20/04/2024
এবারে আমাদের নিবেদন সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব কলকাতার নিউ টাউন নিবাসী অভিনেতা অনুজিত সরকার । থিয়েটারের স্টেজে অভিনয় জীবনের সলতে পাকানো অনুজিত কাজ করেছেন টিভি সিরিয়ালে এবং বিভিন্ন শর্ট ফিল্মে। লাইফপ্লাস ম্যাগাজিনের তরফে সুদীপ চক্রবর্তী কথা বলেছিলেন এই তরুন প্রতিভাবান অভিনেতার সাথে। কথোপকথনে মাধ্যমে অনুজিত শেয়ার করেছেন তাঁর অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতার কথা। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার নিরলস প্রচেষ্টার কথা। বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর আশা ভরসার কথা।
সুদীপঃ আপনি অভিনয় জীবন কিভাবে শুরু হয়েছিল?
অনুজিতঃ গ্রুপ থিয়েটার থেকে আমার অভিনয় জগতে আসা।
সুদীপঃ অভিনয়ের জন্য আপনি কি কোন প্রথাগত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন?
অনুজিতঃ প্রথগত শিক্ষা বলতে,আমি যতটুকু শিখেছি সবটাই থিয়েটার থেকে শিখেছি।
সুদীপঃ আপনার প্রথম ব্রেকের ব্যাপারে কিছু বলুন!
অনুজিতঃ Commercially আমি প্রথম কাজ পাই Zee Bangla-র আমলকি সিরিয়াল এ। যদিও খুব ছোট একটা চরিত্র ছিল। কিন্তু আমার কাছে সেটাই অনেক বড় ব্যাপার ছিল।
সুদীপঃ অভিনয়ের সাথে আপনি আর কি করেন?
অনুজিতঃ অভিনয় টাই করি। তবে সত্যি বলতে যখন কাজ থাকেনা তখন বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখি।
সুদীপঃ আপনার পরিবার কারা আছেন? আপনার অভিনয় জীবনের স্ট্রাগলে তারা কতটা সহযোগিতা করেন?
অনুজিতঃ পরিবারে সবাই আছেন। বাবা, মা, স্ত্রী ও এক পুত্র। এরা প্রত্যেকেই আমাকে support করে। Infact আমার ছেলেও অভিনয় করে। ফাগুনের মোহনা সিরিয়াল এ Hero -র ছোটোবেলা টা ওই করতো।
সুদীপঃ আপনি নিজে কিছু শর্ট ফিল্ম করেছিলেন, সেই ব্যাপারে কিছু বলুন
অনুজিতঃ একদম। আসলে কিছু কাজ করতে চেয়েছিলাম যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। সেখান থেকেই আমার Youtube Channel এর যাত্রা শুরু। আজও কাজ করছি।আজও শর্ট ফিল্ম বানাচ্ছি।
সুদীপঃ ইদানিং আপনি কি কাজ করছেন?
অনুজিতঃ Recently একটা Hindi ছবির কাজ করলাম,যেখানে আমাকে একজন News Anchor এর ভূমিকায় দেখা যাবে, তাছাড়া "সত্যি ভূতের গপ্পো" নামে একটা Horror Web Series এও কাজ করলাম,গল্পটা পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে। পাঁচ জনই এখানে lead character। তাঁর মধ্যে আমিও একজন।বাকিটা এখন বলা যাবেনা,তার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।
সুদীপঃ আপনার অভিনয় জীবনে এমন কোনো ঘটনা মনে করতে পারেন কি, যা আপনি ভুলতে পারেননি?
অনুজিতঃ অভিনয় জীবনের কোনো ঘটনাই আমি ভুলিনি। নেতিবাচক বা ইতিবাচক সবই কম বেশি মনে রেখেছি। তবে কারোর প্রতিই কোনো রাগ বা ক্ষোভ নেই।
সুদীপঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি উপস্থিত আছেন। এই মিডিয়া কোনোভাবে আপনাকে অনুপ্রেরণা বা সাহার্য্য করে?
অনুজিতঃ না। বর্তমানে social media কে মানুষ যেভাবে ব্যবহার করছে তাতে আমি চিন্তিত। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে সেটাই বোঝা দায়। তবুও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ঠিক আছে।
সুদীপঃ আপনার নিজের প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী এবং পরিচালক কে?
অনুজিতঃ প্রিয় অভিনেতা উত্তম কুমার।অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। প্রিয় পরিচালক সত্যজিৎ রায় , ঋত্বিক ঘটক।
সুদীপঃ বর্তমানে মোবাইল আর ইন্টারনেটের যুগে প্রচুর পরিমাণে শর্ট ফিল্ম হচ্ছে। প্ভুরি ভুরি শর্ট ফিল্ম ডিজিট্যালি মুক্তি পায় রোজ। আপনার মতে এর ফলে কি সিনেমার মনের উন্নতি বা অবনতি হচ্ছে?
অনুজিতঃ ব্যাপার টা উন্নতি বা অবনতির নয়। প্রত্যেকে নিজের মতো করে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। কিছু কাজ ভালো হচ্ছে কিছু কাজ হচ্ছেনা,সেটাই স্বাভাবিক। আমি এটাকে পসিটিভ ভাবেই দেখি। End of the day আমরা নতুন কিছু একটা দেখতে পাচ্ছি। অজানা অনেক কিছুই উঠে আসছে।এটা তো ভালোই।
সুদীপঃ বর্তমান বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিস্থিতি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
অনুজিতঃ বাংলায় আজও ভালো ছবির কমতি নেই। কিন্তু দর্শক অদ্ভুত ভাবে সেটাকে উপেক্ষা করছে। এটা অনেকটা যেনো ছেলে মেয়েকে বাংলা মিডিয়াম এ পড়ালে তার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে সেরকম ব্যাপার। খুব অবাক লাগে যখন দেখি বাঙালি বাংলা কে উপেক্ষা করে। এটা তখনই বদলাবে যখন বাঙালি নিজের ভাষাকে আবার ভালবাসবে। নাহলে যেমন চলছে তেমনই চলবে।
সুদীপঃ আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি ?
অনুজিতঃ ভালো ভালো কাজ করা। মানুষের পাশে থাকা। অনেক নতুন চরিত্রে কাজ করতে চাই। দেখা যাক কি হয়।
সুদীপঃ লাইফপ্লাস ম্যাগাজিনের পাঠকদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
অনুজিতঃ লাইফপ্লাস ম্যাগাজিন যেভাবে উদ্যোগ নিয়ে মানুষের পাশে আছে সেটাকে সাধুবাদ জানাই। এমন ম্যাগাজিন আজকের দিনে খুবই দুর্লভ।সবাই পড়ুন এবং পাশে থাকুন নতুন নতুন অজানা গল্পকে জানার জন্য।
অনুজিতের সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/anujit.sarkar.18