসন্ত পূর্নিমার রাত …
দুটো লাল টুকটুকে বেনারসী পড়া পুতুল মাথায় মালা , টিকলি , হার , কানের দুল, বালা, চুড়ি , গলায় মালা পড়ে পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে , আর ….
বাড়ির সব্বাই গোল করে গান গাইছে ,

“ও তোরা উলু দে
রাঙা বৌ এল যে ,
মুকুট মাথায় দিয়ে চতুর্দোলাতে
মালাবদল হবে এ রাতে ।
লাজে রাঙা হল কনে বৌ গো …”
https://bongqthemagazine.wordpress.com/2021/01/05/%e0%a6%97%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8b-%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a7%81/

রাঙা বৌ এল যে রাজস্থান থেকে ছোট্ট মিষ্টি কিনে এনেছিল ছেলে মেয়ে রাজস্থানী পুতুল।আজ তাদের বিয়ে , গোধুলি লগ্নে ….সক্ক...

সব বংকুদের রমজান ও ঈদের অনেক শুভেচ্ছা
14/05/2021

সব বংকুদের রমজান ও ঈদের অনেক শুভেচ্ছা

 "motherhood is a feeling, wwhich means caring aand loving without any boundaries"
10/05/2021


"motherhood is a feeling, wwhich means caring aand loving
without any boundaries"

"দেহমনের সুদূর পারে হারিয়ে ফেলি আপনারে"লিঙ্গ বর্ণ জাতি সবের উর্ধ্বে যেজন সেই চিরসখাকে অনেক ভালোবাসা।সৌজন্যে- বংকু
09/05/2021

"দেহমনের সুদূর পারে হারিয়ে ফেলি আপনারে"
লিঙ্গ বর্ণ জাতি সবের উর্ধ্বে যেজন সেই চিরসখাকে অনেক ভালোবাসা।
সৌজন্যে- বংকু

Maqbool Fida Husain better known as M. F. Husain (17 September 1915 – 9 June 2011) was an Indian artist known for execut...
01/05/2021

Maqbool Fida Husain better known as M. F. Husain (17 September 1915 – 9 June 2011) was an Indian artist known for executing bold, vibrantly coloured narrative paintings in a modified Cubist style. He was one of the most celebrated and internationally recognised Indian artists of the 20th century.

সব্বাইকে নববর্ষের অনেক অভিনন্দন শুভেচ্ছা সহ  ''বঙ্কু''  #পয়লাবৈশাখ  #নববর্ষ
15/04/2021

সব্বাইকে নববর্ষের অনেক অভিনন্দন
শুভেচ্ছা সহ ''বঙ্কু''
#পয়লাবৈশাখ #নববর্ষ

13/04/2021

Arup Art Studio Logo

13/04/2021

I have been working on this digital artwork since morning today for Good Friday. Hoping this year is filled with all the joy and happiness that we all have been craving for. Here's wishing you all a Blessed Good Friday. Amen!
This digital portrait of Lord Jesus is for SALE!! DM me for more details.
If you are looking for such illustrations or for a freelance digital artist to bring your visionary thoughts into a digital piece of artwork at an affordable price, drop in a comment or visit my website, and I will connect with you shortly.

13/04/2021

First in April is celebrated as "National Love Our Children Day". This day focuses on raising awareness on child abuse. This day honors all children across the globe and encourages us to develop loving and respectful relationships with our children.

If you are looking for such illustrations or for a freelance digital artist to bring your visionary thoughts into a digital piece of artwork at an affordable price, drop in a comment or visit my website, and I will connect with you shortly.



Website 👉 https://lnkd.in/dCZQnb7
Contact 📱 +91-8240235740

Address

83/12 Dumdum Roaad
Kolkata
700074

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বঙ্কু - BongQ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বঙ্কু - BongQ:

Videos

Share

Category

Nearby media companies